Announcement

Collapse
No announcement yet.

সাইফুদ্দিন কুতজ রহ. কি খলিফা ছিলেন?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সাইফুদ্দিন কুতজ রহ. কি খলিফা ছিলেন?

    সাইফুদ্দিন কুতজ রহ. কি খলিফা ছিলেন?

    উত্তর : না! তিনি সুলতান ছিলেন। খলিফা ছিলেন না। তিনি মূলত মিশরের সুলতান ইজ্জুদ্দীন আইবেকের গোলাম এবং সবচেয়ে ঘনিষ্ট গোলাম ছিলেন। ৬৫৫ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে ইজ্জুদ্দীন আইবেক তার বিবি ও খাদেমাদের হাতে নিহত হন। বদলাস্বরূপ কুতজ রহ. এর নেতৃত্বে আইবেকের অন্যান্য গোলামরা বিবিকে হত্যা করেন এবং আইবেকের অল্পবয়স্ক ছেলে নূরুদ্দীন আলীকে ক্ষমতায় বসান। অল্পবয়স্ক বালকের পক্ষে রাষ্ট্র চালানো সম্ভব ছিল না। তাই সকল বিষয় মূলত কুতজ রহ.-ই দেখাশুনা করতেন। তিনি আগে থেকেই এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন এবং লোকজন তাকে মান্য করতো। এভাবে দুই বছর চলে।


    ৬৫৭ হিজরিতে তাতাররা শামে আগ্রাসন চালায় এবং মিশরে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করে। পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী জিহাদ অনিবার্য হয়ে পড়ে। তখন কুতজ রহ. তার মুনীবের ছেলে নূরুদ্দীন আলীকে অপসারণ করে নিজে সুলতান পদে অধীষ্ঠিত হন। কারণ, অল্পবয়স্ক বালকের পক্ষে এ ধরণের ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব ছিল না। তখনকার উলামা, ফুকাহা ও উমারাগণও বিষয়টি মেনে নেন। বরং কুতজ রহ. এর ক্ষমতা গ্রহণ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ছিল। তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করে জিহাদে রওয়ানা হন। আল্লাহ তাআলা তার হাতে তাতারদের নাস্তানুবাদ করেন। আলহামদুলিল্লাহ।


    আরেকটু বিস্তারিত বললে- ৬৫৬ হিজরির সফর মাসে বাগদাদে আব্বাসী খলিফা মুস্তাসিম বিল্লাহ তাতারদের হাতে শহীদ হন। তাতাররা বাগদাদকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে। বলা হয়, বাগদাদে তারা বিশ লাখ মানুষ হত্যা করে। তখন থেকে মুসলিম বিশ্ব খলিফা শূন্য হয়ে পড়ে। তিন বছর খলিফাশুন্য ছিল।


    তাতাররা বাগদাদ ধ্বংসের পর শামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। হালাব ও দামেশককেও বাগদাদের মতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে। শামের আমীর-উমারা ও জনগণ মিশরের কাছে সাহায্য চান, যেন শাম ও মিশর মিলে তাতারদের প্রতিহত করা যায়। এ ঘটনা ৬৫৭ হিজরির। তখন মিশরের ক্ষমতায় অধীষ্ঠিত- ইজ্জু্দ্দিন আইবেকের ছেলে নূরুদ্দীন আলী। তাতারদের ব্যাপারে আলোচনার জন্য মিশরে আমীর-উমারা ও উলামা-ফুকাহা মিলে এক মজলিস বসে। সময়ের দাবি অনুযায়ী জিহাদের সিদ্ধান্ত হয়। তবে অল্প বয়স্ক বালকের পক্ষে এ ধরণের নাজুক পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব ছিল না। মূলত আগে থেকে কুতজ রহ.-ই রাষ্ট্রীয় বিষয়াশয় দেখাশুনা করতেন। লোকজনের মাঝে নূরুদ্দীন আলীকে বরখাস্ত করার আলোচনা উঠে। কুতজ রহ.-ই ছিলেন এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উপযুক্ত লোক। তিনি নূরুদ্দীন আলীকে বরখাস্ত করে মিশরের সুলতান পদে অধীষ্ঠিত হন। ৬৫৭ হিজরির জিলকদ মাসে তার বাইয়াত হয়। উলামা-ফুকাহাগণও পরিস্থিতির বিবেচনায় এতে সমর্থন দেন। সুলতান পদে অধীষ্ঠিত হয়ে তিনি শাম ও মিশরবাসীকে নিয়ে জিহাদে রওয়ানা হন। আমীর রুকনুদ্দীন বাইবার্স রহ. শামের বাহিনিতে ছিলেন। তিনি কুতজের সাথে যোগ দেন। ৬৫৮ হিজরির রমযান মাসে আইনে জালূতে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধে তাতাররা সূচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। আল্লাহ তাআলা কুতজ রহ. এর হাতে তাতারদের নাস্তানুবাদ করেন। আলহামদুলিল্লাহ।


