Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিযিয়া কাকে বলে? কোন কোন কাফের থেকে জিযিয়া কবুল করা হবে আর কোন কোন কাফের থেকে কবুল করা হব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিযিয়া কাকে বলে? কোন কোন কাফের থেকে জিযিয়া কবুল করা হবে আর কোন কোন কাফের থেকে কবুল করা হব

    প্রশ্ন: জিযিয়া কাকে বলে? কোন কোন কাফের থেকে জিযিয়া কবুল করা হবে আর কোন কোন কাফের থেকে কবুল করা হবে না? দলীলসহ লিখুন।

    উত্তর

    দারুল ইসলামে বসবাসরত যিম্মিদের থেকে মাথাপিছু হারে যে অর্থ আদায় করা হয় তাকে জিযিয়া বলে। (বিনায়া-আইনি, ৭/২৩৮)


    দারুল ইসলামে কোন কাফেরকে জিযিয়া ব্যতীত বসবাস করতে দেয়া জায়েয নয়। (শরহুস সিয়ারিল কাবীর ৪১০)



    হানাফি মাযহাব মতে আরবীয় মুশরিক ও মুরতাদ ব্যতীত অন্য সকল কাফের থেকে জিযিয়া নিয়ে দারুল ইসলামে যিম্মিরূপে বসবাস করতে দেয়া জায়েয। আহলে কিতাব তথা ইয়াহুদ ও নাসারা, মাজূস-অগ্নিপূজক, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ- সকল থেকে জিযিয়া নেয়া যাবে। পক্ষান্তরে আরবীয় মুশরিক ও মুরতাদের বিধান হল, হয় ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হতে হবে, নয়তো হত্যা করে দেয়া হবে। জিযিয়া গ্রহণ করে বাঁচিয়ে রাখার সুযোগ তাদের বেলায় নেই। (মাবসূত- সারাখসী, ১০/৭)


    ইমাম শাফিয়ি রহ. এর মতে অবশ্য অনারবী মুশরিক থেকেও জিযিয়া নেয়া জায়েয নয়। অতএব, তাদের মতানুযায়ী হিন্দু বা অন্য কোন অনারবী মুশরিক থেকে জিযিয়া নেয়া যাবে না। হয়তো মুসলমান হবে, নয়তো হত্যা করে দেয়া হবে বা গোলাম বানানো হবে।


    আহলে কিতাব থেকে জিযিয়া গ্রহণের দলীল আল্লাহ তাআলার এ বাণী,
    قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
    “তোমরা কিতাল কর আহলে কিতাবের সেসব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের উপর ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তার রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম করে না এবং সত্য দ্বীন গ্রহণ করে না- যতক্ষণ না তারা নত হয়ে স্বহস্তে জিযিয়া প্রদান করে।”- তাওবা ২৯


    মাজূসীদের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    «سنوا بهم سنة أهل الكتاب»
    “তোমরা তাদের সাথে আহলে কিতাবের ন্যায় মুআমালা করো।” -মুয়াত্তা মালেক ৪২

    অর্থাৎ আহলে কিতাবের মতো তাদের থেকেও জিযিয়া নেয়া যাবে।


    তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম মাজূসীদের থেকে জিযিয়া নিয়েছেন বলে প্রমাণিত আছে। (সহীহ বুখারি ২৯৮৭)


    আবু হানিফা রহ. অনারবী মুশরিকদেরকে মাজূসীদের উপর কিয়াস করেছেন। অর্থাৎ মাজূসীরা মুশরিক হওয়া সত্ত্বেও যেমন তাদের থেকে জিযিয়া নেয়া যায়, অনারবী মুশরিকদের থেকেও তেমনি জিযিয়া নেয়া যাবে। (মাবসূত- সারাখসী, ১০/১১৯)



    আরবীয় মুশরিক ও মুরতাদ থেকে জিযিয়া নেয়া যাবে না। তারা হয় মুসলমান হবে, নয় হত্যা করে দেয়া হবে। আরবীয় মুশরিকদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ,
    فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ
    “যেখানেই পাবে মুশরিকদের হত্যা করে দেবে।”- তাওবা ৫

    تُقَاتِلُونَهُمْ أَوْ يُسْلِمُونَ
    “মুসলমান না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কিতাল চালিয়ে যাবে।”- ফাতহ ১৬


    এর বিপরীতে তাদের থেকে জিযিয়া নেয়ার কোন দলীল নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাদের থেকে জিযিয়া গ্রহণ করেননি।



    মুরতাদের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ,
    «من بدل دينه فاقتلوه».
    “যে ব্যক্তি নিজ ধর্ম (ইসলাম) পরিবর্তন করবে তাকে হত্যা করে দেবে।” -সহিহ বুখারী ৬৯২২


    তাছাড়া আবুবকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সময়ে আরবের যে সকল লোক মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল তাদের থেকে জিযিয়া গ্রহণ করা হয়নি। ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা আ’লাম।



  • #2
    আহকামুস সিয়ারের আলোচনা চালু থাকুক সবসময়...

    মাশাআল্লাহ, সুন্দর পোষ্ট। আপনার এই ইলমী খেদমতের ধারা অব্যাহত থাকুক।
    আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে ইলমে নাফে‘ দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেছেন ৷ আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুক ৷ ইলমে নাফে' দান করুক ৷ আমীন
      আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
      আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ। অনেক উপকারী আলোচনা। সিরিজ আকাড়ে পর্ব নং সহ দিলে ভাল হত।

        Comment

        Working...
        X