Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি সংশয় এর সমাধান প্রয়োজন।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি সংশয় এর সমাধান প্রয়োজন।

    السلام علیکم ورحمت الله وبرکاته
    আশাকরি সকলেই ভাল আছেন।
    আখিরা! বহুদিন ধরে সামান্য একটি সংশয়ে ভুগছি,
    আশাকরি ভাইরা আমাকে উদ্ধার করবেন।
    আর তা হল এই আয়াত।
    جاهدالکفار والمنافقین واغلظ علیهم*********و*******
    আলিম ভাইদের কাছে আমার প্রশ্ন হলো,
    (১)হুজুর (স) কেন মুনাফিকদের সাথে যুদ্ধ করলেননা?
    (২)তাহলে এই আয়াতের উপর আমল কিভাবে করলেন?
    ভাইদের কাছে প্রশ্নগত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
    আশা করি দলিল ভিত্তিক উত্তর পাব।انشاءالله
    -------------------------------------------------------------------------------
    আল্লাহ ভাইদের ইলমে বরকত দিক!
    (আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন!)
    فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
    کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

  • #2
    আশা করি আলিম ভাইরা উত্তর দিয়ে খুশি করবেন।
    আল্লাহ ভাইদের শহিদি তামান্না কবুল করুণ।
    আমিন!!!
    فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
    کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন,আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভাল প্রশ্ন।
        এবিষয় তাফসিরের কিতাব দেখা যেতে পারে।
        তবুও ভাইরা উত্তর দিবেন ইনসা আল্লাহ।।।
        আসুক না যত বাধাঁ যত ঝর সাইক্লোন কিতালের পথে মোরা চলবোই

        Comment


        • #5
          Originally posted by lahul hukmu View Post
          السلام علیکم ورحمت الله وبرکاته
          আশাকরি সকলেই ভাল আছেন।
          আখিরা! বহুদিন ধরে সামান্য একটি সংশয়ে ভুগছি,
          আশাকরি ভাইরা আমাকে উদ্ধার করবেন।
          আর তা হল এই আয়াত।
          جاهدالکفار والمنافقین واغلظ علیهم*********و*******
          আলিম ভাইদের কাছে আমার প্রশ্ন হলো,
          (১)হুজুর (স) কেন মুনাফিকদের সাথে যুদ্ধ করলেননা?
          (২)তাহলে এই আয়াতের উপর আমল কিভাবে করলেন?
          ভাইদের কাছে প্রশ্নগত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
          আশা করি দলিল ভিত্তিক উত্তর পাব।انشاءالله
          -------------------------------------------------------------------------------
          আল্লাহ ভাইদের ইলমে বরকত দিক!
          (আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন!)
          উত্তর:

          ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ...


          মুহতারাম ভাই! প্রথমত পরামর্শ হল: কোন আয়াতের ব্যাপারে কোন সংশয়ে পড়লে বা জানার দরকার পড়লে স্বাভাবিক হাতের কাছে নির্ভরযোগ্য যে তরজমা-তাফসির পাওয়া যায়, সেগুলো দেখে নেয়া। এতে অনেক বিষয় আপনা আপনিই বুঝে এসে যাবে। এরপরও কোন সংশয় থাকলে বা অতিরিক্ত কিছু জানার দরকার পড়লে আলেম ভাইদের শরণাপন্ন হওয়া।


          যাহোক, এবার আয়াত প্রসঙ্গে আসি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করেন, তখন থেকেই মুশরিকদের থেকে নানামুখী কষ্ট-ক্লেশের সম্মুখীন হন। মক্কায় এ কষ্টের মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি। তখন আল্লাহ তাআলার আদেশ ছিল সবর করা।


