Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১০ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৯ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১০ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৯ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    হিন্দু সন্ত্রাসী অমিত সাহার কক্ষই হলো সন্ত্রাসী বুয়েট ছাত্রলীগের ‘টর্চার সেল’




    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।

    এ কক্ষে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র হিন্দু সন্ত্রাসী অমিত সাহা, উপদফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মুজতাবা রাফিদ, সমাজসেবা উপসম্পাদক ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইফতি মোশাররফ ওরফে সকাল এবং প্রত্যয় মুবিন।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এটি ছিল হল শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের ঘোষিত টর্চার সেল।

    একটু ব্যতিক্রম হলে শেখানোর নাম করে জুনিয়রদের র*্যাগ দেওয়া হতো।

    জানা গেছে, শুধু ২০১১-ই নয়, এছাড়াও শেরে বাংলা হলের ২০০৫ নম্বর কক্ষটিও ছিল সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের টর্চার সেল। এই দুই কক্ষে একাধিক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
    বিডি প্রতিদিন অনুযায়ী, একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের মিছিল বা অনুষ্ঠানে অংশ না নিলে কিংবা কথিত রাজনৈতিক বড় ভাইদের কথা না শুনলে এই দুই রুমে এনে তাদের নির্যাতন করা হতো।

    এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, চড়-থাপ্পড়ের পাশাপাশি লোহার রড় দিয়ে পেটানো হত তাদের। এসব নির্যাতনের সবই হতো বিশ্ববিদ্যালয় আবরার হত্যার এজহারভুক্ত আসামি ও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের নির্দেশে। এসময় উপস্থিত থাকত ২০০৫ নম্বর রুমের আবাসিক সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা।
    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/09/27833/

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছে বুয়েট সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের পদধারী নেতারা




    বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যায় ১৯ জনকে আসামি করা হলেও বাদ পড়ে গেছে অন্যতম নির্যাতনকারী সন্ত্রাসী হিন্দু অমিত সাহার নাম। তার কক্ষে নিয়েই নির্যাতন চালানো হয় আবরারকে। মামলার এজাহার থেকে তার নাম বাদ পড়ার বিষয়টি নিয়ে গতকাল বুয়েট ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। কেন কী কারণে বাদ গেল অমিত সাহার নাম, সে সম্পর্কে দালাল পুলিশও কিছু বলতে পারছে না, জানিয়েছে বিডি প্রতিদিন।

    চকবাজার থানা পুলিশ জানায়, আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ যাদের নাম উল্লেখ করেছেন, তারাই আসামি। তিনি ১৯ জনকে আসামি করেছেন। এ দিকে, আবরারের বাবা গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি অনেকেরই নামই জানতেন না। অমিত সাহার নামটি তিনি মামলার এজাহারে অন্তর্ভুক্তি চেয়ে আবেদন করবেন। চকবাজার থানার ওসি বলেছেন, অমিত সাহার নাম মামলার এজাহারে নেই।
    অমিত সাহা বুয়েট শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে থাকে অমিত। এ রুমে নিয়েই আবরারকে মারধর করা হয়। অমিতের সাথে এ রুমে ছাত্রলীগের আরো তিনজন থাকে। এরা হল ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-দফতর সম্পাদক মুজতাবা রাফিদ, সমাজসেবাবিষয়ক উপ-সম্পাদক ইফতি মোশারফ। শুরু থেকেই সংবাদমাধ্যমগুলোতে অমিত সাহার নাম এলেও মামলার এজাহার থেকে তার নাম বাদ পড়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    আসামিদের পরিচয় : আবরার হত্যায় যারা আসামি হয়েছে তারা সবাই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদকও রয়েছে আসামিদের তালিকায়। মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান রাসেলকে (২৪)। সে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক। তার বাবার নাম রুহুল আমিন, গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সালথা থানাধীন সূর্যদিয়া রাংগারদিয়া গ্রামে। শেরেবাংলা হলের ৩০১২ নম্বর রুমের ছাত্র সে। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে সন্ত্রাসী মুহতাসিম ফুয়াদকে (২৩)। সে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সহ-সভাপতি। তার বাবার নাম আবু তাহের। গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়ার দৌলতপুর লাঙ্গলমোড়ায়। একই হলের ২০১০ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী সে।

    তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিন্দু সন্ত্রাসী অনিক সরকারকে (২২)। তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন। গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর থানাধীন বড়ইকুড়িতে। একই হলের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এ হিন্দু অনিক সরকারই মারধরে মূল নেতৃত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। চার নম্বর আসামি ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (২২)। তার বাবার নাম মাকসুদ আলী। গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবা থানাধীন চৌমহানীর কাপাসিয়ায়।
    একই হলের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। পাঁচ নম্বর আসামি ইফতি মোশারফ সকাল (২১)। ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার উপ-সমাজসেবা সম্পাদক। বাবার নাম ফকির মোশারফ হোসেন। স্থায়ী ঠিকানা রাজবাড়ী সদরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৯৫ নম্বর বাসা। একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ও বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচ। ছয় নম্বর আসামি মনিরুজ্জামান মনির (২১)। ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সাহিত্য সম্পাদক। বাবার নাম মাহতাব আলী। গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানাধীন ভাঙ্গারীপাড়ায়। একই হলের পানিসম্পদ বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সাত নম্বর আসামি ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার ক্রীড়া সম্পাদক সন্ত্রাসী মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (২২)। বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর থানাধীন শঠিবাড়ী এলাকায়। একই হলের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আট নম্বর আসামি মাজেদুল ইসলাম (২১) শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড ম্যাটার্লজিক্যাল বিভাগের ছাত্র (১৭তম ব্যাচ)।
    নয় নম্বর আসামি সন্ত্রাসী মোজাহিদুল ওরফে মোজাহিদুর রহমান (২১)। বুয়েট শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সদস্য। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী ও ইলেকট্রনিকস্ ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচ। ১০ নম্বর আসামি তানভীর আহম্মেদ (২১)। সে একই হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১১ নম্বর আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহা (২০)। সে একই হলের ২১১ নম্বর কক্ষের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
    ১২ নম্বর আসামি সন্ত্রাসী জিসান (২১) একই হলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের ছাত্র ও ইলেকট্রনিকস্ ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এ মামলার ১৩ নম্বর আসামি আকাশ (২১) শেরেবাংলা হলের ১০০৮ নম্বর কক্ষের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৪ নম্বর আসামি সন্ত্রাসী শামীম বিল্লাহ (২০) একই হলের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৫ নম্বর আসামি শাদাত (২০) একই হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৬ নম্বর আসামি সন্ত্রাসী এহতেশামুল রাব্বি তানিম (২০) সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বুয়েট শাখা কমিটির সদস্য এবং একই হলের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৭ নম্বর আসামি মোর্শেদ (২০) একই হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৮ নম্বর আসামি মোয়াজ (২০) একই হলের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৯ নম্বর আসামি মুনতাসির আল জেমি (২০) ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সদস্য। সে একই হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/09/27826/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে খুন, নির্যাতন, নৃশংসতার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ




      সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তাদের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীর কর্মীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন ও নির্যাতনের অনেক ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার বার সংবাদ শিরোণাম হয়েছে।

