Announcement

Collapse
No announcement yet.

দল দুইটি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দল দুইটি

    দল দুইটি
    হয়ত তুমি আমাদের সাথে থাকবে, না হয় জঙ্গিদের সাথে।
    আপনি কি জানেন? এটা কার কথা।
    আর হ্যা! তাহলে শুনোন !
    তা ! বুশ বলেছিল।
    ইরাক /অাফগানিস্তান আক্রমণের পূর্বে বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে মুসলিম দেশের শাসকদের নিকট অনুমোদনের জন্য ধারেধারে ঘুরেছিল । অার তা ঐ সময় শাসকবর্গের কথার উওরে বলেছিল। হয়ত আমাদের সাথে থাকবেও সমর্থন করবে , না হয় জঙ্গিদের সাথে থাকবে।
    আপনি কি জানেন ? ঐসময় কি অবস্হা হয়েছিল।
    তাহলে শুনোন! তারা অর্থাৎ মুসলিম দেশের শাসকবর্গ তিনভাগে বিভক্ত হয়েছিল ।
    1) কিছু কিছু মুসলিম দেশের শাসকবর্গ তাদের অাহবানে নির্ধিদায় অর্থাৎ দাদা/মুরুব্বির কথায় বিনা বাক্য সাড়া দিয়েছিল।
    2)আর কিছু কিছু মুসলিম দেশের শাসকবর্গ তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি ।
    3)আর কিছু কিছু মুসলিম দেশের শাসকবর্গ তারা বলেছিল। আমরা কোন দলে নেই।
    আপনি কি জানেন , ঐসময় এর উওরে বুশ কি বলেছিল?
    তাহলে শুনোন

    বুশ! এর উওরে বলেছিল, তৃতীয় কোন দল নেই।
    হয়ত তুমি আমাদের সাথে থাকবে , নাহয় জঙ্গিদের সাথে থাকবে । তৃতীয় কোন দল নেই।
    বাহ! কতইনা চমৎকার কথা সে বলেছিল।
    অাপনি কি জানেন? তার কথাটি যে কুরআনের কথার সাথে মিলে যায়।
    অথবা এটাও বলা যায় যে, সে /তার লোকেরা কুরআন নিয়ে গভেষণা করেছে। আর আমরা নামধারী অধিকাংশ আলেমরা কুরআন হতে দূরে। শুধু দূরেই নয়? বহুদূরে ।
    তাহলে শুনোন!
    আল্লাহর বাণী
    الذين امنوا يقاتلون في سبيل الله والذين كفروا يقاتلون في سبيل الطاغوت فقاتلوا اولياء الشيطان ان كيد الشيطان كان ضعيفا(النساء/١٧٦)
    যারা ঈমানদার তারা ক্বিতাল করে আল্লাহর রাস্তায় ( দ্বীনের বিজয়ের জন্য)
    যারা কাফের তারা ক্বিতাল করে ত্বাগুতের জন্য। অর্থাৎ ত্বাগুতের সন্তষ্টির জন্য। সুতরাং তোমরা শয়তানের অলি /অভিভাবকদের হত্যা কর। অবশ্যই শয়তানের চক্রান্ত দূর্বল।

    ★উক্ত আয়াতে এসেছে فقاتلوا اولياء الشيطان তোমরা শয়তানের ওলিদের হত্যা কর।
    (( প্রশ্ন ঃ ওলি কত প্রকার ও কি কি?
    উওর ঃ ওলি দুই প্রকার।
    1) আল্লাহর ওলি।
    2) শয়তানের ওলি।
    প্রশ্ন ঃ ওলিদের আলামত কি?
    উওর ঃ আল্লাহর ওলিদের আলামত এই-
    1) তাদের মাঝে কোন ভয়ভীতি থাকবেনা।
    2) তারা চিন্তিতও হবে না।
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    الا ان اولياء الله لا خوف عليهم ولا هم يحزنون (يونس/٦٢)

