Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৭ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৭ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    দালাল হাসিনার ভারতকে ফেনী নদীর পানি চুক্তিতে বেড়েছে উৎকন্ঠা, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র


    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান ভারত সফরে তিস্তা নদীর জল ভাগাভাগির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনও অগ্রগতি নেই। তিস্তা নদীর জল রয়ে গেছে অধরাই। তবুও বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি দিতে রাজি হয়েছে ভারতীয় দালাল শেখ হাসিনা।

    গত শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী। ইউএনবির খবরে বলা হয়, স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করে ত্রিপুরায় নিতে পারবে ভারত।

    এই পানি তারা ত্রিপুরা সাব্রুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। ফেনী নদী,অভিন্ন নয়-শুধুই বাংলাদেশের সম্পদ। এর উৎপত্তি, প্রবাহ এবং ভৌগলিক অবস্থান নিশ্চিত করে ফেনী নদী কোনভাবেই আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহের সীমা রেখায় প্রবাহিত নয়। দেশি-বিদেশি যারাই ফেনী নদীকে অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদী প্রমাণের চেষ্টা করছেন বহু বছর ধরে,তারা কখনই মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে এর পক্ষে যুক্তি দেখাতে পারেননি। লেখালেখি বা বক্তব্য-বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ তাদের অপচেষ্টা। সেখানেও তারা কোনভাবেই দু’দেশের অমিমাংসিত ভূমি নিয়ে কথা বলেন না। খাগড়াছড়ির ১৭শ একর অমিমাংসিত বাংলাদেশের যে ভূমির উপর দিয়ে এ নদী প্রবাহিত,তা ভারতের বলেই চালিয়ে দিতে চেষ্টা করেন অনেকে। শুধু তাই নয়,পার্শ্ববর্তী কথিত বন্ধু দেশ ভারতও নিজেদের উত্তর-পূর্ব অংশের বেশ কটি রাজ্যের পানির অভাব মেটাতে দীর্ঘ বছর ধরে নানা কৌশলে ফেনী নদীকে আন্তর্জাতিক নদী প্রমাণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। উৎপত্তি এবং পথচলা: এক পাশে পার্বত্য রামগড় ও চট্টগ্রামের মিরসরাই, আরেক পাশে ফেনীর ছাগলনাইয়া। মাঝে কল কল ধ্বনিতে ধেয়ে চলছে ছাগলনাইয়ার গর্বের সন্তান, ফেনী নদী। খাগড়াছড়ি’র পার্বত্য মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ির মধ্যবর্তী “ভগবান” টিলা থেকে ছড়া নেমে আসে ভাটির দিকে। আর আসালং-তাইন্দং দ্বীপ থেকে রূপ নেয় ফেনী নদী নামে। ভগবানটিলার পর আসালং তাইন্দং এসে প্রাকৃতিকভাবে প্রবাহিত ছড়াকে কেটে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়েছে। কোথাও কোথাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আমলীঘাট সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের লুসাই পাহাড় থেকে ছড়া নেমে এসে, ইজেরা গ্রামের সীমান্ত ছুঁয়ে বা ঘেঁষে ফেনী নদী নামে ভাটির দিকে ধেয়ে গেছে। প্রকৃত অর্থে এই তথ্যটি সর্ম্পূণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ ইজেরা গ্রামের সাথে আসালং-তাইন্দং এ বাংলাদেশের প্রায় ১৭শ একর জায়গার সম্পর্ক রয়েছে। যা ভারত গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে। আসালং তাইন্দং থেকে নেমে আসা ছড়া আমলীঘাটের এখানটাতেই ছাগলনাইয়া ছুয়ে ফেনী নদী নামে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলেছে। ফেনী নদী নিয়ে বিতর্কের শুরু : দেশ বিভাগের আগে ১৯৩৪ সালে ভারত, ফেনী নদীর পানি নেয়ার দাবি ওঠায় বলে কেউ কেউ মন্তব্য করলেও মূলত: ১৯৫৮ থেকে ১৯৬০ সাল পযর্ন্ত নানা কৌশলে “নো ম্যানস ল্যান্ড” ও “ট্রান্সবাউন্ডারির” অজুহাতে আর্ন্তজাতিক নদী প্রবাহের অংশ দেখানোর চেষ্টা করে তারা। ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারে ক্ষয়ক্ষতি: এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পানি প্রত্যাহার করে নেয়া হলে শুষ্ক মৌসুমে নদী তীরবর্তী চট্টগ্রামের মিরসরাই,খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা, ফেনীর ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, সোনাগাজী, মুহুরী সেচ প্রকল্প, ফুলগাজী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দক্ষিণাংশ এবং নোয়াখালী-লক্ষীপুরের কিছু অংশের বিভিন্ন সেচ প্রকল্পে পানির জোগান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এতে করে লাখ লাখ হেক্টর জমি চাষাবাদের অনাবাদি হয়ে পড়বে। অকার্যকর হয়ে পড়বে ১৯৮৪ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের হাত ধরে তৎকালীন ১৫৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প “মুহুরী”। যার আওতায় এ অঞ্চলের প্রায় ১৪ থেকে ১৫টি উপজেলার ৮/৯ লাখ হেক্টর জমিতে লোনামুক্ত পানির সরবরাহ করা হয়। যার মাধ্যমে শুধুমাত্র ফেনীর ৬টি উপজেলায় বছরে অতিরিক্ত প্রায় ৮৬ হাজার মেট্টিকটন ফসল উৎপাদন হয়। এ প্রকল্পের আওতায় যেখানে ফেনী, মুহুরী ও কালিদাস পাহালিয়া- এ তিনটি নদীর পানি দিয়ে ৮/৯ লাখ হেক্টর জমির সেচকাজ করার কথা, সেখানে এখনই শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে ২৩ হাজার হেক্টর জমিতেও সেচ দেয়া সম্ভব হয় না। মুহুরী সেচ প্রকল্পের প্রায় ৮০ ভাগ পানির মূল উৎস “ফেনী নদী”। ফেনী থেকে ২৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-ফেনী জেলার সীমানায় মুহুরী সেচ প্রকল্পটির অবস্থান। এখানে গড়ে ওঠা দিগন্ত বিস্তৃত চিংড়ি ঘেরগুলো ধংস হবে। মুহুরী, সিলোনিয়া, পিলাকসহ প্রায় শতাধিক ছোট-বড় নদী, খাল ও ছরায় পানি শূন্যতা দেখা দেবে। এক দশক আগ থেকেই ছাগলনাইয়া উপজেলার যশপুর খাল, ছাগলনাইয়া ছড়া, ফুলছড়ি খাল, হিছাছড়া,মন্দিয়া খাল,জংগলমিয়া খাল,পান্নাঘাট খালসহ অসংখ্য খালের তলা শুকনো মওসুমে পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে যায়। এছাড়া মুহুরী প্রকল্পের নয়নাভিরাম পর্যটন সম্ভাবনা হারিয়ে যাবে নিমিষেই। হুমিকর মুখে পড়বে কয়েক লক্ষ হেক্টর জমির গাছপালা। ফেনী নদী, মুহুরী ও কালিদাশ পাহাড়িয়া নদীকে ঘিরে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মৎস্য খামার বন্ধ হয়ে যাবে। যা থেকে উৎপাদিত মাছ দিয়ে পুরো চট্টগ্রামের ৭০ ভাগ মৎস্য চাহিদা পুরন করা যায়। বছরে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার মৎস্য উৎপাদন হয় এ প্রকল্পের পানি দিয়ে। নদীর তীরবর্তী ২০-২২ হাজার জেলে পরিবারের জীবন-জীবিকা অন্ধকারের মুখে পড়বে। বিলিন হয়ে যাবে বিরল প্রজাতির মাছ ও পশু-পাখি। সামুদ্রিক লবনাক্ততা বৃদ্ধি পেয়ে ধংস হবে, সবুজ বনায়ন। দেখা দেবে পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্যহীনতা। বেকার হয়ে যাবে লক্ষাধিক কর্মজীবী মানুষ। সব কিছু হারিয়ে ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে পথে বসবে প্রায় ২০ লাখ পরিবার। সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধকোটিরও বেশী মানুষ। ফেনী নদীর বালু মহাল ইজারার মাধ্যমে প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। ভারতের সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় এ নদীতে পানি সঙ্কটের কারণে বালি উত্তোলন প্রক্রিয়াও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। হুমকির মুখে পড়বে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার হাজার হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। ফেনীর মানুষের অনুভূতি :