      যারা এরকম ঘটনার শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ যেমন আছেন, তেমনি নিজের দলের অনেক নেতা-কর্মীও রয়েছেন।
      গণমাধ্যমে সমালোচনা-বিতর্কের ঝড় উঠলেও এসব ঘটনায় দায়ীদের খুব কম ক্ষেত্রেই বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
      সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতারা নিজেদের সকল আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে বার বার।
      সাম্প্রতিক সময়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনা যেগুলোর জন্য সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়:
      ১. ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় চোখ জখম
      গত বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকের ঘটনা।
      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এহসান রফিক নিজের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এক নেতাকে একটি ক্যালকুলেটর ধার দিয়েছিলেন।
      মাস কয়েক হয়ে গিয়েছিলো সেটি ফেরত পাননি। সেটি ফেরত চাইলে শুরুতে কথা-কাটাকাটি হয়েছিলো।
      এই ঘটনার জেরে পরে তাকে হলের একটি কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এহসান রফিকের একটি চোখের কর্নিয়া গুরুতর জখম হয়েছিলো।
      তার সেই ফুলে ওঠা চোখ আর কালশিটে পরা চেহারা সহ ছবি ছড়িয়ে পরেছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
      পরের দিকে তিনি চোখের দৃষ্টি প্রায় হারিয়ে ফেলছিলেন। চোখে অস্ত্রোপচারের দরকার হয়েছিলো।
      ২. সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড
      ২০১২ সালের ৯ই ডিসেম্বর পুরনো ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে দুপুরে খুন হন ঐ এলাকার একটি দর্জি দোকানের কর্মী বিশ্বজিৎ দাস।
      সেদিন বিএনপির-নেতৃত্বাধীন ১৮-দলের অবরোধ কর্মসূচি চলছিলো।
      ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে তাদের একটি মিছিল পৌঁছালে সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার শিকার হয় মিছিলটি।
      সেখানে ছিলেন পথচারী বিশ্বজিৎ দাস। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সশস্ত্র সদস্যরা তাকে ধারালো অস্ত্র ও রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে।
      তাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছিলো সংবাদমাধ্যমের অনেকগুলো ক্যামেরার সামনেই।
      সেসময় তাকে নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য, রক্তাক্ত শার্ট পরা বিশ্বজিতের নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টার ছবিসহ খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছিলো।
      হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ওই ঘটনার মামলার রায় দেয়। যাতে ২১ জনের মধ্যে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছিল।
      তবে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ছয় জন নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে।
      ৩. জুবায়ের হত্যাকাণ্ড: নিজের দলের কর্মীকেই হত্যা
      ওই একই বছরের শুরুর দিকের ঘটনা ছিল জুবায়ের হত্যাকাণ্ড।
      জুবায়ের আহমেদ ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। তিনি নিজেও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

      ৮ই জানুয়ারি সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের মধ্যে অন্তর্কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর দিন তিনি মারা যান। জুবায়ের আহমেদের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেসময় ব্যাপক আন্দোলন হয়েছিলো।
      শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালিত হয়েছিলো। আন্দোলনের চাপে সেসময়কার উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
      দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী ছিল।
      ৪. দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ
      চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন দিয়াজ ইরফান চৌধুরী।
      বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছিলো পেটুয়া বাহিনী পুলিশ।
      প্রথম দিকে তাঁকে হত্যা করার আলামত ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মেলেনি।
      তার বাবার করা নতুন হত্যা মামলায় তার মরদেহ পুনরায় ময়না তদন্ত করা হয়। যাতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়।
      ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার ভাড়া বাসা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
      দিয়াজের মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত হয় ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর। দুই দিন পর পুলিশ জানায়, তাঁকে হত্যা করার আলামত ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মেলেনি।
      ছেলে হত্যার বিচার না পেয়ে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মা জাহেদা আমিন চৌধুরী একাই ব্যানার পোষ্টার নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকবার।

      এবছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি।
      মামলাটি এখনো সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

      ৫. এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে আগুন

      আবারো ২০১২ সালেরই একটি ঘটনা। সিলেটে ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছিলো।
      যাতে পুড়ে গিয়েছিলো ছাত্রাবাসের ৪০টির বেশি কক্ষ। সেদিন ছাত্র শিবিরের কর্মীদের সাথে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছিলো।
      ঘটনার পাঁচ বছর পর বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিলো। যাতে বলা হয়েছে সংঘর্ষের জের ধরে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কর্মীরাই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।

      তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছিলো তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল।
      এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়। সেগুলো বিচারাধীন রয়েছে।
      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/09/27822/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দালাল হাসিনার ভারত সফর: বাংলাদেশ কি কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হল?




