শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.)-এর কাশফ ও ইলহাম’র মাধ্যমে প্রাপ্ত ভবিষৎবাণী !
পশ্চিমা অশ্লীলতা ও নগ্নতা বেহায়ামির মাধ্যমে বাংলাদেশ অচিরেই তার সার্বভৌমত্ব হারাবে ভারতের কাছে :
.( ভাই এটা আমার ভাসা ভাসা গবেষণা। এই ব্যাপারে একটি বই লেখার ইচ্ছা রয়েছে। এই বিষয়ে আমিরুল হিন্দ মাওলানা আসেম উমর হাফিজাহুল্লাহর মন্তব্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। )
কাসিদায় শাহ নেয়ামতুল্লাহ এর ভাবিষ্যতবানী! নিকট ভবিষ্যতে ইসলাম ও মুসলমানের নিশ্চিত বিজয় প্রসঙ্গে আজ থেকে ৮৫৭ বছর আগে অর্থাৎ ১১৫৮ সালে উপমহাদেশের বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.) একটি কাসিদা বা কবিতা রচনা করেন।
.
সাধক-সুলভ দিব্যদৃষ্টি নিয়ে গভীর ধ্যান ও অভিনিবেশসহ রচিত ফার্সি ভাষায় এ কবিতা পুরোটাই ভবিষ্যদ্বাণীমূলক। অদৃশ্যের পর্দা উন্মোচন করে, অনাগত দিনের যনবিকা ফাঁক করে যে রহস্য উদ্ঘাটিত হয় তাকে বলা হয় ‘কাশ্ফ’।
.
মনের দোদুল্যমান অবস্থায় আল্লাহর প্রতি পূর্ণ মনোসংযোগ করে সঠিক সিদ্ধান্ত চাইলে অর্থাৎ ‘ইসতিখারা’ করলে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ হয়। নিষ্কলুষ অন্তরে যে ভাব আল্লাহর পক্ষ থেকে উদিত হয়, তার নাম ‘ইলহাম’।
.
শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.) ‘কাশ্ফ’ ও ‘ইলহাম’র মাধ্যমে প্রাপ্ত এসব অদৃশ্য ইশারা তথা ভবিষৎবাণী লাভ করেন। যা তার ঐতিহাসিক সাড়াজাগানো কবিতায় বিবৃত হয়। ইংরেজ আমলে ব্রিটিশ শাসকরা এটি নিষিদ্ধ করে। এর দ্বারা যুগে যুগে মুসলমানেরা উজ্জীবিত হয়েছেন।
.
বর্তমানেও এর আবেদন ও প্রভাব ভারতবর্ষে সমভাবে কার্যকর। শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.) ভবিষ্যদ্বাণীতে বর্ণিত বহু বিষয় সংঘটিত হয়ে গেছে। অল্প কিছু বিষয় সামনে রয়ে গেছে। অতীতে সংঘটিত বিষয়াদির সাথে ভবিষ্যদ্বাণীর অসাধারণ মিল দেখতে পেয়ে বিশ্ববাসী অবাক।
.
