Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৪ঠা রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০২রা ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৪ঠা রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০২রা ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ঈমান নিয়ে বাঁচতে জিহাদ করা ফরজে আইন হয়ে গেছে: আতাউল্লাহ হাফেজ্জী


    মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, এদেশ থেকে যারা ইসলামকে মুছে ফেলতে চায় তারাই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। ঈমান নিয়ে বাঁচতে জিহাদ করা ফরজে আইন হয়ে গেছে।

    তিনি আরো বলেন, আল্লাহপাকই ইসলামের পতাকে উজ্জল রাখবেন। খেলাফত শাসনব্যবস্থা না থাকায় দেশের জনগণ সুশাসনের অভাব ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

    ইমান টুয়েন্টিফোরের বরাতে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া মাদরাসা ময়দানে সভাপতির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।

    মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ইসলাম কুরআন হাদিস ও মহানবী (সা.) কে নিয়ে নাস্তিক্যবাদীরা অপমানজনক কথাবার্তা বলার দু:সাহস দেখাচ্ছে। সব ধরনের ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাগুতি শক্তিকে পরাভূত করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে।

    মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ আরো বলেছেন, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, চীন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের উপর চলছে অমানবিক জুলুম নির্যাতন এবং প্রতিহিংসার দাবানল। কিন্তু তাদের পক্ষে কথা বলার তাদের পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই। অথচ হযরত মহানবী (সা.) নিষ্ঠুর বর্বর জাহিলিয়াতের যুগেও পরাজিত শত্রুদের উপর প্রতিশোধের পরিবর্তে দয়া ও ক্ষমার যে নজির স্থাপন করেছিলেন পৃথিবীতে তা আজ বিরল। খেলাফত শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) যে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার বিশ্ববাসিকে উপহার দিয়ে গেছেন তাতে মুসলমানসহ সকল ধর্মের মানুষের ন্যায্য অধিকার রয়েছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29151/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হলো পশু চিকিৎসক তরুণীর দেহ!


    ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে এক পশু চিকিৎসক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার পর নৃশংসভাবে তার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

    কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হত্যার প্রায় ৩ ঘণ্টা আগে ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ছক কষা হয়েছিল। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশটিতে তীব্র ক্ষোভ এবং শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তরুণীর স্কুটারের চাকা ফুটো করে দিয়েছিল ঘাতকরা। চাকা ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই স্কুটার। তারপর চারজন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছিল তাকে। শেষে খুন করে পেট্রল-ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছিল তরুণীর মরদেহ।

    তেলঙ্গানায় গত বুধবারের এই ঘটনায় শিউরে উঠেছে পুরো ভারত। শুক্রবার ২৬ বছরের ওই তরুণীর আধপোড়া দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। মোহাম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০) ট্রাকের কর্মী। হায়দ্রাবাদের কাছে শামশাবাদ টোল প্লাজায় গত বুধবার রাতে ট্রাকের এই কর্মীদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় নিজের বোনকে ফোন করে ওই তরুণী বলেছিলেন, ‘কয়েকজন অচেনা লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানে। আমার সঙ্গে কথা বলতে থাক।’

    কল্লুরু গ্রামের একটি পশু-হাসপাতালে কাজ করতেন ওই তরুণী। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে প্রথমে গোচিবাওলিতে এক চর্মচিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের স্কুটারটি শামশাবাদ টোল প্লাজার কাছে রেখে ট্যাক্সি নিয়ে ওই চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন, স্কুটারের পেছনের চাকাটি পাংচার।

    হায়দ্রাবাদ শহর থেকে শামশাবাদ প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। তরুণী ওই টোল প্লাজা থেকে রাত সোয়া ৯টার দিকে বোনকে ফোন করে বলেন, দুই ট্রাকচালক তাকে সাহায্য করবে বলছে। তার আপত্তি সত্ত্বেও টায়ার সারিয়ে দেবে বলে স্কুটার নিয়ে চলে গেছে একজন। বোন তাকে পরামর্শ দেন, স্কুটারটি রেখে ট্যাক্সি ধরে চলে আসতে। সে-ই শেষ কথা। পৌনে ১০টার দিকে বোন আবার চেষ্টা করে সেল ফোন বন্ধ পান ওই তরুণীর। পরের দিন সকালে শামশাবাদের আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নিচে ওই চিকিৎসকের পোড়া দেহাংশ মেলে।

    হায়দ্রাবাদ পুলিশ বলছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে টোল প্লাজায় তরুণী চিকিৎসককে স্কুটার রাখতে দেখেই তাকে ধর্ষণের ছক কষেছিল চার অভিযুক্ত। সেখানে বসে মদ পান করছিল তারা। তরুণী ট্যাক্সিতে চলে যেতেই স্কুটারের চাকা ফুটো করে দেয় নবীন। ওই তরুণী ফিরে আসার পরে আরিফ চাকা সারিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। স্কুটার নিয়ে শিবা চলে যায়। তখন আরিফ, নবীন এবং চিন্তকুন্ত টোল প্লাজার কাছেই একটি ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তরুণীকে।

    চাকা সারিয়ে ফিরে এসে ধর্ষণ করে শিবাও। তরুণীর মুখ চেপে ধরে আরিফ। এর পর স্কুটারটি নিয়ে কয়েক বোতল পেট্রল কেনে দু’জন। অন্য দু’জন আরিফের লরিতে করে দেহ নিয়ে যায় আন্ডারপাসে। কিছু ডিজেল বের করা হয় তরুণীর স্কুটার থেকেও। এরপর আন্ডারপাসের এক কোণে মরদেহ নামিয়ে তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালায় তারা। পরের দিন ভোরে এক দুধ-বিক্রেতা সেখানে দেহটি জ্বলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29154/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরপাকড়! ভয়ে ছাড়ছে বেঙ্গালুরু