        ভারতের দালাল শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বেশ কিছু ইস্যু ছিল।

        এবার ভারতের সাথে যে ক’টি সমঝোতা স্বারক সাক্ষর হয়েছে তাতে হিন্দুত্ববাদী দেশ ভারত বেশ ক’টি সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশের কাছ থেকে।

        চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে ভারত। নজরদারির জন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বঙ্গোপসাগরে রেডার বসাবে দেশটি।

        অভিন্ন ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি দিতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস রপ্তানিরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

        বছর তিনেক হল বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শুল্কমুক্ত ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে ভারতের পণ্যবাহী যানবাহন।

        আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে কোলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে।

        কিন্তু ভারতের কাছে বাংলাদেশের যে প্রত্যাশা ছিল ছিল তা পূরণ হয়নি, বিবিসি বাংলাকে বলেছে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির।
        তার মতে, “আমাদের প্রত্যাশিত যে বিষয়গুলো আমরা মনে করেছিলাম, সবগুলোই বেশ জটিল। বিষয়গুলো নিয়ে হয়ত আলোচনা হয়েছে। কিন্তু যে জয়েন্ট স্টেটমেন্ট এসেছে সেখানে এর খুব একটা প্রতিফলন আমরা দেখিনি। ভারতকে যখন আমরা মানবিক কারণে ফেনি নদীর পানি ব্যবহারের সুযোগ দেই, আমরাও একই ধরনের মানবিকতা ভারতের কাছ থেকেও আশা করি। অন্তত আমাদের যে বিষয়গুলি ঝুলে আছে সেগুলোর ব্যাপারেও আরও বেশি সক্রিয় হবে সেরকম প্রত্যাশাতো আমাদের থাকে।”

        ভারত এবার যে সুবিধাগুলো নিশ্চিত করলো বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তার বিপরীত চিত্র।
        ভারতের কাছে বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের চাওয়া তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে চুক্তি নিয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি।
        রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের যে জোরালো সমর্থন বাংলাদেশ চায় সেটি মেলেনি। এমনকি ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটিই ব্যবহার করা যায়নি।
        বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে আসা ‘আশ্রয়চ্যুত’ মানুষজন।
        ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ বিবৃতিতে কোথাও বাংলাদেশের জন্য সাম্প্রতিক উদ্বেগের বিষয়, ভারতের বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি বিষয়ে সরাসরি সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখ থেকে কোন আশ্বাস আসেনি।
        এমনকি দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে এনআরসি শব্দটিই একবারও উল্লেখ হয়নি।
        রাজনীতির অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলছেন, লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতকে সবসময় শুধু দিয়েই গেছে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়।
        তিনি বলছেন, “বাংলাদেশের কূটনীতি সবসময় ভারতের কাছে নতজানু ছিল। ধরেন, বাণিজ্য ঘাটতি থেকে শুরু করে, তাদেরকে এককভাবে ট্রানজিট দিয়ে দেয়া, ফারাক্কার যে চুক্তি হয়েছে সেটাও কিন্তু সমতার ভিত্তিতে হয়নি। ভারত চাপের মুখে রেখে সব সময় সবকিছু আদায় করে নিয়েছে।”
        তিনি মনে করছেন, “বাংলাদেশও নিজের মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবার ক্ষমতাটা বাংলাদেশের নাই। কারণ বাংলাদেশ একটি বিভক্ত জাতি। কোনো জাতীয় ইস্যুতে এখানে ঐক্যমত্য নেই।”

        তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্ব এখন তুঙ্গে।

        কিন্তু তারপরও এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশ কী কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হল?
        ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রুকসানা কিবরিয়া বলছেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারতের যে অবস্থান সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিকভাবে তার স্বার্থ সংরক্ষণের সুযোগ সংকুচিত হয়ে গেছে।
        ভারতের স্বার্থ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তিনি বলছেন, বাংলাদেশও আরও সূক্ষ্ম কূটনীতির যায়গায় ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
        তার মতে, “দুই বন্ধুরই তো সুযোগ সুবিধা সমান হতে হবে। এখানে আমরা তার প্রতিফলন দেখিনি। যা আমাদের জন্য খুবই একটা চিন্তার বিষয়। কূটনীতিক দিক দিয়ে আরও সূক্ষ্মভাবে এটা করা যেত। এমনভাবে সমঝোতাগুলো করা হয়েছে তাতে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই। এনিয়ে প্রশ্ন উঠবে। জনগণ এখন প্রশ্ন তুলবে আমাদের সরকার আমাদের জন্য কী নিয়ে আসলো।”
        সব মিলিয়ে এবার ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করার মতো সুনির্দিষ্ট কোন বার্তা পাওয়া গেছে বলে মনে হচ্ছে না।
        বরং একটি একতরফা বিষয় ঘটলো বলেই মনে হচ্ছে দালাল শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে।
        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/09/27819/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          রহস্যময় অমিত সাহা, সংশ্লিষ্টতা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে হিন্দু লবি?



          ভারতবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় মুসলিম মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যাকারী হিন্দু সন্ত্রাসী অমিত সাহা। [ছবি: সংগৃহীত]
          শহীদ আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে কয়েকদিন ধরে উত্তাল দেশ। হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গুণ্ডারা হত্যা করে আবরারকে। এই হত্যাকাণ্ডের অনেক বিবরণ এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। আবরারকে হত্যার পর মাদক দিয়ে গণপিটুনির নাটক সাজিয়ে লাশ পুলিশের হাতে উঠিয়ে দিতে চেয়েছিল আওয়ামী গুণ্ডারা। সেই সাথে প্রকাশিত হয়েছে হত্যাকাণ্ডের দিনের শেরে বাংলা হলের সিসিটিভি ফুটেজের একাংশ।
          তবে অনেক প্রশ্নের উত্তর উঠে আসলেও একটি রহস্যের জট একেবারেই খুলছে না। অমিত সাহা কোথায়? কেন তার ব্যাপারে এতো লুকোচুরি? মিলছে না এ প্রশ্নগুলোর জবাব। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এ হত্যাকাণ্ডের শুরুটা করে অমিত সাহা। আবরারের সহপাঠী শেরে বাংলা হলের আরেকজন আবাসিক ছাত্রের কাছ থেকে মেসেজে এই অমিত সাহাই জানতে চেয়েছে আবরার হলে আছে কি না? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুয়েটের বিভিন্ন ছাত্রদের সূত্রে প্রকাশিত হয়েছে এই মেসেজ আদানপ্রদানের স্ক্রিনশট। স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, অমিত সাহা প্রশ্ন করছে, ‘আবরার ফাহাদ কি হলে আসে?’ স্ক্রিনশটটি নিচে যুক্ত করা হল-


          আবরারের সহপাঠী শেরে বাংলা হলের আরেকজন আবাসিক ছাত্রের কাছ থেকে মেসেজে এই অমিত সাহাই জানতে চেয়েছে আবরার হলে আছে কি না?

          হত্যাকাণ্ডের পরদিন থেকে হত্যায় অমিত সাহার কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনের যে বর্ণনা বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই স্ক্রিনশটের মাধ্যমে আবারো তা প্রমাণিত হল। এই মেসেজের মাধ্যমে শহীদ আবরার হলে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হবার পরই তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের খুনীরা। তারপর তাঁকে জেরা করা হয় অমিত সাহার নেতৃত্বে, অমিত সাহার রুমে। চেক করা হয় তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ। তারপর শুরু হয় নির্যাতন।
          অদ্ভূত বিষয়টি এতো সবকিছুর পরও অমিত সাহার নামটি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে, এজাহারে, এবং মিডিয়াতে। এমনকি ছাত্রলীগ থেকে যেসব সদস্যকে এ ঘটনায় যুক্ত থাকার কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেখানেও নেই এই রহস্যময় অমিত সাহার নাম। ওদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সাংবাদিক তাদের ব্যক্তিগত প্রোফাইলে জানাচ্ছেন, সরকারের উপরতলা থেকে মিডিয়াতে অমিত সাহাকে নিয়ে কোন রিপোর্ট করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অমিত সাহার ব্যাপারে ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও, রহস্যজনকভাবে অল্প কিছুক্ষণের মাঝেই তা উধাও হয়ে যায়।



          অমিত সাহাকে বাঁচানোর কোন ‘চেষ্টা’ কী করা হচ্ছে? কেন তার নাম কোথাও নেই? | Abrar Buet — এই শিরোনামে ইন্ডিপেন্ডেন্ট চ্যানেলের একটি ভিডিও প্রকাশের পর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিডিওটি রহস্যজনকভাবে ডিলেট দেওয়া হয়।

