Announcement

Collapse
No announcement yet.

মজলিসে শূরায় মহিলা সদস্য থাকতে পারবে কি?- তাকি উসমানী সাহেবের বিভ্রান্তি

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মজলিসে শূরায় মহিলা সদস্য থাকতে পারবে কি?- তাকি উসমানী সাহেবের বিভ্রান্তি

    মজলিসে শূরায় মহিলা সদস্য থাকতে পারবে কি?- তাকি উসমানী সাহেবের বিভ্রান্তি

    ইমামুল মুসলিমীনের একটি বড় দায়িত্ব হল, পরামর্শ করে কাজ করা। এ ব্যাপারে কুরআন হাদিসে অনেক তারগীব এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় পরামর্শ করে কাজ করতেন। ছোট-খাট বিষয়েও পরামর্শ করতেন। সাহাবায়ে কেরামের বৈশিষ্ট্যও এমনই ছিল। এটিই মুমিনদের সিফাত।


    অবশ্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বা খুলাফায়ে রাশেদার নির্দিষ্ট সদস্যবিশিষ্ট নির্ধারিত কোন বোর্ড ছিল না। যখন দরকার পড়তো বড় বড় সাহাবায়ে কেরামকে একত্র করে পরামর্শ করতেন। নির্দিষ্ট কোন মজলিসে শূরা ছিল না।
    যাহোক, এখন যদি আমীরুল মু’মিন পরামর্শের জন্য কোনো বোর্ড তথা মজলিসে শূরা গঠন করেন, তাহলে মহিলাদেরকে সে বোর্ডের নিয়মতান্ত্রিক সদস্য রাখা যাবে কি’না যে: শূরার তারিখে মহিলারাও উপস্থিত হবে, তাদের কাছেও পরামর্শ চাওয়া হবে এবং তাদের পরামর্শ মোতাবেক কাজও করা হবে?


    যদি আমরা শরীয়তের উসূল ও মূলনীতির দিকে তাকাই, তাহলে এটার বৈধতা পাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। যেমন,

    এক.

    মহিলাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার আদেশ হল,
    وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ
    “তোমরা তোমাদের নিজ গৃহে অবস্থান করবে।”- আহযাব ৩৩


    মজলিসে শূরায় শরীক হওয়ার জন্য মহিলারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানী, জেলা শহর বা যেখানে মজলিসে শূরা বসবে সেখানে উপস্থিত হতে যাওয়া বিনা দরকারে এ আয়াতের বিরুদ্ধাচরণ। অধিকন্তু ফিতনার আশঙ্কায় যেখানে মসজিদে যেতেও মহিলাদের নিষেধ করা হয়েছে, সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে পুরুষদের সাথে এসে এক মজলিসে শরীক হওয়ার অনুমতি কিভাবে হবে? বরং মহিলারা ঘরে থাকবে, ঘরেই প্রতিপালিত হবে- এটাই শরীয়তের কাম্য। বাহিরের কাজে অংশ নেয়া শরীয়তের কাম্য নয়। মহিলাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার ঘোষণা হল,
    مَنْ يُنَشَّأُ فِي الْحِلْيَةِ وَهُوَ فِي الْخِصَامِ غَيْرُ مُبِينٍ
    “যারা অলংকার মণ্ডিত হয়ে প্রতিপালিত হয় আর তর্ক-বিতর্ককালে স্পষ্ট বক্তব্য প্রদানে অসমর্থ্য।”- যুখরুফ ১৮


    দুই.

    সাধারণত মহিলাদের শারীরিক শক্তি, স্বরণ শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা সব কিছুই পুরুষের তুলনায় কম। পুরুষের তুলনায় তাদের দ্বীনও অপূর্ণাঙ্গ, বিবেক-বুদ্ধিও অপূর্ণাঙ্গ। হাদিসে তাদেরকে বলা হয়েছে,
    ناقصات عقل ودين
    “যাদের আকল ও দ্বীন উভয়ই অপূর্ণ।”- সহীহ বুখারী ৩০৪, সহীহ মুসলিম ২৫০


    এ কারণে শরীয়ত মহিলাদের একক সাক্ষ্য গ্রহণ করে না। সাথে পুরুষ থাকলেই কেবল গ্রহণযোগ্য, অন্যথায় নয়। তখনও আবার দুই মহিলা মিলে এক পুরুষের সমান। অর্থাৎ এক মহিলা এক পুরুষের অর্ধেক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ مِمَّنْ تَرْضَوْنَ مِنَ الشُّهَدَاءِ أَنْ تَضِلَّ إِحْدَاهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى
    “যেসকল সাক্ষীর প্রতি তোমরা রাজি-খুশি তাদের মধ্য থেকে দু’জন পুরুষকে সাক্ষী রাখবে। যদি দু’জন পুরুষ না থাকে, তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা; যাতে এক মহিলা ভুলে গেলে একজন অপরজনকে স্বরণ করিয়ে দিতে পারে।”- বাকারা ২৮২

