Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহর মুজাহিদগণ উম্মাহর জন্য যুদ্ধ করছেন -শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহর মুজাহিদগণ উম্মাহর জন্য যুদ্ধ করছেন -শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ




    আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
    উম্মাহর মুজাহিদগণ উম্মাহর জন্য যুদ্ধ করছেন
    শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ


    [জামাআত কায়েদাতুল জিহাদের অফিসিয়াল ম্যাগাজিন “উম্মাতুন ওয়াহিদাহ, ইস্যু-০১” থেকে অনূদিত]





    ডকুমেন্ট ফরম্যাট ডাউনলোড করুন [৫৮৬ কিলোবাইট]











    পিডিএফ ফরম্যাট ডাউনলোড করুন [৪১৭ কিলোবাইট]









    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

  • #2
    মাশাআল্লাহ।
    আনেক ভালো হয়েছে।
    আল্লাহ আপনাদের কাজকে কবুল করুন,আমিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      সম্মানিত An-Nasr Team এর ভাই, আমার কাছে উক্ত ম্যাগাজিনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যসমূহের অংশটুকুর অনুবাদ আছে, আপনাদের করা না হলে আমি পেশ করতে পারি।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে মুজাহিদদের দলভুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা‘আলা কবুল করুন। আমীন
          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

          Comment


          • #6
            আল্লাহ ভাইদের মেহনতগুলোকে কবুল করুন!
            আমরা হয়তো বাঁচি, নয়তো শহীদ হই!

            Comment


            • #7
              Originally posted by Khalji-The-Seventeen View Post
              সম্মানিত An-Nasr Team এর ভাই, আমার কাছে উক্ত ম্যাগাজিনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যসমূহের অংশটুকুর অনুবাদ আছে, আপনাদের করা না হলে আমি পেশ করতে পারি।
              সম্মানিত ভাই! আপনি পেশ করতে পারেন ইনশা আল্লাহ... আর রিপ্লাই দিতে বিলম্ব হওয়াতে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত!
              আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