    শাম তাতারদের থেকে মুক্ত হওয়ার পর কুতজ রহ. মিশরে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে কয়েকজন আমীরের ষড়যন্ত্রে তিনি নিহত হন। এরপর সকলে মিলে ইসলামের সিংহ রুকনুদ্দীন বাইবার্স রহ.কে মিশর ও শামের সুলতান নির্ধারণ করে। তিনি সুলতান হওয়ার পর ৬৫৯ হিজরির রজব মাসে মুস্তানসির বিল্লাহ আব্বাসীকে খলিফা নিয়োগ দেন। এভাবে তিন বছর মুসলিম বিশ্ব খলিফাশুন্য থাকার পর ৬৫৯ হিজরিতে খলিফা নিয়োগ হয়। এ খলিফাবিহিন সময়েই ৬৫৮ হিজরির রমযান মাসে সুলতান কুতজ রহ. আইনে জালূতের জিহাদে তাতারদের পরাজিত করে ইসলামের বিজয় ছিনিয়ে আনেন।


    বিষয়টি ভালভাবে জানার জন্য কিছু উদ্ধৃতি পেশ করছি-


    ইবনে কাসীর রহ. (৭৭৪ হি.) বলেন,
    ثم دخلت سنة ست وخمسين وستمائة فيها أخذت التتار بغداد وقتلوا أكثر أهلها حتى الخليفة، وانقضت دولة بني العباس منها. اهـ
    “৬৫৬ হিজরিতে তাতাররা বাগদাদ দখল করে নেয়। বাগদাদের অধিকাংশ অধিবাসীকে হত্যা করে দেয়, এমনকি খলিফাকেও। সাথে সাথে বাগদাদ থেকে আব্বাসী শাসনেরও পতন হয়ে যায়।”- আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ১৩/২৩৩


    আরো বলেন,
    قتلته التتار مظلوما مضطهدا في يوم الأربعاء رابع عشر صفر من هذه السنة، وله من العمر ستة وأربعون سنة وأربعة أشهر.وكانت مدة خلافته خمسة عشر سنة وثمانية أشهر وأياما (1) ، فرحمه الله وأكرم مثواه، وبل بالرأفة ثراه. وقد قتل بعده ولداه وأسر الثالث مع بنات ثلاث من صلبه، وشغر منصب الخلافة بعده، ولم يبق في بني العباس من سد مسده، فكان آخر الخلفاء من بني العباس. اهـ
    “৬৫৬ হিজরির ১৪ই সফর নির্মমভাবে জুলুম করে তাতাররা খলিফাকে শহীদ করে। … তার শহীদ হওয়ার পর খলিফার পদ শুন্য হয়ে পড়ে। শুন্যতা পূরণ করার মতো আব্বাসীদের কেউ বাকি থাকেনি। (কার্যত) তিনিই আব্বাসীদের শেষ খলিফা ছিলেন।”- আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ১৩/২৩৮