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    « أما نقصان العقل فشهادة امرأتين تعدل شهادة رجل فهذا نقصان العقل وتمكث الليالى ما تصلى وتفطر فى رمضان فهذا نقصان الدين ».
    “তাদের আকল অপূর্ণ হওয়ার দলীল এই যে, দুই মহিলার সাক্ষ্য এক পুরুষের সাক্ষ্যের সমান। এটি আকলের অপূর্ণতার কারণে। আর (হায়েযের দিনগুলোতে) তারা অনেক দিন পর্যন্ত এভাবে অবস্থান করে যে, তাদের নামায পড়তে হয় না এবং রমযানের দিনে রোযাও রাখতে হয় না। এটিই তাদের দ্বীনের অপূর্ণতা।”- সহীহ মুসলিম ২৫০


    সৃষ্টিগতভাবেই যারা দুর্বল এবং অপূর্ণাঙ্গ এবং শরীয়তের দৃষ্টিতেও যারা অপূর্ণাঙ্গ, তাদেরকে মুসলিম উম্মাহর স্পর্শকাতর বিষয়াশয়ে শরীক করা, তাদের থেকে পরামর্শ নেয়া, সে অনুযায়ী কাজ করা নিশ্চয়ই উম্মাহর প্রতি কল্যাণকামিতা না হয়ে তাদের সাথে খিয়ানত হবে। পুরুষ তো দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে যায়নি যে, তাদের বাদ দিয়ে অপূর্ণাঙ্গ মহিলাদেরকে মজলিসে শুরায় শরীক করতে হবে। নিশ্চয়ই এটা আমানতদারি নয়। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহ তাআলার এ আদেশের পরিপন্থী,
    إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا
    “আল্লাহ তাআলা তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা অবশ্যই আমানতসমূহ উপযুক্ত ব্যক্তির হাতে সমর্পণ করবে।”- নিসা ৫৮


    তিন.
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের সীরাতের দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো, তারা কখনও মহিলাদেরকে পরামর্শের মজলিসে আরো দশ পুরুষের সামনে উপস্থিত করে পরামর্শ নিতেন না। আর নিয়মিত মহিলাদেরকে মজলিসে শূরার সদস্য বানানোর তো কোন প্রশ্নই আসে না।
    ***


    উপরোক্ত মূলনীতিগুলোর আলোকে আমরা বলতে পারি, মহিলাদেরকে মজলিসে শূরার সদস্য করে রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক বিষয়াশয়ে তাদের থেকে পরামর্শ নেয়া শরীয়তের নির্দেশও নয়, কাম্যও নয়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের ত্বরীকাও নয়। এটি সম্পূর্ণই একটি নব আবিষ্কৃত বিদআতি বিষয়। শরীয়তের উসূল-মূলনীতি ও মেজাজ পরিপন্থী একটি কাজ। আর ফিতনার আশঙ্কার কথা তো বলাই বাহুল্য।
    ***


    এ গেল আম দলীল। আর যদি খাস দলীলের দিকে যাই, তাহলে দেখতে পাবো হযরত উমার ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাণী,
    "كنا في الجاهلية لا نعد النساء شيئا، فلما جاء الإسلام وذكرهن الله، رأينا لهن بذلك علينا حقا، من غير أن ندخلهن في شيء من أمورنا". (صحيح البخاري 5843، كتاب اللباس، باب ما كان [ص:152] النبي صلى الله عليه وسلم يتجوز من اللباس والبسط).
    “জাহিলি যামানায় আমরা মহিলাদের কোন পজিশন আছে বলেই মনে করতাম না। এরপর যখন ইসলাম আসল, আল্লাহ তাআলা মহিলাদের কথা আলোচনায় আনলেন, তখন মনে হল যে, আমাদের কাছে তাদের কিছু হক পাওনা আছে। কিন্তু আমাদের (রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক) বিষয়াশয়ের কোনো কিছুতেই আমরা তাদেরকে শরীক করতে পারি না।”- সহীহ বুখারি ৫৮৪৩, কিতাবুল লিবাস।


    বর্ণনার শুরুর অংশটি অন্য রিওয়াতে এভাবে এসেছে,
    "والله إن كنا في الجاهلية ما نعد للنساء أمرا، حتى أنزل الله فيهن ما أنزل، وقسم لهن ما قسم". (صحيح البخاري 4913، كتاب التفسير، باب {تبتغي مرضاة أزواجك}).
    “আল্লাহর কসম! জাহিলি যামানায় আমরা মহিলাদের কোনো অবস্থান আছে বলেই মনে করতাম না। (এভাবেই চলছিল) অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাদের (সাথে সদাচরণের) ব্যাপারে যা নাযিল করার তা নাযিল করলেন এবং যে হক তাদেরকে দেয়ার তা দিলেন।”- সহীহ বুখারি ৪৯১৩, কিতাবুত তাফসীর।


    অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাদের সাথে ভাল আচরণের আদেশ দিলেন এবং তারা নাফাকা ও মিরাস পাবে বলে বিধান দিলেন। তবে রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক বিষয়াশয় তেমনই রয়ে গেল যেমন আগে ছিল। আগেও যেমন সেখানে তাদের কোন অধিকার ও অংশগ্রহণ ছিল না, ইসলাম আসার পরেও তাদের কোন অধিকার নেই। অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই।
    আল্লামা কিরমানী রহ. (৭৮৬হি.) উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন,
    (أمراً) أي شأناً بحيث يدخلن في المشورة؛ وأنزل الله فيهن مثل «وعاشروهن بالمعروف ولا تمسكوهن ضراراً فإن أطعنكم فلا تبغوا عليهن سبيلا» وقسم مثل «ولهن الربع مما تركتم وعلى المولود له رزقهن وكسوتهن». اهـ (الكواكب الدراري في شرح صحيح البخاري: 18\156-157، كتاب التفسير، بَاب {تَبْتَغِي مَرْضَاةَ أَزْوَاجِكَ})
    “অর্থাৎ মহিলারা পরামর্শে শরীক হতে পারে মতো কোনো অবস্থান রাখে বলে মনে করতাম না। এরপর আল্লাহ তাআলা তাদের ব্যাপারে এ ধরণের আয়াত নাযিল করেন,

    ‘তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবনযাবন করবে’। ‘ক্ষতির উদ্দেশ্যে তোমরা তাদেরকে আটকে রাখবে না’। ‘অতঃপর তারা যদি তোমাদের আনুগত্য করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের পথ খুঁজো না’।

    এবং তাদেরকে এ ধরণের হক দিলেন,
    ‘(তোমাদের সন্তানাদি না থাকলে) তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পদের এক চতুর্থাংশ তাদের’। ‘মায়েদের ভরণ-পোষণ পিতাদের দায়িত্বে’।”- আলকাওয়াকিবুদ দারারি ১৮/১৫৬-১৫৭



    মোটকথা, শারীরিক দুর্বলতা ও বুদ্ধিমত্তার কমতির কারণে জাহিলি যামানাতেও মহিলারা অপূর্ণ বিবেচিত হতো। প্রশাসনিক বা রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয়ে অংশ নেয়ার অনুপযুক্ত বিবেচিত হতো। এমনকি তাদের কোন হক আছে বলেই মনে করা হতো না। পুরুষরা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তাদের ব্যবহার করতো। ইসলাম এসে পুরুষদেরকে আদেশ দিল নারীদের সাথে সদাচরণ করতে। তাদের দেখাশুনা করতে। তাদের ভরণ-পোষণ দিতে। মৃত আত্মীয়-স্বজনের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে তাদেরকেও একটা অংশ দিতে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিষয়াশয় আগের মতোই রয়ে গেল। সেখানে তাদের কোন অংশ নেই। শারীরিক দুর্বলতা ও আকল-বুদ্ধির কমতির কারণে সেখানে অংশ নেয়ার কোন যোগ্যতা তাদের নেই। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর এ বিষয়টিই পরিষ্কার করে বলেছেন,

    من غير أن ندخلهن في شيء من أمورنا – ‘কিন্তু আমাদের (রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক) বিষয়াশয়ের কোনো কিছুতেই আমরা তাদেরকে শরীক করতে পারি না।’


    বড়ই আফসোসের বিষয়! সাহাবায়ে কেরাম যেখানে নববী ও সাহাবি যামানাতেও মহিলাদেরকে রাষ্ট্রীয় সামান্য থেকে সামান্য বিষয়ে অংশ গ্রহণের যোগ্য মনে করতেন না, সেখানে আজকের সমাজের রাহবারগণ এ ফিতনা ফাসাদের যামানাতেও না’কি মহিলাদেরকে রাষ্ট্রীয় মজলিসে শূরার নিয়মিত সদস্য রাখাতে এবং তাদের থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করাতে শরীয়তের বিপরীত কিছু দেখেন না। বড়ই আফসোস তাকি সাহেবের উপর, যিনি সাহাবায়ে কেরামের বিপরীতে এমন কথা বলতেও কোন দ্বিধা করলেন না,

    كوئي ايسي واضح نص بھي موجود نهيں هے، جس كي بنا پر كها جائے كه انهيں شورى ميں شامل نهيں كيا جا سكتا-
    “এমন কোন সুস্পষ্ট দলীলও অবশ্য বিদ্যমান নেই, যার ভিত্তিতে বলা যায় যে, মহিলাদেরকে শূরাতে শামিল করা যাবে না।”- ইসলাম আউর সিয়াসি নজরিয়্যাত ২৬৯

    বড়ই আফসোস যে, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর সুস্পষ্ট বক্তব্যটি তার কেন নজরে পড়লো না! কেনো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের সীরাতের পাতাগুলো তার নজরে আসলো না! যামানার বাতিল মতবাদের চাপে ভীত-সন্ত্রস্ত্র হয়ে গেলে এভাবেই মানুষ চক্ষুষ্মান হয়েও চোখে দেখে না। হে আল্লাহ তোমার কাছে এ থেকে পানাহ চাই। অহীর নূর থেকে তুমি আমাদের বঞ্চিত করো না। আমীন।


  • #2
    গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো Thread tools গিয়ে সেইভ করে রাখুন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post
      মজলিসে শূরায় মহিলা সদস্য থাকতে পারবে কি?- তাকি উসমানী সাহেবের বিভ্রান্তি

      ইমামুল মুসলিমীনের একটি বড় দায়িত্ব হল, পরামর্শ করে কাজ করা। এ ব্যাপারে কুরআন হাদিসে অনেক তারগীব এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় পরামর্শ করে কাজ করতেন। ছোট-খাট বিষয়েও পরামর্শ করতেন। সাহাবায়ে কেরামের বৈশিষ্ট্যও এমনই ছিল। এটিই মুমিনদের সিফাত।