          মদীনায় হিজরতের পর মক্কার মুশরিকদের থেকে আর সেই কষ্টের শিকার হতে হয়নি। তবে মদীনার আশপাশের ইয়াহুদ ও মুনাফিকরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিভিন্ন কথায় কাজে কষ্ট দিত। তখনও আল্লাহ তাআলার আদেশ ছিল সবর করে যাওয়া। যেমন আল্লাহ তাআলা তার রাসূলকে আদেশ দিয়ে বলেন,

          وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ وَدَعْ أَذَاهُمْ وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا
          ‘(হে নবী) আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের পক্ষ থেকে যে কষ্ট-ক্লেশ আপনাকে দেয়া হয়, তা অগ্রাহ্য করুন এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখুন। কর্মবিধায়করূপে আল্লাহই যথেষ্ট।’ – সূরা আহযাব: ৪৮


          বদর যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই বিধান ছিল। তখন কাফের, মুশরিক ও মুনাফিকরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রকাশ্যে কষ্ট দিলেও সবর করতেন।


          বদর যুদ্ধের মাধ্যমে যখন আল্লাহ তাআলা ইসলামকে সম্মানীত ও শক্তিশালী করলেন, তখন আদেশ ছিল: যারা সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরোধীতায় অবতীর্ণ হবে, তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে ও তাদের হত্যা করতে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহুদি সর্দার কা’ব বিন আশরাফসহ আরো কয়েক কাফেরকে হত্যা করেন। যেহেতু প্রকাশ্য দুশমনদের হত্যার বিধান ছিল, তাই মুনাফিকরা প্রকাশ্যে আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কষ্ট দিতে সাহস পেতো না। তবে গোপনে গোপনে তাদের নিজেদের খাস মজলিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপারে সমালোচনা করতো। আল্লাহ তাআলা ওহী মারফত তার রাসূলকে তা অবগত করতেন। তাছাড়া হঠাৎ কখনো কোনো কোনো সাহাবিও মুনাফিকদের খাস মজলিসের গোপন কথা-বার্তা শুনে ফেলতেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবগত করতেন। পরে জিজ্ঞেস করা হলে মুনাফিকরা অস্বীকার করতো। তখনও দ্বীনি স্বার্থের বিবেচনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুনাফিকদের কোন শাস্তি দিতেন না। সবর করে যেতেন। যেমন এক হাদিসে এসেছে, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এক মুনাফিককে হত্যার অনুমতি চেয়েছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ভেবে অনুমতি দেননি যে, মুনাফিকদের হত্যা করলে মদীনার বাহিরের লোকজন ইসলামের ব্যাপারে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়বে। তারা মনে করবে, মুহাম্মাদের কাছে তার নিজের সাহাবিরাও নিরাপদ নয়। সে তার সাহাবিদের হত্যা করে ফেলে। তারা ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবে। ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী হবে না। তারা তো আর মুনাফিকদের অবস্থা জানতো না। মুনাফিকরা বাহ্যত তো মুসলমানই ছিল। কুফর ছিল ভিতরে ভিতরে। এদেরকে হত্যা করে ফেললে লোকজন হাকিকত না জেনে মনে করবে, মুহাম্মাদ তার সাথীদের হত্যা করে ফেলে। এ ধরণের মাসলাহাতের স্বার্থে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুনাফিকদের কষ্টগুলো সহ্য করতেন। শাস্তি দিতেন না। কিন্তু যখন মক্কা বিজয় হল, ইসলামের পূর্ণ শক্তি ও সম্মান অর্জন হল। ইসলামের বিধি বিধানও ছড়িয়ে পড়লো। আল্লাহ তাআলা সূরা বারাআর মাধ্যমে মুনাফিকদের অবস্থা একের পর এক তুলে ধরতে লাগলেন। তখন সবরের সে মারহাল রহিত হয়ে গেল। কাফের ও মুনাফিকদের প্রতি কঠোরতার আদেশ দেয়া হল। নাযিল হল,

          يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
          “হে নবী! আপনি কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের উপর কঠোরতা আরোপ করুন। আর (আখেরাতে) তাদের ঠিকানা হবে জাহন্নাম। আর তা কতোই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল।”- তাওবা ৭৩


          কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ তো সুস্পষ্টই। আর মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ হবে যখন তাদের নিফাক ও কুফর প্রকাশ হয়ে পড়বে। তখন তাদের হত্যা করা হবে। এটাই হল মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ। এতদিন মুনাফিকদের শাস্তি না দিয়ে সবর করার নির্দেশ ছিল। এবার তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার এবং তাদের উপর কঠোরতার আদেশ নাযিল হল।


          তাহলে এখানে তিনটি মারহাল হল-

          প্রথম মারহালা: মক্কী জীবন এবং মদীনায় হিজরতের পর বদর যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্তঃ এ সময় সব ধরণের কষ্ট বরদাশত করার আদেশ ছিল।

          দ্বিতীয় মারহালা: বদর যুদ্ধের পর থেকে ফাতহে মক্কা পর্যন্তঃ তখন যারা সরাসরি দুশমন, তাদের বিরুদ্ধে কতল ও কিতালের আদেশ ছিল। বাকিদের সাথে সবরের আদেশ ছিল।

          তৃতীয় মারহালা: ফাতহে মক্কার পরঃ তখন থেকে সব ধরণের কাফের ও মুনাফিকের বিরুদ্ধে কতল ও কিতালের আদেশ ছিল এবং তাদের উপর কঠোরতা আরোপের নির্দেশ ছিল। সবরের মারহালা রহিত হয়ে গিয়েছিল।

          শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. (৭২৮ হি.) বলেন,

          لما نزلت براءة أمر أن يبتدئ جميع الكفار بالقتال وثنيهم وكتابيهم سواء كفوا عنه أو لم يكفوا وإن ينبذ إليهم تلك العهود المطلقة التي كانت بينه وبينهم وقيل له فيها: {جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِم} بعد أن كان قد قيل له: {وَلا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ وَدَعْ أَذَاهُم} .
          ولهذا قال زيد بن أسلم: نسخت هذه الآية ما كان قبلها فأما قبل براءة وقبل بدر فقد كان مأمورا بالصبر على أذاهم والعفو عنهم وأما بعد بدر وقبل براءة فقد كان يقاتل من يؤذيه ويمسك عمن سالمه كما فعل بابن الأشرف وغيره ممن كان يؤذيه فبدر كانت أساس عز الدين وفتح مكة كانت كمال عز الدين
          فكانوا قبل بدر يسمعون الأذى الظاهر ويؤمرون بالصبر عليه وبعد بدر يؤذون في السر من جهة المنافقين وغيرهم فيؤمرون بالصبر عليه وفي تبوك أمروا بالإغلاظ للكفار والمنافقين فلم يتمكن بعدها كافر ولا منافق من أذاهم في مجلس خاص ولا عام بل مات بغيظه لعلمه بأنه يقتل إذا تكلم وقد كان بعد بدر لليهود استطالة وأذى للمسلمين إلى أن قتل كعب بن الأشرف. اهـ

          “সূরা বারাআ নাযিলের পর মূর্তিপূজক-আহলে কিতাব: সকল কাফেরের বিরুদ্ধে অগ্রে বেড়ে কিতালের আদেশ দেয়া হল। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকলেও, না থাকলেও। পাশাপাশি আদেশ ছিল: কাফেরদের সাথে তাঁর মেয়াদবিহীন যেসব চুক্তি ছিল, সেগুলো রহিত করে দিতে। এ সূরায় তাঁকে বলা হল,

          ‘আপনি কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের উপর কঠোরতা আরোপ করুন’।

          অথচ এর আগে নির্দেশ ছিল,

          ‘আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের পক্ষ থেকে যে কষ্ট-ক্লেশ আপনাকে দেয়া হয়, তা অগ্রাহ্য করুন’।


