Announcement

Collapse
No announcement yet.

শিরক সংমিশ্রিত ঘটনা বিশ্বাস করার ব্যাপারে শায়েখ রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ. এর ফতোয়া

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শিরক সংমিশ্রিত ঘটনা বিশ্বাস করার ব্যাপারে শায়েখ রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ. এর ফতোয়া


    শিরক সংমিশ্রিত ঘটনা বিশ্বাস করা

    প্রশ্ন: নিম্নোল্লিখিত কারামতগুলোর হুকুম কি?
    ক. হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রহ. এর মুরিদ ইন্তেকাল করলে তার ছেলে কাঁদতে কাঁদতে হযরতের কাছে আসেন, তাকে দেখে হযরতের দয়া হয়, তিনি চতুর্থ আসমানে গিয়ে মালাকুল মউতের কাছ থেকে মুরিদের রুহ ফেরত চান, মালাকুল মউত বলেন, আল্লাহ তায়ালার আদেশে আপনার মুরিদের রুহ কবয করেছি। হযরত বলেন, আমার আদেশে ফেরত দাও। মালাকুল মউত রুহ ফেরত না দিলে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী সেই দিন কবয করা রুহগুলো যে থলিতে ছিল সেটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন। এতে সেই দিন মৃত্যুবরণকারী লোকেরা পূণর্জীবন লাভ করে।
    মালাকুল মউত আল্লাহ তায়ালার কাছে গিয়ে বলেন, এক পাগল রুহের থলি কেড়ে নিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বললেন, সে আবার এদিকে আসছে না তো? ফেরেশতা বললেন, না, এদিকে আসছে না। আল্লাহ তায়ালা বললেন, সে ফেরত যাওয়ায় ভালোই হয়েছে, যদি সে এদিকে আসতো আর আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে তাদের সবাইকে জীবিত করতে বলতো, তাহলে আমি সবাইকে যিন্দা করতে বাধ্য হতাম।

    খ. এক মহিলা হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রহ. এর নিকট এসে বলেন, হযরত আমাকে সন্তান দান করুন। হযরত বললেন, তোমার তাকদীরে তো লওহে মাহফুযে সন্তান লেখা নেই। মহিলা বললো, যদি লওহে মাহফুযে লেখাই থাকতো তাহলে আপনার কাছে আসার কি প্রয়োজন ছিল? হযরত আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ আপনি তাকে সন্তান দান করুন। আল্লাহর পক্ষ হতে জবাব আসলো, তার ভাগ্যে তো লওহে মাহফুযে সন্তান লেখা নেই। হযরত বললেন, একটি না থাকলে দুটি দেন, জবাব আসলো, একটিই যখন নেই তো দুটি কিভাবে দেব? হযরত বললেন, দুটি না থাকলে তিনটি দেন, জবাব আসলো, যখন দুটিই নেই তো তিনটি কিভাবে দেব? তার তাকদীরে তো কোন সন্তানই নেই। মহিলা নিরাশ হয়ে চলে যেতে উদ্যত হলে হযরত বড়পীর রহ. রাগান্বিত হয়ে তার দরজার মাটি তা’বীজ বানিয়ে মহিলাকে দিলেন এবং বললেন, তোমার সাতটি সন্তান হবে। মহিলা খুশি খুশি চলে গেল, এবং বাস্তবেই তার সাতটি সন্তান হয়েছিল।

    গ. হযরত আব্দুল কাদের জীলানীর মৃত্যুর পর এক ব্যক্তি তাকে সপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করলো, মুনকার-নাকীর থেকে আপনি কিভাবে মুক্তি পেলেন? জবাবে হযরত বললেন, বরং এটা জিজ্ঞেস করো যে, মুনকার-নাকীর আমার প্রশ্নের জবাব থেকে কিভাবে মুক্তি পেল? তারা আমার কবরে আসলে আমি তাদের উভয় হাত আকড়ে ধরে বললাম, যখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, আমি যমিনে খলিফা প্রেরণ করবো তো তোমরা কেন বলেছিলে যে, আপনি তো এমনি ব্যক্তিদের সৃষ্টি করবেন যারা যমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করবে, তোমরা কি ভেবেছিলে যে, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের কাছে পরামর্শ চাচ্ছেন!

