Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্* নিউজ ll ৮ই যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ১১ জুলাই, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্* নিউজ ll ৮ই যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ১১ জুলাই, ২০১৯ ঈসায়ী।

    টাঙ্গাইলে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে চুরি, এক নারীকে হত্যা!






    টাঙ্গাইলের সখীপুরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে শ্বাস রোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা হাতীবান্ধা ইউনিয়নের আমড়াতৈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ওই নারীর নাম সমেলা ভানু (৫৭)। তিনি মৃত বাবর আলীর স্ত্রী।

    পরিবার সূত্রে জানা জানা যায়, রাতে ঘরে ঢুকে সামেলা ভানুকে শ্বাস রোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁর গলার স্বর্ণের চেইন, পাঁচ হাজার ঢাকা ও অটোরিকশার চাবি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
    স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে একটি টিনের ঘরে বেড়া দিয়ে এক পাশে থাকতেন ওই নারী, আর অন্য পাশে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন ছেলে হোসেন আলী। মঙ্গলবার গভীর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ওই নারীকে দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

    ওই নারীর এক ছেলে হাসান আলী বিদেশ থাকেন। আরেক ছেলে হোসেন আলী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। খুনের সময় হোসেন আলী পাশের কক্ষেই স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। হোসেন আলীর ধারণা, সিঁধ কেটে প্রথমে চুরি করতে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢোকে। কিন্তু তাঁর মা দুর্বৃত্তদের চিনে ফেলায় তারা তাঁর মাকে খুন করে সটকে পড়ে।






    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/10/24603/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    রাজশাহীতে ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত, নেই উদ্ধার তৎপরতা!






    রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হলিদাগাছী এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

    এছাড়া রাতের সব ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে রাতের যাত্রীর চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
    তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। লাইনচ্যুত তেলবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধারে কাজ চলছে।
    রাজশাহী রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো আব্দুলপুর স্টেশনে আটকা পড়ে আছে। ফলে আন্তঃনগরসহ সবকটি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।
    রাজশাহী রেলস্টেশন মাস্টার জাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সারদা স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার রাজশাহীর দিকে এসে ট্রেনটির ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

    এতে রাজশাহীর সঙ্গে সব রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

    এদিকে রাত ১২টা পর্যন্তও লাইনচ্যুত তেলবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধারে তেমন কোনো অগ্রগতি ছিল না।






    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/11/24607/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ঢাকায় খরচ বাড়ছে পানির, শুধু পানি বাবদ খরচ হয় আয়ের ৪.৫৫ শতাংশ!






      দুই-আড়াই দশক আগেও ঢাকার রাস্তায় জগ-গ্লাস হাতে পথশিশুদের দেখা যেত ‘কলের পানি’ বিক্রি করতে। দাম জিজ্ঞেস করলে বলত, ‘খুশি হইয়া যা দ্যান।’ পানির দাম চাইতে এ পথশিশুদেরও সংস্কারে বাঁধত। এখন অবশ্য সেই ‘আড়’ ভেঙে গেছে। এখন অন্য দশটা পণ্যের মতো পানিও বিক্রি হয় দাম ধরে। শহরে ট্যাপের পানির ওপর আস্থা নেই, গ্রামে নলকূপের পানিতে আর্সেনিকভীতি।

      এই অবিশ্বাস আর ভীতিকে পুঁজি করেই দিনে দিনে জমে উঠেছে পানি বাণিজ্য। সারা দিন নানা ভেজাল খাবার খেলেও পানি নিয়ে সচেতনতা, সতর্কতার কমতি নেই কারো।

      বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, খাওয়া, রান্না ও পরিচ্ছন্নতার কাজে একজন মানুষের দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ লিটার পানি লাগে। সেই পানি কতটুকু নিরাপদ হবে তার একটা নীতিমালা ঠিক করে দিয়েছে সংস্থাটি, যার ভিত্তিতে রাষ্ট্রগুলো নিজেদের পানির মান নির্ধারণ করে। ইউএনডিপির মতে, পানির দাম পরিবারের আয়ের ৩ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।

