Announcement

Collapse
No announcement yet.

📜উস্তায আবু মুস'আব সূরী (ফাক্কাল্লাহু আসরাহু) এর অমূল্য অসিয়াত🌠🌠🌠

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 📜উস্তায আবু মুস'আব সূরী (ফাক্কাল্লাহু আসরাহু) এর অমূল্য অসিয়াত🌠🌠🌠

    [উস্তায আবু মুস'আব সূরী (ফাক্কাল্লাহু আসরাহু) চলমান বৈশ্বিক জিহাদের অগ্রপুরুষদের মাঝে অন্যতম এক ব্যক্তিত্ব। দাওয়াত ও জিহাদের ময়দানে তাঁর নিরলস চেষ্টা ও কুরবানী ছিলো অনন্য।তিনি ২০০৪ সালে পাকিস্তানে তাগুতদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কারাবন্দী অবস্থায় আছেন। তাঁর সাড়াজাগানো গ্রন্থ دعوة المقاومة الإسلامية العالمية (বৈশ্বিক জিহাদের দাওয়াত) হতে এই অসিয়াতটি বাংলাভাষাভাষী মুসলিম ভাইদের সামনে তুলে ধরা হলো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এর দ্বারা উপকৃত করুন এবং মুজাহিদ ভাইদের দ্বারা কাফেরদের লাঞ্ছিত করে তাঁর মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। আমীন।]

    بسم الله الرحمن الرحيم

    পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি।

    সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার জন্য।দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের মনিব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,তাঁর পরিবার-পরিজন, সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম এবং যারা সঠিক ভাবে তাঁদের অনুসরণ করেছেন তাঁদের উপর। হামদ ও সালাতের পর:

    📜 আমার অসিয়ত:

    আমি আল্লাহ তায়ালার রহমতের মুখাপেক্ষী বান্দা ,মোস্তফা ইবনে আব্দুল কাদির(ست مريم نصار), প্রসিদ্ধ নাম: উমার আব্দুল হাকিম, আবু মুস'আব সূরী।

    আমি আমার পরিবার-পরিজন ও সকল ভাইকে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করার এবং তাঁর দ্বীন ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিদায়াতকে আঁকড়ে ধরার অসিয়ত করছি।ফেতনা এখন অন্ধকার রাতের টুকরায় পরিণত হয়েছে, যার এক অংশ অন্য অংশকে ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে।আমরা এমন এক সবরের সময়ের মধ্যে অবস্থান করছি যার মধ্যে দ্বীনকে আঁকড়ে ধারণকারী হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার ধারণকারী ব্যক্তির ন*্যায়।এই সময় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
    يصبح الرجل مؤمنا و يمسي كافرا يبيع دينه بغرض من الدنيا قليل}
    অর্থাৎ: মানুষ এমন হবে যে, সকালে মুমিন থাকবে আর সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে, যে দুনিয়ার সামান্য কিছুর বিনিময়ের তার দ্বীনকে বিক্রি করবে।}
    তাই আল্লাহ তায়ালার রহমতের পর তাঁর আদিষ্ট বিষয়গুলোকে আঁকড়ে ধরা, তাঁর অনুগত বান্দাদের সাহচর্য, তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে ও তাঁর অবাধ্য বান্দাদের থেকে দূরে থাকা এবং আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা, শুভ পরিণাম কামনা করা এগুলো ছাড়া এসব ফেতনা থেকে মুক্তিলাভ করা সম্ভব নয়।

    আমি তাদেরকে এবং যেসব মুসলিম ভাইয়ের কাছে আমার এই অসিয়ত পৌঁছবে তাদের সবাইকে আল্লাহ তায়ালার দুশমন কাফের বাহিনী এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনকারী ও সাহায্যকারী মুনাফিকদের সাথে নিজেদের হাত, জবান ও অন্তর দ্বারা জিহাদ করে যাওয়ার অসিয়ত করছি।আর আল্লাহ তায়ালা সামর্থের বাইরে কাউকে কিছু চাপিয়ে দেন না। জিহাদ বর্তমান সময়ে সালাত ও যাকাতের ন্যায় ফরযে আইন।

