Announcement

Collapse
No announcement yet.

জযবার ফেরিওয়ালারা তাহলে কোন খিলাফত চায়???

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জযবার ফেরিওয়ালারা তাহলে কোন খিলাফত চায়???

    আমাদের হুজুররা আমাদের ইসলাহি বয়ান করতে গিয়ে প্রায় সময় একটা কথা বলে থাকেন যে
    দেখো নাপাক অন্তরে ইলম এর মত পবিত্র জিনিস কখনি প্রবেশ করবে না তাই আগে অন্তরকে পবিত্র করতে হবে ।
    তাহলে তারা কোন যুক্তিতে গণতন্ত্রর মত হারাম এমনকি কুফুরি মতবাদের উপর থেকে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার দিবাস্বপ্ন দেকছে
    যেখানে গণতন্ত্রের মূল চাবি কাঠি সাপের মাথা অ্যামেরিকার হাতে
    কুফুরি মতবাদকে আঁকড়ে ধরে তাহলে তারা কোন খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়
    আবার শুধু আঁকড়ে ধরেই ক্ষান্ত হয়নি বরং তাকে জিহাদের মত মহান ফরজ বিধানের সাথে মিলিয়ে দিচ্ছে , কতবড় ধৃষ্টতা
    আবার এই তারা তার স্বপক্ষে গল্পের মাধ্যমে দলিলও পেশ করছে স্রোতাদের সামনে...দেখুন
    https://www.youtube.com/watch?v=iYJIOY0RQ9s
    কতদিন আর চলবে তাদের এই অস্র ছাড়া জিহাদ আর
    অস্রবিহিন আমিরুল মুজাহিদিন
    আল্লাহ ও তার রাসূল(স) কে কটূক্তি করা যদি তোমাদের বাক স্বাধীনতার অংশ হয়ে থাকে
    তাহলে জেনে রাখ
    তোদের ঘাড় থেকে মাথাকে আলাদা করাও আমাদের পবিত্র ধর্মের অংশ

  • #2
    ভাই, Video unavailable লেখা আসছে, আবার লিংক দিন।
    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

    Comment


    • #3
      Originally posted by আদনানমারুফ View Post
      ভাই, Video unavailable লেখা আসছে, আবার লিংক দিন।
      ভাই এবার ট্রাই করুন
      আল্লাহ ও তার রাসূল(স) কে কটূক্তি করা যদি তোমাদের বাক স্বাধীনতার অংশ হয়ে থাকে
      তাহলে জেনে রাখ
      তোদের ঘাড় থেকে মাথাকে আলাদা করাও আমাদের পবিত্র ধর্মের অংশ

      Comment


      • #4
        ভণ্ডামির সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আল্লাহ সুব. সকলকে হেদায়াত দান করুন,আমীন।
        কোন ভাই যদি তাঁর ভণ্ডামির খণ্ডন করে দিতেন… খুবই উপকার হতো। এই বয়ানটির খণ্ডন কোন এক ভাই যেন করেছিলো… এখন আর খুঁজে পাচ্ছিনা। অনুগ্রহ করে কেউ সাহায্য করলে ভাল হয়।
        আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
        জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
        বিইযনিল্লাহ!

