Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৪ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১ই নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৪ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১ই নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    কথিত বন্ধুদেশ ভারতের রপ্তানি বন্ধের পর পেঁয়াজের দাম বাড়ছেই!



    দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা করে। দুইদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হতো।
    বর্তমানে তা একশ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে একশ ৪০ টাকায়।
    হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আতাউর রহমান বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ বা মনিটরিং না থাকায় আমার মতো সাধারণ ক্রেতাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সরকার দাম কমানোর কথা বললেও তা কার্যকর হচ্ছে না।
    পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আহম্মেদ আলী বলেন, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেটা বেড়ে একশ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
    পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় বেশি দামে কিনছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
    পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, পেঁয়াজ সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। বন্ধের আগে খোলা এলসিতে এক হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত। বাকি পেঁয়াজ দুর্গাপূজার ছুটি শেষে রপ্তানির কথা বললেও শুধু তার নামের ৫১ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে। হিলি বন্দর দিয়ে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি একেবারে বন্ধ রয়েছে।
    খবর: কালের কন্ঠ
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 11-02-2019, 04:10 PM.
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতের মতো এবার মিয়ানমারের সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি করে হত্যা করলো বাংলাদেশি জেলেকে

    কক্সবাজারের নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে যাওয়া এক বাংলাদেশি এক জেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি)। খবর: ইনসাফ ২৪

    নিহত বাংলাদেশী জেলের নাম নুর মোহাম্মদ (৩৪)। তিনি জেলার টেকনাফ উপজেলার খারাংখালীর পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত সিদ্দিক আহমদের ছেলে।
    বৃহস্পতিবার ভোররাতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার ঝিমংখালীর নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া এ ঘটনায় একই এলাকার আবুল কালাম নামে এক জেলে আহত হয়েছেন।
    স্থানীয় জেলেরা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নাফ নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশী জেলেদেরকে প্রায়ই নির্যাতন করে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে মাছ শিকারে গেলে তাদের গুলিতে জেলে নুর মোহাম্মদ নিহত ও আবুল কালাম আহত হন।

    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/11/01/28337/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মালাউন ৩ নাগরিককে ফেরত নিতে নারাজ ভারত



      বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর এক নারীসহ তিনজন ভারতীয় নাগরিককে ফেরত নিতে রাজি হয়নি সন্ত্রাসী মালাউন ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী (বিএসএফ)।

      গতকাল বুধবার দুপুরে তাদের ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করা হলে বিএসএফ তাদের ফেরত নিতে রাজি হয়নি। পরে বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
      এর আগে গত মঙ্গলবার ফেনীর পরশুরাম ফেনীর সুবার বাজার সীমান্তে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর ওই তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
      পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে এরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল।
      গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে বিধান চন্দ্র দাশ (৪৪), তার স্ত্রী স্বপ্না বালা দাশ (৩৫) ও ছেলে নিলয় চন্দ্র দাশ (১৩)। তারা ভারতের আসাম রাজ্যের গোলাঘাট জেলার ধনশিবি মহকুমার চুঙাজান থানার কিয়াজু গাও এর বাসিন্দা।
      বুধবার বিজিবির সুবার বাজার সীমান্ত ফাঁড়ির নায়েব সুবেদার কমলেশ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে পরশুরাম মডেল থানায় এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করে৷ এদিন তাদেরকে ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠালে আদালত স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে জেলহাজতে প্রেরণ ও ছেলেকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণের আদেশ দেয়।
      ফেনীর ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. নাহিদুজ্জামান জানিয়েছে, নারী শিশুসহ তিনজন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফকে বিষয়টি জানিয়ে এদেরকে সে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিএসএফ ওই নাগরিকদের ফেরত নিতে নারাজ।

