Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৭ মুহাররম ১৪৪১ হিজরী # ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৭ মুহাররম ১৪৪১ হিজরী # ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    মোহাম্মদপুরে বৃদ্ধার ১২ লাখ টাকার গরু লুটে নিয়ে গেল সন্ত্রাসী যুবলীগ-কৃষকলীগ নেতারা!




    রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা উদ্যানের একতা হাউজিং এলাকায় সুদের টাকা পরিশোধ করাতে না পারায় অশিতীপর এক বৃদ্ধার গরুর খামার থেকে জোরপূর্বক ৪টি গরু লুট করে নিয়েছে স্থানীয় কৃষক লীগ ও যুবলীগের নেতারা।

    গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় আদাবর থানা কৃষক লীগ নেতা ফালান মিয়া ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাগরসহ স্থানীয় ক্যাডাররা রাতে খামার থেকে ১২ লাখ টাকার গরু লুটে নিয়ে যায়। ওই সময় বৃদ্ধা জরিনা বেগমের (৭৮) পুত্রবধূ শাহনাজ বেগম বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধরও করা হয়।
    সকালে খামারের পাশেই নিজ বসত ঘরে দরজায় দুটি তালা মেরে দেয় সন্ত্রাসীরা। অল্প কিছু সুদের টাকার জন্য এভাবে রাতের বেলায় গরুর খামার থেকে গরু লুটে নিয়ে যাওয়া ও বসত ঘরের দরজায় তালা মেরে দেয়ায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নিরীহ এই পরিবারটি। বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের হতে ও খেতেও দিচ্ছে না।
    ওই ঘটনার পর গত মঙ্গলবার সকালে শাহনাজ বেগম মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ জিডি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে আদাবর থানা কৃষকলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ফালান মিয়া বলে, টাকা পাই বলেই গরু নিয়েছি, টাকা দিলে গরু ফেরত দিবো।
    তাই বলে রাতের বেলা খামার থেকে জোর করে গরু নিয়ে যাবে? জবাবে সে বলে, টাকা পাইতে হইলে তো এর চেয়ে ভালো কিছু আমি দেখি না। এখানে পুলিশ টুলিশের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। তবে গরু লুটে নিয়েও ক্ষান্ত নেই সাগর, একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে পরিবারটিকে, থানা পুলিশকে জানালে তাদের মেরে লাশ বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হবে।

    শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন (৫৬)। স্বাধীনতার পর থেকেই ঢাকায় বসবাস করে এবং ৩০ বছর ধরে গাড়ি চালিয়ে অল্প অল্প করে টাকা সঞ্চয় করেছেন। সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকায় চার বছর আগে চারটি দুধাল গুরু কেনেন দেলোয়ার হোসেন। গরুগুলো পালন করেন দেলোয়ারের স্ত্রী শাহনাজ বেগম এবং তাঁর বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম।
    বউ-শাশুরীর পরিশ্রমে চারটি গরু থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে খামারের গরুর সংখ্যা। চার বছরের ব্যবধানে খামারে গরু হয় ১৭টি। গরুর খামার বড় করার জন্য মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধের একতা হাউজিং ৩ নাম্বার ৪৯ নাম্বারের খালি প্লটটি ভাড়া নিয়ে আরো বড় করে খামারটি নির্মাণ করেন। খামারটি নির্মাণ করতে খরচ হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা।
    কিন্তু নতুন প্লটে গরুর খামারটি বেশি দিন টিকে থাকত পারেনি, কারণ আবুল হাসেমের ৪৯ নম্বরের প্লটি বুড়িগঙ্গা নদীর জমি দখল করেই গড়ে উঠেছিল। তাই চলতি বছরের মার্চে বিআইডাব্লিউটিএ অভিযান চালিয়ে গরুর খামারটি গুড়িয়ে দেয়। ওই অবস্থায় বউ শাশুরির গরুর খামারের ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়। পাশপাশি বিপদের উপর আরো বিপদ এসে দেখা দেয় এই পরিবারে, সম্প্রতি খামারের তিনটি গরু হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে মারা যায় আরো কষ্টের মধ্যে পড়ে যায়।
    গরুর খামার সম্প্রসারণ করতেই শাহনাজ বেগম স্থানীয় মো. ফালান মিয়ার কাছ থেকে শতকরা ১২ টাকা হারে টাকা নেন এক লাখ টাকা, ফালান মিয়া আদাবর থানা কৃষক লীগের সদস্য। একইভাবে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাগরের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ও জামাল মোল্লার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পলাশ মিয়ার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, পারুলী বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদে নেয়।
    সম্প্রতি ৪৯ নম্বর প্লটের খামারটি ভেঙ্গে দেয়ার পর পার্শ্ববর্তী ৩৯ নম্বর প্লটে আবার নতুন করে গরুর খামারটি করতে গিয়ে চার লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। সুদের উপর চার লাখ ২০ টাকায় টাকা এনে নতুন করে খামারটি করতে গিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে যান দেলোয়ার হোসেন ও শাহনাজ দম্পতি। বিগত দুই মাস সুদের টাকা দিতে পারেনি যুবলীগ নেতা মো. সাগর ও কৃষক লীগ নেতা ফালান মিয়া, জামাল মোল্লা, তমাল ও পলাশকে।
    আর সুদের টাকার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরেই খামার থেকে গুরু নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু শাহনাজ ও দেলোয়ার ও তাঁর বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম হাজারো আকুতি জানায়, তাদের কয়েক মাস তাদের সময় দেয়ার জন্য, অন্তত ছয় মাস সময় দিলেই সুদ-আসলে পুরো টাকা সবাইকে পরিশোধ করে দিবো। কিন্তু শাহনাজ ও দেলোয়ারের কোন কথাই শুনছে না যুবলীগ-কৃষক লীগ নেতারা, সুদের টাকা শেষ পর্যন্ত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ফালান মিয়া, সাগর, তমালসহ স্থানীয় ক্যাডাররা দেলোয়ার হোসেনের গরুর খামারে গিয়ে ১২ লাখ টাকা মূল্যের চারটি অস্ট্রেলিয়ান দুধাল গরু লুটে নিয়ে যায়। রাতের বেলা খামারের গরু নেয়ার সময় বাধা দিলে শাহনাজ বেগমকে মারধর করে তমালসহ ক্যাডাররা।
    ঢাকা উত্তর সিটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিট যুবলীগের নেতা এবং দুর্ধর্ষ ক্যাডার মো. সাগরের কাছ থেকে শতকরা ১০ টাকা হারে সুদের উপর এক লাখ ৫০ নেতা নিলেও খামার থেকে গরু লুটে নিয়ে যায় প্রায় ৬ লাখ টাকার দুটি গরু। আর কৃষক লীগ নেতা ফালান মিয়া শতকরা ১২ টাকা হারের উপর ১ লাখ টাকা নিলেও ৭ লাখ টাকার দুটি দুধাল গাভি গরু লুটে নিয়ে যায়।
    গরু লুটে নেয়ার পর মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করতে যায়, কিন্তু পুলিশ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।
    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন ব্যাপারী ক্যাডার হিসেবে পরিচিত যুবলীগের মো. সাগর।

    দেলোয়ার হোসেন বলেন, সুদের টাকা দুই মাস দিতে পারিনি বলে আমার খামার থেকে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকার গরু লুটে নিয়ে যায় মো. সাগর ও ফালান মিয়া ও তমাল।

    দেলোয়ার হোসেনের বৃদ্ধা মা জরিনা বেগম কাদঁতে কাঁদতে বলেন, অনেক কষ্ট করে খামারে গরু পালছিলাম, চারটি গরু থেকে ১৭টি পর্যন্ত হয়েছিল। কিন্তু এলাকার সাগর ও ফালান খামার থেকে চারটি গুরু নিয়ে যায়। আমার ছেলে ওদের ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছে না। বাবারে, আমাদের এতো বছরের সব কষ্ট ধুলিসাৎ করে দিলো বলেই মাটিতে গড়িয়ে বিলাপ করেন। পাশেই দাড়িয়ে থাকা দেলোয়ারের মেঝো মেয়ে সীমা আক্তার দাদীর কান্না দেখে জড়িতে ধরে কাঁদতে থাকেন।

