Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিৎনা ও আবর্জনা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিৎনা ও আবর্জনা

    হারুত ও মারুত, আল্লাহর দুই ফেরেশতা যাঁদেরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল একটা আজব উদ্দেশ্য দিয়ে! সুবহানাল্লাহ! এই দুইজনকে পাঠানোই হয় জীনদেরকে কুফরি-শিরকি জাদু শিক্ষা দেয়ার জন্য! আল্লাহ কুরানে বলেন,

    واتبعوا ما تتلو الشياطين علي ملك سليمان وما كفر سليمان ولكن الشياطين كفروا يعلمون الناس السحر وما أنزل علي الملكين ببابل هاروت وماروت وما يعلمان من أحد حتي يقولا إنما نحن فتنة فلا تكفر فيتعلمون منهما ما يفرقون به بين المرء وزوجه
    "তারা (ইহুদিরা) সুলাইমানের আমলে শয়তানদের শেখানো মন্ত্রের অনুসরণ করে। আর সুলাইমান কুফরি করেনি বরং শয়তানরা কুফরি করেছিল, তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত, এবং শিক্ষা দিত যা বেবিলনে হারুত এবং মারুত নামের দুই ফেরেশতার উপর নাযিল হয়েছিল। তারা দুইজন কাউকে ততক্ষণ শেখাতো না, যতক্ষণ না তারা বলত, আমরা কেবল একটা ফিতনা, তাই কুফরি করো না। অতঃপর তারা এই দুইজন থেকে জাদু শিখত যা দ্বারা তারা একজন লোক ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ফেলে।" (সুরা বাকারা)

    আমরা কেবল একটা ফিতনা? কি বলে? আমরা কেবল একটা ফিতনা? সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ মানুষ এবং জীনদের বিপথে নেয়ার জন্য স্বয়ং দুইজন ফেরেশতাকে বিশেষ জ্ঞান দিয়ে প্রেরণ করলেন! সুবহানাল্লাহ!

    তাহলে এর অর্থ কি দাঁড়ায়! আসলে আল্লাহ চান ভাল এবং খারাপ, শ্রেষ্ঠ এবং শ্রেষ্ঠতর, নিকৃষ্ট এবং নিকৃষ্টতর, এই সব কিছুর মধ্যে ব্যাবধান সৃষ্টি করতে। যেমন আল্লাহ বলেন,

    ما كان الله ليذر المؤمنين علي ما أنتم عليه حتي يميز الخبيث من الطيب
    "আল্লাহ এমন করবেন না যে মুমিনদেরকে তোমাদের (ভ্রান্ত) অবস্থার উপর ছেড়ে দিবেন, যতক্ষণ না তিনি ঘৃণ্য বস্তুকে পবিত্র বস্তু থেকে আলাদা করেন।" (সুরা আলে ইমরান)

    ভেবে দেখেন, যদি যাদু-টোনা না থাকত, আমরা কি কখনো জানতে পারতাম, যে আমাদের মাঝে এমন শয়তানরা আছে যারা জেনেশুনে শয়তানের পূজা করে জাহান্নাম কিনে নিতে প্রস্তুত? যারা কুরানের আয়াত রক্ত দিয়ে লিখে তা পাঁড়াতে দ্বীধা বোধ করে না? যারা নেশায় পাগল হয়ে জাহান্নামে ঝাঁপ দিতে পিছপা হয় না?

    না, আল্লাহ যদি জীনদের এইসব জাদুটোনা শিক্ষা না দিতেন, আর তারা যদি মানুষদের এসব না শিখাত, আমরা কখনই জানতে পারতাম না!!!

    তো ভাই? ওই যে দেখেন, হিজবুত তাহরীর, ওই যে ভাই, ওখানে দেখেন আইএস, আর ওই যে দেখেন তাবলীগ। কখনও কি আপনার কষ্ট লাগে নাই, যে এই মানুষগুলা সত্য দেখেও এমন কেন করে? কত ইখলাস, কত 'ইলম, তাও কেন তারা ভুল পথে?!!

    অবাক হবেন না ভাই! আসলে এগুলা কেবল আল্লাহর সৃষ্টি করা ফিৎনা!!! যার দ্বারা আল্লাহ মুজাহিদদের কাতারকে ছেঁকে পরিষ্কার করেন! আল্লাহু আকবার জাল্লা জালালুহ! সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল 'আজীম!!!