    অর্থাৎ পরে যদিও আব্বাসীদের থেকে খলিফা নিয়োগ দেয়া হয়েছে, কিন্তু খলিফার কোন কর্তৃত্ব ছিল না। নামে মাত্র ছিল। তাই বলতে গেলে শহীদ মুস্তাসিম বিল্লাহই আব্বাসীদের শেষ স্বাধীন খলিফা।


    সুলতান রুকনুদ্দীন বাইবার্স রহ. মিশর ও শামের সুলতান হওয়ার পর ৬৫৯ হিজরির রজব মাসে আব্বাসীদের থেকে মুস্তানসির বিল্লাহকে খলিফা পদে সমাসীন করেন- এ প্রসঙ্গে ইবনে কাসীর রহ. বলেন,
    بويع بالخلافة بمصر بايعه الملك الظاهر والقاضي والوزير والأمراء، وركب في دست الخلافة باديار مصر والأمراء بين يديه والناس حوله، وشق القاهرة في ثالث عشر رجب، وهذا الخليفة هو الثامن والثلاثون من خلفاء بني العباس بينه وبين العباس أربعة وعشرون أبا، وكان أول من بايعه القاضي تاج الدين لما ثبت نسبه، ثم السلطان ثم الشيخ عز الدين بن عبد السلام ثم الأمراء والدولة، وخطب له على المنابر وضرب اسمه على السكة وكان منصب الخلافة قد شغر منذ ثلاث سنين ونصفا، لأن المستعصم قتل في أول سنة ست وخمسين وستمائة، وبويع هذا في يوم الاثنين في ثالث عشر رجب من هذه السنة - أعني سنة تسع وخمسين وستمائة. اهـ
    “মিশরে খলিফার বাইয়াত হয়। সুলতান জাহির (বাইবার্স), কাজি, উজির ও উমারাগণ বাইয়াত হন। … মিম্বারে খলিফার নামে খুতবা দেয়া হয়। তার নামে মূদ্রাও চালু হয়। ইতিপূর্বে তিন বছরেরও অধিক সময় ধরে খলিফার পদ শুন্য ছিল। কেননা, মুস্তাসিম বিল্লাহ শহীদ হন ৬৫৬ হিজরির শুরুতে আর বর্তমান খলিফার বাইয়াত হয়েছে চলতি ৬৫৯ হিজরির ১৩ই রজব।”- আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ১৩/২৬৮


    বাইবার্স রহ. এর জীবনীতে বলেন,
    وهو الذي أنشأ الدولة العباسية بعد دثورها، وبقي الناس بلا خليفة نحوا من ثلاث سنين. اهـ
    “পতন হয়ে যাওয়ার পর তিনিই আব্বাসী শাসনকে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে তিন বছরের মতো কোন খলিফা ছিল না।”- আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ১৩/৩২৩


    ইবনু তাগরি রহ. (৮৭৪ হি.) বলেন,
    وشغرت الخلافة بعده سنين، وبقيت الدّنيا بلا خليفة حتّى أقام الملك الظاهر بيبرس البندقدارىّ بعض بنى العبّاس فى الخلافة. اهـ
    “খলিফা মুস্তাসিম বিল্লাহ শহীদ হওয়ার পর কয়েক বছর খলিফার পদ শুন্য পড়ে ছিল। দুনিয়ায় কোন খলিফা ছিল না। অবশেষে সুলতান জাহির বাইবার্স আব্বাসীদের একজনকে খলিফা পদে সমাসীন করেন।”- আননজুমুয যাহিরা ৭/৬৪
    ***