    দলমত নির্বিশেষে ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও সোনাগজীসহ ফেনীর মানুষ ফুঁসে উঠছে। ফেনী নদীর পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও ফেনীর ছাগলনাইয়ার মানুষের মধ্যে বেড়েছে উৎকন্ঠা। পানি আগ্রাসনে ফেনী নদী শুকিয়ে যাওয়ার এবং মুহুরী সেচ প্রকল্প অকার্যকর হওয়ার আতঙ্কে রয়েছে নদীর তীরবর্তী ছাগলনাইয়ার জনগণ। ফেনী নদীর পানি রক্ষা আন্দোলনে সর্বশেষ ২০১২ সালের ৫ মার্চ লংমার্চ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি, মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তাতেও বরফ গলেনি ভারতের তাই ছাগলনাইয়াসহ ফেনীর মানুষের বক্তব্য একটাই, জীবন দিয়ালামু, হেনী নদীর হানি ভারতেরে দিতাম ন’।

    সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব
    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/06/27656/



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    জ্বালানি সঙ্কটের পরও, ভারতকে তরল গ্যাস দিবে হিন্দু ঘেষা আ’লীগ সরকার



    বাংলাদেশ এই প্রথমবারের মতো তাদের প্রাকৃতিক গ্যাস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রপ্তানি করবে বলে গত শনিবার দিল্লিতে দুই দেশের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।
    হিন্দু ঘেষা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের তৃতীয় দিনে শনিবার আরও জানানো হয়েছে, ফেনী নদীর পানি নিয়ে ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে পানীয় জলও সরবরাহ করা হবে।

    তবে যে ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশে অনেকেরই নজর ছিল – যেমন তিস্তা নদীর জল ভাগাভাগি কিংবা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রশ্নে ভারতের অধিকতর সমর্থন আদায়, সেগুলোতে বিশেষ অগ্রগতির লক্ষণ চোখে পড়েনি।

    দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে ভারতের বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি-র প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়নি।
    বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই শীর্ষ পর্যায়ে যে কোনও ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকছে তিস্তা চুক্তি বা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মতো বিষয়।
    শনিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বৈঠকে সে সব ইস্যুতে কোনও নাটকীয় মোড় আসেনি – তবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশ ভারতে তাদের প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করতে সম্মত হয়েছে।
    এলপিজি রপ্তানি জন্য একটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেছে দুই প্রধানমন্ত্রী।
    এই প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে বুলেট ট্রাকে চাপিয়ে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে আসা হবে ত্রিপুরার বিশালগড় বটলিং প্ল্যান্টে, তারপর তা সরবরাহ করা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে
    তাতে এলপিজি সিলিন্ডার অনেক কম পরিবহন-খরচে আর কম সময়ে পৌঁছে দেয়া যাবে ঐ সব দুর্গম এলাকায়।
    ভারতে গ্যাস রপ্তানি কতটা সমীচিন হবে, তা নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্ক দীর্ঘদিনের – কিন্তু শনিবার দেখা গেল হিন্দু ঘেষা শেখ হাসিনা সরকার তা নির্দিদ্বায় অনুমতি দিয়ে দিল।
    জলের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতেও বাংলাদেশের দালাল শাসক একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে – ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে পানীয় জল জোগাতে ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক জল সরবরাহ করাতে রাজি হয়েছে।
    অথচ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পানি প্রত্যাহার করে নেয়া হলে শুষ্ক মৌসুমে নদী তীরবর্তী চট্টগ্রামের মিরসরাই,খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা, ফেনীর ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, সোনাগাজী, মুহুরী সেচ প্রকল্প, ফুলগাজী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দক্ষিণাংশ এবং নোয়াখালী-লক্ষীপুরের কিছু অংশের বিভিন্ন সেচ প্রকল্পে পানির জোগান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এতে করে লাখ লাখ হেক্টর জমি চাষাবাদের অনাবাদি হয়ে পড়বে।
    ফেনী-সহ সাতটি অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য একটি কাঠামো প্রস্তুত করতেও যৌথ নদী কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে দুই নেতা – যদিও এই সাতটির মধ্যে তিস্তা সেই।
    প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছে, “শেখ হাসিনার সঙ্গে আজকের এই এলপিজি-আমদানিসহ এই নিয়ে গত এক বছরে আমি অন্তত ডজনখানেক প্রকল্পের উদ্বোধন করলাম।”
    “যার সবগুলোরই লক্ষ্য এক – আমাদের নাগরিকদের জীবনের মানে উন্নতি ঘটানো। আর এটাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলমন্ত্র।”