              Comment


              • #8
                Originally posted by An-Nasr Team View Post
                সম্মানিত ভাই! আপনি পেশ করতে পারেন ইনশা আল্লাহ... আর রিপ্লাই দিতে বিলম্ব হওয়াতে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত!
                এক উম্মাহ ম্যাগাজিনঃ লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যসমূহ
                সকল প্রশংসা সারা জাহানের মালিক আল্লাহ তাআলার প্রতি। চূড়ান্ত সফলতা আল্লাহ ভীতির মধ্যেই, এবং একমাত্র আগ্রাসীদের ছাড়া আর কারো উপরে আক্রমন হবেনা। শান্তি বর্ষিত হোক সাইয়্যেদনা মোহাম্মদ আশরাফুল মুরসালিন ও ইমামুল মুত্তাকীন আমাদের নবী (সঃ) এর উপর এবং শান্তি বর্ষিত হোক উনার পরিবার এবং উনার সাহাবা আজমাইনদের উপর। ‘ও আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান এনেছি আপনার মহান সত্ত্বার উপর, এবং আমরা অনুসরণ করি নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে, অতএব আমাদের প্রত্যক্ষদর্শীদের অন্তর্ভুক্ত করুন’। আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি যেহেতু আল্লাহ আমাদের রব, বিশ্বাস করি ইসলাম আমাদের দ্বীন, বিশ্বাস করি কাবা আমাদের কিবলা, বিশ্বাস করি কোরআন আমাদের ইমাম, এবং বিশ্বাস করি নবী করীম (সঃ) আমাদের নবী এবং রাসুল।
                প্রিয় মুসলিম ভাই এবং বোনেরা, আল্লাহ আপনাদের উপর শান্তি, রহমত এবং আশীর্বাদ বর্ষণ করুন!
                এটা হচ্ছে আমাদের দণ্ডাদেশ, তার প্রধান কারন হচ্ছে আমাদেরকে মুসলিমদেরকে ভুক্তভোগী করে তুলেছে এবং সক্রিয় শত্রু আমাদের ভুমিতে দখলদারিত্ব দীর্ঘায়িত করার কারন হচ্ছে তওহীদ শব্দের অধীনে ঐক্য না হতে পারার অক্ষমতা এবং তওহীদের ব্যানারের অধীনে এক কাতারে না হতে পারার অক্ষমতা এবং এই নির্ভেজাল ভিত্তির উপর একটি কার্যকর শক্তি হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে সংগঠিত না হতে পারার অক্ষমতা। এই জন্যই আমাদের নবী রাসুলাল্লাহ (সঃ) এর বার্তার প্রধান উদ্দেশ্যসমূহের একটা ছিল তওহীদ শব্দের ভিত্তির উপর এই এক উম্মাহর সন্তানদের মধ্যে একটা শক্তিশালী ঐক্যের অবস্থান অর্জন করা। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আমাদের নবী মোহাম্মদ (সঃ), এই সম্মান অর্জনের জন্য উম্মাহকে উৎসাহ এবং উপদেশ দিয়ে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছিলেন। এটা কেন হতে পারে না যখন আল্লাহ সুবহানা তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই, যাহারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করিয়াছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হইয়াছে, (ও’ মোহাম্মদ (সঃ)) তাহাদের কোন দায়িত্ব আপনার নয়; তাহাদের বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আল্লাহ তাহাদেরকে তাহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন।’ সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে যে উনার ভয় ছিল পূর্ববর্তীদের মত জাতিগত বিদ্বেষের রোগ উনার উম্মাহর মাঝে ছড়িয়ে পড়বে, এবং উম্মাহর সন্তানেরা একে অপরের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে পড়বে, যেভাবে পূর্ববর্তী জাতিগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছিল এবং ধর্মীয় ব্যাপারগুলো নিয়ে বিভক্ত হয়ে যাবে, যেভাবে পূর্ববর্তীরা বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল।
                গত অর্ধশতক সাক্ষী আছে কিছু ইসলামী দল, সরকারের অধীনে সংগঠনগুলো এবং ‘আরবলীগ’দের জেগে উঠা শ্লোগান ‘এক উম্মাহ’ সরকারগুলোর ছায়াতলে এবং তত্ত্বাবধানে ইসলামের বিরুদ্ধে ছিল। এই অস্তিত্বগুলোর প্রভাব ছিল দুর্বল, তাদের সফলতার মাত্রাগুলো ছিল ক্ষীণ। অন্তনিহিত কারন ছিল যে তত্ত্বাবধানরত ঐ সংগঠনগুলো উম্মাহর ঐক্যের ব্যাপারে কখন আন্তরিক ছিল না। উম্মাহর লোকদের তারা একটা বলত, কিন্তু তাদের সার্বভৌম মনিবদের কেবল বলতো, (যেটা কোরআনে উল্ল্যেখ করা হয়েছে), ‘আমরা (বাস্তবে) আপনাদের সাথে, আমরা তো কেবল তাদের সাথে মজা করছি।’
                আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের ইসলামী উম্মাহ অঞ্চল, ভাষা এবং রঙ্গে বৈচিত্র্য হওয়া সত্ত্বেও আমরা এক উম্মাহ। আমাদের প্রভু সুবহানা তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আপনার এই উম্মাহ হচ্ছে এক উম্মাহ, এবং আমি আপনার রব, অতএব আমাকে ভয় করুন।’ কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যক্তি সন্দেহ করতে পারবে না বাস্তবতা হচ্ছে এই এক উম্মাহর মাঝে ঐক্যবদ্ধতা হচ্ছে কোন একটা ইসলামী ফরজ দায়িত্বের মতই যা এটি সাধারণ জ্ঞানের দ্বারা নির্ধারিত একটি ব্যাবহারিক প্রয়োজনীয়তা। একটা বিশুদ্ধ ধর্মীয় পরিপ্রেক্ষিত থেকে, এবং কোরআনের আয়াতের আলোকে, আমরা মুমিনগণ, সকলে ভাই ভাই। এবং যা এটা হাদিসেও উল্ল্যেখ করা হয়েছে, মুমিনগণ হচ্ছে একটা শরীরের মত। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা আমাদের স্বার্থগুলো নিরাপত্তা দিতে পারবনা এবং আজ আমাদের মুখোমুখি সম্মিলিত হুমকি থেকে নিবৃত্তি পেতে হলে তওহীদ শব্দের ভিত্তির নির্ভর করে একতাবদ্ধ হওয়া এবং চূড়ান্তভাবে এক ইমামের অধীনে এবং এক রাজনৈতিক খিলানের অধীনে একত্রিত হওয়া, ইনশাআল্লাহ।
