Announcement

Collapse
No announcement yet.

সালাফদের আত্মশুদ্ধিমূলক অমূল্য বাণী : 24

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সালাফদের আত্মশুদ্ধিমূলক অমূল্য বাণী : 24

    70 : আমি বহুবার পরিক্ষা করে দেখেছি
    ‏قال الضياء المقدسي : ‏أوصاني العماد المقدسي فقال : ‏أكثر من قراءة القرآن ولا تتركه ‏فإنه يتيسر لك الذي تطلبه على قدر ما تقرأ‏ ، ‏قال : ‏فرأيت ذلك وجربته كثيراً ‏فكنت إذا قرأت كثيراً تيسر لي من سماع الحديث وكتابته الكثير ‏وإذا لم أقرأ لم يتيسر لي .ذيل طبقات الحنابلة : ٣/٢٠٥
    একবার শাইখ ইমাদুদ্দিন মাকদিসি রহ. আমাকে উপদেশ দিয়ে বললেন, (প্রতিদিন) বেশি পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করবে। কিছুতেই যেন তেলাওয়াত না ছুটে। কারণ, তুমি যা অন্বেষণ করছো তা তোমার জন্য সেই পরিমাণ সহজ হবে যেই পরিমাণ তুমি কোরআন তেলাওয়াত করবে। (বেশি হলে বেশি। কম হলে কম) এরপর আমি বহুবার পরিক্ষা করে দেখেছি, যখনই তেলাওয়াত বেশি করতাম তখন বেশি পরিমাণে হাদিস শোনা ও লেখা আমার জন্য সহজ হতো। আর যখন তেলাওয়াত না করতাম (বা কম করতাম) তখন হাদিস শোনা ও লেখা ওরকম সহজ হতো না।-শাইখ জিয়াউদ্দিন মাকদিসি রহ.
    _______________________________

    71 : যে নেয়ামতটি সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে উপকারী
    ٱلرَّحْمَٰنُ عَلَّمَ ٱلْقُرْءَان
    لَمَّا كَانَتْ هَذِهِ السُّورَةُ لِتَعْدَادِ نِعَمِهِ الَّتِي أَنْعَمَ بِهَا عَلَى عِبَادَه قَدَّمَ النِّعْمَةَ الَّتِي هِيَ أَجَلُهَا قَدْرًا ، وَأَكْثَرُهَا نَفْعًا ، وَأتَمُّهَا فائدة ، وَأَعْظَمَهَا عائدة : وَهِيَ نِعْمَةُ تَعْلِيمِ القُرآن .فَإنهَا مَدَارَ سَعَادَةِ الدَّارَيْنِ وَقُطْب رَحَى الخَيْرَيْنِ ، وَعِمَاد الأَمْرَيْنِ .
    করুনাময় আল্লাহ। তিনি কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষ সৃষ্টি করেছেন। সূরা আর রহমান :1-3 আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে যতো নেয়ামত দিয়েছেন এ সূরায় (সূরা আর রহমানে) তিনি তা উল্লেখ করেছেন। ওসব নেয়ামতের মধ্যে যে নেয়ামতটি সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে উপকারী, যার উপকারিতা পূর্নাংগ ও ব্যাপক তা হল, কোরআন শিক্ষা দানের নেয়ামত। এ নেয়ামতের কথা তিনি অন্য সব নেয়ামতের আগে (সূরার একদম শুরুতে এমনকি মানুষকে সৃষ্টি করার কথা বলারও আগে) উল্লেখ করেছেন। এর কারণ, এ নেয়ামতটিই হল ইহকাল ও পরকালের সৌভাগ্যের মূলভিত্তি এবং উভয় জগতের কল্যাণের বুনিয়াদ ও কেন্দ্রবিন্দু।- ইমাম শাওকানী রহ.
    _______________________________

