Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৮শে রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৬শে নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৮শে রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৬শে নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    মুসলমানদের কাশ্মিরে বড় ধরনের অভিযানে নামছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় মুশরিক বাহিনী


    অবৈধভাবে অধিকৃত কাশ্মীর উপত্যকায় কথিত সন্ত্রাস দমনের নামে ভারতের সন্ত্রাসী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বড় ধরনের অভিযান শুরু করতে চলেছে বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রথম সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানোর নামে একযোগে মোতায়েন করা হয়েছে সন্ত্রাসী সেনা, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীকে। ওয়ান ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডে ।

    আর্মির প্যারা স্পেশাল ফোর্স, নেভির মেরিন কমান্ডোস (এমএআরসিওএস) এবং ইন্ডিয়া এয়ার ফোর্সের গরুড় বাহিনীকে কাশ্মিরে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষার তিনটি বাহিনীকে মিশিয়ে গঠন করা হয়েছে আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল অপারেশন ডিভিশন (এএফএসওডি)। এ ডিভিশনকে এই প্রথমবার মোতায়েন করা হলো কাশ্মিরে।

    মুক্তিকামী কাশ্মিরের যেসব জায়গায় বিশেষভাবে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, সে জায়গাগুলোতেই আপাতত একযোগে কাজ করবে তিন বাহিনী। সন্ত্রাসী সেনা মোতায়েন করা হয়েছে শ্রীনগর এবং গ্রামীণ কয়েকটি এলাকার কাছে। সন্ত্রাসী মেরিন কমান্ডোদেরকে মোতায়েন করা হয়েছে উলার লেকের আশপাশের এলাকায়। আর গরুড় বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে লোলাব ও হাজিন এলাকায়।

    কথিত যৌথ এ বিশেষ বাহিনী এরই মধ্যে কাজও শুরু করেছে। সন্ত্রাসী সেনারা ওই এলাকায় ভারতীয় আর্মি রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সাথে মিলে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাবে। এবারই প্রথম এই তিনটি স্পেশাল সার্ভিসকে যৌথভাবে মোতায়েন করল কট্টর হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার।

    উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধান থেকে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা সংবলিত ৩৭০ নং ধারা অন্যায়ভাবে বাতিলের পর অতিরিক্ত সন্ত্রাসী সেনা মোতায়েন রয়েছে দেশটিতে। সেখানে স্বাধীনতাকামীরা বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে, এমন উদ্বেগ থেকেই সন্ত্রাসী ভারত সরকার সেখানে আরো কড়া অবস্থানে গেল।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/26/28978/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সীমান্তে বাংলাদেশীকে পিটিয়ে মারল ভারতীয়রা


    চুয়াডাঙ্গার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

    নিহত ওই যুবকের নাম গনি মিয়া (২৫)।

    তিনি চারুলিয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে সীমান্ত এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ব্যবসায়ের উদ্দেশে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন আব্দুল গনি। এ সময় কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক তাকে ধরে বেদম মারধর করে। পরে সন্ত্রাসী বিএসএফর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর বিএসএফ সন্ত্রাসী সদস্যরাও তাকে মারধর করে বাংলাদেশের সীমানায় ফেলে রাখে। ভোরারাতে সীমান্ত এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

    চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে তার আগেই মারা যান ওই যুবক।

    অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ‘

    খবরঃ কালের কন্ঠ


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/26/28981/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কেনাকাটার ১৪ কোটির ৯ কোটি টাকাই লুটপাট করল দূর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা!



      ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের আলোচিত পর্দা দুর্নীতি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনাকাটার প্রস্তাবে অস্বাভাবিক অনিয়মের পর এবার হবিগঞ্জে নব প্রতিষ্ঠিত শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজে ৪২ হাজার টাকার ল্যাপটপ কেনা হয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা দরে।

      মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কালার প্রিন্ট প্রতিটি ১০০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া গেলেও কেনা হয়েছে সাত হাজার ৮০০ টাকা করে।

      এভাবে কলেজটির অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে কলেজের প্রায় ১৪ কোটি টাকার টেন্ডারের বিপরীতে অতিরিক্ত দাম দেখিয়ে বরাদ্দের প্রায় ৯ কোটি টাকা লুট করার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দুই বছর ধরে সে স্ত্রীর ব্যক্তিগত গাড়ি বিনা টেন্ডারে ভাড়া দেখিয়ে মাসে ৭০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছে।

      কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বছরেই বড় ধরনের দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ান ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকার টেন্ডার ভাগ-বাটোয়ারা করে।

      কালের কন্ঠের অনুসন্ধানে জানা গেছে, কলেজটির ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বইপত্র, সাময়িকী, যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০১৮ সালের সূচনাতে।

      পরে গত বছরের ১৭ মে প্রয়োজনীয় পণ্যের শিডিউল জমা পড়ে। কিন্তু দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছিল, কাজের দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদনে তাঁদের কোনো সই-ই ছিল না। টেন্ডারে আহ্বান করা হয় মূলত ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার। এর মধ্যে ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা দেখানো হয় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা ৯৭ হাজার টাকা। আর ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি নয়—এমনটিই বলছে টেন্ডারপ্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

      সূত্র মতে, দরপত্রে মোট সাতটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত দরদাতা (রেসপনসিভ) হিসেবে গ্রহণ করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। এতে বইপত্র ও সাময়িকী, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ, সার্জিক্যাল রিকোয়্যারমেন্ট ইত্যাদি পণ্যের দর আহ্বান করা হয়।

      সূত্র মতে, সরবরাহ করা মালামালের মধ্যে ৬৭টি লিনেভো ল্যাপটপের (মডেল ১১০ কোর আই ফাইভ, কিং জেনারেশন) দাম নেওয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতিটির দাম পড়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকার কম্পিউটার সামগ্রী বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ফ্লোরায় একই মডেলের ল্যাপটপ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪২ হাজার টাকায়।

      ৬০ হাজার টাকার এইচপি কালার প্রিন্টারের (মডেল জেড প্রো এম ৪৫২এন ডাব্লিউ) দাম নেওয়া হয়েছে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকা। ৫০ জন বসার জন্য কনফারেন্স টেবিল, এক্সিকিউটিভ চেয়ার ও সাউন্ড সিস্টেমে ব্যয় হয়েছে ৬১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। যেসব চেয়ার কেনা হয়েছে, তা হাতিলের মতো ফার্নিচার ব্র্যান্ডের চেয়ারের দামের চেয়েও দ্বিগুণ বেশি।

      মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ১০৪টি প্লাস্টিকের মডেলের দাম এক কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৩ টাকা নিয়েছে। দেশের বাজারে ‘পেডিয়াট্রিক সার্জারি’ (২ ভলিউমের সেট) বইটির দাম ৩৩ হাজার টাকা। নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজ দাম নিয়েছে ৭০ হাজার ৫৫০ টাকা। রাজধানীর মতিঝিলের মঞ্জুরি ভবনের পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা দরে ৮১টি কার্লজিস প্রিমো স্টার বাইনোকুলার মাইক্রোস্কোপ সরবরাহ করেছে; যার দাম নিয়েছে দুই কোটি ৬৩ লাখ ৩২৫ টাকা। বাজারে এর দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৩০০ টাকা। পুনম ইন্টারন্যাশনাল একই কম্পানি ও মডেলের এসির দাম এক লাখ ৬৮ হাজার টাকা দরে ৩১টির দাম নিয়েছে ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। একইভাবে ফ্রিজ ও টিভি কেনা হয়েছে দু-তিন গুণ বেশি দামে।

      মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবিসংবলিত কাগজে ছাপা চার্ট বাজারে ১০০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া গেলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি চার্ট কিনেছে সাত হাজার ৮০০ টাকা দরে। এ রকম ৪৫০টি চার্ট ক্রয়ে ব্যয় হয়েছে ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।

