Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ * নিউজ ll ২১ যিলহজ ১৪৪০ হিজরী। ll ২৩ আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ * নিউজ ll ২১ যিলহজ ১৪৪০ হিজরী। ll ২৩ আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী

    মাছ-মুরগির খাবারের আড়ালে আনা হচ্ছে হারাম বস্তু শূকরের বর্জ্য!



    মাছের খাবারের নামে আনা আরও ১৫টি চালানে পাওয়া গেছে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও হারাম বস্তু শূকরের বর্জ্য। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা এসব চালানে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা ১৩শ’ তিন মেট্রিক টন মাছের খাদ্য রয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব পরীক্ষাগারসহ দেশের নামকরা তিনটি পরীক্ষাগারে এসব চালানের নমুনা পরীক্ষায় জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও আমদানি নিষিদ্ধ মিট অ্যান্ড বোন মিলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক গণমাধ্যম ইনকিলাব।

    এরমধ্যে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫টি চালানে শূকরসহ গবাদিপশুর বর্জ্যযুক্ত মাছের খাবার পাওয়া গেছে। আরও অন্তত ৩০টি চালানের নমুনা পরীক্ষা চলছে। মাছের খাবারের নামে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ও নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি হচ্ছে অহরহ।
    এ নিয়ে গত এক মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা ১৮টি চালানে আমদানি নিষিদ্ধ মিট অ্যান্ড বোন মিল পাওয়া গেল। এসব চালানে পণ্যের পরিমাণ দুই হাজার ৭১১ মেট্রিক টন। গত ২৪ জুলাই প্রথম দফায় তিনটি চালানে আসা ৮৫ টিইইউএস কন্টেইনার ভর্তি এক হাজার ৪০৯ টন মাছের খাবারে শূকরের বর্জ্য পাওয়া যায়। এরপর নড়েচড়ে বসে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি চালানের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। কাস্টম হাউসের নিজস্ব পরীক্ষাগার ছাড়াও ঢাকার আইসিডিডিআর বি, চট্টগ্রামের পোল্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে এসব চালানের নমুনা পাঠানো হয়। এবার কয়েকটি চালানের ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়। এসব নমুনা পরীক্ষায় গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫টি চালানে ক্ষতিকর বর্জ্য থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

    কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, ১১০ টিইইউএস কন্টেইনার ভর্তি এসব চালানের পরিমাণ ১৩ লাখ ৩ হাজার ৭৫০ কেজি বা ১,৩০৩ মেট্রিক টন। জব্দকৃত ১৫টি চালানের মধ্যে ১৩টি আমদানি হয় ভিয়েতনাম থেকে। বাকি দুটি বেলজিয়াম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা। এসব চালানের মধ্যে সবচেয়ে বড় ৩০ টিইইউএস কন্টেইনার ভর্তি তিন লাখ ৭৫ হাজার কেজি চালানটির আমদানিকারক রাজশাহীর ফিশটেক বিডি লিমিটেড। ভাসমান মাছের খাবার হিসেবে ভিয়েতনাম থেকে এ চালানটি আমদানি করে তারা।

    চালানটি খালাসের দায়িত্বে রয়েছে চট্টগ্রামের এশিয়া এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। একই আমদানিকারকের নামে আনা ছয় টিইইউএস কন্টেইনার ভর্তি ৭৫ হাজার কেজি আরও একটি চালান জব্দ করা হয়। ১২ টিইইউএস কন্টেইনার ভর্তি এক লাখ ৫০ হাজার কেজি মাছের খাবার আমদানি করে সিরাজগঞ্জের মিশাম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। এ প্রতিষ্ঠানটিরও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের এশিয়া এন্টারপ্রাইজ। এ দুটি চালানসহ আটক চালানের মধ্যে মোট ছয়টি চালান খালাসের দায়িত্বে রয়েছে এশিয়া এন্টারপ্রাইজ।

