Announcement

Collapse
No announcement yet.

যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ২০

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ২০

    অনেক দিন যাবৎ কাজটা বন্ধ ছিল। আল্লাহ তাআলার তাওফিকে আবার শুরু হল।
    যিন্দিকের আলোচনা চলছিল। কিছু আলোচনা হয়েছিল। বাকি অংশ আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ। যিন্দিক ধৃত হওয়ার পর তাওবা করলেও তার তাওবা গ্রহণ করা হবে না, বরং হত্যা করা হবে। হ্যাঁ, খালেস নিয়তে তাওবা করলে আখেরাতে আল্লাহ তাকে মাফ করবেন- সেটা ভিন্ন কথা। এ প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত দলীল আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

    -----------------

    ধৃত হওয়ার পর দুনিয়াতে যিন্দিকের তাওবা কবূল না হওয়ার দলীল:
    ইবনুল কায়্যিম রহ. (৭৫১ হি.) বলেন,
    ومما يدل على أن توبة الزنديق بعد القدرة لا تعصم دمه قوله تعالى: {قل هل تربصون بنا إلا إحدى الحسنيين ونحن نتربص بكم أن يصيبكم الله بعذاب من عنده أو بأيدينا} [التوبة: 52] قال السلف في هذه الآية: {أو بأيدينا} [التوبة: 52] بالقتل إن أظهرتم ما في قلوبكم، وهو كما قالوا؛ لأن العذاب على ما يبطنونه من الكفر بأيدي المؤمنين لا يكون إلا بالقتل؛ فلو قبلت توبتهم بعد ما ظهرت زندقتهم لم يمكن المؤمنين أن يتربصوا بالزنادقة أن يصيبهم الله بأيديهم؛ لأنهم كلما أرادوا أن يعذبوهم على ذلك أظهروا الإسلام فلم يصابوا بأيديهم قط، والأدلة على ذلك كثيرة جدا. اهـ [إعلام الموقعين: 3\107]

    “ধৃত হওয়ার পর যিন্দিকের তাওবা তার রক্তের সুরক্ষা না হওয়ার একটি দলীল আল্লাহ তাআলার এ বাণী,

    {قل هل تربصون بنا إلا إحدى الحسنيين ونحن نتربص بكم أن يصيبكم الله بعذاب من عنده أو بأيدينا}

    “আপনি (মুনাফিকদের) বলে দিন, তোমরা কি আমাদের ব্যাপারে (বিজয় ও শাহাদাত এ) দু’ কল্যাণের কোনো একটির অপেক্ষায় আছ? আমরা কিন্তু তোমাদের ব্যাপারে প্রতিক্ষায় আছি যে, আল্লাহ তাআলা নিজে থেকে তোমাদের শাস্তি পৌঁছাবেন কিংবা আমাদের হাত দিয়ে।”- তাওবা ৫২


    সালাফগণ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘তোমাদের অন্তরে যা কিছু আছে, তা যদি তোমরা প্রকাশ কর, তাহলে (আমাদের হাতে) হত্যা করানোর মাধ্যমে তিনি আমাদের হাত দিয়ে তোমাদের শাস্তি পৌঁছাবেন’।

    এটিই যথাযথ ব্যাখ্যা। কারণ, তারা যে কুফর তাদের অন্তরে গোপন রাখে, মুমিনদের হাতে তার শাস্তি হত্যার দ্বারাই কেবল হতে পারে। যান্দাকা প্রকাশ হওয়ার পরও যদি এদের তাওবা কবূল হয়, তাহলে মুমিনদের জন্য এটি সম্ভব হবে না যে, তাদের হাতে আল্লাহ তাআলা এদের শাস্তি দেয়ার প্রতিক্ষায় থাকবে। কেননা, মুমিনরা যখনই এদেরকে শাস্তি দিতে যাবে, তখনই তারা বাহ্যত মুসলমান হয়ে যাবে। ফলে মুমিনদের হাতে এদের শাস্তি হবে না কখনই। এ ব্যাপারে দলীল-প্রমাণ অনেক।”- ই’লামুল মুআককিয়িন: ৩/১০৭


    ইবনে তাইমিয়া রহ. এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আমরা এখন আর সে আলোচনায় যাচ্ছি না।


    বি.দ্র.
    যিন্দিক পীর-সূফিদের হত্যা করা জরুরী:


    ইবনে আবিদিন রহ. (১২৫২ হি.) বলেন,
    وفي رسالة ابن كمال عن الإمام الغزالي في كتاب [التفرقة بين الإسلام والزندقة] ومن جنس ذلك ما يدعيه بعض من يدعي التصوف أنه بلغ حالة بينه وبين الله تعالى أسقطت عنه الصلاة وحل له شرب المسكر والمعاصي وأكل مال السلطان، فهذا مما لا أشك في وجوب قتله إذ ضرره في الدين أعظم؛ وينفتح به باب من الإباحة لا ينسد؛ وضرر هذا فوق ضرر من يقول بالإباحة مطلقا؛ فإنه يمتنع عن الإصغاء إليه لظهور كفره. أما هذا فيزعم أنه لم يرتكب إلا تخصيص عموم التكليف بمن ليس له مثل درجته في الدين ويتداعى هذا إلى أن يدعي كل فاسق مثل حاله اهـ. رد المحتار 4\243

    “ইবনে কামাল পাশা রহ. ইমাম গাযালি রহ.-র ‘আততাফরিকা বাইনাল ইসলামি ওয়াযযান্দাকা’ কিতাব থেকে তার নিজের বক্তব্য বর্ণনা করেন: এ শ্রেণীরই অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কতক সূফি, যারা দাবি করে যে, তারা আল্লাহ তাআলার সাথে এমন এক সম্পর্কের দরজায় উপনীত হয়েছে, যার ফলে তাদের উপর থেকে নামাযের দায়িত্ব রহিত হয়ে গেছে এবং নেশাজাত দ্রব্য পান করা, গুনাহে লিপ্ত হওয়া এবং সুলতানের মাল ভক্ষণ করা তাদের জন্য হালাল হয়ে গেছে। আমার কোনই সন্দেহ নেই যে, এ ধরণের লোককে হত্যা করা অত্যাবশ্যক। কেননা, এদের দ্বারা দ্বীনের ক্ষতি হয় অনেক বেশি। এদের দ্বারা (হারামসমূহকে) হালালরূপে গ্রহণ করার এমন এক দরজা খোলবে, যা বন্ধ হবার মতো নয়। যেসব লোক নিঃশর্তভাবে সব কিছুকে হালাল বলে, তাদের চেয়েও এসব লোকের অনিষ্ট বেশি। কেননা, সুস্পষ্ট কুফর হওয়ার কারণে লোকজন নিঃশর্ত হালাল দাবিদারদের কথার দিকে কর্ণপাত করবে না। পক্ষান্তরে এ লোকের দাবি হল, সে শুধু এতটুকু করেছে যে, শরীয়তের পক্ষ থেকে আরোপিত দায়-দায়িত্বগুলোকে সে ঐসব লোকের জন্য সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে, যারা (তার দাবি অনুযায়ী) তার স্তরে পৌঁছতে সক্ষম হয়নি। এর অনিবার্য পরিণতি এই দাঁড়াবে যে, প্রত্যেক ফাসেকই দাবি করবে, সে ঐ স্তরে পৌঁছে গেছে।”- রদ্দুল মুহতার ৪/২৪৩





  • #2
    আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকি
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment

    Working...
    X