                মুসলিম ইউনিটি আমাদের এজেন্ডা, আমাদের চিন্তাধারাসমূহ এবং আমাদের অনুভূতিগুলোর সাথে একীভূত হয়েছে। গত ত্রিশ বছর ধরে শেষ পর্যন্ত, আমাদের প্রচুর প্রচারনা এবং মিলিটারি প্রচেষ্টা নিবেদিত হয়ে আসছে। আমাদের ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক উপলব্ধির উপর ভিত্তি করে, গত তিন দশকের কার্যক্রমে আমরা চেষ্টা করেছি সেতু বন্ধন করতে এবং লোকদের একসাথ করতে। তাই বলে, আমরা আমাদের ভুলত্রুটি প্রত্যাখ্যান করি নাই অথবা আমাদের ভুলগুলো তুলে ধরতে লজ্জিত হই নাই। আমরা দৃষ্টিভঙ্গি, পরিপ্রেক্ষিত এবং এজেন্ডাসমুহের দূরত্বগুলো কমানোর মাধ্যমে ইসলামিক উম্মাহর পুনর্জাগরণের জন্য যারা কাজ করে যাচ্ছে তাদের সকলের সাথে আরও মজভুত সেতু বন্ধনে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমরা আশা করি যে আমাদের সমষ্টিগত প্রচেষ্টাগুলো বিদেশী প্রভুত্ব থেকে চিন্তা চেতনা এবং ভূমিগুলো উদ্ধার করা হবে পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী আঘাতের একটা প্রভাব।
                আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের আহবানের প্রাথমিক শ্রোতৃমণ্ডলী হবে মুসলিম চিন্তানায়কগণ এবং আমাদের ভাইয়েরা যারা সারা দুনিয়াব্যাপী ইসলামের সমস্যাগুলোর জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতেছে, হোক সেটা প্রচারনার ময়দানে, জিহাদ অথবা রাজনীতির ময়দানে। আমরা আমাদের সহযোগিতার হাত এবং উপলব্ধি তাদের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছি এই আশায় যে যাতে আমরা আমাদের পারস্পরিক সাহায্য এবং সহযোগিতার মাধ্যমে আরও একবার ইসলামের ঝাণ্ডাকে উত্তোলন করতে পারি। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি সততা, সহযোগিতা এবং একটা অনুকুল প্রতিক্রিয়া সকল আন্তরিক মুসলিমদের থেকে যারা এই দ্বীনকে সাপোর্ট করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
                ক্রুসেডার জাতিদের বিরুদ্ধে সমকালীন সংগ্রামে- বিশেষভাবে মডার্ন ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশানের বিরুদ্ধে যেটা ক্রমাগতভাবে ইসলামিক সিভিলাইজেশানের একটি প্রতিদ্বন্দ্বী এবং শত্রুর অবস্থানে অধিকৃত হয়ে আছে- আমরা দেখেছি মুসলিম জনগনের মনমগজগুলোর মধ্যে উপনিবেশ স্থাপন এবং দখলের একটা প্রতিযোগিতা। এই চ্যালেঞ্জের প্রতিউত্তর হিসেবে আমরা আমাদের বিশ্বাস আমাদের রবের উপর রেখেছি এবং লড়াইয়ের জন্য একটি নিরলস বুদ্ধিগত আক্রমণে আমাদের সবচেয়ে উত্তম প্রচেষ্টাগুলো দিয়ে সচেষ্ট হয়েছি, মডার্ন ক্রুসেডের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে যখন আমরা দেখি। এছাড়াও আমরা বুদ্ধিভিত্তিক লেভেলে, মনোবল বাড়ানোর মাধ্যমে, এবং আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আমাদের সচেতনতা তৈরি করতে চেষ্টা করেছি। এটা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটা বিশেষ রহমত যেটা তিনি আমাদের মুসলিম ভাইদের মধ্যে দিয়েছেন একটা গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্বাসের যৌক্তিক পর্যায়ে, এবং আমাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বাসযোগ্যতা বন্ধু এবং শত্রু দুইয়ের মাঝেই। এই ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জিংয়ের বিষয়টি আরও বেশী ছিল পরিস্থিতি যখন আন্তর্জাতিক কুফরের বিরুদ্ধে অথবা তাদের মিলিটারি শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের স্বল্প পরিমাণের মিডিয়া উৎস দ্বারা লড়াই করা।
                ফলস্বরূপ, লাখো কোটি মুসলিম থেকে সব বয়সের এবং সকল অঙ্গনের মুসলিমের সাড়া আসতে থাকে আমাদের আহবানে, এবং এই জন্য আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম একটা প্রাণবন্ত উম্মাহ থেকে, যে কঠিন দুর্দশার মুখেও কখনো হাল ছাড়ে না। এই যুগে তারা সবচেয়ে জরুরী দায়িত্ব পুরা করেছে তাদের কাজের মাধ্যমে। যেখানে কেউ জিহাদের জন্য তাদের দায়িত্ব পালন করতেছে তাদের জান দিয়ে, অন্যরা সচেতনতার যুদ্ধ এবং কলমের দ্বারা তাদের জিহাদি দায়িত্ব পালন করতেছে। তাদের জিহাদের আহবানের লেখা নিবন্ধসমূহ লিপিবদ্ধ হয়েছে ‘তালাই খুরাসান’ ম্যাগাজিনে এবং আফগানিস্তানে মুজাহিদিনদের অবস্থান মুসলিম জনসাধারণ এবং বুদ্ধিজীবীদেরকে জ্ঞাপন করা হয়েছে। ক্রুসেড জাতিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দশ বছরের বেশী সময় ধরে যুদ্ধ করার পরে, ম্যাগাজিনের বেশীর ভাগ লেখক আল্লাহর ইচ্ছায় শাহাদাত বরন করেছেন। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ তাদের জিহাদকে কবুল পরমাণ এবং কাল হাশরে আল্লাহর রহমতের ছায়াতলে আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে একত্রিত করে, তার পবিত্র দয়া দ্বারা আমাদের শান্তি দান করেন, আমাদের জন্য মঞ্জুর করেন একটি সফল সমাপ্তি এই দুনিয়ায় এবং আখেরাতে দান করেন একটা সম্মানজনক অবস্থান।
                আল্লাহ তাআলা আমাদের মঙ্গলের জন্য এটা করেছেন নতুনভাবে আবার কিছু শুরু করার এবং আমাদের মিডিয়া কার্যক্রমের মধ্যে নতুন জীবনের প্রয়াসে ‘এক উম্মাহ’ নামে নতুন ম্যাগাজিন শুরু করার দ্বারা। উতপ্ত যুদ্ধের মধ্যভাগে এবং এই অবস্থায় ম্যাগাজিন কার্যক্রমের অংশগ্রহণকারীদের শহীদ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনার কারণে, এই প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমরা চালিয়ে যেতে সক্ষম হব কিনা আমরা জানিনা। আমাদের আশা এবং প্রার্থনা যেভাবেই হোক এই ম্যাগাজিনের প্রভাব দীর্ঘ সময় ধরে অনুভূত হবে । এছাড়াও বলতে হয়, আমাদের ইচ্ছা এই ওয়াদাকে নবায়ন করতে আমাদের মহামূল্যবান উম্মাহর সাথে যেটা আমরা সব সময় করে আসছি, আমাদের হৃদয় এবং আত্মার সাথে, তাদের সুখে এবং দুঃখে, আরামে এবং কষ্টে। এই পর্যায়ে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মূলত ‘তালাই খুরাসান’ ম্যাগাজিনের লক্ষ্যসমূহের প্রসারণের প্রকাশনা।