    জব্দকৃত চালানের মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের একোয়াটেক অ্যাগ্রো লিমিটেডের ১০ টিইইউএস কন্টেইনার ভর্তি এক লাখ আট হাজার কেজি মাছের খাবার। এ চালানটির ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। ঢাকার এডভান্স অ্যাগ্রোর ১০ টিইইউএস কন্টেইনার ভর্তি মাছের খাবারের পরিমাণ এক লাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ কেজি। এছাড়া গাজীপুরের কোয়ালিটি ফিডসের আনা দুই লাখ কেজি, পাবনার আর আর পি অ্যাগ্রো ফার্মসের ২৭ হাজার কেজি, ঢাকার ইন্টার অ্যাগ্রোর ৭০ হাজার কেজি, ম্যাগনিফাই অ্যাগ্রোর ২৬ হাজার কেজি, ময়মনসিংহের ভিএনএফ অ্যাগ্রোর ৫০ হাজার কেজি, কক্সবাজারের এমকেএ হ্যাচারীর ২১ হাজার কেজি চালানে ক্ষতিকর বর্জ্য পাওয়া যায়।

    উন্নত দেশগুলোতে শূকর ও গবাদিপশুর বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রফতানি করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানায়, বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করতে গিয়ে অনেক সময় অ্যানথ্রাক্স, মেডকাউসহ বিভিন্ন মারাত্মক মহামারি আক্রান্ত শূকর ও গবাদিপশুকে মেরে ক্রাশ করা হয়। এরপর এসব বর্জ্য সার ও পশুখাদ্য হিসেবে অনুন্নত দেশে রফতানি করা হয়।

    দাম কম হওয়ায় বাংলাদেশসহ অনেক দেশের আমদানিকারকেরা মুরগি ও মাছের খাবার হিসেবে এসব পণ্য নিয়ে আসে। ফলে এসব বর্জ্যে ক্ষতিকারক অ্যান্টিবায়োটিক, টেনারি উপজাত ও মেলামাইনের মিশ্রণ থাকার আশঙ্কা থেকে যায়। এসব খাবার খেয়ে মাছ ও মুরগির বাচ্চা দুই সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আকার ধারণ করে। এসব মাছ এবং মুরগি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
    চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন মাছের খাবার আমদানি হয়।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নারায়ণগঞ্জে মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যা!

    নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম দিদারুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি খুলনার তেরখাদা থানার রাজাপুর গ্রামে।

    স্থানীয় লোকজন বলেন, নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল মসজিদের আগের ইমাম চলে যাওয়ায় ২৬ জুলাই পাশের ছোট কাজিরগাঁও মসজিদের ইমাম দিদারুল এখানে আসেন। এই মসজিদে জুমার নামাজ পড়িয়ে তিনি প্রশিক্ষণের কথা বলে ছুটি নেন। গত বুধবার বিকেলে আবার নামাজ পড়ান। বৃহস্পতিবার ভোরে মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায় করতে গিয়ে ইমামের মরদেহ দেখতে পান।

    একটু চিন্তা করুন তো! মসজিদের ইমামের জায়গায় আজ যদি মন্দিরের কোন পুরোহিত হতো! তাহলে ব্যাপারটি কেমন হতো?

    সূত্র: প্রথম আলোসহ অন্যান্য গণমাধ্যম
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গো-সন্ত্রাস শুরু হয়েছে এদেশেও!