      বিধান চন্দ্র দাশ সাংবাদিকদের জানিয়েছে তাদের পৈত্রিক বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার থানার চরভাটা গ্রামে। দুই ভাই ভারতের আসামে থাকেন এবং দুই ভাই বাংলাদেশে থাকেন। পৈত্রিক বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশে আসছিলেন। তবে পাসপোর্ট-ভিসা না করে অবৈধ পথে আসার কারণে প্রেপ্তার হয়েছে।

      আটককৃতদের কাছে ভারতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র, ইনকাম টেক্সের কাগজপত্র, একটি মুঠোফোন এবং নগদ দুই হাজার চারশত টাকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/01/28334/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ কর্মীর কার্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার




        ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ারী থানা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সদস্য ময়নুল হক মনজুর কার্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের মাদক ও বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে৷

        টিকাটুলীর রাজধানী সুপারমার্কেটের অদূরে তার বাসা থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ইয়াবা, গাঁজা, বিদেশি মদ, বিয়ার, ফেনসিডিল ও বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাসা থেকে মদ, বিয়ার ছাড়াও বেশ কিছু জমির দলিল ও জমি-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাওয়া যায়।
        চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্জিত টাকা মনজু যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানের কাছে পাঠায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

        গোপীবাগের ভোলানন্দগিরি ট্রাস্টের জায়গা সে দখল করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ভাড়া আদায় করে। সেখানে একটি হাসপাতাল করার কথা থাকলেও মনজু সেখানে অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিল। মনজুর বাসায় থাকা তার নিকটাত্মীয় সুমি বেগম জানান, কাউন্সিলর এই বাসায় একা থাকেন। তার দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী ১৮ বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছে। মনজু নিয়মিত আমেরিকায় যাতায়াত করে।
        সমকালের বরাতে জানা যায়, মনজুর বৈধ কোনো আয়ের উৎস নেই। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিই মূলত তার আয়ের উৎস। মাদক কারবারেও তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সন্ত্রাস, দখলবাজি ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলার আসামি সে৷
        রাজধানী সুপারমার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় দশ বছর ধরে মার্কেটের সভাপতির পদ দখল করে আছে মনজু। নানা কৌশলে সে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে। চাঁদার টাকা দিতে কেউ অস্বীকার করলে তার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেয়। সম্প্রতি মার্কেটের এক পাশে দোতলা করার ঘোষণা দিয়ে প্রতি দোকানের পজিশন ১১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। এভাবে ১১০টি দোকানের পজিশন বিক্রি করেছে মনজু।

        স্থানীয় লোকজন ও মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, সন্ত্রাসী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনজুর বিরুদ্ধে দখল, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে মার্কেটের কমিটিতে থাকা, দোকানিদের ওপর জুলুমসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে মনজুর বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হয়েছে। একাধিকবার রাজধানী সুপারমার্কেটের একাধিক দোকানি তার বিরুদ্ধে থানা পুলিশ, র*্যাব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। মনজু সেগুলো কখনও আমলেই নেয়নি। সে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে৷
        সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/11/01/28331/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বিরুদ্ধে বললেই কবরে কিংবা জেলে! বাংলাদেশ হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের কবলে?



          বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন চলছে- এ কথাটি কেউ কেউ মানতে চান না। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায় এদেশের প্রশাসনিক থেকে সামাজিক কার্যক্রম, সকল ক্ষেত্রেই হিন্দুদের প্রভাব এত বেশি যে এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা তো দূরে থাক নিয়মতান্ত্রিক সমালোচনা করাও এখন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অপরাধ বলে গণ্য করা হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই হত্যা কিংবা জেলে বন্দী করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় এ বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশ হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের শিকার, এদেশের মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নিপীড়িত।