      অবশ্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বা খুলাফায়ে রাশেদার নির্দিষ্ট সদস্যবিশিষ্ট নির্ধারিত কোন বোর্ড ছিল না। যখন দরকার পড়তো বড় বড় সাহাবায়ে কেরামকে একত্র করে পরামর্শ করতেন। নির্দিষ্ট কোন মজলিসে শূরা ছিল না।
      যাহোক, এখন যদি আমীরুল মু’মিন পরামর্শের জন্য কোনো বোর্ড তথা মজলিসে শূরা গঠন করেন, তাহলে মহিলাদেরকে সে বোর্ডের নিয়মতান্ত্রিক সদস্য রাখা যাবে কি’না যে: শূরার তারিখে মহিলারাও উপস্থিত হবে, তাদের কাছেও পরামর্শ চাওয়া হবে এবং তাদের পরামর্শ মোতাবেক কাজও করা হবে?


      যদি আমরা শরীয়তের উসূল ও মূলনীতির দিকে তাকাই, তাহলে এটার বৈধতা পাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। যেমন,

      এক.

      মহিলাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার আদেশ হল,
      وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ
      “তোমরা তোমাদের নিজ গৃহে অবস্থান করবে।”- আহযাব ৩৩


      মজলিসে শূরায় শরীক হওয়ার জন্য মহিলারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানী, জেলা শহর বা যেখানে মজলিসে শূরা বসবে সেখানে উপস্থিত হতে যাওয়া বিনা দরকারে এ আয়াতের বিরুদ্ধাচরণ। অধিকন্তু ফিতনার আশঙ্কায় যেখানে মসজিদে যেতেও মহিলাদের নিষেধ করা হয়েছে, সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে পুরুষদের সাথে এসে এক মজলিসে শরীক হওয়ার অনুমতি কিভাবে হবে? বরং মহিলারা ঘরে থাকবে, ঘরেই প্রতিপালিত হবে- এটাই শরীয়তের কাম্য। বাহিরের কাজে অংশ নেয়া শরীয়তের কাম্য নয়। মহিলাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার ঘোষণা হল,
      مَنْ يُنَشَّأُ فِي الْحِلْيَةِ وَهُوَ فِي الْخِصَامِ غَيْرُ مُبِينٍ
      “যারা অলংকার মণ্ডিত হয়ে প্রতিপালিত হয় আর তর্ক-বিতর্ককালে স্পষ্ট বক্তব্য প্রদানে অসমর্থ্য।”- যুখরুফ ১৮


      দুই.

      সাধারণত মহিলাদের শারীরিক শক্তি, স্বরণ শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা সব কিছুই পুরুষের তুলনায় কম। পুরুষের তুলনায় তাদের দ্বীনও অপূর্ণাঙ্গ, বিবেক-বুদ্ধিও অপূর্ণাঙ্গ। হাদিসে তাদেরকে বলা হয়েছে,
      ناقصات عقل ودين
      “যাদের আকল ও দ্বীন উভয়ই অপূর্ণ।”- সহীহ বুখারী ৩০৪, সহীহ মুসলিম ২৫০


      এ কারণে শরীয়ত মহিলাদের একক সাক্ষ্য গ্রহণ করে না। সাথে পুরুষ থাকলেই কেবল গ্রহণযোগ্য, অন্যথায় নয়। তখনও আবার দুই মহিলা মিলে এক পুরুষের সমান। অর্থাৎ এক মহিলা এক পুরুষের অর্ধেক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
      وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ مِمَّنْ تَرْضَوْنَ مِنَ الشُّهَدَاءِ أَنْ تَضِلَّ إِحْدَاهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى
      “যেসকল সাক্ষীর প্রতি তোমরা রাজি-খুশি তাদের মধ্য থেকে দু’জন পুরুষকে সাক্ষী রাখবে। যদি দু’জন পুরুষ না থাকে, তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা; যাতে এক মহিলা ভুলে গেলে একজন অপরজনকে স্বরণ করিয়ে দিতে পারে।”- বাকারা ২৮২

      রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
      « أما نقصان العقل فشهادة امرأتين تعدل شهادة رجل فهذا نقصان العقل وتمكث الليالى ما تصلى وتفطر فى رمضان فهذا نقصان الدين ».
      “তাদের আকল অপূর্ণ হওয়ার দলীল এই যে, দুই মহিলার সাক্ষ্য এক পুরুষের সাক্ষ্যের সমান। এটি আকলের অপূর্ণতার কারণে। আর (হায়েযের দিনগুলোতে) তারা অনেক দিন পর্যন্ত এভাবে অবস্থান করে যে, তাদের নামায পড়তে হয় না এবং রমযানের দিনে রোযাও রাখতে হয় না। এটিই তাদের দ্বীনের অপূর্ণতা।”- সহীহ মুসলিম ২৫০