                আল্লাহর অপরিমেয় রহমতের সহিত, এবং ইমারত আফগানিস্তানে আমাদের আমিরদের সঠিক নেতৃত্বের কারণে, আমাদের জিহাদি যাত্রা শুরু হয়েছে আঠার বছর পর সফলতা অর্জন করতে। সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই জন্য তিনি তার অবনমিত গোলামদের সফলতা অর্পণ করেছেন। আজ আমরা এক নতুন উদীয়মান মোকাবেলার সীমানায় মুখোমুখি। এই সংকটপূর্ণ ধাপ আমাদের কাছ থেকে দাবী করে, হয় বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে আর না হয় ব্যাবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ঐক্যের নীতিগুলোর একটা গভীর উপলব্ধি এবং সমন্বয়ে যারা বিভিন্ন ফ্রন্টগুলোতে ইসলামের সমস্যাগুলোর জন্য কাজ করে। আজ পরিস্থিতি আমাদের সকলকে মুখোমুখি করেছে ব্যাপক এবং পারস্পরিক প্রচেষ্টার দাবীতে ঐক্যের একটা কাঠামোর সাথে ইসলামের সকল ফোর্সকে একত্রিত করার দৃষ্টিভঙ্গির সহিত, তাদের মধ্যে অনুকূল একত্রীকরণের মিথস্ক্রিয়া তৈরি করা, এবং ইসলামের এই যুগের বিশাল যুদ্ধের জন্য তাদের সচল করা; যে যুদ্ধের এলাকাগুলো বৈচিত্র্যময় এবং ফ্রন্টগুলো ভিন্ন ভিন্ন; একটা পরিপূর্ণ বর্ণালী মোকাবেলা যেটার দাবী হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক বন্ধন সকল ক্ষেত্রে। তাই আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই তাদের মুজাহিদিন ভাইদের সাথে অংশগ্রহন করতে, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে, উম্মাহর জন্য একটা উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করতে একটা অপমানকর জীবন থেকে উদ্ধার করার জন্য যে জীবন প্রতিদিন যাপন করা হচ্ছে। আমাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের ভাইদের সাথে, ধাপে ধাপে, তাহলে আমরা আমাদের আন্তরিকতা সত্যিকারভাবে স্পষ্ট করতে পারব এবং আমাদের আকাঙ্ক্ষা উম্মাহর সফলতা দেখতে পাওয়া। এই স্পৃহার সাথে আমরা উম্মাহকে সহযোগিতা করে যাব, ভক্তি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উপর ভিত্তি করে। অতএব আমাদের প্রমান করতে হবে মূলত আমরা এক, অবিচ্ছিন্ন, এক উম্মাহ... যেটা আমাদের রব আমাদের কাছ থেকে চায়। যদি অবশ্যই মুসলিমগণ এক ঐক্যবদ্ধ উম্মাহ হয়ে থাকতো, যেটা আমাদের রব আমদের কাছ থেকে চায়, তাহলে আমরা আমাদের ফিলিস্তিন এবং (আরব উপদ্বীপ) দুই পবিত্র ভূমি মক্কা মদিনা হারাতাম না, না মুসলিম অঞ্চলগুলোর পর্যায়ক্রমে এই বেদনাদায়ক ট্রাজেডী দেখতে হত।
                ম্যাগাজিনের উদ্দেশ্যসমূহঃ
                এক উম্মাহ ম্যাগাজিন হচ্ছে আল-কায়েদা সংগঠনের সাহিত্য এবং সংস্কৃতি প্রকাশনাগুলোর একটি। এটা গঠন করে সংগঠনের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সচেতনতা-ভিত্তিক প্রচেষ্টার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
                ১। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহ জাল্লে জালালুহুর খুশী অর্জন। আমাদের সর্বোচ্চ আকাঙ্খা হচ্ছে সফলতা, আমাদের সকল ভাই ইসলামের জন্য পাশাপাশি থেকে কাজ করবে, উম্মাহকে সহযোগিতা করবে জিহাদি পরিপক্কতা এবং রাজনৈতিক বুঝের একটা উচ্চ পর্যায় অর্জনের মাধ্যমে, শক্তিশালী বুদ্ধিবৃত্তিক সচেতনতা অধ্যায়নের পাশাপাশি।
                ২। আমাদের প্রধান লক্ষ্যসমুহের একটা হচ্ছে জ্ঞান, সৎ পরামর্শ এবং উদারতার সহিত সকল মানব সমাজের প্রতি দাওয়াত- ঐ কর্মপদ্ধতির দিকে যে পদ্ধতির দিকে আল্লাহ তাআলা তার কিতাবে আমাদের আহবান করেছেন, যাতে মনুষ্যত্ব হতে পারে সার্বজনীনভাবে পরিচালিত হবে ইসলামের আলোতে এবং চিরন্তন শান্তির পথে।
                ৩। ইসলামের বার্তাকে বহন করার মাধ্যমে আমরা প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে যাব বিশ্বাসকে চড়িয়ে দিতে, এর সকল মহানুভবতা, জাঁকজমকের সহিত এবং এর আইনের সার্বজনীন ব্যাবহারিকভাবে, এর লক্ষ্যসমূহের মহত্ত্বের সহিত, এর নীতিমালাসমূহের বিশিষ্টতার সহিত, এর সক্ষমতা অনুযায়ী সমস্যাগুলো সমাধান করার সহিত যেটা কেবল মুসলিমদের জন্য নয় বরং সকল মানব সমাজের জন্য। এবং এটা করা হবে, আমরা সকল মানব প্রণীত আইনসমূহ এবং পদ্ধতিসমূহের প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে যেগুলো হচ্ছে গণতন্ত্র অথবা সেকুলারিজম এবং অবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে।
                ৪। আমরা বিশ্বাস করি যে সময়ের সবচেয়ে জরুরী প্রয়োজনীয়তা, এই যুগের সবচেয়ে বাধ্যতামূলক দায়িত্ব, এবং সংক্ষিপ্ত ও নিশ্চিত উপায়ে এই সময়ের যাওনিস্ট ক্রুসেডারদের প্রভুত্ব থেকে উম্মাহকে মুক্ত করতে হবে হচ্ছে আমেরিকা এবং তার মিত্রদের উপর আমাদের মিলিটারি প্রচেষ্টাকে ঘনীভূত করা, যারা নিবৃত্ত হবেনা ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে একটা পূর্ণ যুদ্ধের ঘোষণা থেকে, তাদের পবিত্রতাকে নষ্ট করা, তাদের প্রাকৃতিক সম্পদসমূহ লুঠ করা, মুসলিম ভূমিগুলোতে তাদের দখলদারিত্বকে মজবুত করতে মুরতাদ শাসকদের অন্যায়ভাবে সাপোর্ট করা থেকে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই সময়ের সবচেয়ে উত্তম গুণাবলীসমূহ হচ্ছে ক্রুসেডার আমেরিকা এবং তার মিত্র ফেরাউনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।
