Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৭ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৫ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৭ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৫ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    সন্ত্রাসী দল বিজেপির সাংসদ রবি কিষাণের জঘন্য মন্তব্য “ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র”


    ভারতে সন্ত্রাসী দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এবার সন্ত্রাসী দল বিজেপির সাংসদ তথা অভিনেতা রবি কিষাণ বলে বসল ভারত নাকি ‘*হিন্দু রাষ্ট্র’*। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর গত বুধবার রবি কিষাণের এই বক্তব্যের পরই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে।
    এদিন সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংবাদসংস্থা এএনআইকে রবি বলেছে, ‘ভারতে হিন্দুদের সংখ্যা ১০০ কোটি। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র। গোটা বিশ্বে অনেক ক্রিশ্চান এবং মুসলিম দেশ রয়েছে। আমাদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ‘*ভারত’* নামে* একটি আশ্চর্য দেশ রয়েছে।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘*যদি বিশ্বে ক্রিশ্চান এবং মুসলিম রাষ্ট্র থাকতে পারে, তাহলে হিন্দু রাষ্ট্র থাকতে সমস্যা কোথায়?*’*

    ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ হয়েছে। এই বিলে কেবলমাত্র মুসলিমদেরই লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।**


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/05/29289/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মাওবাদী নয়,১৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে খুন করেছিল ভারতীয় সন্ত্রাসী পুলিশ !


    ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের বিজাপুরে মালাউন পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে খুন করেছিল। আর নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাওবাদী বিদ্রোহীদের নামে। তবে বাস্তবে ওই ঘটনায় কোনও মাওবাদী মারা যায়নি। গ্রামবাসীও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়নি। সাত বছর ধরে মামলার শুনানির পর বিচারপতি বিজয় কুমার অগ্রবালের বিচার বিভাগীয় কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্য। নভেম্বরে সেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জমা পড়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

    রাজ্যের বিজাপুর জেলার সারকেগুড়ায় ওই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ২৮ জুন।

    কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেদিন পুলিশ বিজাপুরের সারকেগুড়ায় বিনা প্ররোচনায় গ্রামবাসীর ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যাতে বলা যায় গ্রামবাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল কিংবা পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর কোনও বন্দুকযুদ্ধ হয়েছিল।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/05/29292/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নিহত তাবরেজের স্ত্রী শাহিস্তা বলছেন আওর কুছ নাহি, ইনসাফ চাহিয়ে


      খরসাঁওয়ার চাঁদনি চকের পাকা রাস্তায় ভোটের প্রচারে ঘুরছে সন্ত্রাসী দল বিজেপি-র বাইকবাহিনী। জনা পঞ্চাশেক গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা যুবক। মুখে মোদী-মুখোশ। ধ্বনি উঠছে, ‘জয় শ্রীরাম।’

      সে আওয়াজ শুনছে পলেস্তারাহীন ইটের দেওয়াল। ভিতরে পায়ে-চালানো সেলাই মেশিন। ভরদুপুরেও টিমটিম করে জ্বলছে বাল্ব। দরজার সামনে খাটিয়ায় বসে শাহিস্তা আনসারি। পাশে মা শাহনাজ। শাহিস্তার হাতে বছর চব্বিশের এক যুবকের ফটো। সমুদ্রের কিনারে দাঁড়িয়ে হাসছেন তাবরেজ আনসারি। মা বললেন, ‘‘মুম্বইয়ে তোলা তাবরেজের এই ফটোর দিকে তাকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে মেয়ে। জোর-জবরদস্তি করে খাওয়াতে হয়।’’

      ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজার পত্রিকার রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতীয় মালাউন হিন্দুত্ববাদীদের এক দল গুণ্ডা কর্তৃক মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারীকে পিটিয়ে হত্যার ফটো-ভিডিয়ো অবশ্য দেখেছে তামাম দুনিয়া। হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। এক দল উন্মত্ত হিন্দু গুণ্ডা লোহার র়ড, লাঠি দিয়ে মেরে চলেছে তাঁকে। ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, ‘বোল, জয় শ্রীরাম।’ গত ১৭ জুনের ঘটনা। পাঁচ দিন পরে, ২২ জুন মারা যান তবরেজ।

      দেশজুড়ে হইচই শুরু হওয়ায় লোক দেখানোর জন্য ১১ জনকে গ্রেফতার করেছিল ঝাড়খণ্ডের মালাউন পুলিশ। কিন্তু ১০ সেপ্টেম্বর জানা যায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিটে খুনের ধারা (ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা) দেওয়া হয়নি। আদালতে মালাউন পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাবরেজের মৃত্যুর কারণ ‘হার্ট-অ্যাটাক’। তাই দেওয়া হয়েছে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর ৩০৪ ধারা।যা ছিল মালাউন পুলিশের চক্রান্ত্র।

