Announcement

Collapse
No announcement yet.

সংক্ষিপ্ত জীবনী

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সংক্ষিপ্ত জীবনী

    সংক্ষিপ্ত জীবনী
    (যানা থাকলে ভাল)

    রাসুল সাঃ এর জীবনি দুই প্রকার ;-
    1) নবুওতের পূর্বে
    2) নবুওতের পর
    নবুওতের পূর্বে সকলের নিকটেই রাসুল সাঃ আলআমিন হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। অর্থাৎ সকলেই আলআমিন(বিশ্বাসী)বলে ডাকত।

    নবুওতের পর কাফেরদের পক্ষ হতে দেওয়া উপাদিগুলো এই :-

    1) তারা বলত ! তুমি পাগল مجنون
    انك لمجنون (الحجر/٦)
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    وماصاحبكم بمجنون(التكوير/٢٢)
    তোমাদের সাথি পাগল নন।

    2) তাদের বলত! সে জাদুকর।
    2)و قال الكافرون هذا سحر كذاب(سورة ص/٤)
    আল্লাহ তাআলা তার উওরে বলেন
    افسحر هذا (الطور/١٥)
    همزه استفهام انكارى? উহা কি যাদু।

    অর্থাৎ তোমাদের ধারনা ভূল। উহা যাদু নয়।

    3) তারা বলত! সে মিথ্যাবাদী
    فقالوا سحر( 3) كذاب(غافر/٢٤)

    আল্লাহ তাআলা তার উওরে বলেন
    ولو تقول علينا بعض الاقاويل (٤٤)
    সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করিয়া চালাইতে চেষ্টা করিত,
    لاخذنا منه باليمين ،(٤٥)
    আমি অবশ্যই তাহার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতাম,
    ثم لقطعنا منه الوتين (٤٦)
    এবং কাটিয়া দিতাম তাহার জীবন-ধমনী,
    فما منكم من احد عنه حاجزين (٤٧)
    অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেহ নাই, যে তাহাকে রক্ষা করিতে পারে।

    4) তারা বলত! সে একজন গণক।

    আল্লাহ তাআলা বলেন
    ولا بقول كاهن قليلا ما تذكرون (الحاقة/٤٢)
    এবং তা কোন গণকের কথা নয়।

    5) তারা বলত! ইহা শয়তানের কথা।

    আল্লাহ তাআলা এর উওরে বলেন
    وما هو بقول شيطان رجيم (التكوير/٢٥)
    এবং ইহা অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়।

    6) তারা বলত! একজন পাগল( شاعر) কবিতা আবৃতিকারীর জন্য কি আমরা আমাদের ইলাহদের পরিত্যাগ করব?
    يقولون اءنا لتاركوا الهتنا لشاعر مجنون (الصافات/٣٦)

    এর উওরে আল্লাহ তাআলা বলেন ।
    وما هو بقول شاعر قليلا ماتؤمنون(الحاقة/٤١)
    ইহা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর।
    আল্লাহ তাআলা আরো বলেন
    تنزيل من رب العالمين (الحاقة/٤٣)
    (الواقعة/٨٠)
    ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ।
    7) তারা বলত! মতলববাজ
    ان هذا لشىء يراد(الصاد/٦) মতলববাজ

    8)তারা বলত! তোমাকে বেকুফ ধারনা করি।
    انالنرك في سفاهة..(الاعراف/٦٦)

    9)তারা বলত! নিন্ম শ্রেণীর লোক.
    اراذلنا بادئ الرائ
    আমাদের মাঝে নিন্ম শ্রেণীর লোক।

    10) তারা আরও বলত!
    وما نرى لكم علينا من فضل
    আমাদের উপর তোমার কোন শ্রেষ্টত্য দেখিনা।*
    (بل نظنكم كاذبين(الهود/٣٧)
    বরং আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদি ধারনা করি।

    11) তারা বলত!
    وقالوا ما هذا الا افك مفترى(سباء/٤٣
    তারা বলে ইহা মিথ্যা বানানো
    এর উওরে
    আল্লাহ তাআলা বলেন:-
    انه لقول رسول كريم(١٩) (التكوير/١٩)
    আল্লাহ তাআলা আরো বলেন:-
    ما ينطق عن الهواء ( ٣) ان هو الا وحى يوحى (النجم/٣-٤)
    সে নিজ থেকে কিছুই বলে না,বরং যা বলে তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে অহী ।
    12) ইত্যাদি

    বিঃদ্রঃ;- আপনি কি জানেন এ উপাদিগুলো কেন দেওয়া হয়েছিল।
    কারন শুধু একটাই। একাত্তবাদের দাওয়াত দেওয়ার কারনে ।

    নবুওতের পর দুই অবস্থা:-
    1) হিজরতের পূর্বে।
    2) হিজরতের পর।
    প্রশ্ন ঃ আপনি কি জানেন রাসুল সাঃ এর যুগে হিজরত কতবার হয়েছে।
    উওর ঃ তিনবার হয়েছে।
    1) আবিসিনিয়ায় প্রথম হিজরত।
    2) আবিসিনিয়ায় দ্বিতীয় হিজরত ।
    3) মদিনার দিকে হিজরত।