পাশ্চাত্যের অনেক গবেষক শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.)-এর কাশফে প্রাপ্ত ইলহামী এ কবিতা নিয়ে অতীতে যেমন গবেষণা করেছেন, বর্তমানেও এটি নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই।
সম্মানিত ভাইয়েরা ! এবার আপনাদের কাছে আমি মাওলানা উবাইদুর রহমান খান সাহেবের একটি লেখা হুবহু তুলে ধরলাম।
নিকট ভবিষ্যতে ইসলাম ও মুসলমানের নিশ্চিত বিজয়
-:উবায়দুর রহমান খান নদভী:-
আজ থেকে ৮৫৭ বছর আগে অর্থাৎ ১১৫৮ সালে উপমহাদেশের বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.) একটি কাসিদা বা কবিতা রচনা করেন। সাধকসুলভ দিব্যদৃষ্টি নিয়ে গভীর ধ্যান ও অভিনিবেশসহ রচিত ফার্সি ভাষায় এ কবিতা পুরোটাই ভবিষ্যদ্বাণীমূলক।
অদৃশ্যের পর্দা উন্মোচন করে, অনাগত দিনের যনবিকা ফাঁক করে যে রহস্য উদ্ঘাটিত হয় তাকে বলা হয় ‘কাশ্ফ’। মনের দোদুল্যমান অবস্থায় আল্লাহর প্রতি পূর্ণ মনোসংযোগ করে সঠিক সিদ্ধান্ত চাইলে অর্থাৎ ‘ইসতিখারা’ করলে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ হয়। নিষ্কলুষ অন্তরে যে ভাব আল্লাহর পক্ষ থেকে উদিত হয়, তার নাম ‘ইলহাম’। শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.) ‘কাশ্ফ’ ও ‘ইলহাম’র মাধ্যমে প্রাপ্ত এসব অদৃশ্য ইশারা তথা ভবিষ্যবার্তা লাভ করেন। যা তার ঐতিহাসিক সাড়াজাগানো কবিতায় বিবৃত হয়। ইংরেজ আমলে ব্রিটিশ শাসকরা এটি নিষিদ্ধ করে। এর দ্বারা যুগে যুগে মুসলমানেরা উজ্জীবিত হয়েছেন। বর্তমানেও এর আবেদন ও প্রভাব ভারতবর্ষে সমভাবে কার্যকর।
শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.) ভবিষ্যদ্বাণীতে বর্ণিত বহু বিষয় সংঘটিত হয়ে গেছে। অল্প কিছু বিষয় সামনে রয়েও গেছে। অতীতে সংঘটিত বিষয়াদির সাথে ভবিষ্যদ্বাণীর অসাধারণ মিল দেখতে পেয়ে, বিশ্ববাসী অবাক। পাশ্চাত্যের অনেক গবেষক শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.)-এর কাশ্ফে প্রাপ্ত ইলহামী এ কবিতা নিয়ে অতীতে যেমন গবেষণা করেছেন, বর্তমানেও এটি নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই। এখানে ৫৮ লাইন বিশিষ্ট কবিতার বিষয়বস্তু, সংঘটিত ঘটনাবলী, ভবিষ্যৎ ইশারা ইত্যাদি নিয়ে সামান্য আলোকপাত করা হল।
কবিতার শুরুতে শাহ সাহেব বলেন, ভারতবর্ষের অতীত পেছনে রেখে এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই। মুসলিম বিজয়ের পর প্রথম পর্বের শাসন শেষে দ্বিতীয় পর্বে শুরু হবে মোগল শাসন। ইংরেজরা এসে এ শাসনের সমাপ্তি ঘটাবে। শাহাবুদ্দিন মুহাম্মদ ঘোরীর (১১৭৫) সময় থেকে সুলতান ইবরাহীম লোদীর (১৫২৬) সময় পর্যন্ত প্রথম পর্ব আর সম্রাট জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর (১৫২৬)-এর পর থেকে (১৭৫৭) পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব ধরা হয়েছে।
কবিতায় তিনি যেসব কথা বলেছিলেন শত শত বছর পর সেসব বিষয় অত্যাশ্চর্যভাবে বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। বাস্তবায়িত ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,
১. পাঠানদের পতন,
২. মোগলদের উত্থান,
৩. বিলাসিতা ও দুঃশাসনের সূচনা
৪. ইংরেজদের অভ্যুদয়
৫. ভারতবাসীর উপর নির্যাতন
৬. পাশ্চাত্য সভ্যতার ক্ষতিকর প্রভাব
৭. বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়া ও জাপানের যুদ্ধ, অবশেষে চুক্তি স্বাক্ষর
৮. ১৮৯৮ থেকে ১৯০৮ পর্যন্ত ভারতবর্ষে প্লেগের প্রাদুর্ভাব। অন্তত ৫ লাখ লোকের প্রাণহানি।
