Announcement

Collapse
No announcement yet.

সন্দেহভাজন জঙ্গী সদস্য সনাক্তকরণ দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পড়া জঙ্গী লক্ষণ! তামিম

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সন্দেহভাজন জঙ্গী সদস্য সনাক্তকরণ দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পড়া জঙ্গী লক্ষণ! তামিম

    সন্দেহভাজন জঙ্গী সদস্য সনাক্তকরণের (রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর) নিয়ামকসমূহ
    দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পড়া জঙ্গী লক্ষণ! শায়খ তামিম আদনানী ভাই কে আহব্বান


    হঠাৎ করে দাড়ি রাখা ও টাখনুর উপর কাপড় পরা শুরু করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, গায়ে হলুদ, জন্মদিন পালন, গান বাজনাসহ পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে নিজেকে গুটিয়ে রাখাসহ বেশকিছু বিষয়কে জঙ্গিবাদের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
    রোববার দেশের প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিকে সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য সনাক্তকরণের ২৩টি উপায় জানিয়ে এই বিজ্ঞাপন দেয় সংগঠনটি।
    এদিকে বিজ্ঞাপনে সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্য সনাক্তকরণের যেসব ইন্ডিকেটর দেয়া হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।
    এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে। আর আলেম-ওলামারা মনে করেন, এমন বিজ্ঞাপন প্রচার কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার করা হচ্ছে।
    সম্প্রীতি বাংলাদেশের নামের এই সংগঠনটি গত বছরের ৭ জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়




    পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
    পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের বলেছেন দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পড়া ‘জঙ্গি লক্ষণ’ . একথা বলার পর সামাজিক যোগাযোগ মধোম বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করে বিচার আওতায় আনার জন্য মুসলিম জনতা তীব্র আন্দোলন করেছে হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পড়া ‘জঙ্গি লক্ষণ’ বলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক সংগঠনের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের প্রচার করা বিজ্ঞাপনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসলামের আবশ্যক পালনীয় দাড়ি রাখা, টাখনুর ওপর কাপড় পড়াসহ বেশ কিছু লক্ষণকে জঙ্গি লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরে পীযুষরা বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। পীযুষ বন্দোপাধ্যায় এই বিজ্ঞাপন প্রচার করে ইসলাম ও মুসলমানের হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। শতকরা ৯৩% মুসলমানের দেশে আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত নিয়ে বেয়াদবি করার স্পর্ধা দেখাবে আর মুসলমানেরা নীরবে বসে থাকবে তা হতে পারে না।
    বিজ্ঞাপনে যা লিখা হয়েছিল তার পুরোটাই নিম্নে ভাইদের নিকট তুলে ধরছি আশা করি আমাদের শায়খ তামিম আদনানী হাফেজাহুল্লাহ সহ মিডিয়ার ভাইয়েরা এই বিষয়ের উপর একটি ভিডিও আকারে বিস্তারিত তু্লে ধরবেন ইংশাআল্লাহ এবার দেখুন কি লিথা হয়েছিল বিজ্ঞাপনে
    বাংলাদেশের তথ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষিত ও উচ্চ বিও মেধাবী ছাএরা জঙ্গি হয়ে হামলা ও টার্গেট টেড কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে শহীদে মর্যাদা প্রাপ্তির ভূল নেশায় ডুবে রয়েছে । এই সব যুবক বিদেশে উচ্চ শিক্ষা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে গিয়ে কৌশলে ব্রেইন ওয়াশের শিকার হচ্ছে পরবর্তীতে জঙ্গী সংগঠনের নেতূত্বস্থানীয় ব্যাক্তিতে পরিণত হচ্ছে ও বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে গমন করে সিরিয়া , ইরাক, আফগানিস্তান , ইয়েমেন, লিবিয়া,কাশ্মির প্রভূতি ) জঙ্গী আক্রমনের পরিকল্পনা ও আত্বঘাতি হামলার অংশগ্রহণ করেছে। এই সকল জঙ্গী সদস্যদের জিজ্ঞাসা বাদ , নজরধারী , ব্যাক্তিগত প্রোফাইল দীর্ঘদিন ধরে পর্যালোচনা বিশ্লেষণ করে নিচে উল্লেখিত রেডিক্যাল ইন্ডিকেটর সমূহ ১২ থেকে ৩৫ বৎসর যুবকদের মধ্যে লক্ষ করা যায় ।
    ক, একাডেমিক পড়াশোনা প্রতি অমনোযোগী ও ধর্মীয় বিষয়ে পড়াশোনা অস্বাভাবিক ভাবে বূদ্ধি!!!

    খ. আত্বকেন্দ্রিক ( ইস্টোভার্ট) অতি মাএায় চুপ চাপ এবং গভীর ভাবে চিন্তামগ্ন ও ধর্মীয় উপদেশ মূলক কতাবার্তা বলা ।

    গ. রুমের মধ্যে বেশীর ভাগ সময় একাকী থাকা ও কার্যক্রমকে গোপন রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকা !

    ঘ. ইন্টারনেটের প্রতি অতি মাএায় আসক্তি।

    ঙ. ফেইসবুকে ফেইক আইডি ব্যাবহার করে জঙ্গী সংগঠন গুলোর লোগো ব্যবহত ফ্রেন্ডলিস্টে এ্যাড করা এবং জিহাদ সংশ্লিষ্ঠ পোস্ট লাইক কমেন্ট করা ও নিজের জিহাদী মনোভাব ব্যাক্ত করা ।

    চ. গনতন্ত্র কে ইসলামের সাথে সাংঘষিক মনে করা । ইসলামি শাসন ব্যবস্থা , শরিয়া আইন এবং খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার জন্য অতি মাএায় আগ্রহ প্রকাশ।

    ছ. ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর প্রকূত নামে রেজিস্ট্রেশন না করা ।

    জ. হঠাৎ করে অতি মাএায় ধর্ম চর্চার প্রতি ঝোঁক এবং নিদিষ্ঠ কিছু ব্যাক্তির সাথে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করা ।



    ঝ. হঠাং করে দাড়ি রাখা এবং টাকনুর নীচে কাপড় পরিধান শুরু করা ।


    ঞ. সাংস্কূতিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, গায়ে হলুদ, জম্মদিন পালন , গান বাজনা সহ পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে নিজেতে গুটিয়ে রাখা এবং শিরক বিদআত বলে যুক্তি প্রদান করা ।