    ★আপনি কি জানেন হিজরতের পূর্বে রাসুল সাঃ এর উপর কি নির্দেশ ছিল?
    দাওয়াতের কাজ কর।
    হে আল্লাহ! আমিতো দাওয়াত দিতেছি , কিন্ত তারাতো আমাকে গালিগালাজ করতেছে , থুথু দিতেছে । তেমনিভাবে সাহাবাদেরকে মারতেছে, গালিগালাজ করতেছে, থুথু দিতেছে, নানানভাবে নির্যাতন করতেছে। এঅবস্হায় আমার করনীয় কি?
    . আল্লাহ তাআলা বলেন :-
    فاصدع بما تؤمر واعرض عن المشركين (الحجر/٩٤)
    তোমাকে যা বলা হয়েছে তা পালন কর।
    মূর্খদের কর্মের প্রতি ভ্রূক্ষেপ করিওনা।

    2)হিজরতের পর
    আল্লাহ তাআলা বলেন:-
    اذن للذين يقاتلون بانهم ظلموا ...(الحج/٣٩)
    যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হল তাদেরকে যারা আক্রান্ত হয়েছে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে।

    আপনি কি জানেন ?
    রাসুল (সাঃ)কেন হিজরত করেছেন?
    ★তাহলে শুনোন! 13 বৎসরের অভিঙ্গতা বলেদিয়েছিল যে, মক্কা মুয়ায্যমায় থাকাকালীন ইসলাম প্রচারে সাফল্য কঠিন।
    এজন্য তিনি মদিনায় হিজরতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
    প্রশ্ন ঃ আপনি কি জানেন কোন সময় হিজরত করেন ? কেন?
    উওর ঃ রাত্রে।
    কারন!
    পরামর্শ সভা
    মক্কার কাফেররা যখন জানতে পাড়ল যে, সাহাবায়ে কেরাম একেরপর এক সফর করে মদিনায় চলে গেলেন। শুধু রাসুল (সাঃ) হযরত আবুবকর সিদ্দীক(রাঃ)
    ও হযরত আলী (রাঃ) অার ঐসমস্ত দূূর্বল ব্যক্তিবর্গ যারা হিজরত করতে অক্ষম তারা রয়ে গেলেন।

    তখন সাথে সাথে "দারুননাদওয়াতে" বৈঠকের আয়োজন করল। অর্থাৎ ঐখানে কঠিনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ হত। কাফের নেতাদের বৈঠক হলো। কেহ দেশান্তরের পরামর্শ দিল, কেহ বন্দি করার পরামর্শ দিল। কিন্তু আবু জাহেল হত্যার পরামর্শ দিল।
    শেষ পর্যন্ত আবু জেহেলের প্রস্তাবানুযায়ী হত্যার সিদ্ধান্ত হলো।
    আর তা বাস্তবায়নের জন্য আবু জেহেলকেই দায়িত্ব দেওয়া হল। সে প্রত্যেক গোত্রের এক একজন ব্যক্তি নিজের গোটা গোত্রের পক্ষ হতে এ হামলার অংশগ্রহণের নির্দেশ দিল।
    প্রশ্ন ঃ আপনি কি জানেন কেন প্রত্যেক গোত্র হতে একজন করে নেওয়া হল?

    উত্তর ঃ তাহলে শুনোন ! যাতে করে বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব এ হত্যার প্রতিশোধ না পারে।
    কারন সকল গোত্রের একসাথে বদলা নেওয়া অসম্ভব । এজন্য আবু জেহেল সকলগোত্র হতে এক একজন করে আসতে বাধ্য করল।

    রাখে আল্লাহ মারে কে?

    কিন্ত আল্লাহ তাআলা তিনি তার রাসুল ( সাঃ) কে হত্যার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েদিলেন। আর সাথে সাথে সফরের আদেশ ও দিয়েদিলেন।
    আল্লাহ তাআলার বাণী
    ومكروا ومكر الله والله خير الماكرين (ال عمران/٥٤)
    তারা কৌশল অবলম্বন করেছে,
    আল্লাহ তাআলা তাদের উওর দিয়েছেন।
    আর আল্লাহ তাআলা শেষ্টকৌশল অবলম্বনকারী।

    আপনি কি জানেন? তারা কেন হত্যা করতে ইচ্ছুক ছিল ?
    তাহলে শুনোন।
    রাসুল সাঃ বলতেন
    ياايهاالناس قولوا لااله الله تفلحون
    হে লোক সকল! তোমরা বলلااله الا الله (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই)
    তাহলেই তোমরা সফলকাম হবে।

    হে ভাই! মক্কার কাফেররা (অর্থাৎ আবু জেহেল, আবু লাহাব , উতবা, শায়বাগণরা) উক্ত কালিমা অর্থাৎ لااله الا الله এর অর্থ ও মর্ম বুঝেছিল, একারনে তারা তার বিরোধিতা করেছে।
    আর আমরা যারা দায়ি দাবিদার, মুবাল্লিগ দাবিদার, দ্বীনদার দাবিদার অর্থাৎ দাবিদার ঠিক। কিন্তু আমরা ( দায়ি, মুবাল্লিগ, দ্বীনদার দাবিদাররা ) হয়ত তার অর্থ বুঝিনা বা জানিনা। অথবা বুঝিও জানিও । এরপরও ভয়ের কারনে না জানা /নাবুঝার ভানধরি অথবা জেনে,বুঝেও সার্থ রক্ষার্থে তাহরিফও অপবেখ্যার পথ বেছে নিয়েছি।