৯. ১৭৭০ সালে ভারতে সংঘটিত মহাদুর্ভিক্ষ। বাংলা অঞ্চলে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। বাংলা সন ১১৭৬-এ সংঘটিত এ ঘটনায় এ অঞ্চলের প্রায় এক-তৃতীয় মানুষ মারা যায়। ইতিহাসে এ দুর্ভিক্ষ ৭৬-এর মন্বন্তর নামে খ্যাত।
১০. ১৯৪৪ সালে জাপানের টোকিও ও ইয়াকোহামায় প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। ১১. ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ পর্যন্ত চার বছর ইউরোপে প্রথম মহাযুদ্ধ সংঘটিত। জার্মানী ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার যুদ্ধ।
১২. বিশ্বযুদ্ধে ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষের মৃত্যু। ১৩. ১৯১৯ সালের প্যারিসের ভার্সাই শহরে প্রথম মহাযুদ্ধ বন্ধে সন্ধি চুক্তি এবং পরবর্তীতে তা ভেঙ্গে যাওয়া।
১৪. ২১ বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সূচনা। প্রথম মহাযুদ্ধের সমাপ্তি ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর। ১৯৩৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শুরু। ১৫. আণবিক বোমার ব্যবহার। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মার্কিনীদের বোমা হামলা।
১৬. রেডিও-টিভি ও উন্নত যোগাযোগ মাধ্যম আবিষ্কারের কথা।
১৭. ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ইটালী, জার্মানী ও জাপানের নানা ঘটনা।
১৮. ১৯৪৭ সালের ইংরেজ বিদায় ও কূটকৌশলপূর্ণ ভারত বিভক্তি। কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে তিনটি পাক-ভারত যুদ্ধ। সাম্প্রদায়িক হানাহানি ও জাতি-গোষ্ঠীগত অশান্তির বহিঃপ্রকাশ।
১৯. পশ্চিমা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সূচনা ও অপেক্ষাকৃত অযোগ্য লোকদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা। অন্যায়-অশ্লীলতা, দুর্নীতি-পাপাচার ও নৈরাজ্যের ব্যাপক প্রসার।
২০. বড় একটি মুসলিম অঞ্চলের বিপর্যয়।
২১. মুসলিম নামধারী হিন্দুবান্ধব নেতৃত্ব কায়েম। নামের শুরুতে ‘শ’ ও শেষে ‘ন’ বিশিষ্ট ব্যক্তির দ্বারা মুসলিমদের প্রভূত ক্ষতি।
২২. নামের শুরুতে ‘গ’ এমন একটি প্রভাবশালী হিন্দুর ইসলামগ্রহণ ও মুসলমানদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি।
২৩. মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান ও ভারতীয় মুসলিমবাহিনীর সম্মিলিত বিজয়াভিযান এবং ভারতবর্ষ হতে অধর্ম, অশ্লীলতা ও যাবতীয় অপকর্মের অবসান।
২৪. মধ্যপ্রাচ্য থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা।
২৫. অত্যাচার, জুলুম, অন্যায়-আগ্রাসন ও মানবতা বিরোধী বিশ্বসন্ত্রাসের ফলে একটি পরাশক্তির পরিণতি হবে চরম শোচনীয়। প্রভাব প্রতিপত্তি শেষ হয়ে সেটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়বে। সে পরাশক্তিটির নামের আদ্যাক্ষর ‘আলিফ’
২৬. ভারতবর্ষের মহাপরিবর্তন ও উগ্র পরাশক্তিটির পতনের পর আসবেন ইমাম মাহদী (আ.)।
এ ছাব্বিশটি পয়েন্টের মধ্যে ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ নিয়ে গবেষণা করলে দেখা যাবে ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনাপর্ব এখন চলছে।
১. ইংল্যান্ড-এর অবস্থা এখন কী
২. বৃটিশ সাম্রাজ্যের সীমানায় একসময় সূর্য ডুবত না, বর্তমানে এর সীমানা কতটুকু?
৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কতটুকু জনপ্রিয়?
৪. আরব বসন্তের পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এখন কেমন?