    যে সাতটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি দিল্লিতে স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে প্রথমটিই ছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা পদ্ধতি ঠিক কী হবে, তা নিয়ে।

    চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ভারত কীভাবে ব্যবহার করবে, তা নির্ধারিত হলেও বাংলাদেশের জন্য ব্যবহারযোগ্য ভারতের কোনও বন্দর সেই তালিকায় ছিল না।

    যৌথ বিবৃতিতে ছিল না ভারতের বিতর্কিত এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর প্রসঙ্গও।
    এনআরসি-কে ভারত একদিকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করে আসছে, অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপি নেতারা অনেকেই হুমকি দিচ্ছে এনআরসি-বাতিলদের বাংলাদেশে ডিপোর্ট করা হবে।
    এই পটভূমিতে বাংলাদেশ চেয়েছিল এনআরসি নিয়ে তাদের উদ্বেগের কিছু নেই, এই আশ্বাসটা ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসুক।
    কিন্তু দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে অন্তত তার কোনও প্রতিফলন ঘটেনি।
    সূত্র: বিবিসি বাংলা
    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/06/27650/




    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় পানি বেড়ে মধুমতি-নবগঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন




      ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় নড়াইলের মধুমতি-নবগঙ্গা নদীতে মাত্রাতিরিক্ত পানি বেড়ে গেছে। নিচু এলাকা যেমন প্লাবিত হচ্ছে, তেমনি মধুমতি-নবগঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

      সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভাঙনের কবলে পড়ে কয়েক বছরে পুরোনো মধুমতি নদীর ঘাঘা, মল্লিকপুর, শিয়েরবর, মাকড়াইল নবগঙ্গা নদীর করগাতি, ছোট কালিয়া, শুক্তগ্রামসহ ১৫টি পয়েন্টে হাজারও বসতঘর জমিসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে। ফারাক্কার প্রভাবে নবগঙ্গা নদীর শুক্তগ্রাম-হাচলা আর মধুমতি নদীর তেতুলিয়া এলাকাসহ কয়েকটি এলাকা নতুন করে ভাঙতে শুরু করেছে।