    আমি এই অসিয়তটি এমন অবস্থায় লিখছি যখন আমরা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় বিভিন্ন বিপদ ও পরীক্ষার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছি যেসব বিপদ ও পরীক্ষা দ্বারা আল্লাহ আমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন।বর্তমানে আমরা এক আশ্রয় হতে অন্য আশ্রয়ে ছুটে বেড়াচ্ছি , আল্লাহর শত্রু ও তাদের সাহায্যকারী মুনাফিক মুরতাদরা আমাদের ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে। এজন্য আমি এই অসিয়তে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবগত করতে চাই। আর তা হলো:

    যদি আল্লাহ তায়ালা স্বীয় ইচ্ছায় আমাদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেন যেমনটি আমরা চাই, তাহলে অবশ্যই আমরা আল্লাহ তায়ালার আদেশ মোতাবেক কাফের ও তাদের মুনাফিক সহচরদেরকে পরাভূত করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে যাবো এবং আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর পথে শহীদ হিসেবে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবো যখন তিনি আমাদের উপর সন্তুষ্ট থাকবেন।আর আমি এই কিতাব دعوة المقاومة الإسلامية العالمية এর مرحلة المخابئ অংশের শেষ দিকে আমার আকীদা, ধ্যানধারণা ও মানহাজের খোলাসা লিপিবদ্ধ করেছি।সেখানে আমার আকীদা, ধ্যানধারণা, সাধারনভাবে সকল মুসলিমদের জন্য এবং বিশেষভাবে মুজাহিদ ভাইদের জন্য আমার নসীহত ও আহ্বান, সর্বশেষ অভিজ্ঞতালব্ধ বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয় ইত্যাদি রয়েছে। আর হেদায়াত ও ক্ষমালাভের প্রার্থনাতো আল্লাহ তায়ালার নিকটই।

    আর যদি আমাদের বিশিষ্ট ভাইদের মতো আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য বন্দীত্বের ফায়সালা করেন – আল্লাহ নিকট এ থেকে পানাহ চাচ্ছি– তাহলে আমি আপনাদেরকে এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, বন্দী মুসলিমদেরকে মুক্ত করা সমস্ত মুসলিমদের জিম্মায়, বিশেষ করে মুজাহিদ ভাইদের জিম্মায় বিশাল এক আমানত।আমি আরেকটি বিষয়ে এখানে দৃষ্টিপাত করতে চাচ্ছি। আর তা হলো, বন্দীরা হলো এমন মানুষ যারা ইচ্ছা শক্তি হারিয়ে ফেলে, শরীয়তে তাদের কথা ও যে বিষয়ে তাদের বাধ্য করা হয় তা গ্রহণযোগ্য ও ধর্তব্য হয় না।আল্লাহ না করুন যদি আমি বন্দী হওয়ার পর আমার থেকে এমন কিছু প্রকাশ পায় যা এই কিতাবে লিখিত বিষয়বস্তু অর্থাৎ আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আহ্বান করার সাথে সাংঘর্ষিক হয়, অথবা যদি এমন কোনো অবস্থান বা কথা আমার থেকে প্রকাশ পায় যা ওই সত্য পথের সাথে সাংঘর্ষিক হয় যাকে আমরা সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছি ও যার দিকে আমরা আহ্বান করছি তাহলে আপনারা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন ও তা ছুঁড়ে ফেলে দিবেন। এটাই হলো আল্লাহর শত্রুদের চাপের মুখে মুসলিম বন্দীদের থেকে যা প্রকাশ পায় এর শরয়ী হুকুম। আর আমাদের জন্য মিশরে ঘটে যাওয়া এ ধরনের ঘটনার মধ্যে বেশ শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে।

    আমি আমার জীবনের বেশিরভাগ অংশ পার করেছি এইসব কুফফার, তাদের সহযোগী মুরতাদ মুনাফিকদের সাথে জান, জবান ও কলম দ্বারা জিহাদ করে যাওয়ার চেষ্টায়। কিন্তু আমি পরিপূর্ণভাবে সক্ষম হই নি। আল্লাহ তায়ালার নিকট আশা করি যেন তিনি আমার নেক আমলগুলোকে কবূল করে নেন এবং আমার পদস্খলন ও দুর্বলতাগুলোকে মাফ করে দেন।আর আমি আল্লাহ তায়ালার রহমত ও তাঁর ক্ষমা থেকে নিরাশ নই। আমি আরো আশা করি তিনি যেন আমাকে এখলাস, কবুলিয়াত ও তাঁর রাস্তায় শাহাদাত দান করেন এবং আমাকে তাদের মধ্যে শামিল করেন যাদের উপর তিনি দয়াপরবশ হয়ে অনুগ্রহ করেছেন।