      উগ্র হিন্দুত্ববাদ, উপমহাদেশের এক বিষফোঁড়া। উগ্রবাদী মুশরিক হিন্দুরা বর্তমানে উপমহাদেশে ‘রাম রাজত্ব’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুরু করেছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এসকল গেরুয়া সন্ত্রাসীদের আচরণ প্রকাশ পায় কখনো গো-রক্ষার নামে, কখনো ‘জয় শ্রী রাম’ বলানোর চেষ্টায়। ভারতে তো বটেই আজ বাংলাদেশেও শুরু হয়ে গেছে মুশরিক হিন্দুদের এই গেরুয়া সন্ত্রাস, গো-সন্ত্রাস।
      এই ভূমিতে মুসলিমদের অন্যতম প্রধান খাদ্য হলো গরুর গোস্ত। আল্লাহ তা’য়ালা মুসলিমদের জন্য এটি হালাল করে দিয়েছেন। কিন্তু, সন্ত্রাসবাদী গো-পূজারী মুশরিক হিন্দুরা তাদের কথিত ‘মা’ গরুকে রক্ষার নামে মুসলিমদের উপর চালাচ্ছে অবর্ণনীয় নির্যাতন। ভারতে এসকল গো-সন্ত্রাসীদের হাতে প্রায়ই মুসলিম হত্যাকাণ্ডের খবর আসে, কিন্তু এবার বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে গো-সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব।
      সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হতে জানা যায়, গত ১৪ই আগস্ট একটি ফেসবুক গ্রুপের উদ্যোগে আয়োজিত হয় কুড়িয়ানা আনন্দ ভ্রমণ। আয়োজকরা জানান, ‘‘আমরা আমাদের সব প্রস্তুতি সমাপ্ত করে কুড়িয়ানার পথে যাত্রা করি। আয়োজনে সদস্য ছিল প্রায় ১৫০+। যার মধ্যে অনেকে ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের। আমাদের কুড়িয়ানা প্রতিনিধি সব আয়োজন করে নিশ্চিত করে রেখেছিল আগেই। পিকনিক স্পট ছিল কুড়িয়ানা সাইক্লোন সেন্টার, যেখানে রান্না হবে গরুর গোস্ত, মুরগির গোস্ত, সবজি বা ডাল। সবজি আর মুরগী ছিল অন্য ধর্মীয় সদস্যদের বিবেচনা করে। আমাদের গাইডের সাথে সব নিশ্চিত করে আমাদের কুড়িয়ানার প্রতিনিধি বাজার সদাই করে।’’
      আয়োজকদের পক্ষ থেকে এরূপ ব্যবস্থা সত্ত্বেও সেখানে বাধ সাধে কুড়িয়ানার মুশরিক চেয়ারম্যান হিন্দু শেখর। আয়োজকরা জানান, শেখর তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদেরকে গরুর গোস্ত না পাকাতে হুমকি দেয় এবং সেখানে প্রোগ্রাম করতে দেয়া হবে না বলেও জানায়। এ নিয়ে উগ্র মুশরিক হিন্দুর সাথে আয়োজকদের কিছু বাক-বিতণ্ডা হলে, সন্ত্রাসবাদী হিন্দুরা তাদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পরে, বাধ্য হয়ে প্রোগ্রাম অন্যত্র স্থানান্তর করেন আয়োজকবৃন্দ।
      এভাবেই মুশরিক হিন্দুরা এদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিচ্ছে গেরুয়া সন্ত্রাসবাদ। গো-রক্ষার নামে এদেশেও শুরু করেছে গো-সন্ত্রাস। বছর কয়েক আগে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় মুশরিক হিন্দুরা কুরবানির ঈদের সময় মুসলিমদের গরু জবাইয়ে সরাসরি বাধা দেয়। এসময় এলাকার হিন্দুরা হুমকি দেয়, গরু জবাই করা হলে মুসলিমদেরও জবাই করে দেয়া হবে। এমন পরিস্থিতিতে মুসলিমরা থামতে বাধ্য হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলেও তেমন কোন ফলাফল আসেনি।
      এভাবেই প্রশাসনের ছত্রছায়ায় দেশে শুরু হয়ে গেছে মুশরিক হিন্দুদের গো-সন্ত্রাস। ভারতে তাদের এই গো-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মুসলিম। বাংলাদেশের মুসলিমদের উপরও কি সেই আপদ নেমে আসছে? তা দেখার অপেক্ষাতেই দিন কাঁটছে এই অঞ্চলের মুসলিমদের!
      তবে, হিন্দু সন্ত্রাসের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কোন প্রস্তুতি আছে কি এ জনপদের মুসলিমদের?
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        খরস্রোতা তিস্তা শুকিয়ে পরিণত হয়েছে খালে!

        অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। ৭১ এ এমন চেহারা নিয়েই বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল সুযোগসন্ধানী ভারত। ব্রিটিশদের ভাগ কর নীতির ধারাবাহিকতায়, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশকে বিভাজন করতে বন্ধুর ভূমিকায় থাকা ভারতের আসল চেহারা প্রকাশিত হতে অবশ্য বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়নি। দিন দিন সেটি সূর্যের আলোর মতোই আজ পরিষ্কার।
        স্বার্থহীনভাবে ভারত যে বাংলাদেশকে সাহায্য করেনি তা আর কাউকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর প্রয়োজন পরে না। সমসাময়িক অনেক স্পষ্ট বিষয় এর পক্ষে জোড়ালো প্রমাণ হিসেবে দাড় করানো যায়।
        তিস্তার পানি বণ্টন তার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। প্রয়োজনে বন্ধুর মুখোসে থাকা ভারত বাংলার মানুষকে অন্যায়ভাবে পানিতে ডুবিয়ে মারতেও দ্বিধা করে না। নিচের কিছু বিষয় একটু সাধারণভাবে খেয়াল করলেই বিষয়টি বুঝে আসে। এ বিষয়ে, ২২ আগস্ট ২০১৯ বাংলাদেশ প্রতিদিন এর একটা রিপোর্ট দেখা যাক।

