Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রশ্ন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রশ্ন

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদিসে বলেন -لاتمنوا لقاء العدو
    অন্য হাদিসে বলে والذي نفسي بيده لوددت ان اقتل في سبيل الله ثم احي ثم اقتل ثم احي ثم اقتل
    দুই হাদিসের মাঝে বাহ্যিক বৈপরিত্য মনে হচ্ছে এর সমাধান কী হতে পারে??

  • #2
    শত্রু তো আমাদের ঘরেই এখন বিদ্দমান! শত্রুর আশা করার কী প্রয়োজন, সে তো আমাকে হত্যা করার প্রতিনিয়ত ঘুরছে।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      আসসালামু আলাইকুম
      ভাই aminahmad আমিও এরকম প্রশ্ন করেছিলাম ইলম ও জিহাদ ভাই তার জওয়াব দিয়েছেন আমি তা কপি করে দিচ্ছি

      ইলম ও জিহাদ
      মুহতারাম ভাই, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচ্য হাদিসটি জিহাদ বন্ধ করে দেয়ার জন্য বলেননি, বরং জিহাদের একটি আদব শিক্ষা দিয়েছেন। তা হল, আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা তিনি যেন আমাদের নিরাপদ রাখেন। আমরা যেন সহীহ সালামতে থেকে যাই, পাশাপাশি আমাদের উদ্দেশ্য তথা বিজয়ও হাসিল হয়ে যায়। এ আকাঙ্ক্ষা না করা যে, সহীহ সালামতে বিজয় না আসুক, আল্লাহ তাআলা আমাদের শত্রুর সম্মুখীন করুন এবং লড়াইয়ের মাধ্যমে বিজয় আসুক। এ ধরণের কামনা না করা। এটিই হাদিসের মূল উদ্দেশ্য। কারণ, শত্রুর সম্মুখীন হলে, লড়াই হলে বিজয় আসতেও পারে নাও আসতে পারে। উল্টো আমরা পরাজিতও হতে পারি। এর চেয়ে বরং এ দোয়া করা, আল্লাহ তাআলা যেন কোনো বিপদের সম্মুখীন করা ছাড়াই ভালোয় ভালোয় বিজয় দিয়ে দেন। এটিই হাদিসের উদ্দেশ্য। ভালোয় ভালোয় বিজয় হয়ে গেলে অনর্থক বিপদের আকাঙ্ক্ষা করব কোন যুক্তিতে? আর বিপদের সম্মুখীন হলে আপনি টিকে থাকতে পারবেন, সবর করতে পারবেন এমন নিশ্চয়তাই বা আপনাকে কে দিল? এ ধরণের আকাঙ্ক্ষা অহংকারের আলামত। নিজেকে বড় মনে করার আলামত। বরং সত্য কথা হল, যারা স্বেচ্ছায় নিজেদের উপর বিপদাপদ চাপিয়ে নেয়, প্রয়োজন মূহুর্তে তারা দৃঢ় থাকতে পারে না, পদস্খলন হয়। এ কারণে -

      - ফিতনা আসার আগেই নেক কাজ করে নেয়ার আদেশ এসেছে এবং ফিতনার সম্মুখীন হওয়া থেকে পানাহ চাওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।

      - সুস্থতার দোয়া করতে বলা হয়েছে, অসুস্থতা কামনা করতে বারণ করা হয়েছে।

      - রাষ্ট্রীয় কোন পদ চাইতে বারণ করা হয়েছে এবং যারা পদ চাইবে তাদেরকে পদ না দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।

      - দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাইতে আদেশ এসেছে এবং আদেশ এসেছে, দাজ্জালের কথা শুনলেই যেন দূরে সরে যায়। দাজ্জালের ধারে কাছেও যেন না যায়। কারণ, তার অলৌকিক কর্মকাণ্ড দেখার পর ঈমান বহাল রাখা কঠিন হবে। বরং হাদিসে এসেছে, কোনো কোনো ব্যক্তি নিজেকে পাকা ঈমানদার মনে করে শুধু দেখার জন্য দাজ্জালের কাছে যাবে। পরক্ষণে ভেলকিবাজি দেখে তার অনুসারিতে পরিণত হবে। আল্লাহর পানাহ!