          এজন্য যায়দ বিন আসলাম রহ. বলেন, ‘এ আয়াত আগের (সবরের) সকল আয়াতকে মানসূখ করে দিয়েছে’।


          বারাআ নাযিল হওয়া এবং বদর যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার আগে তিনি তাদের কষ্ট সহ্য করা এবং তাদের ক্ষমা করার আদিষ্ট ছিলেন।


          বদর যুদ্ধ সংঘটিত হওয়া এবং বারাআ নাযিল হওয়ার মাঝখানের সময়টাতে যারা (প্রকাশ্যে) কষ্ট দিতো তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতেন, আর যারা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকতো তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করা থেকে বিরত থাকতেন। যেমনটা কা’ব বিন আশরাফসহ আরো যারা তাঁকে কষ্ট দিতো তাদের সাথে করেছেন। অতএব, বদর ছিলো দ্বীনে ইসলামের সম্মানের ভিত্তিমূল আর ফাতহে মক্কা ছিল সম্মানের পূর্ণতা।


          বদরের আগে মুসলমানগণ প্রকাশ্যে কষ্টের সম্মুখীন হতেন, কিন্তু সবর করার আদেশ ছিল। বদরের পর মুনাফিক ও অন্যান্য কাফেরের তরফ থেকে গোপনে কষ্ট দেয়া হত। তখন তাতে সবর করার আদেশ ছিল। এরপর তাবূক যুদ্ধে (সবরের মারহালা শেষ হয়ে) সকল কাফের ও মুনাফিকের বিরুদ্ধে কঠোরতার আদেশ দেয়া হল। এরপর থেকে কোন কাফের বা কোন মুনাফিক প্রকাশ্য-গোপন কোন ধরণের মজলিসে কোন কষ্ট দেয়ার সুযোগ পায়নি। বরং নিজেদের ক্ষোভে নিজেরা জ্বলে-পুড়ে মরেছে। কেননা, জানা ছিল, কষ্টদায়ক কিছু বললেই হত্যা করে ফেলা হবে। বদর যুদ্ধের পরও ইয়াহুদিদের তরফ থেকে মুসলমানগণ কিছুটা কষ্ট-ক্লেশের সম্মুখীন হতেন। অবশেষে যখন কা’ব বিন আশরাফকে হত্যা করা হল, তখন তা বন্ধ হল।”- আসসারিমুল মাসলূল: ২২০


          কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদের স্বরূপ বর্ণনা করে তিনি বলেন,

          أن الله أمر رسوله عليه الصلاة والسلام بجهاد المنافقين كما أمره بجهاد الكافرين وأن جهادهم إنما يمكن إذا ظهر منهم من القول أو الفعل ما يوجب العقوبة فإنه ما لم يظهر منه شيء البتة لم يكن لنا سبيل عليه فإذا ظهر منه كلمة الكفر فجهاده القتل. اهـ

          “... আল্লাহ তাআলা তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাফেরদের বিরুদ্ধে যেমন জিহাদের আদেশ দিয়েছেন, মুনফিকদের বিরুদ্ধেও জিহাদের আদেশ দিয়েছেন। আর মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ হবে যখন তাদের থেকে শাস্তি বর্তায় মতো কোন কথা বা কাজ প্রকাশ পাবে। কেননা, প্রকাশ্যে যদি কোন কিছুই তাদের থেকে না পাওয়া যায়, তাহলে তাদের পাকড়াও করার কোন রাস্তা আমাদের নেই। যখন কুফরি কালিমা প্রকাশ পাবে, তখন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ হবে: তাদেরকে হত্যা করে দেয়া।”- আসসারিমুল মাসলূল ৩৪৭


          মুহতারাম ভাই, এবার আপনার প্রশ্ন দু’টির উত্তর দিচ্ছি-

          প্রশ্ন-১. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেন মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন না?