                ৫। আমাদের ক্ষমতার সেরা প্রচেষ্টা দিয়ে আমরা চেষ্টা চালাবো আমাদের মূল্যবান উম্মাহকে একত্র করতে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত উম্মাহর একতা এবং ঐকতানকে নিরাপধ রাখতে। এই প্রচেষ্টাগুলোর পাশাপাশি আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে সবচেয়ে উপযুক্ত পদ্ধতিগুলোর উপর সেটা হচ্ছে উম্মাহর সম্মুখে আসন্ন মারাত্মক সমস্যাগুলোর মোকাবেলা করা, এবং সংকটগুলোর সাথে বিচক্ষণভাবে কার্যক্রম চালানো যেগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা পার হচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস এটা এই কারনে যে এক সিঙ্গেল উম্মাহর দেশ-জাতিতে বিভক্তি হচ্ছে স্পৃহার মধ্যে মর্যাদার জন্য দুর্বল উপস্থিতির কারনে এবং মুসলিমদের নিজের উম্মাহর প্রতি সহানুভূতিহীনতার কারনে এবং ইসলামী পরিচিতির মধ্যে গর্বিত হওয়ার অনুভূতি তুলে নিয়ে নেয়ার ফলে মুসলিম পরিচিতিতে লজ্জিত হওয়ার কারনে।
                ৬। আমরা চেষ্টা করতেছি কোরআনের আলো এবং সুন্নাহর নির্দেশনাকে ছড়িয়ে দিতে আমাদের পাঠকদের কাছে যাতে তারা তাদের একিন এবং অবিচল বিশ্বাসের সাথে নিজেদের আত্মাকে পবিত্র এবং রক্ষা করতে পারে, উদ্দেশ্যসমূহকে অধিকৃত করতে পারে শক্তিশালী এবং সত্যনিষ্ঠ দৃঢ়সংকল্পের মাধ্যমে, নৈতিক উৎকর্ষের সাথে কার্যক্রমের ভিত্তি তৈরি করতে পারে এবং নৈতিকতা এবং সুনীতির পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারে একক এবং সমষ্টিগত আচরণে।
                ৭। আমরা মোমিনদের উদ্রিপ্ত করতে চাই সকল ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। আমরা চাই মোমিনদের অন্তরে বিশুদ্ধ আবেগের অগ্নিশিখা পুনঃজীবিত হোক বিশ্বাসের অনুপ্রেরণার দ্বারা। আমাদের মিশন হচ্ছে ইসলামী মিলিটারি কোর্সের নির্দেশনা দেয়া, জিহাদের পথকে সংশোধন করা যেগুলোতে বিচ্যুতি ঘটেছিল, মুজাহিদিনদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলোকে সৃজন করা, এবং তাদের মনোযোগের প্রতি এবং প্রচেষ্টার জন্য নির্দেশ দেয়া সময়ের সংকটপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা এবং ইসলামদের সমস্যাগুলোর অগ্রাধিকারের আলোকে।
                ৮। আমাদের মিশন হচ্ছে মুসলিম জনসাধারণকে তাদের দায়িত্বসমূহ তাদের কাঁধে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের একই পথের যাত্রার মাঝে সম্মুখীন সংকটগুলোর দুর্বোধ্য দিকসমূহের ব্যাপারে আমাদের মূল্যবান উম্মাহর পদমর্যাদার প্রতি সচেতনতা তৈরি করা। আমরা চাই উম্মাহর শত্রুদের আসল চেহারা প্রকাশ করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে মোকাবেলার সক্ষম পদ্ধতি বুঝিয়ে দিতে।
                ৯। আমাদের মিশন হচ্ছে বিনীত প্রচেষ্টার সহিত আমাদের নিজেদের অবস্থানকে স্পষ্ট করা এবং ভালবাসা জ্ঞাপন করা, আমরা একটা উম্মাহর জন্য বিশ্বস্ততা এবং একনিষ্ঠতা পোষণ করি আমরা যার একটা অংশ এবং যার সম্মানের জন্য আমরা লড়াই করি। এছাড়াও আমাদের আশা হচ্ছে যারা আমাদের সম্পর্কে অনবগত অথবা আমাদের সম্পর্কে ভুল পথে চালিত হয়েছে তাদের কাছে আমাদের বাস্তবতা উম্মোচিত হবে।
                ১০। আমরা চাই আমাদের বার্তা সবার কাছে পৌঁছে যাক, আমাদের ইসলামী বন্ধন শক্তিশালী হোক, এবং সকলের সাথে যোগাযোগের একটা সেতু বন্ধন তৈরি হবে যারা ইসলামের জন্য বিভিন্ন ময়দানে বিশেষ করে জিহাদি ময়দানে, এলেম, প্রচারণা এবং শরিয়াহ ভিত্তিক রাজনীতিতে কাজ করতেছেন। এছাড়াও আমরা চাই একটা দৃষ্টিভঙ্গির পূর্ণতা দেয়ার সহিত আমাদের আন্তরিক আকাঙ্খাকে একটা একতার পদমর্যাদায় পৌঁছান, অথবা কমপক্ষে কাজের প্রয়োজনীয়তার জন্য যোগাযোগ, উপলব্ধি, সহযোগিতা এবং বিভাজনের ন্যূনতম মাত্রার অর্জন আমাদের প্রিয় উম্মাহর স্বার্থের সার্বজনীন নিরাপত্তা প্রদানের জন্য, হোক সেটা দ্বীনের জন্য অথবা দুনিয়ার জন্য।
                ১১। আমরা সকল মুসলিমদের একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার জন্য উৎসাহিত করি এবং চাই ভিত্তিহিন সংশয়গুলো পরিহার করতে, বিশেষকরে ঐ সকল ব্যক্তিত্বদের ক্ষেত্রে যারা উম্মাহর মধ্য থেকে খ্যাতি অর্জন করেছে হয় তাদের এলেমের কারনে এবং প্রসারণের অবদানসমূহের কারনে আর না হয় তাদের আন্তরিকতা এবং সত্যবাদিতার কারনে। আমরা চাই যারা দ্বীনের জন্য কাজ করতেছে তাদেরকে ঘৃণা এবং উপহাসের টার্গেটে পরিণত করার একটা পরিসমাপ্তির দিকে নিয়ে আসার। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ফিকহি সিদ্ধান্তে এই ভিন্নতাগুলো কেবল বিশেষ ইস্যুগুলোতে নয়, বরং কোনভাবেই এই নেতিবাচক কালচার অপরিহার্য না করা। যেভাবেই হোক আমরা সত্যকে উম্মোচিত করি এবং অন্যের ন্যায় কাজকে সম্মান করার পাশাপাশি জবাবদিহিতা করি এবং যেকোনো মুসলিমকে এটা করার জন্য আন্তরিক পরামর্শ উপস্থাপন করি।
                ১২। যেহেতু আমরা সতর্কতার যুদ্ধে জড়িত হয়েছি, আমরা সত্যবাদীদের অন্তরে বিশ্বাসকে প্রজ্বলিত করতে পুরোপুরিভাবে সচেতন। এছাড়াও আমরা বুঝতে পেরেছি যে কলমের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এই জন্য আমরা আমাদের প্রিয় উম্মাহকে জ্ঞান এবং আন্তরিকতার সাথে পরামর্শ দিতে চাই যাতে মুক্তির এই মহান সফরে সফলতা অর্জিত হয়। আমরা সমবেতভাবে প্রচেষ্টা চালাই যেগুলো উম্মাহর জন্য একটা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে সেগুলোকে প্রতিরোধ করতে।
