Announcement

Collapse
No announcement yet.

কেন আমি আল কায়েদায় অংশগ্রহণ করলাম (৬ষ্ঠ পর্ব, কারণ ১০ ও ১১)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কেন আমি আল কায়েদায় অংশগ্রহণ করলাম (৬ষ্ঠ পর্ব, কারণ ১০ ও ১১)

    কেন আমি আল কায়েদায় অংশগ্রহণ করলাম







    মূল
    শায়খ আবু মুসআব মুহাম্মদ উমায়ের আল কালাবী আল আওলাকী রহ.


    ভাষান্তর


    আবু হামযা আল হিন্দী

    ১০. কারণ তারা সত্যিকারের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

    এই শিরোনামের গুরুত্ব বোঝার জন্য এর শরয়ী বিধান জানা আবশ্যক। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, অপরাগতার সময় শক্তি অর্জন করা এবং ঘোড়া (অস্ত্র) সংগ্রহের মাধ্যমে জিহাদের প্রস্তুতি নেয়া ওয়াজিব। (মাজমুউল ফাতাওয়া, ২৮/২৫৯) শাইখুল ইসলাম রহ. তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘আস-সিয়াসাতুশ শর*ইয়্যাহ’য়ে “যা ব্যতীত কোন ওয়াজিব বাস্তবায়ন অসম্ভব তা অর্জন করাও ওয়াজিব” এই মূলনীতি প্রসঙ্গে বলেন, উক্ত মূলনীতির একটি দৃষ্টান্ত হলো, জিহাদ ওয়াজিব। কিন্তু যখন জিহাদের সক্ষমতা না থাকবে তখন তার জন্য শক্তি অর্জন করা ওয়াজিব হয়ে পড়বে। কারণ জিহাদ একটি ফরজ আমল। আর যা ব্যাতীরেকে কোন ফরজ বাস্তবায়ন অসম্ভব হয় সেটা অর্জন করাও ফরজ হয়ে পড়ে। প্রিয় পাঠক, আমি আশা করি আপনি এই বিষয়টি ভালো করে উপলব্ধি করে নিবেন। সাথে সাথে ওয়াজিবের তাৎপর্য নিয়ে ভাববেন যে, আপনি তা বর্জনের দরুন গুনাহগার হচ্ছেন কি না! জিহাদের প্রস্তুতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে: ১. আকীদাগত প্রস্তুতি। ২. শারীরিক প্রস্তুতি। ৩. সামরিক প্রস্তুতি। ৪. অভিজ্ঞতা সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি। অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণকারী কোন জামাতের অধীনে সমবেত হওয়া জরুরী; যাতে আপনার প্রস্তুতি গ্রহণের ব্যাপারটি সহজসাধ্য হয়। যে বিষয়টি আল কায়েদার প্রতি আমার মুগ্ধতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে তা হল- আল কায়েদা শরয়ী বিবেচনার ‘ই’দাদ’এর অর্থ বুঝতে সক্ষম হয়েছে এবং সেটাকে কার্যত বাস্তবায়ন*ও করেছে। সুতরাং ই’দাদ-এর ক্ষেত্রে আপনি অন্যান্য জামাত থেকে আল কায়েদাকেই উৎকৃষ্ট গণ্য করতে বাধ্য হবেন। বরং বাস্তবতা হলো কিছু দল প্রস্তুতিই নিচ্ছে না। আর কিছু দলের মাঝে ছড়িয়ে আছে ই’দাদ বিষয়ে চরম অবহেলা। যে সমস্ত দল ই'দাদ গ্রহণ করছে না বলে আমরা উল্লেখ করেছি তারা মূলত ই'দাদ-এর অর্থ বুঝতে ভুল করেছে। প্রথমতঃ তারা আকিদাগত প্রস্তুতির মাঝেই দীর্ঘকাল কাটিয়ে দিচ্ছে। ফলে যুগের পর যুগ চলে যাচ্ছে আর তারা এটাকেই ই’দাদ ভাবছে। হাস্যকর বিষয় হলো তারা যেই প্রজন্মকে প্রস্তুত করছে তারা জিহাদের আকীদাই পোষণ করে না। বরং তাদের ধারণা হলো ভবিষ্যতে কেয়ামতের আগে এমন প্রজন্মের বা দলের আগমন ঘটবে যারা জিহাদ করবে। সুতরাং যখন গুরুদের মাঝেই ভ্রান্তি ছড়িয়ে আছে তখন শিষ্যদের অবস্থাই বা কেমন হবে?! তাই আমি বলি, এরা শরীয়তের দৃষ্টিতে ই’দাদ এর অর্থ বুঝতে পারেনিযার দরুন আকীদাগত প্রস্তুতির মাঝেই এরা ক্ষান্ত আছে। আবার এই আকিদাগত প্রস্তুতির মাঝেও রয়েছে অনেক ত্রুটি। তাদের শিষ্যরা জানেও না যে, জিহাদ ফরজে আইন। আল ওয়ালা ওয়াল বারা-এর ক্ষেত্রেও তারা অবহেলা প্রদর্শন করে। এর প্রমাণ হলো, যদি ধরে নেয়া হয় এসব তাগুত কাফের শাসকবৃন্দ কাফের নয়, কিন্তু সর্বোচ্চ জালেম ও ফাসেক; তথাপি আপনি দেখতে পাবেন, তারা শাসক গোষ্ঠীর সাথে যথাযথ কঠোরতা অবলম্বন করে না, বরং কখনো কখনো তাদের প্রশংসা করে। জনসাধারণকে তাদের নির্বাচনের প্রতি আহ্বান করে। এরাই নাকি দেশকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করছে। ‘তাদের দোষত্রুটি গণব যায়; এর মানেই হল তারা মহান।’ এ জাতীয় আরো অনেক সম্মানসূচক কথাবার্তা বলে শাসকদের সম্বন্ধে। আর এসব কর্মকাণ্ড তাদের থেকে প্রকাশ পাচ্ছে যাদের ব্যাপারে আমরা সুধারণা রাখি এবং তারা দরবারী আলেম*ও নন। আকীদাগত প্রস্তুতির অবস্থা এমন হলে কখন উম্মাহর মাঝে এমন প্রজন্ম তৈরি হবে যারা লাঞ্ছনা কে ছুঁড়ে ফেলবে, আত্মমর্যাদাবোধকে জাগ্রত করবে আর উম্মাহর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনবে? তারা এটাকেই প্রস্তুতি ভাবছে। অথচ তা তরুণদের মাঝে কেবল হতাশার বীজ*ই বপন করছে। তাদের ধোঁকা দিচ্ছে যে, বর্তমান যুগে শরীয়ত প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। তারা প্রকাশ্যেই নিজ মুখে এসব বলে বেড়ায়। যখনই জিহাদ এবং ই’দাদ প্রসঙ্গে আলোচনা হয় তখনই তারা বলে উঠে যে, এখন ঈমানী প্রস্তুতি নেয়া জরুরী। যেন উলামা এবং তালিবুল ইলম ছাড়া আর কেউ জিহাদ করতে পারবে না। মূলত তারা নববী আদর্শকেই বুঝতে পারেনি। (সামনে এর আলোচনা আসবে ইনশাআল্লাহ) এই হল তাদের আকীদাগত প্রস্তুতির অবস্থা। প্রস্তুতির অপর অংশ তথা সামরিক প্রস্তুতির অবস্থা হল, তারা এর জানাজা পড়ে দাফন সম্পন্ন করে রেখেছে। এখন মানুষের মাঝে বদ্ধমূল হয়ে আছে যে, সঠিক দল কখনো অস্ত্র ধারণ করতে পারে না। বরং তারা হবে খুব নমনীয় ও নিরীহ। এসব ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। এর পিছনে অন্যতম কারণ হলো ই’দাদ ও জিহাদ সংশ্লিষ্ট শর*য়ী নির্দেশনার বিরোধিতা, যা মুরজিয়াদের আদর্শ। ফলে আমেরিকা ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে জিহাদের ক্ষেত্রেও তাদের এমন আদর্শের পরিবর্তন ঘটবে না। ৯/১১ এর পর মুজাহিদগণ ধার্মিক শ্রেণীর মাঝে এই ভ্রান্ত চেতনা দেখতে পেয়েছেন ই’দাদ একটি মহান ইবাদত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা একটি তীরের কারণে তিন জনকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (১) তীর নির্মাতা যে পুণ্যের আশায় তা তৈরি করেছে (২) তীর নিক্ষেপকারী (৩) তা সংগ্রহকারী। সুতরাং তোমরা তীরন্দাজি এবং অশ্ব চালানো শিখো। তবে আমার কাছে অশ্ব চালানো থেকে তীরন্দাজি অধিক পছন্দের। আর যে তীরন্দাজি শিখে অনাগ্রহের কারণে তা ছেড়ে দিল সে যেন মহান আল্লাহ তাআলার একটি নেয়ামতকে অস্বীকার করল। (আবু দাউদ) ওলামায়ে কেরাম বলেন, যে ব্যক্তি তীরন্দাজি শিখল অতঃপর অনাগ্রহের কারণে তা ভুলে গেল সে কবিরা গুনাহে লিপ্ত হল। হে প্রিয় ভাই, আপনি কি বুঝতে পারছেন যে, কিছু দল শরীয়তের একটি সুস্পষ্ট বিধানের ব্যাপারে চরম অবহেলা করছে। আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করবেন, সেটা কী? সেটা হলো ই’দাদ, বিশেষতঃ সামরিক প্রস্তুতি। তারা কেন সামরিক প্রস্তুতিকে না বোঝার বাহানা করছে? অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বর থেকে ঘোষণা করেছেন, তোমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে যথাসাধ্য শক্তি অর্জন কর। জেনে রাখো, শক্তি হলো ক্ষেপণ শক্তি! (মুসলিম) সুতরাং যে ব্যক্তি 15 বছর কিংবা তার চেয়ে কমবেশি সময় আকীদাগত প্রস্তুতিতে ব্যয় করেছে তার উদ্দেশ্যে আমি বলব, আপনার কি এখনো সামরিক প্রস্তুতি নেয়ার সময় হয়নি? নাকি আপনার মনে হয় মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অবস্থা খুবই ভালো?! মুসলিম রাষ্ট্রগুলো কি আল্লাহর শরীয়ত মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে? মানুষ কি তাদের অধিকারসমূহ গ্রহণ করতে পারছে? মুসলিমরা কি ইহুদি-খ্রিস্টান এবং অন্যান্য শত্রুর কবল থেকে স্বাধীন হয়ে গেছে? যদি এসব বিষয় বাস্তবায়িত হয়েও থাকে তবুও ই’দাদের হুকুম অবশিষ্ট থাকবে যতক্ষণ না কাফেরদের রাষ্ট্রগুলো বিজিত হয়। এটাই ইসলামের বিধান। আল্লাহর অনুগ্রহে আল কায়েদা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে ই’দাদের অর্থ বুঝেছে এবং যথাসাধ্য তা কার্যত বাস্তবায়ন করেছে। এক্ষেত্রে আল কায়েদা অন্য যে কোন দল থেকে শ্রেষ্ঠ। আর এ বিষয়টি আমেরিকা এবং মুনাফিকদের মধ্যমপন্থী মতবাদের বিরোধী । (আল্লাহর কাছেই সমস্ত অভিযোগ। তাঁর উপরই ভরসা। তিনিই একমাত্র সাহায্যকারী।)