    ★শয়তানের ওলি
    1) সর্বদা ভৃত (সতস্থ)থাকবে।
    2)সর্বদা চিন্তিত থাকবে ।

    প্রশ্ন ঃ আল্লাহর ওলিদের কিছু গুনাবলি বর্ণণা করুণ।
    উওর ঃ আল্লাহ তাআলা তাদের দুটি গুন বর্ণণা করেছেন।
    1) ঈমান আনা।
    2) তাকওয়া অর্জন করা।
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    الذين امنوا وكانوايتقون(يونس/٦٣) ))

    ★অন্য আয়াতে এসেছে
    قاتلوا ائمة الكفر (التوبة / )
    তোমরা কাফেরদের নেতাদের হত্যা কর।
    প্রশ্ন ঃ বর্তমান কাফেরদের নেতাতো হল
    *ডোনাল টাম্প।
    *মোদী
    * ত্বাগুত হাসিনা
    ইত্যাদি
    আমাদের দ্বারা কি এদের হত্যা করা সম্ভব?
    উওর ঃ আসুন আমরা কুরআনে কারীমে তালাস করি
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    قاتلوا الذين يلونكم من الكفار /التوبة/তোমরা নিকটবর্তী কাফেরদের নেতাদের হত্যা কর।
    ★তাহলে এর দ্বারা স্পষ্ট হল যে, নিকটবর্তী কাফেরদের নেতাদের হত্যা কর।
    অর্থাৎ আপনি যে এলাকায় আছেন ,
    ঐ এলাকার একটি/দুইটি সন্রাস /বদমাইশ, যাদের ভয়ে মানুষ সর্বদা ভৃত সতস্ত থাকে। মানুষ যাদের নিকট জিম্মি। হক কথা বলতে পারেনা। আপনি ঐ একটি/দুইটিকে দুনিয়া হতে বিদায় করেদিন। অর্থাৎ পরপারে পাঠিয়েদিন। তাহলেই ঐ এলাকা/গ্রাম /থানা/জেলা/বিভাগ /দেশের জন্য যতেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।


    প্রশ্ন ঃ অামরাত দূর্বল কিভাবে তাদেরকে হত্যা করব?
    কারন তাদের আক্রমণ হয়, উপর, নিছ, ডান, বাম, সামনে, পিছনে সর্বদিক থেকে ।
    ★ অর্থাৎ উপর থেকে জঙ্গি বিমান।
    ★ডান , বাম, সামনে পিছন হতে বন্দুক,পিস্তল, রাইফেল, স্টেনগান, দূরপাল্লার মিজাইল।
    ★পানির দিক থেকে সাবমেরিনের মাধ্যমে অাক্রমণ হয়।

    উওরঃ (1) আল্লাহ তাআলা বলেন
    ان كيد الشيطان كان ضعيفا
    অবশ্যই তাদের চক্রান্ত দূর্বল।
    (2) আল্লাহ তাআলা অন্যস্হানে বলেন
    مثل الذين اتخذوا من دون الله اولياء كمثل العنكبوت اتخذت بيتا وان اوهن البيوت لبيت العنكبوت لو كانوا يعلمون (العنكبوت/٤١)
    যারা আল্লাহ ব্যতিত অলি বানায় তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সার জালের মত যে, তারা একটি ঘর নির্মাণ করল। আর তাহল মাকরশার ঘরের মত দূর্বল, যদি তারা যানত।

    প্রশ্নঃ 1) সকলে ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ এর কাজে কিভাবে অংশগ্রহণ করব?
    2) সকলে কি সৈনিক হওয়া সম্ভব?
    উওরঃ সেনাবাহিনীর সকল সদস্য কিন্ত সৈনিক না।
    কয়েকভাগে বিভক্ত ।
    1) বাবুর্চি ! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    2) কাপড় সেলাইকরে ! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    3)বাজার করে ! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    4) ধুপি! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    5) ডাক্তার! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    6) অস্ত্র সংগ্রহ করে! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    7)অস্ত্র পরিস্কার করে দেয় ! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    8) ব্যান্ডেজ /পট্রি ইত্যাদি বাধে ! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    9) নাপিত! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    10)পথ প্রদর্শক ! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    11) ড্রাইভার! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    12) বিভিন্ন স্হানে অস্ত্র পৌচিয়ে দেয়! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    13) অস্ত্র সংগ্রহ করে! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    14) পাহারাদারি করে! তার পোশাক কিন্ত সৈনিকেরই পোশাক।
    15) ময়দানে সশস্ত্র যুদ্ধ করে শুধু একটি গ্রুপ বাকি সব সহযোগী।
    16) ইত্যাদি

