Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্* নিউজ ll ১০শে যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ১৩ই জুলাই, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্* নিউজ ll ১০শে যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ১৩ই জুলাই, ২০১৯ ঈসায়ী।

    বাংলায় আল-কায়েদার প্রচারে আতংকে তাগুত বাহিনী, আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট!






    নির্যাতিত উম্মাহর কান্নার আওয়াজ, উম্মাহর রাহবারদের দিকনির্দেশনা, উম্মাহর বীর সন্তানদের বিজয়ের সংবাদ বাংলার মুসলিম সমাজে পৌঁছে দিচ্ছেন সত্যানুসারী মুজাহিদিন মিডিয়াগুলো ।

    মুজাহিদিন মিডিয়ার এসকল কর্মকাণ্ড পছন্দ নয় তাগুতদের। তারা চায় মুসলিমদের উপর হওয়া নির্যাতনের খবরগুলো চাপা পড়ে যাক, খেলাফত পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে উম্মাহর কল্যাণে নিজেদের জীবন বিপন্নকারী মুজাহিদগণের সুখ-দুঃখের সংবাদগুলো উম্মাহর কানে না পৌঁছাক। সর্বোপরি তারা হলুদ মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে মুজাহিদগণকে উম্মাহর কাছে ‘জঙ্গী-সন্ত্রাসী’ প্রমাণ করার যে হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে অনেকটা বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন মুজাহিদিন মিডিয়াগুলো। তাই, এসকল তাগুতগোষ্ঠীর দেহ-মনে আগুন লেগে গেছে, তাদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদসংস্থা ‘আনন্দবাজার’ এর একটি রিপোর্ট থেকে এমনই বুঝা যায়।

    গত ১২ই জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘‘জঙ্গিদের জন্য বাংলা ভাষায় আল কায়েদার ‘আচরণবিধি’! ’’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে তারা মুজাহিদগণের মিডিয়াগুলোর ব্যাপারে আশংকা প্রকাশ করেছে। তারা ‘আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন’ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি প্রকাশনার বিষয়টি উল্লেখ করে বাংলা ভাষায় আল-কায়েদার প্রচারণার বিষয়টি সামনে এনেছে। তবে, চরম হাস্যকর বিষয় হলো- সারাজীবন মিথ্যাচার করে আসা এসকল মিডিয়াগুলোর বুঝ ক্ষমতাও অতি সংকীর্ণ এবং নিজেদেরকে ‘জ্ঞানী’ জাহির করে অহংকার প্রদর্শন করা এসকল হলুদ মিডিয়াগুলো মুজাহিদিনের ব্যাপারে চরমমাত্রায় ‘অজ্ঞ’ বলে প্রমাণিত হয়েছে।

    আনন্দবাজারের রিপোর্টটিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় উপমহাদেশের জিহাদি মুজাহিদিনদের জন্য আদর্শ আচরণবিধি প্রকাশ করল আল কায়েদা। বাংলা ভাষায় ওই আচরণবিধি একটি অডিও বার্তার মাধ্যমে প্রকাশ করল আল কায়েদা।’

    অথচ, বাস্তবতা হলো- এই আচরণবিধি আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ কর্তৃক আরো প্রায় ২ বছর আগেই বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে আল-কায়েদা উপমহাদেশের বাংলাদেশ শাখার অফিসিয়াল ফোরাম ‘দাওয়াহ ইলাল্লাহ’তে আচরণবিধিটি পোস্ট করা হয়। এখন কেবল ‘আচরণবিধি’ রেকর্ড করে অডিও ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।

    তারপর রিপোর্টটিতে আরো বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের এক জিহাদি আল কায়েদার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হয়। তার নামে গজল তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।’

    অথচ, যে গজলটির কথা তারা বলছে, সেটি মুজাহিদ ভাই সাদ্দাম রহিমাহুল্লাহ এর নামে তৈরি করা হয়নি, বরং তিনি নিজেই গজলটি গেয়েছিলেন।

    এছাড়াও, সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া আল-কায়েদার সম্মানিত আমীর হাকিমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ এর কাশ্মীর বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তার ব্যাপারেও ‘মূর্খতা’র পরিচয় দিয়েছে হলুদ মিডিয়াগুলো। ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ করেছিল আল-কায়েদার অফিসিয়াল প্রচারমাধ্যম ‘আস-সাহাব মিডিয়া’। ভিডিওতে সুস্পষ্টভাবেই ‘আস-সাহাব মিডিয়া’ এর নাম উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু, হাস্যকর বিষয় হচ্ছে হলুদ মিডিয়াগুলো ‘আস-সাহাব মিডিয়া’ এর স্থানে ‘আল-শাবাব মুজাহিদিন’ এর নাম প্রচার করে বলেছে, ‘আল-শাবাব মুজাহিদিন’ (উল্লেখ্য, হারকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকান শাখা) নাকি ভিডিও বার্তাটি সামনে এনেছে।