      সরকারি সংস্থা বিবিএসের হিসাবে বাংলাদেশে মাথাপিছু গড় আয় মাসে তিন হাজার ৯৪০ টাকা, পরিবারের গড় আয় ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। পারিবারিক ব্যয় মাসে ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। এর মধ্যে খাদ্যবাবদ ব্যয় হয় সাত হাজার ৪৯৬ টাকা (৪৭.৭%)।

      রাজধানীর রাজাবাজার এলাকার একটি পরিবারে এপ্রিল মাসে পানির বিল এসেছে ৭২৩ টাকা। বিবিএসের গড় আয়ের হিসাবে পানিবাবদ পরিবারটির ব্যয় খাদ্য ব্যয়ের ৯.৬৪ শতাংশ। আর গড় মাসিক আয়ের ৪.৫৫ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের মানুষের গড় মাসিক আয় বাংলাদেশের প্রায় ১২ গুণ। সেখানে পাঁচজনের একটি পরিবারে সরবরাহ করা পানির খরচ পড়ে এই আয়ের মাত্র ০.৩০ শতাংশ।

      জানা গেছে, বাসস্থানে ব্যবহারের জন্য ওয়াসাকে নির্দিষ্ট হারে পানির দাম দিতে হচ্ছে। এর পরও বিশুদ্ধ পানির জন্য বাসায় ফিল্টার বসাতে হচ্ছে। অফিসে জার কিনতে হচ্ছে। বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। জনসমাগমের স্থলে উন্মুক্ত ট্যাপে পানির ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। ফলে কিনতে হয় বোতল বা জারের পানি। আধা লিটার বোতলের পানি কিনতে খরচ হচ্ছে ১৫ টাকা। রিকশাচালক ও শ্রমজীবী মানুষ ফুটপাতের দোকানের জারের পানি খায়। প্রতি গ্লাসের জন্য দিতে হয় এক টাকা। এখন অনেক জায়গায় দুই টাকাও নেওয়া হচ্ছে; যদিও এসব পানির মান নিশ্চিত নয়।

      পানির পেছনে এভাবে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ব্যক্তির ব্যয়, পারিবারিক ব্যয়। অধিকারকর্মীরা বলছেন, পানি বাণিজ্যিক পণ্য নয়, এটি সেবা। রাষ্ট্রকেই সাধারণ মানুষের জন্য এ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

      মগবাজার মোড়ের এক চায়ের দোকানে আবু মিয়া নামের এক রিকশাচালক এই প্রতিবেদককে জানান, গরমের মধ্যে একটানা বেশিক্ষণ রিকশা চালানো যায় না। দুই-তিনটি ট্রিপ দেওয়ার পরই ১০-১৫ মিনিটের বিশ্রাম দরকার পড়ে। এই সময়ে কমপক্ষে দুই গ্লাস পানি, একটা কলা বা একটা রুটি খেতে হয়। এভাবে রিকশা চালানোর সময়টাতেই প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস পানি খাওয়া পড়ে। প্রতি গ্লাস পানির দাম এক টাকা করে হলে দিনে খরচ পড়ছে ১০-১২ টাকা।