      অন্যদিকে কলেজ অধ্যক্ষ তাঁর স্ত্রীর নামের একটি গাড়ি নিজে ব্যবহারের জন্য কোটেশন দিয়ে ৭০ হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। তবে বর্তমানে সরকার থেকে একটি গাড়ি বরাদ্দ পেয়েছে। তাঁর স্ত্রীর নাম ডা. মর্জিনা বেগম। কিন্তু কোটেশনে দেখানো হয় শুধু মর্জিনা বেগম। আড়াই বছর এভাবে নেওয়া হয় বিল।

      এসব বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবু সুফিয়ানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রতিবারই কল হলেও তিনি তা রিসিভ করেনি। এ ছাড়া গতকাল সোমবার একাধিকবার ক্যাম্পাসে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/26/28984/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কথিত বাল্যবিয়ের দায়ে বরসহ দুজনের জেল-জরিমানা, উপেক্ষিত কুরআনের আইন


        কথিত বাল্যবিয়ের অভিযোগে বর ও তার খালাকে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কথিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঘটনাটি ঘটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শেয়ালা কলোনী এলাকায়।

        শরিয়ার আলোকে বিয়ে করলেও গ্রেফতার হলেন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলাধীন কাশিমপুর এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে বর আব্দুস সালাম (২২) ও তাঁর খালা মোসলেমা বেগম (২৭)।

        চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথিত বিচারক তাগুত আলমগীর হোসেন বলেছে, শেয়ালা কলোনি এলাকায় এক কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে সোমবার সন্ধ্যার পর অভিযান চালায় তাগুতি ভ্রাম্যমাণ আদালাত। এ সময় ঘটনার সত্যতা পেয়ে সদর থানা আওয়ামী দালাল পুলিশ আটক করে বর আব্দুস সালাম ও তাঁর খালা মোসলেমা বেগমকে। পরে বর ও তাঁর খালাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/26/28987/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পাটগ্রামে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫


          লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে (ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন) কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

          সোমবার ২টা ৩০ মিনিটে শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে সম্মেলনস্থলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

          প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করতে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও উপজেলায় দলীয় সম্মেলন হচ্ছে। সোমবার বিকেল ৩টায় শ্রীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন আয়োজন করা হয়। উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ মো. মোতাহার হোসেন উপস্থিত থাকবে বলে প্রচার করা হয়। স্থানীয় সাংসদ মো. মোতাহার হোসেন ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন বাবুল সম্মেলনে আসার আগেই সভাপতি প্রার্থী বর্তমান শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম ও রফিকুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্লা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের সন্ত্রাসীরা ইট, পাথর, অস্ত্র, লাটি, সোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩ রাউন্ট টিয়ারশেল ও ৫০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে।

          পাটগ্রাম থানার ওসি হিন্দু সুমন কুমার মহন্ত বলেছে, উভয়পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৩ রাউন্ট টিয়ারশেল ও ৫০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

          এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন বাবুল বলেছে, আসলে ওখানে আমাদের কাউন্সিল ছিল। আমি ও স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন ওখানে যাচ্ছিলাম। পথেই শুনি দুই সভাপতি প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বাধে। পরে ওই কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে।

          সুত্রঃ কালের কন্ঠ


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/26/28990/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সন্ত্রাসী আওয়ামী ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে সরকারি গাছ কর্তন, হামলায় আহত ৬


            রাস্তার পাশের ৪ লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় ভূমি অফিস ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে তদন্তে গেলে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভূমি অফিসের আউট সোর্সসিং আব্দুল্লাহ মামুন, স্থানীয় সাংবাদিক রেজাউল করিম মিঠুর ভাই আব্দুর রহিম বাবুসহ ৬ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আব্দুর রহিম বাবুর অবস্থা আশংকাজনক। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

            সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

            সামাজিক বন বিভাগ সাতক্ষীরা জেলার ফরেষ্ট অফিসার জি এম মারুফ বিল্লাহ জানায়, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের বাড়ির পূর্ব দিকে সরকারি রাস্তার পাশের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে আমি সহ ধুলিহর ভূমি অফিসের ন্যায়েব মাসুমা সুলতানা, ভূমি অফিসের ন্যাশনাল সার্ভিসের আব্দুল্লাহ মামুন ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

            ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাঠ ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা কোরবান আলী ও তার লোকজন করাত ও কুরাল দিয়ে গাছ কেটে নিচ্ছে। গাছগুলো ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ভেঙে পড়া ছাড়াও অতিরিক্ত কিছু নতুন গাছ কাটা হয়েছে। এবং কিছু নতুন গাছ কাটার জন্য গোড়া থেকে মাটি খুড়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত সন্ত্রাসী ইউপি সদস্য তার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের নিকট থেকে ২৪টি গাছ নিলামের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকায় কিনেছে বলে দাবি করে।

            বিষয়টি তাৎক্ষনিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরীকে জানিয়ে গাছের মাপজরিপ শুরু করি।

            এসময় হঠাৎ করে মেম্বার কোরবান আলী ও তার ছেলে বাবু ও ইয়াছিন আরাফাত ও তাদের সহযোগীরা হামলা চালায়। এসময় আউট সোর্সসিং আব্দুল্লাহ মামুন, সাংবাদিক রেজাউল করিম মিঠুর ভাই আব্দুর রহিম বাবু, নুর ইসলাম, আজহারুল ইসলাম ও এশার আলীসহ ৬ জন আহত হয়। খবরঃ বিডি প্রতিদিন

            বন বিভাগের ফরেষ্টার কর্মকর্তা জিএম মারুফ বিল্লাহ আরও জানান, গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনাটি সঠিক। আমি এ বিষয়ে লিখিত রিপোর্ট দেবো।

            ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা জেয়ালা গ্রামের মোকলেস আলী জানান, রাস্তার পাশে লাগানো মেহগনি, জামবুরা, মহানিম, শীল কড়াই সহ বিভিন্ন প্রজাতির ২৪টি গাছ লোক দিয়ে সন্ত্রাসী ইউপি মেম্বর কোরবান আলী ও তার ছেলে বাবু কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ভেঙে পড়া এসবের সাখে কিছু ভাল গাছও তারা সুযোগ বুঝে কেটে নেয়। এসব গাছের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।

            এ ব্যাপারে ওয়ার্ড সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সভাপতি কাঠ ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য কোরবান আলী জানান, আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১২টা জামরুল গাছ, মহানিম ১১টা ও একটা মেহগনিসহ মোট ২৪টি গাছ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। গাছগুলো কাঁটার সময় কিছু লোকজন এসে বাঁধা দেয়। এ সময় মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। আমার ক্রয় করা গাছ কাঁটছি বাঁধা দিলে মারপিট তো হবেই।


            সূত: https://alfirdaws.org/2019/11/26/28972/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ ও দালাল পুলিশের আঁতাতে পরিবহনে ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি


              পরিবহন খাতে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য থামাতে পারছে না কেউ। চাঁদাবাজদের অপতৎপরতা রোধে কথিত র*্যাব-পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী সন্ত্রাসী নেতা পরিবহন চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকায় প্রশাসনিক সব উদ্যোগ ভেস্তে যায়। রাজধানীর শতাধিক পয়েন্টে এ চাঁদাবাজি এখন অপ্রতিরোধ্য রূপ নিয়েছে।

              সারা দেশে চাঁদাবাজির পয়েন্ট প্রায় ৯০০। একশ্রেণির পরিবহন শ্রমিক, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন মহলের আশীর্বাদপুষ্টদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে সম্মিলিত চাঁদাবাজ চক্র। তাদের কাছেই জিম্মি হয়ে পড়েছে যানবাহনের চালক, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই।