      মাস কয়েক আগেও গম-গম করত বেঙ্গালুরু ও সংলগ্ন বেলান্দুর, থুবুরাহল্লি, হারালুর, সরজাপুর এলাকা। কিন্তু, ক্রমশ এলাকাগুলো যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে। অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরপাকড় শুরু হতেই ভয়ে বেঙ্গালুরু ছাড়ছে অনেকে। আর তাতেই এই হাল।

      ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্টে প্রকাশ, বেলান্দুরে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাংলাদেশি বাসিন্দার কথায়, ‘সরগরম ছিল এই কলোনি। কিন্তু এখন দেখলে কাঁদতে ইচ্ছে করে। প্রায় সকলেই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে।’ তাঁর কথায় বাংলাদেশে ফিরতে প্রায় হাজার পনের টাকার প্রয়োজন। সেই অর্থ জোগাড় হলে তিনিও ভারত ছাড়বেন। বিগত ১৩ বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে আবর্জনা পরিস্কারের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। দুই মেয়ের কলেজের পড়ার অর্থ বাংলাদেশে পাঠান এই কাজ করেই। দেশে ফিরতে হলে ভবিষ্যত যে সুখকর নয়, তা জেনেও সীমান্ত পারের চেষ্টায় ওই ব্যক্তি। বেসরকারি পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু শহরে ২০০ থেকে ২৫০ বাংলাদেশি পরিবার ছিল। বেশিরভাগই বাড়ির কাজ বা আবর্জনা তোলার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ ধরপাকড় জোরদার করতেই বেশির ভাগই চলে গিয়েছে। রয়েছে ১৫-১৬ পরিবার।

      থুবুরাহল্লি, হারালুর, সরজাপুরের অবৈধ উপায়ে ভারতে ঢুকে পড়া বাংলাদেশিরা সন্তানদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন, বাড়ির সামগ্রী ও যানবাহন জলের দরে বিক্রি করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এদের অনেকেই বলছেন, বেঙ্গালুরু পুলিশের হাতে ধরা পড়লে হেনস্তার শেষ থাকবে না। এর থেকে সীমান্ত পার করতে গিয়ে বিজিবির হাতে ধরা পড়লে তাও রক্ষে। প্রমাণের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকত্বের। তাদের কথায়, বেশিরভাগই দেশে ফিরে যাচ্ছেন। অল্প সংখ্যক কিছু বাংলাদেশি দিল্লি, তামিলনাড়ুসহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যেগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকের আবার আর্জি তাদের ২ বছরের জন্য কাজের ভিসা দেওয়া হোক। তাহলে কমবে অনুপ্রবেশের হার।

      সম্প্রতি, বেঙ্গালুরু পুলিশ শহর থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতে কড়া পদক্ষেপ করেছে। প্রায়ই চলছে ধরপাকড়। আর এতেই বিপদ বেড়েছে কাজের সন্ধানে এদেশে ঢুকে পড়া বাংলাদেশিদের। শহরে বসবাসকারী ২৮ বছরের এক যুবকের কথায়, ‘সম্প্রতি ৬০ জন ধরা পড়েছে। ভয়ে আমি গাড়ি চালান ছেড়ে দিয়েছি। আমি চাই না পুলিশ আমাকে ধরুক। একবার ধরলে পুরো পরিবারর শেষ হয়ে যাবে।’

      যুবকের স্ত্রী বাংলাদেশের বাগেরহাটের বাসিন্দার দাবি, ‘ভারতে ধরা পড়লে অবস্থা শেষ হয়ে যাবে।’ চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। প্রশ্ন, ‘খাটলেও আমাদের দেশে অর্থ মেলে না। ফিরে তো যাব। কিন্তু করব কী? পেট চলবে কীভাবে জানি না।’

      দিন কয়েক আগেই ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরতে গিয়ে সীমান্তে আটক হন ২০০০ বাংলাদেশি। এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমগুলে এই খবর প্রকাশ করে। বেশ কয়েকজনের পরিবার ভারতে আসেন ১৯৭১ সালে। উদ্বাস্তু হিসাবে রয়েছেন তারা। ভয়ে তাদেরও কম নয়। উদ্বাস্তু পরিবারের সন্তান বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী যুবক তাই অপেক্ষা করছে। শেষ পর্যন্ত কী হয় তা দেখতে চাইছে সে। কিন্তু এই পরিস্থিতি হাতে গোনা মাত্র।

      ধরপাকড় বেড়েছে বেঙ্গালুরুতে। কর্নাটক সরকারও জানিয়েছে এনআরসি হবে রাজ্যে। ৩৫টি আটক কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। আর এতেই ভীতি বেড়েছে। আগেভাগেই বাংলাদেশ চলে যাচ্ছেন এদেশে অবৈধ উপায়ে ঢুকে পড়া ওপারা বাংলার বাসিন্দারা। ধরপাকড়ের গুঁতোয় বাংলা, আসাম, ত্রিপুরার বহু ভারতীয় বাঙালিও আতঙ্কে রয়েছেন।

      বেঙ্গালুরু ও সংলগ্ন যেসব এলাকায় বেশি বাংলাদেশিদের বাস সেখানে সপ্তাহ কয়েক আগেই পৌঁছেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রথমে বাড়ির মহিলা ও শিশুদের কথা বলতেই দেওয়া হচ্ছিল না। নেকেই আবার নিজেদের নাম বদল করে হিন্দু বলে দাবি করেন। যেমন একজন নিজেকে সুমন বলে দাবি করেন। পরে জানান তিনি বাংলাদেশি। অবিলম্বে ভারত ছাড়বেন।