৫. ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের নৈতিক অবস্থান ও সভ্য পৃথিবীর সমর্থন এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে?
৬. লিবিয়া, তিউনিসিয়া, মিসর, ইয়েমেন, জর্দান, সিরিয়া পরিস্থিতি কতটুকু পাশ্চাত্য-বান্ধব?
৭. ইরাক সিরিয়া ও জর্দান পরিস্থিতিতে মিত্রশক্তির পথ কতটুকু নিষ্কণ্টক?
৮. সউদী আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, আরব আমিরাত কোন পথে এগুচ্ছে?
৯. ইরান কোন পরিচয়ে উদ্ভাসিত হচ্ছে?
১০. খেলাফতের শেষ নিদর্শন তুরস্ক কোন দিকে মোড় নিচ্ছে?
১১. আফগানিস্তানে আগ্রাসন শেষে ১৩ বছর পর ন্যাটো কী নিয়ে বিদায় হলো? আফগান জাতি কি তার মিশন ও লক্ষ্যচ্যুত হয়ে গেছে? পাকিস্তানের ভবিষ্যত কী? ভারত কোন্্ পথে? বাংলাদেশ কেমন ভবিষ্যতের মুখোমুখি হবে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে দেখলে বিশ্লেষণটি কেমন দাঁড়ায়।
কবিতার শেষে শাহ্্ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.) বলেছেন, চুপ হয়ে যাও ওহে নেয়ামত, মোটেও এগিয়ো না আর। আল্লাহর রহস্য আর ফাঁস করো না। যতুটুকু বলেছ, তাই প্রেরণা হিসাবে মুসলিমদের জন্য যথেষ্ট হবে। মুসলমানরা বিধর্মীদের শিক্ষা, আদর্শ ও সংস্কৃতি ছেড়ে দাও। পশ্চিমাদের অন্ধ অনুসরণ বাদ দাও। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর পথে মানবতার মুক্তির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা-সংগ্রাম-সাধনা চালিয়ে যাও। বিজয় তোমাদের সুনিশ্চিত। সহসাই ইরাক, শাম, তুকিও হিজাজ ভূমি হবে ইমাম মাহদী (আ.)-এর সৈন্যদের লীলাভূমি। খোরাসানী বাহিনী হবে তাদের বড় সহায়ক। কোন এক হজের সময় কাবা গৃহ তওয়াফরত অবস্থায় মহান ইমামকে মুসলিম জনগণ প্রথম খুঁজে পাবে। মুজাহিদরা সারা পৃথিবী থেকে ছুটে গিয়ে তার অভিযানে যোগ দেবে। বিশ্বব্যাপী সকল শক্তি মুজাহিদদের হাতে পরাজিত হবে।
বিশ্বজুড়ে উড্ডীন হবে ইসলামের বিজয় নিশান। বর্তমান সময়ে আল্লাহর পথে দৃঢ়পদ সংগ্রামী মুসলমানরা ইমাম মাহদী (আ.)-এরই অগ্রবর্তী বাহিনী। যখনই তিনি আবির্ভূত হবেন, সমকালীন সব বিপ্লবী মুসলমান তার পতাকাতলে সমবেত হয়ে বিজয় অর্জনও উদযাপন করবে। বিজয় মুসলমানদেরই হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘ঈমানদারদের সাহায্য করা আমি নিজের উপর অবধারিত করে নিয়েছি।’ ‘তোমরা হীনবল হয়োনা, উদ্বিগ্ন হয়োনা, বিজয় তোমাদেরই হবে, যদি প্রকৃত ঈমানদার হতে পার।’ খোদাদ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে ঈমানদার মানুষের সংগ্রাম অবশ্যই সফল হবে। মুসলিমরাই বিজয়ী হবে পরীক্ষার সময় শেষ হতে আর বেশি দেরি নেই।
source- http://www.dailyinqilab.com/2015/01/02/229804.php