                ১৩। আমাদের সম্মিলিত অগ্রযাত্রায় আমাদের হারানো গৌরব ফিরে পেতে চাই, আমরা আমাদের উম্মাহর সামনে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে চাই যা আমরা সত্য বলে বিশ্বাস করি। এই উম্মাহর জন্য আমরা উপায়গুলো ব্যাখ্যা করতে চাই জেগে উঠে দুনিয়ার নেতৃত্বকে আবার নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেবে। আমরা আমাদের ভুলের সংশোধনের এবং প্রত্যেক আন্তরিক ব্যক্তির কাছে থেকে আন্তরিক পরামর্শ প্রত্যাশা করি।
                ১৪। সমসাময়িক ইসলামের সম্মুখে আসা সমস্যাসমূহ সহ আমাদের সবচেয়ে অগ্রাধিকার হচ্ছে তিন পবিত্র জায়গা মক্কা, মাদিনা এবং ফিলিস্তিন। প্রতিটি দখলকৃত মুসলিম দেশ হল ইসলামের হৃদয়ের মুখপাত্র এবং মহান ইসলামী স্বদেশের একটি অংশ, তাই আমরা ইসলামী উম্মাহর অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অবদান রাখব।
                ১৫। এলেম এবং জিহাদের লোকদের প্রতি আমাদের পরামর্শ হচ্ছে তাদের নিজেদের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করে। তারা যেন অবশ্যই পরিচালনার দায়িত্ব নেয় উদার এবং ক্ষমাশীল হওয়ার মাধ্যমে, নিজদের মধ্যে ইতিবাচক গুণাবলীর ব্যাপারে মনযোগী হওয়ার মাধ্যমে, এবং নিজেদের মধ্যে একে অপরের সাথে কাটানো দুঃসময়ের সৃতিগুলো স্মরণ করা। একইভাবে, তারা যেন অবশ্যই নতুন জেনারেশানকে দিকনির্দেশনা দেয় যাতে সিনিয়রদের সম্মান করে, জুনিয়রদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে, শিষ্টাচারের সহিত শালীনতা মেনে চলে, এবং ঝগড়া, অর্থহীন ও অনুপযুক্ত কথা পরিত্যাগ করে।
                ১৬। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জিহাদ এবং রাজনৈতিক ইসলামিক কাজের প্রসারনায় উন্নয়ন করা, এমন উপায়ে যেটা হবে উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যাতে যাইওনিস্ট ক্রুসেডার বিদেশি দখলদারদের প্রভুত্ব থেকে মুক্তি অর্জন হতে পারে, অভ্যন্তরীণভাবে তাদের অনুগত মুরতাদ গোলামদের স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তি অর্জন, এবং কলমের ক্ষমতা এবং আইডিয়ার শক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে ধারণাসমূহের সংশোধন করা।
                ১৭। আমরা চাই মুসলিম উম্মাহর সন্তানদের স্মরণ করিয়ে দিতে তাদের উপর ইসলাম এবং মুসলিমের অধিকার; এবং সেটা হচ্ছে উম্মাহর জন্য তাদের দায়িত্ব পালন করা ফরজে আইন, কেবল ফরজে কেফায়া নয়। আজ তাদের লড়াই হচ্ছে তাদের রণক্ষেত্রগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটা রণক্ষেত্র থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, তাদের সীমান্তগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটা সীমান্ত থেকে পাহারা দেয়া, এবং তাদের দুর্গগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটা অগ্রগণ্য দুর্গ থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করা। এই জন্য আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাই জিহাদের দিকে, তাদের সম্পদসহ, তাদের অনুদান এবং যাকাতের দ্বারা তাদের ভাই যারা জিহাদ এবং দাওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য, এবং জিহাদ এবং হিজরতের কাফেলায় অংশগ্রহণের জন্য তাদের সাজিয়ে দেয়ার দ্বারা।
                ১৮। আমরা কঠোর নিন্দা জানাই প্রকাশিত ব্যাপক ত্রুটির যেটা হল জিহাদ, দাওয়াহ, জবাবদিহিতা এবং শরিয়াহ ভিত্তিক রাজনৈতিক অবস্থানগুলোতে যোগদানের দায়িত্ব পরিত্যাগ করার কারনে। আমাদের শক্তিশালী সমালোচনা হচ্ছে তাদের জন্য নির্ধারিত যারা এক আত্মার সহিত জিহাদের কাজের দায়িত্বকে বিলুপ্তিসাধনকে স্বীকার করে। এটা খুব শক্তভাবে প্রয়োজন পুনরাবৃত্তির যে এক আত্মার সহিত জিহাদি কার্যক্রম পরিচালনা মুহাম্মদ (সঃ) এর সত্যিকারের অনুসারীদের জন্য সব সময় অতিশয় গর্বের উৎস ছিল। এই ধরনের লোকেরা কি জানেনা যে খোলাফায়ে রাশেদিন এবং তাদের পরবর্তী ন্যায়পরায়ণ শাসকগণ জিহাদের জন্য প্রেরিত সৈনিকদের কার্যক্রম থেকে কোন ওলামা এবং এলেমের ছাত্রকে জিহাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহত রাখা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেবল কোন আলেম তো নয়ই এমনকি কোন মুসলিমও কোন ধরনের কারণকে উপলক্ষ করে জিহাদের কাজ থেকে অব্যাহতি চায়নি। বরং তারা নিজেদেরকে কোরবানের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠতা অর্জনের জন্য নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করত। এবং ওলামাদের সব সময় সেনাবাহিনীর প্রথম সারিতে পাওয়া যেত, সেনাবাহিনীর পেছনের সারিতে নয়। বাস্তবতা হচ্ছে, তারা জিহাদের জন্য বের না হওয়ার ওজরকে মুনাফিকির লক্ষন মনে করত।
                ১৯। একে ওপরের প্রতি ভালবাসা, ক্ষমাশীল হওয়া এবং দয়া প্রদর্শন করতে আমরা আমাদের নিজেদের এবং মুসলিমদের উৎসাহিত করি । এটা হচ্ছে আমাদের বার্তা বিশেষ করে ওলামাদের এবং উম্মাহর মধ্য থেকে ইসলামী বুদ্ধিজীবীদের প্রতি যে তারা যেন উম্মাহর সম্মুখে এই সময়ের চ্যালেঞ্জগুলোকে এবং প্রধান সমস্যাগুলোকে ছোট করে না দেখে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। তারা অবশ্যই সুযোগের সীমিত একটা দৃষ্টিকোণের সাথে আমাদের এই সময়ের বিশাল ইস্যুগুলো বিবেচনা করবে না। যখন এটা ইসলামের ব্যাপারে হয় তারা অবশ্যই গ্রহন এবং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিবৃত্ত থাকবে, পাছে তারা হতে পারে ইসলামের সার্বজনীন নীতিমালাগুলো রদ করে দেয় একটা বিশেষ বুদ্ধিগত স্থির প্রবৃত্তির খাতিরে অথবা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক প্রবণতাগুলো দ্বারা নির্ধারিত পছন্ধগুলোর খাতিরে।

