Announcement

Collapse
No announcement yet.

তবুও আমাকে খারিজি আখ্যা দেবেন?!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তবুও আমাকে খারিজি আখ্যা দেবেন?!

    আচ্ছা ভাই, আপনি কেন আমাকে তাকফিরি খারেজী মনে করছেন?
    এইযে দেখুন, আমি আমার অবস্থান পরিস্কার করছি।
    #আমি সরকারি মসজিদে কর্মরত ইমাম-খতিবকে কাফের মনে করিনা।
    #আমি সড়ক শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত ট্রাফিকদেরকে ঢালাওভাবে তাকফীর করিনা।
    #আমি সিটি করপোরেশনের মেয়রদেরকে ঢালাওভাবে কাফের বলি না।
    #আমি তো মেম্বার চেয়ারম্যানদেরকে তাদের এই রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে ঢালাওভাবে কাফের বলি না।
    #আমি সেকুলার দলের সমর্থক হলেই কাউকে তাকরির করে বসি না।

    [ এ সকল শ্রেণীর লোকদেরকে আমার কাফের মনে না করার অর্থ হলো, ঢালাওভাবে কাফের মনে না করা। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যেহেতু যুগের বড় আল্লামাকেও কাফের মনে করা যায়,সেহেতু উপরোক্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত লোকদেরকে সেভাবে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে এককভাবে কাফের মনে না করার তো প্রশ্নই আসেনা।]

    যা বলছিলাম, সেক্যুলার কুফরি সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্পর্শকাতর অবস্থানের এতগুলো শ্রেণীর লোকদেরকে আমি কাফের মনে না করেও আমি খারেজি? আমি তাকফিরি?? এ কেমন বিচার?!

    হ্যাঁ, আমার উপরোক্ত অবস্থান স্পষ্ট করার পর আমি বলতে চাই—ইসলামের জন্য সত্যিকারার্থে আন্তরিক এরদোগানকে আমি কাফের মনে করি। আর এরদোগান যেখানে গেল তল, সেখানে ইমরান মাহাথির বুঝি বলবে "কত জল!"তারপর আসে, মোহাম্মদের মত পবিত্র নামের কতক জানোয়ারের কথা!
    এক কথায়, গোটা মুসলিম বিশ্বর সকল স্বীকৃত শাসককে আমি ঢালাওভাবে তাকফীর করি।

    ভয় পেয়ে গেলেন…?! আবার খারেজী খারিজি লাগছে?!
    প্লিজ! আমাদের উপর এবং নিজের উপর রহম করুন।লেখার শুরুর অংশে উল্লেখিত শ্রেণীগুলোর ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জানার পর একটি বারও কি আপনার মনে হচ্ছে না যে, আমরা দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট শরয়ী দলিল প্রমাণ না পেলে কাউকে কাফের বলিনা। আমরা যদি খারেজী হই, তাহলে সাধারণ জনগণকে কেন ঢালাওভাবে কাফের বলি না,অথচ তাদের অধিকাংশই আজ মানব রচিত আইন বিধানের চর্চাস্থল ব্রিটিশ আদালতগুলোতে নিজেদের মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে যাচ্ছে?!এমনকি সরাসরি সেক্যুলার দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়া মেম্বার চেয়ারম্যানদেরকেও তো আমরা ঢালাওভাবে কাফের বলছি না?!

    আরেকটু বলি, দুজন সংসদ সদস্যের জন্য দুজন ইমাম দোয়া করেছেন। একজনকে আমরা তার সেই দোয়ার কারণে কাফের মনে করি, কিন্তু অন্যজনকে তা মনে করিনা। প্রশ্ন জাগে না, কেন এত সূক্ষ্ম পার্থক্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিপাত?! তবু আমাদেরকে খারিজি বলবেন?!

    আসলে কথা হল, ইসলামী আইন শাস্ত্রে الأشباه و النظائر নামে বিরাট এক অধ্যায় রয়েছে। ইসলামী ফিকহের একটি ছোট পুস্তিকা মানেই, তাতে এই অধ্যায়ের কিছু না কিছু মাসআলা রয়েছে। তবে এভাবে শিরোনাম দেয়া নেই। তবে হ্যাঁ, ঠিক এই নামেই বড় বড় দুটো গ্রন্থ প্রণীত হয়েছে। আর এই অধ্যায়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ না করার কারণেই পূর্ব যুগের ইসলামী স্কলারদের উদ্ধৃতি টেনে এনে আপনারা আমাদেরকে খারিজি বানানোর চেষ্টা করছেন। বিশ্বাস করুন! ইমাম আবু হানিফার এই উক্তি— "একজন মুসলমানের বক্তব্যের 99 টি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা যদি হয় কুফরি, একটি ব্যাখ্যা যদি হয় ঈমানী, তবে ঈমানী ব্যাখ্যাটিকেই গ্রহণ করা হবে—একজন মুসলমানকে কাফের বলার আগে ইমাম আজমের এই উক্তি আমাদের সামনে থাকে। তাকফীরের ভয়াবহতা নিয়ে আইম্মায়ে কেরামের আরো যত উক্তি আছে, সে সবই আমাদের চর্চায় রয়েছে।

    এখানে আমি সে সকল মাসআলার তাত্ত্বিক ও ইলমী ব্যাখ্যা শোনাতে আসিনি, কেবল মুসলিম ভাই হিসাবে আপনাদেরকে একটু জাগাতে চেষ্টা করেছি।

    তাই আসুন, সকলে মিলে ইলমী হালকা কায়েম করে ফরজে আইন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এসকল মাসালা নিয়ে পড়াশোনা করি। আর আমাদেরই কল্যাণকামী হিতাকাঙ্খী ভাইদেরকে খারেজি ট্যাগ দেয়া থেকে বিরত থাকি।

    বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।এ নিয়ে গঠনমূলক ধারাবাহিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
    আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন! আমিন!!

