Announcement

Collapse
No announcement yet.

গাযওয়াতুল হিন্দ!কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে!!4 কিস্তি (2-১৫)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গাযওয়াতুল হিন্দ!কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে!!4 কিস্তি (2-১৫)

    দ্বিতীয় অধ্যায়
    গাযওয়ায়ে হিন্দের ব্যাপারে নববি ভবিষ্যতবাণী
    গাযওয়াতুল হিন্দনববি ভবিষ্যতবাণীর মাধ্যে ঐ সকল গাযওয়ার অন্তভূক্ত যার ফযিলত বর্ণনায় নবি সা. থেকে একাধিক আহাদিস বর্ণিত আছে। আহলে ইলম ও জ্ঞানীগুণিগণ তাদের বর্ণনা এবং লেখালেখির মাধ্যমে এ বিষয় বর্ণনা করেছেন। এখানে আমরা আমাদের সধ্য অনুযায়ী অনেক নির্রভর যোগ্য হাদিসের কিতাব সমূহ থেকে সুন্দর তারতিব দিয়ে হাদিস বর্ণনা করবো। তারপর হাদিস সমূহের ছহিহ্ এবং যইফ হওয়ার দিক নিয়ে আলোচনা করবো। এরপর হাদিস সমূহের অর্থ ও মর্ম,মাফহুম-উদ্দেশ্য নিয়ে বিশেষ চিন্তা ফিকির করবো।
    অতপর আমরা এই হাদিস সমূহের বর্তমান বাস্তবতা এবং প্রেক্ষাপট নিয় সবিস্তার আলোচনা করবো।
    যে সকল সাহাবিগণ থেকে গাযওয়ায়ে হিন্দে সম্পর্কিত হাদিস বর্ণিত আছেঃ
    ১.হযরত আবু হুরাইরা রা.।
    ২. হযরত ছাওবান রা.।
    ৩. হযরত কাআব বিন আমর রা.।


    যে সকল সাহাবিগণ থেকে গাযওয়ায়ে হিন্দে সম্পর্কিত আছার বর্ণিত আছেঃ
    ১. হযরত আবু হুরাইরা রা.
    ২. হযরত উমর রা.
    যে সকল আয়িম্মায়ে হাদিসগণ (হাদিস বিশারদগণ) গাযওয়ায়ে হিন্দে সম্পর্কিত হাদিস বর্ণনা করেছেনঃ
    1. ইমাম আহমাদ তার ‘মুসনাদে আহমাদ’ গ্রন্থে।
    2. ইমাম ইবনে কাসির তার ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থে।
    3. ইমাম আহমাদ শাকের তার ‘শারহু মুসনাদে আহমাদ’।
    4. ইমাম নাসাঈ তার ‘আস সুনানুল মুযতাবা’ ও ‘আস সুনানুল কুবরা’ গ্রন্থে।
    5. ইমাম বাইহাকি ‘আস সুনানুল কুবরা’ ও ‘দালায়েলুন নাবুয়াত’ গ্রন্থে।
    6. ইমাম ইবনে দাউদ………….
    7. ইমাম আবু ইসহাক ফিযারি………
    8. ইমাম সুয়্যুতি তার ‘আল জা‘মেউল সাগির’ ও ‘আল জামেউল কাবির’ গ্রন্থে।
    9. আবু নাইম আসপাহানি তার ‘হিল ইয়াতুল আওলিয়া’ গ্রন্থে।
    10. ইমাম হাকেম আল ‘মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইনে” গ্রন্থে।
    11. ইমাম সাঈদ বিন মানসুর ‘আস সুনান’ গ্রন্থে।
    12. খাতিবে বাগদাদি তার ‘তারিখে বাগদাদ’ গ্রন্থ্।
    13. ইমাম নাঈম ইবনে হামাদ 'আল-ফিতান' গ্রন্থে।
    14. ইমাম ইবনে আবি আসেম ‘আল জিহাদ’ গ্রন্থে।
    15. ইমাম ইবিনে আবি হাতেম তার ‘আল ঈলাল’ গ্রন্থে।
    16. ইমাম বুখারি তার ‘আত তারিখুল কাবির’ গ্রন্থে।
    17. ইমাম মাযি তার ‘তাহযিবুল কামাল, গ্রন্থে।
    18. ইমাম ইবনে হাজার আস-কালানি তার ‘তাহযিবুত তাহযিব’ গ্রন্থে।
    19. নাসিরুদ্দিন আলবানী তার ‘আসি সিল সিলাতুস সাহিহাহ্’ গ্রন্থে।
    20. ইমাম তাবারানী তাঁর ‘আল-আওসাত’ গ্রন্থে।
    21. ইমাম ইবনে আদি তার ‘আল কামেল’ গ্রন্থে।
    22. ইমাম যাহাবি তার ‘মুসনাদে ফিরদাউস’ গ্রন্থে।
    23. ইমাম মুনাবি তার ‘আল জামে‘উল কাবির’ এর ব্যাক্ষা‘ফায়যুল ক্বাদির’ গ্রন্থে।
    24. ইমাম ইবনে আসাকের তার ‘তারিখে দিমাস্ক’ গ্রন্থে।
    25. ইমাম ইসহাক বিন রাহুইয়াহ্ তার ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে।
    26. শাইখ শোয়াইব আরনাঊত তার ‘তাখরিজুল মুসনাদ’ গ্রন্থে।
    27. আল হায়াতামি তার ‘আল মাজমাউয যাওয়ায়েদ’ গ্রন্থে।
    28. ইবনে আল-কায়েসারানী তার ‘যাখিরাতুল হুফ্ফায’ গ্রন্থে।
    29. আল-বজ্জর তার ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে।