    উত্তর:
    إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ (হুকুম দেওয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর -সূরা ইউসুফ, আয়াত ৪০)।
    উপরোল্লিখিত কারামাতগুলো মূর্তিপূজারীদের আকীদা-বিশ্বাস। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ মন্দ কাজ হতে দেখলে বাহুবলে তা প্রতিহত করবে। তা না পারলে জিহ্বার দ্বারা প্রতিরোধ করবে। আর এটাও না পারলে অন্তরের দ্বারা ঘৃণা করবে। এটাও না করলে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও বাকী থাকে না’। যারা এই শিরকমিশ্রিত ঘটনাগুলোকে হক মনে করে, এবং এই কুফরি-শিরকী আকীদা পোষণ করে তারা সুস্পষ্টরুপে কুরআন-হাদিসের বিরোধীতায় লিপ্ত, এবং তারা মূর্তিপূজারীদের মতোই আব্দুল কাদের জীলানীর পূজারী। তারা বান্দাকে আল্লাহ মনে করে, বরং পরাক্রমশালী অদ্বিতীয় আল্লাহকে বান্দার সামনে বাধ্য-পরাস্ত জ্ঞান করে। এমন বিশ্বাস লালনকারী কাফের ও *মুশরিক। যদি বুঝ হওয়ার শুরু থেকেই এই বিশ্বাস রাখে তাহলে প্রথম থেকেই কাফের। যতক্ষণ সে এই কুফরী আকীদা থেকে তাওবা না করবে এবং কালেমা পড়ে ঈমান দোহরিয়ে না নিবে ততক্ষণ পর*্যন্ত সে মুসলমান হবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ
    `যে আল্লাহর সাথে শিরিক করে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন, এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম, যালেমদের জন্য কোন সাহায্যকারী থাকবে না’। -সূরা মায়েদা, আয়াত ৭২

    যদি কোন মুসলমানের গুনাহে পৃথিবী পূর্ণ হয়ে যায়, কিন্তু সে আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করে তাহলেও মেহেরবান আল্লাহ নিজ দয়ায় তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার ওয়াদা করেছেন। কিন্তু মুশরিককে আল্লাহ তায়ালা কখনো ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا
    ‘আল্লাহ তায়ালা তার সাথে শিরিক করাকে ক্ষমা করবেন না, শিরিক ব্যতীত অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেবেন। যে আল্লাহর সাথে শরিক করে সে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত’।
    -সূরা নিসা, আয়াত: ১১৬

    আর যারা প্রথমে তাওহীদের বিশ্বাসী ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে এই শিরকী বিশ্বাস গ্রহণ করেছে, তাদের সব নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে, এই বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যুবরণ করলে তারা জাহান্নামী হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
    ‘তোমাদের মধ্যে হতে যারা নিজেদের ধর্মত্যাগ করে (কাফের হয়ে যায়), অতপর কাফের অবস্থায়ই মৃতুবরণ করে তাদের দুনিয়া-আখেরাতে তাদের সকল আমল বরবাদ হয়ে যায়, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী। যেখানে তারা থাকবে চিরকাল’। -সূরা বাকারা, আয়াত: ২১৮
    উত্তর প্রদান:
    মুহাম্মদ হুসাইন দেহলভী

    এই ফতোয়াটি শায়েখ রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী সহ উপমহাদেশের বড় বড় আলেমদের সম্মুখে পেশ করা হয়, তারা এই ফতোয়াটিকে সহিহ বলে সমর্থন করেন, এতে স্বাক্ষর করেন। শুধু মৌলভী ইরশাদ হুসাইন রামপুরী বলেন, ‘এই কারামতগুলো প্রত্যাখ্যান করা যায় না। কেননা এতে শরিয়ত ও ইসলামের আকীদা পরিপন্থী কোন কিছু নেই। আর শেষ কারামতটা ইকতেবাসুল আনওয়ার নামক গ্রন্থে রয়েছে, যা একটি গ্রহণযোগ্য কিতাব। আর প্রথম দুটি কারামত যদিও আমি কোন কিতাবে পাইনি, কিন্তু হযরত গাউসুস সাকালাইন (উভয় জাহানের সাহায্যকারী) এর ব্যাপারে লিখিত কিতাব অনেক, হতে পারে কোন কিতাবে এটি নকল করা হয়েছে’ …..