    ঐরকমভাবে আপনিও মুজাহিদদের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
    তার বিভিন্ন পদ্ধতি হতে পারে।
    1) সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ।
    2) তাদেরকে অর্থদানে সহযোগীতা করা ।
    3) তাদের জন্য দুআ করা।
    4) তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া।
    5) তাদের সঠিক খোজখবর নেওয়া।
    6) তাদের সঠিক খবরগুলো উম্মতের মাঝে প্রচার করা।
    7) নিজে ইদাদের কাজ করা।
    8) অন্যকে ইদাদের জন্য প্রস্তত করা।
    9) মুজাহিদদের পরিবারের দেখাশোনা করা।
    10) তাদের গোপনীয়তা রক্ষা করা।
    11) তাদের হেফাজের চেষ্টা করা।
    12) জিহাদে অংশগ্রহণের 39টি উপায় বইটি দেখুন।
    প্রশ্নঃ ত্বাগুত অর্থ কি?
    উওরঃ ত্বাগুত এর মাসদার হল তুগইয়ান অর্থ হল অবাধ্য হওয়া, সিমালঙ্গন করা।
    প্রশ্ন ঃ আপনি কি জানেন ত্বাগুত কত প্রকার?
    উওর ঃ ত্বাগুত অনেক প্রকার। এর মাঝে বর্তমান সমাজে প্রধান প্রধান ত্বাগুত ৮ (অাট)প্রকার।
    1) ইবলীস।
    2) শাসক।
    3) বিচারক।
    4) ইলমে গায়েবের দাবিদার ।
    5) ভন্ডপীর-পুরোহিত।
    6) যাদুকর।
    7) তাকলীদুল আবা বা বাপ-দাদা ও পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুকরণ।
    8) হাওয়া বা প্রবৃত্তি /খেয়াল -খুশির অনুস্বরণ।
    প্রশ্ন ঃ ঈমান আনয়নের শর্ত কি?
    উওর ঃ ত্বাগুতকে অস্বিকার করে ঈমান আনতে হবে।
    আল্লাহর বাণী
    فمن يكفر بالطاغوت ويؤمن بالله فقد استمسك بالعروة الوثقى لا انفصام لها والله سميع عليم
    যে ত্বাগুতকে অস্বিকার করে , এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, সেই মজবুতির সাথে আল্লাহর রশিকে আকড়িয়ে ধরল....

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এর উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • #2
    বিঃদ্রঃ ঃ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুশের উক্ত বক্তব্যটি আমার নিকটছিল বর্তমানে নেই। যেকোনো ভাইয়ের নিকট উক্ত বক্তব্যটির লিংক আছে দিয়েদিলে ভাল হবে। ইনশাআল্লাহ ।

    Comment


    • #3
      দল দুইটি
      আয়াত দ্বারা স্পষ্ট দল দুইটি।
      1) ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ
      2) ক্বিতাল ফিসাবিত্তাগুত
      আপনি কি ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ এর কাজে (দলে) অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে আজই নিম্ন বর্ণিত যতগুলো কাজ আপনার দ্বারা সম্ভব তাতে অংশগ্রহণ করুণ।
      .
      ০১ > জিহাদের জন্য বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা।
      .
      ০২ > শাহাদাত পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
      .
      ০৩ > নিজের মাল সম্পদ দারা জিহাদ করা।

      ০৪ > মুজাহিদদের জন্য টাকা সংগ্রহ করা।
      .
      ০৫ > মুজাহিদকে টাকা দিয়ে সাহায্য করা।