    যে সকল কিতাব সমূহে গাযওয়ায়ে হিন্দে সম্পর্কিত হাদিস বর্ণিত হয়েছেঃ
    1. মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থের,২/৩৬৯, ২/২২৯,২/২৭৮
    2. মুসনাদে আবু হুরাইরা গ্রন্থের – ৮৪৬৭,৬৮৩১
    3. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থের ৬/২২৩
    4. শারহু মুসনাদে আহমাদ (আহমাদ শাকের) ১৮/১৮ হাদিসঃ- ৮৮০৯, ১২/৯৭, হাদিস ৭১২৮
    5. আস সুনানুল মুযতাবা ৬/৪২ কিতাবুল জিহাদ, বাব- গাযওয়াতুল হিন্দ, হাদিস ৩১৭৩,৩১৭৪
    6. আস সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ৩/২৮, বাব- গাযওয়াতুল হিন্দ হাদিস ৪৩৮২,৪৩৮৩
    7. আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকি ৯/১৭৬,কিতাবুস সিয়ার,বাবু মা যা‘আ ফি কিতালিল হিন্দি, হাদিস ১৮৫৯৯ , ৯/১৭৬,কিতাবুস সিয়ার,বাবু মা যা‘আ ফি কিতালিল হিন্দি, হাদিস ১৮৬০০
    8. দালায়েলুন নাবুয়াত, সুরা আল আনআম ৬/৭১২৮
    9. আল জা‘মেউল সাগির লিস সুয়্যুতি ৫৪১৮
    10. আল জা‘মেউলকাবির লিস সুয়্যুতি ৪/৩১৭
    11. আল খাসায়েসুল কুবরা, ২/১৯০
    12. হিল ইয়াতুল আওলিয়া ৮/৩১৬-৩১৭
    13. মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন ৩/৫১৪, হাদিস ৬১৭৭
    14. আস সুনান লি সায়িদ বিন মানসুর ২/১৭৮,হাদিস ২৩৭৪
    15. তারিখে বাগদাদ ১০/১৪৫
    16. আল-ফিতান বাব গাযওয়তিুল হিন্দ,১/৪০৯
    17. আল জিহাদ, পরিচ্ছেদ- নৌ যুদ্ধের ফযিলত,২/৬৬৮, হাদিস ২৯১
    18. আল ঈলাল ১/৩৩৪
    19. আত তারিখুল কাবির, ২/২৪৩
    20. তাহযিবুল কামাল, ৪/৪৯৪,৩৩/১৫১
    21. তাহযিবুত তাহযিব, ২/৫২
    22. আস সিলাতুস সাহিহাহ্, হাদিস ১৯৩৪
    23. সাহিহুল জামে‘ , হাদিস ৪০১২
    24. আলমু‘ জামুল আওসাত ৭/২৩-২৪, হাদিস ৬৭৪১
    25. আল কামলে লি ইবনে আদি ২/১৬১
    26. মুসনাদে ফিরদাউস ৩/৪৮, হাদিস ৪১২৪
    27. মিযানুল ইতিদাল লিয যহাবি ১/৩৮৮
    28. ফায়যুল ক্বাদির,৪/৩১৭
    29. তারিখে দিমাস্ক ৫২/২৪৮
    30. মুসনাদে ইসহাক্ব ইবনে রাহওয়াইহ ১/৪৬২, হাদিস ৫৩৭
    31. তাখরিজুল মুসনাদ ২২৩৯৬,৭১২৮,১২/২৯
    32. আল মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৫/২৮৫
    33. যাখিরাতুল হুফ্ফায ৩/১৫৭৯
    34. মুসনাদে বাজ্জার,১৫/৩০২
    35. তারিখুল ইসলাম লিয যাহাবি, ১/৩৭৯