          পাশাপাশি গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ৮ বুয়েট শিক্ষার্থীর সমিলিত এক বক্তব্য। এই ৮ জন প্রাথমিক পর্যায়ে আবরারের হত্যার সঙ্গে অমিত সাহার সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। নির্দোষ দাবি করেছিলেন অমিত সাহাকে। কিন্তু স্ক্রিনশটসহ হত্যাকাণ্ডে অমিত সাহার সম্পৃক্ততার বিভিন্ন প্রমাণ হাতে আসায়, তারা বিবৃতি দিয়ে পূর্বের অবস্থানের জন্য একান্ত লজ্জিত ও দুঃখিত হবার কথা জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্যের স্ক্রিনশট নিচে যুক্ত করা হল।



          অমিত সাহাকে প্রাথমিকভাবে সমর্থন করা সহপাঠীরা পরবর্তীতে ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন এবং অমিত সাহার শাস্তি দাবি করেছেন। [ছবি: সময় নিউজে প্রকাশিত সংবাদ থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট ।]


          কিন্তু এতো কিছু সত্ত্বেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে অমিত সাহা। এজাহারে দেয়া হয়নি তার নাম। ডিবি পুলিশ নাকি এখনো হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি! ঘোলাটে পরিস্থিতির মধ্যেই আবার শুরু হয়ে গেছে অমিত সাহাকে বাঁচানোর জন্য প্রচারণা। সাংবাদিক নামের বিভিন্ন লোকেরা হাজির হচ্ছে নানান অজুহাত নিয়ে। অনেক যুক্তি দিচ্ছে! প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে অমিত সাহাকে দেখা যাচ্ছে না। অথচ মোট দশ ঘন্টার ভিডিও ফুটেজের মাত্র ১৫ মিনিট বের হয়েছে। এ থেকে কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এই পুরো সময়ে অমিত সাহা কোথাও ছিল না?


          হলুদ সাংবাদিকতার এক দৃষ্টান্ত এই সংবাদকর্মী। [ছবি: উক্ত সংবাদকর্মীর ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট]
          পুলিশের পক্ষ থেকে অজুহাত দেয়া হয়েছে তদন্তে অমিত সাহার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে পরে তার নাম আসবে। অথচ কোন মামলার এজাহারে যদি কোন আসামীর নাম দেয়া না হয়, তাহলে পরবর্তী চার্জশিটে নাম দেয়া হলেও, সেই আসামীর শাস্তি হবার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়। তার বিরুদ্ধে মামলা দুর্বল হয়ে যায়। অর্থাৎ অমিত সাহার নাম এজাহারে না থাকায় এরই মধ্যে তার শাস্তির সম্ভাবনা কমে গেছে। অথচ এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করলেই একদল ভারতীয় দালাল ছুটে আসছে সাম্প্রদায়িক ট্যাগ নিয়ে। যেন হিন্দু অমিত সাহার অপরাধী হবার ব্যাপারে প্রশ্ন রাখাটাই এক অপরাধ!
          সবচেয়ে বড় কথা হল, অমিত সাহার সংশ্লিষ্টতার কথা হত্যাকারীরা স্বীকার করেছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা স্বীকার করেছে এবং সে যে আবরারকে হলে খুঁজছিল তার স্ক্রিনশটও প্রকাশিত হয়েছে। তার সহপাঠীদের মধ্যে যারা প্রথমে তাকে সমর্থন করেছিল, তারাই এখন বলছে সে দোষী। তবুও কেন এখনো অমিত সাহাকে নিয়ে লুকোচুরি? কোন মহলের পক্ষ থেকে চলছে আবরার হত্যাকাণ্ডের সূচনাকারী অমিত সাহাকে বাঁচানোর চক্রান্ত? কেন তার ব্যাপারে মিডিয়া সাইলেন্স?
          অনেকে অভিযোগ করছেন অমিত সাহা ইসকন সদস্য। বিভিন্ন প্রতিবেদনের ফুটেজে তার রুমে এবং তার পড়ার টেবিলে ইসকন সদস্যদের ব্যবহৃত বিভিন্ন ছবিও দেখা যাচ্ছে। আবার ছাত্রলীগের কথিত তদন্ত কমিটির সদস্যরাই মিডিয়াতে স্বীকার করেছে যে পূজা দেখে আসার পর আবরারকে হত্যা করা হয়। পুরো দেশের মানুষ যখন আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক বিন্দুতে, তখন এতো প্রমাণ থাকার পরও কোন শক্তির জোরে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে অমিত সাহার অপরাধ?