    ১১. কারণ তারা কুরআন-সুন্নাহর ওপর হেকমত-মাসলাহাতকে প্রাধান্য দেয় না।


    হেকমত মাসলাহাত একটি সর্বসম্মত গ্রহণযোগ্য কায়দা বা নীতি। কিন্তু এযুগে এটার অপব্যবহার বেড়ে গেছে। ভুল জায়গায় এর প্রয়োগের কারণে শরীয়তের অনেক আহকাম আজ বিলুপ্তপ্রায়। তাই এই নীতিটিকে যথাস্থানে প্রয়োগ করতে হবে এবং শরীয়তের দলীলের উপর একে প্রাধান্য দেয়া যাবে না। কোন মাসআলায় হেকমত মাসলাহাত নিয়ে আলোচনার পূর্বে মূল মাসআলায় উভয় পক্ষের একমত হতে হবে। কেউ যদি এটা মানে যে, মানব রচিত সংবিধান কুফরী এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করা কুফরি, তাহলে মূল মাসআলায় সে আমাদের সাথে একমত। সুতরাং আমরা তার সাথে সমসাময়িক মাসআলায় হেকমত মাসলাহাত নিয়ে আলোচনা করবো। আর যদি কেউ মানব রচিত সংবিধান ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করাকে কুফরি মনে না করে করে তবে তো মূল মাসালাতেই তার সাথে আমাদের মতবিরোধ। সুতরাং হেকমত মাসলাহাত নিয়ে আমরা তার সাথে কোন রকম তর্কে-বিতর্কে জড়াবো না। মৌলিক মাসআলায় যারা আমাদের সাথে একমত তাদের উদ্দেশ্যে বলব, ‘মানবরচিত বিধান দ্বারা রাষ্ট্রপরিচালনাকারী তাগুত শাসকদের নিরাপদ ও বিলাসী জীবন যাপন স্বয়ং একটি অশান্তি, অকল্যাণ। কারণ তারা কুফরের উপর জিহাদ বিহীন লাঞ্চনাময় জীবন যাপন করছে। অথচ শত্রুর বিরুদ্ধে মারমুখী যুদ্ধ কুফরের উপর শান্তিতে বসবাস থেকেও উত্তম। সুতরাং আপনি বিষয়টি ভেবে দেখুন!!!’ আল কায়েদা মুরতাদ শাসকের সাথে যুদ্ধ করে এবং তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে। কিন্তু অনেক ইসলামী দল তাদের মুরতাদ মনে করলেও তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে না। কারণ তারা মনে করে, এটা দাওয়াতের হেকমত পরিপন্থী, অথচ এটা মিল্লাতে ইবরাহীম বা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীত। পূর্বে এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা গিয়েছে। কতিপয় ক্ষুদ্র চিন্তাধারী রক্ত প্রবাহের কারণে মুজাহিদগণের কুৎসা রটনা করে। অথচ সে ভুলে যায় যে এখনো ভূপৃষ্ঠ থেকে শিরক বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। যার কারণে পৃথিবীতে রক্ত ঝরছে। পৃথিবীর বুকে যতদিন শিরক থাকবে ততদিন রক্ত ঝরতে থাকবে এটা আল্লাহর আদেশ,
    وقاتلوهمحتىلاتكونفتنة
    ‘তাদের সাথে লড়াই করে যাও যতক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয়।’ সুতরাং বাস্তবতা হল এরা মূল সমস্যাটাই অনুধাবন করতে পারেনিমূল সমস্যা হলো শরীয়ত প্রতিষ্ঠিত না হওয়া। শরীয়ত পতিষ্ঠিত না হওয়ার কারণেই শত প্রাণ হরণ হচ্ছে এবং রক্তের সাগর প্রবাহিত হচ্ছে। সুতরাং রক্ত ঝরার তুলনায় শরীয়ত প্রতিষ্টিত না হওয়াটাই আমাদের নিকট বড় বিষয় এবং এটা নিয়েই আমাদের উদ্বিগ্ন থাকা উচিত। সুলাইমানইবনে সাহমান রহ. বলেন, শহরবাসী ও গ্রামবাসী পরস্পর লড়াই করে যদি নির্মূলও হয়ে যায় তবুও এটা তাদের জন্য একজন তাগুতকে শাসক