Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৯ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৭ই নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৯ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৭ই নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ভারতে জীবন্ত কন্যাশিশুকে তার হিন্দু বাবা-দাদা মিলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা!


    এ যেন আইয়্যামে জাহেলিয়াত! জীবন্ত কন্যাশিশুকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল তারই বাবা আর দাদা। কিন্তু ঘটনাটি এক সিএনজি চালকের নজরে পড়ায় বেঁচে গেছে শিশুকন্যাটি। গতকাল এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে।

    স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, বৃহস্পতিবার নবজাতক শিশুটিকে একটা কাপড়ের পুটলিতে মুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল শিশুটির বাবা ও দাদা মিলে। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো অসহায় শিশুটিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা। এ সময় জুবিলি বাস স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক তাদের দেখে ফেলে। ওই দুজনের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সে তাদের পিছু নেয়। এসময় দেখে তারা পুটলিটা নিয়ে ঝোপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পৌঁছে তারা গর্ত খুঁড়তে শুরু করে। সিএনজি চালক বলেছে, দেখলাম বুড়ো লোকটা কাপড়ের পুটলিটা নিয়ে ঝোপের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তার সাথের লোকটা গর্ত খুঁড়ছে। আমি তাদের চিৎকার করে থামতে বললাম। কিন্তু তারা আমাকে পাত্তা দিল না। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করলাম।

    পুলিশকে দেখেই ভয় পেয়ে করিমনগর জেলার দুই বাসিন্দা জানায়, ওই শিশুকন্যা তাদের নাতনি। তারা আরো দাবি করে, জন্মের সময় শিশুটি মারা গেছে। তাই শিশুটিকে দাহ করার জন্য তারা এখানে নিয়ে এসেছে। গর্ত খুঁড়ে শিশুটিকে পুড়িয়ে চাপা দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য।

    এসময় হঠাৎ শিশুটি কেঁদে উঠে। তখন পুটলি খুলে দেখা গেল শিশুকন্যাটি এখনও জীবিত।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/07/28569/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে জড়িত ছিল তৎকালীন মালাউন প্রধানমন্ত্রীও!


    ভারতে মুসলিমদের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে রক্ষা করা যেত, যদি সেই সময়কার হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী মালাউন পিভি নরসীমা রাওয়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকত। এমনটাই মন্তব্য করেছে সেই সময়কার দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব মাধব গোটবোলে।

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার আগেই এক ব্যাপক পরিকল্পনা করেছিল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তা গ্রহণ করেনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। নিজের বইয়ে এমনটাই দাবি করেছে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব গোটবোলে। অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে তার নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে।

    সেখানে মাধব গোটবোলে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর পর্যায়ে যদি রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হত, তাহলে বাবরি ধ্বংস এড়ানো যেত।

    তবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে প্রাক্তন এই আমলা বলেছে, এই ঘটনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে দুর্ভাগ্যবশত সে নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবেই থেকে গিয়েছে।

    প্রাক্তন এই আমলার অভিযোগ, রাও ছাড়াও প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী রাজীন গান্ধী এবং ভিপি সিং-ও মসজিদ নিয়ে সময় মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি।

    কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী দিয়ে বাবরি মসজিদ ঘিরে ফেলে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেত বলেও মন্তব্য করেছে। তার জন্য সন্ত্রাসী করসেবা শুরু হওয়ার প্রস্তাবিত দিনের অনেক আগেই কাজ শুরু করা যেত।

    লেখক আরও বলেছে, সেই সময়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল মালাউন কল্যাণ সিং সরকারকে। সেই মালাউন সরকারই সন্ত্রাসী কর সেবকদের আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ করে দেয়।

    সূত্র: ওয়ানইন্ডিয়া ডটকম


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/07/28563/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মালাউন নমোর আগ্রাসনে “কাশ্মীর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল”