    ট. বাবা মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্বীয়স্বজনদের নিজের পরিবর্তিত মতাদর্শ বিশ্বাস করতে ও মানতে বাধ্য করা চেস্টা করা ।

    ঠ. সুনিদিষ্ঠ কিছু মসজিদ এবং ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার প্রবণতা

    ড. কুরআন হাদীসের অরিজিনাল কপি না পড়ে অনলাইনে প্রাপ্ত রেফারেন্স ও একই মতাদর্শী নিদিষ্ট কিছু ব্যাক্তির মতামত কে বেশী যোক্তিক মনে করা এবং কোন ইমাম জ্ঞানী / ব্যাক্তিদের পরামর্শ নেওয়া

    ঢ. জিহাদ সংক্রান্ত পড়াশোনা ( গাজওয়াতুল হিন্দ খোরাসান শাম সংক্রান্ত বিভিন্ন রেফারেন্স , ইমাম মাহদী ও দাজ্জালের আগমন ইত্যাদি ) ও মুসলিম দেশে চলমান মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে অতি মাএায় উদ্বিগ্ন থাকা ।

    ণ. দাওয়া / বিভিন্ন জিহাদী গোপন বৈঠকের ( হালাকা) আয়োজন করা এবং বিভিন্ন স্থানের নিদিষ্ট দিনে ও সময়ে পূর্ব নির্বাচিত স্থানে নিজেরাই পর্যাক্রমে আমির নির্বাচিত করে প্রপাগেটিভ বক্তা / শ্রোতা হওয়া ।

    ত. আনওয়ার আল আওলাকি, তামিম আল আদনানী , জসিম উদ্দীন রাহমানী , আসিম ওমর প্রভূতি জিহাদী মনোভাবাপন্ন ব্যাক্তির অডিও/ভিডিও/ লেকচার শোনা এবং জঙ্গী সংগঠন কর্তক প্রকাশিত বিভিন্ন ম্যাগাজিন ( দাবিক- আই-এস, ইন্সপায়ার একিউ ইত্যাদি), ইবুক পড়তে শুরু করা ।

    থ. মিলাদ , শবে বরাত, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া সহ প্রচলিত সামাজিক রাষ্ট্রীয় দিবস সমূহের ধর্মীয় দূষ্ঠিকোণ থেকে সমালোচনা করা

    দ. প্রচলিত মাযহাবকে ভূল প্রমাণের প্রবণতা এবং তথাকথিত আহলে হাদীস/ সালাফী/ ওযাহাবী মতাদর্শর প্রতি আস্তে আস্তে ঝুকেঁ পড়া ও নিজেকে লা-মাযহাবি বলে দাবি করা ।

    ধ. ধর্ম চর্চার পাশাপাশি শরীর চর্চা ও ক্যাম্পিং এর মতো বিষয়ে আগ্রহী হওয়া ।

    ২. রেডিক্যালাইজেশন নের ০৪ টি ধাপে নিম্নরূপে নিজেকে সম্পূক্ত করা:


    ক। ১ম ধাপ- pre Realization তাওহীদ, শিরক, বেদাত, ইমান , আকিদা , সালাত, ইসলামের মূলনীতি দাওয়া/ হালাকা ইত্যাদি সর্ম্পকে আলোচনা করা

    খ. ২য় ধাপ- conversation and identification with Radical Islam মাযহাব হতে লা- মাযহাব ইসলাম ও গনতন্ত্র সাংঘর্ষিক , সামাজিক অনুষ্ঠানাদী বর্জন , শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া , স্মূতিসৌধ , সরকার তাগুত/ কাফির/ বিচার ব্যবস্থা ইত্যাদি সর্ম্পকে । নেতিবাচক মনোভাব ।

    গ। ৩ য় ধাপ:- indoctrination and increased group Bonding : হিজরত । প্রশিক্ষণ গ্রহণ , জিহাদী অডিও/ ভিডিও দেখা , টার্গেট রেকি করার পদ্ধতি , গোপন যোগাযোগ ( এ্যাপস ব্যবহার)

    ঘ। ৪র্থ ধাপ –actual acts of terrorism or planned plots: টার্গেটেড কিলিং জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা ? অংশগ্রহণ অর্থ/ অস্ত্র গোলা বারুদ সংগ্রহ ব্যবহার ।

    আপনার পরিবারের বা আশেপাশে কারো মধ্যে এ্ লক্ষণসমূহ দেখা গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা নিন ।

    প্রচারে সম্প্রীতি বাংলাদেশ


    পরিশেষে কিছু কথা
    মুসলমানের দেশে আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাত কে নিয়ে বেয়াদবী করার স্পর্ধা দেখে অবাক হচ্ছি। এটা কোনভাবেই মানা যায়না। এই বেয়াদবীর চরম শাস্তি একদিন হবেই ইংশাআল্লাহ সারা বিশ্বের মুজাহিদিন জেগে উঠেছে তারা কোনো
    নিন্দুকের নিন্দায় পরোয়া করে না তারা মুসলিম বিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেই ইংশাআল্লাহ যে দেশে মুরতাদ হাসিনা বলে দূর্গা মা আসার কারনে ফসল বেশী হয় সেই দেশে ইসলাম কে নিয়ে হিন্দুরা এ ধরনের বক্তব্য দিতেই পারেই আসলে আহলে হাদীস জিহাদী বিদ্বেষী দল হয়েও জঙ্গী বলে আসলেই এই দেশে কোনো মুসলমান নিরাপদ নয় এই বিষয়ে শায়খ তামিম আদনানী ভাইয়ের একটা লেকচারের অপেক্ষাই থাকবো ইংশাআল্লাহ
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    ভাবতে অবাক লাগে তারপরও এখনো আমরা ঘুমিয়েই আছি!!! এখনও যদি না জাগি, তাহলে আর জাগব কবে???!!
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      Originally posted by তারেক-বিন-জিয়াদ View Post
      এটা মনে হয় আরও আগে থেকেই করা হয়েছে। তাগুতরা সমাজের ভাল ছেলেদের দেখে এবং যারা তাদের আনুগত্য করে এবং ধার্মিক এমন ছেলেদের নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক গোয়েন্দা টীম করেছে। আপনারা প্রত্যেকে নিজের এলাকায় এভাবে খুজ নিন। আর তাদের শনাক্ত করুন জেন বিপদ এড়িয়ে চলতে পারেন...।।
      মুজাহিদিন রা এখন আর ঘরে বসে থাকতে পারবে না হয় জিহাদ করে শহীদি মূত্যু অর্জন করতে হবে নয়তো ঘরে বনে ইমান রক্ষা করা যাবে না
      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