      মারা যাওয়ার মাস দু’য়েক আগে তাবরেজের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ১৯ বছরের শাহিস্তার। তিনি বলেন, ‘‘পুণেতে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির কাজ করত ও।

      মৃত্যুর পরে মালাউন সরকারের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি শাহিস্তার কাছে। আসেননি কোনও বিরোধী নেতাও। শ্বশুরবাড়ি কদমডিহা থেকে শাহিস্তা চলে এসেছেন বাবার কাছে। বাবা মহম্মদ সরাফউদ্দিন পেশায় দর্জি। বড় মেয়ের এই অবস্থার পর ভেঙে পড়েছেন তিনি। শাহনাজ বলেন, ‘‘কখন কোথায় যে চলে যায়! পড়শিদের দয়ায় বেঁচে আছি।’’

      সন্ত্রাসী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গোড়া থেকেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। খুনের ধারা না থাকায় তাদের জোর বাড়ে। এর মধ্যে জামশেদপুরের এমজেএম মেডিক্যাল কলেজের একটি দলও জানিয়ে দিয়েছিল, হিন্দু গুণ্ডাদের আঘাতে তাবরেজের খুলি ভেঙে গিয়েছিল, হার্ট-চেম্বারেও জমে ছিল রক্ত। এর ফলেই ‘হার্ট-অ্যাটাক’-এ মারা যান তিনি। পরে মালাউন পুলিশ বাধ্য হয়ে ১১ জনের নামে খুনের ধারা জুড়ে দেয়।

      কিন্তু প্রশাসনের এই সামান্য ভূমিকায় অখুশি হয় সন্ত্রাসী দল বিজেপির কর্মীরা। বিজেপির সন্ত্রাসী কর্মী রমেশ সিংহ বলেছে, ‘‘তাবরেজ চোর ছিল! বৌটাও এত টাকা পেয়েছে যে ওর বাবাও দর্জির কাজ করে না। কত লোক আসছে ওকে টাকা দিতে! মামলা লড়াতে।’’ পাশ থেকে এক বিজেপি সন্তাসী কর্মী বলে, ‘‘পহেলু খানের মামলা তো জানেন। ভিডিয়ো থাকলেই কি সব হয়। আদালতে সাক্ষী দেবে কে?’’

      সন্ত্রাসী দল বিজেপির ভয়ে কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে আদালতে যায় না যেমনটি হয়েছে মুসলিম ব্যবসায়ী পহেলু খানের মামলাতে। তাকেও হিন্দু সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করেছিল।

      তাই প্রতিনিয়ত লড়ছে শাহিস্তা। মাস-দু’য়েকের ঘর করা ‘স্বামী’-র ফটো হাতে নিয়ে বলছেন, ‘আওর কুছ নাহি, ইনসাফ চাহিয়ে।’’ কিন্তু প্রশ্ন হল তাবরেজও তো মুসলমান ছিল এখন শাহিস্তা কি ইনসাফ পাবে?


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/05/29296/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে হায়দ্রাবাদের পর এবার বিহারে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে হত্যা


        ভারতের হায়দ্রাবাদে এক পশু চিকিৎসককে মহাসড়কের পাশে গণধর্ষণ আর পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনা নিয়ে যখন ভারতে তোলপাড় চলছে, তার মধ্যেই একই রকম লোমহর্ষক ঘটনা ঘটল বিহারে।

        ১৬ বছরের এক অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরীর দগ্ধ দেহ তারা উদ্ধার করেছে বক্সার জেলার কুকড়া গ্রামে।

        ময়নাতদন্ত করেছেন যে চিকিৎসক, তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের চিহ্ন তিনি খুঁজে পেয়েছেন ।

        বলা হচ্ছে, তাকে প্রথমে গুলি করা হয়েছিল। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গুলির দুটি খালি কার্তুজও উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। চাষের ক্ষেতে রাখা খড় দিয়ে ঐ কিশোরীর শরীর জ্বালানো হয়।

        মঙ্গলবার অগ্নিদগ্ধ দেহটি ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। দেহের ঊর্ধ্বাংশ জ্বলে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা কেউই ওই কিশোরীকে শনাক্ত করতে পারেন নি।

        ধর্ষণের পরে গুলি করার পরেও সব প্রমাণ লোপাট করার জন্যই ওই কিশোরীকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই মনে হচ্ছে। কোমরের ওপর থেকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে দেহটি।”

        এই ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল, যখন এক সপ্তাহ আগের হায়দ্রাবাদের পশু চিকিৎসক এক নারীকে মহাসড়কের টোল প্লাজার ধারে নিয়ে গিয়ে অন্তত চারজন ধর্ষণ করে তারপরে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়।

        ওই ঘটনা নিয়ে সারা ভারত জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/05/29313/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী মোদী সরকার ভারতকে ইসরায়েল বানানোর চেষ্টা করছে: ওয়াইসি


          কথিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে সন্ত্রাসী মোদী সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, ভারতীয় মুসলমানদের কাছে কী বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তা জানতে আমরা জানতে চাই। কথিত সরকার ভারতকে ইসরায়েল বানানোর ষড়যন্ত্র করছে।

          মিল্লাত টাইমস আরো জানায়, আসাদুদ্দিন ওয়াইসি আরো বলেন, নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল বা সিএবি বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। এটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে। বিগত লোকসভার মেয়াদে অকার্যকর হয়ে ওঠা এই বিলটি আগামী সপ্তাহে সংসদে উপস্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।

          অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছে। এআইএমআইএম এর প্রধান অসাদুদ্দিন ওয়াইসি এ বিষয়ে মোদী সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন।

          আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল আনার উদ্দেশ্য ভারতকে ধর্ম ভিত্তিক দেশ হিসাবে গড়ে তোলা। ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনও তফাত থাকবে না। সংবিধানের চেতনা ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের প্রশ্ন উত্থাপন করে না।

          ওয়াইসি সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন, কেউ যদি নাস্তিক হয় তবে আপনি কী করবেন? ‘এই জাতীয় আইন করার পরে, সারা বিশ্ব আমাদের দেশকে নিয়ে মজা করবে’ যে ভারত হিন্দু বৈদ্ধ খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দিবে, কিন্তু মুসলিমদের কে নাগরিকত্ব দিবে না।

          আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, বিজেপি সরকার ভারতের মুসলমানদেরকে এটা বুঝাতে চাচ্ছেন যে মুসলিমরা ভারতের প্রথম শ্রেণির নাগরিক নন, দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক?

          তিনি আরও বলেন, এদেশে ১০০ মিলিয়ন হিন্দু রয়েছে, তাই বলে তারা যা ইচ্ছে তাই করবে তা হতে পারে না। যে বিল ইচ্ছে পাশ করবে এটা অমানবিকতা ছাড়া আর কিছুই না।

          উল্লেখ্য,গত বুধবার ভারতের কথিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিলটি পার্লামেন্টে আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

          বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে গিয়ে ভারতে শরণার্থী হওয়া হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পারসি সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে বিলে। খবরঃ আওয়ারইসলাম২৪

          এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার মানুষদের মধ্যে পুনরায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে আসামে এনআরসি থেকে ১৯ লাখ মানুষের বাদ পড়ার পর একই আতঙ্কে ১২ জনেরও বেশি মানুষ রাজ্যটিতে আত্মহত্যা করেন। যার কয়েকজনই জলপাইগুড়ির বাসিন্দা।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/05/29316/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতীয় মালাউনদের আগ্রাসনে কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা পড়েছে জলে কুমির ডাঙায় বাঘ পরিস্থিতে


            ছাত্ররা তিন মাস ধরে স্কুলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। অবেশেষে তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেইসাথে কঠিন শর্তও জুড়ে দেয়া হয়েছে।

            তাদেরকে স্কুলের ইউনিফর্ম পরতে বারণ করা করা হয়েছে, বরং তাদেরকে সাধারণ পোশাক পরতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে ঘুর পথ ব্যবহার করতে, বিক্ষোভকারীদের এড়িয়ে যেতেও বলা হয়েছে। তাদের যদি স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা শেষ করতে হয়, তবে এসব শর্ত পালন করতে হবে।

            তাদের নিয়ে যেতে স্কুল থেকে বাস আসবে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আর কখনো পড়েননি আবদুল রহমান রাঠোর। তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের কোনো একটি স্কুলে।

            রহমান নিজে সরকারি চাকুরে, তিনি তার মতো আরো হাজার হাজার লোকের মতো অফিসে যাচ্ছেন, তবে সপ্তাহে তিন দিনের বেশি নয়।

            ৫ আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করা ও এর রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করার সময় সরকার সেখানে কারফিউ জারি করে, লোকজনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। এরপর থেকে সরকারি সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকবারই ক্রুদ্ধ তরুণদের হামলার শিকার হয়েছে। তারা সরকারি কর্মীদেরকে অভিযুক্ত করেছে রুটিন কাজে যোগদানের মাধ্যমে জনগণের আন্দোলনের সাথে বেইমানি করার জন্য।

            এখন ক্রোধ থেকে রক্ষা পেতে রহমানের মতো হাজার হাজার সরকারি কর্মী সাধারণ পোশাক পরে বাড়ি থেকে বের হন অফিসে যেতে।

            এই সরকারি কর্মী স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে তার ১৩ বছরের মেয়েকেও তার বাবার মতো স্কুলে যাওয়ার জন্যও একই ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিতে হবে।