    আসুন আমরা দেখি ! উম্মতের জন্য , রাসুল সাঃ এর দরদ কি পরিমাণ ছিল? নিন্ম বর্ণিত আয়াতে লক্ষ করলে স্পষ্ট হয়ে যায়।
    আল্লাহ তাআলা বলেন:-
    فلعلك باخع نفسك على اثارهم ان لم يؤمنوا بهذا الحديث اسفا(الكهف/٦)
    অর্থ:- হয়ত আপনি নিজেকে ধ্বংস করে দিবেন তাদের পিছনে, আফসোস করতে-করতে যদি তারা (আল্লাহ এক , মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রাসুল) একথার উপর ঈমান না আনে।

    ★আপনি কি জানেন? হিজরতের পূর্বের জীবনকে কি বলে?
    তাহলে শুনোন!
    তাকে মক্কী জীবন বলে।
    মক্কার জীবন ছিল 13 বৎসর
    ★হিজরতের পরের জীবনকে কি বলে?
    মাদানী জীবন বলে। মাদানী জীবন 10 বৎসর।
    ★আপনি কি জানেন? রাসুল সাঃ এর মাদানী জীবন কিভাবে অতিবাহিত হয়েছে?
    উঃ:- অধিকাংশ সময় তা অতিবাহিত হয়েছে গাযওয়া ও সারিয়ার মাধ্যমে।
    ★আপনি কি জানেন গাযওয়া ও সারিয়া কি?
    উঃ:- যে যুদ্ধে স্বয়ং রাসুল সাঃ অংশ গ্রহণ করেছেন, তাকে গাযওয়া বলা হয় ।
    যে যুদ্ধে স্বয়ং রাসুল সাঃ অংশ গ্রহণ করেননি বরং সাহাবাদের প্রেরণ করেছেন
    তাকে সারিয়া বলা হয়।

    ★আপনি কি জানেন? গাযওয়া কয়টি?
    উঃ;- 23 টি /27 টি

    সারিয়া কয়টি?
    উঃ:- 44 টি। তবে এর অধিকও বর্ণিত আছে।

    ★হিজরতের পর দুই অবস্থা :-
    1)মক্কা বিজয়ের পূর্বে বদর, উহুদ, খন্দক ইত্যাদি এগুলো সংঘটিত হয়েছে।

    আপনি কি জানেন এর দ্বারা ফায়দা কি হয়েছে?
    তাহলে শুনোন !
    প্রতি বৎসর গড়ে 1000 হাজারের অধিক মুসলমান হয়েছে।
    মক্কা বিজয়ে 10000 সাহাবায়ে কিরাম অংশগ্রহণ করেছেন।
    2)মক্কা বিজয়ের পর
    ঃ দাওয়াতের পদ্ধতি ঃ
    اسلم فتسلم والا فالجزية . ..
    দাওয়াত ছিল তিন ধরনের।
    1)মুসলমান হও, নিরাপদ থাকবে।
    2) না হয় জিজিয়া দাও।
    3) আর এটাও না হলে আমাদেরও তোমাদের মাঝে ফায়সালা হবে তলোয়ারের মাধ্যমে।

    অর্থাৎ এরদ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায়। যে হিজরতের পর দাওয়াতের স্তর তিনটি ।
    অর্থাৎ
    দাওয়াত ছিল তিন ধরনের।
    1)মুসলমান হও, নিরাপদ থাকবে।
    2) না হয় জিজিয়া দাও।
    3) আর এটাও না হলে আমাদেরও তোমাদের মাঝে ফায়সালা হবে তরবারী।
    (দাওয়াতে জিহাদ পৃঃ 57)

    قال عليه السلام في ضمن حديث طويل: واذا لقيت عدوك من المشركين فادعهم الي الاسلام فان هم ابوا فسلهم الجزية فان هم ابوا فاستعن بالله وقاتلهم- (مشكوة صفحه ٣٤١)

    রাসূল সাঃ এক লম্বা হাদীসে (মুজাহিদিনদের আমিরকে) এভাবে অছিয়ত করা অবস্হায় বলেছেন, যখন তেমরা দুশমনদের সাথে মিলিত হবে।
    তোমরা তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের আহবান কর, যদি তারা ইসলাম কবুল করে তাহলে তাদের সাথে লড়াই করা থেকে বিরত থাক। যদি তারা অস্বিকার করে তাহলে তাদের থেকে জিজিয়া চাও, যদি তারা জিজিয়া দিতে সম্মত হয়, তাহলে তা কবূল কর ও লড়াই থেকে বিরত থাক। যদি তাতেও কাফেররা অস্বিকার করে তাহলে আল্লাহর সাহায্য চাও ও তাদের সাথে ক্বিতাল কর।
    (দাওয়াতে জিহাদ পৃঃ 57)


    রাসুল সাঃ এর জিবদ্দসায় এর উপরই আমল ছিল। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন, তাবেতাবেইন ও আইম্মায়ে মুজতাহিদগণও
    এর উপরই আমল করে গেছেন । ভারতবর্ষের উলামায়ে কেরাম এর উপর আমল করে দেখিয়ে গেছেন। অর্থাৎ আমরা যাদেরকে উওরসুরি দাবি করি, হাজার হাজার উলামায়ে কেরাম তারা ফাসি কাষ্ঠে ঝুলেছেন। বহু আলেমকে আগুনে পুড়ে মারা হয়েছে । এরপরও তারা ঈমান থেকে সরেনি । তারা বলত, আমরা বেলালের উওরসুরি খাব্বাবের উওরসুরি । জীবন দিব এরপরও ঈমাম বিক্রি করব না।
    আফসোস শত আফসোস
    কিভাবে যে , আজ উলামায়ে সু " এর মধ্যে পরিবর্তন ঘটাল।