বানানো অপেক্ষা ছোট পাপ। সাইয়েদ কুতুব রহ. বলেন, ‘দাওয়াতের মাসলাহাত এমন একটি মূর্তির রূপ ধারণ করেছে, দায়ীরা যার উপাসনায় ব্যস্ত থাকে এবং দাওয়াতের মূল পদ্ধতি ও পথ ভুলে যায়। দায়ীদের কর্তব্য, দাওয়াতের সঠিক পথে অবিচল থাকা এবং সঠিক পথ অনুসন্ধান করে যথাযথ তার অনুসরণ করা। সঠিক পথ অনুসরণ করলে কী ফলাফল আসবে সেদিকে দৃষ্টিপাত না করা বাঞ্ছনীয়। কারণ তা দাওয়াত ও দায়ীদের জন্য ঝুঁকি ও ভয়ের বিষয়। সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে -ফলাফলের দিকে তাকিয়ে কোন কারণে এই পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়া। তাই দায়ীদের কাজ শুধু সঠিক পদ্ধতিতে দাওয়াত দিয়ে যাওয়া, ফলাফল আল্লাহর হাতে। কল্যাণ কোথায় নিহিত আল্লাহ ভাল জানেন। তা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দায়ীদের নয়। তাদের দায়িত্ব শুধু দাওয়াতের পথে অবিচল থাকা এবং এ পথ থেকে বিচ্যুত না হওয়া।’
    বলছিলাম হেকমত-মাসলাহাতের কথা। হেকমত-মাসলাহাতের নামে এখন অনেক কিছু হচ্ছে : নির্দ্বিধায় হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া যাচ্ছে, জিহাদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান করা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রবেশ করছে এবং মুজাহিদদের নামে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। এই হেকমত-মাসলাহাতের কারণেই শরীয়তের দলিলসমূহ আপন মহত্ত্ব হারিয়ে ফেলেছে, মানুষ যুক্তিকে শরীয়তের আহকামের উপর প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে, সমাজে অনেক বিদআত চালু হয়ে গিয়েছে এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য সাহায্য আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে; যার দরুন মুসলমানরা আজ সাহায্যবঞ্চিত ও লাঞ্ছিত। সুতরাং শয়তানের ধোঁকা থেকে সাবধান। এই হেকমত-মাসলাহাতের নাম দিয়েই অনেক ইসলামী দল মার্কিন দূতাবাসে হামলার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছে। এই হেকমত-মাসলাহাতের নাম দিয়েই আল ওয়ালা ওয়াল বারা এর বিশুদ্ধ আক্বীদাকে মাটি চাপা দিয়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ও রাফেজীদের সাথে পরামর্শ সভা সংঘটিত হয়েছে। গতকালও যারা রাফেজীদের কাফের বলতো তারাই আজ তাদেরকে ভাই ও বন্ধু বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে আল কায়েদার অবস্থান একেবারে সুস্পষ্টআল্লাহই সঠিক পথের দিশারী।

    পরবর্তী পর্বগুলোও শীঘ্রই দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ
    …. আপনার নেক দুআয় ভুলবেন না….
    হে আল্লাহ, সর্বদা হক্ব পথে অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।

  • #2
    শুকরিয়া আখি..!!
    আল্লাহ তা'য়লা আপনাকে ভরপুর যাযায়ে খাইরা দান করুন..আমীন...।।
    যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

    Comment

    Working...
    X