      ধস নেমেছে বর্জ্য় নিষ্কাশন কারখানাগুলোতেও। কারখানা মালিক বলছিলেন, ‘আমার কাছে ৮০ জন বাংলাদেশি কাজ করত। এখন রয়েছে মাত্রা ২০ জন। এদের অনেকেই চলে যাবে। ফলে খুব সমস্যা হচ্ছে।’ নির্মাণ শিল্পেও বহু বাংলাদেশি কাজ করেন। সেখানেও কাজের চেয়ে চাহিদা শ্রমিকের কম থাকায় মজুরি বেশি পড়ছে। বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। বেঙ্গালুরুর মানবাধিকার কর্মী কলিমুল্লার জানান, ‘এত বছর এদেশে ঢুকে পড়া বাংলাদেশিদের কিছু বলা হল না। এরা শহর পরিষ্কার রাখার কাজ করছে। এরা চলে যাচ্ছে। ফলে শহর ফের নোংরা হতে পারে।’


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29157/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতের ৯৯ শতাংশ মুসলিম বাবরি মসজিদ রায়ের রিভিউ চান


        অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) রোববার জোর দিয়ে দাবি করেছে যে ভারতের ৯৯ শতাংশ মুলমানই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ের রিভিউ চান।

        মামলার পক্ষ না হয়েও প্রভাবশালী মুসলিম এই সংগঠনটি রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে।

        অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়ে রায় দেয় ভারতীয় মালাউন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। এর বদলে মুসলমানদেরকে অন্য কোথাও মসজিদ নির্মাণ করতে পাঁচ একর জমি দিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়।

        এআইএমপিএলবি সাধারণ সম্পাদক মওলানা ওয়ালি রাহমানি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হবে, ৯৯ শতাংশ মুসলমান রিভিউ পিটিশন দায়েরের পক্ষে। কেউ যদি মনে করেন মুসলমানদের বড় অংশ তা চান না তাহলে সেটা ভুল।

        তবে ওই পটিশন খারিজ করে দেয়া হবে বলেও রাহমানির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, তাই বলে আমরা পিটিশন দায়ের করা থেকে পিছিয়ে যাবো না। রায়ে অনেক অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয় রয়েছে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29162/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ফিলিস্তিনের হেবরনে নতুন করে বসতির পরিকল্পনা ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলের


          ফিলিস্তিনের হেবরন শহরে মুসলমানদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে নতুন করে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। এর আগে ফিলিস্তিনের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশটি পশ্চিমা দেশগুলোর মদদে অবৈধভাবে দখল করে ইহুদীবাদী ইসরাইল।

          ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি ব্যানেট এরই মধ্যে ওই অবৈধ বসতি স্থাপনের অনুমোদনও দিয়েছে। এবং হেবরন পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে তার নতুন করে ওই অবৈধ বসতি গড়ার অনুমোদনের কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একের পর এক অবৈধ বসতি গড়ে তুলছে এই ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল।

          হেবরনে এক লাখ ৬০ ফিলিস্তিনি মুসলমানের বসবাস। অন্যদিকে সেখানে গড়ে তোলা অবৈধ বসতিতে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে বাস করছে ৫০০ ইহুদি সেটেলার।

          সূত্র: ইনসাফ২৪


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29183/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            কথিত বন্ধুদেশ ভারতে এনআরসি আতঙ্কে, বাংলাদেশে বাড়ছে অবৈধ প্রবেশ!


            ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে অবৈধভাবে বাংলাদেশে মানুষের প্রবেশের ঘটনা সবার, বিশেষ করে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের মনোযোগ দাবি করে। গত কয়েক সপ্তাহে যাঁরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ভাষ্য হচ্ছে যে ভারতে জাতীয় নাগরিক তালিকার (এনআরসি) আতঙ্ক ও নানা চাপের কারণে তাঁরা ভারত ছেড়ে চলে এসেছেন। এ নতুন ঘটনাপ্রবাহের তাৎপর্য দুটি প্রেক্ষাপটে বোঝা দরকার। এর একটি ভারতীয় অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং অন্যটি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক।

            গত ৩১ আগস্ট আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরপরই যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এখন তা–ই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। সেই সময়েই এটা বোঝা যাচ্ছিল যে এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে এমন লোকদের ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ না নিলেও পরিস্থিতি এমন দাঁড়াবে যে অনেকেই, বিশেষ করে যারা মুসলিম জনগোষ্ঠীর সদস্য, ভীতি এবং চাপের মুখে বাংলাদেশেই আশ্রয় নিতে চাইবে (‘আসামের নাগরিকত্ব সংকট: বাংলাদেশের যা করণীয়’, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ৩১ আগস্ট ২০১৯)। ভারত সরকারের যুক্তি হবে যে তারা জোর করে কাউকে পাঠাচ্ছে না। এখন ভারত সরকার অন্য পদক্ষেপের মাধ্যমে সেদিকেই অগ্রসর হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে কর্ণাটক রাজ্য থেকে গত কয়েক দিনে দফায় দফায় ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ বলে আটক করে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে এবং তাঁদের শিগগিরই বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করা হবে (দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন, ২৪ নভেম্বর ২০১৯)। কর্ণাটকে আটক ব্যক্তিরা ‘বাংলাদেশি’, তা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কী করে নিশ্চিত হলো এবং তাঁদের আইনি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন ভারতের মানবাধিকারকর্মীরা তুলেছেন। ‘অবৈধ বাংলাদেশি বিতাড়নের’ নামে যা করা হচ্ছে, তাতে মনে হয় ভারত রাখঢাক না করেই একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। এসব পদক্ষেপ যে এনআরসির সঙ্গে যুক্ত, তা ভারতের অভিবাসনবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। অধ্যাপক সব্যসাচী রায় চৌধুরী বলেছেন, একটি থানায় ২০ দিনে ১৮০ জনকে আটকের ঘটনা স্বাভাবিক নয়। পশ্চিমবঙ্গ সন্ত্রাসী দল বিজেপি নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী ‘এনআরসির ভীতি’ ইতিমধ্যেই ‘কাজ করতে শুরু করেছে’ (হিন্দুস্তান টাইমস, ২৪ নভেম্বর ২০১৯)।