    এভাবেই কেবল ধারণার উপর ভিত্তি করে হলুদ মিডিয়াগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুজাহিদিনের ব্যাপারে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আসছে, যেন মুজাহিদগণের প্রতি জনমনে খারাপ ধারণা জন্মায়। আর, যেহেতু মুজাহিদগণের মিডিয়াগুলো তাদের সেসকল মিথ্যা প্রচারণার বিরোধীতা করেন এবং সত্য খবর প্রচার করেন, তাই তারা মুজাহিদগণের প্রচারণা বন্ধেরও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও মহান আল্লাহ তা’য়ালার সাহায্য ও অনুগ্রহে মুজাহিদগণ উম্মাহর কাছে সত্য বার্তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব যথাসাধ্য আঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফলে, তাগুত বাহিনীর ঘুমও হারাম হয়ে গেছে, যা বুঝা যায় আনন্দবাজার পত্রিকার প্রকাশিত রিপোর্টে।





    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/13/24723/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা ‘জয় শ্রী রাম’ বলানোর জন্য মাদরাসা ছাত্রদের ব্যাট দিয়ে মারলো!






    ভারতের উত্তর প্রদেশে আবারো হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসের শিকার হলেন মাদরাসা ছাত্ররা।

    রাজ্যের উন্নাওয়ে মাদরাসা ছাত্রদের মারধর করেছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন বজরং দলের নেতা কর্মীরা। শুধু তাই নয়, সে ছাত্রদের জোর করে বলানো হল ‘জয় শ্রী রাম’।

    উন্নাওয়ে মাদরাসা দারুল উলুম ফৈজ-ই-আমের ১২-১৪ বছর বয়সি কয়কজন ছাত্র জয় শ্রী রাম বলতে না-চাওয়ায় তাদের ওপর হামলা চালায় বজরং দলের সন্ত্রাসীরা।
    জানা যায়, মাঠে ক্রিকেট খেলছিল ওই ছাত্ররা। তখনই বজরং দলের কয়েকজন সন্ত্রাসী সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের জয় শ্রী রাম বলতে জোর করে। ছাত্ররা তা বলতে না-চাইলে তাদের ব্যাট ও উইকেট দিয়ে মারধর করে। জখম ছাত্রদের মধ্যে একজনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।
    সূত্র: ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম






    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/13/24697/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজীপুরে টেক্সটাইল মিলে আগুন: অগ্নিদগ্ধ ৮ জন





      গাজীপুরের শ্রীপুরে নোমান শিল্প গ্রুপের জারবা টেক্সটাইল মিলের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে আটজন দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

      গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তর পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় পাঁচজন দগ্ধ ও তিনজন আহত হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- রংপুরের গঙ্গাচরা উপজেলার বাদশা মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫), মিজান (২৭), সাইফুল (২৬), সজীব (২৮) ও হাফিজ (৩০)। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তারা হলেন- কারখানার রক্ষণাবেক্ষণ অফিসার বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রউফ হাওলাদারের ছেলে রিপন মিয়া (৩০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার শফিকুল ইসলামের ছেলে কারখানার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার খলিল মিয়া (২৪) ও বরগুনার আমতলী উপজেলার ইসমাইল গাজীর ছেলে কারখানার ফায়ার অফিসার সিদ্দিকুর রহমান (৩৮)।






      সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/13/24710/


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বগুড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় নারীকে থানায় ডেকে এএসআইয়ের মারধর!