      Comment


      • #4
        ≣≣ অপরাধ করেই আর পালাতে পারবেন না দুর্বৃত্তরা৷
        ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই প্রযুক্তির সাহায্যে জেনে যাবে পুলিশ৷
        সংশ্লিষ্ট সুত্র এ তথ্য দিয়ে বলেছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধী ধরতে থানায় থানায় মোবাইল ট্র্যাকার বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷
        প্রাথমিক ভাবে মেট্রোপলিটন শহরে এই ট্র্যাকার বসানো হবে৷
        পর্যায়েক্রমে দেশের প্রতিটি থানায় ট্র্যাকার বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে৷
        পুলিশ কর্মকর্তরা বলেছেন, পুলিশ আন্তরিকতা সত্ত্বেও প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিক সময়ে না করার কারনে আসামি ধরা সম্ভব হয়না৷
        কারণ তারা ঘটনার পরপরই লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছে৷
        তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন ৷
        অপরাধীর সিডিআর পেতে অন্য বাহিনি বা নিজ বাহিনির কাছে ধরনা দিতে হচ্ছে ৷
        ফলে অপরাধীদের ধরতে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়৷
        জানা যায়, সন্দেহভাজন আসামি ও তার ঘনিষ্ঠদের মোবাইল ফোন শনাক্ত করার পর তা রেকর্ড করে গতিবিধি এবং কথোপকথোন রেকর্ড করা হয়৷
        তদন্তের এক পর্যায়ে সন্দেহ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হলে ওই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে ৷
        পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না এমন লোক খুজে পাওয়া কঠিন ৷
        আর মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধী শনাক্ত করা এখন কঠিন কাজ নয় ৷
        যে এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে সে এলাকায় মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমেই ঘটনার সময়ে থাকা মোবাইল ফোন গুলো চিহ্নিত করা হয়ে থাকে৷
        ঐ ফোন গুলোর ডিটেইল (সিডিআর) পেতে তিন থেকে সাত দিন সময় লেগে যাচ্ছে৷
        তবে অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন সন্দেহভাজন মোবাইল ফেনটি ব্যবহার বন্ধ থাকলে অপরাধীকে খুজে পেতে সময়ের প্রয়োজন হয়৷
        এ ক্ষেত্রে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নিকটাত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মেবাইল ফেনের উপর নজরদারি চলে ৷
        দীর্ঘদিন পরে হলেও সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিকটাত্মীয় কিংবা বন্ধুদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা মাত্রই তাকে শনাক্ত করা হয়৷
        এর পরেই চলে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির অবস্থান শনাক্তের কাজ৷
        ✧ এ ছাড়াও একটি অপরাধ সংগঠনের সময় ঘটনাস্থলের আশে পাশে যেসব ব্যক্তি থাকেন পার্শ্ববর্তী টাওয়ার থেকে তাদের মোবাইল ফোন নাম্বার গুলো সংগ্রহ করে ব্যক্তি গত পরিচয় সংগ্রহ ছাড়াও তাদের গতিবিধি মনিটরিং করা হয়৷
        এতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলেই আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে৷
        ডিএমবির কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গন বলেছেন, একটি ঘটনার পর আসামি অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলে৷
        তখন অবস্থান শনাক্ত করতে মোবাইল মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন৷
        থানায় মোবাইল ট্র্যাকার ডিভাইস না থাকায় আসামি বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির সিডিআরের জন্য আবেদন করতে হয় ৷
        সিডিআর পেতে তিন থেকে সাত দিন সময় লেগে যাচ্ছে৷
        যার কারনে আসামি তার অবস্থান দ্রুত পরিবর্তন করে ফেলে৷
        মোবাইল ট্র্যাকার থাকলে কাজে অনকে গতি আসবে৷
        কয়েকজন পুলিশ সুপার এসপি জানান, আমাদের জেলায় এখনো মোবাইল ট্র্যাকার নেই৷
        এমনকি রেঞ্জেও মোবাইল ট্র্যাকার নেই৷
        আসামির সিডিআর পেতে ঢাকা থেকে সহযোগিতা নিচ্ছি ৷
        মোবাইল ট্র্যাকার ডিভাইস অ্যাভেইলেবল হলে দ্রুত ভিকটিম উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে৷
        ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, থানায় থানায় মোবাইল ট্র্যাকার ডিভাইস হলে পুলিশের কাজে গতি আসবে ৷
        অপরাধও অনেক কমে আসবে৷
        অপরাধীরা পালাতে পারবে না৷
        ★এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার বলেছেন, প্রযুক্তি যখন অপরাধের জন্য ব্যবহার হয়, তখন প্রযুক্তি দিয়েই সেই অপরাধকে ধমন করতে হয়৷
        আমরা চিন্তা করছি, থানায় থানায় এমন ব্যবস্থা করা যায় কি না , যাতে মোবাইল ট্র্যাকিং করে অপরাধী শনাক্ত করা যেতে পারে ৷
        এজন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি৷৷৷৷


        আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের হেফাজত করুন আমিন
        ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

        Comment


        • #5
          বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম,

          আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু,

          সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি সারা জাহানের মালিক। এবং যিনি নির্যাতিত ও নিপীড়িত তাওহীদবাদীদের সাহায্যকারী আর জালেম ও নির্যাতনকারীদের শাস্তিদানকারী। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবীকূলের শিরোমনি, মুজাহিদীনদের নেতা এবং অনুকরণীয় আদর্শ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর, তাঁর পরিবারবর্গ, তাঁর সাহাবাগণের উপর। আর রহমত বষিত হোক কিয়ামাত পর্যন্ত আগত তাঁর সুন্নাহকে আকড়ে ধারণকারী ও অনুসারীগণের প্রতি।

          অতঃপর কথা হচ্ছে,

          আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁর কিতাবে বলেছেনঃ

          وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ ۚ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ اللَّهُ ۖ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ

          ‘‘এবং কাফিররা তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তোমাকে বন্দী করবার, হত্যা করবার অথবা নির্বাসিত করবার জন্য এবং তাহারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও কৌশল করেন, আর আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।’’ [সুরা আনফাল - ৩০]


          জিহাদের ময়দানে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণকে হিফাজত করাঃ


          বিগত দশ বছরে বহু মুজাহিদীদ ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছেন। আমরা যদি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নথিপত্র ঘেটে দেখি তাহলে দেখতে পারে যে, অনেক তুচ্ছ কারণেই অধিকাংশ ভাইয়েরা ধরা পরেছিল। অনেক ভাইয়ের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, যাদের যথেষ্ট আন্তরিকতা ইচ্ছা ও পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন না।

          প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে আমি লক্ষ্য করেছি যে, ভাইয়েরা শুধু কিভাবে শাহাদাহ পাওয়া যায় তা নিয়েই চিন্তা করছেন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, শাহাদাত লাভ করতে পারা সত্যিই একটি বিরাট অর্জন, কিন্তু এটাই মূল উদ্দেশ্য নয়। জিহাদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর কালেমাকে সবার উপরে তুলে ধরা। আমরা যদি তানজিম আল-কায়েদার দিকে তাকিয়ে দেখি তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই তাদের মধ্যে দেখতে পাবো; যা আল-কায়েদার নেতৃত্ব ও দক্ষতাকে প্রকাশ করে। অনেক ভাই যারা মুজাহিদীনদের কাফেলায় শরীক হয়েছিলেন এবং ফিদায়ী হামলার জন্য উদগ্রীব ছিলেন, অথচ তাদের মধ্য থেকে অনেককেই ফিদায়ী হামলা করার জন্য ‘ফিদায়ী আকাক্ষা কাউন্সিল’ অনুমোদন দেয় নি।

          গেরিলা যুদ্ধে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণদের নিরাপদ রাখা এবং তাদেরকে জিহাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবহার করা উচিত। আমরা যদি গেরিলা যুদ্ধের উপর বিভিন্ন কিতাব অধ্যায়ন করি, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখতে পাবো যা মুসলিমদের বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। গেরিলা যুদ্ধের প্রথম ধাপে একজন মুজাহিদকে নিরাপত্তার বিষয়ে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। প্রথম ধাপে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ নিয়ম হচ্ছে ‘‘বেঁচে থাকার জন্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা’’। প্রথম ধাপে দলের সদস্য সংখ্যা এবং সরঞ্জামাদী কম থাকে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, বিজয় অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই শত্রুর বিরুদ্ধে এই বিজয় পেতে হলে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে ।

          বর্তমান সময়ে এটি খুবই দূরূহ ব্যাপার যে, এমন একজন মুসলিমকে খুঁজে পাওয়া যিনি দ্বীনের জন্য কাজ করতে এবং জীবন দিতে প্রস্তুত আছেন। যদি এমন কোন মুসলিম পাওয়া যায়, যার মধ্যে এই দু‘টি গুণাবলীর সমন্বয় রয়েছে, তাহলে নেতৃত্ব স্থানে যারা রয়েছেন তাদের উচিত হবে; তাকে সুরক্ষেত রাখার সর্বাত্তক চেষ্টা করা। এই দলটির প্রণোদন এমন যা কখনোই টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। এটি আসমান ও যমীনের মালিকের পক্ষ হতে এই উম্মাহর জন্য একটি বিশেষ উপহার। এ বিষয়টি আরো পরিস্কার করার জন্য আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছি, ধরা যাক, আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। আপনি দেখতে পেলেন যে দূরে কিছু একটা ভাসছে কিন্তু আপনি জানেন না সেটা কি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আপনি বুঝতে পারলেন যে একটি বাচ্চা ডুবে যাচ্ছে। এবং পরবর্তী কয়েক সেকেন্ড এই পুরো ঘটনার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মুহুর্ত। একটি দল থেকে একজনের ত্বরিৎকর্মই এর ব্যবধান তৈরি করে দিতে পারে। দলটির প্রধান সবার কাজের বন্টন করে দিবেন। তিনি একজনকে এ্যাম্বুলেন্স আনতে পাঠাবেন আর সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিকেই পাঠাবেন উদ্ধার অভিযানে। এই উদাহরণ থেকে যেটা বুঝা যায় তাহল দলনায়ক ছাড়া শিশুটি ডুবে যেতে পারতো। আবার কাজের বন্টনের দিকে বলতে গেলে, কি হতো যদি দলনায়ক অযোগ্য কাউকে উদ্ধারের কাজে পাঠাতো? তখন হয়তোবা দলনায়ককে দুটো মৃতদেহের সম্মুখীন হতে হতো।

          ‘‘প্রকৃত বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন তিনিই যিনি কোন্ বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে আর কোন্ বিষয়কে উপেক্ষা করতে হবে তা জানার দরুন সিদ্ধামত্ম নেওয়া এবং বিচার করা সহজ করে নিয়েছেন।’’ [উদ্ধৃতকরন]


          নিরাপত্তার ভিত্তিঃ

          একজন মুজাহিদ কিংবা জিহাদী দলের জন্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া একটি দল শোচনীয়ভাবে পরাস্ত এবং শত্রুদের সহজ লক্ষ্যবস্ত্ততে পরিণত হতে পারে। প্রত্যেক জিহাদী দলেরই একটা নিরাপত্তা বিষয়ক রূপরেখা থাকা উচিত। আমি শুধুমাত্র সেই ধরনের লিখিত পরিকল্পনার কথা বলছি না, যা কেবলমাত্র লিখিত অবস্থাতে থাকবে। আমি এমন একটি পরিকল্পনার কথা বলছি যা দলের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। নিরাপত্তা এমন কোন বিষয় না যে আপনি কোন পুস্তক অথবা সারগল্পে পাবেন। নিরাপত্তা এমন একটি বিষয় যা আপনাকে শত্রুর বিরুদ্ধাচরণ করে প্রস্তুত করতে হবে। নিরাপত্তা ও সমরকৌশল সম্পর্কে জ্ঞান রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বাস্তবায়ন না করাটা নির্বুদ্ধিতা। এটাকে আমরা একজন আলিমের সাথে তুলনা করতে পারি যে কিনা দ্বীন ইসলামের ব্যাপারে পন্ডিত কিন্তু আল্লাহর জন্য এক রাকাত সলাতও আদায় করে না।