    তার কথা খন্ডন করে শায়েখ রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ. বলেন, ‘মৌলভী ইরশাদ হুসাইন সাহেবের কথা বড়ই আশ্চর্যজনক যে, তিনি এই ঘটনাগুলোর বাহ্যিকরুপকে শরিয়তের খেলাফ মনে করেন না। বিশেষ করে প্রথম ঘটনাতে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী কর্তৃক আল্লাহ তায়ালার আদেশ রদ করে দেওয়া, তার নিকট আল্লাহ তায়ালার পরাস্ত হওয়া এবং তাকে ভয় পাওয়া তো সুস্পষ্ট। যদি এগুলো শরিয়ত বিরোধী না হয় তাহলে আর কোন জিনিষ শরিয়ত বিরোধী হবে? যদি তিনি কোন ব্যাখা করে এই জবাব দিতেন তাহলে কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু কোন ব্যাখা ব্যতীত সু্স্পষ্টরুপে এই ঘটনাগুলোকে সহিহ বলা একেবারেই অবান্তর। বরং এধরণের কথা মূর্খদের গোমরাহ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। শায়েখ আব্দুল কাদের জিলানীর কামালাত তো হবে আল্লাহ তায়ালার দ্বাসত্ব ও গোলামী এবং আল্লাহর দরবারে তার পূর্ণ আত্মসমর্পণ ও অক্ষমতা প্রকাশ করার দ্বারা। এধরণের ঘটনা তো শায়েখ তাসলীম ও রেযার (আল্লাহর ফয়সালা মেনে নেওয়া ও তাতে সন্তুষ্ট হওয়া) যে উচ্চস্তরে ছিলেন তার বিরোধী, তাসলীম ও রেযার বিষয়ে শায়েখের কিতাব ফুতুহুল গাইবে তার বক্তব্য সুস্পষ্টরুপে রয়েছে। সুতরাং তার ব্যাপারে আল্লাহর তায়ালার আদেশের বিরোধীতা করা এবং আল্লাহ তায়ালার সাথে ঝগড়া করার কল্পনাই করা যায় না। এ ঘটনা কোন ধর্মদ্রোহী মুলহিদের বানানো, এগুলোর কোন বাস্তবতা নেই। ….. এই ঘটনাগুলো বাহ্যিকভাবে কুফর ও শরিয়তবিরোধী, বিশেষকরে প্রথম ঘটনাটা। মুসলমানদের এধরণের বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকতে হবে। ……(ফতোয়ায়ে রশিদিয়া, পৃ: ১৯০)


    চিন্তা করুন, যদি উল্লিখিত ঘটনাগুলো ভিত্তিহীন ও শিরকী হয়, ধর্মদ্রোহী মুলহিদদের বানানো হয়, তাহলে ভেদে মা’রেফাতের ১৫ নং পৃষ্ঠায় লিখিত শামসে তাবরিযীর ঘটনা, যাতে শামসে তাবরিযী নিজের হুকুমে মৃতকে জিন্দা করছে, আল্লাহর আন্দায নেই বলছে, আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে জোরপূর্বক রুহ ছিনিয়ে নিয়ে আসছে, এবিষয়গুলো কি শিরক হবে না? অথচ এখনও ফয়জুল করীম সাহেব সুষ্পষ্টরুপে বলছেন যে, ভেদে মারেফাতে কোন ভুল থাকলে তারা সংশোধন করবেন, বরং প্রয়োজনে ভেদে মারেফত জালিয়ে পুরে ফেলবেন, কিন্তু তাদের নজরে ভেদে মারেফাতে কোন ভুল তারা দেখছেন না’, নাউযুবিল্লাহ, (এই ভিডিওটির ৫৬-৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখুন, https://www.youtube.com/watch?v=rNul1Ja2o88) অথচ তারা আবার নিজেদের গাঙ্গুহী রহিমাহুল্লাহুর সিললিলা বলেও দাবী করেন। আর এ ধরণের গাজাখুরী গল্পের বাস্তবতা বোঝার জন্য তো ফতোয়ারও প্রয়োজন হয় না, সামান্য পরিমান আকল থাকাই যথেষ্ট।

    আর যে আলেমরা এ ধরণের কুফরী-শিরকী বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও চরমোনাইকে হক দল এবং চরমোনাইর পীরকে হক্কানী পীর বলছেন, তাদের পক্ষাবলম্বন করছেন তারা কি শিরকের প্রসারে সাহায্য করছেন না? আলেমদের দ্বায়িত্বের ব্যাপারে তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
    "يحمل هذا العلم من كل خلف عدوله، ينفون عنه تحريف الغالين وتأويل الجاهلين وانتحال المبطلين". رواه البزار (م: 292) في مسنده (3884) والإمام الطحاوي (م: 321) في شرح مشكل الآثار، (3884) وقال الإمام ابن الوزير اليمني (م: 840) في العواصم والقواصم : (1/308 ط. مؤسسات الرسالة) : (هو حديث مشهور صححه ابن عبد البر. وروي عن أحمد أنه قال: هو حديث صحيح)

    এই ইলমের ধারকবাহক হবে ন্যায়পরায়ণ উত্তরসূরীগণ, যারা এ থেকে সীমালঙ্ঘন কারীদের তাহরীফ বা অর্থবিকৃতি, মূর্খদের অপব্যাখা এবং মিথ্যাবাদীদের মিথ্যাকে অপসারণ করবেন। -
    মুসনাদুল বাযযার: ৯৪২৩ শরুহ মুশকিলুর আসার: ৩৮৮৪ ইমাম আহমদ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন, দেখুন, আলআওয়াসেম ওয়ালকাওয়াসেম, ইবনুল ওযীর আলইয়ামানী, ১/৪০