    একেকটা ফিৎনার একেকটা বৈশিষ্ট্য থাকে, একেকটা ফিৎনা একেকটা আবর্জনা দূর করে। তাই দেখবেন, একই ফিৎনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবসময়ই একই রকম কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। এই বৈশিষ্ট্য বা আবর্জনাগুলোই স্তরের পর স্তর সাজানো ফিৎনার জালে আঁটকে যেতে থাকে, আর আল্লাহর রহমতে মুজাহিদদের কাতার হতে থাকে স্বচ্ছ থেকে স্বচ্ছতর।

    যেমন ধরেন মেয়েদের ফিৎনা, সবচেয়ে দুর্বল মুমিনরা এই ফিৎনায় আঁটকে যায়। এরা জিহাদের ধারে কাছেও যায় না।

    বাকিরা একটা ধাপ পাড় করে ফেলল। কিন্তু এখনও যে অনেক আবর্জনা বাকি! তাই আল্লাহ ফাঁদে ফেলে একটা একটা করে সব ময়লা দূর করে দেন।

    তাবলীগ। এদের আবর্জনাময় বৈশিষ্ট্য: বুঝে কম, রাগ বেশি, গোড়ামী বেশি, আর ভীতু। আল্লাহর রাস্তায় চার মাসে বের হব, কিন্তু যুদ্ধে না, পিকনিকে।

    জামাত-শিবির। ক্ষমতার লোভ, দীনের প্রতি দুর্বল ভালবাসা, প্যাঁচ দেয়া ও সোজা জিনিস বাঁকা দেখা। ভাই ইসলাম আনবেন ঠিক কথা, ফজরের নামাজ পড়েছেন তো? আসলে ভাই...

    হিজবুত তাহরীর। প্যাঁচ দেয়া, সোজা জিনিস বাঁকা দেখা, চাকচিক্যময় জিনিসের প্রতি দুর্বলতা। সবাই যেহেতু দাড়ি রাখে, আমি দাড়ি রাখব না, সবাই যেহেতু টাকনুর উপর কাপড় পড়ে, আমি পড়ব না।

    আইএস। বুঝে কম, রাগ বেশি, গোড়ামী বেশি। তবে তাবলীগের থেকে বিপরিতভাবে, এদের সাহস এবং জিদ অনেক বেশি।

    বিভিন্ন সময় এদের কিছু সদস্যদের দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই। 'ইলম, আমল, ইখলাস, সাহস, কোনোটাই তো কম না। তবুও কেন ওই ভাই হিজবুত তাহরীরে পড়ে আছেন? আর ওই ভাই যে আমাদের সাথে ছিলেন, উনি আইএসে কেন চলে গেলেন!

    আমি দেখেছি, এদের সবার মধ্যে কিছু না কিছু সমস্যা থাকে। ওই সমস্যাগুলাই এসব ফিৎনার ফাঁদে আঁটকে যায়।

    আমি উদাহরণও বলি। আমি হিজবুত তাহরীরের ভাইদের দেখেছি। তাদের যতজন আমি দেখেছি, প্রত্যেকেরই একটা অভ্যাস, সহজ একটা জিনিস তারা অবশ্যই জটিল করে বলবে!

    আমি আইএসএর দুইজন ভাইয়ের সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। বিশ্বাস করেন ভাই, আল্লাহর কসম! দুইজনই কম বুঝে, আর রাগ বেশি। একজন তো কিছু বললেই খেপে উঠত!

    হিজবুত তাহরীরের এক ভাইয়ের কথা বলি। উনি আইএসের প্রতি দুর্বল হয়ে গেলেন। কিন্তু আলকায়দার নেতাদের ব্যাপারে উলটাপালটা বলা শুরু করলেন। শায়খ জাউলানী হাফিযাহুল্লাহর ব্যাপারে সন্দেহ হয় উনি নাকি এজেন্ট! প্যাঁচ কাকে বলে তা দেখেন। আর হিজবুত তাহরীরের চাকচিক্যের আকর্ষণের কথা বলেছি না? মনে করেন তো সবচেয়ে সুন্দর চাকচিক্যময় ভিডিও-অডিওগুলা কারা তৈরি করত?! বা হয়ত এখনো করে!!!

    তাই এদের দেখে কখনো দুঃখিত হবেন না। আমি কয়েকটা অধিক পরিচিত দল উল্লেখ করলাম মাত্র। আরও কত আছে!