          مَثَلُ الَّذِينَ حُمِّلُوا التَّوْرَاةَ ثُمَّ لَمْ يَحْمِلُوهَا كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا ۚ بِئْسَ مَثَلُ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِ اللَّهِ ۚ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ [٦٢:٥]


          ‘‘যাদেরকে তাওরাতের দায়িত্বভার অর্পন করা হয়েছিলো, কিন্তু তাহারা তা বহন করে নাই, তাহাদের দৃষ্টান্ত পুস্তক বহনকারী গাধার ন্যায়। কত নিকৃষ্ট সে সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত যাহারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে থাকে! আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না’’। [সুরা জুমু’আ - ০৫]

          প্রতিটি জিহাদী অভিযানেরই একটি নিরাপত্তার শক্ত ভিত থাকা উচিত। কি হবে দুর্বল ভিত্তির উপর তৈরিকৃত বিশাল বাড়ীর? বাড়িটি ধ্বসে পড়বে এবং চাপে মানুষ পিষে ফেলবে। একই পরিণতি হবে একটা জিহাদী দলের অথবা একাকী এক মুজাহিদের যে কিনা একটি বড় অভিযানের পরিকল্পনা করলো একটি দুর্বল নিরাপত্তার ভিত্তির উপর।

          নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাস্তবায়নঃ

          একটি সংগঠনের মধ্যে সদস্যের পদমর্যাদা যত বেশী গুরুত্বপূর্ণ, তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তত বেশী মজবুত হওয়া প্রয়োজন।

          একজন সদস্যের পদমর্যাদা যত বেশী তার জন্য সংগঠনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তত বেশী নিতে হবে। একজন কমান্ডারের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর একজন সাধারণ যোদ্ধার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কখনোই এক হবে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যেককে নিরাপদ এবং তাদের তথ্য সংরক্ষেত রাখবে।

          يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا خُذُوا حِذْرَكُمْ فَانفِرُوا ثُبَاتٍ أَوِ انفِرُوا جَمِيعًا
          ‘‘হে মুমিনগন! সতর্কতা অবলম্বন করো ...।’’ [সুরা নিসা - ৭১]

          নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রত্যেকের নিজস্ব পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে হবে। যাকে শত্রুতা চিনে তার জন্য যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে; ঠিক একই ব্যবস্থা ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য হবে না যাকে শত্রুরা এখনো চিনতে পারে নি। উদাহরণস্বরূপ, আল-সাবাব আল-মুজাহিদীনদের মুখপাত্রকে শত্রুরা ঠিক যেভাবে চিনে, ঠিক একই ভাবে তাদের নেতাকে তারা চিনে না। মিডিয়ার মধ্যে মুখপাত্রের শতাধিক ছবি আছে কিন্তু নেতাদের একটিও নেই। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, বিশ্বের কাছে মুখপাত্রের প্রকাশ পাওয়ার অনুমতি আছে কিন্তু নেতার জন্য সেই অনুমতি নেই। আবু মু’সাব (মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি দয়া করুন) এর শাহাদাতের পর অনেক মুজাহিদ দলই এই নতুন রণকৌশল অবলম্বন করেছে।


          নিরাপত্তার সচেতনতা ও অনুপ্রবেশঃ

          একজন মুজাহিদের নিরাপত্তার প্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যার সাথে সে কাজ করছে তাকে জানা। আপনি যদি না জানেন কার সাথে কাজ করছেন তাহলে সেটা ঝুকির মধ্যে ফেলতে পারে। আপনি হয়তো সেক্ষেত্রে নিজেকে এবং আপনার দলকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গুপ্তচরের কাছে প্রকাশ করে দিতে পারেন। যদি দলের ভিতরে গোয়েন্দা সংস্থার অনুপ্রবেশ ঘটে সেক্ষেত্রে দল ভেঙ্গে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

          আমরা গেরিলা যুদ্ধের কিতাবগুলোতে দেখতে পাই যে, যেকোন সেনাবাহিনী অথবা প্রতিরোধ বাহিনীর জন্য অতর্কিত হামলা হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকর উপায় উপায়। যদি শত্রুরা একটি সেনাবাহিনী কিংবা একটি দলে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয় তাহলে তা প্রত্যেকের প্রতি একটি বিরাট প্রভাব বিস্তার করবে। প্রত্যেকে তখন একে অন্যের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবে এবং দলের প্রধান উদ্দেশ্যই ভুলে যাবে। যখন দলটি অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজতে ব্যস্ত থাকবে, তখন শত্রুরা আরেকটি অতর্কিত হামলার প্রস্তুতি নিবে যা কিনা দলের সৈনিকদের অন্তরে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। আমরা যদি নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হামলার প্রতিবেদন পড়ি তাহলে দেখবো যে আমেরিকার প্রশাসন হামলার ব্যাপারে মারাত্মক বিস্মিত হয়েছিলো। এই হামলাগুলোর পর মার্কিনীরা অন্যান্য শহরেও হামলার আশঙ্কা করেছিলো। যেদিন হামলা হয় সেদিন থেকে হামলা পরবর্তী দিনগুলোতে আমেরিকার শিরা-উপশিরায় যে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করেছিলো তা ছিলো আরও প্রবল। আল-কায়েদা আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করে আল্লাহর অনুমতিতে তাদেরই প্রযুক্তির দ্বারা হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছিলো।

          যদি মুজাহিদীনদের মাঝে নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতনতা থাকে তাহলে সেটা তাদেরকে শত্রুর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে অগ্রসর হতে প্রেরণা যোগাবে। তবে যদি দলটি প্রতিনিয়ত শত্রুর দ্বারা নিশ্চিহ্ন হতে থাকে তাহলে তা মুজাহিদীনদের মনোবল ভেঙ্গে দিবে এবং তাদের মাঝে আতঙ্ক এবং নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করবে।

          রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী থেকে নিরাপত্তার উদাহরণঃ


          আমরা যদি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর জীবনী অন্বেষণ করি তাহলে আমরা নিরাপত্তা বিষয়ক অনেক উদাহরণ দেখতে পাবো। আমরা যদি মদীনায় হিজরাতের প্রাথমিক পর্যায়টি গবেষনা করি তাহলে দেখতে পাবো যে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিরাপত্তার ব্যাপারে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নিরাপত্তা পরিকল্পনার সূচনাবিন্দু তৈরি হয়েছিলো আবু বকরের বাসায়। প্রথম পদক্ষেপ ছিলো আলী রাদিআল্লাহু আনহু কে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিছানায় শুতে বলা। নবী ঘুমিয়ে আছেন কিনা এটা নিশ্চিত হবার জন্য মুশরিকরা দরজায় ফুটো দিয়ে ভেতরে উঁকি দিতো। দ্বিতীয় পদক্ষেপ ছিলো তিন দিন লুকিয়ে থাকার জন্য একটি জায়গা নির্দিষ্ট করা। অনেকেই তাঁর জীবনীর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো লক্ষ্য করে না। কেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছুওর পর্বতে লুকিয়ে থাকার জন্য একটি গুহাকে নির্বাচন করেছিলেন? রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সময় ছুওর পর্বতে হেঁটে গিয়েছিলেন যখন রাখালরা তাঁর আশেপাশে হাঁটতো। এটা তিনি করেছিলেন যাতে তাঁর এবং আবু বকরের পদচিহ্ন বকরী ও উটের পায়ের চাপে আড়াল হয়ে যায়। এগুলো হচ্ছে শতাধিক উদাহরণের মধ্যে মাত্র দুটো উদাহরণ যা আমরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনীর মধ্যে পাই।

          নিরাপত্তার উন্নয়নঃ

          মুজাহিদীন এবং ক্রুসেডার বাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধ হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধ। বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধের প্রথম বিধান হচ্ছে কে আগে কাকে খুঁজে পাবে। আমরা যদি আফগানিস্তান/ পাকস্তানে আমেরিকা ও আল-কায়েদার মধ্যকার যুদ্ধের দিকে তাকাই তাহলে আমরা গুপ্তচর ও মনুষ্যবিহীন ড্রোন এবং অদৃশ্য এক বাহিনীর মধ্যকার এক যুদ্ধ দেখতে পাবো যা কিনা শুধুমাত্র তাদের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে জানা যায়। আমেরিকানরা এমন কোন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে না যারা সামরিক পোষাক পরে অথবা যাদের কোন সামরিক ঘাঁটি আছে। তারা লড়াই করছে এমন মানুষদের বিরুদ্ধে যারা কিনা শত্রুর আশেপাশে থাকে। কেউ কেউ শুধু আশে পাশেই থাকে না বরং শত্রুদের মাঝেই তাদের সামরিক ঘাঁটিতে থাকে। এই বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধের সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে খোস্ত প্রদেশের একটি অভিযান যাতে cia এর সাত অফিসার নিহত হয়েছিলো। এই অভিযানটি ছিলো আল-কায়েদার সেনাদের দ্বারা সম্পাদিত সবচেয়ে কঠিন অভিযানগুলোর একটি।

          আমরা যদি উচ্চ স্তরে অভিযান পরিচালিত করতে চাই তাহলে আমাদেরকে শত্রুরা কি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের নেতা, সাধারণ যোদ্ধা এবং সমর্থকদের ক্ষতি সাধন করে তা জানতে হবে। আপনার বিরুদ্ধে শত্রুরা কি ব্যবহার করছে তা না জেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করা অসম্ভব। আমরা দশ বছর আগে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম তা এখনকার জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। উদাহরনস্বরূপ, দশ বছর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম অন্যের সাথে যোগাযোগের জন্য। এখন যদি আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তাহলে সেটা মুজাহিদীনদের ক্ষতি করবে এবং ধ্বংসের কারণ হবে। সেই কারণে, আমরা অন্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি শত্রুকে ধোঁকা দেয়ার জন্য। মাঝে মাঝে ব্যয়বহুল জিনিসের বিপরীতে সহজ জিনিস ব্যবহার করা উত্তম।

          ‘‘তোমার শত্রু কিসে ভীত হবে তা তুমি বুঝতে পারবে সে কি দ্বারা তোমাকে ভীত সন্ত্রস্ত করতে চায় তা লক্ষ্য করে।’’ [উদ্ধৃতকরন]
          নিরাপত্তার গুরুত্বের ব্যাপারে এটিই আমার বলার ছিলো। যদি আমি কিছু সময় পাই, তাহলে দ্বিতীয় পর্ব লিখবো ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ বলেছেন,

          ‘‘এবং আল্লাহ তাঁর কার্য সম্পাদনে অপ্রতিহত; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।’’ [সুরা ইউসুফ - ২১]


          হে আল্লাহ! শত্রুদের উপর মুজাহিদীনদের বিজয় দান করুন .....

          তাদেরকে তাদের নিজেদের উপর ছেড়ে দিবেন না, তাদের প্রতি দয়ালু হোন এবং তাদের পক্ষে থাকুন, তাদের বিরুদ্ধে নয় ....

          হে আল্লাহ! তাদেরকে ঈমানদারদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করুন যারা আপনাকে স্মরণ করে এবং ভয় করে এবং সত্যিকার অর্থে আপনার উপর ভরসা করে ...

          হে আল্লাহ! তাদেরকে অনুতপ্ত বান্দাদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করুন যারা আপনাকে ভয় করে ও মেনে চলে ....

          হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে তাদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করুন যারা আপনার সামনে বিজয়ী, যারা আপনার বিজয়ের উপযুক্ত ....

          হে আল্লাহ! আপনি তাদের কাছে আপনার বিজয় প্রকাশ করুন,

          ইয়া রাববুল আলামীন! .... তাদের কাছে আপনার বিজয় প্রকাশ করুন এবং তাদেরকে দৃঢ় রাখুন এবং শত্রুর পায়ের নিচের মাটি কাপিয়ে দিন, হে বিজয় দানকারী, ও সাহায্যকারী!

          দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাথীদের উপর একসাথে।
          ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

          Comment


          • #6
            স্লিপার সেলগুলোতে গোয়েন্দাদের
            অনুপ্রবেশ ও প্রতিরোধের উপায়!
            https://dawahilallah.com/showthread....2495;&%232468;
            ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

            Comment


            • #7

              ১৫ জন বক্তার
              ধর্মবিদ্বেষ, নারী বিদ্বেষ, জঙ্গিবাদ, গণতন্ত্রবিরোধী
              স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে


              ওয়াজ-মাহফিলের বক্তাদের বয়ানে বিভিন্ন বিষয় আমলে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (ইফাবা), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারি কয়েকটি দফতরকে প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
              সূত্রে জানা গেছে, এই মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে মাহফিলের ১৫ জন বক্তার নাম উল্লেখ করে জানানো হয়েছে— ‘এই বক্তারা সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মবিদ্বেষ, নারী বিদ্বেষ, জঙ্গিবাদ, গণতন্ত্রবিরোধী ও দেশীয় সংস্কৃতিবিরোধী বয়ান দেন বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রেডিক্যালাইজড হয়ে উগ্রবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে।’
              প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ করে শীত মৌসুমে আলেম-ওলামাদের ইসলামি বক্তব্য শোনানোর জন্য ওয়াজ মাহফিল হয়ে থাকে। এসব আয়োজন ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার হয়।’

              মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটিতে ১৫ জন বক্তার নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন

              ১. আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি),

              ২. মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনভী (মুহতামিম, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া, মোহাম্মদপুর),

              ৩. আল্লামা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস),

              ৪. মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট)

              ৫. মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন),

              ৬. মুজাফফর বিন বিন মুহসিন,

              ৭. মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট)

              ৮. মতিউর রহমান মাদানী,

              ৯. মাওলানা আমীর হামজা,

              ১০. মাওলানা সিফাত হাসান,

              ১১. দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ,

              ১২. হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল,

              ১৩. মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ। সহ মোট ১৫ জন আলেম এর নাম উল্লেখ রয়েছে

              প্রতিবেদনে বক্তাদের বিভিন্ন সময় মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও লিংক রয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসূফের বিষয়ে এতে জানানো হয়— ইউটিউবে ইসলামী বাণী চ্যানেলে প্রচারিত এক বয়ানে তিনি বলেছেন, ‘মূর্তির আস্তানায় যাওয়া হারাম। আমরা মুসলিম, মূর্তি ভাঙতে জন্ম নিয়েছি, মূর্তি গড়তে জন্ম নিইনি। মনে রেখো, আমি সেই জাতি, যে জাতির রক্তের সঙ্গে মিশে আছে মূর্তি ভাঙার নীতি।’ এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করলে আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।



              রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান সম্পর্কে জানানো হয়— এক বয়ানে তিনি জিহাদ সম্পর্কে বলেছেন, ‘জিহাদকে বলি দেওয়ার কারণে আজ মুসলমানদের এই অবস্থা আল্লাহ বলেছে। এই ফেতনা থেকে দূর হওয়ার একমাত্র রাস্তা যেখানে পাবি, সেখানে শয়তানদের কূপা। এদের কোপাতে হবে। আল্লাহ রাসূলকে গালি দিবি, তোরে কোপামু, ইসলামের বিরুদ্ধে আইন করবি, তোর কপালে কোপ আছে। গণতন্ত্র ইসলামে নেই।’


              ই বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রবিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি তো ওয়াজ তেমন করি না। এমন কোনও বক্তব্য আমি দিইনি। কেন এমন বলা হলো বলতে পারবো না।’

              স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় তিন নম্বরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নাম রয়েছে। কওমি মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাইতে না দেওয়াসহ চারটি বিষয়ের ওপর তার মন্তব্য যুক্ত রয়েছে প্রতিবেদনে।

              জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার হাদিসের শিক্ষক মাওলানা মামুনুল হক জাতীয় সংগীত বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন এভাবে, ‘দেশের একজন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। তবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে সেটি ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশি মুসলিম জাতিসত্তাবিরোধী একটি সাম্প্রদায়িক কবিতা।’

              বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন এই শিক্ষকের কথায়, ‘ঢাকার ওপর কলকাতার দাদাবাবুদের আধিপত্য খর্ব হতে দেখে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতা রচনা করেছিলেন। ইসলামি চেতনার শিক্ষাগার কওমি মাদ্রাসাগুলো কখনোই রবীন্দ্রনাথের চেতনাকে মেনে নিতে পারে না।’

              স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে ইসলামী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইনের নাম রয়েছে। তার দেওয়া ‘মিয়ানমারের বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুসলমানদের ওপর জিহাদ ফরজ’ শীর্ষক বক্তব্য সংযুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া কাদিয়ানী প্রসঙ্গেও তার বয়ানের লিংক দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।



              প্রতিবেদনে উল্লিখিত বক্তাদের আরও কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

              এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের পরিচালক নূর মোহাম্মদ আলম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরাইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষকদের সঙ্গে কথা বলছি। এ ব্যাপারে কী করা যায়, বক্তাদের ডাকবো নাকি তাদের চিঠি দেবো; এসব বিষয় সভায় ঠিক হবে। এরপর আমরা পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো।’
              ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

              Comment


              • #8
                আমি সরল মানুষ। দুঃখের সঙ্গে একটা কথা এখানে বলতে চাই।
                জঙ্গীদের যে কয়টা নিশানা চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে কেবল এক-দুটি নিয়ে এতো আলোচনা আর প্রতিবাদ কেন? অন্য যেগুলো আছে সেগুলো কি খুবই খারাপ কাজ?!
                এর আগে আরেকটা কথা আছে। সেটা হলো মালাউনটার কথা কি আসলে মিথ্যা?? আমাদেরকে জঙ্গী বললে এতো ভয় পাই কেন? ওদেরকে কি বুঝিয়ে দেয়ার সময় এখনো আসেনি যে জঙ্গিবাদ আর জিহাদ প্রায় সমার্থক??

