Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদে কাশ্মীর এবং বালআম বিন বাউরার উত্তরসূরিদের বিভ্রান্তির অপপ্রয়াস- ০৭

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদে কাশ্মীর এবং বালআম বিন বাউরার উত্তরসূরিদের বিভ্রান্তির অপপ্রয়াস- ০৭

     ইলকাউন নাফস ইলাততাহলুকা

    দুর্বলতার হালতে জিহাদ করাকে শায়খ ইলকাউন নাফস ইলাততাহলুকা তথা আত্মহত্যার নামান্তর এবং হারাম বলেছেন। এ ব্যাপারে আলহামদুলিল্লাহ আমরা এতক্ষণ যথেষ্ট আলোচনা করেছি। এবার শুধু ইলকাউন নাফস ইলাততাহলুকা- এর স্বরূপটা তুলে ধরার চেষ্টা করবো, যাতে পাঠকগণ বুঝতে পারেন যে, ইয়াহুদি চরিত্রের এসব আলেম কত ধোঁকাবাজ। শরীয়তের সুস্পষ্ট বিষয়গুলোকেও এরা কিভাবে বিকৃত করে যাচ্ছে।

    ইলকাউন নাফস ইলাততাহলুকা প্রমাণ করতে তারা সূরা বাকার এ আয়াতটির অপব্যাখ্যা করে,
    {وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ}
    “তোমরা (অকাতরে) আল্লাহর রাস্তায় (অর্থ-সম্পদ) ব্যয় কর। (অর্থ-সম্পদ আঁকড়ে ধরে) নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের অতলে নিক্ষেপ করো না। আর ইহসান (সুকর্ম) কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহসিন(সুকর্মশীল)দের ভালোবাসেন।”- বাক্বারা: ১৯৫


    আল্লাহ তাআলা বলছেন,

    তোমরা যদি অর্থ-সম্পদ অর্জনের দিকে মনোনিবেশ কর, সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখ, কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদে তা ব্যয় না কর, তাহলে কাফেররা তোমাদের উপর বিজয়ী হয়ে তোমাদের ধ্বংস করে দেবে। জিহাদ ছেড়ে অর্থ-সম্পদের দিকে মনোনিবেশ করে নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদিসে এ ব্যাখ্যাই বর্ণিত আছে।


    ইমাম তিরমিযি রহ. বর্ণনা করেন-
    عن أبي عمران التجيبي قال: "غزونا من المدينة نريد القسطنطينية , وعلى أهل مصر عقبة بن عامر - رضي الله عنه - وعلى الجماعة عبد الرحمن بن خالد بن الوليد فأخرج الروم إلينا صفا عظيما منهم وألصقوا ظهورهم بحائط المدينة فخرج إليهم من المسلمين مثلهم أو أكثر , فحمل رجل من المسلمين على صف الروم حتى دخل فيهم , فصاح الناس وقالوا: مه , مه؟ , لا إله إلا الله , يلقي بيديه إلى التهلكة فقام أبو أيوب الأنصاري - رضي الله عنه - فقال: يا أيها الناس , إنكم تتأولون هذه الآية هذا التأويل , وإنما أنزلت هذه الآية فينا معشر الأنصار , لما أعز الله الإسلام وكثر ناصروه , قال بعضنا لبعض - سرا دون رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: إن أموالنا قد ضاعت , وإن الله قد أعز الإسلام , وكثر ناصروه , فلو أقمنا في أموالنا , فأصلحنا ما ضاع منها , فأنزل الله على نبيه - صلى الله عليه وسلم - يرد علينا ما قلنا: {وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة} فكانت التهلكة أن نقيم في أموالنا ونصلحها , وندع الجهاد. قال أبو عمران: فلم يزل أبو أيوب شاخصا يجاهد في سبيل الله حتى دفن بالقسطنطينية" [جامع الترمذي: 2972]

    “আবু ইমরান আত-তুজিবি রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কুসতুনতুনিয়ার জিহাদের উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে বের হলাম। তখন মিশরের গভর্নর ছিলেন হযরত উকবা ইবনু আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু। আমাদের জামাতের আমির ছিলেন আব্দুর রহমান ইবনু খালেদ বিন ওয়ালিদ রহ.। রোমবাসী আমাদের বিরুদ্ধে তাদের বিশাল এক বাহিনী পাঠাল। তারা নগরপ্রাচীরকে পশ্চাতে রেখে যুদ্ধের সারি সাজালো। তাদের মোকাবেলায় মুসলমানদের থেকে তেমনই কিংবা তার চেয়েও বড় এক বাহিনী বের হল। মুসলমানদের এক ব্যক্তি রোমানদের বিশাল সারিতে একাই হামলা করে বসল এবং তাদের সারির একেবারে ভেতরে প্রবেশ করে গেল (যার ফলে তার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল)। তখন লোকজন চিৎকার করে বলতে লাগলো- ‘(কি কর?) থাম! থাম! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! এ ব্যক্তি নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করছে।’ তখন আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে গেলেন। বললেন, ‘ওহে লোক সকল! তোমরা এ আয়াতের এই ব্যাখ্যা করছো? (তোমাদের ব্যাখ্যা সঠিক নয়।) এ আয়াত তো আমরা আনসারদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যখন ইসলামকে শক্তিশালী করলেন, তার সাহায্যকারীও অনেক হয়ে গেল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অগোচরে আমাদের একে অপরকে বললো- আমাদের ধন-সম্পদ তো নষ্ট হয়ে গেল। এদিকে আল্লাহ তাআলা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন। তার সাহায্যকারীও তৈয়ার হয়েছে অনেক। আমরা যদি (কিছু দিন জিহাদ বন্ধ রেখে) আমাদের ধন-সম্পদের কাছে অবস্থান করে সেগুলোর পরিচর্যা করতাম (তাহলে ভাল হতো না?)! তখন আমাদের এই মতামতকে প্রত্যাখান করে আল্লাহ তাআলা তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ আয়াত নাযিল করলেন-
    {وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة}
    “তোমরা (অকাতরে) আল্লাহর রাস্তায় (অর্থ-সম্পদ) ব্যয় কর। (অর্থ-সম্পদ আঁকড়ে ধরে) নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের অতলে নিক্ষেপ করো না।”