          গত ২৮শে অক্টোবরের খবর। বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান শেখ হাসিনার অপকর্মের সমালোচনা ও শেখ মুজিবকে জাতির পিতা স্বীকার করতে না চাওয়ায় মাসুম বিল্লাহ নামে ২৪ বছর বয়সী একজন মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করেছে রাষ্ট্রীয় ‘বৈধ’ সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশ। মুসলিম যুবককে গ্রেফতারের কারণ কেবল এটাই নয়, আরেকটি বিশেষ কারণ রয়েছে। দাঁড়িওয়ালা, পাঞ্জাবী-টুপি পরিহিত ঐ মুসলিম যুবককে কোন সে বিশেষ কারণে, কোন বিশেষ অপরাধে (!?) গ্রেফতার করা হলো?! সংবাদমাধ্যমসমূহে উঠে এসেছে, হাসিনার অপকর্মের সমালোচনা করার পাশাপাশি ঐ মুসলিম যুবক বাংলাদেশে ইসকনের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদের শাসন চলছে বলেও মত প্রকাশ করেন। আর, এটাই মুসলিম যুবকের গ্রেফতারীর পেছনে সেই বিশেষ কারণ বলে মনে হয়। আসলে, হাসিনা বাহিনীর সবকিছু সহ্য হলেও হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বললে সহ্য হয় না, এ নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকে ঝাঁপটে ধরে হিন্দুত্ববাদের এদেশীয় দালালেরা। আমাদের মুসলিম ভাই মাসুম বিল্লাহও হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের রোষানলের শিকার। যে কারণে হত্যা করা হয়েছিল বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে, সে কারণেই গ্রেফতার করা হলো মাসুম বিল্লাহকে। এ থেকেই আসলে বুঝা যায়, দেশ কারা চালাচ্ছে!?

          যাইহোক, মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে এসকল অপরাধের (!?) অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশেরই এক এসআই! অথচ, ভোলায় আমাদের প্রাণের প্রিয় রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটুক্তিকারী হিন্দুকে তারা নানা ছলেবলে বাঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মুসলিমদের হৃদয়ের স্পন্দন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে হিন্দুরা কটুক্তি করলে, সেটা পুলিশ বাহিনীর নজরে পড়ে না, এমনকি সভা-সমাবেশ কিংবা বিচার দাবি করেও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় না। বরং, তাদের পক্ষ থেকে বুলেট এসে মুসলিমদের বুকে বিদ্ধ হয়, মুমিনের দেহের রক্ত ঝরে রাজপথ রঞ্জিত হয়। কিন্তু, মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কিছু বললে পুলিশ নিজেই সেটার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, মামলা দায়ের করে। মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশে বিষয়টা আশ্চর্যজনক মনে হলেও খুবই দৃঢ়তার সাথে এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদের দালাল পুলিশ বাহিনী। এখন কথা হলো- মুসলিম ভাই মাসুম বিল্লাহ বাংলাদেশে ইসকনের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদের শাসন চলছে বলে যে মন্তব্যটি করে গ্রেফতার হলেন সেটা সত্য নাকি মিথ্যা? হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে যে মাসুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করা হলো, সেটাই এদেশে কাদের শাসন চলছে তার একটি বড় দলিল। তারপরও, আমাদের সামনের আলোচনায় তা আরো স্পষ্ট হবে আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ।

          বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি নাম ইসকন। মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইসকনের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমই তাদেরকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। এতদিন খুব একটা প্রকাশ্যে না এলেও সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসকন নামক সন্ত্রাসী হিন্দু দলটি বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য, ততদিনে ইসকনের কার্যক্রম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। সাউথ এশিয়ান মনিটরের তথ্যানুযায়ী, ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসকন প্রতিষ্ঠার ২৯ বছরে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠনটির মোট স্থায়ী বা আজীবন সদস্যের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯০০ জনের মতো। গত দেড় দশকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজারের ওপরে। সাধারণ ভক্ত-অনুসারির সংখ্যা এর কয়েকগুণ। ২০০৯ সালের দিকে এর মন্দিরের সংখ্যা ছিল ৩৫টি। বর্তমানে তা দ্বিগুণ বেড়ে ৭১টিতে দাঁড়িয়েছে। আতংকের কথা হলো, ইসকনের কেন্দ্রীয় দপ্তর ভারতের মায়াপুরে এবং ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা এসি ভক্তিভেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ শেষ নিঃশ্বাসও ত্যাগ করেছে ওখানে। অথচ সেই গোটা ভারতেই এখন পর্যন্ত ইসকনের মন্দিরের সংখ্যা ৬৪টি! অর্থাৎ, ইসকনের মন্দির ভারতের চেয়েও বাংলাদেশে বেশি!