        Comment


        • #5
          ভাই আরবি জিহাদ শব্দটা ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা হয়। এবং জিহাদ এর অনেকগুলো পর্যায় আছে। আর এর চূড়ান্ত পর্যায় হলো শসস্ত্র যুদ্ধ। শুধুমাত্র অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করাকেই জিহাদ বলে না। ইসলামের শাসন ক্বায়েমের জন্য যা কিছু করা হয়, প্রত্যেকটা কাজই জিহাদের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের বাংলাদেশে শুধুমাত্র চরমোনাই এর ইসালামী আন্দোলন বাংলাদেশই ইসলামের শাসন ক্বায়েমের জন্য কাজ করে যাইতেছে। যেখানে একজন মুসলিম হিসেবে আপনার আমার তাঁদেরকে সাহায্য করা উচিত ছিলো, তা না করে আরো তাঁদের বিরোধিতা করতেছি। ভাই, মহান আল্লাহ্*র কাছে গিয়ে এর কি জবাবদিহি করবেন কখনো কি ভেবে দেখেছেন? নিজের বিবেককে প্রশ্ন করেছেন??
          চরমোনাই দল নিয়ে সন্দেহ?
          ভাই, আমাদের বাংলাদেশে ভণ্ড পীরের সংখ্যা বেশি এইটা আমিও মানি। এবং এইসব পীর মুরীদির ঘোর বিরোধিতা করতাম একসময় আমি। ২ বছর আগে শুধুমাত্র যাচাই করার জন্য চরমোনাই গিয়েছিলাম। আর আল’হামদুলিল্লাহ, গত ২ বছর ধরে নিয়মিত চরমোনাই যাওয়া আসা করি। ভাইজান, অন্যসব ভণ্ডপীরদের সাথে চরমোনাই এর তুলনা করাটা সম্পূর্ণ বোকামি হবে। এইখানে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন কাজ অন্তত আমি দেখি নাই। চরমোনাই আগেও হকের উপর ছিলো, আল’হামদুলিল্লাহ, এখনো হকের উপর আছে। আর ভবিষ্যতের খবর তো আল্লাহ তা’য়ালাই ভালো জানেন।
          এখন রাজনীতির ময়দানে গনতন্ত্র নিয়ে সমস্যা তাই তো?
          ভাই, এই গনতন্ত্র নামক ভয়ঙ্কর বিষাক্ত মহাসাগরে আপনি আমি ২৪ ঘণ্টা ডুবে আছি। এইখানে তো কোন প্রশ্ন তোলা হয় না। কিন্তু, উনারা ইসলামের শাসন ক্বায়েমের জন্য মাঠে ময়দানে কাজ করতেছেন। আর উনারা নিজেরাও তো গনতন্ত্রের সম্পূর্ণ বিপক্ষে ভাই। উনাদের এমন অনেক বক্তব্য শুনেছি যেখানে উনারা সরাসরি গনতন্ত্রের সম্পূর্ণ বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে নির্বাচন নিয়ে।
          ভাই, নির্বাচন কেবল মাত্র সংসদে যাওয়ার একটা মাদ্ধম মাত্র। যেমন ধরুন, মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি, হত্যাযজ্ঞ ইসলাম সমরথন করে না। কিন্তু শসস্ত্র জিহাদের ময়দানে কি হয় বলেন তো? ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞ। এখন স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে হত্যাযজ্ঞ সম্পূর্ণ হারাম। কিন্তু ইসলামের শাসন ক্বায়েমের জন্য এটাকে ফরয করে দেয়া হয়েছে। এই শসস্ত্র যুদ্ধ ইসলামের শাসন ক্বায়েমের একটা একটা অন্যতম মাধ্যম।

          ঠিক তেমনি, নির্বাচন গনতন্ত্র ক্বায়েমের একটা মাধ্যম মাত্র। যেমন ধরুন, জিহাদের ময়দানে নবীজী (সাঃ) ও লড়াই করেছে, কাফের মুশরিকরাও লড়াই করেছেন। নবীজী (সাঃ) ও অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, কাফের মুশরিকরাও অস্ত্র ব্যবহার করেছে। নবীজী (সাঃ) ও ঘোড়া ব্যবহার করেছেন, কাফের মুশরিকরাও ঘোড়া ব্যবহার করেছে। নবীজী (সাঃ) ও সাহাবায়েকেরামগণ (রাঃ) কাফের মুশরিকদের হত্যা করে জাহান্নামে পাঠিয়েছেন, আবার কাফের মুশরিকদের সাথে মুসলামগন বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে অনেকেই শহীদ হয়ে জান্নাতবাসী হয়েছেন। এক কথায় এই পরিস্থিতে কাফের মুশরিকরা যা করেছে, নবীজী (সাঃ) এবং সাহাবায়েকেরামগন (রাঃ) ও তাই করেছেন। একই কাজ করে কেউ জান্নাতবাসী হইতেছেন, আবার কেউ জাহান্নামী হইতেছে। কারণটা কি বলেন তো? কাফের মুশরিকদের উদ্দেশ্য ছিলো শিরকী বিধান বাস্তবায়ন করা, তাই তারা জাহান্নামী। আর অপরদিকে নবীজী (সাঃ) ও সাহাবায়েকেরামগণ (রাঃ), উনাদের উদ্দেশ্য ছিলো আল্লাহ্*র যমীনে আল্লাহ্*র বিধান বাস্তবায়ন করা। তাই শহীদগণ জান্নাতী।
          ঠিক তেমনি নির্বাচনে দুনিয়াদাররাও নির্বাচন করে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও নির্বাচন করে, তারাও মিটিং মিছিল করে, ইসলামী আন্দোলনও মিটিং মিছিল করে। আর এইখানেও পার্থক্য হলো তাদের উদ্দেশ্য কুফুরি গনতন্ত্র বাস্তবায়ন, আর আমাদের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্দেশ্য ইসলামী শাসনতন্ত্র ক্বায়েম করা।

          সুতরাং, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাঁদের লক্ষে এবং উদ্দেশ্যে অবশ্যই জিহাদ এর মহান পথে হাটতেছে।
          নিচে একটা ভিডিওর লিঙ্ক দিলাম। বিষয়গুলো আরো সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করা আছে। প্রায় ৩৩ মিনিটের ভিডিও। একটু মনোযোগ দিয়ে শুনলে ইন-শা-আল্লাহ, অবশ্যই আপনাদের প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাবেন। আর যদি সময় কম থাকে টেনে ১২ মিনিটের পর থেকে দেখুন। আর যদি ভুল ভাঙে, আমি আহ্বান করবো সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে। মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।

          https://www.youtube.com/watch?v=TQqcDWfyHqk

          Comment

          Working...
          X