              সন্ত্রাসীরা সরাসরি ‘চাঁদা’ তুললেও পরিবহন শ্রমিকরা চাঁদা নেন শ্রমিক কল্যাণের নামে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা টাকা তোলে মাসোহারা হিসেবে। এ ছাড়া আছে বেকার ভাতা, রাস্তা ক্লিয়ার ফি, ঘাট ও টার্মিনাল সিরিয়াল, পার্কিং ফি নামের অবৈধ চার্জ। এমন নানা নামে, নানা কায়দায় চলছে এ চাঁদাবাজির ধকল। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বিরাজ করছে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা।

              সায়েদাবাদ-গাজীপুর রুটে চলাচলকারী একাধিক মিনিবাস চালক বলেন, ‘নানামুখী চান্দা-ধান্দার কবলে চালক, মালিক, শ্রমিক সবার জীবনই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। যাত্রীরা হচ্ছেন নানা দুর্ভোগের শিকার। ’ মহাখালী, গাবতলী, সায়েদাবাদসহ সব বাস-ট্রাক টার্মিনালের অবস্থাই অভিন্ন। এসব স্থানে গাড়ি ঢুকতেও টাকা লাগে, বেরোতেও লাগে টাকা। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপে চলছে লাইসেন্সধারী সন্ত্রাসী পুলিশের চাঁদাবাজি।

              রাজধানীসহ সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কের যত্রতত্র পুলিশের বিশেষ চেকিং আর মাসোহারা আদায়ের প্রতিযোগিতা বন্ধের সাধ্য যেন কারও নেই। রাজধানীর এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যেতে ট্রাকপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা গুনতে হয়। ট্রাকচালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আগে সাধারণত ঢাকার যে কোনো একজন সার্জেন্টকে ১০০ টাকা দিয়ে স্লিপ সংগ্রহ করলে সিটির মধ্যে আর কোথাও পুলিশকে চাঁদা দিতে হতো না। কিন্তু বর্তমানে এক সার্জেন্ট অন্য সার্জেন্টের স্লিপকে পাত্তা দেন না, আলাদা আলাদাভাবেই টাকা দিতে হয় তাদের। চাঁদাবাজির নানা ধরন : রয়েছে থানার চাঁদা, ফাঁড়ির চাঁদা, বোবা চাঁদা, ঘাট চাঁদা, স্পট চাঁদা। পুলিশ হাতায় মাসোহারা। মালিক-শ্রমিকের কল্যাণ ফি। রুট কমিটি-টার্মিনাল কমিটির চাঁদাও চলে বাধাহীনভাবে। সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে পুলিশের টোকেন-বাণিজ্য। এমন নানা নামে চাঁদাবাজি চলে পরিবহনে। টার্মিনাল-সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, সায়েদাবাদ থেকে দেশের পূর্ব-উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাসমূহের ৪৭টি রুটে চলাচলরত দুই সহস্রাধিক যানবাহন থেকে দৈনিক ফ্রিস্টাইলে চলছে চাঁদাবাজি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরসহ ৩২টি রুটে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ কোচ চলে। এ ছাড়া রাজধানীর গাবতলী টার্মিনাল, মহাখালী, উত্তরা, গাজীপুর, টঙ্গী, কালিগঞ্জ, শ্রীপুর, কাপাসিয়াসহ শহর ও শহরতলির অন্যান্য রুটে সহস্রাধিক বাস-মিনিবাসের চলাচল রয়েছে। বাস-মিনিবাসের চালক ও শ্রমিকরা জানান, চাঁদা না দিয়ে কোনো গাড়ি টার্মিনাল থেকে বাইরে বের করার সাধ্য কারও নেই। চাঁদা নিয়ে টুঁশব্দ করলে নির্যাতনসহ টার্মিনাল ছাড়া হতে হয়। রাজধানী থেকে চলাচলকারী দূরপাল্লার কোচ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদাবাজি চলছে। আর লোকাল সার্ভিসের প্রতিটি গাড়ি থেকে ট্রিপে আদায় করা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। বিভিন্ন রুটে চলাচলরত গাড়ির মালিক-শ্রমিকরা জানান, নানা রকম কমিটির দখলদারি আর মাত্রাতিরিক্ত চাঁদাবাজির অত্যাচারে মালিকরা পথে বসতে চলেছেন। শ্রমিকদের আয়ও কমে গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মালিক বলেন, লাকসাম, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন রুটে এখন গাড়িপ্রতি ১২৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদাবাজির শিকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা প্রতিদিন চাঁদা প্রদানের বিস্তারিত তালিকা তুলে জানান, পরিবহন-সংশ্লিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় ফেডারেশনের নামে ৫০ টাকা, মালিক সমিতি ৮০ টাকা, শ্রমিক ইউনিয়ন ৪০ টাকা, টার্মিনাল কমিটি ২০ টাকা, কলার বয় ব্যবহার বাবদ ২০ টাকা, কেরানির ভাতা ২০ টাকা, মালিক-শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের নামে ৫০ টাকা এবং একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় দুই প্রভাবশালী নেতার নামে ৫০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।