    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/27/27224/

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পশ্চিম তীর হতে ৪৩ জন ফিলিস্তিনীকে তুলে নিয়ে গেছে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা।



    নিয়মিত সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারেও ফিলিস্তিনী মুসলিমদের ঘরে ঘরে তল্লাশীর নামে যুবকদেরকে তুলে নিয়ে গেছে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, বৃহস্পতিবার শুধু ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর হতেই ৪৩ জন ফিলিস্তিনী যুবককে ধরে নিয়ে গেছে দখলদার ইহুদী সেনারা। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে পশ্চিম তীরের “শূইকাহ্” গ্রামে দখলদার ইহুদী বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় মুসলিমদের বাড়ি-ঘরে তল্লাশির নামে ভাংচুর করে অভিশপ্ত এই ইহুদী গোষ্ঠী।

    অন্যদিকে আল-খলিল এলাকা হতে ফিলিস্তিন ভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যমের একজন সম্পাদককেও গ্রেফতার করেছে দখলদার ইহুদীরা। পরে ইহুদী সন্ত্রাসী সেনারা তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/27/27229/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা শফিকের কবজায় শিক্ষার টেন্ডারবাজি




      শিক্ষা ভবনে ত্রাসের নাম টেন্ডার শফিক। তাঁর পুরো নাম মো. শফিকুল ইসলাম। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রায় সব কাজেই তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্য। নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ তো নেয়ই, অন্য কেউ কাজ নিলেও তাঁকে কমিশন দিতে হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সব সরকারের সময়ই সে এককভাবে রাজত্ব করে যাচ্ছে শিক্ষা ভবনে। ছাত্রদলের হাত ধরে রাজনীতিতে উত্থান হলেও পরে একসময় সে ছাত্রলীগের নেতা ছিল। নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হলেও বর্তমানে সে যুবলীগের নেতা। আর এই পরিচয়েই এখনো পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে টেন্ডারবাজি।

      ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ছাত্রলীগে যোগ দেয় শফিক। একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি হয়। এর পর থেকেই মূলত তাঁর ‘টেন্ডারবাজি’ শুরু।

      সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, মূলত ১৯৯৮ সাল থেকেই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর ও শিক্ষা ভবনে থাকা প্রায় ১৪টি প্রকল্পের ভবন নির্মাণ ও কেনাকাটা নিয়ন্ত্রণ করছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক। তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম শফিক এন্টারপ্রাইজ। এ ছাড়া আরো একাধিক নামে তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে। বর্তমানে শুধু রাজধানীতেই তাঁর প্রায় ২০০ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ চলমান। প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারি আর কমিশন বাণিজ্য করে সে এখন প্রায় হাজার কোটি টাকার মালিক। ঢাকায় রয়েছে পাঁচ-সাতটি বাড়ি ও ফ্ল্যাট। ঢাকার দক্ষিণখানের ২৩৪ হলান রোডে দুই বিঘার ওপর জমিতে বিশাল বাংলো বাড়িতে সে থাকে। এ ছাড়া হাতিরপুর, গুলশান, উত্তরায় আছে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট। হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজায় তাঁর ৩০টির মতো দোকান আছে। তাঁর অফিসের ঠিকানা ৬৯ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড (৫ম তলা), হাতিরপুল, ঢাকা।
      জানা যায়, ঠিকাদারি তাঁর মূল পেশা নয়। তাঁর মূল পেশা টেন্ডারবাজি। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট যেকোনো কাজ যেই পাক না কেন প্রতিটি টেন্ডারে ৫ শতাংশ কমিশন দিতে হয় শফিককে। এর মাধ্যমেই মূলত সে বিশাল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছে। সে শিক্ষা ভবনে গেলে সঙ্গে থাকে একাধিক গাড়ি। নিজে একটি গাড়িতে থাকে। আর শিক্ষা ভবনের দুই গেটে থাকে আরো দুটি গাড়ি। সঙ্গে থাকে দলবল। সার্বক্ষণিক সঙ্গে থাকে তাঁর ডানহাত হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, আর বামহাত হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মাসুদ।
      সূত্র মতে, শিক্ষা ভবনে মিজান গ্রুপ নামে আরেকটি গ্রুপ আছে। ওই গ্রুপের নেতা মিজানুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তবে সে শফিক গ্রুপের সঙ্গে পেরে না উঠে কখনো তাঁর সঙ্গে হাত মেলান আবার মাঝেমধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে চলে। বর্তমানে দুজনের সম্পর্ক ভালো নয়। গত বছরও শিক্ষা ভবনে এই দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। তবে বর্তমানে মিজান গ্রুপের নামে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ বাঙলা কলেজ শাখার সাবেক নেতা সুমন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাসুদ।