          উত্তর: মুনাফিকরা প্রথমে যখন প্রকাশ্যে কষ্ট দিতো, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর আদেশ ছিল, কষ্ট সহ্য করা। বদরের পর যখন গোপনে গোপনে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে কষ্ট দিতো, তখনও আদেশ ছিল সবর করা। ফাতহে মক্কার পর নবম হিজরিতে তাবূক যুদ্ধের সময়কালে মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদের আদেশ নাযিল হয়। এ আদেশ নাযিল হওয়ার পর থেকে মুনাফিকরা কোন ধরণের কুফরি কথা বা সমালোচনার সাহস করেনি। তাই তাদের বিরুদ্ধে জিহাদের প্রয়োজন পড়েনি।

          প্রশ্ন-২. তাহলে এই আয়াতের উপর আমল কিভাবে করলেন?

          উত্তর: এই আয়াত নাযিল হয়েছে নবম হিজরিতে তাবূক যুদ্ধের সময়কালে। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি দিন দুনিয়াতে ছিলেন না। এ সময়টাতে মুনাফিকরা ভয়ে কোন সমালোচনা করার সাহস পায়নি। তাই তাদের বিরুদ্ধে কতল-কিতালের দরকার পড়েনি। যদি তাদের থেকে কোন কুফর প্রকাশ পেতো, তাহলে অবশ্যই জিহাদ করতেন।


          মোটকথা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় এ আয়াতের উপর আমল করার পরিস্থিতি আসেনি, তাই আমল করা যায়নি। আজ যখন মুসলিম নামধারী মুনাফিকদের থেকে সুস্পষ্ট কুফর প্রকাশ হয়ে পড়েছে, তখন রাসূলের অনুসারিদের কর্তব্য: এ আয়াতের উপর আমল করা। ওয়াল্লাহু আ’লাম।

          Comment


          • #6
            ইলম ও জিহাদ ভাই! আপনি ও আদনানমারুফ ভাইদ্বয়ের
            মুহাব্বত সকলের অন্তরে একটু বেশিই।
            আজকেই আমার ঐ সংশয় সমাধানটা পরিপুর্ন হল্ হইল আলহামদুলিল্লাহ্*।
            আল্লাহ আপনাদের ইলম ও আমলে বারাকাহ দান করুণ!
            ও আপানাদেরকে মুস্তাযাবুদ দাওয়াত বানাক!
            ও সর্বশেষ হাক্বিকি শহিদ হিসাবে পুনরুত্থিত করুণ!
            আর আমাদেরকেও আপনাদের সাথে জান্নাতে রাখুন।
            -------------------------+++++++++++++-----------------------------
            আপনাদের নেক দু'আয় আমাদের ভুলবেননা।
            فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
            کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

            Comment


            • #7
              আদনানমারুফ ভাই ও ইলম ও জিহাদ ভাইর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!
              আমার, এসো! কলম মেরামত করি এই বইখানা প্রয়োজন।
              কারো কাছে থাকলে হেল্প করবেন ইনশাআল্লাহ।
              আল্লাহ আপনাদের উত্তম যাজা দান করুণ। (আমিন)
              فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
              کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

              Comment


              • #8
                Originally posted by lahul hukmu View Post
                আদনানমারুফ ভাই ও ইলম ও জিহাদ ভাইর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!
                আমার, এসো! কলম মেরামত করি এই বইখানা প্রয়োজন।
                কারো কাছে থাকলে হেল্প করবেন ইনশাআল্লাহ।
                আল্লাহ আপনাদের উত্তম যাজা দান করুণ। (আমিন)


                ভাই এই সাইটে বইটি পাবেন ইনশাআল্লাহ।
                কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                Comment


                • #9
                  "بالعروة الوثقى"

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহু আকবার।অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম।
                    আসুক না যত বাধাঁ যত ঝর সাইক্লোন কিতালের পথে মোরা চলবোই

                    Comment

                    Working...
                    X