          আবার, কেবল সদস্য ও মন্দিরই যে বেড়েছে তা নয়। সদস্য এবং মন্দির বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে ইসকনের প্রভাবও। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ইসকনের উগ্র সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে, এমনকি বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাও ছিলো ইসকন নেতা! তার নির্দেশেই সিলেটের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের তারাপুর চা বাগানের প্রায় ৪২২ একর বা ১৩শ’ বিঘা জমির মালিকানা ইসকনের হাতে তুলে দিয়ে ৫০ হাজারের অধিক মুসলিমকে বিপদে ফেলা হয়। ৩ হাজার মুসলিম পরিবারকে নিঃস্ব করা হয়। এখনো ধীরে ধীরে সেখান থেকে মুসলিমদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কতটা ক্ষমতাবান এই ইসকন? মুসলিমদের দেশে মুসলিমদেরকেই বাড়িছাড়া করছে এই সন্ত্রাসী হিন্দু সংগঠনটি!

          কেবল প্রশাসন নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও রয়েছে ইসকনের ভয়াবহ প্রভাব। ইসকনের প্রসার আর প্রভাবের ব্যাপারে ইসকনের কেন্দ্রীয় স্বামীবাগ আশ্রমের ব্রহ্মচারী ঈশ্বর গৌরহরিদাস গত মে মাসে বলে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকদের মধ্যে ৩/৪ জন করে ইসকনের ভক্ত-অনুসারি রয়েছে। আর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ক্ষেত্রেই ২/৩ জন করে থাকছে। এমনকি, ইসকনের সদস্যকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর চাপও প্রয়োগ করছে এই হিন্দু সংগঠনটি! চিন্তা করেন তো, আমি-আপনি আমাদের সন্তানদেরকে এসকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি করানোর জন্য যদি প্রশাসনের কাছে হাজার বারও কান্নাকাটি করে অনুরোধ করি, এর ফল কী হবে? তারা আপনার-আমার সন্তানকে ভর্তি করবে না। অথচ, সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক হিসেবে ইসকন সদস্যদেরকে নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং তাদেরকে নিয়োগ দিতেই প্রশাসনের উপর চাপ প্রয়োগ করছে হিন্দু সংগঠন ইসকন! কতটা প্রভাব, কতটা ক্ষমতা থাকলে এমনটা করতে পারে?! এমপি-মন্ত্রীদেরও এতটা ক্ষমতা আছে কি না, সন্দেহ হয়! আর, ভারতের বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ায় বুয়েটের মেধাবী মুসলিম ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করার মূল পরিকল্পনাকারী ইসকন সদস্য অমিত সাহাকে বাঁচানোর যে প্রচেষ্টা চলেছে, তার মাধ্যমে এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের উপর ইসকনের ক্ষমতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

          এখন আসেন বাংলাদেশের সামাজিক ক্ষেত্রে ইসকন কী করে চলেছে, তা নিয়ে চিন্তা করি। বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় ইসলামী রীতিনীতির প্রতিফলন ঘটবে, এটাই ছিলো স্বাভাবিক। মুসলিমরা দিনে পাঁচবার সালাত আদায় করেন, আর এ সময়টাতে নিরবতা একান্তই জরুরি। কিন্তু, বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে সালাতের সময়টাতেও শান্তি দিচ্ছে না সন্ত্রাসী ইসকনরা। তারা সালাতের সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উচ্চ আওয়াজে গান বাজিয়ে মুসল্লিদের বিরক্ত করে সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করে। আর, ইসকনের এরূপ কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিমদের সাথে সংঘর্ষও হয়েছে এবং সেখানে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ গিয়ে আবার ইসকনের পক্ষ নিয়ে মুসলিমদের উপরই গুলি চালিয়েছে। এমনই এক ঘটনার প্রতিবাদ করায় ২০১৬ সালে সিলেটের এক মসজিদের ইমামকে নির্মমভাবে হত্যাও করা হয়।

          চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে গত জুলাই মাসে প্রকাশ্যে এক অপকর্ম করে হিন্দু সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন। তারা মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশের বিভিন্ন স্কুলের অবুঝ শিশুদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে, খাবার খাইয়ে ‘হরে কৃষ্ণ’ বলায়।
          এভাবে এদেশের সামাজিক ক্ষেত্রেও মুসলিমদেরকে হিন্দুত্ববাদের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার জন্য ইসকনের ক্ষমতা প্রদর্শন করা চলছে।
          আসলে কেবল ইসকনই নয়, বরং ভারতের অন্যতম হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএসও এদেশে সক্রিয়! একটি সূত্র জানিয়েছে, আরএসএস ত্রিপুরার একটি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এক ‘ডিপ কাভার’ এলাকা তৈরি করেছে, যে পথে তারা সংগঠনের কর্মী ও ক্যাডারদের বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে, যাতে তারা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বসবাসরত হিন্দুদের ‘শিক্ষিত’ করতে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশী হিন্দুরাও এই আরএসএস ইউনিটের সাথে যোগাযোগ রাখছে।

          হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান রানা দাসগুপ্তের বরাত দিয়ে সাউথ এশিয়ান মনিটর জানায়, ‘‘সঙ্ঘ (আরএসএস) হিন্দুত্ববাদী শ্লোগান নিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রবেশও করতে পেরেছে। গত দুই বছরে ইংরেজি, বাংলা ও হিন্দিতে লেখা হিন্দুত্ববাদী পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে”।
          সাউথ এশিয়ান মনিটর সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৮সালের ২৪শে জুলাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ঘনিষ্ঠ সহকারী দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঢাকা আসে। ধারণা করা যায়, কোন গোপন সফরেই তারা ঢাকা এসেছিল। যদিও তাদের সফরের প্রধান কারণ জানার উপায় নেই, তবে সফরকারীর সাথে মোদি ও ভারতের সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) বিশেষ করে সংগঠনটির গুজরাট শাখার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকায় এটা বলা যায় যে, কোন সন্ত্রাসী চিন্তাধারা নিয়েই সে বাংলাদেশে আগমন করেছিল।

          এভাবেই, বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদীরা তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম তথা আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। আর, সে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলাতেই হত্যা করা হয়েছে আবরার ফাহাদকে, গ্রেফতার করা হয়েছে মাসুম বিল্লাহকে। অতএব, বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন চলছে, এ কথা আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি।
          সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/11/01/28320/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতীয় মালাউনদের কবলে কাশ্মীরের ৮ মিলিয়ন মানুষ প্রায় তিনমাস ধরে অবরুদ্ধ !



            বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা, পৃথিবীর স্বর্গ, বিশ্বের ছাদ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভূমি, সবুজ প্রকৃতি, পাহাড় আচ্ছাদিত, নদী, লেক, জলপ্রপ্রাতে ঘেরা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সমৃদ্ধ, আতিথেয়তায় অনন্য, অনন্যসুন্দর মানুষ, বিশেষ খাবার, ফল, এবং পর্যটকদের স্বর্গ কাশ্মীর এখন বেঁচে থাকার জন্য অন্যের দয়ার উপর নির্ভর করে আছে।

