Announcement

Collapse
No announcement yet.

খুমুসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে অংশ ছিল, তা কি এখনও বহাল আছে?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • খুমুসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে অংশ ছিল, তা কি এখনও বহাল আছে?

    প্রশ্ন: খুমুসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে অংশ ছিল, তা কি এখনও বহাল আছে?

    উত্তর
    গনিমতের মালে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মোট তিনটি অংশ ছিল:

    এক
    . সাফী;

    দুই. খুমুস;

    তিন. একজন মুজাহিদ হিসেবে অন্য সকল মুজাহিদের মতো এক অংশ। (1)

    আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে শুধু ‘খুমুস’ নিয়ে- তা কি এখনো বহাল আছে, না’কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের পর রহিত হয়ে গেছে?


    খুমুসের হকদার কারা- এর বিবরণ দিয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

    وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ

    “(হে মুসলিমগণ!) জেনে রাখ, তোমরা যা কিছু গনিমত হিসেবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর, রাসূলের, (রাসূলের) নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনের এবং এতীম, মিসকিন ও মুসাফিরদের।” –সূরা আনফাল: ৪১


    আল্লাহ তাআলার নাম আনা হয়েছে বরকতের জন্য; অংশ পাবেন- এ হিসেবে নয়। আর বাকি পাঁচ শ্রেণী সকলে হকদার। সকলে অংশ পাবে। এদের মধ্যে রাসূলের নিকটাত্মীয়দের দেয়া হতো তারা জাহিলি-ইসলাম উভয় যামানায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নুসরত করেছিলেন সে হিসেবে। এতিম ও মিসকিনকে দেয়া হবে দরিদ্র হওয়ার কারণে। *সম্বলহীন মুসাফিরকে দেয়া হবে তার হাজতের কারণে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেয়া হতো তার রিসালতের কারণে। অর্থাৎ তিনি রাসূল ছিলেন- এ কারণে। যেহেতু তার ওফাতের পর আর কোন নবী আসবেন না, তাই এ অংশ আর কেউ পাবে না। তাঁর ওফাতের পর খুমুসের এ বিশেষ অংশটি রহিত হয়ে গেছে। (2)


    এ কারণে খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়কালে রাসূলের অংশ হিসাবে কিছু রাখা হতো না। এতিম, মিসকিন ও মুসাফিরদের মাঝে বণ্টন করে দেয়া হতো। (3) ওয়াল্লাহু আ’লাম।
    ==========
    1.


    وفي شرح السير للسرخسي: وقد كان لرسول الله - صلى الله عليه وسلم - ثلاث حظوظ من الغنائم: الصفي، وخمس الخمس، وسهم كسهم أحد الغانمين.اهـ. 1\608.

    2.
    وفي الهداية: فأما ذكر الله تعالى في الخمس فإنه لافتتاح الكلام تبركا باسمه وسهم النبي عليه الصلاة والسلام سقط بموته كا سقط الصفي " لأنه عليه الصلاة والسلام كان يستحقه برسالته ولا رسول بعده والصفي شيء كان عليه الصلاة والسلام يصطفيه لنفسه من الغنيمة مثل درع أو سيف أو جارية وقال الشافعي رحمه الله يصرف سهم الرسول إلى الخليفة والحجة عليه ما قدمناه." وسهم ذوي القربى كانوا يستحقونه في زمن النبي عليه الصلاة والسلام بالنصرة " لما روينا اهـ. 2\391


    وقال ابن عابدين: ولا رسول بعده أي لا يوصف بعده أحد بهذا الوصف فلذا سقط بموته. اهـ رد المحتار 4\150-151


    3.
    وفي كتاب الخراج لأبي يوسف: عن عبد الله بن عباس أن الخمس كان في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم على خمسة أسهم: لله وللرسول سهم، ولذي القربى سهم، ولليتامى والمساكن وابن السبيل ثلاثة أسهم. ثم قسمه أبو بكر وعمر وعثمان رضي الله تعالى عنهم على ثلاثة أسهم، وسقط سهم الرسول وسهم ذي القربي وقسم على الثلاثة الباقية، ثم قسمه علي بن أبي طالب رضي الله عنه على ما قسمه عليه أبو بكر وعمر وعثمان رضي الله تعالى عنهم.اهـ. 1\29
    Last edited by Ahkamus Siyar; 11-04-2019, 10:01 PM.

  • #2
    মুহতারাম ভাই- এ ব্যাপারে কোন নস বা রেফারেন্স থাকলে উল্লেখ করলে ভাল হয়। শুকরান
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      Originally posted by abu ahmad View Post
      মুহতারাম ভাই- এ ব্যাপারে কোন নস বা রেফারেন্স থাকলে উল্লেখ করলে ভাল হয়। শুকরান
      মুহতারাম ভাই, আমার সকল মাসআলা হানাফি মাযহাব অনুযায়ী দিচ্ছি। অন্য ইমামদের ভিন্ন মত রয়েছে। সংক্ষেপণার্থে সেগুলো উল্লেখ করছি না।

      Comment


      • #4
        Originally posted by Ahkamus Siyar View Post
        মুহতারাম ভাই, আমার সকল মাসআলা হানাফি মাযহাব অনুযায়ী দিচ্ছি। অন্য ইমামদের ভিন্ন মত রয়েছে। সংক্ষেপণার্থে সেগুলো উল্লেখ করছি না।
        সম্মানিত ভাই- আপনাকে অ-নে-ক শুকরিয়া জানাই। পাশাপাশি দু‘আও করি- আল্লাহ তা‘আলা যেন আপনাকে ইলমে নাফে‘ দান করেন এবং ইলমে ও আমলে বারাকাহ দান করেন। আমীন
        যদি সম্ভব হয়, তাহলে এভাবে রেফারেন্স দিলে খুব ভাল হয়। ইবারাত না দিলেও কমপক্ষে হাওয়ালা উল্লেখ করে দিলেও চলবে, ইনশা আল্লাহ। তাহলে আগ্রহীরা সেখান থেকে দেখে নিতে পারবে। জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X