    আমার নিয়ত ছিলো যে, আমি যেসব বয়ান ও ভিডিও রেকর্ড করেছিলাম সেগুলোকে একত্রিত করে তার সূচী লিখে দিবো আর তার সাথে আমার সকল লিখনীগুলোও তারিখ অনুযায়ী যোগ করে দিবো। এরপর সেগুলোকে الأعمال الكاملة (পূর্ণাঙ্গ কার্যাবলী) এই শিরোনামে বড় এক বড় সংকলন আকারে প্রকাশ করবো।কিন্তু স্থান-কালের কারণে আমার এর সুযোগ হয়ে উঠেছে না।যোগ্যতাসম্পন্ন কেউ যদি এই কাজটি করতে চান তাহলে আমি আশা করি এতে মুসলিমদের উপকার হবে, আমার আমল যখন বন্ধ হয়ে যাবে তখন তা আমার নিকট সওয়াব পৌঁছার মাধ্যম হবে এবং এতে অংশগ্রহণকারী সকলের জন্যও সওয়াবের মাধ্যম হবে। যদি কেউ এই কাজে অংশগ্রহণ করেন তাহলে তারা যেন শাইখ আব্দুল্লাহ আজ্জাম রহি: এর প্রকাশনাগুলোর সংকলন ও পরে তা এক বিশ্বকোষ আকারে প্রকাশের কর্মপন্থাকে সামনে রাখেন। নিঃসন্দেহে তা ছিল অত্যন্ত সুন্দর একটা কর্মপন্থা। আল্লাহ তায়ালা তাতে অংশগ্রহণকারীদের উত্তম প্রতিদান দান করুন। তারা চাইলেفهرس الإنتاج এই পুস্তিকাটির সাহায্য নিতে পারেন যাতে অনেক প্রকার বিষয়বস্তুর এক পূর্নাঙ্গ তালিকা রয়েছে। আল্লাহই একমাত্র তাওফিক দানকারী।

    সকলের নিকট আমি আবেদন করছি, যেন সবাই আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন, আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন, আল্লাহ তায়ালার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতে আমার জন্য মাগফিরাত ও অফিয়াত লাভের ও শাহাদাতের মর্যাদা লাভের দুআ করেন।

    আমার নিকট কতিপয় ভাইয়ের কিছু ঋণ ছিলো। যদি তারা মনে করেন যে আমার থেকে ঋণের দায়ভার উঠিয়ে নিবেন, তাহলে আমিও তাদের থেকে এটাই আশা করি। আর তারা তাদের হক নিতে চাইলে তারা যেন আমার পরিবার-পরিজনের নিকট যায়।আমি তাদের নিকট আমি আশা করি যে, তারা আমার জিম্মায় যা আছে তা পরিশোধ করে দিবে।সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাকে দুনিয়া তালাশের পরিবর্তে তাঁর রাস্তায় জিহাদে ব্যস্ত রেখেছেন।আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে আশা রাখি যে, যেন আমি তাঁর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করি যখন আমার জিম্মায় কারো কোনো হক থাকবে না। হয়তো হকদারের হক পরিশোধ করে দেওয়া হবে, বা সে দাবি ছেড়ে দিবে অথবা আল্লাহ তায়ালা স্বীয় অনুগ্রহে এর দায়িত্ব নিয়ে নিবেন। আর আমার সকল বিষয় তাঁর ক্ষমা ও অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী।

    আমি আমার পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন ও সকল দ্বীনী ভাইকে ধৈর্যধারণ ও আল্লাহ তায়ালার নিকট সওয়াবের আশা রাখার ব্যাপারে অসিয়ত করছি।আমার ওফাত বা কোনো বিপদের সংবাদ তাদের কাছে পৌঁছলে তারা যেন কল্যাণকর ও আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা ছাড়া অন্য কিছু না বলে।আর কল্যাণকর ও আল্লাহর সন্তুষ্টির কথাসমূহের মাঝে সর্বোত্তম হলো এটা বলা যে,
    إنا لله وإنا إليه راجعون، لله ما أعطى وله ما أخذ، ولا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم، اللهم اغفر لعبدك الضعيف المسكين