    অতএব, ধ্বংসে নিক্ষেপ করার অর্থ- জিহাদ ছেড়ে আমাদের ধন-সম্পদের পরিচর্যায় লিপ্ত হওয়া।’

    আবু ইমরান রহ. বলেন, এরপর আবু আইয়ূব আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু জিহাদ করতে থাকেন। অবশেষে যখন শহীদ হলেন, কুসতুনতুনিয়ায় তাকে দাফন করা হয়।”- জামে তিরমিযি: হাদিস নং ২৯৭২


    পাঠক দেখুন! আয়াতের প্রকৃত ব্যাখ্যা কি আর দরবারিরা কি ব্যাখ্যা করছে!!


    ***


    খোলাসা
    - ইসলামের শুরু যামানায় শত্রু সংখ্যা দশগুণ হলেও মোকাবেলা করা ফরয ছিল।

    - দুর্বল হিম্মতের মুসলমানদের প্রতি লক্ষ রেখে আল্লাহ তাআলা এ সীমা কমিয়ে দ্বিগুণে নিয়ে এসেছেন। শত্রু সংখ্যা দ্বিগুণ হলে মোকাবেলা করতে হবে। এর বেশি হলে ফরয নয়।

    - ফরয না হলেও মুস্তাহাব এবং আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়।

    - উপরোক্ত আয়াত ইকদামি জিহাদের বেলায় প্রযোজ্য। দিফায়ী জিহাদের বেলায় শত্রু সংখ্যা যত বেশিই হোক, সামর্থ্যানুযায়ী মোকাবেলা করতে হবে। যেমনটা উহুদ ও খন্দকে আমরা দেখেছি।

    - নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও মোকাবেলা করা এবং জীবন দিয়ে দেয়া জায়েয বরং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রসংশনীয়। যেমনটা আসিম ইবনু সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু ও তার সঙ্গী সাহাবাগণ করেছেন।

    - শত্রুর ভয়ে জিহাদ পরিত্যাগ করা মুনাফিকি।

    - নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও কিতাল করা ও জীবন দিয়ে দেয়া ‘ইলকাউন নাফস ইলাততাহলুকা’ নয়। ‘ইলকাউন নাফস ইলাততাহলুকা’ হল জিহাদ ও জিহাদে সম্পদ ব্যয় করা পরিত্যাগ করা।


    ***


    কাশ্মিরিদের উপর জিহাদ ফরযে আইন
    উপরোক্ত আলোচনার পর স্পষ্ট, বর্তমান কাশ্মিরের পরিস্থিতি খন্দক যুদ্ধের মতো। মুশরিকরা চতুর্দিক থেকে তাদেরকে বেষ্টন করে ফেলেছে। এমতাবস্থায় তাদের উপর প্রতিরোধ ফরযে আইন। যে যেভাবে পারে প্রতিরোধ করবে। প্রতিরোধ করতে গিয়ে যারা নিহত হবে তারা শহীদ বলে গণ্য হবে- যদি জাতীয়তাবাদি চেতনা না থাকে। যারা সামর্থ্যানুযায়ী প্রতিরোধ না করবে, তারা মদীনার মুনাফিকদের মতোই তিরস্কারের যোগ্য এবং ফরযে আইন তরকের গুনাহয় লিপ্ত। আর বহির্বিশ্বের মুসলমানদের উচিৎ সামর্থ্যানুযায়ী সহায়তা করা। এ ব্যাপারে শায়খের বিভ্রান্তির খণ্ডনে আমরা সামনে ইনশাআল্লাহ আলোচনা করবো।

  • #2
    বিশ্ব এখন একটি গ্রামের মত চাইলেই সাহায্য করা যায়।
    ان المتقین فی جنت ونعیم
    سورة الطور

    Comment


    • #3
      আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তিনি আমাদের সামনে দরবারী আলেমদের পরিচয় স্পষ্ট করে দি েচ্ছন
      মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

      Comment


      • #4
        আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ
        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা ভাই কে আরো এলমে বারাকা দান করুক। আমিন

          Comment


          • #6
            আল্লা তালা আরো তৌফিক দান করুন

            Comment

            Working...
            X