Announcement

Collapse
No announcement yet.

>==>জেনে রাখুন, ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয় দশটি:<==<

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • >==>জেনে রাখুন, ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয় দশটি:<==<

    >==>জেনে রাখুন, ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয় দশটি:<==<


    ১। আল্লাহর ইবাদতে কোন কিছুকে শরীক করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

    {إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ﴾ [النساء: ٤٨}
    “নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না, তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।” [সূরা আন-নিসা: ৪৮]

    আরও বলেন,

    ﴿إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ ٧٢ ﴾ ﴿المائدة: ٧٢
    “নিশ্চয় কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করলে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আবাস হবে জাহান্নাম। আর যালেমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”[সূরা আল-মায়েদা: ৭২]

    আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও উদ্দেশ্যে যবেহ করা এর অন্তর্ভুক্ত। যেমন, কেউ যদি জ্বিনের উদ্দেশ্যে বা কবরের উদ্দেশ্যে যবেহ করে।
    ২। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর মাঝে অন্যদেরকে মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করে ও তাদের কাছে প্রার্থনা জানায়, তাদের নিকট সুপারিশ কামনা করে এবং তাদের উপর ভরসা করে, সে আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে কাফের।
    ৩। মুশরিকদেরকে কাফের বলে বিশ্বাস না করলে, বা তাদের কুফরীতে সন্দেহ পোষণ করলে, অথবা তাদের ধর্মমতকে সঠিক বলে মন্তব্য করলে সে-ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবে।
    ৪। যে ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনপদ্ধতির চেয়ে অন্য পথ-পদ্ধতিকে পরিপূর্ণ বলে বিশ্বাস করে; কিংবা নবীর বিধানের চেয়ে অন্য কারও বিধানকে উত্তম বলে মনে করে, তবে সে-ব্যক্তি কাফের। যেমন, যদি কোন ব্যক্তি তাঁর আনীত বিধানের উপর তাগুতের (মানব রচিত) বিধানকে অগ্রাধিকার দেয়— তবে সে ব্যক্তি কাফের।
    ৫। যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনীত কোনো বিধানের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করবে, সে যদি ঐ বিধানের উপর আমল করেও, তবুও সে কাফের।
    ৬। যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত সামান্য কোনো বিষয়, আল্লাহ্ প্রদত্ত সওয়াব-প্রতিদান কিংবা তাঁর কোনো শাস্তির বিধানের প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে, সে ব্যক্তি কাফের হবে।
    এর দলীল আল্লাহ্ তা‘আলার বাণী:

    {قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ﴾ [التوبة: ٦٥، ٦٦}
    “বলুন, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর নিদর্শন ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে বিদ্রূপ করছিলে? তোমরা আর অজুহাত পেশ করো না, তোমরা তো ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গেছ।” [সূরা আত-তাওবা: ৬৫-৬৬]

    ৭। জাদু করা। বিকর্ষণ ও আকর্ষণ করার জন্য তদবির করাও এর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে জাদু করবে অথবা জাদু করার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে, সে কাফের হবে।
    এর দলীল আল্লাহ তাআলার বাণী:

    {وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنۡ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ إِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَةٞ فَلَا تَكۡفُرۡۖ ﴾ [البقرة: ١٠٢}
    “তারা কাউকে (জাদু) শিক্ষা দিত না যতক্ষণ-না এ কথা বলত যে, আমরা পরীক্ষাস্বরূপ; সুতরাং তুমি কুফরী কর না।” [সূরা আল-বাকারা: ১০২]

    ৮। মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সাহায্য করা।
    এর দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

    {وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمۡ فَإِنَّهُۥ مِنۡهُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ﴾ ﴿المائدة: ٥١}
    “তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন হবে। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না”। [সূরা আল-মায়িদাহ: ৫১]