        খরস্রোতা তিস্তা মধ্য আগস্টেই পানির অভাবে শুকিয়ে হাঁটুজলে পরিণত হয়েছে। ভারতের একতরফা পানি নিয়ন্ত্রণ করায় বাংলাদেশ অংশে তিস্তা এখন ছোট খালে পরিণত হয়েছে। ফলে তিস্তা অববাহিকায় জীববৈচিত্য হুমকির মুখে পড়েছে।

        জানা গেছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর নীলফামারীর কালীগঞ্জ সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঐতিহাসিক এ তিস্তা নদী।

        যা লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী বন্দর হয়ে ব্রক্ষপুত্র নদে মিশে যায়। তিস্তা নদী দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১৫ কিলোমিটার হলেও বাংলাদেশ অংশে রয়েছে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার।

        তিস্তার পানি প্রবাহ এককভাবে ব্যবহার করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করে।

        নিজেদের চাহিদা মেটানোর পরেই বাংলাদেশে পানি দেয় ভারত। প্রয়োজন ছাড়াই বর্ষাকালে বন্যার অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে শুষ্ক মৌসুমে পানির ব্যাপক প্রয়োজন দেখা দিলেও মিলে না এক কিউসেক পানি। এভাবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে তিস্তার পানির কাঙ্ক্ষিত ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। তিস্তার পানির নিয়ে দীর্ঘদিনের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিটি এখনও পূরণ হয়নি তিস্তাপাড়ে।

        ফলে বর্ষা শেষ না হতেই বাংলাদেশ অংশে তিস্তা মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীর ১২৫ কিলোমিটার তিস্তার অববাহিকায় জীবনযাত্রা, জীববৈচিত্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যতম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারেজ অকার্যকর হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিস্তা নদীতে দিনভর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা জেলে ও খেয়াঘাটের মাঝিরা বর্তমানে কর্মহীন হতে বসেছে। সবমিলে চিরচেনা হিংস্রো তিস্তা এখন পানির ন্যায্য হিস্যা বঞ্চিত হয়ে ঢেউহীন শান্ত কবিতার ছোট নদীতে পরিণত হয়েছে। পানির অভাবে তিস্তা ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।

        তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত তিস্তা রেলসেতু, তিস্তা সড়ক সেতু ও গংগাচওড়া শেখ হাসিনা সেতুটি যেন প্রহসনমূলকভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ধু-ধু বালুচরের তিস্তার ওপর। ব্রিজ থাকলেও পায়ে হেঁটেই পাড় হচ্ছে অনেকেই। ঢেউহীন তিস্তায় রয়েছে শুধু বালু কনা। তিস্তার বুকে জেগে উঠা চরের বালু কনায় ভুট্টা, আলুসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদের প্রস্তুতি নিলেও শরৎকালেই পানিশূন্য তিস্তায় সেচ নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা।

        তিস্তাপাড়ের কৃষক তাহাজুল ইসলাম, আবুল মিয়া ও খালেক জানান, বর্ষাকালে প্রচুর পানি ছেড়ে দেওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় ফসলহানীসহ ঘরবাড়ি হারা হয় এ অঞ্চলের মানুষ। আবার শুষ্ক মৌসুমে ফসল রক্ষায় পানির প্রয়োজন হলেও তিস্তায় পানি দেয় না ভারত। এবার মধ্য আগস্টেই পানিশূন্য তিস্তাপাড়ের চরাঞ্চলে চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদী শাসন ও তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না থাকায় তিস্তা নদী কৃষকের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে।

        দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বেশ কিছুদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আগস্টেই কমেছে তিস্তার পানি। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকাল ধরা হয়। সেই অনুযায়ী এ অঞ্চলে বা ভারতের সিকিমে বৃষ্টিপাত হলে তিস্তায় পানি বাড়তে পারে। তবে বৃষ্টিপাত না হলে সেচ প্রকল্প সচল রাখা সমস্যা হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চট্টগ্রাম থেকে ‘আল্লাহু আঁকবার’ তাকবীর তুলে দিয়ে রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার স্লোগান!