      মোটকথা, হাদিসে বিপদমুক্ত থাকার দোয়া করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার সম্মুখীন হওয়ার কামনা করতে বারণ করা হয়েছে। তবে আল্লাহ তাআলার চিরন্তন সুন্নত যে, বিপদাপদের সম্মুখীন তিনি করবেনই। পরীক্ষা নেবেনই যে, কে আল্লাহর পথে অটল থাকে আর কে পিছপা হয়ে যায়। এ জন্য হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যখন কোন পরীক্ষা এসেই যায়, তখন যেন সবর করে। অধৈর্য না হয়। তখন যেন শত্রুর সামনে থেকে পলায়ন না করে। এ সময় টিকে থাকার আদেশ এসেছে। পলায়ন হারাম করা হয়েছে। বরং বিভিন্ন মর্যাদা ও নেয়ামতের লোভ দেখিয়ে জান-মাল কুরবান করে দেয়ার উৎসাহ দেয়া হয়েছে।


      এককথায়- জিহাদ ফরয। করতেই হবে। তবে নিজের বড়ত্ব-অহংকার দেখানো যাবে না। আল্লাহর সামনে নত থাকতে হবে। আমাকে দেখাবে হবে যে, প্রকৃত অর্থেই আমি আল্লাহর নুসরতের মুখাপেক্ষী। আমার নিজের শক্তিবলে আমি কিছুই করতে পারবো না। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। নিরাপদ থাকার দেয়া করতে হবে। তবে বিপদাপদ আসবেই। শত্রুর সম্মুখীন হতেই হবে। তখন সবরের সাথে অটল থাকতে হবে।


      আপাতত এতটুকুই যথেষ্ট হবে আশাকরি। তবে বিষয়টি ফিতনাবাজদের ফিতনার সুযোগ আছে বিধায় একটু বিস্তারিত আলোচনার দরকার। শাহাদাতের তামান্নার সাথে এর কি ব্যবধান সেটাও তুলে ধরা দরকার। আল্লাহ তাআলার তাওফিক হলে এ ব্যাপারে একটু বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
      জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
      পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লহু খইরান পোষ্ট কারি "আমিন আহমেদ" ভাই। উত্তর উপস্থাপন কারি "মুসাব বলেন ন সাইফ "ভাই ও উত্তরদাতা "ইলম ও জিহাদ" ভাইকে। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের ইলমে বারাকাহ দান করুন আমিন। আমাদের কে বুঝার তাওফিক দান করুন আমিন। এবং ফিতনাবাজদের ফিতনা থেকে হিফাজত করুন আমিন। এবং আমাদের কে জিহাদের পথে অবিচলতা দান করুন আমিন, আমিন, আমিন!!
        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

        Comment


        • #5
          ইলম ও জিহাদ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
          আল্লাহ তা‘আলা ভাইয়ের ইলমে আরো বারাকাহ দান করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তায়ালা আপনাদের ইলম এবং আমলের মধো বারাকাহ দান করুন,আমিন।
            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

            Comment


            • #7
              রিপ্লাই

              আল্লাহ আমাদের অবিচল রাখুন। আমিন

              Comment


              • #8
                ফোরামে দেখেছিলাম যে, ইলম ও জিহাদ ভাই "উল্লেখিত হাদীসের ব্যপারে বিস্তারিত দলিল ভিত্তিক একটি পোষ্ট দিয়েছিল। সব ভাই পড়ে নিলে ভাল হবে। ইনশাআল্লাহ।।
                বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                Comment

                Working...
                X