      গত ৪-৫ দিনে শুক্রগ্রাম ও বাজার এলাকায় নবগঙ্গা নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। সেই সাথে হঠাৎ ভাঙনে শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘উদাসীনতায়’ গৃহহীন হয়েছে কালিয়া উপজেলার কয়েকশ বাসিন্দা। এখনও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
      সূত্র জানায়, গত বছরে নবগঙ্গার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়েছে শুক্রগ্রাম এলাকার পালপাড়া, আশ্রয়ন প্রকল্পসহ কয়েক হাজার একর জমি। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে প্রায় শতাধিক বাড়ি-ঘর গাছপালাসহ ফসলি জমি। ভাঙন আতঙ্কে আশপাশের এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি, গাছ-পালা সরাতে শুরু করেছে।
      শুক্রগ্রামের প্রবীণ ইলিয়াস আলী বলেন, ‘গত ৩৫ বছরে নবগঙ্গা নদীতে এমন পানি দেখিনি। আমাদের বাড়িটি এক রাতেই নদীর মধ্যে চলে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এখন যে বালির বস্তা ফেলছে তা নদীতে যাচ্ছে, ভাঙনে কোনো কাজে আসছে না।’
      স্থানীয়দের অভিযোগ, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নবগঙ্গার বিভিন্ন অংশে ভাঙনের আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয়দের কোনো আবেদনে সাড়া দেয়নি জনপ্রতিনিধি কিম্বা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ভাঙনের মধ্যে নদী থেকে বালি তুলে তা ভরে জিও ব্যাগ ফেলায় ব্যস্ত থাকলেও তা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের কবলে পড়ে বাস্তুহারা মানুষের শেষ সম্বল বাড়ি সরানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও প্রশাসনের লোকেরা তাদের খবরও নিচ্ছেন না, ঠিকমতো খাবারও জুটছে না। নবগঙ্গার ভাঙনে গ্রামটির বহু পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার অসহায় পরিবারগুলো বাজারে, নদীর পাড়ে আকাশের নিচে, রাস্তার পাশে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ভাঙা বাড়ির চাল, আসবাবপত্র নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। মাটির ভিটার ওপরেই আশ্রয় নিয়েছে কয়েকটি পরিবার।
      ক্ষতিগ্রস্ত জুলমত শেখ বলেন, ‘গত ৫ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি, গ্রামের লোকেরা কিছু খাবার দিলে তাই খাচ্ছি, আমাদের আর যাবার কোনো জায়গা নেই। কোথায় যাব, কী খাব বুঝে উঠতে পারছি না।’
      চরপাড়ার ষাটোর্ধ্ব তোবারেক শেখ বলেন, তিনবার নদী ভাঙনে বাড়ি-ঘরসহ ৩৫ একর ফসলি জমি নদীতে গেছে। সর্বশেষ ২ একর ৫৬ শতক জমি ছিল বসতবাড়ি। ভাঙতে ভাঙতে এখন মাত্র ১৫ শতক জমি আছে, এখন আমরা নিঃস্ব।
      গত বর্ষা মৌসুম থেকে তীব্র ভাঙনে নবগঙ্গা নদী গ্রাস করেছে শুক্রগ্রামের প্রায় দেড় শ বসতবাড়ি। এবার মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় তিনশ বছরের পুরনো শুক্রগ্রাম বাজার। যেকোনো মুহূর্তে নদীপাড়ের পাকারাস্তাটি ভেঙে গেলে সরকারি স্থাপনাসহ মসজিদ, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
      আর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কাজ না করে ভাঙনের মধ্যে ফেলা জিও ব্যাগ কোনো কাজে আসছে না। স্থানীয় ঠিকাদাররা কাজ করতে আগ্রহী না হওয়ায় সময়মতো কাজ শুরু হয়নি বলে জানায় পাউবো কমকর্তারা ।

      তবে ঠিকাদারদের অভিযোগ, জরুরি (ইমার্জেন্সি ওয়ার্ক) কাজের ক্ষেত্রে ও পাউবো কমকর্তারা ১০ ভাগ পিসি (ঘুস) নেয় বলেই ঠিকাদাররা কাজ করতে চান না।

      সূত্র: ইউএনবি
      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/06/27647/

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘ কথিত সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ইসকন’ হিন্দু দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, পূজা মণ্ডপে ১৪৪ ধারা



        সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ইসকনের দ্বন্দ্বে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দির এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ আদেশ দেয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলা ব্রত কর্মকার।

        পুলিশ জানায়, সম্প্রতি দুর্গোৎসব উদযাপনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ইসকন হিন্দু সন্ত্রাসী দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে একজন নিহত হয়।

        প্রতি বছর দুর্গোৎসবের সময় দু’পক্ষ থেকেই সেখানে পূজা উদযাপন করতে আগ্রহী। এছাড়া শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরের জমির দখল নিয়ে হিন্দুধর্মের সনাতন ও ইসকন অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছে। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রশিক রায় জিউ মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে অনুসারীদের সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ফুলবাবু নামে একজন সনাতন ধর্ম অনুসারী নিহত হয়।
        এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলা ব্রত কর্মকার জানায়, ওই মন্দিরের জমি নিয়ে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ইসকন ভক্তদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
        জানা গেছে, প্রতি বছরই মুশরিকদের দুর্গোৎসবসহ অন্যান্য উৎসব উদযাপনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ইসকন হিন্দু সন্ত্রাসী দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব হয়। যার দোষ পরবর্তীতে মুসলমানদের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চলে।
        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/06/27627/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের মেহনতকে কবুল করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            কবে যে এদের থুথি টেনে৷ ধরি!!!
            ان المتقین فی جنت ونعیم
            سورة الطور

            Comment

            Working...
            X