            আসামে ১৯৭৯-৮৫ সালের ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক তালিকা বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, ২০১৩ সালে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেগুলোকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে বা বাধ্য বিষয় বলে বিবেচনা করে ২০১৯ সালে আসামে যে এনআরসির তালিকা তৈরি হয়েছে, তার কোনোটাই সারা ভারতের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়। কিন্তু বিজেপির নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর কিংবা সুস্পষ্টভাবে বললে সন্ত্রাসী ‘সংঘ পরিবারের’ অ্যাজেন্ডা হচ্ছে এনআরসির নামে ভারতকে এক হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করা, যেখানে মুসলিম জনগোষ্ঠী দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হবে। পাঁচ বছর ধরে বিজেপির বিভিন্ন কার্যকলাপেই তা সুস্পষ্ট। এখন একদিকে বিজেপি আসামের এনআরসি বাতিলের দাবি করছে, অন্যদিকে ভারতের সব রাজ্যে এনআরসি করার হুজুগ তুলেছে। কারণ, বিজেপির আশা ছিল এবং এভাবেই প্রচার চালিয়েছিল যে আসামের এনআরসি যাদের নাগরিক নয় বলে শনাক্ত করবে তাদের অধিকাংশ হবে মুসলিম—তাদের সহজেই বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করা যাবে।

            এখন সারা ভারতে এনআরসির জুজু দেখানো হচ্ছে সবাইকে। গত বুধবার পার্লামেন্টে অমিত শাহ বলেছে, সারা দেশেই এনআরসি হবে। ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সামনে প্রশ্ন, তারা কী করবে। ইতিমধ্যেই মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে এনআরসি বয়কট করার প্রস্তাব উঠেছে (স্ক্রল ডট ইন ২৪ নভেম্বর ২০১৯)। হিন্দুত্ববাদ এবং বিদেশিভীতির (জেনেফোবিয়া) মিশ্রণে যে অ্যাজেন্ডা, তার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে নাগরিক আইন সংশোধন। এই সংশোধনী আগে চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু এখন বিজেপি এ বিষয়ে আপসহীন। অমিত শাহ বলেছেন নাগরিকত্ব আইন বদলের আগেই সারা ভারতে এনআরসি হবে। তার ফলে এনআরসির কারণে যারা নাগরিকত্ব হারাবে, নতুন নাগরিকত্ব আইনের আওতায় তারা নাগরিক হতে পারবে, কেবল বাদ যাবে মুসলিমরা। কাশ্মীর বিষয়ে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং আদালতে বাবরি মসজিদ-রামমন্দির নিয়ে তাদের অ্যাজেন্ডার অনুকূলে রায়ের পরে দলের আশু লক্ষ্য দুটি—নাগরিকত্ব আইন সংশোধন এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু।

            ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির এসব কূটচালের ফল হচ্ছে বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশ। এখন তা সীমিত আকারের হলেও ভবিষ্যতে তা যে বড় আকার নেবে না, তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে যে অবস্থা হবে, তা কেবল ভারতের ভেতরেই সীমিত থাকবে না। ভারত সরকার এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি জানে যে তারা যা করছে, তার ফলে এ অনুপ্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। তারা নির্দ্বিধায় এ কাজে এগিয়ে যাচ্ছে, কারণ তারা সম্ভবত ধরেই নিয়েছে যে এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর আপত্তি উঠবে না। এটাই হচ্ছে এখনকার পরিস্থিতির জন্য বিবেচ্য দ্বিতীয় প্রেক্ষাপট—বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক।

            ভারতের এনআরসির কারণে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু নেই—ভারতীয় নেতৃত্বের এমন আশ্বাসে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের আস্থা সম্ভবত বেশ জোরালো। কিন্ত এ নিয়ে বাংলাদেশ আগে উদ্বিগ্ন না হলেও এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হতে শুরু করেছে, তা বড়ই উদ্বিগ্নের কারণ। এমন একটি পরিস্থিতিতেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছে, ভারত কাউকে পুশব্যাক করবে না বলেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসী দল বিজেপি নেতা অমিত শাহ ভারতের কথিত অবৈধ অভিবাসীদের ‘বাংলাদেশি’ বলেই বর্ণনা করেছে, ‘উইপোকা’ বলেছে, তাদের সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে—কিন্তু এসব নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ভারতঘেষা সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এমনকি ভারতের সেনাপ্রধান সন্ত্রাসী বিপিন রাওয়াত যখন বাংলাদেশে থেকে ‘ব্যাপক অনুপ্রবেশ’কে ‘চীনের সাহায্যে পাকিস্তানের প্রক্সি যুদ্ধ’ বলে চিহ্নিত করেছিল, তখনো সরকার এ বিষয়ে নীরবতা পালন শ্রেয় বলে মনে করেছে।

            বাংলাদেশ-ভারত সরকারের মধ্যে সম্পর্ক যে গত এক দশকে ঘনিষ্ঠতর হয়েছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার মাত্রা বোঝাতে একে ‘স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্ক বলেছিল। এত কিছু সত্ত্বেও গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী, যখনই সেই হিসাব উঠেছে, দেখা গেছে যে প্রাপ্তি একপক্ষীয়—ভারতের অনুকূলে; অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ভূকৌশলগত—যে দিক থেকেই বিবেচনা করা হোক না কেন।

            বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের এত ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও এ সম্পর্কের অনেক খবরের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ওপরেই নির্ভর করতে হয়। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলকাতা সফরের সময়ে যা ঘটেছে, সে বিষয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন, ‘মিত্র হাসিনার শীতল অভ্যর্থনা, কাঠগড়ায় দিল্লি’। প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরের সময় ভারতীয় সরকার যে ধরনের অভ্যর্থনা জানিয়েছে, তা যে কূটনৈতিক বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যমেই আমরা তা পাইনি। এ ঘটনা যে এই প্রথমবার ঘটেছে তা নয়, অক্টোবরে শেখ হাসিনা দিল্লি সফরের সময়েও প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অভ্যর্থনা হয়নি। সেই নিয়েও বাংলাদেশে কোনো গণমাধ্যমে আলোচনা হয়নি। গণমাধ্যমের এ আচরণ থেকেই বোঝা যায় যে সরকার এবং গণমাধ্যম ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় হলেই একধরনের ‘অতিরিক্ত স্পর্শকাতরতায়’ ভোগে। এ ধরনের আরও উদাহরণ দেওয়া যায়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা চুক্তি বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর উদ্ধৃত করেই বাংলাদেশে এ নিয়ে আলোচনার সূচনা হয়েছিল। এগুলো কেবল গণমাধ্যমগুলোর অদক্ষতার বিষয় নয়।

            ভারত বিষয়ে এ ধরনের স্পর্শকাতরতার কারণেই দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে ধরনের অসমতা রয়েছে, সেই নিয়ে আলোচনার জায়গা প্রায় নেই বললেই চলে। গণমাধ্যমগুলো রাজনৈতিক বিবেচনাকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় বা সরকারি দৃষ্টিভঙ্গিকে অনুসরণ করার অর্থ এই নয় যে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা নেই। এখন অনুপ্রবেশের ঘটনায় এ সম্পর্কের প্রশ্নটিই সামনে আসবে। কেবল অনুপ্রবেশের ঘটনাই বিবেচিত হবে তা নয়, সম্পর্কের অন্যান্য দিকও বিবেচিত হবে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো এবং নাগরিক সমাজ তা বুঝতে সক্ষম হচ্ছে কি না এবং তাদের যে ভূমিকা, তা পালন করতে তারা প্রস্তুত আছে কি না, সেটাই প্রশ্ন।

            সূত্র: প্রথম আলো / আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29165/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              একাধিক সংযোগের সমাধান ই–সিম


              ই–সিম, অ্যাপলআইফোন ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ বলে থাকেন, একটি অতিরিক্ত সিমকার্ড লাগানোর সুবিধা থাকলে ভালো হতো। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আরও একটি সিমকার্ডের জায়গা করে দিতে অ্যাপল নারাজ। কারণ, ওই জায়গা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। শুধু যে আইফোনে, তা কিন্তু নয়, একটিমাত্র সিমকার্ড সমর্থন করে এমন সব ফোনের ক্ষেত্রেও তাই। তবে সমাধানও রয়েছে। আর তা হলো ই-সিম।

              ই-সিম কী: ই-সিমের পূর্ণ রূপ হলো এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল। মুঠোফোনে সচরাচর যে প্লাস্টিকের সিমকার্ড ব্যবহার করা হয়, তা খুব সহজেই খোলা ও পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু ই-সিম ছোট আকৃতির এমন চিপ, যা মাদারবোর্ডে সরাসরি যুক্ত থাকে। যা সাধারণ সিমকার্ডের মতো নেটওয়ার্ক সরবরাহকারী কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

              ই-সিমের সুবিধা: এটি সুবিধামতো সাজিয়ে নেওয়া যায়। অর্থাৎ আলাদা সংযোগদাতার জন্য আলাদা সিমকার্ডের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনমতো বিভিন্ন কোম্পানির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যাবে। খুব সহজেই ব্যবহার করা থেকে দূরেও থাকা যাবে। তা ছাড়া ফোনের নকশায় ই-সিমের জন্য পরিবর্তন আনা যাবে। সিমকার্ডের জন্য যে বাড়তি জায়গা প্রয়োজন ছিল, তা এখন অন্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। যাঁরা প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করেন, তাঁদের এ ক্ষেত্রে সিমকার্ড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

              যেসব ফোনে ই-সিম সমর্থন করে: আইফোন এক্সএস, এক্সএস ম্যাক্স, এক্সআর, ১১, ১১ প্রো ও ১১ প্রো ম্যাক্স এবং গুগলের পিক্সেল ২,৩, ৩এ ও ৪ এ সাধারণ প্লাস্টিক সিমকার্ডের পাশাপাশি ই-সিম সমর্থন করে। অন্যদিকে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ড ফোনে ই-সিমের সুবিধা রাখা হয়েছে।

              চমক দেখাতে যাচ্ছে মটোরোলা রেজর। যেটি হবে সম্পূর্ণ ই-সিম নির্ভর।

              যেভাবে ব্যবহার করা যাবে: ই-সিম এখনো প্রাথমিক পর্যায় আছে বলা চলে। তবে দিন দিন এর ব্যবহার বাড়বে, যেমনটা বাড়বে মুঠোফোনে ই-সিম সমর্থন। সুবিধাটি ব্যবহার করার জন্য একেক কোম্পানি একেক নিয়ম অনুসরণ করে থাকে। কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে সরাসরি উপস্থিত থেকে চালু করতে হয়, যেমন এটিএন্ডটি। আর কিছু কোম্পানি অ্যাপের মাধ্যমে সেবা দিয়ে থাকে, যেমন ভেরাইজন ওয়্যারলেস।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29171/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ১৪ বছর ধরে দূর্ভোগের শিকার সাধারণ জনগন, নেই কোন উদ্যোগ