      মাউশি অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেছে, ‘শফিকের বর্তমানে যে পরিমাণ সম্পদ আছে এর বৈধ হিসাব সে কখনোই দিতে পারবে না। কারণ সে তো ঠিকাদারির চেয়ে টেন্ডারবাজি বেশি করেছে। জোর করে কমিশন আদায়ই তাঁর মূল পেশা। যদি দুদক ও এনবিআর তাঁর সম্পদের হিসাব চায় তাহলে সে তা কখনোই দিতে পারবে না। কিন্তু যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন তাদের সঙ্গে মিশে বারবার পার পেয়ে যায়।

      জানা যায়, শফিক গ্রুপের আতঙ্কে তটস্থ হয়ে পড়েছে শিক্ষা ভবনের কর্মকর্তারা। শফিকের লোকজন ইদানীং প্রায় নিয়মিত বিভিন্ন কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমনকি টেবিল চাপড়ানো, দরজায় লাথি মারার ঘটনাও ঘটছে।

      সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের শেষ দিকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রগ্রামের (সেসিপ) অধীনে আসবাব, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র কেনার দরপত্র চূড়ান্তকরণের কাজ চলছিল। ওই সময় মাউশি অধিদপ্তর ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউর উইংয়ের এক উপপরিচালকের কক্ষে গিয়ে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায় শফিকের লোকজন। এরপর জুলাই মাসের শুরুতে অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের এক সহকারী পরিচালকের কক্ষে গিয়ে শফিকের লোকজন ভয়ভীতি দেখায়। তারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় টেবিল চাপড়ায় এবং দরজায় লাথি মারে। ওই কর্মকর্তাও মহাপরিচালককে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বিষয়টি।

      বর্তমানে ঢাকায় শফিকের যেসব কাজ চলছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা কলেজের ১০ তলা ভবন নির্মাণ, ধানমণ্ডি মহিলা কলেজের ছয়তলা ভবন নির্মাণ, নায়েমের একটি ভবনের সপ্তম থেকে দশম তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ, মিরপুর বাঙলা কলেজের একাডেমিক ভবন ও মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ, সরকারি তিতুমীর কলেজের একাডেমিক ভবন ও ছাত্রাবাস নির্মাণ, ধামরাই টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন নির্মাণ।