      আবু মিয়া মাসের ২৭-২৮ দিন রিকশা চালান। অর্থাৎ মাসে তাঁকে ৩০০ টাকার ওপর খরচ করতে হচ্ছে রাস্তায়ই শুধু পানিবাবদ। তিনি রাতে যেখানে ঘুমান সেখানেও বিভিন্ন খরচের সঙ্গে পানির একটি খরচ পরিশোধ করেন। প্রতিদিন রিকশার গ্যারেজের জমাখরচ বাদ দিয়ে তাঁর আয় থাকে ৫০০-৬০০ টাকা। অর্থাৎ মাসে তাঁর আয় হয় ১৪-১৬ হাজার টাকা।
      ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে যতক্ষণ অবস্থান করেন ততক্ষণ পানি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পানির জোগান দেয়। কিন্তু যখনই বাইরে চা-নাশতা খেতে যান, তখন তিনি পানির বোতল কেনেন। কারণ দোকানের জারের পানির মানের ওপর তাঁর ভরসা কম। মাসে ২০ দিনের মতো ক্লাস করতে হয়। প্রতিদিনই বাইরে থাকাকালীন তিনি অন্তত আধা লিটারের একটি পানির বোতল কেনেন। সে হিসাবে বাড়তি ৩০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এর বাইরে তাঁকে মেসে পানির বিল পরিশোধ করতে হয়। আশরাফুল বলেন, ‘পানির পেছনে বাসার একটা নির্দিষ্ট খরচ আছে। বাইরে বের হলে খরচ আরো বেড়ে যায়। কোনো কোনো দিন তো আধা লিটার করে দুই-তিনবার পর্যন্ত পানি কিনতে হয়।’

      বারিধারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি করপোরেট অফিসের এইচআর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের খাওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকার পানির জার কেনা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৬৫০-৭০০ টাকার পানির প্রয়োজন পড়ে অফিসটিতে। নাম প্রকাশ না করে অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বড় অফিস, কর্মীদের খাওয়ার জন্য ভালো মানের পানিই নিতে হচ্ছে। আনুষঙ্গিক অনেক খরচের মধ্যে এটা একটা বড় খরচ।’

      ওয়াসার পানির ওপর মানুষের আস্থা কম থাকায় ঢাকায় এখন পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রের হরদম বেচাকেনা হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে সারা দেশেই বিস্তার লাভ করছে। বাজারে জমজমাট ব্যবসা করে যাচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পানি। বোতলজাত পানির ব্যবসার ভবিষ্যৎ ভালো দেখে আড়াই বছর আগে নামকরা একটি বহুজাতিক কম্পানি পানির ব্যবসা শুরু করে। বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট) জারে পানি ব্যবসার জন্য বিভিন্ন কারখানার লাইসেন্স প্রদান করলেও এখনো শতভাগ মানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। দামের বিষয়টিও নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির হাতে নেই। এসব কারণেই মানুষ এক ধরনের জিম্মিদশার মধ্যে রয়েছে।

      তবে এর থেকে বের হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বেশ পুরনো। কিন্তু এব্যাপারে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। তাই ঢাকার কোথাও সহজলভ্য নয় বিশুদ্ধ খাবার পানি।






      সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/11/24610/


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বিএসএফ কর্তৃক গত দশ বছরে ২৯৪ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা !






        ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা/আহত/আটক ইত্যাদি ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।

        ‘গত ১০ বছরে সীমান্তে ২৯৪ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।’
        বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সংসদে দেয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে ৬৬ জন, ২০১০ সালে ৫৫, ২০১১ সালে ২৪, ২০১২ সালে ২৪, ২০১৩ সালে ১৮, ২০১৪ সালে ২৪, ২০১৫ সালে ৩৮, ২০১৬ সালে ২৫, ২০১৭ সালে ১৭ জন ও ২০১৮ সালে ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
        এ চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সীমান্ত এলাকায় অন্তত ১৫ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে।

        যদিও দৈনিক পত্রিকা গুলোর সংবাদ থেকে জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হত্যাকাণ্ডের মোট সংখ্যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া তথ্য থেকে আরো অনেক বেশি।
        সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ) প্রতিশ্রুতি দিয়েও বার বার সামান্য অযুহাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা/আহত/আটক করছে।







        সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/11/24626/


        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের ভুলে ঝরে গেল দুই প্রাণ!






          বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রমজানকাঠী এলকায় পাট শাক তুলতে গিয়ে পড়ে থাকা তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে কৃষক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

          নিহতরা হলেন, উপজেলার রমজানকাঠী এলকার কৃষক কামাল হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (৩০)। কামাল হোসেন ও মমতাজ দম্পতির ৩ মেয়ে ১ ছেলে সন্তান রয়েছে।

          স্থানীয়রা জানান, কৃষক কামাল হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানা রয়েছে। সকালে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিতে খুঁটি থেকে বিদ্যুতের দুটি তার ছিড়ে পড়ে। স্থানীয়রা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানালে বেলা ১১টার দিকে লোক এসে একটি বিদ্যুতের তার লাগিয়ে যায়। তবে আরেকটি তার পাট ক্ষেতে পড়েছিল। পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সেদিকে খেয়াল না করে চলে যায়। দুপুরে পাট ক্ষেতে শাক তুলতে গিয়ে ওই তাড়ে বিদ্যুতায়িত হন মমতা বেগম। এসময় স্বামী কামাল হোসেন স্ত্রী মমতাজের ডাক চিৎকার শুনে দৌড়ে গেলে তিনিও বিদ্যুতায়িত হন। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী উজিরপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
          স্থানীয়রা জানান, পল্লী বিদ্যুতের লোকজনের গাফিলতির কারণেই দুটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তারা যদি ছিড়ে পড়ে থাকা আরেকটি তার লাগিয়ে বা জোড়া দিয়ে যেত তাহলে এ দুর্ঘটনা ঘটতো না। তারা পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি দাবি করেছেন।






          সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/11/24629/


          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দুদক কর্তাদের দুর্নীতি! ১২ কর্তার কেউই যায়নি জাহালমের বাড়ি!






            দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলেই নিরীহ জাহালমকে জেল খাটতে হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় থাকা অনুসন্ধান কর্মকর্তা, তদন্ত কর্মকর্তা ও তদারক কর্মকর্তা সবাই ভুল করেছে। কেউই যায়নি জাহালমের বাড়ি!

            দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা জড়িত। তাঁদের কারও নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। এই কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করলেও তাঁদের কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া উচিত ছিল।

            ব্যাংক কর্মকর্তারা নিজেদের বাঁচাতে যেকোনো ব্যক্তিকে যে আবু সালেক হিসেবে শনাক্ত করতে পারেন, তা দুদকের কর্মকর্তারা ভেবেই দেখেনি। এ ব্যাপারে মামলার তদারক কর্মকর্তা সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ৩৩টি মামলার ১২ জন তদন্ত কর্মকর্তা গুরুত্বের সঙ্গে মামলা তদন্ত করেনি। প্রত্যেক তদন্ত কর্মকর্তা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল ছিল। প্রত্যেকে আশায় ছিলেন, অন্যরা তদন্তের কোনো অগ্রগতি করলে তাঁরা সেটা নকল করবে। যা তাঁদের চিরাচরিত অভ্যাস। তদন্ত কর্মকর্তারা সেটিই করেছে।







            ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শিরোনামে গত ২৮ জানুয়ারি প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয় । সোনালী ব্যাংক থেকে সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল আবু সালেক ও তাঁর সহযোগীরা। কিন্তু দুদক সালেকের স্থলে জাহালমের নামে অভিযোগপত্র দেয়। গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় তিন বছর কারাভোগ করেন জাহালম।

            দুদকের কেউই যায়নি জাহালমের বাড়িতে!
            জাহালমকে আবু সালেক বলে অভিযোগপত্র দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলেই। সত্য উদ্*ঘাটন করে তা আদালতের কাছে জমা দেওয়াই তদন্ত কর্মকর্তাদের কাজ। এই কাজ ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর বর্তানোর কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত কর্মকর্তাদের খেয়াল করা উচিত ছিল, ব্যাংক কর্মকর্তা ও হিসাব চিহ্নিতকারীরা আবু সালেককে খুঁজে বের করতে তৎপর হয়নি। তিনটি মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তারা বুঝতে পারে, প্রধান আসামি আবু সালেককে খুঁজে বের না করে দিলে তাঁদের (ব্যাংক কর্মকর্তা) বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তখন তাঁরা যেভাবেই হোক আবু সালেককে খুঁজে বের করে দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এই কাজটি তদন্ত কর্মকর্তাদের করা উচিত ছিল। অথচ সেই কাজ করতে মাঠে নেমে পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা। তাঁরা যেনতেন প্রকারে জাহালমকে আবু সালেক উল্লেখ করে দুদকের সামনে হাজির করে। তাঁকে আবু সালেক রূপে শনাক্তও করে। দুদকের ১২ জন কর্মকর্তা মামলাগুলো তদন্ত করলেও একজন কর্মকর্তাও জাহালমের বাড়ি যায়নি।