                নিচে ভয়াবহ গভীরতা। মাত্র একটি বাঁশে ভর করে প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চললেও সংযোগ সড়কটি মেরামত করা হয়নি। গত শুক্রবার মেলান্দহের মাহমুদপুর ইউনিয়নের খাশিমারা গ্রামে। দীর্ঘদিনেও জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের খাশিমারা গ্রামের একটি সেতুর সংযোগ সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে ১৪ বছর ধরে দুর্ভোগে রয়েছে ৯ গ্রামের মানুষ। ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে তারা। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে।

                গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, দুর্গম গ্রাম খাশিমারা। গ্রামে ঢোকার রাস্তাও কাঁচা। গ্রামের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে উমরা নদী। এই নদীর ওপর সেতুটি। সেতুর পশ্চিম পাশে প্রায় ৫০ মিটার সংযোগ সড়ক ভাঙা। সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক ভেঙে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেখানে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা অংশ দিয়ে চলাচলের জন্য একটি লম্বা বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সেটিও নড়বড়ে। এটি দিয়ে পারাপার হওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুর পূর্ব পাশের সংযোগ সড়কও ভেঙে গেছে। লোকজন ঝুঁকি নিয়ে একটি বাঁশের ওপর দিয়ে চলাচল করছে।

                কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, ২০০১ সালে সেতুটি নির্মিত হয়। নির্মাণের পর ২০০৫ সালে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। সময় যত বেড়েছে, ভাঙন আরও বড় হয়েছে। ১৪ বছরেও ভাঙা অংশটুকু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর গ্রামবাসী মিলে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করেছেন। কিন্তু বড় ভাঙার কারণে সাঁকোও বেশি দিন টেকে না। সাঁকো ভেঙে যাওয়ার পর কয়েক বছর যোগাযোগ একদম বন্ধ ছিল। পরে একটি বাঁশ দিয়ে লোকজন চলাচল করছে। সেতুটি দিয়ে খাশিমারা, দক্ষিণ খাশিমারা, রোনাইপাড়া, পুটায়পাড়া, নলকুঁড়ি, নাংলা, ফকিরপাড়া, কাজাইকাটা ও নলছিয়া গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে।

                খাশিমারা গ্রামের নূরুল ইসলাম বলেন, ভাঙা অংশের জন্য তাঁদের কষ্টের শেষ নেই। চারপাশ দিয়ে নদী। সেতুটি ছাড়া পারাপার হওয়া যায় না। ১৪ বছর ধরে এটি ভাঙছে। কিন্তু কোনো দিনও এটি সরকারিভাবে মেরামত হয়নি। বর্তমানে একটি বাঁশ দিয়ে কোনো রকমে লোকজন চলাচল করে।

                নূরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বাঁশ থেকে পড়ে বিভিন্ন সময় চারজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন মো. রিফাত (১২), জাকিরুল ইসলাম (৪), সাথি আক্তার (৯) ও আব্দুল হালিম (৩৫)।

                রোকনাইপাড়া গ্রামের জবেদা বেগম তাঁর নাতিকে নিয়ে একটি বাঁশ দিয়ে ভাঙা অংশ খুবই সাবধানে পার হলেন। তিনি বলেন, এই ভাঙা অংশ অনেক গভীর। একটি বাঁশে পা রেখে পারাপার হতে খুব ভয় লাগে। ছোট নাতিকে নিয়ে খুব কষ্টে পার হলেন। কত বছর ধরে এই কষ্ট করছেন। কিন্তু এটি আর মেরামত হয় না।

                জবেদা বেগম জানান, গত বছর তাঁর নাতনি সাথি আক্তার স্কুলে যাওয়ার সময় বাঁশ থেকে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন সে ঘরে পড়ে ছিল। এভাবে প্রায়ই লোকজন বাঁশ থেকে পড়ে আহত হয়।
                খবরঃ প্রথম আলো

                রোকনাইপাড়া গ্রামের তারা মিয়া বলেন, তাঁদের কপালই খারাপ। ১৪ বছরেও ভাঙা অংশ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৪ বছর ধরে লোকজন ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। সেতুর সুফল তাঁরা ভাঙা অংশের জন্য পাননি। তিনি বলেন, ‘ভাঙা অংশ মেরামতের জন্য গ্রামের সবাই এক হয়ে, অনেক জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কেউ ভাঙা অংশ মেরামতে এগিয়ে আসেনি। তাই বর্তমানে এটা মেরামতের আশা আমরা ছেড়েই দিয়েছি।’

                সেতুটি পার হয়ে খাশিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাশিমারা উচ্চবিদ্যালয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। ভাঙা অংশটুকু খুবই ঝুঁকি নিয়ে পার হয় শিক্ষার্থীরা। খাশিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলে, ভাঙা অংশ পার হতে তাদের খুব ভয় লাগে। অনেক উঁচুতে বাঁশটি থাকায় তা নড়বড়ে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, এই বুঝি বাঁশ থেকে তারা পড়ে যাচ্ছে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29174/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না হাইকোর্টে, কোটিপতি বনে যাচ্ছে অনেকেই


                  কথিত সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরও অনিয়ম বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছে প্রধান বিচারপতি তাগুত সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

                  আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে একটি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি এই মন্তব্য করে।

                  অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিল।

                  নির্ধারিত মামলার শুনানি করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম কথিত আদালতকে বলে, ‘একটি মামলা আজ (সোমবার) তিন নম্বর সিরিয়ালে (আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়) থাকার কথা। কিন্তু অদৃশ্যভাবে তা ৮৯ নম্বর সিরিয়ালে গেছে। কীভাবে গেল তা আপিল বিভাগের কাছে জানতে চায় সে।