      জানা যায়, ঢাকা কলেজে ১০ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চারতলা পর্যন্ত করে ফেলে রেখেছে শফিক এন্টারপ্রাইজ। সেখানে একাধিকবার নিম্নমানের কাজেরও অভিযোগ উঠেছে। ধানমণ্ডি মহিলা কলেজে নিম্নমানের রড ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তিন নম্বর রড দিয়ে এই ভবনের কাজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রকৌশলীদের আপত্তিতে দুইবার রড পরিবর্তনে বাধ্য হয় শফিক এন্টারপ্রাইজ। এ ছাড়া শফিকের একাধিক কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করতে না দেওয়ায় সে নিজেই কাজ বন্ধ করে রেখেছে। তবে এখন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নিয়মিতই হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। নিম্নমানের কাজ ধরতে গিয়ে প্রকৌশলীরাই এখন আতঙ্কে আছেন।
      সূত্র মতে, কয়েক বছর আগেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকল্পে ইজিপি চালুসহ ইইডির আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা মাঠপর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। ফলে নিজ নিজ অঞ্চলে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেনি শফিক গ্রুপ। তারা চায় ম্যানুয়ালি দরপত্র আহ্বান, যাতে তারা ইচ্ছামতো কাজ বাগিয়ে নিতে পারে। কিন্তু ইইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী তাতে কোনোভাবেই রাজি হননি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধেও অপপ্রচার, হুমকি-ধমকি ও মামলা দিয়েছে শফিক। ঠিকাদারদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় গত ৫ জুলাই ইইডি প্রকৌশলী-কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ শিক্ষা ভবনে একটি সভাও করে। সেখানে প্রকৌশলীরা জানান, ইজিপি ছাড়া কোনোভাবেই সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ যথাসময়ে ব্যয় করা সম্ভব নয়। কিন্তু একটি চক্র ইইডির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। আসলে তারা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতেই নানা ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

      জানা যায়, ২০০০ সালে ইইডিতে টেন্ডার দখলে গিয়ে গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়েছিল শফিক। তখন মাউশি অধিদপ্তর ও ইইডির চার কর্মকর্তা-কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে মিশে যায় শফিক। ২০১০ সালে শিক্ষা ভবনের টেন্ডার নিয়ে মুহসীন হল ছাত্রলীগের মাহী গ্রুপের সঙ্গে তাঁর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/27/27236/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ নাকি উসকানিমূলক?




        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকে সামনে রেখে তাঁর কেবিনেটের মন্ত্রীরা যখন বলছে যে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ চূড়ায়, তখন বিএসএফ-এর এলোপাথাড়ি গুলিতে ফসলের জমিতে কাজ করতে থাকা ১০ বাংলাদেশী কৃষকের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে বিএসএফ মসজিদ ও বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়েছে। উসকানির মাত্রায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে দেশটির সাধারণ নাগরিকরাও। সীমান্তে এক খাসিয়ার গুলিতে নিহত হয়েছে এক কিশোর রাখাল। যাকে ‘উসকানিমূলক আচারণের ইঙ্গিত’ বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা।
        ঘটনা কয়টি ঘটেছে চলতি সেপ্টেম্বরেই। এর মধ্যে বিএফএফ-এর (ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী) অতর্কিত হামলার ঘটনাটি ঘটে ২ সেপ্টেম্বর। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর পবা থানার হরিয়ান ইউনিয়নের চর খানপুর সীমান্তের ১৬৩/১ নম্বর পিলারের কাছে নিজেদের জমিতে কাজ করছিল স্থানীয় কৃষকেরা। এসময় ট্রাকে করে এসে বিএসএফ সদস্যরা অতর্কিতরাবার বুলেট ছুঁড়তে শুরু করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন রুমোন (২৩), সুজন (২৩), সোহেল (২৮), দুলাল (৩৫), রবিউল (৩২), রুবেল (২৫), ডলার (২৫), জোতু (৪০), সুরুজ (১৯) ও সুমন (৩০)।

        এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের কলাবাগান বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ।

        আহত কৃষকরা সবাই চর খিদিরপুরের বাসিন্দা। ঘটনাটি উদ্বেগজন।

        এমনিতে বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে নিরীহ-নিরপরাধ বাংলাদেশীদের গুলি করে কিংবা তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বহু পুরনো। গত ১১ জুলাই জাতীয় সংসদকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানায়, গত ১০ বছরে বিএসএফ ২৯৪ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে।