    আমাদের অনুসন্ধানের পর আমরা এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা ধারার একাধিক সনদে সর্বমোট পাঁচটি রেওয়ায়েত পেয়েছি। যা একাধিক জালিলুল ক্বদর সাহাবা ও তাবেয়ীগণ বর্ণনা করেছেন।

    ১.হযরত আবু হুরাইরা রা. এর প্রথম হাদিস।

    حَدَّثَنِي خَلِيلِي الصَّادِقُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ : يَكُونُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْثٌ إِلَى السِّنْدِ وَالْهِنْدِ ، فَإِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُ فَاسْتُشْهِدْتُ فَذَاكَ ، وَإِنْ أَنَا - فَذَكَرَ كَلِمَةً - رَجَعْتُ وَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ ، قَدْ أَعْتَقَنِي مِنَ النَّارِ.

    আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার সত্যবাদী বন্ধু রাসূল (সাঃ) আমাকে বলেছেন, এ উম্মাহর একটি দল সিন্ধ ও হিন্দের দিকে যাবে। আমি তা পেলে আমি শাহাদাত বরণ করলে, করলাম। আমি যদি – তারপর কিছু উল্লেখ করলেন – ফিরে আসি, তো আমি আবু হুরাইরাহ মুক্ত। আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবেন।
    এই শব্দে এই হাদিস শুধু ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল র. তহার মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এবং ইবনে কাসির তার হাওয়ালা দিয়েই আর বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
    কাজী আহমাদ শাকের মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থের ব্যাক্ষা গ্রন্থে এই হাদিসের তাহকিক বর্ণনা করে হাসান সাব্যস্ত করেছেন।
    ইমাম নাসায়ী তার আস সুনানুল মুযতাবা ও আস সুনানুল কুবরা গ্রন্থে এ হাদিস দ্বয় কিছু পার্থক্যের সাথে উল্লখ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন,
    أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ ، عَنْ سَيَّارٍ . ح قَالَ : وَأَنْبَأَنَا هُشَيْمٌ ، عَنْ سَيَّارٍ ، عَنْ جَبْرِ بْنِ عَبِيدَةَ ، وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ ، عَنْ جُبَيْرٍ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , قَالَ : " وَعَدَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، غَزْوَةَ الْهِنْدِ ، فَإِنْ أَدْرَكْتُهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي ، فَإِنْ أُقْتَلْ كُنْتُ مِنْ أَفْضَلِ الشُّهَدَاءِ ، وَإِنْ أَرْجِعْ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ " .
    আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে গাযওয়াতুল হিন্দের অঙ্গীকার করেছেন। আমি তা পেলে তাতে আমার জান ও মাল উৎসর্গ করে দিব। যদি শহীদ হয়ে যাই, তবে আমি উত্তম শহীদ হব, আর যদি ফিরে আসি, তবে আমি আবু হুরাইরাহ (জাহান্নাম থেকে) মুক্ত।
    ইমাম বাইহাকি র. তার আস সুনানুল কুবরা গ্রন্থে এই লফযেই হাদিসটি আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি তিনি অন্য আরেকটি রেওয়াযেত তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি তাতে ইবনে দাউদ এর উদৃতি দিয়ে আবু ইসহাক ফিযারি ( ইবরাহিম বিন মুহাম্মাদ, মুহাদ্দিসুস শাম ও মুজাহিদে আলম মৃঃ১৮৮ হি.) এর দিকে সম্পৃক্ত করে বলেন, তিনি (আবু ইসহাক ফিযারি) এ যুদ্ধের ব্যাপারে মনের তামান্না প্রকাশ করে বললেন,
    وددت أني شهدت ماربد بكل غزوة غزوتها في بلاد الروم.