            প্রায় এক মিলিয়ন ভারতীয় হানাদার সন্ত্রাসীরা প্রায় তিন মাস ধরে আট মিলিয়ন নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ৫ আগস্ট থেকে কাশ্মীরে কারফিউ জারি রেখেছে মালাউন ভারত। খাবার, জ্বালানি আর ওষুধের মারাত্মক সংকটে আছে মানুষ। মোবাইল ফোন সেবা, ইন্টারনেট এবং সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। কারফিউ জারির আগে ভারত কাশ্মীর থেকে সকল পর্যটক ও সফরকারীদের সরিয়ে নেয়। সারা দুনিয়া থেকে কাশ্মীর এখন বিচ্ছিন্ন। মিডিয়া কর্মীদের সেখানে যাওয়ার সুযোগ নেই। জাতিসংঘের কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনীতিক এবং এমনকি পর্যবেক্ষকদেরও সেখানে যাওয়ার অনুমতি নেই। আমেরিকান কংগ্রেসম্যানদের কাশ্মীরে যেতে দেয়া হয়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে যেতে দেয়া হয়নি। অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

            এই অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে, নিখোঁজের সংখ্যা হিসাব ছাড়িয়ে গেছে, ভুয়া এনকাউন্টার আর হত্যা ব্যাপক বেড়ে গেছে, গণহত্যার সংখ্যা দুই-অঙ্কের কোটায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, নিরাপত্তার বাহিনীর হাতে বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, নির্যাতন প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাবা-মায়ের সামনে শিশু ও ছোটদেরকেও শিকার হতে হচ্ছে, অপমান এবং ঘৃণা ও প্রতিহিংসার অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণ করা হচ্ছে। ভারতের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা মানবজাতির স্মরণকালের ইতিহাসের মধ্যে মানবাধিকারের সমস্ত রেকর্ড অতিক্রম করে গেছে।

            কাশ্মীর মুসলিম সংখ্যাগুরু এলাকা যেখানকার ৮৭% মানুষ মুসলিম। দেশভাগের সময় ব্রিটিশরা উপমহাদেশকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ করে দিতে সম্মত হয়। মুসলিম সংখ্যাগুরু এলাকা হবে পাকিস্তানের এবং হিন্দু সংখ্যাগুরু এলাকা হবে ভারতের। এই নীতি অনুসারে মুসলিম সংখ্যাগুরু কাশ্মীর হওয়ার কথা পাকিস্তানের। কিন্তু ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরে প্রবেশ করে জোর করে এর একাংশ দখল করে রেখেছে। ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসীরা যখন স্থানীয় মানুষের প্রতিরোধ মোকাবেলা করতে পারেনি, তখন তারা সাহায্যের জন্য জাতিসংঘ নামের কুফরি সংঘের দ্বারস্থ হয়। জাতিসংঘ সিকিউরিটি কাউন্সিল তাৎক্ষণিক অস্ত্রবিরতি কার্যকর করে কাশ্মীরের জনগণের গণভোটের ভিত্তিতে সেখানকার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। নিরাপত্তা পরিষদ কাশ্মীরের জনগণকে ভারত বা পাকিস্তানের যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়।

            যেহেতু কাশ্মীর মুসলিম সংখ্যাগুরু এলাকা, তাই সেখানে গণভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে ১৯৪৮ সাল থেকে গণভোট পিছিয়ে যাচ্ছে ভারত। এদিকে, কাশ্মীরের জনসংখ্যার চিত্র বদলে দিয়ে মুসলিমদের সংখ্যালঘু বানানোর জন্য ভারতের অন্যান্য জায়গা থেকে হিন্দুদের এনে কাশ্মীরে তাদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। এই লক্ষ্য হাসিলের জন্য ভারত অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এবং কাশ্মীরীদের দমনের জন্য সব ধরনের অপকর্ম শুরু করেছে। দমন আইন, কালো আইন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, বন্দী করা, গণহত্যা ইত্যাদি সব ধরনের বর্ব কর্মকাণ্ড শুরু করেছে তারা, তবে এরপরও কাশ্মীরের মানুষের স্বাধীকারের সংগ্রামকে তারা দমাতে পারেনি।

            আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভারতীয় বর্বরতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে সেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ভারতের বর্বরতার প্রতিবেদনও প্রচারিত হচ্ছে। হলোকাস্টের স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এখানে। জার্মানিতে ইহুদিদের সাথে যেটা হয়েছে বা রুয়ান্ডাতে যেটা হয়েছে, সে রকমই ঘটছে কাশ্মীরে। হিটলারের মতোই কাশ্মীরে বন্দিশিবির খুলেছে ভারত। কার্যত মোদির আদর্শ হিটলারের মতোই এবং তারা ঠিক একই রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে।

            কাশ্মীরে হলোকাস্ট এড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই সক্রিয় হতে হবে, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে, এই মুহূর্তেই সক্রিয় হতে হবে। তারা কি গণহত্যা শুরুর জন্য অপেক্ষা করছে, যাতে এরপর কাশ্মীরে ফটো সেশান করা যায়, ডকুমেন্টারি তৈরি করা যায়, আর প্রতিবেদন তৈরি করে পরবর্তী প্রজন্মকে কাশ্মীরের হলোকাস্টের ব্যাপারে অবগত করা যায়?

            কাশ্মীরে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য জাতিসংঘ নামের জানোয়ার সংঘ কোন শান্তিরক্ষী পাঠায় নি। অথচ তাঁদের বানানো নীতি অনুযায়ী এটা জাতিসংঘের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু মুসলমানদের বেলায় তাছরা তা করবে না।
            তাই সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সকল দেশের কাছে এটা একটা আবেদন, যাদের বিবেকবোধ আছে এবং মানুষের জীবনকে যারা মূল্য দেয়, সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন যারা মানবতায় বিশ্বাস করে এবং কাশ্মীরে মানবতাকে রক্ষার জন্য উঠে দাঁড়ানোর মতো বিবেক যাদের রয়েছে।
            ভারত যুদ্ধাপরাধ করে যাচ্ছে, এবং জেনেভা কনভেনশান, রোম কনভেনশান অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাদের অবশ্যই বিচার হতে হবে। নীতি প্রণয়নের পর্যায়ে, বা সেটা বাস্তবায়নের পর্যায়ে, স্ট্যাটাস বা র*্যাঙ্ক যাই হোক – প্রতিটি ব্যক্তি এখানে কাশ্মীরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দায়ি, এবং আন্তর্জাতিক কোর্ট অব জাস্টিসে অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ের মাত্রা অনুযায়ী তাদের বিচার হতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই কাশ্মীরীরাতো মুসলমান তাঁরা কী বিচার পাবে?

            তথ্যসূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর / মডার্ন ডিপ্লোমেসি
            সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/11/01/28315/

            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভারতীয় মুশরিক সীমান্তসন্ত্রাসী বিএসএফের গুলিতে আহত ৬



              মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ৬ বাংলাদেশি আহত হয়েছে।

              যুগান্তর পত্রিকার বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ফুলতলা বিওপির সীমান্ত পিলার ১৮২৩/২৬-এস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বাপ্পা মিয়া (৩২) উপজেলার পূর্ব বটুলি গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে এবং গুলিবিদ্ধ আব্দুল কালাম (৩০) একই এলাকার সফিক মিয়ার ছেলে। গুলিবিদ্ধ অপর চার বাংলাদেশির নাম-পরিচয় জানা যায় নি।

              স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ৮-১০ বাংলাদেশি ভারত থেকে গরু আনতে ফুলতলা সীমান্তে যায়।
              এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে বিএসএফ ১৬৬ ব্যাটালিয়নের ইয়াকুবনগর ক্যাম্পের সন্ত্রাসী দল।
              এতে ছয় বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। পরে তারা পালিয়ে আসেন।
              সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/11/01/28310/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল খেতমদকে কবুল করুন। আমীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ আপনাদের কাজ কবুল করুন আমীন।
                  ان المتقین فی جنت ونعیم
                  سورة الطور

                  Comment

                  Working...
                  X