      সৃষ্টিগতভাবেই যারা দুর্বল এবং অপূর্ণাঙ্গ এবং শরীয়তের দৃষ্টিতেও যারা অপূর্ণাঙ্গ, তাদেরকে মুসলিম উম্মাহর স্পর্শকাতর বিষয়াশয়ে শরীক করা, তাদের থেকে পরামর্শ নেয়া, সে অনুযায়ী কাজ করা নিশ্চয়ই উম্মাহর প্রতি কল্যাণকামিতা না হয়ে তাদের সাথে খিয়ানত হবে। পুরুষ তো দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে যায়নি যে, তাদের বাদ দিয়ে অপূর্ণাঙ্গ মহিলাদেরকে মজলিসে শুরায় শরীক করতে হবে। নিশ্চয়ই এটা আমানতদারি নয়। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহ তাআলার এ আদেশের পরিপন্থী,
      إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا
      “আল্লাহ তাআলা তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা অবশ্যই আমানতসমূহ উপযুক্ত ব্যক্তির হাতে সমর্পণ করবে।”- নিসা ৫৮


      তিন.
      রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের সীরাতের দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো, তারা কখনও মহিলাদেরকে পরামর্শের মজলিসে আরো দশ পুরুষের সামনে উপস্থিত করে পরামর্শ নিতেন না। আর নিয়মিত মহিলাদেরকে মজলিসে শূরার সদস্য বানানোর তো কোন প্রশ্নই আসে না।
      ***


      উপরোক্ত মূলনীতিগুলোর আলোকে আমরা বলতে পারি, মহিলাদেরকে মজলিসে শূরার সদস্য করে রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক বিষয়াশয়ে তাদের থেকে পরামর্শ নেয়া শরীয়তের নির্দেশও নয়, কাম্যও নয়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের ত্বরীকাও নয়। এটি সম্পূর্ণই একটি নব আবিষ্কৃত বিদআতি বিষয়। শরীয়তের উসূল-মূলনীতি ও মেজাজ পরিপন্থী একটি কাজ। আর ফিতনার আশঙ্কার কথা তো বলাই বাহুল্য।
      ***


      এ গেল আম দলীল। আর যদি খাস দলীলের দিকে যাই, তাহলে দেখতে পাবো হযরত উমার ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাণী,
      "كنا في الجاهلية لا نعد النساء شيئا، فلما جاء الإسلام وذكرهن الله، رأينا لهن بذلك علينا حقا، من غير أن ندخلهن في شيء من أمورنا". (صحيح البخاري 5843، كتاب اللباس، باب ما كان [ص:152] النبي صلى الله عليه وسلم يتجوز من اللباس والبسط).
      “জাহিলি যামানায় আমরা মহিলাদের কোন পজিশন আছে বলেই মনে করতাম না। এরপর যখন ইসলাম আসল, আল্লাহ তাআলা মহিলাদের কথা আলোচনায় আনলেন, তখন মনে হল যে, আমাদের কাছে তাদের কিছু হক পাওনা আছে। কিন্তু আমাদের (রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক) বিষয়াশয়ের কোনো কিছুতেই আমরা তাদেরকে শরীক করতে পারি না।”- সহীহ বুখারি ৫৮৪৩, কিতাবুল লিবাস।


      বর্ণনার শুরুর অংশটি অন্য রিওয়াতে এভাবে এসেছে,
      "والله إن كنا في الجاهلية ما نعد للنساء أمرا، حتى أنزل الله فيهن ما أنزل، وقسم لهن ما قسم". (صحيح البخاري 4913، كتاب التفسير، باب {تبتغي مرضاة أزواجك}).
      “আল্লাহর কসম! জাহিলি যামানায় আমরা মহিলাদের কোনো অবস্থান আছে বলেই মনে করতাম না। (এভাবেই চলছিল) অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাদের (সাথে সদাচরণের) ব্যাপারে যা নাযিল করার তা নাযিল করলেন এবং যে হক তাদেরকে দেয়ার তা দিলেন।”- সহীহ বুখারি ৪৯১৩, কিতাবুত তাফসীর।


      অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাদের সাথে ভাল আচরণের আদেশ দিলেন এবং তারা নাফাকা ও মিরাস পাবে বলে বিধান দিলেন। তবে রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক বিষয়াশয় তেমনই রয়ে গেল যেমন আগে ছিল। আগেও যেমন সেখানে তাদের কোন অধিকার ও অংশগ্রহণ ছিল না, ইসলাম আসার পরেও তাদের কোন অধিকার নেই। অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই।
      আল্লামা কিরমানী রহ. (৭৮৬হি.) উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন,
      (أمراً) أي شأناً بحيث يدخلن في المشورة؛ وأنزل الله فيهن مثل «وعاشروهن بالمعروف ولا تمسكوهن ضراراً فإن أطعنكم فلا تبغوا عليهن سبيلا» وقسم مثل «ولهن الربع مما تركتم وعلى المولود له رزقهن وكسوتهن». اهـ (الكواكب الدراري في شرح صحيح البخاري: 18\156-157، كتاب التفسير، بَاب {تَبْتَغِي مَرْضَاةَ أَزْوَاجِكَ})
      “অর্থাৎ মহিলারা পরামর্শে শরীক হতে পারে মতো কোনো অবস্থান রাখে বলে মনে করতাম না। এরপর আল্লাহ তাআলা তাদের ব্যাপারে এ ধরণের আয়াত নাযিল করেন,