                Comment


                • #9
                  কালো পতাকা ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    মাশা'আল্লাহ!
                    তবে বানানগুলো দেখে একটু এডিট করে নিলে ভাল হয়। আর "সম্প্রীতি বাংলাদেশ" নামক সংগঠনটি যখন এই "দাড়ি রাখা ও টাখনুর উপর প্যান্ট পড়া" বিষয়ে বাজে মন্তব্য করছিলো,তখন পীযুষ বন্দপদ্ধায় এর বাপ পাশেই "ফরীদুদ্দীন মাসউদ" নামক আলেমে সু' বসা ছিলো। কিন্তু তখন তার মুখ দিয়ে কিছু বের হয়নি।
                    বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                    কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                    Comment


                    • #11
                      আমি সবগুলো লেখা পড়লাম। এর দ্বারা দু’টি বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হল: ১. আমাদের ভাইদের নিরাপত্তার বিষয়ে অনেক গুরুত্ব দিতে হবে। সাংগঠিনকভাবেও, ব্যক্তিগতভাবেও। অনেক সময় কেউ নিজের মধ্যে নিরাপত্তার ত্রুটি দেখেও কী করবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সেক্ষেত্রে যদি মাসুল ভাইদের সাথে বিষয়গুলো শেয়ার করা হয়, তাহলে হয়ত তারা সুপরামর্শ দিবেন। আর বিষয়টা একবার খোজ খবর নিয়েই শেষ করা যাবে না। বরং কিছু দিন পর পরই মাসুল ভাইদের পক্ষ থেকে মামুরদের নিরাপত্তার খোজ খবর নিতে হবে।

                      ২. আলেমদেরকে সচেতন করে তোলার ব্যাপারে আমাদেরকে সর্বোচ্চ যোগ্যতা প্রকাশ করতে হবে। আমাদের ব্যাপারে তাদের ভুল ভাঙ্গাতে এবং বাস্তব ধারণা পোষণ করাতে নানা ফলদায়ক ও কৌশলী পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের অনেকে এখনো মনে করছে, আমরা ইহুদী-খৃষ্টানদের দালাল। মুসলমানদের বদনাম করার জন্য বিজতির পক্ষ থেকে কাজ করছি। এমনকি মাঝে মাঝে পেপারে এমন সংবাদ প্রকশ করে যে, এতজন জঙ্গী ধরা পড়েছে, যারা ইসলামের নামে কাজ করে, অথচ তারা ভারতের পক্ষ থেকে পরিচালিত। মাত্র দুই-তিন দিন আগে এমন একটি সংবাদ দেখেছি। এর দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য হল আলেমদের মনে এই বিষয়টা বদ্ধমূল করা যে, আসলেই জঙ্গীরা ইহুদী, খৃষ্টান বা ভারতের এজেন্ট।

                      আমি দেখেছি যে, আলেমরা জঙ্গীদের সম্পর্কে জানেই না। তারা বাহ্যিকভাবে দেখে যে, এই ছেলেগুলোর দাড়ি নেই, তারা প্যান্ট-শার্ট পরছে, এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। তাই তারা ইসলামের জন্য কাজ করতে পারে না।

                      তাই আলেমদেরকে জানানোর মত অনেক অডিও-ভিডিও বয়ান বের করতে হবে। আমাদের সম্পর্কে সকল সংশয়গুলো দূর করার চেষ্টা করতে হবে। মার্জিত সুন্দর বয়ান হলে সেগুলো আলেমদেরকে শোনানোও যাবে ইংশাআল্লাহ।

                      আমাদের ব্যাপারে আলেমদের সংশয়গুলো দুই রকম: এক. হয়ত এরা ইহুদী-খৃষ্টানদের এজেন্ট। দুই. অথবা এরা ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসী, বিকৃত মস্তিস্কের অধিকারী, লা মাযহাবী। এরা মাইজভাণ্ডারী, আটরশির মত, যারা নামায রোযা কর না, কিন্তু নবীর এশকে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে নাচানাচি করে অথবা এরা শিয়াদের মত, যারা আসলে নবীপ্রেমিক বা ইসলাম প্রেমিক না, কিন্তু প্রকাশ্যে পাগলামী করে, হায় হুসাইন! হায় হুসাইন বলে নিজের শরীর কেটে রক্তাক্ত করে।
                      এই ধারণা পোষনের কারণ, তারা প্রকশ্যে দেখে যে, জঙ্গীদের মুখে দাড়ি নেই, প্যান্ট-শার্ট পরে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এরা মনে করে, হয়ত এরা নামাযও পড়ে না। দ্বীন-ধর্মও তেমন জানে না।

                      অনেকেই দেখেছি যে, প্যান্ট-শার্ট পরা ও দাড়ি না রাখা দিয়ে দলিল দেয় যে, এরা কোন খাটি ইসলামিক দল নয়। এরা ইসলামের জন্য কাজ করে....- এটা হতেই পারে না। যে দাড়ি ই রাখে না, সে আবার কিসের ইসলামিক কাজ করবে?! আমি এমন অনেককে দেখেছি।

                      তাই আমাদের আদর্শগত সবগুলো বাস্তব অবস্থা আলেমদেরকে জানাতে হবে। আমাদের ব্যাপারে তাদের ভুল ভাঙ্গাতে হবে। সংশয়গুলো দূর করতে হবে। যেন যে বাচার, সে প্রমাণসহ বাচে। আর যে ধ্বংস হওয়ার, সে প্রমাণ সহই ধ্বংস হয়।

                      আমরা তো শুধু আমাদের প্রচেষ্টা করব, বাকি ফলাফল আল্লাহর হাতে। এগুলো আমার ক্ষুদ্র চিন্তা থেকে উৎসারিত কিছু পরামর্শ। এর সঠিক বিষয়গুলো আল্লাহর তাওফিকে হয়েছে। আর ভুলগুলো আমার কমতির কারণে।
                      ওয়ামা তাওফিকী ইল্লা বিল্লাহ।

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রত্যেক ভাইকে হিফাজত করুন তাগুতের হাত থেকে
                        আর এ সকল নাস্তিক মুরতাদদের শেষ পরিনাম রাজিব এর চাপাতিই হবে ইনশাআল্লাহ
                        জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
                        পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

                        Comment


                        • #13
                          এদের লম্ফ-জম্ফ দেখে আমাদের 'জাগ্রত কবি' সাহেবের একখানা পংতি মনেপড়ে গেলো, মনে হচ্ছে যেন এদের উদ্দেশ্যেই এটা রচিত হয়েছিল। (ঈষৎ পরিবর্তিত)

                          "জঙ্গিদের ভয়ে কাঁপে থরথর ইউরোপ-অ্যামেরিকা
                          তোমরা তো বাছা ছিঁচকে ইদুর, টিকটিকি, চামচিকা।"

                          Comment


                          • #14
                            Malaun ra cokranto Kore jacche amader allahor sahajjo NEA agie jete hobe nirapotta obolombpn kore

                            Comment

                            Working...
                            X