    অর্থাৎ, আমরা সকলেই আল্লাহ তায়ালার জন্য, তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাবো।আল্লাহ তায়ালা যা দান করেন ও নিয়ে নেন এসব কিছু তাঁর জন্যই।সমুন্নত ও মহামহিম আল্লাহ তায়ালার সাহায্য ছাড়া ভাল কাজ করার এবং খারাপ কাজ হতে বিরত থাকার সাধ্য কারো নেই। হে আল্লাহ, আপনি আপনার দুর্বল ও দরিদ্র বান্দাকে ক্ষমা করে দিন।

    আমি মৃত্যু বরণ করলে বা নিহত হলে যারা আমার কাফন-দাফন করবে তাদের ব্যাপারে আমার অসিয়াত হলো যে, কাফন-দাফনের ক্ষেত্রে তারা যেন সুন্নাহর প্রতি মনোযোগী হয় এবং আমার কবরে যেন কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করে। আর এটা তখনই হতে পারে যখন আমার কোনো কবর থাকবে।

    আমি দুনিয়াকে বিদায় জানানো এবং আখিরাতের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ইনশাআল্লাহ কিছু পঙক্তি পাঠ করবো। এগুলোকে এই অসিয়াতটি লিখার সময় তাতে আল্লাহ তায়ালার রহমতের আশায় রচনা করেছিলাম। সেগুলো হলো:

    قدمت على إله كل ظني★ بأن أنجو و أني لا أخيب
    فربي غافر بر رحيم★ كريم محسن وهو المجيب
    و ما في جعبتي إلا رجاء★ و حسن الظن فيه لا يخيب
    و أني شاهد لا إله★ سوى الرحمن يرجوه الأريب
    و أن محمدا خير البرايا★ رسول الله للباري حبيب

    আমার এই ধারণা আল্লাহ তায়ালার দিকে ধাবিত হয়েছে যে(আল্লাহ তায়ালার প্রতি আমার এই ধারণা যে), আমি নাজাত পেয়ে যাবো এবং ব্যর্থ হবো না।

    কেননা আমার রব তো হলেন পরম ক্ষমাশীল, দানশীল, দয়ালু, করুনাময় ও অনুগ্রহশীল। আর তিনিই একমাত্র সাড়াদানকারী।

    আমার শিহরণ বা কম্পনে কেবল আশা ও এই নাজাতের ব্যাপারে সুধারণাই রয়েছে যা কখনো ব্যর্থ হয় না।

    আমি এই কথার সাক্ষী দেই যে,ওই দয়াময় আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহা নেই বুদ্ধিমানরা যার কাছে আশা করে থাকে।

    এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৃষ্টিজীবের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি, আল্লাহর রাসূল, তিনি মহাসৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।

    পরিশেষে হে মুমিনগণ, আমি আপনাদেরকে ওই অসিয়ত করছি যা করেছিলেন শামের ভূমির শহীদুল ইসলাম আমাদের শাইখ মারওয়ান হাদীদ রহি:। আল্লাহ তাঁকে স্বীয় প্রশস্ত জান্নাত সমূহের অধিবাসী বানান।

    "তোমাদের আদর্শ হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদ করেছেন। অতএব তোমরা আল্লাহর শত্রুদের সাথে এমন আচরণই করো যেমনটি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।আল্লাহ তায়ালা বলেন:
    {فَإِذَا لَقِيتُمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَضَرۡبَ ٱلرِّقَابِ حَتَّىٰٓ إِذَآ أَثۡخَنتُمُوهُمۡ فَشُدُّواْ ٱلۡوَثَاقَ
    অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দানে মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত করে ফেলো তখন তাদেরকে শক্ত করে বেঁধে ফেল। }
    {وَأَعِدُّواْ لَهُم مَّا ٱسۡتَطَعۡتُم مِّن قُوَّةٖ وَمِن رِّبَاطِ ٱلۡخَيۡلِ تُرۡهِبُونَ بِهِۦ عَدُوَّ ٱللَّهِ وَعَدُوَّكُمۡ وَءَاخَرِينَ مِن دُونِهِمۡ لَا تَعۡلَمُونَهُمُ ٱللَّهُ يَعۡلَمُهُمۡۚ
    আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন।}

    জেনে রাখো, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কেউই বিজয়ী নয়। তাই ভীতুদের চোখের ঘুম হারাম হোক।

    হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন:
    {إِنَّكَ مَيِّتٞ وَإِنَّهُم مَّيِّتُونَ
    নিশ্চয় আপনারও মৃত্যু হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে।}
    আর মৃত্যুর পর প্রত্যেকটা বিপদেই হবে অত্যন্ত কঠিন।