    অর্থাৎ এরদ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায়। যে
    আজও সে হুকুম বলবত রয়েছে।
    ★বর্তমানে দায়ি দ্বাবিদারদের নিকট
    প্রশ্ন অাপনারা যে নবিওয়ালা কাজের দাবি করেন। অাপনারা তিনস্তরের কোন স্তরে রয়েছেন।
    ★ দায়ি দ্বাবিদারদের নিকট 2য় প্রশ্ন ঃ
    আল্লাহর বাণী
    يا ايها النبي حرض المؤمنين على القتال ان يكن منكم عشرون صابرون يغلبوا مائتين وان يكن منكم مئة يغلبوا الفا من الذين كفروا بانهم قوم لا يفقهون (الانفال/٦٥)
    হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে ক্বিতালের জন্য উদ্বোদ্ব করুণ .....
    ★ এখন দায়ি দ্বাবিদার/অন্যান্যরা বলুন ক্বিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করা নবী অলা কাজ কি না?
    যদি বলেন ক্বিতালের জন্য উদ্বোদ্ব করা নবীঅলা কাজ না , তাহলে এআয়াতের উওর কি দিবেন প্রস্তত করেছেন কি?
    আর যদি বলেন নবী অলাকাজ তাহলে প্রস্ততি নিয়েছেন কি?

    কিছুদিন পূর্বে সালের একসাথি নিয়মিত চিল্লাও দেয় । হাইস্কুলের হেড মাষ্টার। উনি আবার তাবলিগের মুরুব্বিও, কাকরাইলের কোন দায়িত্বে আছে কি না জানা নেই।
    উনি বলতেছেন চিল্লা , চার মাস নাকি রাসুল সাঃ এর মদিনার জিবন হতে শুরু হয়েছে।

    আমি উনাকে বল্লাম, হযরত! সাহাবায়ে কেরামের বের হওয়াতো ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ এর জন্য( অর্থাৎ যুদ্ধের জন্য) ছিল।
    আর বর্তমানে তাবলিগের এ ধারাবাহিতা, অর্থাৎ চিল্লা, সাল ও তিনদিন ইলিয়াস রঃ থেকে শুরু হয়েছে।
    উনি তা মানতেই পারিতেছিলেন না।
    কারন যা দেখাল তাবলিগের মুরুব্বিরা এগুলো বলেননা কেন?
    আসুন আমরা দেখি হিজরতের পর রাসূল সাঃ এর করণীয় কাজগুলো কি কি?

    ★প্রথম হিজরি:★

    মদীনা তাইয়্যেবায় প্রবেশ :
    12 ই রবিউল আউয়াল 24 সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার রাসুল সাঃ কুবা হতে রওয়ানা হয়ে বনু সালিম গোত্রের আবাসিক এলাকায় গিয়ে পৌঁছেন। তখন জুমার নামাজের সময়। এখানে একশত মানুষের সাথে জুমার নামাজ আদায় করেন। এটাই ছিল ইসলামের সর্বপ্রথম জুমার নামাজ।

    ★প্রথম সারিয়্যাহ (যুদ্ধ দল):

    ঐ বৎসরের রমজান মাস,( মার্চ 623 খ্রিস্টাব্দ) হযরত হামযাহ্ রাঃ এর নেতৃত্বে আবু জেহেলের মোকাবেলার জন্য পাঠানো হয়। আবু জেহেল তিনশত লোকের একটি কাফেলাসহ শাম থেকে ব্যবসার পণ্য নিয়ে ফিরছিল । কিন্ত সংঘর্ষের কোন সুযোগ হয়নি।

    ★আল্লাহর রাস্তায় সর্বপ্রথম তীর:

    হযরত সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাসর রা. সর্বপ্রথম মুজাহিদ যিনি আল্লাহর রাস্তায় সর্বপ্রথম তীর নিক্ষেপ করেন। ঐ বৎসরের শাওয়াল মাসে, (এপ্রিল 623 খ্রিস্টাব্দ) হযরত আবু ওবায়দাহ ইবনুল হারিসের নেতৃত্বে মুসলমানদের সশস্ত্র পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আবূ সুফিয়ানের মুকাবেলায় 'বতনে রাগেব' নামক স্হানে গিয়েছিলেন।

    গাযওয়ায়ে ওয়াদ্দান:

    এটা সর্বপ্রথম গাযওয়াহ , যাতে স্বয়ং রাসূল সাঃ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এটাকে গাযওয়ায়ে আবওয়াও বলে। এখানে কোন যুদ্ধ হয়নি।

    সর্বপ্রথম গনিমত :

    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশের বাহিনিই সর্বপ্রথম সৈন্যদল যারা গনিমতের মাল লাভে সক্ষম হয়। এটা রজব মাসের 2য় হিজরিতে (5ই ডিসেম্বর 623 খ্রিস্টাব্দ) এক কুরাইশি কাফেলার জন্য 'নাখলা' নামক স্হানে গিয়েছিল।