    হায় ! রোমকদের সাথে আমার সারা জিবন যে সকল যুদ্ধ ও লড়াই হয়েছে তার বদলায় যদি মারিবাদা (ভারতের পূর্ব দিক থেকে আরব পর্যন্ত এলাকা) হিন্দুস্থানিদের মোকাবেলায় যুদ্ধে শামিল হতে পারতাম।

    ইমাম বাইহাকি র. দালায়েলুন নাবুওয়াত গ্রন্থে এই রেওয়ায়েত বর্ণনা করেন। ইসিস আহিমাদ র. এর সনদে থেকে ইমাম ইবনে কাসির র. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
    আবু নাইম আসপাহানি হিল ইয়াতুল আওলিয়া গ্রন্থে হাদিসটি বর্ণনা করেন।
    ইমাম হাকেম স্বলিখিত আল মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইনে গ্রন্থেও হাদিসটি বর্ণনা করেন। এবং যখন ইমাম যাহাবি র. তার ‘তালখিসে মুসতাদরাক’ গ্রন্থ থেকে হাদিসটি হজফ করে দেন তখন থেকে তিনি উক্ত হাদিসের মান বর্ণনার ক্ষেত্রে নিশ্চুপ থাকেন।
    ইমাম সাঈদ বিন মানসুর র. তার কিতাব ‘আস সুনান’ গ্রন্থে হাদিসটি বর্ণনা করেন।
    খাতিবে বাগদাদি তার তারিখে বাগদাদ গ্রন্থে হাদিসটি বর্ণনা করেন। এবং তিনি হাদিসের শেষে আরো উল্লেখ করেন, (اتبعت فيها نفسي ), অর্থাৎ, আমি ঐ যুদ্ধে নিজে নিজেকে ধোকা দেবো।
    ইমাম নুআইম ইবনে হাম্মাদ 'আল-ফিতান' গ্রন্থে এই হাদিসটি উল্লেখ করেন।

    ইমাম ইবনে আবি আসেম আল জিহাদ গ্রন্থে একটু ভিন্ন শব্দে হাদিসটি বর্ণনা করেন। তিনি বর্ণনা করেন,

    وعدنا الله رسوله ------------- و كنت كافضل الشهداء.

    আল্লাহ এবং রাসুল সা.------------ আর আমি হব সর্ব উত্তম শহিদগণের মত।
    এবং সনদটি হাসান।

    ইমাম ইবিনে আবি হাতেম তার আল ঈলাল গ্রন্থে ভিন্ন আরেক শব্দে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন,
    فان أقتل اكون حيا مرزوقا و ان أرجع فانا المحرر
    যদি আমি নিহত হই তাহলে তো আমি জান্নাতে রিযিক প্রাপ্ত(শহিদ হওয়ার দিক থেকে)। আর যদি আমি জিবিত থাকি এবং ফিরে আসি তো আমি অযাদ।
    উক্ত আইম্মায়ে কেরাম ছাড়াও যারাহ্ ও তা‘দিলের ইমাম, ইমাম বুখারি তার আত তারিখুল কাবির গ্রন্থে।
    ইমাম মাযি তার তাহযিবুল কামাল গ্রন্থে।
    ইমাম ইবনে হাজার আস কালানি তার তাহযিবুত তাহযিব গ্রন্থে।
    হাদিসের মানঃ

    এ বর্ণনাটির সনদ হাসান তথা উত্তম। তবে একাধিক সনদে বর্ণিত হওয়ার কারনে তা সহিহ এর স্তরে উন্নিত হবে। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের সবাই নির্ভরযোগ্য হলেও জাবর বিন আবিদা নামক একজন বর্ণনাকারীর ব্যাপারে সামান্য একটু বিতর্ক আছে। ইমাম ইবনে হিব্বান রহ. তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। হাফিজ জাহাবি রহ. দুর্বল রাবি বললেও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তার বিপরীতে তাকে মাকবুল বা গ্রহণীয় রাবি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