            জাহালম কারাভোগ নিয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান আবুল হাসনাত মো. আবদুল ওয়াদুদ প্রতিবেদনে বলেছে, জাহালমের বাড়িতে তিনি গেছেন। বাড়ির দৈন্যদশা এমন যে, যে কোনো ব্যক্তির সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক, ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত ব্যক্তির বাড়ির এমন দৈন্যদশা কেন? তদন্ত কর্মকর্তারা যদি জাহালমের বাড়ি যেত, তাহলে তাঁদের মনেও সন্দেহ দেখা দিত। দুদকের অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্যক্রমের সঠিক ও নিবিড় তদারকি ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় তদারকের কাজ দায়সারাভাবে চলে আসছে। নতুন কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাব ছিল। কাজের যথাযথ তদারকি ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে এ ধরনের ত্রুটি হয়েছে।

            অনুসন্ধানের ত্রুটি
            দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংকের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শাখায় হিসাব খোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতারক চক্র আরও ১৮ টি ব্যাংকে বেসরকারি হিসাব খোলে। জালিয়াতির মাধ্যমে (ভুয়া ক্লিয়ারিং ভাউচার) সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা তুলে নেয়। এই অভিযোগর সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রের পরিমাণ বিপুল। এমন অভিযোগের অনুসন্ধান দল গঠন না করে একজন মাত্র অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। অনুসন্ধান কর্মকর্তা একটি মামলায় স্থির না থেকে কেন ৩৩টি মামলা করার সুপারিশ করে, তা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই। অনুসন্ধান কর্মকর্তা বলেছিলেন, একই ঘটনায় একাধিক মামলা করা আইন সম্মত নয়। কিন্তু আইন সম্মত নয়, এমন কাজটি তিনি কেন করলেন, তা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে থাকা উচিত ছিল। একটি মামলার পরিবর্তে ৩৩ টি মামলা করার বিষয়ে আইনগত প্রশ্ন জড়িত ছিল। অথচ অনুসন্ধান কর্মকর্তা বা তদারক কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক কেউ এ বিষয়ে আইন অনুবিভাগের মতামত নেননি। যদি নেওয়া হতো তাহলে এই ভুল এড়ানো সম্ভব হতো। এই ভুলের দায় তদন্ত কর্মকর্তা, তদারক কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক এড়াতে পারে না।

            হাইকোর্টে দেওয়া দুদকের প্রতিবেদন বলছে, অনুসন্ধান কর্মকর্তা ১৪ মাস ধরে তদন্ত করে। দুদক বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী তদন্ত করার কথা, কিন্তু অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক বিধিমালা অনুসরণ করে প্রতিবেদন দেয়নি। সরেজমিন কোনো অনুসন্ধান করে নি । শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন দিয়েছে। এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। সরেজমিন অনুসন্ধান করলে আবু সালেকের ভুয়া ঠিকানার বিষয়টি উঠে আসত। তদন্ত প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান তদারককারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফ আলী ফারুকের কোনো অবদান দেখা যায় না।

            দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, তদন্তের সময় জাহালমকে অন্যান্য আসামিদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। জাহালম ইংরেজি লিখতে জানেন না অর্থাৎ পড়ালেখা জানেন না। তাঁর সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। যদি নেওয়া হতো, তাহলে তখনই উদ্*ঘাটিত হতো যে, জাহালম প্রকৃত আসামি নন। ব্যাংক নিয়ম ভঙ্গ করে গ্রাহককে অতিরিক্ত চেক বই সরবরাহ ও লেনদেন পরিচালনা সহায়তাকারী কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব সঠিকভাবে নির্ণয় করা হয়নি।