    অন্যান্য ঘটনা
    1.1ম হিজরিতে মসজিদে কুবা অতঃপর মদীনাতে মসজিদে নববী নির্মিত হয়। কাদা-মাটির কাজে উভয় জাহানের বাদশা রাসূল সাঃ ও সাহাবিগণের সঙ্গে ছিলেন।
    2. আজানের তালীম।
    3. প্রসিদ্ধ ব্যক্তিগণের মধ্যে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম ও সালমান ফারসী রা. ইসলাম গ্রহণ করেন।

    ★দ্বিতীয় হিজরির গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহ :★

    1) দ্বিতীয় হিজরির 17 রমজান বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
    2)কিছুদিন পর রাসূল সাঃ এর কন্যা হযরত রোকাইয়্যা রা. ইন্তেকাল করেন, যিনি উসমান রা. এর স্ত্রী ছিলেন।
    3) বাইতুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে কা'বা ঘরকে মুসলমানদের কিবলা নির্ধারণ করা হয়।
    4) রোজা
    5) জাকাত
    6) সদকায়ে ফিতর
    7) ঈদ ও কোরবানি ঈদের নামাজ এবং
    8) কোরবানির হুকুম হয়।
    9) হযরত ফাতিমা যুহরা রা. এর বিবাহ আলি রা. এর সাথে হয়।

    ★ তৃতীয় হিজরি:★

    ওহুদের যুদ্ধ :
    অন্যান্য প্রসিদ্ধ ঘটনাসমূহ :
    1. গাযওয়ায়ে গাতফান। তবে এতে যুদ্ধ হয়নি। গোত্রপ্রধান দু'ছুর রাসূল সাঃ এর চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন।
    2. মদ্যপান হারাম হয়।
    3. হযরত হাফসাহ রাঃ এর সাথে সাবান মাসে রাসূল সাঃ এর বিবাহ হয়।
    4. হযরত যয়নব রাঃ এর সাথে রমজান মাসে বিবাহ হয়।
    5. হযরত হাসান রাঃ জন্মগ্রহণ করেন।

    ★ চতুর্থ হিজরির প্রসিদ্ধ ঘটনাসমূহ:★

    1) গাজওয়ায়ে বনি নযীর সংঘটিত হয়।
    2) এ বৎসর বীরে মাউনার ঘটনা সংঘটিত হয়।
    3) হযরত হোসাইন রা: জন্মগ্রহণ করেন।

    ★ 5 ম হিজরির প্রসিদ্ধ ঘটনাসমূহ :★

    1) 5ম হিজরির যীকাদাহ (5ই মার্চ 627 খ্রিস্টাব্দ) মাসে গাযওয়ায়ে খন্দক সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধকে গাযওয়ায়ে আহযাবও বলা হয়, যাতে খন্দক খনন করে মদীনাকে হেফাজত করা হয়।
    2) জিলহজ মাসে বনূ কুরাইযাকে অবরোধ করা হয়, যা 25দিন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।পরিশেষে বনূ কুরাইযাহ সা'দ ইবনে মু'আয রা. কে মিমাংসাকারী নিযুক্ত করে, ও তাঁর মিমাংসা অনুযায়ী তাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হয়।
    3) গাযওয়ায়ে যাতুররিকা সংঘটিত হয়।
    4) গাযওয়ায়ে দাওমাতুল জান্দালও
    5) গাযওয়ায়ে বনূ মুস্তালিক সংঘটিত হয়।
    6) জামাদাল উলা রাসূল সাঃ নাতি অর্থাৎ রোকাইয়্যার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওসমান ইন্তেকাল করেন।
    7) মদীনায় ভূমিকম্প হয়।
    8)চন্দ্রগ্রহণ হয়।
    9)জুমাদাল উলা মাসে হযরত উম্মে সালামা রা. এর সঙ্গে রাসূল সাঃ এর বিবাহ হয়।
    10) যীকাদাহ মাসে হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ রা. রাসূল সাঃ এর সম্মানিত স্ত্রীদের অন্তভুক্ত হন।

    ★ষষ্ঠ হিজরি ★

    1. সবচেয়ে বড় ঘটনা হোদায়বিয়ার সন্ধি ।
    2. (যিনি পরবর্তিতে সাইফুল্লাহ উপাদি প্রাপ্ত) খালেদ বিন ওয়ালিদ এবং হযরত আমর ইবনুল আস রাঃ ইসলাম গ্রহণ।
    3. দুনিয়ার বাদশাদের নিকট ইসলামের পত্রাবলী প্রেরণ।

    ★ সপ্তম হিজরি : ★

    1. খায়বর বিজয়
    2. খায়বর বিজয়ের পর 'ফিদাক'- এর ইহুদিরা ও ঐসকল শর্তের উপর সন্ধির করল।
    3. 7ম হিজরির যীকাদাহ মাসে (মার্চ 629 খ্রিস্টাব্দ ) হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্ত অনুযায়ী রাসুল সাঃ ও তার সাহাবিগণ মক্কায় পৌছে ওমরা অাদায় করেন।
    4. হযরত মাইমূনাহ রা. রাসুল সাঃ এর পবিত্র স্ত্রীদের মধ্যে অন্তভুক্ত হন।