          আবরার ফাহাদের খুনী হিন্দু সন্ত্রাসী অমিত সাহার পড়ার টেবিলে ইসকনের ব্যবহৃত ছবি।

          বর্তমান বাস্তবতায় কেউ যদি এই উপসংহার টানতে বাধ্য হয় যে, আবরার ফাহাদকে হত্যাকারী অমিত সাহাকে তার হিন্দু পরিচয়ের কারণেই বাঁচিয়ে দেয়া হচ্ছে, তবে কি সেটা সাম্প্রদায়িকতা হবে? ইসকন কানেকশনের কারণেই ভারতীয় দূতাবাসের নির্দেশে আড়াল করে রাখা হচ্ছে অমিত সাহাকে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর কি বাংলার মুসলিমরা আদৌ পাবে?

          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/09/27806/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ভারতের উত্তর প্রদেশে মালাউন পুলিশের চিরুনি অভিযান




            অবৈধ অভিবাসী শনাক্ত করতে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মালাউন পুলিশ। এদিকে, এনআরসির কারণে বাংলাদেশের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। শুধু নামেমাত্র যে আশ্বাস দিয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ কারাবন্দী নেতা পি চিদাম্বরম।
            ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্রে জানা যায়, উত্তর প্রদেশের রেলস্টেশন, দোকানে, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে তল্লাশি। অবৈধ অভিবাসীদের সন্ধানে রাজ্য পুলিশের এমন চিরুনি অভিযান।
            একজন বলেছে পুলিশ এসে আমাদের আইডি কার্ড দেখছে ঠিক আছে কি না। আমাদের পরিবারের সবার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে জানান এলাকাবাসী।
            উপরের মহলের নির্দেশেই এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানায় রাজ্যের উত্তর প্রদেশ পুলিশ কর্মকর্তা। বাইরে থেকে অনেক মানুষ এসে এখানে কাজের সন্ধান করে।
            আতঙ্ক বিরাজ করছে আসামের ১৯ লাখ মানুষের মাঝেও। আর তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
            সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এনআরসির কারণে বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয় নি।
            তাই এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী করবে তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছোড়ে চিদাম্বরম।

            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/09/27803/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসীরা কাশ্মীরিদের ধরে পাঠাচ্ছে অন্য রাজ্যের কারাগারে!




              ভারত দখলকৃত কাশ্মীর থেকে যুবকদের ধরে পাঠানো হচ্ছে অন্য রাজ্যের কারাগারে। সঙ্গে জুড়ে দেয়া হচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী তকমা।

              রয়টার্সের খবরে জানা গেছে ৫ আগস্টের পর থেকে এভাবে হাজার হাজার কাশ্মীরিকে ধরে বন্দি করা হয়েছে।
              ১৯ বছরের ওজাইর মাকবুল মালিক পেশায় নির্মাণ শ্রমিক এবং নাজির আহমেদ রঙ্গা শ্রীনগরের প্রখ্যাত এক আইনজীবী।

              দুজনকেই আটক করে ভারতীয় সেনাবহরে হামলার অভিযোগ এনে বিচ্ছিন্নতাবাদীর তকমা লাগিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

              এভাবে বিনা অপরাধে গত দুই মাস ধরে কাশ্মীরি যুবকদের আটক করে দূরের রাজ্যগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
              এদের মধ্যে ৩০০ জনকে ধরা হয়েছে জননিরাপত্তা আইনে। এ আইনে একজনকে আদালতের অনুমতি ছাড়াই দুই বছর আটক রাখার বিধান আছে।
              সরকার বলছে, আটকদের বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কারাগারে রাখা হয়েছে।
              জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার সঞ্জয় ধর বলেছে, কেবল দুই বিচারপতির বেঞ্চেই জননিরাপত্তা আটক তিন শতাধিক কাশ্মীরির মামলা আটকে আছে।
              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/09/27797/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ভারতে মালাউন শাসকদের কবলে মাত্র ৬ শতাংশ শিশুরা পর্যাপ্ত খাবার পায়!