    সুলতান কুতজ এবং আইনে জালূত

    ইবনে কাসীর রহ. বলেন,
    ثم دخلت سنة خمس وخمسين وستمائة فيها أصبح الملك المعظم صاحب مصر عز الدين أيبك بداره ميتا ... ولما قتل رحمه الله فاتهم مماليكه زوجته أم خليل شجرة الدر به ... ولما سمعوا مماليكه أقبلوا بصحبة مملوكه الأكبر سيف الدين قطز، فقتلوها ... وأقامت الأتراك بعد أستاذهم عز الدين أيبك التركماني، بإشارة أكبر مماليكه الأمير سيف الدين قطز، ولده نور الدين عليا (3) ولقبوه الملك المنصور، وخطب له على المنابر وضربت السكة باسمه. اهـ
    “৬৫৫ হিজরিতে মিশরের সুলতান ইজ্জুদ্দীন আইবেক রহ.কে নিজ গৃহে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মামলূকরা ধারণা করে যে, তার স্ত্রী শাজারাতুতদুর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। বড় মামলূক সাইফুদ্দীন কুতজের নেতৃত্বে মামলূকরা শাজারাতুতদুরকে হত্যা করে এবং তারই পরামর্শে আইবেকের স্থলে তার ছেলে নূরুদ্দীন আলীকে ‘মানসূর’ উপাধী দিয়ে ক্ষমতায় বসায়। তার নামে মিম্বারে খুতবা দেয়া হয় এবং মূদ্রাও চালু হয়।”- আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ১৩/২২৮


    সামনে বলেন,
    لما قتل أستاذه المعز قام في تولية ولده نور الدين المنصور علي، فلما سمع بأمر التتار خاف أن تختلف الكلمة لصغر ابن أستاذه فعزله ودعا إلى نفسه، فبويع في ذي القعدة سنة سبع وخمسين وستمائة كما تقدم، ثم سار إلى التتار فجعل الله على يديه نصرة الإسلام كما ذكرنا، وقد كان شجاعا بطلا كثير الخير ناصحا للإسلام وأهله، وكان الناس يحبونه ويدعون له كثيرا. اهـ
    “মুনীব নিহত হওয়ার পর কুতজ রহ. মুনীবের ছেলে নূরুদ্দীন মানসূর আলীকে ক্ষমতায় বসান। পরে যখন তাতারদের আগ্রাসনের খবর পান, তার ভয় হয় যে, মুনীবের ছেলে (সুলতান মানসূর) অল্পবয়স্ক হওয়ায় (উমারাদের মাঝে) মতভেদ দেখা দিতে পারে (যা এ ধরণের পরিস্থিতিতে ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে)। তাই তিনি তাকে বরখাস্ত করেন এবং সকলকে তার হাতে বাইয়াত হওয়ার আহ্বান জানান। ৬৫৭ হিজরির জিলকদ মাসে তার বাইয়াত হয়। বাইয়াতের পর তাতারদের মোকাবেলায় অগ্রসর হন। আল্লাহ তাআলা তার হাতে ইসলামের নুসরত করেন। তিনি অত্যন্ত বীর-বাহাদুর ছিলেন। অনেক ভাল লোক ছিলেন। ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণকামী ছিলেন। লোকজন তাকে মহব্বত করতো। তার জন্য অনেক দোয়া করতো।”- আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ১৩/২৬১


    আরো বলেন,
    وبان عذره الذي اعتذر به إلى الفقهاء والقضاة وإلى ابن العديم، فإنه قال: لا بد للناس من سلطان قاهر يقاتل عن المسلمين عدوهم، وهذا صبي صغير لا يعرف تدبير المملكة. اهـ
    “ফুকাহায়ে কেরাম, কাজিগণ এবং (শামের উজির) ইবনুল আদিম- সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, কুতজ রহ. পরিস্থিতির বিবেচনায়ই ক্ষমতা হাতে নিয়েছেন। ক্ষমতা নেয়ার যুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এমন একজন দাপটি সুলতান আবশ্যক যিনি দুশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুসলমানদের সুরক্ষা দিতে পারেন। আর এ তো ছোট বালক। রাষ্ট্র চালানোর জ্ঞান-বুদ্ধি ও কলা-কৌশল তার জানা নেই।”- আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ১৩/২৫০