    ★অষ্টম হিজরি:★

    1. "মূতা" : জুমাদাল উলা মাসে ( আগস্ট 629 খ্রিস্টব্দ) "মূতা" নামক জায়গায় রোমের খ্রিস্টানদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়।
    2. মক্কা বিজয়: 8ম হিজরি 10ই রমজান 1লা জানুয়ারি 630 খ্রিস্টব্দ রোজ সোমবার আসর নামাজের পর রাসূল সাঃ 10 হাজার ইসলামি সৈন্যর বাহিনী নিয়ে মক্কার অভিমুখে রওয়ানা হন।
    3. মক্কা বিজয়ের পর শাওয়াল মাসে গাযওয়ায়ে হুনাইন সংঘটিত হয়।
    অতঃপর তায়েফ অবরোধ করা হয়।

    ★নবম হিজরির কিছু ঘটনা :★
    1. তাবূক যুদ্ধ
    2. এ বৎসরেই আরবের বিভিন্ন গোত্রের প্রতিনিধি দল এসে নিজেরাও মুসলমান হন এবং অন্যান্যদের জন্যও ইসলামের প্রচারকারী হয়ে প্রত্যাবর্তন করেন।
    3. এ বৎসরই রাসূল সাঃ নিজে হজের ব্যবস্হাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আর তা বাস্তবায়নের জন্য আবুবকর সিদ্দীক রা. কে হজের আমীর বানিয়ে প্রেরণ করেন।
    4. এ সময়েই মুশরিকদের ব্যাপারে ইসলামের নীতিমালা ঘোষণা করা হয় । হজের সময় রাসূল সাঃ এর পক্ষ থেকে হযরত আলী রা. এ ঘোষণা প্রচার করেন।

    ★10ম হিজরির বিদায় হজ:★
    এ বৎসর স্বয়ং রাসূল সাঃ হজ করার জন্য তাশরিফ নিয়ে যান। 25 শে যীকাদাহ মোতাবিক 22 ফেব্রুয়ারি 632 খ্রিস্টাব্দ রোজ শনিবার জোহর নামাজের পর রওয়ানা হন। আর 4 ঠা জিলহজ মোতাবিক 3 রা মার্চ 632 খ্রিস্টাব্দ রোজ রবিবার মক্কা মুয়ায্যমায় পৌঁছেন।
    রাসূল সাঃ এর সাথে এক লক্ষাধিক সাহাবী ছিলেন।
    ★11তম হিজরি :★
    হযরত উসামা ইবনে যায়েদ রা. এর নেতৃত্বে শামের দিকে অগ্রবর্তী দল হিসেবে একটি বাহিনি প্রেরণ করা হয়। এই বাহিনি প্রথম মঞ্জিলে থাকতেই রাসূল সাঃ এর ইন্তেকাল হয়ে যায়।
    হযরত আবুবকর সিদ্দীক রা.খলিফা হন।তিনি সর্বপ্রথম দোজাহানের বাদশাহ এর ঐ ইচ্ছার পরিপূর্ণতা সম্পন্ন করেন।
    ওফাত:
    রাসূল সা: 29 সফর রোজ মঙ্গলবার এক জানাজা হতে প্রত্যাবর্তন করছিলেন। রাস্তায় তার মাথা ব্যথা শুরু হয়। ঘরে ফিরে আসার পর ভীষণ জ্বর আসে।এরপর 13 দিন অসুস্ত ছিলেন। 12 ই রবিউল আউয়াল 11 হিজরি মোতাবেক 8 ই জুন 632 খ্রিস্টাব্দ রোজ সোমবার চাশতের সময়
    اللهم بالرفيق الاعلى
    বলতে বলতে ওফাত প্রাপ্ত হন।
    انا لله وانا اليه راجعون
    ওসিয়ত: الصلوة الصلوة وما ملكت ايمانكم
    নামাজের পাবন্দী কর, নামাজের পাবন্দী কর, অধীনস্থ লোকদের হকের প্রতি লক্ষ রাখ।
    واخر دعوانا ان الحمد لله رب العالمين
    (তারীখুল ইসলাম)
    /.///////
    প্রশ্ন ঃ (1) রাসূল সাঃ ইন্তেকালের সময় (ঘোড়া, যুদ্ধাস্ত্র অর্থাৎ তরবারী , শিরস্ত্রাণ, লৌহবর্ম ইত্যাদি কি কি রেখে গেছেন?
    প্রশ্ন ঃ(2) এগুলো আমাদের জন্য
    لقد كان لكم في رسول الله اسوة حسنة لمن كان يرجو الله واليوم الاخر وذكر الله كثيرا
    (الاحزاب/٢١)
    উল্লেখিত আয়াত অনুযায়ী করণীয় এর অন্তভুক্ত হবে?
    না বর্জনীয় এর অন্তভুক্ত হবে?

  • #2
    আল্লাহ তা‘আলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      প্রশ্ন ঃ (1) রাসূল সাঃ ইন্তেকালের সময় (ঘোড়া, যুদ্ধাস্ত্র অর্থাৎ তরবারী , শিরস্ত্রাণ, লৌহবর্ম ইত্যাদি কি কি রেখে গেছেন?
      প্রশ্ন ঃ(2) এগুলো আমাদের জন্য
      لقد كان لكم في رسول الله اسوة حسنة لمن كان يرجو الله واليوم الاخر وذكر الله كثيرا
      (الاحزاب/٢١)
      উল্লেখিত আয়াত অনুযায়ী করণীয় এর অন্তভুক্ত হবে?
      না বর্জনীয় এর অন্তভুক্ত হবে?
      উওরের অপেক্ষায় আছি ইনশা'আল্লাহ।

      Comment


      • #4
        হেড লাইন "রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংক্ষিপ্ত জীবনী"
        রাসুল (সা.)-এর ব্যবহৃত তরবারি������

        প্রশ্ন ঃ (3) আপনি কি জানেন ?
        রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাবহারিত ঘোড়া, যুদ্ধাস্ত্র অর্থাৎ তরবারী , বর্শা ,শিরস্ত্রাণ, লৌহবর্ম ইত্যাদি এগুলো কি কি ?