      ‘তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবনযাবন করবে’। ‘ক্ষতির উদ্দেশ্যে তোমরা তাদেরকে আটকে রাখবে না’। ‘অতঃপর তারা যদি তোমাদের আনুগত্য করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের পথ খুঁজো না’।

      এবং তাদেরকে এ ধরণের হক দিলেন,
      ‘(তোমাদের সন্তানাদি না থাকলে) তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পদের এক চতুর্থাংশ তাদের’। ‘মায়েদের ভরণ-পোষণ পিতাদের দায়িত্বে’।”- আলকাওয়াকিবুদ দারারি ১৮/১৫৬-১৫৭



      মোটকথা, শারীরিক দুর্বলতা ও বুদ্ধিমত্তার কমতির কারণে জাহিলি যামানাতেও মহিলারা অপূর্ণ বিবেচিত হতো। প্রশাসনিক বা রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয়ে অংশ নেয়ার অনুপযুক্ত বিবেচিত হতো। এমনকি তাদের কোন হক আছে বলেই মনে করা হতো না। পুরুষরা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তাদের ব্যবহার করতো। ইসলাম এসে পুরুষদেরকে আদেশ দিল নারীদের সাথে সদাচরণ করতে। তাদের দেখাশুনা করতে। তাদের ভরণ-পোষণ দিতে। মৃত আত্মীয়-স্বজনের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে তাদেরকেও একটা অংশ দিতে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিষয়াশয় আগের মতোই রয়ে গেল। সেখানে তাদের কোন অংশ নেই। শারীরিক দুর্বলতা ও আকল-বুদ্ধির কমতির কারণে সেখানে অংশ নেয়ার কোন যোগ্যতা তাদের নেই। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর এ বিষয়টিই পরিষ্কার করে বলেছেন,

      من غير أن ندخلهن في شيء من أمورنا – ‘কিন্তু আমাদের (রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক) বিষয়াশয়ের কোনো কিছুতেই আমরা তাদেরকে শরীক করতে পারি না।’


      বড়ই আফসোসের বিষয়! সাহাবায়ে কেরাম যেখানে নববী ও সাহাবি যামানাতেও মহিলাদেরকে রাষ্ট্রীয় সামান্য থেকে সামান্য বিষয়ে অংশ গ্রহণের যোগ্য মনে করতেন না, সেখানে আজকের সমাজের রাহবারগণ এ ফিতনা ফাসাদের যামানাতেও না’কি মহিলাদেরকে রাষ্ট্রীয় মজলিসে শূরার নিয়মিত সদস্য রাখাতে এবং তাদের থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করাতে শরীয়তের বিপরীত কিছু দেখেন না। বড়ই আফসোস তাকি সাহেবের উপর, যিনি সাহাবায়ে কেরামের বিপরীতে এমন কথা বলতেও কোন দ্বিধা করলেন না,

      كوئي ايسي واضح نص بھي موجود نهيں هے، جس كي بنا پر كها جائے كه انهيں شورى ميں شامل نهيں كيا جا سكتا-
      “এমন কোন সুস্পষ্ট দলীলও অবশ্য বিদ্যমান নেই, যার ভিত্তিতে বলা যায় যে, মহিলাদেরকে শূরাতে শামিল করা যাবে না।”- ইসলাম আউর সিয়াসি নজরিয়্যাত ২৬৯

      বড়ই আফসোস যে, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর সুস্পষ্ট বক্তব্যটি তার কেন নজরে পড়লো না! কেনো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের সীরাতের পাতাগুলো তার নজরে আসলো না! যামানার বাতিল মতবাদের চাপে ভীত-সন্ত্রস্ত্র হয়ে গেলে এভাবেই মানুষ চক্ষুষ্মান হয়েও চোখে দেখে না। হে আল্লাহ তোমার কাছে এ থেকে পানাহ চাই। অহীর নূর থেকে তুমি আমাদের বঞ্চিত করো না। আমীন।


      সম্মানিত ইলম ও জিহাদ ভাই! তাকি সাহেব এক্ষেত্রে দু’টি দলিল দিয়েছেন তার কিতাব- ইসলাম ও রাজনীতি- এর মধ্যে। একটি হল: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ার ঘটনায় উম্মে সালামা রাযি. এর পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। তার পরামর্শমত আগে নিজে মাথা হলক করা শুরু দিয়েছেন, তখন সাহাবায়ে কেরাম উক্ত আদেশ মানতে প্রস্তুত হয়ে গেছে।
      আরেকটি দলিল দেয় যে, ওমর রাযি. একটি বাজারের বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজন মহিলাকে। সম্ভবতা মহিলাকে কেরানী বানিয়েছিলেন।
      তো আপনার নিকট আবেদন করব, এ দু’টি দলিলের হাকিকত স্পষ্ট করে আলোচনা করতে। আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন!