                  এ সময় প্রধান বিচারপতি বলে, ‘সিসি ক্যামেরা বসালাম (এফিডেভিট শাখা কক্ষে), এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে। সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম রুখতে পারছি না। ‘ এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল বলে, ‘অনেকেই মামলার তালিকা ওপর- নিচ করে কোটিপতি হয়ে গেছে। ‘

                  প্রধান বিচারপতি বলেছে, ‘রাষ্ট্রপক্ষের অনেক আইনজীবীও আদালতে আসে না। বেতন বেশি হওয়ার কারণে এমন হচ্ছে।

                  বেতন কম হলে তারা ঠিকই কষ্ট করে আদালতে আসত। ‘

                  এরপর তাৎক্ষণিক এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানকে আপিল বিভাগে তলব করে প্রধান বিচারপতি। তবে মামলার সিরিয়াল করা নিয়ে মেহেদী হাসানের ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

                  সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29177/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ইসলামী বই ছাপানোর নামে ১৭ কোটি টাকা লোপাট করল সামীম আফজাল


                    ইসলামিক ফাউন্ডেশনে (ইফা) ইসলামী বই ছাপানোর নামে ১৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা সিভিল অডিট অধিদফতরের বিশেষ নিরীক্ষায় উদঘাটিত হয়েছে।

                    পবিত্র কুরআনুল কারীমের কপি কম ছাপিয়ে, আরবি ভাষা শিক্ষার টিচার্স গাইড না ছাপিয়ে ইফার মহাপরিচালক (ডিজি) লিখিত বইয়ের রয়্যালিটির নামে এই টাকা তছরুপ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ কপি কুরআন শরিফ কম ছাপিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় প্রায় দুই কোটি টাকা।

                    ইফার ২০০৯-২০১৮ অর্থ বছরের ১০ বছরের এই নিরীক্ষায় ৯৬টি খাতে সর্বমোট ৭৯৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকার অনিয়ম ধরা পড়ে। তার মধ্যে কুরআন শরিফ মুদ্রণসহ পাঁচটি খাতে ১৬ কোটি ৭০ লাখ ৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ হয়েছে।

                    প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারিক কর্মকর্তা সামীম মোহাম্মাদ আফজল ২০০৯ সাল থেকে ইফার ডিজির দায়িত্ব পালন করে আসছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তার সর্বশেষ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হবে।

                    সিভিল অডিট অধিদফতরের উপ-পরিচালক এম এম নিয়ামুল পারভেজের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের টিম এই নিরীক্ষা পরিচালনা করে। এতে ইফার ১২টি কার্যালয়ের ২০০৯-১৮ সালের বরাদ্দ ও ব্যয় খতিয়ে দেখা হয়।

                    অডিট টিমের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইফার বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগের সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি। তবে ফেরত দেওয়া অর্থ সমন্বয় করা হয়েছে। আরো কিছু ফেরত পেলে তাও সমন্বয় করা হবে। ইতোমধ্যেই এগ্রিড মিটিং হয়ে গেছে। ওখানেই খসড়া রিপোর্টটিই চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছোটখাট কিছু পরিবর্তন করে চূড়ান্ত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রক্রিয়াধীন।

                    রিপোর্টে অনিয়মের পুরো টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদান এবং অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

                    নিরীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইফার ১৩৪টি খাতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে ইফার জবাব চাওয়া হয়। এরপর ইফা ডিজির পক্ষ থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৮২ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়াসহ জবাব দেয়। জবাবগুলো আবার খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইফার কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসে অডিট টিম এবং সেটি চূড়ান্ত করা হয়। এতে অনিয়মের খাতের সংখ্যা কমে আসলেও অনিয়মের টাকার অংকে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি।

                    ২০১৭-১৮ আর্থিক সালে ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮০ কপি কুরআন সরবরাহের জন্য ইফার প্রেসকে সরাসরি কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রেস থেকে ৫ লাখ কপি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮০ কপি মুদ্রণের বিল বাবদ ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধ করা হয়। এতে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। এই আত্মসাতের বিষয়ে ইফা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় নিরীক্ষার সুপারিশে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং আত্মসাতের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।

                    সুত্রঃ ইনসাফ২৪


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29180/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      কচু ছাড়া সব কিছুতেই ফরমালিন, খাদ্যে ভেজালকারীকেও গণপিটুনি দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি


                      কচু ছাড়া সব কিছুতেই ফরমালিন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছে, নির্ভেজাল খাবার দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে, কচু ছাড়া সব কিছুতেই ফরমালিন। খাদ্য ভেজালের কারণে ক্যান্সারসহ জটিল রোগ হচ্ছে। কিছু মানুষ দানব হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে মানুষকে ফেরাতে হবে।

                      আব্দুল হামিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, আগে শুধু পকেট মারলেই গণপিটুনি দেয়া হতো, এখন খাদ্যে ভেজালকারী মানুষকেও গণপিটুনি দিতে হবে। মানুষকে এ পথ থেকে ফেরাতে হবে। নইলে জাতি হিসেবে আমরা পঙ্গু হয়ে যাবো।

                      রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পঞ্চম সমাবর্তনে যোগ দিয়ে রোববার বিকেলে এসব কথা বলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29186/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        চবিতে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দু’পক্ষে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, আহত ৭


                        আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৭ সন্ত্রাসী কর্মী আহত হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হল থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত। এরপর শনিবার সারাদিন উভয় পক্ষ রামদা, রড এবং লাঠিসোঠা নিয়ে দুই হলের সামনে অবস্থান নিয়ে ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হলে তল্লাশি চালাচ্ছে আওয়ামী দালাল পুলিশ।