        ★ ঘোড়া পৃঃ (228)

        রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাবহারিত ঘোড়ার সমুহ

        1) সাকাব : ওহুদ যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ সা. তার উপর সওয়ার ছিলেন। এর কপালও তিন হাত,পা ছিল সাদা বর্ণের। শরীরের রং ছিল কালো মিশ্রিত লাল বর্ণের। (অর্থাৎ উন্নাব ফলের ন্যায়। ডান হাত ছিল শরীরের বর্ণের। ঘোড়-দৌড়ের সময় একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর আরোহণ করেছিলেন। তখন সে সবাইকে অতিক্রম করে অাগে চলে গিয়েছিল। এটাই ছিল প্রথম ঘোড়া , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার মালিক হয়েছিলেন।
        2) মুরতাজিব: এটি ছিল ধূসর বর্ণের। অর্থাৎ কালো মিশ্রিত সাদা বর্ণের।
        3) লাহীফ : রাবীয়া যা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন।
        4) লিযায: মুকাওকিস যা হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন।
        5) যরব বা তরব :ফারওয়াহ জুযামী হাদিয়া হিসেবে পাঠিয়েছিলেন।
        6) সাবহা : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামানি বনিকদের থেকে এটা ক্রয় করেছিলেন । তিনবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড় দৌড়ের প্রতিযোগিতায় এর উপর চড়েছিলেন এবং বিজয় লাভ করেছিলেন।
        রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিঠে হাত চাপড়ে বলেছিলেন, 'বাহরুন' (সমুদ্র)! অর্থাৎ দ্রুতগামী সম্পন্ন দীর্ঘদেহী ঘোড়া সমুদ্রের মতো যা বয়ে চলে।
        7) ওয়ারদ : তামীম দারী যা উপহার দিয়েছিলেন।
        8) যারিস
        9) মালাবিহ
        10) নাম যানা নেই।
        কোন কোন বর্ণণায় 15 টির কথাও এসেছে।



        ★ তরবারী


        মুলঃ মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

        বীরত্ব রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জীবনে একাধিক যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন এবং সত্য ও সুন্দরের পক্ষে বারবার তাঁর বীরত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
        তাঁর বীরত্বের অন্যতম নিদর্শন তাঁর ব্যবহৃত তরবারিগুলো। রাসুল্লাহ (সা.)-এর ব্যবহৃত ৯টি তরবারির পরিচয় তুলে ধরা হলো।


        1) আল মাছুর : এটি রাসুল (সা.)-এর প্রথম তরবারি, যা তিনি ওয়ারিশ সূত্রে পেয়েছিলেন। তরবারির ওপর খোদাই করে লেখা ছিল আবদুল্লাহ ইবনে মুত্তালিব। এর দৈর্ঘ্য ছিল ৯৯ সেন্টিমিটার। ব্লেডের দৈর্ঘ্য ছিল ৮১ সেন্টিমিটার। আর হাতল ছিল ১৪ সেন্টিমিটারের। নান্দনিক এই তরবারির প্রস্থ ছিল ৪ সেন্টিমিটার, যা উপরিভাগে গিয়ে ৩.৫ সেন্টিমিটার হয়ে গেছে।



        2) আল কাদিব : এটি ছিল লোহার তৈরি অত্যন্ত মজবুত তরবারি।

        এর দৈর্ঘ্য ছিল ১০০ সেন্টিমিটার। প্রস্থ ছিল ২.৮ সেন্টিমিটার। এই তরবারির ব্লেড ছিল তুলনামূলক চিকন, যার উপরিভাগ ছিল মাত্র ২.২ সেন্টিমিটার। মজবুত এই তরবারিকে সঠিকভাবে চালানোর জন্য ছিল ১৪ সেন্টিমিটার হাতল। শুধু ব্লেডের দৈর্ঘ্য ছিল ৮৬ সেন্টিমিটার।


        3) আল আদব : এই তরবারি সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) ওহুদের যুদ্ধ চলাকালে রাসুল (সা.)-কে উপহার দিয়েছিলেন। এর আগে এই তরবারি দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন বিশিষ্ট সাহাবি আবু দুজানা (রা.)। বর্তমানে এটি কায়রোর জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।