      Comment


      • #4
        আল্লাল আপনার কাজে বারাকারাহ দান করুন,আমিন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment


        • #5
          আমার এক উস্তাদের মুখে শুনেছি হাদিসে নাকি আছে অধিক পরিমাণে নারী সংশ্রব মুমিনের জাহালত বৃদ্ধি করে দেয়।
          সম্মান নেইকো নাচে গানে,
          আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

          Comment


          • #6
            ইসলাম আওর সিয়াসত কি বাংলা হয়েছে?হলে কোন নামে? এবং প্রকাশনা কারা করেছে??? প্লিজ, আমার অনুরোধটুকু মঞ্জুর করবেন ভাইয়েরা।
            সম্মান নেইকো নাচে গানে,
            আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

            Comment


            • #7
              Originally posted by Musafir View Post
              ইসলাম আওর সিয়াসত কি বাংলা হয়েছে?হলে কোন নামে? এবং প্রকাশনা কারা করেছে??? প্লিজ, আমার অনুরোধটুকু মঞ্জুর করবেন ভাইয়েরা।
              অনূদিত বই: ইসলাম ও রাজনীতি
              অনুবাদক: আব্দুল আলীম
              প্রকাশনা:মাকতাবাতুল হেরা

              Comment


              • #8
                খুবই গুরুত্ববহ।।।
                আসলে এই ...................... আল্লাহ হেদায়েতের মালিক।
                আসুক না যত বাধাঁ যত ঝর সাইক্লোন কিতালের পথে মোরা চলবোই

                Comment


                • #9
                  ইবনে মুসান্না ভাইকে বইটির বাংলা বলার জন্য শুকরিয়া।
                  والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                  Comment


                  • #10
                    শুকরান আখিঁ ফিল্লাহ, আল্লাহ তা‘আলা আপনার ইলমে আরো বারাকাহ দান করুন। আমীন
                    আমাদের সবাইকে হক বুঝা ও আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment


                    • #11
                      বারাকাল্লাহু ফি ইলমিকা ওয়া আমালিক।
                      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by salahuddin aiubi View Post

                        সম্মানিত ইলম ও জিহাদ ভাই! তাকি সাহেব এক্ষেত্রে দু’টি দলিল দিয়েছেন তার কিতাব- ইসলাম ও রাজনীতি- এর মধ্যে। একটি হল: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ার ঘটনায় উম্মে সালামা রাযি. এর পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। তার পরামর্শমত আগে নিজে মাথা হলক করা শুরু দিয়েছেন, তখন সাহাবায়ে কেরাম উক্ত আদেশ মানতে প্রস্তুত হয়ে গেছে।
                        আরেকটি দলিল দেয় যে, ওমর রাযি. একটি বাজারের বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজন মহিলাকে। সম্ভবতা মহিলাকে কেরানী বানিয়েছিলেন।
                        তো আপনার নিকট আবেদন করব, এ দু’টি দলিলের হাকিকত স্পষ্ট করে আলোচনা করতে। আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন!
                        মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাই!
                        শাইখুল ইসলাম তাকী উসমানী সাহেব যেই দু'টি দলীল দিয়েছেন, সেগুলোর ব্যাখ্যা করলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হতো।
                        আল্লাহ তাআলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন ও ইলমে বারাকাহ দান করুন, আমীন।
                        বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                        কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                        Comment


                        • #13
                          সম্মানিত ইলম ও জিহাদ ভাই! তাকি সাহেব এক্ষেত্রে দু’টি দলিল দিয়েছেন তার কিতাব- ইসলাম ও রাজনীতি- এর মধ্যে। একটি হল: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ার ঘটনায় উম্মে সালামা রাযি. এর পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। তার পরামর্শমত আগে নিজে মাথা হলক করা শুরু দিয়েছেন, তখন সাহাবায়ে কেরাম উক্ত আদেশ মানতে প্রস্তুত হয়ে গেছে।
                          আরেকটি দলিল দেয় যে, ওমর রাযি. একটি বাজারের বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজন মহিলাকে। সম্ভবত মহিলাকে কেরানী বানিয়েছিলেন।
                          তো আপনার নিকট আবেদন করব, এ দু’টি দলিলের হাকিকত স্পষ্ট করে আলোচনা করতে। আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন!
                          মুহতারাম salahuddin aiubi ভাই! উত্তর তো আর্টিকেলেই আছে !

                          হযরত উমার ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাণী,
                          "كنا في الجاهلية لا نعد النساء شيئا، فلما جاء الإسلام وذكرهن الله، رأينا لهن بذلك علينا حقا، من غير أن ندخلهن في شيء من أمورنا". (صحيح البخاري 5843، كتاب اللباس، باب ما كان [ص:152] النبي صلى الله عليه وسلم يتجوز من اللباس والبسط).
                          “জাহিলি যামানায় আমরা মহিলাদের কোন পজিশন আছে বলেই মনে করতাম না। এরপর যখন ইসলাম আসল, আল্লাহ তাআলা মহিলাদের কথা আলোচনায় আনলেন, তখন মনে হল যে, আমাদের কাছে তাদের কিছু হক পাওনা আছে। কিন্তু আমাদের (রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক) বিষয়াশয়ের কোনো কিছুতেই আমরা তাদেরকে শরীক করতে পারি না।”- সহীহ বুখারি ৫৮৪৩, কিতাবুল লিবাস।

                          একটি হল: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ার ঘটনায় উম্মে সালামা রাযি. এর পরামর্শ গ্রহণ করেছেন।
                          আরেকটি হল: ওমর রাযি. একটি বাজারের বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজন মহিলাকে। সম্ভবত মহিলাকে কেরানী বানিয়েছিলেন।
                          এই দুইটি দালিল কি নির্দিষ্ট কোন মজলিসে শূরা হওয়ার অর্থ বহন করে?
                          সর্বোচ্চ এতটুকু হতে পারে, নির্দিষ্ট কোন মজলিসের শূরার সাথী বাসায় গিয়ে তার বিশ্বস্ত স্ত্রী-কন্যার সাথে উক্ত বিষয়ে কথা বলতে পারেন ।