    কারো মনে হতে পারে যে আমরা চরমোনাইর সাথে সংশ্লিষ্ট লাখো মানুষকে কাফের-মুশরিক বানিয়ে দিচ্ছি, না, বিষয়টি আদৌও নয়। চরমোনাইর সাধারণ মুরিদ যারা এ ঘটনাগুলো জানেন না বা জানলেও বিশ্বাস করেন না আমরা তাদেরকে কখনোই কাফের মনে করি না। আর যারা এ ঘটনাগুলো বিশ্বাস করে, তাদেরকে আমরা কাফের বানাচ্ছি না, বরং তারা তো বাস্তবে কাফের-মুশরিক হয়েই আছে। আমরা শুধু তাদের কুফর-শিরককে মানুষের সামনে স্পষ্ট করে দিচ্ছি, যেন মানুষ এ ধরণের শিরকী বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

    উল্লিখিত ফতোয়াটি তা’লীফাতে রশিদিয়া ও ফতোয়ায়ে রশিদিয়া উভয় কিতাবেই রয়েছে, আমি ফতোয়ায়ে রশিদিয়া (১৮৪-১৯১ পৃষ্ঠা, প্রকাশনা: দারুল ইশাআত, করাচী) থেকে ফতোয়াটির ওয়ার্ড কপি তুলে দিচ্ছি, পিডিএফের স্কীর্ণশর্ট দেখতে চাইলে নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড না করেই দেখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
    https://telegra.ph/%E0%A6%B6%E0%A6%B...E0%A7%9F-05-31

    আর ভেদে মারেফাতের ঘটনাটা তো সবার জানাই আছে, তবুও স্কীণশর্ট দেখতে চাইলে এই লিংক থেকে দেখতে পারেন,
    https://telegra.ph/%E0%A6%AD%E0%A6%A...E0%A6%A4-05-31

    مشرکانہ حکایات پر اعتقاد
    سوال: ان کرامتوں مفصلہ ذیل میں کیا حکم ہے۔
    حضرت غوث اعظم قدس سرہ کے ایک مرید نے انتقال کیا اس کا بیٹا روتا ہوا آپ کے پاس آیا آپ نے اس کے حال پر رحم فرما کر آسمان چہارم پر جا کر ملک الموت سے روح مرید کو مانگا ملک الموت نے جواب دیا کہ خدا تعالیٰ کے حکم سے روح آپ کے مرید کی قبض کی ہے آپ نے فرمایا میرے حکم سے چھوڑ دے جب ملک الموت نہ دی تو آپ نے زبردستی زنبیل تمام روحوں کو جو اس دن قبض کی تھیں چھین لیں۔ تمام روحیں پرواز کر کے اپنے اپنے جسد میں داخل ہوئیں ملک الموت نے خدائے تعالیٰ کے پاس فریاد کی کہ ایک شخص مجنون نے زنبیل روحوں کی چھین لی۔ فرمایا وہ ادھر کو تو نہیں آتا عرض کیا نہیں آتا کہا اچھا ہوا جو واپس گیا ورنہ وہ اگر ادھر کو آتا تو حضرت آدم علیہ السلام سے لے کر اس وقت تک جتنے مرے ہیں سب کے زندہ کرنے کو کہتا تو مجھے سب زندہ کرنے پڑتے۔رسیدہ بود بلائے ولے بخیر گزشت۔

    ایک عورت حضرت عبدالقادر جیلانی قدس سرہ کی خدمت میں حاضر ہوئی اور کہا یا حضرت مجھے بیٹا دو آپ نے فرمایا تیری تقدیر میں لوح محفوظ میں نہیں ہے اس نے عرض کی اگر لوح محفوظ میں ہوتا تو تمہارے پاس کیوں آتی آپ نے اللہ تعالیٰ سے کہا یا خدا تو اس عورت کو بیٹا دے حکم ہوا اس کی قسمت میں لوح محفوظ میں بیٹا نہیں ہے کہاایک نہیں تو دو دے۔ جواب آیا ایک نہیں تو دوکہاں سے دوں۔کہا تو تین دے۔ کہا جب ایک بھی نہیں تو تین کہاں سے اس کی تقدیر میں بالکل نہیں۔ جب وہ عورت ناامید ہوئی۔ غوث اعظم نے غصہ میں آکر اپنے دروازہ کی خاک تعویذ بنا کر دے دی ۔ اور کہا تیرے سات بیٹے ہوں گے وہ عورت خوش ہو کرچلی گئی اور اس کے سات بیٹے ہوئے-