        বগুড়ার ধুনটে পাওনা ৬০ হাজার টাকা চাওয়ায় কোহিনুর খাতুন (৪২) নামে এক ক্ষুদ্র নারী ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করেছে এএসআই শাহানুর রহমান।

        চিকিৎসাধীন কোহিনুর খাতুন জানান, এএসআই শাহানুর কৌশলে তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন টাকা ফেরত না দেয়ায় তাকে উকিল নোটিশ দিয়েছিলাম। নোটিশ পেয়ে শাহানুর টাকা দেয়ার কথা বলে শুক্রবার আমাকে থানায় নিয়ে মারধর করে।

        জানা যায়, বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া বৌবাজার এলাকায় জাবেদ আলীর মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা কোহিনুর খাতুন জজকোর্টের সামনে ভাত বিক্রি করেন। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে এএসআই শাহানুর রহমান ২০১০ সালে বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ছিল।
        ওই সময় কোহিনুরের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি কোহিনুরের বাসায়ও যাতায়াত করত। এই সুবাধে শাহানুর তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নেয়। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে এএসআই শাহানুর ধুনট থানায় বদলি হয়ে যায় এবং কোহিনুরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

        পাওনা টাকা না পেয়ে কোহিনুর কয়েকদিন আগে এএসআই শাহানুরকে উকিল নোটিশ দেয়। নোটিশ পেয়ে টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং কোহিনুরকে শুক্রবার ধুনট থানায় যেতে বলে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কোহিনুর ধুনট থানায় যায়। টাকা চাইলে শাহানুর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

        কোহিনুরের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে কোহিনুরকে পিটিয়ে আহত করে। পরে কোহিনুর ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও তাকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং পরে সেখানেই তাকে ভর্তি করা হয়।
        ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই নারী শুক্রবার থানার পাশে মহিলা কলেজের সামনে এসেছিল। এক পর্যায়ে এএসআই শাহানুর তাকে চড়থাপ্পড় দেয়।







        সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/13/24716/


        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত!






          ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
          গতকাল শুক্রবার (১২জুলাই) সকাল ৯টায় থেকেই দোয়ানি পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

          এছাড়া সুনামগঞ্জে সুরমা, লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা, নেত্রকোণায় সোমেশ্বরী, ফেনীতে মহুয়া কহুয়া, দিনাজপুরে পুনর্ভবা, আত্রাই, ছোট যমুনা, বান্দরবানে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

          এসব নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। কোনো কোনো স্থানে প্রবল বর্ষণে পানিবদ্ধতা দেখা দেয়ায় অনেকটা বন্দী অবস্থায় রয়েছেন সে এলাকার বাসিন্দারা।

          স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তিস্তার তীরবর্তী নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি চরগ্রাম ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

          এদিকে, বান্দরবান জেলার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে অনেক স্থানে সীমিত পরিমাণে ত্রাণ সরবরাহের খবর পাওয়া গেলেও অধিকাংশ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

          নীলফামারীতে টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার পরিবার। ভোররাত থেকে তিস্তা পাড়ের অধিকাংশ বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে তিস্তার বামতীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

          ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে।
          সকাল ১০টা থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সবকটি (৪৪টি) কপাট খুলে রাখা হয়েছে।
          এদিকে তিস্তা নদীপরিবেষ্টিত ডিমলা এবং জলঢাকা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের তিন হাজার পরিবারের বসতবাড়ীতে পানি উঠেছে।
          টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম জানান, বন্যায় তার ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। আমার ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি ও পূর্বখড়িবাড়ি দুই মৌজায় প্লাবিত হয়ে দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।

          পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে চরখড়িবাড়ি মৌজায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত দুই কিলোমিটারের বালুর বাঁধটি হুমকির মুখে পুড়েছে। যেকোনো সময় বাঁধটি বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।”
          ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপনী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ইউনিয়নের ছোটখাতা ও বাইশপুকুর গ্রামের প্রায় সারে চারশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
          তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে খালিশাচাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক বিপুল চন্দ্র সেন বলেন, নদীর পানি বাড়ার গতিতে গ্রামের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন।
          জলঢাকার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেইন বলেন, বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের হলদিবাড়ি ও ভবনচুর গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

          ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টানা ভারী বর্ষণ ও উজানে ঢলে তিস্তা পানি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