        4) জুলফিকার : এটি রাসুল (সা.)-এর ব্যবহৃত তরবারিগুলোর মধ্যে অন্যতম। ওহুদের যুদ্ধে রাসুল (সা.) এই তলোয়ার ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী (রা.)-কে উপহার দেন। ইসলামী ইতিহাসের সূত্র থেকে জানা যায়, ওহুদের যুদ্ধে মক্কার সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধার ঢাল ও শিরস্ত্রাণ এক আঘাতে দ্বিখণ্ডিত করেন আলী (রা.)। এই আঘাতে তার তরবারিও ভেঙে যায়। এই ঘটনার পর রাসুল (সা.) তাঁর ‘জুলফিকার’ নামের নিজ তরবারি আলী (রা.)-কে দেন। এই তরবারির দৈর্ঘ্য ছিল ১০৪ সেন্টিমিটার, যার মধ্যে ব্লেডের অংশ ছিল ৮৯ সেন্টিমিটার। এর হাতল ছিল অন্যান্য তরবারির তুলনায় হালকা ও বড়, ১৫ সেন্টিমিটার। মজবুত এই তরবারির প্রস্থও ছিল কিছুটা মোটা, ৬ সেন্টিমিটার, যার উপরিভাগ ছিল ৪.৫ সেন্টিমিটার। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর তরবারির বাঁটের অগ্রভাগ ছিল রুপার তৈরি। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ৮১)। হাদিসবিশারদদের মতে, তরবারিটি ‘জুলফিকার’। মক্কা বিজয়ের দিন এটি রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিল।



        5) আল কুলায়ি : বনু কাইনুকা থেকে গনিমতস্বরূপ রাসুল (সা.) যে তিনটি তরবারি পেয়েছিলেন, এটি তার একটি। এটি সাধারণত ভ্রমণকালে নিরাপত্তার জন্য তা ব্যবহার করা হতো। যুদ্ধের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হতো না। হাতলসহ এই তরবারির দৈর্ঘ্য ১১৪ সেন্টিমিটার, যার মধ্যে ব্লেড ছিল ৯১ সেন্টিমিটার। তরবারিটির প্রস্থ ছিল ৫.৫ সেন্টিমিটার, যা উপরিভাগে গিয়ে ৪.৫ সেন্টিমিটার হয়ে যায়।



        6) আল হাত্তাপ : এটি রাসুল (সা.)-এর সবচেয়ে ভারী তরবারি, যা যুদ্ধের জন্য বেশ উপযোগী ও কার্যকর। এটিও বনু কায়নুকা গোত্র থেকে পাওয়া গনিমতের মধ্যে ছিল। হাতলসহ এই তরবারির দৈর্ঘ্য ১১৩ সেন্টিমিটার, যার ব্লেড ছিল ৯৮ সেন্টিমিটার। ধারালো এই তরবারির প্রস্থ ছিল ৮ সেন্টিমিটার, যা উপরিভাগে ৬ সেন্টিমিটারে শেষ হয়েছে।



        7) আর রাসুব : এটি এমন একটি তরবারি, যা রুপা দিয়ে মোড়ানো ছিল। এটি রাসুল (সা.)-এর তরবারিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লম্বা, যার দৈর্ঘ্য ছিল ১৪০ সেন্টিমিটার। অনেকের ধারণা, এটি ছিল জাফর সাদিক (রা.)-এর তরবারি।



        8) আল বাত্তার : রাসুল (সা.)-এর এই তরবারির ওপর খোদাই করে লেখা ছিল ‘আল কিসাস’ (মৃত্যুদণ্ড) এবং ‘সাইফুল আদল’ (ন্যায়ের তরবারি)। এ ছাড়া সেই তরবারিতে ছিল নান্দনিক নকশা।



        9) আল মিখজাম : রুপায় মোড়ানো ছিল আল মিখজাম, যা রাসুল (সা.) বিভিন্ন সময় ব্যবহার করেছেন।

        ★ বর্শা :
        1) মাছওয়া।
        2) মুনছানী।
        3) এক ধরনের বর্শা নাম 'হারবা', যাকে নাই'আ বলে।
        4) একটি ছোট বর্শা। নাম ছিল গামরা। তা রোজার ঈদে ও কুরবানির ঈদে আগেই নিয়ে যাওয়া হত এবং নামাজের সময় সামনে গেড়ে সুতরা বানানো হতো। আবার কখনো কখনো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা নিয়ে চলাফেরা ও করতেন।
        5) বর্শার নামটি বাইযা, যা একটি বড় আকারের বর্শা ছিল।


        ★ শিরস্ত্রাণ :
        1) মুওয়াশশাহ্।
        2) যুস সবূগ।


        ★ লৌহবর্ম : (231)

        1) যাতুল ফুযূল : এটা ঐ লৌহবর্ম যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন পরিবারের লোকদের খাবারের ব্যবস্হার জন্য ত্রিশ সা' অর্থাৎ আড়াই মণ শষ্যের বিনিময়ে আবু শাহম নামক ইয়াহুদির নিকট এক বৎসরের জন্য বন্ধক রেখেছিলেন ।এটাও বর্ণিত আছে যে হুনাইনের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাই পরিধান করেছিলেন।
        2) যাতুল বিশাহ্।
        3)যাতুল হাওয়াশী।
        4) সা'দিয়া।
        5) ফিয্ যা। এ দু'টি লৌহবর্ম বনী কায়নুকা-এর মালের মধ্যে পাওয়া যায়।
        6) তিবরা।
        7) খারীক।

        (231পৃঃ)

        প্রশ্ন ঃ (1)
        ঘোড়া, তরবারি, বর্শা, শিরস্ত্রাণ, লৌহবর্ম এগুলো সুন্নাতের অন্তভুক্ত নয় কি?

        প্রশ্ন ঃ (2) উক্ত সুন্নাত আমল আছে কি?

        Comment


        • #5
          "রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংক্ষিপ্ত জীবনী"

          Comment

          Working...
          X