    আমরা অচিরেই আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের প্রিয় রাসূল ও তাঁর সাহাবাদের সাথে মিলিত হবো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সর্দার মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ও তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবাদের উপর রহমত বর্ষণ করুন।"

    আমাদের সর্বশেষ কথা হলো যে, সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার জন্য।

    أشهد أن لا إله إلا الله و أشهد أن محمدا رسول الله
    আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহা নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে , মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার রাসূল।

    আল্লাহ তায়ালার রহমত, ক্ষমা ও দয়ার মুখাপেক্ষী বান্দা–
    মুস্তফা ইবনে আব্দুল কাদির
    (উমার আব্দুর হাকীম/ আবু মুস'আব সূরী)

    শাওয়াল ১৪২৫ হিজরী,
    ডিসেম্বর ২০০৪ ঈসায়ী।
    Last edited by মুহিব্বুল্লাহ; 06-14-2019, 08:23 AM. Reason: বানান ও বিন্যাস কিছুটা ঠিক করা
    فَلۡيُقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يَشۡرُونَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا بِٱلۡأٓخِرَةِۚ وَمَن يُقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيُقۡتَلۡ أَوۡ يَغۡلِبۡ فَسَوۡفَ نُؤۡتِيهِ أَجۡرًا عَظِيمٗا

    কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জিহাদ করাই কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর রাহে জিহাদ করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব।(সূরা নিসা, আয়াত ৭৪)

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই..আল্লাহ তা‘আলা আপনার মেহনতকে কবুল করে নিন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তায়ালা আমাদের এ প্রিয় শায়খের ছায়াকে আমাদের মাঝে দীর্ঘায়ীত করুন আমীন
      জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
      পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

      Comment


      • #4
        আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment


        • #5
          আজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মুজাহিদিন বন্দীরা রক্তাক্ত বদনে মুক্তির প্রহর গুনছে। তাদের অসহায়ত্ব আর করুণ আর্তনাদ আজও আমাদের গাফলতি ঘুম ভাঙাতে সক্ষম হয়নি। আমরা আজও ঠিক করতে পারিনি আমাদের টার্গেট। টুকটাক কিছু কাজ করতে পারলেই ভাবি, আমি যথেষ্ট কাজ করে ফেলেছি। আসলে আমাদের নফস আমাদের ধুঁকার মাঝে ফেলে রাখতে চায়।

          বন্দী মুজাহিদিন ভাইদের মুক্ত করার মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে নিয়েও আমরা এখন আরামে ঘুমাতে পারি। কাজে অলসতা ও গাফলতি করতে পারি। অথচ এই মিশন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবকিছু কুরবান করা উচিৎ ছিল। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। বন্দী ভাইদের মুক্ত করার সামর্থ্য ও তাওফিক দান করুন।
          আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সকল বন্দী মুজাহিদিন ও মুমিনদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। আমীন।

          إبك دما يا عيون - لى إخوة فى سجون
          آذاهم المجرمون - عاداهم المعتدون

          Comment


          • #6
            সত্যিই বলেছেন ভাই...আমাদের গাফলতি আর উদাসীনতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে...
            আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন এবং পৃথিবীর সকল বন্দী মুজাহিদিন ও মুমিনদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। আল্লাহুম্মা আমীন।
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              ফেতনা এখন অন্ধকার রাতের টুকরায় পরিণত হয়েছে, যার এক অংশ অন্য অংশকে ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে।আমরা এমন এক সবরের সময়ের মধ্যে অবস্থান করছি যার মধ্যে দ্বীনকে আঁকড়ে ধারণকারী হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার ধারণকারী ব্যক্তির ন*্যায়।এই সময় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
              يصبح الرجل مؤمنا و يمسي كافرا يبيع دينه بغرض من الدنيا قليل}
              অর্থাৎ: মানুষ এমন হবে যে, সকালে মুমিন থাকবে আর সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে, যে দুনিয়ার সামান্য কিছুর বিনিময়ের তার দ্বীনকে বিক্রি করবে।}
              তাই আল্লাহ তায়ালার রহমতের পর তাঁর আদিষ্ট বিষয়গুলোকে আঁকড়ে ধরা, তাঁর অনুগত বান্দাদের সাহচর্য, তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে ও তাঁর অবাধ্য বান্দাদের থেকে দূরে থাকা এবং আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা, শুভ পরিণাম কামনা করা এগুলো ছাড়া এসব ফেতনা থেকে মুক্তিলাভ করা সম্ভব নয়।