                        বিবাদমান একটি পক্ষ শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ‘সিএফসি’ ও অপর পক্ষটি সাবেক দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুলের অনুসারী ‘ভিএক্স’। সিএফসি পক্ষটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের এবং ভিএক্স সিটি মেয়র আ জ ম নাসিরের উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহীদ আব্দুর রব হলের টেলিভিশন কক্ষে মিটিং করাকে কেন্দ্র করে এই দুটি পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

                        সমকালের সূত্রে জানা যায়, ভিএক্স পক্ষের নেতাকর্মীরা এ এফ রহমান হলে রাত ১১ টায় মিটিংয়ে বসে। তবে যাদের পরীক্ষা চলছে তারা রব হলে নিজ কক্ষে পড়ছিল। সাড়ে ১১ টার দিকে ভিএক্স পক্ষের কর্মীদের কক্ষে গিয়ে সিএফসি কর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় এবং রড দিয়ে পেটায়। এতে ভিএক্স পক্ষের কর্মী ও গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সুইডেন আহম্মেদ আকাশ, তানজিম সাদমান, একই বর্ষের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের জাহিদ হাসান, ইতিহাস বিভাগের একই বর্ষের একরামুল হক রিয়াদ, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আহত হয়। তাদের মধ্যে সুইডেন আহম্মেদ আকাশকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়।

                        এ ঘটনা অন্যান্য হলে জানাজানি হলে সিএফসি কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে এবং ভিএক্স কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর তারা কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে এবং ইট-পাটকেল, কাচের বোতল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে দুই হলের ভেতরে যেতে বাধ্য করে। দুই পক্ষের কাচের বোতল ও ইট পটকেল নিক্ষেপে সিএফসি পক্ষের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের মাস্টার্সের শরীফ উদ্দীন ও প্রান্ত আহত হয়। তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

                        ভিএক্স পক্ষের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেছে, শহীদ আবদুর রব হলে আমাদের কয়েকজন জুনিয়রকে ধারালো রাম দা, রড দিয়ে মারধর করেছে সভাপতির অনুসারীরা। এর আগে দিন একটা ঝামেলা হয়েছিল সভাপতির সঙ্গে বসে আমরা সমাধান করেছিলাম। সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আর ঝামেলা করবে না কেউ। একদিন না যেতেই তার কর্মীরা এ ধরনের হামলা করেছে। তাই তার সঙ্গে বসার বা সমঝোতা করার প্রয়োজন মনে করছি না।

                        শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেছে, ঘটনার এখনও সমাধান হয়নি। তবে আমরা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।

                        ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেছে শুক্রবার রাতে একটা ঝামেলা হয়েছিল সেটা এখনও কোন সমাধান হয়নি। উপাচার্যের সঙ্গে বসে দোষীদের বিষয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29190/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          বরগুনায় বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতার মারধর


                          বরগুনার তালতলীতে এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীর দুই ভাইকে মারধর করে আহত করেছে। আহত এক ভাইকে গুরুতর অবস্থায় কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

                          ওই ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কড়ইবাড়ীয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ওই ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নের মনির গাজীর ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন গাজী (২১) বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইল নম্বর চেয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করছিল।

                          ওই স্কুলছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে শনিবার সন্ধ্যার পর বড়ভাই শহিদুল ইসলাম তার খালাতো ভাই ইমাম হোসেনকে নিয়ে কড়ইবাড়ীয়া বাজারে মিলন গাজীর কাছে গিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন। এসময় মিলন গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে শহিদুল ইসলাম ও ইমাম হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

                          স্কুলছাত্রীর ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, ‘আমার বোনকে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা মিলন গাজী। বিষয়টি মিলন গাজীকে বুঝিয়ে বলতে গেলে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। এতে আমার ভাই ইমাম হোসেন গুরুতর আহত হয়ে কলাপাড়া হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৯নং বেডে ভর্তি রয়েছে।’


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/02/29170/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, মন থেকে বলছি, জিহাদের পথ থেকে কখনো সরে পড়বেন না। উম্মাহ আজ কঠিন এক সময় পার করছে। উম্মাহ আলিমগন, যাদের উপর দায়িত্ব ছিলো উম্মাহকে সঠিক পথ দেখাবে, তারাই ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে। আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানের সাথে যারা প্রতিনিয়ত বেয়াদবী করছে উম্মাহ আলিমগন তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছে। এ যেনো এক নতুন পদ্ধতির ধর্মবিশ্বাসের নাম। যারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান বাদ দিয়ে মুসলিমদের শাসন করছে তাদের সাথে জিহাদ করার পরিবর্তে উম্মাহের বড় একটি আলিমসমাজ বন্ধুত্ব স্থাপন করছে। আজ উম্মাহ দিশেহারা পাখির মত দিক বিদিক ছুটাছুটি করছে। কেও চরমোনাই, কেও আটরশি, কেও মাইজভান্ডারি, কেও দেওয়ানবাগী,কেও ছরছিনা। কেও আছেন কতিত আহলি হাদিস নিয়ে পড়ে, কেও আছেন কুফরি তন্ত্র নিয়ে। কেও আছেন সুন্নী নামেএ ভণ্ডদের সাথে, কেও আছেন ইতিয়াতি ওয়াজাহাতি নিয়ে পড়ে। গোটা মুসলিম উম্মাহকে নিয়ে ভাবার মত ব্যক্তি দলের আজ বড়ই অভাব। এহেন মহূর্তে মুজাহিদ ভাই আপনিও কি মুসলিমদের টার্গেট বানিয়ে দ্বীন কায়েমের আন্দোলন করবেন?????????.
                            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                            Comment


                            • #15
                              আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
                              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                              Comment

                              Working...
                              X