    আল্লাহর রহমত, আলহামদুলিল্লাহ!!! আইএস না থাকলে আমরা কোনোদিন কি জানতে পারতাম! যে আমাদের মাঝে এমন ব্যক্তিরা আছেন যারা নিজেদের আমীরদেরই তাকফির করতে পারে, যাঁরা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ভিত্তি গড়তে গড়তে!!!!!!

    আল্লাহর অশেষ রহমত, যে এই আবর্জনাগুলো মুজাহিদদের কাতারে পৌছাতে পারে না। এদের নিয়ে কখনই আফসোস করবেন না ভাই!

    আপনি ভাববেন, ঐ ভাইয়ের এত যোগ্যতা! মনে রাখবেন, আপনার যোগ্যতা হয়ত কম, কিন্তু আপনার মধ্যে আল্লাহ রহমত করলে কোনো আবর্জনা নাই। আর ঐ ভাইয়ের এত যোগ্যতা থাকলেও তিনি একটা আবর্জনা।

    উপমাটা দিয়ে শেষ করা যাক। আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনি হচ্ছেন এক গ্লাস পানি। আর ঐ ভাই হচ্ছেন এক ফোঁটা বিষ মেশানো এক বালতি লেবুর শর্বত।

    আল্লাহ আমাদেরকে নিজেদের ভিতরের এবং বাইরের আবর্জনাগুলো থেকে মুক্ত করুক, আমীন....!!!!
    Last edited by alyaumul jadeed; 08-17-2019, 04:52 AM.

  • #2
    ভাই, লেখাগুলি এঙ্গুয়েমির মত হয়ে গেলো। সুন্দর হয়ত আপনাদের কিতাবের/ বয়ানের ক্লিপ দিয়ে তাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতেন। দাওয়াত তো জীবন পর্যন্ত দেওয়া যায়। আর দাওয়াতি পোস্টের ক্ষেত্রে কুরআন সুন্নার দলিল ভিত্তি হলে সুন্দর হয়। ভ্রান্ত আকিদা/ মানহাজের লোকদের দাওয়াতের সিস্টেম হলোঃ তাদের ভুলগুলো দলিলভিত্তিক ধরিয়ে দেওয়া। আল্লাহ রহমত থাকলে ইনশাআল্লাহ ফিরে আসবেই। ইখলাছ হলো দুটি বিষয়ের নামঃ১/ নিয়তের শুদ্ধতা,২/তরিকার শুদ্ধতা।
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      ভাই,আশা করি অনেকেই আছেন যারা তবলীগ এ-র সাথেও আছেন এবং তবলীগ থেকে জিহাদের ময়দানে এসেছেন। জেনারেল শিক্ষিত অনেক ভাই সম্ভবত বেশির ভাগ তবলীগ থেকে জিহাদের ময়দানে কাজ কর*্যেছেন।তো ভাই এ-ই ভাবে না বলি।

      Comment


      • #4
        Originally posted by bokhtiar View Post
        ভাই, লেখাগুলি এঙ্গুয়েমির মত হয়ে গেলো। সুন্দর হয়ত আপনাদের কিতাবের/ বয়ানের ক্লিপ দিয়ে তাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতেন। দাওয়াত তো জীবন পর্যন্ত দেওয়া যায়। আর দাওয়াতি পোস্টের ক্ষেত্রে কুরআন সুন্নার দলিল ভিত্তি হলে সুন্দর হয়। ভ্রান্ত আকিদা/ মানহাজের লোকদের দাওয়াতের সিস্টেম হলোঃ তাদের ভুলগুলো দলিলভিত্তিক ধরিয়ে দেওয়া। আল্লাহ রহমত থাকলে ইনশাআল্লাহ ফিরে আসবেই। ইখলাছ হলো দুটি বিষয়ের নামঃ১/ নিয়তের শুদ্ধতা,২/তরিকার শুদ্ধতা।
        এইসব দলের ভুল নিয়ে আলোচনা করা এই পোস্টের উদ্দেশ্য না। এই পোস্টের উদ্দেশ্য আল্লাহর পরিকল্পনা, নিয়ম, রহমত এবং তাঁর সৃষ্টি করা ফিৎনা নিয়ে আলোচনা করা।