              আল্লাহ তায়ালা আমাদের ইমান কে হেফাজত করুন আমিন
              ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

              Comment


              • #8
                আল্লাহুম্মা ফুক্কা আসরাহু।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by MUBARIZ View Post
                  আজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মুজাহিদিন বন্দীরা রক্তাক্ত বদনে মুক্তির প্রহর গুনছে। তাদের অসহায়ত্ব আর করুণ আর্তনাদ আজও আমাদের গাফলতি ঘুম ভাঙাতে সক্ষম হয়নি। আমরা আজও ঠিক করতে পারিনি আমাদের টার্গেট। টুকটাক কিছু কাজ করতে পারলেই ভাবি, আমি যথেষ্ট কাজ করে ফেলেছি। আসলে আমাদের নফস আমাদের ধুঁকার মাঝে ফেলে রাখতে চায়।

                  বন্দী মুজাহিদিন ভাইদের মুক্ত করার মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে নিয়েও আমরা এখন আরামে ঘুমাতে পারি। কাজে অলসতা ও গাফলতি করতে পারি। অথচ এই মিশন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবকিছু কুরবান করা উচিৎ ছিল। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। বন্দী ভাইদের মুক্ত করার সামর্থ্য ও তাওফিক দান করুন।
                  আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সকল বন্দী মুজাহিদিন ও মুমিনদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। আমীন।

                  إبك دما يا عيون - لى إخوة فى سجون
                  آذاهم المجرمون - عاداهم المعتدون
                  সত্যিই বলেছেন ভাই...আমাদের গাফলতি আর উদাসীনতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে...
                  আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন এবং পৃথিবীর সকল বন্দী মুজাহিদিন ও মুমিনদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। আল্লাহুম্মা আমীন।
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ তা'য়ালা শায়েখকে উত্তম প্রতিদান দান করুন যিনি অন্য দশটা মানুষের ন্যায় কাফেরদের ভয়ে সত্যকে গোপন করে শান্তির জীবনকে বেছে নেননি , বরং নিজের জীবননকে ঝুকির মধ্যে নিক্ষেপ করে নির্ভয়ে সত্যকে প্রকাশ করে দিয়েছেন৷

                    কোন ভাই পারলে অনুরোধ রইল শাইখের "دعوة المقاومة الإسلامية العالمية " কিতাবটার পূর্ণ অনুবাদ করার৷

                    Comment


                    • #11
                      ""আর যদি আমাদের বিশিষ্ট ভাইদের মতো আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য বন্দীত্বের ফায়সালা করেন – আল্লাহ নিকট এ থেকে পানাহ চাচ্ছি– তাহলে আমি আপনাদেরকে এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, বন্দী মুসলিমদেরকে মুক্ত করা সমস্ত মুসলিমদের জিম্মায়, বিশেষ করে মুজাহিদ ভাইদের জিম্মায় বিশাল এক আমানত।আমি আরেকটি বিষয়ে এখানে দৃষ্টিপাত করতে চাচ্ছি। আর তা হলো, বন্দীরা হলো এমন মানুষ যারা ইচ্ছা শক্তি হারিয়ে ফেলে, শরীয়তে তাদের কথা ও যে বিষয়ে তাদের বাধ্য করা হয় তা গ্রহণযোগ্য ও ধর্তব্য হয় না।আল্লাহ না করুন যদি আমি বন্দী হওয়ার পর আমার থেকে এমন কিছু প্রকাশ পায় যা এই কিতাবে লিখিত বিষয়বস্তু অর্থাৎ আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আহ্বান করার সাথে সাংঘর্ষিক হয়, অথবা যদি এমন কোনো অবস্থান বা কথা আমার থেকে প্রকাশ পায় যা ওই সত্য পথের সাথে সাংঘর্ষিক হয় যাকে আমরা সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছি ও যার দিকে আমরা আহ্বান করছি তাহলে আপনারা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন ও তা ছুঁড়ে ফেলে দিবেন। এটাই হলো আল্লাহর শত্রুদের চাপের মুখে মুসলিম বন্দীদের থেকে যা প্রকাশ পায় এর শরয়ী হুকুম। আর আমাদের জন্য মিশরে ঘটে যাওয়া এ ধরনের ঘটনার মধ্যে বেশ শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে।""
                      فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                      Comment

                      Working...
                      X