                একটা শেষ কথা আমাদের সকল ভাইদের প্রতি যারা ইসালামের সহযোগিতার জন্য উদ্ভূত হয়েছেন... আজ উম্মাহর সম্মুখে আগত চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যাগুলো আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, কোন সিঙ্গেল গ্রুপ, সংগঠন, মুসলিম দেশ, একটা সিঙ্গেল মুসলিম দেশের জনগন, একজন ওলামা বা তার ফিকহি ইজতিহাদের চর্চা দাবি করতে পারবে না তারা প্রনয়ন করতে পারবে যুক্তিগতভাবে অথবা শরিয়াহভিত্তিক অবস্থান থেকে- একটা সিদ্ধান্তমূলক স্বাধীন মতামত থেকে আমাদের সম্মুখে আগত এই বিশেষ চ্যালেঞ্জগুলোর উপর এবং দাবি করতে পারবেনা তিনি অথবা তাদের কথাই হচ্ছে শেষ কথা। ইসলামী বিশ্বের সামনে আগত সমস্যাগুলোর গভীর সত্যের শনাক্তকরণে, আমরা বিশ্বাস করি যে এলেমের, ফিকহি জ্ঞান, সুস্থ মতামত, এবং গভীর অন্তদৃষ্টি সমত্ব লোকদের অবশ্যই একটা প্লাটফর্মের উপর একত্র হতে হবে মুসলিম বিশ্বের সামনে আগত এই সময়ের চ্যালেঞ্জগুলো ক্রিটিকেলি পরিক্ষা করার জন্য। এছাড়াও, একটা স্পষ্ট এজেন্ডার সহিত তাদের একটি একক ঐক্যবদ্ধ অস্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হওয়া যাতে উম্মাহর দ্বীন, রক্ত, এবং ভূমিগুলো প্রতিরক্ষা করা যেতে পারে, তাহলে এই উম্মাহ সত্যিকারভাবে এক মুজাহিদ উম্মাহ হতে পারবে তাওহীদ শব্দের ছায়াতলে। এটারই আমরা বিশ বছর আগে একটা খোলা চিঠির মাধ্যমে আহবান করেছি এই শিরোনামে ‘ইসলামিক একশানঃ ঐক্যের আহবানকারী এবং অনৈক্যের আহবাকারিদের মধ্যে’। এই বার্তা পুনরাবৃত্ত করা হয়েছিল মুজাহিদিনদের লিডারগণের দ্বারা তাদের অডিও এবং লিখিত বার্তাগুলোর মাধ্যমে, যেগুলোর শেষটা ছিল ‘ইসলামের সহযোগিতার জন্য ডকুমেন্ট’। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যারা তাদের কথা এবং কাজকে পরিপূর্ণ করেছে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে এবং আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দেয়। والحمد هلل رب العاملين والعاقبة للمتقين وال عدوان إال ىلع الظاملين