    এছাড়াও এর সমর্থনে আরও ১৮ টি সনদ রয়েছে। যেমন 'মুসনাদু আহমাদ'-এর ১৪/৪১৯ পৃষ্ঠার ৮৮২৩ নং হাদিস এবং ইমাম ইবনে আবি আসিম রহ. বিরচিত ‘আল জিহাদ’ গ্রন্থের ২৯১ নং হাদিস। তাছাড়াও তারিখে বাগদাদ,সুনানে সাঈদ বিন মানসুর,কিতাবুল ফিতান,দালঅয়েলুন নাবুয়াত আরো অন্যান্য কিতাবে ভিন্ন সনদে বর্ণিত আছে।
    ২. রাসুল সা. এর আজাদকৃত গোলাম সাওবান রা. এর হাদিসঃ
    حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَالِمٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ لُقْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الْوُصَابِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَدِيٍّ الْبَهْرَانِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِي أَحْرَزَهُمُ اللهُ مِنَ النَّارِ: عِصَابَةٌ تَغْزُو الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُونُ مَعَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ

    সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মাহর দু’টি দলকে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন: একদল হল, যারা হিন্দে যুদ্ধ করবে, অপরদল হল, যারা ঈসা বিন মারয়াম (আঃ) এর সাথে থাকবে।
    একই লফযে অনেক সাহাবি হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
    ইমাম আহমাদ র. মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থে।
    ইমাম ইবনে কাসির তার আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে।
    ইমাম নাসাঈ তার ‘আস সুনানুল মুযতাবা ও আস সুনানুল কুবরা’ গ্রন্থে ।
    ইমাম বাইহাকি আস সুনানুল কুবরা গ্রন্থে।
    ইমাম সুয়্যুতি তার ‘আল জা‘মেউল সাগির’ এবং ‘আল জামেউল কাবির’ গ্রন্থে।
    ইমাম ইবনে আবি আসেম আল জিহাদ গ্রন্থে।
    ইমাম বুখারি তার আত তারিখুল কাবির গ্রন্থে।
    ইমাম মাযি তার তাহযিবুল কামাল গ্রন্থে।
    শাইখ শোয়াইব আরনাঊত তার তাখরিজুল মুসনাদ গ্রন্থে।
    নাসিরুদ্দিন আলবানী তার আস সিল সিলাতুস সাহিহাহ্ গ্রন্থে।
    ইমাম তাবারানী তাঁর আল মুজামুলআওসাত গ্রন্থে।
    ইমাম ইবনে আদি তার আল কামলে গ্রন্থে।
    ইমাম যাহাবি তার মুসনাদে ফিরদাউস গ্রন্থে।
    ইমাম মুনাবি তার আল জামে‘উল কাাবর এর শরাহ গ্রন্থ ফায়যুল ক্বাদির গ্রন্থে।
    ইমাম ইবনে আসাকের তার তারিখে দিমাস্ক গ্রন্থে।

    হাদিসের মানঃ
    ইমাম নাছিরুদ্দীন আলবানী বলেন, হাদীছটি ছহীহ।
    ইয়াসির হাসান বলেন, হাদীছটি হাসান।
    শু’আইব আরনাউত্ব বলেন, হাদীছটি হাসান।
    হামযাহ আহমাদ যাঈন বলেন, এর সানাদ দুর্বল আবু বাকর ইবনুল ওয়ালীদ যুবাইদী এর কারণে।
    হাফিয যুবাইর আলী যাঈ বলেন, হাদীছটি হাসান।
    এই হাদীছের রাবী আবু বাকর ইবনুল ওয়ালীদ যুবাইদী কে অনেকে মাজহূল বলেছেন। কিন্তু তার ব্যাপারে ইমাম সুফিয়ান ছাওরী বলেন, তিনি ছিক্বাহ।
    ইমাম ইবনে হিব্বান তাকে ছিক্বাহ বলেছেন।
    ইমাম আবু বাকর মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আল-হাযিমী ইমাম যুহরীর ছাত্রদেরকে ‘ত্বাবাক্বাতুছ ছানিয়াহ’ তে উল্লেখ করেছেন এবং তাদের সম্পর্কে বলেছেন যে, তারা মুসলিমের শর্তের উপর রয়েছেন।
    উক্ত রাবী ইমাম যুহরী এর ছাত্র।
    সুতরাং, আবু বাকর ইবনুল ওয়ালীদ যুবাইদী মাজহূল নন বরং হাসানুল হাদীছ।
    এছাড়াও আবদুল্লাহ ইবনে সালিম তার মুতাবাআ’ত করেছেন।
    আর আবদুল্লাহ ইবনে সালিম ছিক্বাহ ছিলেন।
    তাছাড়া এই হাদিসের বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। তবে বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি (عن) এর পরিবর্তে (حدثنا) ব্যবহার করায় এখানে তাদলিসজনিত কোনো দুর্বলতা সৃষ্টি হয়নি।