      ইতিহাস অতি নির্মম বিচারক। এই বিচারে আবেগের স্থান নেই। আবেগ, কূটকৌশল আর হেডলাইন বদলিয়ে এই বিচার পরিবর্তন করা যায় না। দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া হিন্দুত্ববাদী নেতা নরেন্দ্র মোদি নিজেকে ইতিহাসের এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চান, যেখানে তিনি ভারতের পুনরুদ্ধারকারী হিসেবে এবং দেশকে হ্যাশট্যাগ নিউইন্ডিয়া হিসেবে গড়ে তোলার কারিগর হিসেবে বিবেচিত হবেন।

      মোদি ইতিহাসে জায়গা পাবে ঠিকই, কিন্তু এমন নেতা হিসেবে যে বহু-সাংস্কৃতিক ও বহু-বিশ্বাসের একটা সভ্যতাকে দ্রুত বদলে দিতে চেয়েছে, যেখানে আসলে চরমপন্থী জাতীয়তাবাদী সমাধান কখনও কার্যকরী হবে না।

      মোদি আর তার সহযোগী কেন্দ্রীয় উগ্র নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একতরফাভাবে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেয়া ছিল। মোদি আর শাহ এমনকি জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটো আলাদা ইউনিয়ন অঞ্চল গঠন করেছে।

      প্রায় একশ দিন ধরে কাশ্মীরের সাবেক তিনজন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, ওমর আব্দুল্লাহ আর মেহবুবা মুফতি বাকি কাশ্মীরীদের সাথে বন্দি হয়ে আছেন। অবরুদ্ধ অবস্থার পাশাপাশি সেখানে ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

      ভারতীয় নাগরিকদের অবরুদ্ধ করে রাখাটা কিভাবে ভারতের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ – সে প্রশ্নটা মোদি সরকারের কাছে করছে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। ক্রমেই মনে হচ্ছে যে, ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যটিকে নিয়ে মোদির সরকারের খেলা শেষ করার কোন পরিকল্পনা নেই।

      সরকারের বড় ধরনের অন্যায়কৃত এই পদক্ষেপের পর কাশ্মীর ইস্যুটি এখন আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে।

      এই পরিস্থিতিটা আরও কুৎসিত হয়ে গেছে, যখন সংবাদের শিরোনাম বদলের অদক্ষ চেষ্টা চালানো হয়েছে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের এক ডজনের বেশি কট্টর ডানপন্থী সদস্যদের সম্প্রতি কাশ্মীর সফরে নিয়ে যাওয়া হয় যেটার সমাপ্তি হয় শিকারাতে আনন্দ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে। এই ‘ভ্রমণের’ আয়োজন করেছিল ‘আন্তর্জাতিক বিজনেস ব্রোকার’ মাদি শর্মা, যার পেছনে মোদি সরকারের হাত রয়েছে।

      এই ডানপন্থী সদস্যদের ভ্রমণের বেলুনটি অবশ্য পুরোটাই ফেটে গেছে যখন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল চলতি সপ্তাহে ভারত সফরের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেন। মার্কেল বলেছে, “কাশ্মীর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল” এবং সেখানে “অবরুদ্ধ অবস্থাটি সঠিক নয়”।

      নজরদারি

      মালাউন মোদির সর্বসাম্প্রতিক আঘাত হলো প্রায় ১৫০০ মানুষের উপর ইসরাইলি যুদ্ধ সরঞ্জাম – পেগাসাস দিয়ে নজরদারি চালানো। এই উৎপাদনকারীরা বলেছে, তারা এটা শুধু সরকারের কাছেই বিক্রি করে থাকে।

      ভারতীয় নাগরিকদের উপর নজরদারির ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম রয়েছে। যেখানে বলা আছে যে, এ জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের লিখিত অনুমতি লাগবে এবং সেই অনুমতি দেয়ার জন্য বেশ কয়েকটি সংস্থার সুপারিশ থাকতে হবে। অধিকার কর্মী, সাংবাদিক, বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ ও বিচারকদের হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টে এই নজরদারির বিষয়টি খুবই কেলেঙ্কারির ব্যাপার।

