Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাফেররা যদি মুসলমান হয়ে যেতে চায়, তাহলে কি তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করা যাবে? দলিলসহ জানালে

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাফেররা যদি মুসলমান হয়ে যেতে চায়, তাহলে কি তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করা যাবে? দলিলসহ জানালে

    প্রশ্ন- কাফেররা যদি মুসলমান হয়ে যেতে চায়, তাহলে কি তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করা যাবে? দলিলসহ জানালে উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ?

    উত্তর:

    بسم الله الرحمن الرحيم
    কাফেররা মুসলমান হয়ে যেতে চাইলে তাদের সাথে কিতাল করা করা যাবে না। বরং জিহাদের উদ্দেশ্যই তো হলো ইসলামের প্রচার-প্রসার এবং আল্লাহর বান্দাদেরকে এর সুশীতল ছায়াতলে আনয়ন। যদি তারা দাওয়াত গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যেতে চায় তাহলে উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে গেছে; আর লড়াই করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

    فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

    “যদি তারা তাওবা করে – মুসলমান হয়ে যায় – এবং সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”- তাওবা ৫


    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    أمرت أن أقاتل الناس حتى يشهدوا أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله ويقيموا الصلاة ويؤتوا الزكاة
    “আমি ততক্ষণ পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ না তারা এই স্বাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে।”- সহীহ বুখারী ২৫


    অন্য হাদিসে এসেছে,
    عن سليمان بن بريدة عن ابيه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا امّر اميرا على جيش أو سرية ... قال: اغزوا باسم الله، في سبيل الله، قاتلوا من كفر بالله ... وإذا لقيت عدوك من المشركين فادعهم إلى ثلاث خصال (أو خلال)، فايتهن ما اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم. ثم ادعهم إلى الاسلام، فان اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم ... فان هم ابوا فسلهم الجزية، فان هم اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم، فان هم أبوا فاستعن بالله وقاتلهم.
    “হযরত সুলাইমান ইবনে বুরাইদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা - বুরাইদা রাদি. - থেকে বর্ণনা করেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কাউকে কোন জাইশ-বড় বাহিনী বা সারিয়্যা-ছোট দলের আমীর নিযুক্ত করতেন ... তখন তাকে বলে দিতেন, আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর নামে ঐসব লোকের বিরুদ্ধে কিতাল করবে, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করেছে। ... যখন তুমি তোমার দুশমন মুশরিকদের মুকাবেলায় যাবে, তখন তাদেরকে তিনটি জিনিসের আহ্বান জানাবে; এর যে কোন একটায় তারা সম্মত হলে তুমি তাদের থেকে তা গ্রহণ করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা পরিত্যাগ করবে:
    (প্রথমত) তাদেরকে মুসলমান হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাবে। যদি তারা তাতে সম্মত হয়ে যায়, তাহলে তাদের থেকে তা গ্রহণ করে নেবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিত্যাগ করবে।
    যদি তারা এতে অসম্মতি জানায় তাহলে জিযিয়ার আহ্বান জানাবে। যদি তারা তাতে সম্মত হয়ে যায়, তাহলে তাদের থেকে তা গ্রহণ করে নেবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিত্যাগ করবে।
    যদি তারা এতেও অসম্মতি জানায়, তাহলে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।”- সহীহ মুসলিম ১৭৩১


    বুরহানুদ্দিন মারগিনানি রহ. (৫৯৩ হি.) বলেন-
    وإذا دخل المسملون دار الحرب فحاصروا مدينة أو حصنا دعوهم إلى الإسلام ... فإن أجابوا كفوا عن قتالهم.اهـ
    “মুসলমানরা দারুল হারবে প্রবেশ করে যখন কোন শহর বা দূর্গ ঘেরাও করবে তখন তারা সে শহর বা দূর্গে অবস্থানকারী কাফেরদের ইসলাম গ্রহণের আহবান করবে। যদি তারা আহবানে সাড়া দেয় তাহলে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকবে।” –হিদায়া ২/৩৭৯


    কাসানি রহ. (৫৮৭ হি.) বলেন-
    ثم إذا دعوهم إلى الإسلام فإن أسلموا كفوا عنهم القتال.اهـ
    “মুজাহিদগণ কাফেরদের ইসলামের দাওয়াত দেয়ার পর তারা যদি ইসলাম গ্রহণ করে নেয় তাহলে লড়াই হতে বিরত থাকবেন।”–বাদায়িউস সানায়ে ৭/১০০



  • #2
    মাশা-আল্লাহ।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দর পোষ্ট।
      আল্লাহ তা‘আলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X