    সুলতান পদে অধীষ্ঠিত হওয়ার পর কুতজ রহ. তাতারদের মোকাবেলায় রওয়ানা হন। আইনে জালূতের ঐতিহাসিক যুদ্ধে তাতাররা সূচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। তাতাররা শাম থেকেও পলায়ন করে। শাম ও মিশর মুসলমানদের একচ্ছত্র অধীনে চলে আসে। আইনে জালূতের যুদ্ধ হয় ৬৫৮ হিজরির রমযান মাসে। এ সময় মুসলিম বিশ্ব খলিফাশুন্য ছিল। আইনে জালূতের পর মিশরে ফেরার পথে কুতজ রহ. কয়েকজন আমীরের ষড়যন্ত্রে নিহত হন। সুলতান হওয়ার পর পূর্ণ এক বছরও তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। এরপর সকলে মিলে রুকনুদ্দীন জাহির বাইবার্স রহ.কে সুলতান নিয়োগ দেন। তিনি সুলতান হওয়ার পর ৬৫৯ হিজরির রজব মাসে মুস্তানসির বিল্লাহ আব্বাসীকে খলিফা নিয়োগ দেন। তিন বছর খলিফাবিহিন থাকার পর মুসলিম বিশ্বে আবার খলিফা নিয়োগ হয়।


    উপরোক্ত উদ্ধৃতিগুলো থেকে আশাকরি স্পষ্ট যে, সাইফুদ্দীন কুতজ রহ. খলিফা ছিলেন না, সুলতান ছিলেন। আইনে জালূতে তিনি যে জিহাদ করেছেন, তা খলিফা হিসেবে নয়, সুলতান হিসেবে। এ জিহাদকে উলামায়ে কেরাম আল্লাহর রহমত আখ্যা দিয়েছেন। বুঝা গেল, জিহাদ সহীহ বা জায়েয হওয়ার জন্য খলিফা থাকা শর্ত বা আবশ্যক নয়। ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআলা আ’লাম।


  • #2
    মাশা'আল্লাহ খুব সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন প্রিয় মুহতারাম।
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝার এবং তা থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন।
    মুজাহিদীনকে ভালবাসুন, তাদের সাপোর্ট করুন!
    কেননা, তারাই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথে অটল রয়েছেন।

    Comment


    • #3
      ভাই আপনার প্রতিটি পোস্ট ই আমাদের একোকটি দরসের মত
      আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলম ও আমলে বারাকাহ আরো বাড়িয়ে দিন আমীন
      জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
      পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

      Comment


      • #4
        ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের প্রতিটি আর্টিকেল অনেক গবেষনালব্ধ ৷
        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ!
          আচ্ছা ভাই, একটি প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক দিন ধরে: তা হল খলিফা ও সুলতানের মাঝে পরিভাষাগত পার্থক্য ছাড়া মাসআলাগত কোন পার্থক্য আছে কি? আর খলিফা ও সুলতানের মাঝে এরকম কোন সীমারেখা আছে কি যে, এতটুকু ক্ষমতা থাকলে খলিফা, আর এর চেয়ে কম থাকলে সুলতান? বা খলিফাকে সুলতান, আর সুলতানকে খলিফা বললে কোন গুনাহ হবে কি?

          অনেক খলিফা তো এমন ছিলেন, যারা অনেক সুলতান নামধারীদের থেকেও অনেক দুর্বল ছিলেন। যেমন প্রত্যেক শাসক বংশের পতনকালের খলিফারা তো চূড়ান্ত দুর্বল ও অযোগ্য ছিলেন। তাদের তুলনায় অনেক সুলতান খুব শক্তিশালী ছিলেন।

          Comment


          • #6
            বারাকাল্লাহু ফি ইলমিকা ওয়া আমালিকা...! আমীন
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment


            • #7
              চালিয়ে যাবেন মুহতারাম ভাই ইনশাআল্লাহ।
              আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
              জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
              বিইযনিল্লাহ!

              Comment

              Working...
              X