Announcement

Collapse
No announcement yet.

সন্ত্রাস প্রতিরোধ আইনে সম্মিলিতভাবে ভোট প্রদানকারী আলহিযবুল ইসলামীর সংসদ সদস্যদের

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সন্ত্রাস প্রতিরোধ আইনে সম্মিলিতভাবে ভোট প্রদানকারী আলহিযবুল ইসলামীর সংসদ সদস্যদের

    সন্ত্রাস প্রতিরোধ আইনে সম্মিলিতভাবে ভোট প্রদানকারী আলহিযবুল ইসলামীর সংসদ সদস্যদের বিধান।
    প্রশ্ন নং ৮৩৫

    প্রশ্ন:
    আসসালামু আলাইকুম ..
    আলহিযবুল ইসলামীর পার্লামেন্ট মেম্বাররা যারা সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাস প্রতিরোধ আইন বাস্তবায়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে, তাদের বিধান কী? তা’বিল কিংবা অজ্ঞতার অজুহাত কি তাদের ক্ষেত্রে ধর্তব্য হবে? উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের মাঝে বারাকাহ দান করুন।

    নিবেদক
    আবু কাতাদা
    উত্তর:
    الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله
    প্রিয় ভাই!
    বর্তমান পৃথিবীতে বাসকারী কারো কাছেই অস্পষ্ট নয় যে, বর্তমানে সন্ত্রাস বিষয়ক প্রণীত আইনগুলো প্রণয়ন করাই হয়েছে সে সকল মুজাহিদদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য, যারা যমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। স্বয়ং মানবরচিত সংবিধানের ধারা অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করাই একটি কুফরি কাজ। তাওহিদের ঘ্রাণ পেয়েছে এমন কোন ব্যক্তির জন্যই এ কাজে অংশগ্রহণ হালাল হবে না। এটি একটি ঈমান বিধ্বংসী কাজ এবং এমন স্পষ্ট শিরক যার ব্যাপারে অজ্ঞ থাকার সুযোগ নেই। তাহলে কি বিধান হবে যদি আইন প্রণয়ন এমন বিধান প্রবর্তনের জন্য হয়: যা আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বৈধতা দেবে, আল্লাহর শরিয়ত বাস্তবায়ন প্রচেষ্টার পথে বাধা হবে, এ জন্য চেষ্টারতদের উপর যুলুমের বৈধতা দেবে, মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াইকারী মুজাহিদদের শাস্তিযোগ্য সাব্যস্ত করবে এবং সে সকল লোকের উপর অত্যাচারের অনুমোদন দেবে যারা দ্বীন, ভূমি ও সম্মানের উপর আক্রমণকারী আগ্রাসী শত্রুর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়?! এ ধরণের আইন প্রণয়নে যারা অংশীদার হবে তারা নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালার সাথে শরীককারী মুশরিক। তার অজ্ঞতার অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না। মেনে নেওয়ার মত কোন তাবিলও তার থাকতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    أم لهم شركاء شرعوا لهم من الدين ما لم يأذن به الله

    “এদের কি এমন কোন শরীক আছে যারা তাদের জন্য এমন জীবন বিধান প্রণয়ন করেছে যার অনুমতি আল্লাহ তায়ালা দেননি।”


    আরো বলেন,
    وإن الشياطين ليوحون إلى أوليائهم ليجادلوكم وإن أطعتموهم إنكم لمشركون

    “আর শয়তান তার বন্ধুদের প্ররোচনা দেয় যেন তারা তোমাদের সাথে ঝগড়া করে। যদি তোমরা তাদের অনুসরণ করো তাহলে তোমরা মুশরিক।”

    আরো বলেন,
    ولا يشرك في حكمه أحدا

    “আল্লাহ তায়ালা নিজ বিধানে কাউকে শরীক করেন না।”


    ইবনে আমেরে কেরাআতে নাহির শব্দে এসেছে: (لا تشرك)- ‘আল্লাহর বিধানে কাউকে শরীক করো না’। এটিও কেরাআতে সাবআর এক কেরাত।