                          মনে করুন, আপনি নির্দিষ্ট কোন মজলিসের শূরার সাথী ।
                          মজলিসে কোন একটি বিষয়ে পরামর্শ চলছে ।
                          কিন্তু কোন উত্তম সমাধান মিলছে না ।
                          দিন শেষে বাসায় ফিরলেন ।
                          আপনার বিশ্বস্ত স্ত্রী খেয়াল করল যে আপনি পেরেশান ।
                          আপনার বিশ্বস্ত স্ত্রী আপনার পেরেশানীর কারণ জানতে চাইল ।
                          আপনি আপনার বিশ্বস্ত স্ত্রীকে আপনার পেরেশানীর কারণ জানালেন ।
                          তখন আপনার বিশ্বস্ত স্ত্রী আপনাকে কিছু পরামর্শ দিল ।

                          হয়তো , সর্বোচ্চ এতটুকু হতে পারে ।
                          হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

                          Comment


                          • #14
                            এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন لن يفلح قوم ولوا أمرهم امرأة অর্থ এমন সম্প্রদায় কখন সফল হবেনা যারা তাদের নেতৃত্ব মহিলার হাতে ন্যস্ত করবে।

                            Comment


                            • #15
                              সম্মানিত ইলম ও জিহাদ ভাই! তাকি সাহেব এক্ষেত্রে দু’টি দলিল দিয়েছেন তার কিতাব- ইসলাম ও রাজনীতি- এর মধ্যে। একটি হল: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ার ঘটনায় উম্মে সালামা রাযি. এর পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। তার পরামর্শমত আগে নিজে মাথা হলক করা শুরু দিয়েছেন, তখন সাহাবায়ে কেরাম উক্ত আদেশ মানতে প্রস্তুত হয়ে গেছে।
                              আরেকটি দলিল দেয় যে, ওমর রাযি. একটি বাজারের বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজন মহিলাকে। সম্ভবতা মহিলাকে কেরানী বানিয়েছিলেন।
                              তো আপনার নিকট আবেদন করব, এ দু’টি দলিলের হাকিকত স্পষ্ট করে আলোচনা করতে। আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন!
                              প্রিয় ভাইয়েরা, মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাই যে সকল দলীল উল্লেখ করেছেন সবগুলোই শরীয়তের সর্বসম্মত মূলনীতি। এতে কোনো সন্দেহ নেই। যার সামনে উপরোক্ত দুটি দলীল অম্লান হয়ে যায়।
                              তারপর কথা হলো শ্রদ্ধেয় শাইখ মুফতি তাক্বী উসমানী হাফিযাহুল্লাহ যে দলীলগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো সর্বসম্মত মত নয়। যা শাইখের বক্তব্য থেকে সুস্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠে ; কারণ শাইখ দলীল উল্লেখের পাশাপাশি তাঁর দুর্বলতাগুলো উল্লেখ করে দিয়েছেন, যদিও তিনি মহিলাদের শুরার অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে।
                              স্বয়ং মুহতারাম শাইখ বলেছেন, প্রথমটি অর্থাৎ উম্মে সালামাহ রাঃ এর পরামর্শ গ্রহণ- এটা মহিলা শুরা সদস্য নিযুক্ত করার পক্ষে শক্তিশালী দলীল নয়।
                              দ্বিতীয় দলীল হিসেবে শাইখ উল্লেখ করেছেন, আব্দুর রহমান বিন আউফ রাঃ ওমর রাঃ এর পর খলিফা নির্ধারণের জন্য মহিলাদেরও পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। এমনকি ছোট ছোট বাচ্চাদেরও। শাইখ এই দলীলের পরেও বলেছেন, এটাও শক্তিশালী দলীল নয়।
                              আর মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের বক্তব্যই যথেষ্ট। আর অতিরিক্ত কোনো কথার প্রয়োজন হয় না ; কারণ তিনি এখানে নারী পুরুষের ব্যাপারে আল্লাহর মর্জি তুলে ধরেছেন। উম্মাহর সর্বসম্মত উসূল উল্লেখ করেছেন।
                              সুতরাং উম্মাহর সর্বসম্মত মত হলো, মহিলাদের সৃষ্টি করা হয়েছে গৃহের (যেমন সন্তানদের দেখা শোনা, স্বামীর সেবা ইত্যাদি) কার্যাবলী আঞ্জাম দেওয়ার জন্য। আর পুরুষদের সৃষ্টি করা বাহিরের কাজ কর্ম (যেমন রাষ্ট্র পরিচালনা, পরিবারের আয় রোজগার, ইত্যাদি) আঞ্জাম দেওয়ার জন্য। আর আল্লাহর এই উসূলের বিপরীত যারা চায় তারা মূলত সৃষ্টির পরিবর্তনই চায়। যা শয়তান আল্লাহকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, ولآمرنهم فليغرُنَّ خلق الله

                              Comment

                              Working...
                              X