  • #2
    মাশায়াল্লাহ খুব সুন্দর পোস্ট আল্লাহ আপনার দ্বারা আরো বেশিপরিমাণ খেদমত নিন আমিন!
    فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
    کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

    Comment


    • #3
      ভাই খুব সুন্দর হয়েছে, আল্লাহ পাক আপনার লেখাকে আরো ধারালু করেদেন ।
      মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

      Comment


      • #4
        সম্মানিত ভাই- মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দর বিশ্লেষণ।
        তবে ভাই- অনেক জায়গায় দেখা যায় শুধু প্রশ্ন রেখে চলে যান। যদি প্রশ্ন করার সাথে সাথে উত্তরটার যুক্ত করে দেন। তাহলে আমাদের জন্য বুঝাটা অনেক সহজ হয়। যেমন ধরুন- আজকের লেখায় এক জায়গায় বলো হলো:“আরেকটু বলি, দুজন সংসদ সদস্যের জন্য দুজন ইমাম দোয়া করেছেন। একজনকে আমরা তার সেই দোয়ার কারণে কাফের মনে করি, কিন্তু অন্যজনকে তা মনে করিনা।” এখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে কি কারণে একজন কাফের, অন্যজন নয়? যদি সংক্ষেপে উত্তর দিয়ে দেওয়া হতো তাহলে ভালো হতো মনে হয়।
        এটা আমার ব্যক্তিগত মত ভাই। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে নিবেন। শুকরান
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ বেশ ভালো হয়েছে
          জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
          পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

          Comment


          • #6
            মাশা'আল্লাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন প্রিয় মুহতারাম।
            আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন।
            মুজাহিদীনকে ভালবাসুন, তাদের সাপোর্ট করুন!
            কেননা, তারাই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথে অটল রয়েছেন।

            Comment


            • #7
              Originally posted by abu ahmad View Post
              সম্মানিত ভাই- মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দর বিশ্লেষণ।
              তবে ভাই- অনেক জায়গায় দেখা যায় শুধু প্রশ্ন রেখে চলে যান। যদি প্রশ্ন করার সাথে সাথে উত্তরটার যুক্ত করে দেন। তাহলে আমাদের জন্য বুঝাটা অনেক সহজ হয়। যেমন ধরুন- আজকের লেখায় এক জায়গায় বলো হলো:“আরেকটু বলি, দুজন সংসদ সদস্যের জন্য দুজন ইমাম দোয়া করেছেন। একজনকে আমরা তার সেই দোয়ার কারণে কাফের মনে করি, কিন্তু অন্যজনকে তা মনে করিনা।” এখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে কি কারণে একজন কাফের, অন্যজন নয়? যদি সংক্ষেপে উত্তর দিয়ে দেওয়া হতো তাহলে ভালো হতো মনে হয়।
              এটা আমার ব্যক্তিগত মত ভাই। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে নিবেন। শুকরান
              আসলে কি ভাই, খুঁটিনাটি মাসআলার বিশ্লেষণের জন্য যেহেতু এই পোস্ট না, তাই আরকি উত্তর দেয়া হয়নি। আরেকটা কারণ হচ্ছে, এভাবে কৌতূহল জাগিয়ে পড়াশোনার ব্যাপারে আমাদের নিজেদেরকে উদ্বুদ্ধ করা। কারণ ওরকম একটা প্রশ্নের জবাব লিখে দিলে সব জানা হয়ে যাবে না। বরং বর্তমান সময়ে এজাতীয় অনেক খুঁটিনাটি মাসয়ালা শিখে রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
              ওখানে আসলে কোন মাসালা শেখানো আমার উদ্দেশ্য না। উদ্দেশ্য কেবল এই বিষয়টার দিকে ইঙ্গিত করা যে,আমরা অনেক বেশি খুটিনাটি বিষয় বিশ্লেষণ করার পর একটা ফতোয়া দিয়ে থাকি।

              এরপরও যেহেতু ইমামের দোয়া সংক্রান্ত মাসআলার সমাধান জানতে চেয়েছেন, তাই একটা সুরতে মাসালা এখন তৈরি করতে হবে। শায়খ আবু মুহাম্মাদ মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ এর ফতোয়া থেকে এরকম একটা উদাহরণ পড়েছিলাম। কোন ইমাম সাহেব কোন একজন সংসদ সদস্যের জন্য এই বলে দোয়া করলেন যে, আল্লাহ পাক যেন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাকে বিজয়ী করেন! তবে উক্ত ইমাম সাহেব কাফের। পক্ষান্তরে অন্য একজন ইমাম সাহেব কোন প্রয়াত সংসদ সদস্যের জন্য দোয়া করলেন, আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে ক্ষমা করে দেন! তবে এটা যদিও বড় মাপের গুনাহের কারণ, কারণ কাফেরের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা জায়েজ নেই, কিন্তু এই অপরাধের কারণে ওই ইমাম সাহেব কাফের হবেন না।

              শুভাকাঙ্ক্ষার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর কথা বলেছেন।
                আল্লাহ তা‘আলা আপনার ইলমে, আমলে ও চিন্তাশক্তিতে আরো বারাকাহ দান করুন। আমীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment

                Working...
                X