    72 : দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত
    حضور القلب عند الدعاء شرط للإجابة أكثر دعاء الناس : {اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ ومع ذلك يَضِلُّون؛ لأن دعاء اللسان بلا حضور الجنان هذيان .
    দোয়ার সময় অন্তরের উপস্থিতি দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত। মানুষ সবচেয়ে বেশি যে দোয়াটি করে তা হল,
    {اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ }
    আমাকে সিরাতে মুস্তাকিম তথা সরল পথ দেখান।
    তা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ বিপথগামী। এর কারণ, অন্তরের উপস্থিতি ছাড়া শুধু ‘মুখের দোয়া’ তেমন কোনো ফল বয়ে আনে না। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা কোনো গাফেল, উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না। জামে তিরমিযী : 3479) -শাইখ আব্দুল আজিজ আত তারিফী হাফি.
    _______________________________
    হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

  • #2
    আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কসম, আপনার দেয়া এই পয়েন্টগুলা আমি নিজে বেশ কিছুদিন যাবৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। ইন শা আল্লাহ ভবিষ্যতে এগুলা নিয়ে একটা পোস্ট দিব।

      এখন যা বলার:

      ১) জী, আমি নিজে দেখেছি। কুরান পড়লেই আমার মন পুরা লাফাতে আর নাচতে শুরু করে। তাই এখন আর মন খারাপই হয় না, কারণ আয়াত যপতে থাকি কম-বেশ। এবং হাদিসে কুরানকে কলবের বসন্ত ঋতু ও বুকের নূর বানানোর একটা দোয়া আছে। আমি এটা অনেকদিন ধরেই পড়তাম, কিন্তু আগে ফল না পেলেও এখন ফল দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কসম।

      ২) জী, মুজাহিদ হিসাবে আমরা যত উন্নতি করতে থাকি, ততই সব কিছু অতি তুচ্ছ মনে হতে থাকে। এমনকি স্ত্রীর সাথে সময় কাটাতে পারা, বিয়ে করতে পারাও তখন তেমন আনন্দের কিছু মনে হয় না। জীবনটা পাইনসা লাগে। কারণ, লাভ কি, আমার উদ্দেশ্য আল্লাহর সাথে দেখা করা, বউয়ের সাথে কথা বললে কি সেই শখ মিটে? (আমি অবিবাহিত)

      তো এখন বেঁচে থাকব কিভাবে, যদি কিছুই ভাল না লাগে? মরতেও তো মনে হয় অনেক দেরি। তখন আমি দেখলাম, যে না, আমাদের জীবন দীর্ঘ কারণ জীবনে অনেক কিছু করতে হবে। কিন্তু আল্লাহ সফরে পাথেয় দিয়ে দিয়েছেন। আর সেটা হল কুরান। বিষয়টা এমন, "(যেন আল্লাহ বলছেন) তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি, কিন্তু আমার প্রতিনিধি হিসাবে তোমাকে অনেক কাজ করতে হবে। তবে যাতে তুমি হাঁপিয়ে না যাও, তোমার জন্য উপহার স্বরূপ আমার ভালবাসার এই বাক্সটা নিয়ে যাও। যখনই খুলবে, আমার ভালবাসা তোমার হৃদয়ে ছেয়ে যাবে, যতক্ষণ না আমার কাছে ফেরত আস আর পূর্ণ স্বাদ উপভোগ কর।"

      এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় নেয়ামত, অস্ত্র, প্রশান্তি, সুখ, শান্তি, এটাই আমাদের সবচেয়ে ভাল বন্ধু (স্ত্রীও এর তুলনায় কিছুই না আল্লাহর কসম), এটাই আমাদের হৃদয়ের জীবন।

      ৩) জী, আমিও এটা চিন্তা করেছিলাম। আল্লাহ নাকি ফাতিহা পড়ার সময় উত্তর দেন। তার মানে যদি আমরা মন থেকে নামাজে সুরা ফাতিহা পড়তাম, তাহলে জান্নাত সুনিশ্চিত হয়ে যেত। তাও আমাদের মধ্যে খারেজি হয়, মুরতাদ হয়, ফাসেক হয় ইত্যাদি।

      Comment

      Working...
      X