        এই পোস্টটা মানহাজ সেকশনে করা হয় নাই, করা হয়েছে তাযকিয়াতুন নাফস সেকশনে। এখানে আমাদের মানহাজের সত্যতা ও তাদের মানহাজের ভ্রান্তি তুলে ধরা উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য আমাদের মানহাজের শক্তি ও তাদের মানহাজের দুর্বলতা তুলে ধরা। যাতে ভাইরা জানতে পারেন, যে ওইসব ফিৎনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে আফসোস করার কিছু নাই। আমাদের কাজ দাওয়াত দেয়া, যে আসবে আল্লাহর রহমতে আসবে।



        আর যে আসবে না, তবে আল্লাহ তো ফিৎনা ছড়িয়েই রেখেছেন। আমাদেরকে যেন তিনি রহমত দিয়ে হেফাযত করেন। আমীন।

        Comment


        • #5
          Originally posted by alyaumul jadeed View Post
          এইসব দলের ভুল নিয়ে আলোচনা করা এই পোস্টের উদ্দেশ্য না। এই পোস্টের উদ্দেশ্য আল্লাহর পরিকল্পনা, নিয়ম, রহমত এবং তাঁর সৃষ্টি করা ফিৎনা নিয়ে আলোচনা করা।

          এই পোস্টটা মানহাজ সেকশনে করা হয় নাই, করা হয়েছে তাযকিয়াতুন নাফস সেকশনে। এখানে আমাদের মানহাজের সত্যতা ও তাদের মানহাজের ভ্রান্তি তুলে ধরা উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য আমাদের মানহাজের শক্তি ও তাদের মানহাজের দুর্বলতা তুলে ধরা। যাতে ভাইরা জানতে পারেন, যে ওইসব ফিৎনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে আফসোস করার কিছু নাই। আমাদের কাজ দাওয়াত দেয়া, যে আসবে আল্লাহর রহমতে আসবে।



          আর যে আসবে না, তবে আল্লাহ তো ফিৎনা ছড়িয়েই রেখেছেন। আমাদেরকে যেন তিনি রহমত দিয়ে হেফাযত করেন। আমীন।
          জি ভাই, আমার মনে হয় পরিপূর্ণ দাওয়াত পাওয়ার পরেই এসব দলের সদস্যরা যখন হক ও বাতিল গ্রহণ করেনা এবং তাদের ভ্রান্ত দলের ভ্রান্ত আকিদা নিয়ে পরে থাকে, তখন তাদের জন্য আপনার লেখাটিই সবচেয়ে প্রযয্য।
          কারণ যারা আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত, তারা বাধা বিপত্তি পার হয়ে ঠিকই জিহাদকে গ্রহণ করবে, আর যারা গাফেল ও অহংকারী, তারা সত্য পথ গ্রহণ না করার নানা রকম পায়তারা করে চলবে (হোক তা আল্লাহরই পরিকল্পনা বা তাদের নিজেদের অহংকার)।

          Comment


          • #6
            তাবলীগের ভ্রান্তীগুলো সহজে বুঝতে শাইখ জসিম উদ্দিন রাহমানী হাফি এর তাবলীগ বিষয়ক বয়ানগুলো শুনতে পারেন। এক ভাই বলছেন জেনেরেল লাইনের অনেক ভাই তাবলীগ থেকে জিহাদে এসেছেন, আলহামদুলিল্লাহ ওনারা হক্বটা বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু যারা এখনো বসে আছে তাদের ভ্রান্তি নিয়ে??? সারা বিশ্বের মুসলিমদের উপর জিহাদ ফরজ হয়ে আছে কিন্তু ওনাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে জিহাদ শুধু মুজাহিদিনদের উপরই ফরজ!!ঠিক এমনটিই বলেছেন, তাবলিগের আমীর তারিক জামিল সাহেব, ওনি বলেছেন জিহাদ ফরজ কিন্তু ওয়াক্ত নেহি আতাহে!!! কত বড় ভ্রান্তি!!! সারা বিশ্বের মুসলিমদের উপর চলছে জুলুমবাজী আর ওনারা আছেন মসজিদে মসজিদে ঘোরাঘুরি নিয়ে। আপনারা যারা এখনো তাবলিগের ভ্রান্তিগুলো বুঝেন না অতিসত্বর বুঝবেন হয়ত। ইনশাআল্লাহ খিলাফত/ ইমারত কায়েম রি পদ্ধতির তাবিগ বন্ধ হয়ে যাবে।
            ان المتقین فی جنت ونعیم
            سورة الطور