জগৎ বিখ্যাত ওলীয়ে কামেল হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহমতুল্লাহি আজ থেকে হিজরী ৮৮৬ বছর পূর্বে হিজরী ৫৪৮ সালে (হিজরী ৫৪৮ সাল মোতাবেক ১১৫২ সালে খ্রিস্টাব্দে) এক ক্বাসিদা (কবিতা) রচনা করেন। কালে কালে তার এ ক্বসিদা এক একটি ভবিষ্যৎবাণী ফলে গেছে আশ্চর্যজনক ভাবে।
মুসলিম জাতি বিভিন্ন দুর্যোগকালে এ ক্বাসিদা পাঠ করে ফিরে পেয়েছেন তাদের হারানো প্রাণশক্তি, উদ্দীপিত হয়ে ওঠেছে নতুন আশায়। ইংরেজ শাসনের ক্রান্তিকালে এ ক্বাসিদা মুসলমানদের মধ্যে মহা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
এর অসাধারণ প্রভাব লক্ষ্য করে ব্রিটিশ বড় লাট লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫) এ ক্বাসিদা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ কবিতাকে আরবী ও ফারসী ভাষায় বলা হয় ক্বাসিদা।
ফারসী ভাষায় রচিত হযরত শাহ নেয়ামত উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এর সুদীর্ঘ কবিতায় ভারত উপমহাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের ঘটিতব্য বিষয় সম্পর্কে অনেক ভবিষৎবাণী করা হয়েছে।
(বঙ্গানুবাদ বইটি আজ থেকে ৪৩ বছর আগের। কবিতাটিতে মোট ৫৮টি প্যারা আছে।)
বঙ্গানুবাদ হয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে। আর অনুবাদক হলেন ইনকিলাবের মাওলানা রুহুল আমিন খান সাহেব।
আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে মূল ফার্সির একটি কপি পেয়েছি। সাথে উর্দু অনুবাদ ও ব্যাখ্যা রয়েছে। উর্দু অনুবাদক হলেন এইচ এম সরওয়ার নেজামি আর প্রকাশক হলেন মিয়াঁ আলি হাসান জালন্ধরি। ওই পাণ্ডুলিপিতে হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহমতুল্লাহি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া আছে।
নিম্নে আরও কিছু পেজ দিচ্ছি, আশা করি ভাইদের কাজে আসবে।
Results 1 to 9 of 9
-
12-12-2015 #1
- Join Date
- Jul 2015
- Posts
- 411
- جزاك الله خيرا
- 3
- 288 Times جزاك الله خيرا in 172 Posts
শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.)-এর ভবিষৎবাণী ও একটি গ&
-
12-12-2015 #2
- Join Date
- Jul 2015
- Posts
- 411
- جزاك الله خيرا
- 3
- 288 Times جزاك الله خيرا in 172 Posts
-
12-12-2015 #3
- Join Date
- Jul 2015
- Posts
- 411
- جزاك الله خيرا
- 3
- 288 Times جزاك الله خيرا in 172 Posts
এখান থেকে মূল কিতাব শুরু হচ্ছে।
-
12-12-2015 #4
- Join Date
- Jul 2015
- Posts
- 411
- جزاك الله خيرا
- 3
- 288 Times جزاك الله خيرا in 172 Posts
এখানে মূল কিতাব শেষ হচ্ছে।
-
12-12-2015 #5
- Join Date
- Jul 2015
- Posts
- 411
- جزاك الله خيرا
- 3
- 288 Times جزاك الله خيرا in 172 Posts
নিম্নে অনুবাদকের কথা তুলে ধরা হল
পরিশেষে খাদেমে উলামা ও ফুকারাহ হাকিম সাইয়েদ অয়ারেস জিলানি এর মন্তব্যও তুলে ধরা হল
কিতাবের শেষে তার পরিচয় এভাবে দেওয়া আছে যে,
ফাজেলে মক্কা মুয়াজ্জামাহ
ইদারায়ে ফায়জান, পিকপজ কলোনি, লায়েল পুর।