                Originally posted by An-Nasr Team View Post
                সম্মানিত ভাই! ম্যাগাজিনের বাকী যেগুলো অনুবাদ এখনও হয় নাই চাইলে আমি করতে পারি, যদি আপনারা এই অনুবাদগুলো উপযুক্ত মনে করেন। এবং পরবর্তীতে যদি অন্য কোন অনুবাদ থাকে আমাকে জানাতে পারেন করার চেষ্টা করব। আর আপনাদের স্মরণের মাঝে দোয়ার কামনা রইল।

                Comment


                • #9
                  শুকরান আখিঁ ফিল্লাহ

                  মাসাআল্লাহ, আল্লাহ তা‘আলা মুহতারাম Khalji-The-Seventeen ভাইয়ের মেহনতকে কবুল করুন এবং ইলমে বারাকাহ দান করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    ইসলামী ছাত্রশিবির সংগঠনটা কেমন কেউ দয়া করে জানান। এই সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকলে কোনো সমস্যা আছে কি?

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by Truth finder View Post
                      ইসলামী ছাত্রশিবির সংগঠনটা কেমন কেউ দয়া করে জানান। এই সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকলে কোনো সমস্যা আছে কি?
                      আপনি নিচের লিংকের লেখাটা পড়ুন। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
                      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                      Comment


                      • #12
                        মাশা-আল্লাহ,, উত্তরটি খুবি চমৎকার হয়েছে। আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
                        ان المتقین فی جنت ونعیم
                        سورة الطور

                        Comment


                        • #13
                          বাংলাদেশ সংবিধানের উপর একটি বই লিখার অনুরোধ। যাতে করে উম্মাহের সামনে কুফরের সরুপ তুলে ধরা যায়। আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
                          ان المتقین فی جنت ونعیم
                          سورة الطور

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by Secret Mujahid View Post
                            বাংলাদেশ সংবিধানের উপর একটি বই লিখার অনুরোধ। যাতে করে উম্মাহের সামনে কুফরের সরুপ তুলে ধরা যায়। আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
                            আপনি শাইখ তামীম আদনানী হাফিযাহুল্লাহর এই বয়ানটি শুনতে পারেন-
                            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                            Comment

                            Working...
                            X