    بعد وفات حضرت عبدالقادر جیلانی ایک بزرگ نے آپ کو خواب میں دیکھا۔ کہا منکر نکیر کے جواب سے آپ نے کیونکر رہائی پائی۔ جناب شیخ نے فرمایا یوں پوچھوکہ منکر نکیر نے میرے سوالوں کے جواب میں کیونکر رہائی پائی جس وقت میرے پاس قبر میں آئے میں نے ان کے دونوں ہاتھ پکڑ لئے اور کہا یہ بتلائو جب اللہ تعالیٰ نے فرمایا کہ ہم زمین میں اپنا خلیفہ پیدا کریں گے تو تم نے یہ کیوں کہا کہ اے اللہ تو ایسے شخص کو پیدا کرتا ہے جو زمین میںفساد پیدا کرے گا شاید تم نے اللہ تعالیٰ کو مشورت طلب ٹھہرایا۔

    جواب: ان الحکم الا اللہ یہ کرامات مندرجہ سوال بت پرستوں کے عقیدہ والوں کے ہیں۔ قد جاء فی الحدیث من رای منکم منکرا فلیغیرہ بیدہ ومن لم یستطع فبلسانہ ومن لم یستطع فبقلبہ ولیس وراء ذلک حبۃ خردل من الایمان۔ جو لوگ ان کرامات شرکیہ مذکورہ کو حق جانتے ہیں اور اس عقیدہ شرکیہ کفریہ پر ہیں سراسر مخالف قرآن اور حدیث کے ہیں اور مثل بت پرستوں کے عبدالقادر پرست ہیں بندہ کو خدا اعتقاد کرتے ہیں العیاذ باللہ بلکہ اس واحد و قہار و قیوم و جبار کو بندہ کے آگے مجبور جانتے ہیں ایسے عقیدے والے قطعی کافر اور مشرک ہیںاگر وہ کوئی ابتدائے تمیز سے اس عقیدہ پر ہے تو پرانا کافر ہے جب تک اس کفریہ عقیدہ سے توبہ نہ کرے اور تجدید اسلام کلمہ شہادت سے نہ کرے مسلمان نہیں۔ قال اللّٰہ تعالیٰ انہ من یشرک باللہ فقد حرم اللہ علیہ الجنۃ وماونہ النار وما للظالمین من انصار۔ اگر کسی مسلمان کے گناہوں سے ساری زمین لبریز ہو اور شرک نہ ہو تو حق جل جلالہ اس کے بخشنے کا وعدہ فرماتا ہے اپنی رحمت سے مگر مشرک کافر ہرگز نہ بخشا جائیگا۔ ان اللّٰہ لا یغفر ان یشرک بہ ویغفر مادون ذلک لمن یشاء ومن یشرک باللہ فقد صل ضلالا بعیدا۔ اور جو لوگ اول عقیدہ توحید کا رکھتے تھے اور بعد میں اس شرکیہ عقیدہ پر ہوگئے ہیں تو ان کے پہلے نیک عمل سب برباد ہوگئے اگر اس کفر پر مر جائیں تو دو زخی ہیں بموجب فرمان الٰہی کے ومن یرتدد منکم عن دینہ فیمت وھو کافر فاولئک حبطت اعمالہم فی الدنیا والاخرۃ واولئک اصحب النار ھم فیھا خلدون۔ (۱)۔ نعوذ باللہ من شرالکاذبین المبتدعین الباطلین الطاغین الفاسقین واللہ اعلم بالصواب فاعتبر وایا اولی اللباب حرہ الفقیر محمد حسین الدہلوی عفا اللہ عنہ۔