    ৯। যে ব্যক্তি এ-বিশ্বাস করে যে, খিযিরের পক্ষে যেমনিভাবে মূসা আলাইহিস সালামের শরীয়তের বাইরে থাকা সম্ভব ছিল, তেমনিভাবে কোনো মানুষের জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীয়ত থেকে বের হয়ে যাওয়ার অনুমতি আছে— তবে সে-ব্যক্তিও কাফের।
    ১০। আল্লাহ্ তা‘আলার দ্বীন ‘ইসলাম’কে উপেক্ষা করা বা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা— দ্বীনের জ্ঞান অর্জনও করে না, আর তা অনুযায়ী আমলও করে না (এমন ব্যক্তি কাফের)।
    এর দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

    { وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهِ ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْهَا إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِينَ مُنتَقِمُونَ ﴾ [السجدة: ٢٢}
    “যে ব্যক্তি তার রবের নিদর্শনাবলি দ্বারা উপদিষ্ট হওয়ার পর তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে আছে? আমরা অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি”। [সূরা আস সিজদা: ২২]

    উল্লেখিত বিষয়গুলো ঠাট্টাচ্ছলে হোক, উদ্দেশ্যমূলকভাবে হোক কিংবা ভয়ভীতির কারণে হোক— (কাফের হওয়ার) বিধানের দিক থেকে কোনো পার্থক্য হবে না; যদি-না কাউকে জোরপূর্বক বাধ্য করা হয়।
    এ-বিষয়গুলোর প্রতিটিই খুবই বিপজ্জনক, আর তা অনেকের জীবনে অহরহ সংঘটিত হয়ে থাকে। অতএব প্রতিটি মুসলিমের উচিত এ বিষয়গুলো থেকে সতর্ক থাকা ও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। আমরা আল্লাহর কাছে তাঁর ক্রোধ ও কঠিন শাস্তির কারণগুলোতে পতিত হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।

    আর আল্লাহ্ প্রশংসা করুন ও শান্তি বর্ষণ করুন তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মুহাম্মাদ, তার পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীগণের উপর।

    *সংগৃহীত*
    *************************************************
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-12-2021, 11:36 AM.
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

  • #2
    হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সকলকে ঈমান বিনষ্টকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন এবং খাঁটি ঈমান নসীব করুন..আল্লাহুম্মা আমীন
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 07-08-2019, 03:17 PM.
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      হে আল্লাহ সর্ব অবস্থায় ঈমানের উপর থাকার তাওফিক দান করুন,আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment


      • #4
        আল্লাহ, আপনি আমাদের ঈমানের উপর অটল রাখুন আমীন।
        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

        Comment


        • #5
          ভাই ঈমান ভঙ্গের এই ১০ টা কারণ সরাসরি কওন কিতাবের হাওলা থাকলে দিলে ভাল হত ভাই ।
          আল্লাহ আপনাকে যাযা দান করুন, আমীন ।

          Comment


          • #6
            Originally posted by al-aksar pothik View Post
            ভাই ঈমান ভঙ্গের এই ১০ টা কারণ সরাসরি কওন কিতাবের হাওলা থাকলে দিলে ভাল হত ভাই ।
            আল্লাহ আপনাকে যাযা দান করুন, আমীন ।
            সম্মানিত ভাই, আপনি নিচে ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কমেন্টটা দেখুন...আপনার উত্তর পেযে যাবেন, ইনশা আল্লাহ।
            আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকেও জাযায়ে খাইর দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন
            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 07-24-2019, 03:41 PM.
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment


            • #7
              Originally posted by al-aksar pothik View Post
              ভাই ঈমান ভঙ্গের এই ১০ টা কারণ সরাসরি কওন কিতাবের হাওলা থাকলে দিলে ভাল হত ভাই ।
              আল্লাহ আপনাকে যাযা দান করুন, আমীন ।
              মুহতারাম ভাই, এগুলো শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব রহ. এর লিখিত চিঠিসমূহের সংকলন ‘আররাসায়িলুশ শাখসিয়্যাহ’ কিতাবে আছে। ৩২ নং রিসালা, পৃষ্ঠা ২১২-২১৪
              মূল ইবারত:
              اعلم أن من أعظم نواقض الإسلام عشرة
              الأول: الشرك في عبادة الله وحده لا شريك له، والدليل قوله تعالى: {إِنَّ اللَّهَ لا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ} 2؛ ومنه الذبح لغير الله كمن يذبح للجن أو القباب.
              الثاني: من جعل بينه وبين الله وسائط، يدعوهم ويسألهم الشفاعة، كفر إجماعاً.
              الثالث: من لم يكفّر المشركين، أو شك في كفرهم، أو صحح مذهبهم، كفر إجماعاً.
              الرابع: من اعتقد أن غير هدي النبي صلى الله عليه وسلم أكمل من هديه، أو أن حكم غيره أحسن من حكمه، كالذين يفضلون حكم الطاغوت على حكمه، فهو كافر.
              الخامس: من أبغض شيئاً مما جاء به الرسول صلى الله عليه وسلم، ولو عمل به، كفر إجماعاً، والدليل قوله تعالى: {ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَرِهُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ} 1.
              السادس: من استهزأ بشيء من دين اللهن أو ثوابه، أو عقابه، كفر، والدليل قوله تعالى: {قُلْ أَبِاللَّهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ لا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ} 2.
              السابع: السحر، ومنه الصرف والعطف، فمن فعله أو رضي به كفر، والدليل قوله تعالى: {وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلا تَكْفُرْ} 3.
              الثامن: مظاهرة المشركين ومعاونتهم على المسلمينن والدليل قوله تعالى: {وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ} 4.
              التاسع: من اعتقد أن بعض الناس لا يجب عليه اتباعه صلى الله عليه وسلم، وأنه يسعه الخروج من شريعته كما وسع الخضر الخروج من شريعة موسى، عليهما السلام، فهو كافر.
              العاشر: الإعراض عن دين اللهن لا يتعلمه ولا يعمل به، والدليل قوله تعالى: {وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِآياتِ رَبِّهِ ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْهَا إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِينَ مُنْتَقِمُونَ} 1.
              ولا فرق في جميع هذه النواقض بين الهازل والجاد والخائف، إلا المكره؛ وكلها من أعظم ما يكون خطراً، ومن أكثر ما يكون وقوعاً؛ فينبغي للمسلم أن يحذرها ويخاف منها على نفسه. نعوذ بالله من موجبات غضبه وأليم عقابه. وصلى الله على محمد.اهـ الرسائل الشخصية 212-214

              Comment


              • #8
                মাশা'আল্লাহ! আল্লাহ সুব. সকল ভাইদের মেহনাতগুলো কবুল করুন,আমীন।
                এই পোষ্টটি আমাদের যাদের ফেসবুক আছে তাদের বেশি বেশি পোষ্ট করা উচিত। কারণ, আজ সমাজের অনেকেই অজু ভঙ্গের কারণ জানে; কিন্তু ঈমান ভঙ্গের কারণ জানে না। আল্লাহ সুব. আমাদের সকলকে ফরযে 'আইন পরিমাণ 'ইলম অর্জন করার তাওফীক্ব দান করুন,আমীন ইয়া রব্ব!
                বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                Comment


                • #9
                  মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাই-
                  আপনার শুকরিয়া আদায় করছি...জাযাকাল্লাহু খাইরান আহসানাল জাযা ফিদদুনিয়া ওয়া ফিল আখিরাহ। আমীন
                  আপনার জন্য দু‘আও করছি...আল্লাহ তা‘আলা যেন আপনার ইলমে ও আমলে ভরপুর বারাকাহ নসীব করেন। আমীন
                  “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ, আপনি আমাদের ঈমানের উপর অটল রাখুন আমীন।

                    Comment


                    • #11
                      رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّابُ

                      হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।
                      فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                      Comment

                      Working...
                      X