      ০৬ > মুজাহিদের পরিবারকে দেখাশোনা করা।

      ০৭ > শহীদের পরিবারকে দেখাশোনা করা।

      ০৮ > জেলে বন্দি ভাইদের পরিবারগুলোর দেখাশোনা করা।
      .
      ০৯ > মুজাহিদদের যাকাত প্রদান করা (জিহাদের খরচ বাবদ)।
      .
      ১০ > মুজাহিদদের মনোবল বাড়ানো এবং তাদের উৎসাহ প্রদান করা।

      ১১ > মুজাহিদদের চিকিৎসায় সাহায্য প্রদান করা।
      .
      ১২ > মুজাহিদদের সমর্থন করা এবং তাদের জন্য উঠে দাঁড়ানো।
      .
      ১৩ > পশ্চিমা মিডিয়ার মিথ্যাচারের মোকাবিলা করা।
      .
      ১৪ > মুনাফিকদের মুখোশ উন্মোচন করা।
      .
      ১৫ > জিহাদের ব্যাপারে অন্যদের উৎসাহ প্রদান করা।
      .
      ১৬ > মুজাহিদদের নিরাপত্তা দেয়া এবং তাদের গোপোনীয়তা রক্ষা করা।
      .
      ১৭ > মুজাহিদদের জন্য দোয়া করা।
      .
      ১৮ > জিহাদের খবর জানা এবং তা প্রচার করা।
      .
      ১৯ > মুজাহিদ এবং তাদের আলেমদের লেখনী প্রচার করা।
      .
      ২০ > মুজাহিদদের পক্ষে ফতোয়া দেয়া।
      .
      ২১ > আলেম এবং ইমামদের মুজাহিদদের তথ্য এবং খবর পৌঁছে দেয়া।
      .
      ২২ > শারীরিক যোগ্যতা অর্জন করা।
      .
      ২৩ > অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নেয়া।
      .
      ২৪ > প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নেয়া।
      .
      ২৫ > জিহাদের ফিকহ্ ও মাসলা জানা।
      .
      ২৬ > মুজাহিদদের রক্ষা করা এবং তাদেরকে
      সাহায্য করা।
      .
      ২৭ >”আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্য ঘৃণা”- এই আকিদার বিকাশ করা।
      .
      ২৮ > মুসলিম বন্দীদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করা।
      .
      ২৯ > জিহাদি ওয়েবসাইট তৈরী করা।
      .
      ৩০ > আমাদের সন্তানদের জিহাদ এবং মুজাহিদদের প্রতি ভালবাসা শেখানো।
      .
      ৩১ > বিলাসী জীবনযাপন এড়িয়ে চলা।

      ৩২ > মুজাহিদদের কাজে লাগে এমন যোগ্যতা অর্জন করা।
      .
      ৩৩ > যে সব দল জিহাদের জন্য কাজ করছে তাদের সাথে যোগ দেয়া।
      .
      ৩৪ > হক আলেমদের দিকে অন্যদের এগিয়ে আনা।
      .
      ৩৫ > হিজরতের জন্য প্রস্তুত থাকা।
      .
      ৩৬ > আত্মিক প্রশিক্ষণ নেয়া।
      .
      ৩৭ > মুজাহিদদের নসিহাহ্ দেয়া।
      .
      ৩৮ > ফিতনা বিষয়ের হাদিস পড়া।
      .
      ৩৯ > বর্তমান যুগের ফেরাঊন এবং তার জাদুকরদের মুখোশ উন্মোচন করা।
      .
      ৪০ > নাশীদ (জিহাদি গজল) তৈরী করা।
      .
      ৪১ > শত্রুদের অর্থনীতি বর্জন করা।
      .
      ৪২ > আরবী শেখা।
      .
      ৪৩ > বিভিন্ন ভাষায় জিহাদি লেখনী
      অনুবাদ করা।
      .
      ৪৪ > ‘ফিরকাতুন নাযিয়ায়’ বা “মুক্তি প্রাপ্ত দল” – এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অন্যদের শিক্ষা দেয়া।

      (সংগৃহীত)

      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং

      Comment

      Working...
      X