        তাছাড়া প্রায়ই দাবী করা হয় যে সীমান্ত হত্যা কমে এসেছে! কিন্তু স্থানীয় বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্র জানাচ্ছে চলতি ২০১৯ সালের প্রথম চার মাসেই ১১ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ। আর ২০১৮ সালে নিহতের সংখ্যাটি ছিল ‘৮ জন’।
        বিএসএফ’র পাশাপাশি এবার যুক্ত হয়েছে দেশটির সাধারণ নাগরিকও। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উতমা সীমান্তে এক খাসিয়ার গুলিতে নিহত হয়েছেন জাকির আহমেদ নামের এক কিশোর রাখাল। স্থানীয়রা জানান, ওই দিন সকালে জাকির সীমান্ত এলাকায় গরু চড়াচ্ছিল। এ সময় এক খাসিয়ার গুলিতে সে আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর জাকির মারা যান।
        ওই ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে মসজিদ নির্মাণে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা দোলাপাড়া সীমান্তে।
        জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারত মিলে দোতলা মসজিদটির নকশার অনুমোদন দেয় ২০১১ সালে এবং ওই বছরের ২৯ এপ্রিল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু ঘটনার দিন শুক্রবার মসজিদটির নির্মাণ কাজের শেষ পর্যায়ে জানালায় গ্লাস লাগানোর সময় ভারতের শিতলকুচি থানার অমিত ক্যাম্পের বিএসএফ টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে কাজ বন্ধ করে দেয়।
        মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলিমুদ্দিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে নকশা অনুমোদন হওয়ার পর মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তারপরও প্রায়ই বিএসএফ নানা অজুহাতে নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে আসছিল। জানালায় রঙ্গিন গ্লাস লাগাতে বাধা দিলে আমরা সাদা গ্লাস লাগাতে শুরু করি। কিন্তু ওই দিন সেই গ্লাস লাগাতেও বাধা দেয় তারা।
        এই সবকিছুকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক নয় বরং ‘উসকানিমূল আচারণের ইঙ্গিত’ বলেই উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শাহীদুজ্জামান। তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা বড় একটি উদ্বেগের বিষয়। একই সঙ্গে অমানবিক এবং মর্মান্তিকও। কিন্তু সীমান্ত হত্যা ভারত বন্ধ করেনি। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে এটা চলতে পারেনা। ভারতের বোঝা উচিত তাদের এসব কর্মকাণ্ড অবিশ্বাস ও ঘৃণা বাড়িয়ে তুলছে যা দীর্ঘ মেয়াদে তাদেরই ক্ষতি করবে।
        বিএসএফ’র প্রশিক্ষণ পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বলা হচ্ছে সুসম্পর্কের কথা। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে বিএসএফ’র আচারণে তার প্রমাণ মিলছেনা। তাহলে ঘাটতিটা কোথায়?
        এর সমাধান হিসেবে বাংলাদেশকেও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন এম শাহীদুজ্জামান। তিনি বলেন, কঠোর হতে হবে, পাল্টা মেসেজ দিতে হবে। আগে কিন্তু বিএসএফ এতটা সাহস দেখাতে পারেনি এখন যেটা পারছে।

        তথ্যসূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর
        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/27/27239/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কাশ্মীরে ৫০ হাজার মন্দির নির্মাণ করবে দখলদার ভারতীয় মালাউন সরকার!




          গত ২৩শে সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপির এক মন্ত্রী দাবি করে যে, কাশ্মীরে বছরের পর বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মন্দির। সেই মন্দিরগুলো পুনরায় নির্মাণ বিষয়েই এবার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আপাতত মন্দিরগুলো নিয়ে সার্ভে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

          ভারতীয় মালাউনদের ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপি গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করে, এরপর থেকেই মালাউনদের সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো বিভিন্ন ধরণের নির্যাতন চালিয়ে আসছে জম্মু-কাশ্মীরে বসাবাসরত মুসলিমদের উপর। তাদের উপর একের পর এক আরোপ করা হতে থাকে বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞা, জারি করা হয় কারফিউ। বন্দি করা হয় প্রায় ১৪ হাজার কাশ্মীরি শিশু-কিশোর, যুবকদের। এমনকি বন্দী হওয়া কোন কোন ছেলের বয়স ১৪ বছরেরও কম বলে জানা যায়। বন্দীদেরকে শত শত মাইল দূরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের অজ্ঞাত কারাগারগুলোতে বন্দি করে রাখা হচ্ছে। এই ধারা এখনো চলমান।