    অতএব, হুকুম দেয়া ও বিধান প্রণয়ন এককভাবে শুধু আল্লাহ তাআলার হাতেই সমর্পণ করা তাওহিদের মৌলিক বিষয় এবং বান্দার উপর আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বড় হক। এর প্রচারের জন্যই আল্লাহ তায়ালা সকল রাসূল পাঠিয়েছেন। তাওহিদ বিরোধী সকল কিছু বাতিল করার জন্যই সকল কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। এক্ষেত্রে অজ্ঞতার অজুহাত বা তাবিলের আশ্রয় নেয়ার কোনো সুযোগ করো জন্য নেই।
    والله تعالى أعلم، وصلى الله على نبينا محمد وعلى اله وصحبه أجمعين .

    উত্তর প্রদানে
    শরয়ী বিভাগ: মিম্বারুত তাওহীদ
    ২২/১১/২০০৯ ঈ.




    ما حكم برلمانيي الحزب الإسلامي الذين صوتوا بالإجماع على قانون مكافحة الإرهاب ؟

    رقم السؤال: 835 القسم : العقيده

    تاريخ النشر: 22 /11/2009 المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر


    السؤال
    السلام عليكم..
    ما حكم برلمانيي الحزب الإسلامي الذين صوتوا بالإجماع لتطبيق قانون مكافحة الإرهاب فهل يعذرون بالتأويل أو الجهل أجيبونا بارك الله فيكم..
    السائل: أبو قتادة
    * * *
    الجواب:
    الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله ..أخانا الفاضل:
    لم يعد يخفى على أحد ممن يسكن في هذه الدنيا أن قوانين الإرهاب التي تشرع في زماننا إنما تشرع لمحاربة المجاهدين الذين يسعون لإقامة حكم الله تعالى في الأرض .. والتشريع بحد ذاته وفقا لنصوص الدستور الوضعي عمل مكفر لا يحل لمن شم رائحة التوحيد أن يشارك فيه لأنه ناقض من نواقض الإسلام وشرك صراح لا يجوز أن يجهل به أحد ، فكيف ذا أضيف إلى ذلك كون التشريع يمارس لسن قوانين تحارب دين الله وتصد عن السعي لتحكيم شريعته وتجرم من يسعى لذلك وتعاقب من يجاهد المشركين وتجرم من يصد المحاربين الصائلين على الدين والأرض والعرض ؟!
    لا شك أن كل من شارك في مثل هذا التشريع مشرك بالله لا يعذر بجهله وليس له تأويل مستساغ فالله جل ذكره يقول : ( أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ ) ويقول سبحانه : ( وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ ) ويقول تعالى : ( وَلَا يُشْرِكُ فِي حُكْمِهِ أَحَدًا ) وفي قراءة ابن عامر وهو من القراء السبعة بصيغة النهي ( ولا تشرك ) فتوحيد الله وإفراده في الحكم والتشريع أمر من صلب التوحيد ومن أحق حقوق الله على العبيد أرسل رسله جميعا لبيانه وأنزل كتبه كلها لإبطال كل ما يضاده ويخالفه ؛ فلا يسع أحد أن يتعذر فيه بجهل أو تأويل .. والله تعالى أعلم ، وصلى الله وسلم على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين .
    إجابة اللجنة الشرعية



  • #2
    মাশাল্লাহ ভাই খুব উপকারী পোষ্ট
    আল্লাহ আমাদের কবুল করুণ
    আমিন!!!
    فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
    کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ আখী.. হিকমাতপূর্ণ আলোচনা..!!
      আল্লাহ ভাইদের কাজে বারাকাহ দান করুন..আমিন..।।
      যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

      Comment


      • #4
        বারাকাল্লাহু ফি হায়াতিক
        আসুক না যত বাধাঁ যত ঝর সাইক্লোন কিতালের পথে মোরা চলবোই

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ আনেক উপকারি পোষ্ট করেছেন।
          আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমিন।
          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

          Comment

          Working...
          X