      ভারতের জনগণের কাছে মোদির কোন দায় নেই। এখন পর্যন্ত সে এ কথা জানাতে অস্বীকার করে এসেছে যে, কে তাকে রুপির নোট বিলুপ্ত করার পরামর্শ দিয়েছিল। তার এই অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে অর্থনীতিরই শুধু ক্ষতি হয়নি, বরং রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া তাদের দুজন যোগ্য গভর্নরকে হারিয়েছে। আরবিআইয়ের যে স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা ছিল বিশ্বে, সেটাও ধুলায় মিশে গেছে। একই সাথে মোদির অধীনে ভারত সরকার যে সব অর্থনৈতিক তথ্য দিচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারেও আস্থা হারিয়ে গেছে মানুষের।

      কাশ্মীরের অবরুদ্ধ অবস্থা, নজরদারি কেলেঙ্গারি আর সরকারের নানান দাবি সত্বেও অবনতিশীল অর্থনীতি – সব মিলিয়ে ভারত ক্রমেই একটা মালাউন সন্ত্রাসীদের পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে উঠছে।

      ইতিহাস মোদিকে কিভাবে স্মরণ করবে? সেই রায় হয়ে গেছে।

      সূত্র: গালফ নিউজ


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/07/28540/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে গোমাংস খাওয়া মহা পাপ তাই কুকুরের মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিল সন্ত্রাসী দল বিজেপির দিলীপ ঘোষ !


        রাস্তার পাশের স্টলে যারা গোমাংস খেয়ে যারা নিজেদের গর্ববোধ করেন, তাদের কুকুরের মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিল পশ্চিমবঙ্গের সন্ত্রাসী দল বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

        গত সোমবার বর্ধমান জেলায় ‘গোপা অষ্টমী কার্যক্রম’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সে এ কথা বলেছে।

        দিলীপ ঘোষ বলেছে ‘কিছু কিছু বিদ্বজন আছেন যারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরুর মাংস খান। আমি তাদের বলবো কুকুরের মাংস খেতে। তারা যে প্রাণীর মাংসই খান না কেন তাদের শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।



        দিলীপ ঘোষ বলেছে ‘গরু হল আমাদের মা। গরুর দুধ খেয়েই আমরা বেঁচে থাকি। কোন ব্যক্তি যদি আমাদের মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে, তবে তাদেরকে যেভাবে সায়েস্তা করতে হয় আমি ঠিক সেভাবেই সায়েস্তা করবো। ভারতের এই মাটিতে গরু হত্যা করা ও গোমাংস খাওয়া একটা অপরাধ। এটা একটা মহা পাপ।’

        আসলে সন্ত্রাসীরা গোরক্ষাকে মুসলিম হত্যার একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। পশ্চিমবঙ্গের সন্ত্রাসী দল বিজেপির সভাপতি এই দিলীপ ঘোষই কিছুদিন আগে ঘোষণা দিয়েছে বিদেশি গরু আমাদের গোমাতা নয়। ফলে বিশ্লেষকগণ মনে করছেন ভারতের হিন্দুত্ববাদিরা গরুকে মা বলে প্রচার করে এটাকে মুসলিম হত্যা করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। অন্যথায় একই গরু বিদেশী হলে মা হবে না কেন? যদিও এগুলো সবই হিন্দুদের ভ্রান্ত বিশ্বাস। কেননা গরু কখনোই মানুষের মা হতে পারে না।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/07/28541/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          স্কুলের মালামাল লুটে নিল সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা


          বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মরচিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল লুটে নিয়েছে আশরাফুল কবির রানা নামে স্থানীয় সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের এক নেতা। সে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।

          আজ সোমরার দুপুরের দিকে সে ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন থেকে চেয়ার, বেঞ্চ, টেবিল, ঢেউটিনসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল লুটে নেয়। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছেন।

          অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মরিচতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি অপসারণের জন্য সরকারিভাবে নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সভাপতি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে (টিও) সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিলাম ডাকের কমিটি গঠন করা হয়। ওই পুরাতন ভবনটির সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৮৪ হাজার টাকা। গত ৩১ অক্টোবর নিলাম ডাকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল কবির রানা ১ লাখ ১৮ হাজার টাকায় ভবনটি নেয়।

          এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন বলেন, আশরাফুল কবির রানা বিদ্যালয়ে পৌঁছে পুরাতন ভবনে রক্ষিত নিলাম ডাকের বহির্ভূত এক হাজার ইট, ৬ বান্ডিল ঢেউটিন, ১২টি বেঞ্চ, ২টি চেয়ার ও ২টি টেবিল নিয়ে যায়। এসব মালামাল নেওয়ার সময় বাধা দিলে রানা ও তার লোকজন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে। ফলে আমি বিদ্যালয়ের মালামাল রক্ষা করতে পারিনি।

          তবে এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

          ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিলাম ডাক কমিটির সভাপতি রাজিয়া সুলতানা বলেন, এ ঘটনাটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/07/28560/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            খাদ্যগুদামের গেট বিক্রি করল সন্ত্রাসী আ. লীগ নেতা


            রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলা খাদ্যগুদামের পুরনো লোহার প্রধান গেট বিক্রি করে দিল সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলী। পরে খাদ্যগুদামের কর্মকর্তারা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ১৯০ কেজি ওজনের সেই গেটি উদ্ধার করে।

            এ ঘটনায় দুর্গাপুর উপজেলায় ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে। ওই সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলার ধরমপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

            জানা গেছে, উপজেলা খাদ্য গুদামের প্রধান গেট নতুন করে স্থাপন করা হয়। এর পরে পুরনো গেটটি গুদাম চত্বরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। গত শনিবার সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের নেতা রুস্তম আলী তার কর্মীদের দিয়ে সেই গেটটি গুদাম চত্বর থেকে গাড়ি যোগে তুলে নিয়ে থানা মোড়ে অবস্থিত সেলিম নামের এক ভাংড়ি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। এর পরে বিষয়টি নিয়ে সবার মাঝে সমালোচনা দেখা দেয়।

            পরে উপজেলা খাদ্যগুদামের ইনচার্জ (ওসিএলএসডি) আফরোজা বেগম গতকাল সোমবার দুপুরে সেই ভাংড়ি দোকান থেকে ওই গেটটি উদ্ধার করেন। তবে ১৯০ কেজি ওজনের ওই গেটটি খাদ্য গুদাম হতে কিভাবে বাহিরে গেল তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া।

            অনেকে মনে করছেন গেটটি বিক্রির পেছনে ওই গুদাম কর্মকর্তার যোগসাজ রয়েছে।

            এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ছালাম বিশ্বাস বলেন, পুরনো লোহার গেট সম্পর্কে তার দপ্তরের খাদ্যগুদামের ইনচার্জ জানেন। তিনি গেট বিষয়ে কিছুই জানেন না, তবে সেই গেটটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/07/28557/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              সন্ত্রাসী আ’লীগ নেতার কাছে লাঞ্চিত হয়ে আত্মহত্যা করল গরীব কৃষক


              ফেনীর পরশুরামে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতার পিটুনি খেয়ে অপমানে আত্মহত্যা করেছেন আবু আহাম্মদ (৫০) নামে এক কৃষক। মঙ্গলবার তার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

              সোমবার রাতে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের কাউতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আবু আহাম্মদ উপজেলার কাউতলী গ্রামে মৃত রাজা মিয়ার ছেলে।

              নিহতের স্ত্রী রহিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে ধানক্ষেতে ওষুধ দেয়াকে কেন্দ্র করে মির্জানগর ইউনিয়ন ওয়ার্ড সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মদ তার স্বামী আবু আহাম্মদকে অফিসে ডেকে নিয়ে বটতলী বাজারে প্রকাশ্যে মারপিট করে।

              একপর্যায়ে আবু আহাম্মদ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা তার মোবাইল ফোন দিয়ে আবুকে অফিসে পাঠানোর জন্য তাকে হুমকি দেয়। জবাবে স্বামী বাড়িতে নেই জানালে ফিরোজ লোকজন পাঠিয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার হুমকি দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে।

              পরে রাত ১০টার দিকে আবু আহাম্মদের লাশ বাড়ির পেছনে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলতে দেখে পরিবারের লোক পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

              মির্জানগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মহিউদ্দিন ছুট্টো জানান, নিহত আবু আহাম্মদ পেশায় একজন কৃষক। সে বিভিন্ন জনের ধানখেতে ওষুধ দেয়ার কাজ করত। ফিরোজের সঙ্গে ওষুধ দেয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছে। রাতে আবু আহাম্মদের স্ত্রীকে একাধিকবার ফোন দিয়েছে বলে নিহতের স্ত্রী অভিযোগ করেন।

              পরশুরাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তার স্ত্রী বা পরিবারের কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/07/28554/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                নববধূ কলেজছাত্রীকে পিটিয়ে এসআই’র ১০ হাজার টাকা’চাঁদাবাজি’!