            দুদক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টাকা আত্মসাতের ঘটনা ১৮ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু এই টাকা কোথায় গেল, সে ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তারা পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করেননি। এ ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা বা অযোগ্যতা ছিল।
            দুদকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, মামলার প্রধান আসামি আমিনুল হক। তাঁর দুটি ব্যাংক হিসাবে ৮২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। মানিকগঞ্জে ৪ একর ৩ শতক জমির মালিকও তিনি। তাঁর এনজিও ছিল। অর্থাৎ সোনালী ব্যাংকের এই টাকা জালিয়াতির বড় ভাগ তিনি পান। এমন একজন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমিনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর কাছ থেকে মামলার সব তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। দুদকের যে ১২ জন তদন্ত কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩ মামলা তদন্ত করে, তাঁরা সবাই নিয়োগ পায় ২০১১ সালে। তাঁদের এ ধরনের জটিল তদন্তকাজে সম্পৃক্ত করা হয়। এ মামলার তদন্তই ছিল তাঁদের জীবনের প্রথম তদন্ত।কীভাবে এই ভুল
            দুদকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আবু সালেকের শনাক্তকারীদের একজন হলে ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তা ফয়সাল কায়েস। তদন্ত কর্মকর্তা সেলিনা আখতার ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সাল কায়েসকে চাপ দেন আবু সালেককে খুঁজে বের করার জন্য। সালেকের সন্ধানে কায়েস প্রথমে যান রাজধানীর শ্যামলীর ঠিকানায় (সালেক যে ঠিকানা ব্যাংক হিসেবে দেন)। সালেকের ছবি দেখে সেখানকার একজন কেয়ারটেকার জানান, ছবির লোক অনেক আগে চলে গেছে। এখানে কেউ থাকে না। ছবির লোকটি টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলত। এরপর ফয়সাল কায়েস যান টাঙ্গাইলের নাগরপুরের গুণিপাড়া গ্রামে। সেখানে স্থানীয় বাজারের কয়েকজন লোক ছবি দেখে তাঁকে জাহালম ওরফে জানে আলম বলে শনাক্ত করে। জাহালম নরসিংদীর ঘোড়াশালের জুটমিলে চাকরি করেন বলে জানতে পারে। এরপর জাহালমের ভাই শাহানূরের স্থানীয় দোকানে যান। সেখান থেকে জাহালমের ঘোড়াশালের ঠিকানা নেয়। কায়েস তাঁর ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তা ও দুদক কর্মকর্তাদের নিয়ে যান ঘোড়াশালের জাহালমের মিলে। সেখানেই জাহালমকে আবু সালেক হিসেবে চিহ্নিত করেন। এই তথ্য তিনি জানান তদন্ত কর্মকর্তা সেলিনা আখতারকে। পরে জাহালমকে দুদকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। জাহালম দুদক কার্যালয়ে আসেন। ব্যাংক হিসাবের জন্য আবু সালেককে শনাক্তকারী, অনুমোদনকারী কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করা হয় জাহালমকে। জাহালমকে সামনাসামনি দেখে ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, ব্র্যাক ব্যাংকের সাবিনা শারমিন, শনাক্তকারী সহিদুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা নূর উদ্দিন শেখ, শনাক্তকারী সাকিল ও ইউসিবিএল কর্মকর্তা তাজবিন সুলতানা। সবাই সেদিন জাহালমকেই আবু সালেক বলে শনাক্ত করে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তারা আবু সালেকের পরিবর্তে জাহালমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

            সূত্র: প্রথম আলো







            সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/11/24631/


            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              মাসাআল্লাহ, আপনাদের দেশীয় নিউজ প্রকাশের ধারা অব্যাহত থাকুক, এই কামনা..........!
              শুকরান লাকুম।
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ।
                আল্লাহ আপনাদের কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment

                Working...
                X