          ভারতে উগ্র হিন্দুদের নানাবিধ উগ্র স্লোগান রয়েছে, যেমন ‘মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে’ (মন্দির ঐটাই বানাব, ‘রাম মন্দির’ মানে বাবরি মসজিদের জায়গায়)। আরেকটি স্লোগান হচ্ছে, ‘এক হি নাড়া, এক হি নাম, ক্ষয় ছিড়িরাম, ক্ষয় ছিড়িরাম’ [জয় শ্রী রাম জয় শ্রী রাম] । অর্থাৎ একটিই ‘নাড়া’ তথা স্লোগান থাকবে, আর তা হলো হিন্দুদের ‘ক্ষয় ছিড়িরাম’[জয় শ্রী রাম জয় শ্রী রাম]। ‘নারায়ে তাকবীর’ স্লোগানটি নিশ্চয়ই শুনেছেন। এর অর্থ তাকবীরের ধ্বনি দাও, তথা ‘আল্লাহু আকবার’ বল।

          অর্থাৎ হিন্দুরা ‘এক হি নাড়া, এক হি নাম, ক্ষয় ছিড়িরাম, ক্ষয় ছিড়িরাম’ [জয় শ্রী রাম জয় শ্রী রাম]স্লোগানের মাধ্যমে তাকবীরের নাড়া তথা আল্লাহু আকবারকে মুছে ফেলারই ঘোষণা দেয়। সাথে সাথে মুসলমানদের জোর করে ‘ক্ষয় ছিড়িরাম’ [জয় শ্রী রাম জয় শ্রী রাম] নাড়া দেয়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

          বিগত রথের মিছিলেই ঘোষণা এসেছিল, চট্টগ্রামের বুক থেকে ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবীর হিন্দুরা তুলে দেবে। ‘সমঝদারের জন্য ইশারাই যথেষ্ট’ কথাটা অসাম্প্রদায়িক জাতির ক্ষেত্রে খাটে না। অসাম্প্রদায়িক জাতির সামনে ইশারা তো দূরে, প্রকাশ্যে তাদের খুবলে খাওয়ার ঘোষণা দিলেও তারা সেটা অনুধাবন করে না, সবচেয়ে বড় কথা করতেই চায় না।

          এবার চট্টগ্রামে বিগত রথের মিছিলের সময় রাস্তায় বের হওয়া হিন্দুদের টি-শার্টে লেখা বক্তব্যটি খেয়াল করুন। হ্যাঁ তারা তাদের টি-শার্টে লিখেছে, ‘এক হি নাড়া, এক হি নাম, ক্ষয় ছিড়িরাম‘[জয় শ্রী রাম জয় শ্রী রাম] অর্থাৎ সোজা ভাষায়, হিন্দুরা চট্টগ্রামের বুক থেকে ‘আল্লাহু আকবার’ নাড়া তুলে দিতে চায়। কিন্তু চট্টগ্রাম তথা দেশের মুসলিম জনসাধারণ অসাম্প্রদায়িক হওয়ায় সেই মিছিলকে ধরে নিয়েছে হিন্দুদের গতানুগতিক ধর্মপালন হিসেবে, যেহেতু অসাম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠী সমঝদার নয়। ইশারা তো দূরে, কিল-চড়-ঘুষি মারলেও তাদের কিছুই অনুভূত হয় না।

          উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার পর ভারতীয়রা ফেসবুকে বারবার বলছে, চট্টগ্রামকে তারা বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে দেবে। ভারতীয় চাকমারা তাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ বলে দাবি করেছে। চট্টগ্রামের হিন্দুরা যদি ঘোষণা দেয় যে, তারা চট্টগ্রাম থেকে আল্লাহু আকবার নাড়া তুলে দিতে চায়, এর অর্থ খুব সিম্পল। তারা চট্টগ্রামকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তা‘আলা আল ফিরদাউস মিডিয়ার ভাইদের সকল খেদমতকে কবুল করুন এবং তাদেরকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
            ফোরামে নিয়মিত আপনাদের পোষ্ট দিলে ভাল হয় ভাইয়েরা। জাযাকুমুল্লাহ
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              vai buletin ar opekkai asi
              ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

              Comment


              • #8
                আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment


                • #9
                  আমাদের জানবাজ মুজাহিদ প্রতি অনুরোধ করবো, আপনারা ইমাম হত্যার দতন্ত করবেন,এবং মুনাসিব মনে করলে হত্যাকারীর হলায় চাপাতি চালাবেন!!!
                  ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                  Comment

                  Working...
                  X