              জিম্মি ২০ লাখ পরিবহন শ্রমিক : তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন অসহায় ২০ লাখ পরিবহন শ্রমিক। পরিবহন শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন চাঁদা আদায়ের কাজটি করে থাকে ‘লাঠি বাহিনী’, ‘যানজট বাহিনী’ ও ‘লাইন বাহিনী’। চাকা ঘুরলেই চলে টাকার ছড়াছড়ি। টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের হওয়ার আগেই একেকটি গাড়িকে ‘জিপি’ নামক চাঁদা পরিশোধ করতে হয়। এটি আদায় করে লাঠি বাহিনী। টার্মিনালমুখেই যানজট বাহিনীকে দিতে হয় ২০ টাকা ‘কাঙালি চাঁদা’। এরপর লাইনম্যানের পালা। এ ক্ষেত্রে দিতে হয় ৩০ টাকা। এর বাইরে রয়েছে টার্মিনালের টোল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের এক বাসচালক জানান, একদিন তার গাড়ি চালানোর জন্য ১৪০০ টাকা চাঁদা গুনতে হয়। এর মধ্যে মালিক সমিতিকে ৯৬০ টাকা জিপি নামক চাঁদা, বোবা নামক চাঁদা ২০০ টাকা, ঢাকা সড়কের নামে ৮০ টাকা, হরতালে-ভাঙচুরের ভর্তুকির নামে ২০ টাকা, অফিসে কেনাকাটার নামে ২০ টাকা, কমিউনিটি পুলিশ ২০ টাকা, সিটি টোল ২০ টাকা, সুপারভাইজার চাঁদা ৬০ টাকা ও ‘ইফতার চাঁদা’ হিসেবে ২০ টাকা দিতে হয়। যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, দৈনিক চাঁদা ছাড়াও ফুলবাড়িয়া গুলিস্তান স্টপওভার বাস টার্মিনালে প্রতিটি বাস নামানোর সময় এককালীন ২০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। এর মধ্যে প্রভাতী বনশ্রী, ডি-লিংক, আজমেরী ও এয়ারপোর্ট পরিবহনে নতুন বাস নামাতে গেলে বাসপ্রতি ২ লাখ টাকা এককালীন চাঁদা গুনতে হয়। গ্রামীণ, সেবা, শুভযাত্রা, গাজীপুর পরিবহন, ঢাকা পরিবহন, স্বাধীন পরিবহন, যমুনা, নগর পরিবহন ও দীঘিরপাড় পরিবহনের নতুন বাস নামাতে গুনতে হয় ১ লাখ টাকা চাঁদা। এ ছাড়া স্কাইলাইন, দিশারী, তানজিল, ইটিসি, ইউনাইটেড, সাভার পরিবহন, ডিএম পরিবহন ও এসএস পরিবহনের নতুন গাড়ি নামানো জন্য দিতে হয় ৫০ হাজার টাকা। বৈশাখী, ডিএনকে, যুবদোহার, ভিক্টর ও সময় নিয়ন্ত্রণ পরিবহনের বাস নামাতে গেলে বাসপ্রতি ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় পরিবহন মালিকদের। ইটিসি পরিবহনের মালিক মো. খালেক বলেন, রাস্তায় গাড়ি নামালেই প্রতিদিন ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের মালিক সমিতি সাত বছর আগে রমজানে ২০ টাকা ইফতারের চাঁদা চালু করেছিল। তারপর আর এই ইফতারের চাঁদা আদায় বন্ধ হয়নি। সারা বছরই মালিক সমিতির নেতারা ইফতারের চাঁদা আদায় করে। হরতালের সময় গাড়ি ভাঙচুর হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে চাঁদা আদায় করা হয়, তার সুবিধাও জোটে না পরিবহন মালিকদের ভাগ্যে। এসব বিষয় নিয়ে মালিক সমিতির কারও সঙ্গে কোনো কথা বলার সুযোগও পান না গাড়ির মালিকরা। সারা বছর শুধু তাদের টাকাই দিতে হয়।

              সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/26/28969/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                নরওয়েতে কুরআন অবমাননা করে বিশ্বমুসলিমের কলিজায় আঘাত করা হয়েছে, বললেন আল্লামা বাবুনগরী


                গত শুক্রবার নরওয়ের আগদার শহরে উগ্রবাদী খ্রিস্টান কর্তৃক পবিত্র কুরআনুল কারীমের অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

                সোমবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, নরওয়েতে কুরআন অবমাননা করে বিশ্বমুসলিমের কলিজায় আঘাত করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনের অবমাননা অগ্রহণযোগ্য, কিছুতেই এই সীমালঙ্ঘন মেনে নেয়া যায় না। এর কারণে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। খবরঃ ইনসাফ২৪

                তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের উস্কানি ও ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। প্রত্যেক দেশের সংবিধানে মানুষের মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। মানুষের ধর্ম বিশ্বাস ও মূল্যবোধ তার মর্যাদার নানা দিকের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। তাই পবিত্র কোরআন অবমাননা মানবাধিকার লংঘন এবং বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণার লংঘনের শামিল।

                আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে মোট জনসংখ্যার ২.৩ শতাংশ মুসলমান। বর্তমানে নরওয়েতে মুসলমানরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠি সত্বেও সেখানে কুরআন অবমাননার মতো ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। কুরআনুল কারিম মুসলিম উম্মাহর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। কুরআন অবমাননার এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো খ্রিস্টান জাতি বিশ্বমুসলিমের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং কুরআনের মর্যাদা রক্ষায় কুরআন অবমাননার শাস্তি হিসেবে বিশ্বের সকল দেশে মৃ’ত্যুদণ্ড বিল পাশ করা উচিত।

                কুরআন অবমাননাকারীকে রুখে দিয়ে কুরআনের ইজ্জত রক্ষা করায় যুবক ইলিয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, কুরআন অবমাননাকারী সেই উগ্র খিস্টানকে রুখে দিয়ে কুরআন প্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যুবক ইলিয়াস। একজন মুসলমান কুরআনকে কতটা ভালবাসে তা বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন তিনি।

                ওআইসি ও আরবলীগসহ বিশ্বব্যাপী মুসলিম শাসকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কুরআন অবমাননার এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া উচিত।

                হিরো অব দ্য মুসলিম ইলিয়াসের নিঃশর্ত মুক্তি ও কুরআন অবমাননাকারী উগ্রবাদী খিস্টান লার্শ থারসনের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে নরওয়ে-সরকারের প্রতি আহবান জানান হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/26/28993/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  কুরআনের অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। এমনিভাবে ভাই ইলিয়াসও মেনে নিতে পারেননি। আল্লাহ তা‘আলা তাকে কুরআনের খাদেম হিসাবে কবুল করুন ও তার মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন এবং উত্তম জাযা দান করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ আপনাদের কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment

                    Working...
                    X