                বগুড়ার গাবতলীতে ১০ হাজার টাকার দাবিতে রাত ১০টায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নববধূ কলেজছাত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে। গত রবিবার রাতে উপজেলার মধ্যখুপি গ্রামে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।

                চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত ওই গৃহবধূর অবস্থা গুরুতর। নির্যাতিত গৃহবধূ মনিরা আক্তার গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী। সম্প্রতি ইমরানকে বিয়ে করেন মনিরা। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন গাবতলী থানার এসআই সন্ত্রাসী রিপন মিয়া।

                নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মনিরা আক্তার বর্তমানে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

                মনিরার অভিযোগ, তাঁর বাবা তাদের বিয়েতে প্রথমে অমত ছিলেন। তাই মূলত পুলিশ দিয়ে ইমরানকে হয়রানি করতে চেয়েছিলেন।

                জাহিদুল ইসলামের লিখিত অভিযোগের তদন্তভার পায় গাবতলী থানার এসআই রিপন মিয়া। সে তদন্তকাজের অংশ হিসেবে ইমরান ও মনিরার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রকৃত ঘটনা জানে। এরপর বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে অভিযোগকারী মনিরার বাবা জাহিদুল ও ইমরান দুজনের কাছ থেকেই মাঝে মাঝেই টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে বলে অভিযোগ করেন মনিরা।

                একসময়ে ইমরানের বাসাতেই গ্রামের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। খবরটি জানতে পেরে এসআই রিপন পুলিশ ফোর্স নিয়ে রবিবার রাত ১০টার দিকে ইমরানের বাড়ি ঘেরাও করে। এরপর ঘরের দরজা লাথি মেরে ভেঙে প্রবেশ করে নববিবাহিত দম্পতির ঘরে। এ সময় রিপন মনিরার বাবার অভিযোগের তদন্তকারী হিসেবে কেন তাঁকে না জানিয়ে তারা এখানে এসেছে তা জানতে চায় মনিরার কাছে। মনিরা কারণ জানালে, ক্ষুব্ধ হয়ে এসআই রিপন মিয়া বলেন, ‘ঠিক আছে ভালো কথা, এখন ১০ হাজার টাকা দে। ’ এই বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। মনিরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সন্ত্রাসী রিপন মিয়া আরো ক্ষুব্ধ হয়ে মনিরাকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। এর একপর্যায়ে মনিরাকে লাঠিপেটা করে এই সন্ত্রাসী এস আই। এ সময় মনিরার স্বামী ইমরান তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়।

                এই দম্পতির চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে চাঁদাবাজ এসআই রিপন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। মাঝ রাতেই আহত অবস্থায় মনিরাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

                বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সামসুজ্জামান জানান, মনিরার শারীরিক আঘাত বেশ গুরুতর। তাঁকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/07/28548/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  আইন শৃংখলার চরম অবনতি, অক্টোবরেই ধর্ষণের ঘটনা ১৮৩


                  ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসেই দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৮৩টি। এ ছাড়া ৪৬৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

                  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের এই প্রতিবেদন তৈরি করে। এসব প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ২ জন। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৩০ জনকে।

                  বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪ জন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৭ জন। অ্যাসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন, অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৫টি। নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছে ৩ জন। পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ২ জনকে। বিভিন্ন কারণে ৪৫ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আর ৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৯ জনকে। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৯ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার শিকার হয়েছে ২ জন। ৫৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ১৯ জনকে। বেআইনি ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে ২টি। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ জন। ২০টি অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

                  সুত্রঃ প্রথম আলো


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/07/28545/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X