    الجواب حق محمد اشرف علی عفی عنہ سلہٹی
    -
    الجواب صحیح۔ عبدالمجید عرف محمد قابل عفی عنہ مدرس مدرسہ اسلامیہ-
    یہ باتیں عوام کالا انعام بل ہم اضل کی ہیں ان سے احتراز مسلمانوں پر واجب ہے فقط قادر علی عفی عنہ -
    صح الجواب بعون اللہ الملک الوہاب شہر اسلام آباد عرف چاٹگام۔
    الجواب صحیح ۔ سید عبدالسلام غفرلہ۔
    الجواب صحیح۔ سید محمد ابوالحسن۔
    الجواب صحیح۔ سید معتصم باللہ حنفی
    محمد عبدالحکیم عفی عنہ کرامات مذکورہ بے اصل ہیں ان کے اعتقاد سے احتراز چاہیے محمد حسن عفی عنہ-
    یہ حکایات لا اصل ہیں اعتقاد کے لئے یقینی باتیں درکار ہیں معتقدان باتوں کا یا نادان ہے یا کجرو مسلمانوں کو بہرحال ایسی باتوں سے اعتقاد ہٹانا چاہیے اور سچے اور پکے مسلمانوں کے عقائد دل میں جمانے چاہییں فقط محمد ناظر حسن عفی عنہ مدرس مدرسہ اسلامی میرٹھ شہر -
    کرامت مذکورہ کا معتقد مخالف قرآن و حادیث کا ہے ایسے اعتقاد سے پرہیز کرنا لازم ہے فقط مسعود نقشبندی۔
    الجواب صحیح محمد عبیداللہ
    الجواب صحیح عبدالحق
    ایسے عقائد مشرکین و مبتدعین کے ہیں جواب مجیب کا اور مواہیر و دستخط صحیح ہیں حسبنا اللہ بس حفیظ اللہ
    الجواب صحیح والرائے نجیح الغرض جناب شیخ عبدالقادر جیلانی قدس سرہ ولی کامل فی زعمنا ہیں صاحب کرامات ہیں مگر عوام کالانعام جہلا لوگوں نے ہزارہا حکایات اکاذیب گھڑ رکھی ہیں منجملہ ان کے جو سوال میں درج ہیں اور انہیں کے لگ بھگ یہ کرامت بھی افترا کی ہوئی ہے کہ بار ہ برس کے بعد کشتی مع برات ڈوبی ہوئی نکالی۔ سو اس کی بھی کچھ اصل نہیں ہے غرضیکہ ایسے عقیدے شرکیہ بدعیہ سے توبہ کرنی چاہیے ورنہ ایمان سے ہاتھ دھو بیٹھے۔ حررہ العاجز ابو محمد عبدالوہاب الفنجابی الملتانی-
    الجواب صحیح سید محمد اسماعیل فرید آبادی بقلم خود۔
    جواب بہت صحیح ہے مولوی دبیرالرحمن صاحب بنگال عبدالجبار حیدر آبادی، بمہرو قلم - امیر احمد عفی عنہا أبو محمد عبدالوہاب، پیر محمد انصاری عفی عنہ، ولی محمد-
    جواب بہت صحیح، سید عطاء الرحمن عفی عنہ سید محمد عبدالحمید، سید غلام حسین جواب صحیح ہے روح چھیننا غلط ہے اعتقاد اس پر باطل ہےقادر بخش عفی عنہ-جواب صحیح ہے، تلطف حسین
    مخفی نہ رہے کہ مفتی جزاہ اللہ خیر الجزاء نے جو جواب دیا ہے اللہ وحدہ لا شریک لہ کے پوجنے والوں اور اس کے رسول برحق کے ماننے والوں کو کافی ووا فی ہے البتہ ضال مضل مشرک ومبتدع کہ جس کے دل اور آنکھ اور کان پر شقاوت و بدعتی کی مہر ہے اس کا کوئی علاج نہیں ہے فی الواقع جو شخص ایسی کرامتوں لااصل لہ کا پیر یا کسی دوسرے ولی و فقیر سے کہ جو مقدرات باری تعالیٰ و تصرفات قادر مطلق سے ہیں قائل و معتقد ہے اس کے مشرک ہونے میں کوئی شک نہیں خدا بے چون و چرا کے حکم و قدرت کے مقابلہ میں کسی نبی و ولی کی کچھ پیش نہیں چلتی وہ حاکم سارا جہان محکوم وہ خالق اور سب مخلوق پھر کون اس شہنشاہ دو جہان کے حکم کو رد کر سکتا ہے اپنے کلام معجز میں بیان فرماتا ہے۔ قل من بیدہ ملکوت کل شیء وھو یجیر ولا یجار علیہ ان کنتم تعلمون، سیقولون للہ قل فانی تسحرون۔ یعنی فرمایا اللہ صاحب نے کہہ کون ہے وہ شخص جس کے ہاتھ میں ہے قابو ہر چیز کا اور وہ حمایت کرتا ہے اور اس کے مقابل کوئی نہیں حمایت کرتا اگر جانتے ہو۔ وہیں کہہ دیں گے کہ اللہ ہی ہے پھر کہاں سے خبط میں پڑ جاتے ہو اور شیخ عبدالحق محدث دہلوی شرح مشکوۃمیں فرماتے ہیں۔ لیس الفاعل والقادر والمتصرف الاھو یعنی اللہ تعالیٰ و اولیاء ھم الفانون الھالکون فی فعلہ تعالیٰ و قدمتہ۔ وسطوتہ لا فعل لہم ولا قدرۃ ولا تصرف لا الان ولا حین کانوا حیا فی الدار الدنیا۔یعنی قادر اور فاعل اور متصرف کوئی نہیں مگر اللہ اور اولیاء اللہ فانی اور گم ہیں اللہ کے فعل میں اور اس کی قدرت اور غلبہ میں نہ ان کا کوئی فعل ہے نہ قدرت نہ تصرف نہ اب یعنی عالم برزخ ہیں اور نہ جب کہ زندہ تھے دنیا میں پس اس آیت اور عبارت شیخ موصوف سے معلوم ہوا کہ اللہ تعالیٰ نے کسی کو عالم میں تصرف کرنے کی قدرت نہیں دی اور کوئی کسی کی حمایت نہیں کر سکتا پس ایسی کرامت پیران پیر کی طرف منسوب کرنا محض تہمت و افترا ہے واللہ اعلم بالصواب فقط حررہ حمایت اللہ عفا اللہ عنہ جلیسری۔
    ایسی حکایات و کرامات جن میں خدا کے ساتھ مقابلہ یا اس کے کاموں میں کسی قسم کا دخل بے جا بخلاف مرضی حق تعالیٰ کے ہو محض افتراو بہتان ان بزرگوں پر ہے انبیاء صدیقین و شہدا و صلحاء اور ملائکہ سب اس کے حکم کے آگے دم بخود ہیں۔قال اللہ تعالیٰ بل عباد مکرمون لا یسبقونہ بالقول وھم بامرہ یعملون یعلم مابین ایدھم وما خلفہم ولا یشفعون الا لمن ارتضی وھم من خشیتہ مشفقون ومن یقل منہم انی الہ من دونہ فذلک نجزیہ جھنم کذلک نجزی الظالمین۔یعنی وہ بندے ہیں جن کو عزت دی ہے اس سے بڑھ کر نہیں بول سکتے اور وہ اس کے حکم پر کام کرتے ہیں اس کو معلوم ہے جو ان کے آگے اور پیچھے ہے اور سفارش نہیں کرتے مگر اس کی جس سے وہ راضی ہو اور وہ اس کی ہیبت سے ڈرتے ہیں اور جو کوئی ان میں کہے کہ میں خدا ہوں سوائے اس کے سوا س کو ہم بدلہ دیں دوزخ یوں ہی ہم بدلہ دیتے ہیں ظالموں کو ۔
    بزرگان بزرگی تہادہ زسر
    فقط حررہ العاجز ابو عبدالرحمن محمد عفی عنہ۔
    الجواب صحیح محمد عبدالحکیم عفی عنہ
    جواب صحیح ہے۔ اللہ تعالیٰ فرماتا ہے فسبحان الذی بیدہ ملکوت کل شی والیہ ترجعون فقط حررہ عطاء اللہ عفی عنہ
    یہ جواب صحیح ہے ۔ (ابو محمد سلیم الدین)
    ہذا جواب صحیح الجواب صحیح ، ابو عبداللہ محمد نعمت اللہ۔
    جواب صحح ہے دستخط محمد فقیر اللہ االفنجابی شاہپوریخادم شریعت متین محمد سلیم الدین عفی عنہ
    الجواب واللہ سبحانہ الموافق للصواب یہ کرامتیں جو سوال میں مرقوم ہیں اس کا ردو انکار نہیں ہو سکتا اس واسطے کہ اس میں کوئی امر خلاف شرع اور خلاف عقیدہ اہل اسلام نہیں ہے اور ایک کرامت اخیرہ اقتباس الانوار میں جو معتبر کتاب ہے احوال حضرت غوث الثقلین رضی اللہ تعالیٰ عنہ میں منقول ہے اور دو کرامتیںجو پہلی ہیں وہ میری نظر سے کسی کتاب میں نہیں گذریں لیکن کتابیں احوال حضرت ممدوح میں بہت کثیر ہیں اور میں نے ان کو بالا ستیعاب نہیںدیکھا۔پس ممکن ہے کہ کسی صاحب نے نقل کی ہوں۔بہرحال انکار کرنے کی کوئی وجہ وجہیہ نہیں معلوم ہوتی اور حضرت غوث الثقلین رضی اللہ عنہ سے ایسی کرامتیں بیشتر صادر ہوئی ہیں یہ کرامتیں ان کے کمال اور شرف کے سامنے کچھ مقدا رنہیں رکھتیں ان کا کمال اس سے بہت زیادہ ہے اور یہ امر اہل معرفت پر مخفی نہیں ہے اقتباس الانوار میں ہے واز آنحضرت ہر جنس کرامات نقل کردہ اند تصرف در ظواہر خلق و بواطن ایشان و اجرائے حکم برانس و جن و اطلاع ضمائر و اظہار سرائرو تکلم بخواطر و اطلاع بربطائن ملک و ملکوت و کشف حقائق جبروت و اسرار لاہوت و اطاء مواہب علیہ و امداد عطا یا ولاریبیہ و تقلب و تصرف حوادث و دائر و تصرف اکواں اثبات الٰہی واتصاف بصفت احیاء واماتت و ابراء اکمہ و ابرص وتصحیح مرضی وطی زمان و مکان و نفاذ امرور زمین و آسمان ونیز بر آب و طیران در ہوا و تصرف ارادت مردم انتہیٰ۔ فقط واللہ سبحانہ، اعلم و علمہ اتم مہر مولوی ارشاد حسین صاحب رامپوری۔