    ৩.হযরত আবু হুরাইরা রা. এ দ্বিতীয় হাদিসঃ

    حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ صَفْوَانَ، عَنْ بَعْضِ الْمَشْيَخَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَرَ الْهِنْدَ، فَقَالَ: لَيَغْزُوَنَّ الْهِنْدَ لَكُمْ جَيْشٌ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ حَتَّى يَأْتُوا بِمُلُوكِهِمْ مُغَلَّلِينَ بِالسَّلَاسِلِ، يَغْفِرُ اللَّهُ ذُنُوبَهُمْ، فَيَنْصَرِفُونَ حِينَ يَنْصَرِفُونَ فَيَجِدُونَ ابْنَ مَرْيَمَ بِالشَّامِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنْ أَنَا أَدْرَكْتُ تِلْكَ الْغَزْوَةَ بِعْتُ كُلَّ طَارِفٍ لِي وَتَالِدٍ وَغَزَوْتُهَا، فَإِذَا فَتْحَ اللَّهُ عَلَيْنَا وَانْصَرَفْنَا فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرِّرُ، يَقْدَمُ الشَّامَ فَيَجِدُ فِيهَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَلَأَحْرِصَنَّ أَنْ أَدْنُوَ مِنْهُ فَأُخْبِرُهُ أَنِّي قَدْ صَحِبْتُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَحِكَ، ثُمَّ قَالَ: هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ.

    আবু হুরাইরাহ(রা) বলেন, রসূল (স) হিন্দুস্থানের প্রসঙ্গে বলেন, অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্থানে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা’আলা সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন। তারা হিন্দুস্থানের রাজাদেরকে শিকল পড়িয়ে টেনে আনবে। আল্লাহ তা’আলা (যারা যুদ্ধ করবে) তাদেরকে (এই মহৎ জিহাদের বরকতে) ক্ষমা করে দিবেন এবং যারা ফিরে আসবে, তারা ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ.) কে শামে (সিরিয়ায়) পেয়ে যাবে।
    আবু হুরাইরাহ(রা) বলেন, আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রয় করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম। যখন আল্লাহ তা’আলা আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরাইরাহ(রা) হতাম, যে কিনা সিরিয়ায় ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) কে পাওয়ার গর্ব নিয়ে ফিরতো।
    আবু হুরাইরাহ(রা) বলেন, হে রসূল(স)! আমার অনেক ইচ্ছা হয় সেই সময়টা পেতে, যখন আমি ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম ও আমি তাকে বলতে পারতাম যে, আমি রসূল(স) এর একজন ছাহাবী। তখন রসূল(স) মুচকি হাসলেন এবং বললেন, খুব কঠিন, খুব কঠিন।
    এই হাদিসটি নুআইম ইবনে হাম্মাদ, তার ‘আল-ফিতান’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
    ইমাম ইসহাক্ব ইবনে রাহওয়াইহ মএই হাদিসটি তার মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি একটু ভিন্ন ভাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবু হুরাইরা রা. বলেন, একবার রাসুল সা. হিন্দ ও সিন্দের আলোচনা করছিলেন, তখন তিন বললেন, অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্থানে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা’আলা সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন। তারা হিন্দুস্থানের জালেম শাসকদের পাড়ে ডান্ডা বেড়ি পড়িয়ে টেনে আনবে। আল্লাহ তা’আলা (যারা যুদ্ধ করবে) তাদেরকে (এই মহৎ জিহাদের বরকতে) ক্ষমা করে দিবেন এবং যারা ফিরে আসবে, তারা ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ.) কে শামে (সিরিয়ায়) পেয়ে যাবে।
    আবু হুরাইরাহ (রা) বলেন, আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রয় করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম। যখন আল্লাহ তা’আলা আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরাইরাহ(রা) হতাম, যে কিনা সিরিয়ায় ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) কে পাওয়ার গর্ব নিয়ে ফিরতো।
    আবু হুরাইরাহ (রা) বলেন, হে রসূল(স)! আমার অনেক ইচ্ছা হয় সেই সময়টা পেতে, যখন আমি ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম ও আমি তাকে বলতে পারতাম যে, আমি রসূল(স) এর একজন ছাহাবী। তখন রসূল(স) মুচকি হাসলেন।
    হাদিসের মান
    এ সনদটি জইফ। এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। তবে বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি (عن) এর পরিবর্তে (حدثنا) ব্যবহার করায় এখানে তাদলিসজনিত কোনো দুর্বলতা সৃষ্টি হয়নি। এছাড়াও আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণনাকারী এখানে অজ্ঞাত। তবে এ বাবের অন্যান্য শাহেদ থাকার কারনে এর দুর্বলতা কমে গেছে।