          এদিকে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার ও সদর উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
          গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
          একই সঙ্গে বিকেলে ৩টায় সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ ষোলঘর পয়েন্টে ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
          সুনামগঞ্জ শহরে সুরমা নদীর পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়াও শহরের কিছু এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
          লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলে বন্যা ও পানিবন্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫ হাজার পরিবার। তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ৩ সে. মি. ওপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
          স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত এসব করে আসছে। খরার মৌসুমে বাংলাদেশের মুখে থাকা টেপাইমুখি, ফারাক্কা, তিস্তাসহ সবগুলো বন্ধ করে দেয়।ফলে বাংলাদেশের নদ নদী শুকিয়ে যায়। বাংলাদেশের কৃষকরা পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারে না। আবার বর্ষা মৌসুমে যখন নদীর পানি বেশি থাকে তখন বাধগুলো খুলে দেয়। ফলে ভারতে তেমন বেশি বন্যা হয় না। কিন্তু বিপুল বন্যায় তলিয়ে যায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল। কৃষকের লাগানো ফসল সব নষ্ট হয়ে যায়। গরিব জনগণের বাড়ি ঘর, গৃহপালিত পশু, সহায় সম্ভল সব শেষ হয়ে যায়। ভারত এ কাজগুলো করছে এদেশে তাঁদের কিছু ক্ষসতালোভী দালালদের মাধ্যমে। যারা তাঁদের ক্ষমতা আর স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে জনগণের জান মালকে বলি বানাচ্ছে।







          সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/13/24722/


          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            গরুর গোশত খাওয়ার অপরাধে(!) তামিল নাডুতে মুশরিক হিন্দুদের হামলার শিকার মুসলিম যুবক!



            মুহাম্মদ ফিসান


            ভারতের তামিল নাডুর নাগাপাট্টিনাম জেলায় মুহাম্মদ ফিসান নামে এক ২৪ বছর বয়সী মুসলিম যুবককে তারই গ্রামের ৪ উগ্র মুশরিক হিন্দু বর্বরোচিতভাবে হামলা করে। গত ১১ই জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিলভেলোর পুলিশ স্টেশন এলাকায় পুরাভেচারি গ্রামে ঐ মুসলিম যুবককে নির্মমভাবে মারধর করে চার উগ্র হিন্দু। এসকল খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদসংস্থা ‘দ্যা হিন্দু’।

            সংবাদসংস্থাটি জানায়, মুহাম্মদ ফিসান গরুর মাংশ খাওয়ার ফটো তার ফেসবুক একাউন্টে আপলোড দেন। এরপরই, ঐ উগ্র মুশরিক হিন্দু সন্ত্রাসীরা তার উপর গাছের গুঁড়ি এবং লোহার রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে আহত হন মুহাম্মদ ফিসান। পরে, তাকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানায় বার্তাসংস্থা ‘দ্যা হিন্দু’






            সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/13/24691/


            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কক্সবাজারে ১৪ যুবক মিলে তরুণীকে গণধর্ষণ, ১০ হাজার টাকায় রফাদফার চেষ্টা!






              কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী এলাকায় এক চাকরিজীবি তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ১৩/১৪ একদল যুবক গত ৭ জুলাই পাহাড়ে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে এই ঘটনা ঘটায়।
              এরই মধ্যে ধর্ষিতার পরিবার অভিযোগ নিয়ে দুইবার থানায় গেলেও স্থানীয় দুই ইউপি মেম্বারের বাধার কারণে থানায় অভিযোগ দিতে পারেনি। অভিযোগ উঠেছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এমনকি তাকে এক জায়গায় আটকে রাখারও অভিযোগ উঠেছে।

              ধর্ষিতার বরাত দিয়ে মাতারবাড়ী সিএনজি লাইনম্যান রশিদ জানায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি গত ৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে চালিয়াতলী স্টেশনের এসে নামে।

              মেয়েটির দাবি, ভাড়া নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে সেখানে জড়ো হন আমির সালাম, এনিয়া ও সিএনজি চালক আদালত খাঁ (পরে চিহ্নিত)। ভাড়ার সমস্যা মিটে গেলে অন্যান্য লোকজন চলে যায়। কিন্তু সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে ওই তিনজন মিলে মেয়েটিকে চালিয়াতলী বালুর ডেইল পাহাড়ি ঝিরি দিয়ে নিয়ে যায়। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে যায়।

              সিএনজি চালক ওসমানসহ আরো ১১জন যোগ দেয়। পরদিন ৮ জুলাই ভোরের শেষ মুহুর্তে মাতারবাড়ি-চালিয়াতলী সড়কের দরগাহঘোনা স্থানে মেয়েটিকে দেখতে পান স্থানীয় সুজন নামে এক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী। তখন মেয়েটি ছিলো অনেকটা ভীত-সন্ত্রস্ত এবং পোশাক ছিলো অস্বাভাবিক। এই অবস্থায় মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে তার কারণ জানতে চান মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী সুজন।