    (احمدے محمد ارشاد حسین)مولوی ارشاد حسین صاحب سے تعجب ہے کہ ظاہر ان حکایات کو خصوصاً پہلی حکایت کو خلاف شرع نہیں جانتے حق تعالیٰ سے غالب ہونا اور امر حق عالیٰ کو رد کر دینا اور خدا تعالیٰ کا شیخ قدس سرہ سے ڈرنا۔ تو صاف اس سے واضح ہے اور پھر بھی خلاف قاعدہ شرع کے یہ نہیں تو معلوم نہیں وہ کونسا امر ہے کہ خلاف ہوتا ہے اگر کوئی تاویل مولوی صاحب فرما کر یہ جواب لکھتے تو مضائقہ نہ تھا مگر صاف طور پر ان کو تسلیم کرنا تھا یہ مستبعد ہے علماء سے کہ عوام کی غوایت کو ایسا لکھنا کافی ہے بہرحال یہ حکایات بظاہر خود کفر اور خلاف قاعدہذہ شرع کے ہیں۔ خصوصاً پہلی حکایت کہ مسلمانوں کو ایسا عقیدہ نہ کرنا چاہیے اور کمالات شیخ کی عبودیت و بندگی اور عجز تام بدرگاہ حق تعالیٰ کے ہوتا ہے نہ ایسی حکایات واہیہ آپ کی شان رفیع تسلیم و رضا و فنا پیش حق تعالیٰ واوا امر حق تعالیٰ کے ہیں۔ چنانچہ ان کے کلمات فتوح الغیب سے واضح لائح ہے نہ کہ مقابلہ امر حق تعالیٰ کا اور مخاصمہ ذات پروردگار کے ساتھ معاذ اللہ الحاصل ان حکایات کی کوئی اصل نہیں یہ وضع کسی ملحد کی ہیں اور شان بزرگان سے بعید ہے کہ ایسی حکایات لکھیں یا اس پر عقیدہ کریں۔ اور جو عبارت مولوی صاحب نے نقل کی ہے اس سے کرامات کا واقع ہونا ثا بت ہے نہ مقابلہ و برابری و مکابرہ حق تعالیٰ کے ساتھ لاحول ولاقوۃ باللہ مسلمان ایسے عقائد سے احترازرکھے فقط واللہ تعالیٰ اعلم۔ کتبہ الاحقررشید احمد گنگوہی۔