            Comment


            • #7
              মুসলিমদের উপর অপরিহার্য বিষয় হলো দ্বীনের সঠিক ইলম অর্জন করা। দ্বীনের য়াক্বাদ্বা অনুযায়ী আমল করা। আর এটিই আল্লাহর নির্দেশ। এখন কথা হলো প্রচলিত তাবলিগের দ্বারা তাবলিগের দলিয় সিল্যাবাস অনুযায়ী আমলের উপর অভ্যস্ত হয় ঠিক কিন্তু দ্বীনের তাকাদ্বা অনুযায়ী আমল হয় না। এর জন্য প্রথমে তিনপ্রকার আকিদার শুদ্ধতা অপরিহার্য। আকিদায় যদি সমস্যা থাকে তাহলে প্রতিটি আমলে ই সমস্যা হবে। তিন দিনের জন্য তাবলিগে অতিসহজ, কিন্তু তিন দিনের জন্য জিহাদের ময়দানে যাওয়া অনেক অনেক কঠিন। আপনি তিন দিন নয়,তিন মাস নয়, তিন বছর নয়। আপনার পুরো যেন্দেগী প্রচলিত তাবলিগে কাটিয়ে দিলেও আপনার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন বাধা আসবে না। তারা আরো খুশি হবেন। আপনি বাড়িতে থাকলেই তাদের সব ঝামেলা। বুইরা খালি নামাযের কথা কই!!!! আপনি সারাটা জীবন প্রচলিত তাবলিগে কাটিয়ে দিন আপনাকে ত্বাগুত সরকার কোন বাধা দিবে না। তারা খাশি! আপনি তাদের খারাপ কাজগুলোকে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছেন,কখনো চোখ ভুজে থাকছেন। আপনার এই দ্বীন ধারিতে তারা খুশি, কিন্তু আল্লাহ খুশি নয়। প্রচলিত তাবলিগের মেহনতের উদ্দেশ্য কী???? মানুষ যেনো দ্বীনের তাকাদ্বা অনুযায়ী আমল করে সেটাই তো?? নাকি ভিন্ন কিছু?
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                জাযাকুমুল্লাহু আহসান জাযা'ইহি ইয়া ইখওয়াতি!

                আরেকটা বিষয় বলা দরকার। আমাদের মুজাহিদ হিসাবে সবসময় সত্যবাদি হওয়া দরকার, আল্লাহ তাউফীক দিক আমীন।

                আর এই সত্যবাদিতার অংশ স্বরূপ আমাদের উচিৎ সবার ভাল দিকগুলা স্বীকার করা আর মন্দ দিক অস্বীকার করা, নম্রভাবে বা কঠোরভাবে।

                শুধু তাবলীগ না, জামাত, হিজবুত তাহরীর, আইএস, আহলে হাদিস, এবং আরও বহু জামা'আত। এদের মধ্যে যে ভাল কিছু নাই এটা অবশ্যই একটা মিথ্যা কথা। তাবলিগের কারণে কত মানুষ হেদায়াত পেয়েছে! বেনামাজী নামাজ পড়া শিখেছে! নেশাখোর নেশা ছেড়ে দিয়েছে! সুবহানাল্লাহ!!!

                শুধু তাবলীগ? আমার নিজের জান-প্রাণের বন্ধু হিজবুত তাহরিরে ছিল। হিজবুত তাহরিরের দ্বারাই সে হেদায়াত পেয়েছে! আমি কি তাদের এই অবদান অস্বীকার করতে পারি! আল্লাহর কসম, জীবনেও না!

                এসব দলের অনেক ভাল দিক আছে। কিন্তু খারাপ দিকও আছে ভাই। কোনো দলের প্রতি অন্ধ ভালভাসা থাকলে তাদের খারাপ দিকগুলা আপনার চোখে পড়বে না। তাই আপনার সচেষ্ট থাকতে হবে এবং আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে।

                একটা কাফিরও যদি একটা ভাল কাজ করে, এমনকি ফির'উনও যদি একটা ভাল কাজ করে, কোনো জটিলতা না থাকলে অবশ্যই সেটার স্বীকৃতি দেয়াও আমাদের মুজাহিদদের দায়িত্ব। তাই বলে সে যে ফির'আউন, এটা তো আমরা ভুলতে পারি না ভাই!

                Comment


                • #9
                  দ্বীনের সঠিক বুঝ ও সঠিক ইলম, এ দুই ব্যতিত ব্যক্তির দ্বীনধারো অমূল্য।
                  আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                  আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে হিদায়াতের পথে অটল অবিচল রাখুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment

                    Working...
                    X