              মেয়েটি তাকে জানান, পাহাড়ে আটকে রেখে ১৪জন মিলে তাকে রাতভর ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের পর তার বোরকা, হাতব্যাগ, ঘড়ি কেড়ে নেয় ধর্ষকেরা। অভিযোগ উঠেছে, রশিদের মাধ্যমে ম্যানেজ হয়ে মেম্বার লিয়াকত আলী ও মহিলার মেম্বার শামীমা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে।

              ঘটনা মীমাংসার জন্য শালিসের ব্যবস্থা করে দুই মেম্বার। দুই দফা শালিস বসান এবং মেয়েটিকে ‘জিম্মা’য় নেয় শামীমা। সর্বশেষ গত ১০ জুলাই বিকালে ‘চূড়ান্ত’ শালিসের বৈঠক মেম্বার লিয়াকত আলীর অফিসে। এসময় গনধর্ষণের শালিসের রায়ে কয়েকজন ধর্ষণকারীকে লাঠিপেটা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
              এদিকে, সাধারণ মানুষের চাপের মুখে ভয়ে রয়েছে ঘটনার ধামাচাপার চেষ্টাকারীরা। তারা ঘটনাটি পুরোদমে মিটিয়ে ফেলতে নানাভাবে চেষ্টা-তদবির অব্যাহত রেখেছে। এর অংশ হিসেবে ধর্ষিতাকে মাতারবাড়ির মহিলা মেম্বার শামীমার বাড়িতে ‘হেফাজত’র নামে আটকে রাখা হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাই চাপে ও ভয়ে আইনী আশ্রয় নিতে পারছে না ধর্ষিতার পরিবার।

              ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মেয়েটি মাতারবাড়ির মহিলা মেম্বার শামীমার কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়। শামীমাকে মা ডেকে বিষয়টি তাকে জানান। পরে মেম্বার শামীমা মেয়েটিকে নিয়ে চালিয়াতলীর মেম্বার লিয়াকত আলীর কাছে যান। তখন লিয়াকত আলী টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংস*ার প্রস্তাব দিলে তা মেনে নেন মেম্বার শামীমা। তবে টাকার অংক নিয়ে তাদের মধ্যে বনিবনা হয়নি।
              জানতে চাইলে চালিয়াতলী এলাকার মেম্বার লিয়াকত আলী বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য। এটি একটি ন্যাক্কাজনক ঘটনা। কিছু সিএনজি চালকসহ কয়েকজন নষ্ট ছেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনার মুলহোতা মাতারবাড়ী সিএনজি লাইনম্যান রশিদ।
              সামাজিক আবহমান ঘটনা বিশ্লেষকগণ বলছেন, দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয়। দেশে ধর্ষণ, হত্যা বিশেষ করে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে সমগ্র জাতি উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ধর্ষণ-হত্যা জাতীয় সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। দেশে ধর্ষণ-খুন যেন মহামারি আকার ধারণ করেছে। শুধু তাই নয় ধর্ষণ-যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করায় হামলারও শিকার হতে হচ্ছে।

              তারা আরো বলেছেন, সমাজে খুন-ধর্ষণ ও নিপীড়ন বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে এবং এতে তারা সাহসী হয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে বেপরোয়া অপরাধ করছে। আমরা মনে করি, এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে বাদ দিয়ে ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ইসলামি বিধান মোতাবেক পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং অপরাধীকে যথাযথ সাজা দেয়ার বিকল্প নেই।







              সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/13/24737/


              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আলহামদুলিল্লাহ, এখন প্রতিনিয়মত ফোরামে উম্মাহ নিউজও পাচ্ছি। নির্যাতিত উম্মাহর করুণ হালাত হৃদয়কে খু-উ-ব ব্যাথিত করে, অন্তরে কষ্ট অনুভব হয়।
                হে আল্লাহ, আপনি নির্যাতিতদের সহায় হোন, আমীন।
                আমাদের ভাইদের কাজে আরো বারাকাহ নসীব করুন এবং কবুল করে নিন। আমীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
                  ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                  Comment


                  • #10
                    প্রিয় মুজাহিদ ভাইদের বলছি,আপনারা সিক্রেট ফাইলগুলো মেমোরিতে সেইভ করে রাখুন, মুবাইল/ পিসিতে নয়।
                    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                    Comment


                    • #11
                      যদি প্রতিটি জেলা শহরে আমাদের প্রতিনিধি ভাইয়েরা নিযুক্ত থাকতেন তাহলে সত্য খবরগুলো উম্মাহের সামনে দ্রুত পেশ করা যেতো।

                      Comment

                      Working...
                      X