          এমন এক সন্ত্রাসী আর অবৈধ কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই এবার ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি দাবি করে যে, কাশ্মীরে বছরের পর বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মন্দির। সেই মন্দিরগুলো পুনরায় নির্মাণ বিষয়েই এবার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

          কথা হচ্ছে আদৌ কি কাশ্মীরে ভারতীয় মন্ত্রীর কথা মত ৫০ হাজার মন্দির ছিল!? নাকি এটা নতুন আরেক চক্রান্ত কাশ্মীরি মুসলিমদের বিরুদ্ধে!? ধারণা করা হচ্ছে, কাশ্মীরের মুসলিমদের তৈরি করা হাজার হাজার মসজিদকে মন্দির নাম দিয়ে চালিয়ে দিতে পারে বাবরি মসজিদের ধ্বংসকারী সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী। কেননা, এই সন্ত্রাসী হিন্দুরা চুরি-বাটপারিতে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। এর আগে মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদকে মন্দির দাবি করে মসজিদটি গুড়িয়ে দিয়েছিল সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদীরা।
          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/27/27242/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বাংলাদেশকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাধ্য করাচ্ছে ভারত-চীন: টিআইবি




            ভারত ও চীন নিজেদের দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরে গিয়ে বাংলাদেশে এসে আগ্রাসীর সাথে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নে বাধ্য করাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ভারত ও চীন বাংলাদেশকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাধ্য করছে। সারা বিশ্বই যখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে জাতীয় কৌশলের অংশ হিসেবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্ভর হয়ে যাচ্ছে।শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট বা গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকের সঙ্গে টিআইবির সংহতি প্রকাশ ও প্রতিবাদ র*্যালিতে এমন মন্তব্য করেন।
            এখন পর্যন্ত যারা কার্বন নিঃসরণকারী জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে, পরিকল্পনা গ্রহণ করছে; তাদেরকে এই আত্মঘাতী পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে এসে সৌরবিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে বিনিয়োগ করবে। আমরা সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শতভাগ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করব।
            তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও বন ও সংরক্ষিত এলাকায় রামপাল, মাতারবাড়ি, পায়রা, ট্যাংরাগিরির মতো বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা চুক্তির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। জলবায়ু মোকাবিলায় উন্নত বিশ্ব তাদের ব্যর্থতা স্বীকার করেনি। এটা স্বীকার করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থের অঙ্গীকার করেছে, সেটি যেন তারা ছাড় করে সেই আহ্বান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।র*্যালিতে কার্যক্রমে কয়েক শত শিক্ষার্থী, পরিবেশ আন্দোলনকারী ও বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন অংশ নেয়।
            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/27/27254/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ, আপনি মুসলিম উম্মাহকে হিফাযতে রাখুন।
              “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

              Comment


              • #8
                হায় উম্মাহ! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সহায় হোক।
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  বিজিবি ( বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী) এদের কাজ কী??? এদের কাজ হলো বিভিন্ন দোকানে গিয়ে চাদাবাজী করা,সুযোগ পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরে ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া। আর বেশির চেয়ে বেশি মালুওয়ান বাহিনী এদেশের কোন মুসলিমকে মেরে ফেললে মাজলুমের পরিবারকে দোষারোপ করা। আর চিঠি দিয়ে মালুদের ধন্যবাদ জানানো।
                  ان المتقین فی جنت ونعیم
                  سورة الطور

                  Comment


                  • #10
                    আল্রাহ আপনাদেরকে কবুল করুন ।
                    মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by সত্যের খুজে View Post
                      আল্রাহ আপনাদেরকে কবুল করুন ।
                      আল্লাহ তা‘আলা আপনাকেও কবুল করুন, আমীন।
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment

                      Working...
                      X