    فی الحقیقت حکایات مندرجہ سوال جس کو سائل کرامات حضرت شیخ قدس سرہ، اعتقاد کرتا ہے حکایات کاذبہ مردودۃ الشرع ہیں نہ کراما ت مقبولہ حاشاو کلاشان حصرت غوث اعظم قدس سرہ کے ہرگز ہرگز مقتضی اس کے نہیں ہے کہ ایسے امور مخالف شرع بطور کرامت ان سے صادر ہوویں کہ منافی ولایت ولی ہے اس لئے کہ ولی اس مومن کو کہتے ہیں کہ عارف بذات اللہ والصفات ہو کر حسب امکان عبادت پر مواظبت کرے اور گناہوں اور شہوات و لذات سے کنارہ کش ہو۔ پس اپنے کو عاجز و مغلوب اور ذات احدیت کو قادر و غالب اعتقاد کرنا اور مخالف اس کے عملاً بھی کاربند نہ ہونا لازم الولی ہے بناء ًعلیہ جو کہ حکایات اولیٰ اور ثانیہ سے عجز و مغلوبیت خالق الارض والسموات اور غلبہ حضرت شیخ قدس سرہ کاونیز بزوررد کرنیکا حکم حضرت رب العالمین کا صریح لازم ہے اور یہ منافی ولایت پس کرامات حضرت غوث الثلقین رحمۃ اللہ تعالیٰ سے ہونا ان حکایات کا بالبداہت باطل ہے جو شخص ایسا اعتقاد کرے وہ ملحد ہے نعوذ باللہ من ذلک نہایت تعجب ان علماء سے ہے کہ جو ان حکایات کاذبہ کو کرامات حضرت شیخ قدس سرہ سے قرار دے کر عوام کالانعام کو گمراہ کریں۔ نعوذ باللہ من شرور انفسنا من سیات اعمالنا فقط۔حررہ محمد قاسم علی عفی عنہ مراد آبادی محمد قاسم علی خلف مولانا محمد عالم علی

    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

  • #2
    মুহতারাম ভাই খুব জটিল একটি বিষয় ইজহার করলেন যা এরা মানতেই চায়না
    দলিলের আলোকে জানার ইচ্ছে ছিল জানা গেল জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাই আপনাকে
    আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলম ও আমলে বারাকাহ আরো বাড়িয়ে দিক আমিন
    জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
    পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

    Comment


    • #3
      জ্বি ভাই অত্যান্ত গুরত্বপুর্ন লিখা মাশাআল্লাহ।
      আল্লাহ আমাদের এইসব শিরকী আক্বিদা
      থেকে বাচার তাওফিক দান করুণ (আমিন!)
      فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
      کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

      Comment

      Working...
      X