    ৪.হযরত কা’ব রা. থেকে বর্ণিত হাদিসঃ

    حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبٍ، قَالَ: يَبْعَثُ مَلِكٌ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ جَيْشًا إِلَى الْهِنْدِ فَيَفْتَحُهَا، فَيَطَئُوا أَرْضَ الْهِنْدِ، وَيَأْخُذُوا كُنُوزَهَا، فَيُصَيِّرُهُ ذَلِكَ الْمَلِكُ حِلْيَةً لَبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَيُقْدِمُ عَلَيْهِ ذَلِكَ الْجَيْشُ بِمُلُوكِ الْهِنْدِ مُغَلَّلِينَ، وَيُفْتَحُ لَهُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، وَيَكُونُ مَقَامُهُمْ فِي الْهِنْدِ إِلَى خُرُوجِ الدَّجَّالِ

    কা’ব(রা) বলেন, বাইতুল মুক্বাদ্দাসের (জেরুসালেমের) একজন রাজা তার একটি সৈন্যবাহিনী হিন্দুস্থানের দিকে পাঠাবেন। সৈন্যরা হিন্দুস্থানের ভূমি ধ্বংস করে দিবে এবং হিন্দুস্থানের ধন-ভাণ্ডার দখল করে নিবে। তারপর রাজা এসব ধন-সম্পদ দিয়ে বাইতুল মুক্বাদ্দাস (জেরুসালেম) সজ্জিত করবে। এই দলটি বাইতুল মুক্বাদ্দাসের (জেরুসালেমের) রাজার দরবারে হিন্দুস্থানের রাজাদেরকে উপস্থিত করবে। ঐ রাজার নির্দেশে তার সৈন্যবাহিনী পূর্ব থেকে পশিম পর্যন্ত সকল এলাকা বিজয় করবে এবং হিন্দুস্থানে ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান করবে, যতক্ষণ না দাজ্জালের আগমন ঘটে।


    হাদিসের মানঃ
    ইমাম বুখারি রা. উর উস্তাদ নুআইম ইবনে হাম্মাদ তিনি তার আল-ফিতান গ্রন্থে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। কা‘ব রা. থেকে বর্ণনা কারি রাবির নাম (الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبٍ) উল্লেখ নেই বিধায় হাদিসটি মুনকাতে‘।




    ৫.হযরত ছাফওয়ান ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত হাদিসঃ
    حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، ثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَغْزُو قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِي الْهِنْدَ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ حَتَّى يَأْتُوا بِمُلُوكِ الْهِنْدِ مَغْلُولِينَ فِي السَّلَاسِلِ، فَيَغْفِرُ اللَّهُ لَهُمْ ذُنُوبَهُمْ، فَيَنْصَرِفُونَ إِلَى الشَّامِ، فَيَجِدُونَ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِالشَّامِ

    রসূল(স) বলেন, আমার উম্মাতের কিছু লোক হিন্দুস্থানে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে সফলতা দান করবেন। এমনকি তারা হিন্দুস্থানের রাজাদেরকে শিকলবদ্ধ করবে। আল্লাহ তা’আলা ঐ সকল লোকদেরকে (যারা যুদ্ধ করবে) ক্ষমা করে দিবেন। যখন তারা সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হবে, তখন তারা ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) কে সেখানে পাবে।
    এই হাদিসটি নুআইম ইবনে হাম্মাদ তার আল ফিতান গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
    হাদিসের মানঃ


    ৬.সুরাইম রা. থেকে বর্ণিত হাদিসঃ

    حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الزَّمِنُ، ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ صُرَيْمٍ السَّكُونِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَتُقَاتِلُنَّ الْمُشْرِكِينَ، حَتَّى تُقَاتِلَ بَقِيَّتُكُمُ الدَّجَّالَ، عَلَى نَهْرٍ بِالأُرْدُنِّ، أَنْتُمْ شَرْقِيَّهُ وَهُمْ غَرْبِيَّهُ، وَمَا أَدْرِي، أَيْنَ الأُرْدُنُّ يَوْمَئِذٍ مِنَ الأَرْضِ.

    সুরাইম রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিঃসন্দেহে তোমরা মুশরিকদের (মূর্তিপূজারীদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; এমনকি এ যুদ্ধে তোমাদের অবশিষ্ট মুজাহিদরা জর্ডান নদীর তীরে দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। এই যুদ্ধে তোমরা পূর্ব দিকে অবস্থান করবে আর দাজ্জালের অবস্থান হবে পশ্চিম দিকে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, সেদিন জর্ডান কোথায় অবস্থিত হবে?
    হাদিসের মানঃ
    হাদিসটি সহিহ। অপর আরেক সনদে মাজমাউজ জাওয়ায়িদ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।
    এর সনদ বিশুদ্ধ। হাফিজ হাইসামি রহ. হাদিসটি উল্লেখ করে বলেন, এটি ইমাম তাবারানি রহ. ও ইমাম বাজ্জার রহ. বর্ণনা করেছেন। আর বাজ্জারে বর্ণিত হাদিসটির বর্ণনাকারী সবাই নির্ভরযোগ্য।

    ৭.হযরত আরতাত রহ. এর বর্ণিত হাদিসঃ

    حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ جَرَّاحٍ، عَنْ أَرْطَاةَ، قَالَ: عَلَى يَدَيْ ذَلِكَ الْخَلِيفَةِ الْيَمَانِيِّ الَّذِي تُفْتَحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةُ وَرُومِيَّةُ عَلَى يَدَيْهِ، يَخْرُجُ الدَّجَّالُ وَفِي زَمَانِهِ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى يَدَيْهِ تَكُونُ غَزْوَةُ الْهِنْدِ، وَهُوَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، غَزْوَةُ الْهِنْدِ الَّتِي قَالَ فِيهَا أَبُو هُرَيْرَةَ.

    হজরত আরতাত রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ইয়ামানি খলিফার নেতৃত্বে ইসতামবুল ও রোম (ইউরোপ) বিজয় হবে, তাঁর সময়েই দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে, তাঁর যুগেই ইসা ইবনে মারইয়াম আ. অবতরণ করবেন এবং তাঁর নেতৃত্বেই হিন্দুস্তানের যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তিনি হবেন হাশিমি বংশের লোক। গাজওয়াতুল হিন্দ বলতে ঐ যুদ্ধ উদ্দেশ্য, যে ব্যাপারে আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেছেন।
    হাদিসের মানঃ
    এটার সনদ জইফ। কেননা, এতে অলিদ বিন মুসলিম নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে, যে হাদিসটি বর্ণনা করেছে। আর এটা 'মাকতু' তথা তাবিয়ি বর্ণিত একটি হাদিস।

  • #2
    allaah tayala kobul korun...aminnnn
    আসুক না যত বাধাঁ যত ঝর সাইক্লোন কিতালের পথে মোরা চলবোই

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে কবুল কে করুক আমিন
      জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
      পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

      Comment


      • #4
        প্রিয় ভাই,,,!!!!
        গাযওয়াহ এর কিস্তিগুলোকে একত্র করে বই বের ঙওয়ার অপেক্ষায় রইলান,,,,,,

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা‘আলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X