                প্রকাশিত হল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা কপালে চোখ ওঠার জন্য যথেষ্ট।

                এই সময় ইন্ডিয়ান টাইমসের বরাতে জানা যায়, দেশের প্রথম কমপ্রিহেনসিভ ন্যাশনাল নিউট্রিশনাল সার্ভে সমীক্ষা করে জানিয়ে দিল, সারা দেশে দু’বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে মাত্র ৬.৪ শতাংশ শিশু ন্যুনতম পর্যাপ্ত খাদ্য পেয়ে থাকে। তাহলে বাকি এত বিপুল সংখ্যক শিশু?* তারা পায় না। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সবকা সাথ সবকা বিকাশ কী হল?* বিভিন্ন রাজ্যের করুণ কাহিনীর কথা উঠেছে এই সমীক্ষায়।

                রিপোর্ট জানাচ্ছে, একেক রাজ্যে এই সংখ্যা একেক রকমের। অন্ধ্রপ্রদেশে মাত্র ১.৩ শতাংশ শিশু সুষম আহার পায়। সিকিমে সংখ্যাটা একটু বেশি, প্রায় ৩৫.৯ শতাংশ। আর মহারাষ্ট্রে ২.২ শতাংশ, গুজরাট, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটক ৩.৬ শতাংশ এবং তামিলনাড়ু ৪.২ শতাংশ। ফলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গড় গুজরাটে মাত্র ৩.*৬ শতাংশ দু’বছরের কম বয়সী শিশু সুষম আহার পায়। এটা সত্যিই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। নিজের গড়েই যদি এই হাল হয়, তাহলে গোটা দেশের হাল বোঝা যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
                তবে সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড এবং অসম জাতীয় গড় পুষ্টির নিরিখে একেবারে সামনের সারিতেই রয়েছে। সিকিমের পর কেরালা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে–৩২.৬ শতাংশ। হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে এই

                জাতীয় স্বাস্থ্য সমীক্ষা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে ৩৫ শতাংশের উচ্চতা তাদের বয়সের তুলনায় কম। আবার এদের মধ্যে ১৭ শতাংশের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম। এমনকী ৩৩ শতাংশের বয়স অনুযায়ী ওজন কম। ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে ১১ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বড় বড় প্রকল্প যা প্রচার করা হয়, সেগুলি কী ভাঁওতা?* উত্তর দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকেই।

                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/09/27793/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সত্যের জয় হোক.............! মিথ্যার অমানিশা কেটে যাক..............!
                  হে আল্লাহ, আপনি উম্মাতে মুসলিমাহকে হিফাযত করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ভাইদের সকল খেদমত ও মেহনতকে কবুল করে নিন। আমীন
                    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                    Comment


                    • #11
                      আজ আমরা কত অসহায়!! আল্লাহ মুসলিমদের জাগিয়ে তুলুন, আমীন।
                      আবরারের ভাইয়ের উপরও হামলা হয়েছে, আবরারের জানাজায় এক পুলিশ কুকুর বলেছে দ্রুত জানাজা শেষ করতে! এরাই হচ্ছে ইসকনের লোক! ইসকন আর কুত্তালীগ একইসুতই গাথা।
                      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                      Comment


                      • #12
                        হে আল্লাহ উম্মাহ নিওজের শ্রমের ফলকে সাবার জন্য আম করে দেন।

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহ আলফিরদাওস টিমকে কবুল করে নিন। আপনাদের উছিলায় মুজাহিদ ও উম্মাহ নিউজগুলো সঠিকভাবে জানতে পারি । আল্লাহ আপনাদেরকে আরো বেশি বেশি উম্মাহর জন্য কাজ করার সুযোগ করে দিন।

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by ibn jiad View Post
                            আল্লাহ আলফিরদাওস টিমকে কবুল করে নিন। আপনাদের উছিলায় মুজাহিদ ও উম্মাহ নিউজগুলো সঠিকভাবে জানতে পারি । আল্লাহ আপনাদেরকে আরো বেশি বেশি উম্মাহর জন্য কাজ করার সুযোগ করে দিন।
                            আল্লাহুম্মা আমীন
                            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                            Comment

                            Working...
                            X