-
12-12-2015 #6
- Join Date
- Jul 2015
- Posts
- 411
- جزاك الله خيرا
- 3
- 288 Times جزاك الله خيرا in 172 Posts
পরিশেষে আমার নিবেদন হল এই বিষয়টি আরও বিস্তৃত গবেষণার দাবি রাখে। এবং সিনিয়র মেম্বার কাল পতাকা ভাই ও মোডারেটর তালিবুল ইলম ভাইয়ের প্রশ্ন সমূহ নিজ অবস্থায় ঠিক আছে। এবং উক্ত বিষয়গুলো উলামাদের কাছে পেশ করার ইচ্ছা আমার রয়েছে। তবে একটি হাদিসের ভাব অর্থ আমার যতটুকু মনে আছে তা হল, রাসুল সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামত পর্যন্ত ঘটিতব্য সকল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সাহাবায়ে কেরামকে বলে গিয়েছিলেন। এরপর হয়তো অনেক কিছুই তারা ভুলে গিয়েছিলেন। আল্লাহু আলাম। আস্তাগফিরুল্লাহ। আমিন।
-
12-12-2015 #7
- Join Date
- Jul 2015
- Posts
- 411
- جزاك الله خيرا
- 3
- 288 Times جزاك الله خيرا in 172 Posts
প্রাচীন পাণ্ডুলিপির আরও কয়েকটি পাতা।
-
12-12-2015 #8
- Join Date
- Jul 2015
- Posts
- 411
- جزاك الله خيرا
- 3
- 288 Times جزاك الله خيرا in 172 Posts
Some Dates found in this manuscript are
1229 Hijri = 1813 A.D
Library Stamp Year: 1245 Hijri = 1829 A.D
Some other dates 1871 A.D, or 1229 Hijri (at other page) are also there.
This is the logo of website on this pdf scan (same logo on website)
বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ......
http://spiritual-pakistan-future.blo...of-hazrat.html
-
12-13-2015 #9
- Join Date
- Jul 2015
- Location
- طاعون خوارج
- Posts
- 753
- جزاك الله خيرا
- 611
- 599 Times جزاك الله خيرا in 308 Posts
আল্লাহ তায়ালা আমদের সকলকেই ক্ষমা করুন।
একটি ঘটনাঃ এক শিক্ষক তার ক্লাসে ছাত্রদের বুঝাচ্ছেনঃ
লাওহে মাহফুজকুরান হাদিসআরশলিসানী ইলম
কালবী ইলম
আলেম-উলামাআওলিয়ায়ে কেরাম
এই ছকটা বুঝানোর পর এক জন ছাত্র প্রশ্ন করলঃ আওলিয়ায়ে কেরাম এর ইলমের জন্য নবী রাসূল দরকার নেই। তখন তিনি উত্তরে বলেনঃ তাদের অনেকের ব্যপারে এমনটাই ঘটেছে।
উপরের কাগজে স্পষ্ট লেখা আছে অলিদের ইলম আল্লাহ প্রদত্ত ( ইলাহী ) হয়ে থাকে। আর আমরা সকলেই জানি ইলাহি ইলম একমাত্র কোরান ও হাদীস। আর সেখানে কোথাও আওলিয়াদের ইলমকে ইলাহী বলে হয় নাই।
আর ইলাহী ইলমকে তো অবশ্যই মানতে হবে। কারন আল্লাহ তায়ালা দিয়েছে তা কিভাবে বান্দা অমান্য করে। আর এই ভাবেই ( আহবার ও রুহবান্দেরকে ) রব মানার বাস্তবতা ফোটে উঠে।
নোটঃ এগুলো সরাসরি আলোচনার বিষয়। কোন আহলে হক্ক আলেম থেকে জেনে নেবেন।
Similar Threads
-
আশ্রয় চাও, খৃষ্টান হও: মুসলিম শরণার্থীদের
By power in forum আন্তর্জাতিকReplies: 6Last Post: 06-07-2019, 12:02 PM -
মডারেটর ভাইয়ের দৃষ্টি আকরষণ
By Habib Ahmad in forum আল জিহাদReplies: 4Last Post: 12-20-2015, 03:24 AM