            অবশ্য তার মেয়ে মুবিনা রহমান শতাধিক দিনের ব্যবধানেও তার ক্লাসমেটদের সাথে সাক্ষাত করতে পারার সম্ভাবনায় উদ্দীপ্ত। যোগাযোগ অবরোধের কারণে সে ৫ আগস্টের পর থেকে বন্ধুদের সাথে কথাও বলতে পারেনি। সে ইউনিফর্ম বা ঘুর পথ নিয়ে মোটেই চিন্তিত নয়। সে সবকিছুই করতে রাজি তার ক্লাসমেটদের সাথে সাক্ষাত করার জন্য।

            রহমান বলেন, এসব ছোট ছেলেমেয়ে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পারে না। বিশ্বের আর কোথাও এমন ঘটনা ঘটে না। ছাত্রদেরকে ইউনিফর্ম না পরে স্কুলে যেতে বলাটা আর ১০টা ঘটনার মতো দেখা উচিত নয়। এতে অনেক উদ্বেগ রয়েছে। কাশ্মীর কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে ভাবতে হবে।

            তিনি অবশ্য তার মেয়েকে স্কুলে যেতে দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, যদি তার ওপর কিছু ঘটে?

            এই উদ্বেগ ইয়াসির আহমদেরও। তার ছেলে শাকির আলীর ৯ম শ্রেণিতে পরীক্ষা দেয়ার কথা। তাকেও ঘুর পথে স্কুলে যেতে বলায় তার নিরাপত্তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।

            তবে শাকিরের কাছে অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে স্কুলে যাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সে জানায়, আমার বাবা চিন্তায় আছেন, এবং অন্যদের বাবারাও চিন্তা করেন। তবে এই পর্যায়ে পরীক্ষায় হাজির হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কাশ্মীরের ছাত্ররা কয়েক দশক ধরেই সঙ্ঘাতের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছে। তবে চলতি বছরটি হচ্ছে সবচেয়ে নির্মম।

            পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কাশ্মীর সরকারের শিক্ষা বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সাউথ এশিয়ান মনিটরকে বলেন, সরকার কাশ্মীর উপত্যকার বন্ধ থাকা স্কুলগুলো খুলতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলছে, ছাত্রদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনতে কৌশল বের করতে।

            ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানি না, কৌশলে কাজ হবে কিনা। ১০০ দিনের বেশি হওয়ার পরও যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি, এটি তাই প্রকাশ করছে।

            জম্মু ও কাশ্মীরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও সিনিয়র মাধ্যমিক মিলিয়ে আনুমানিক ১৪,৯৩৮টি স্কুল আছে।

            ২০০৪ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী কাশ্মীরে শিক্ষার হার ৬৫.৩৩ ভাগ। গত কয়েক বছরে সাক্ষরতার হার ধীরে ধীরে বাড়ছিল।

            গত ৫ আগস্ট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যটির ওপর কারফিউ জারি করার পর থেকে চার হাজারের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আছেন রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী, বিচ্ছিন্নতাবাদী। স্বায়াত্তশাসন মর্যাদা বাতিলের ওই আদেশ জারির সময় রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেযা হয়, রাস্তায় রাস্তায় বিপুলসংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করা হয়, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়, ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দেয়া হয়।

            এই অঞ্চলের লোকজন অফিসে যাওয়া, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো, দোকানপাট না খুলে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালুন না করে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রতিরোধ করে যাচ্ছে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/05/29323/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              সন্ত্রাসী প্রভাবশালী কর্তৃক নবীনগরে কৃষকের সম্পত্তি জবরদখল


              ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের গনি মিয়ার ছেলে প্রভাবশালী হোসেন মিয়া জোরপূর্বক এক অসহায় কৃষক পরিবারের সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টায় ঘরের ভিটা তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে।

              হোসেন মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে ওই কৃষক কাজী আবদুল আহাদ মিয়া নবীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

              কৃষক কাজী আবদুল আহাদ বলেন, আমি ১৯৮২ মৃত আবদুল গনি মিয়ার স্ত্রী মিরাশের নেছার নিকট থেকে জমিটি ক্রয় করি। এ সম্পত্তির ক্রয়সূত্রে বৈধ মালিক হয়েছি এবং দখলে থেকে চাষাবাদসহ ব্যবহার করে আসছি।

              এতদিন তারা এ সম্পত্তি দাবি করতে আসেনি সম্প্রতি মিরাশের নেছা মারা যাওয়ার পর আমাকে অসহায় পেয়ে প্রভাব দেখিয়ে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে।

              সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেছে, আহাদ মিয়া এ সম্পত্তির বৈধ মালিক, ওয়ারিশ দাবিদাররা এ গ্রামে থাকে না। অনেক পূর্বেই তাদের সকল সম্পত্তি বিক্রি করে এ গ্রাম ছেড়ে চলে যায়।

              সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/05/29303/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আওয়ামী দালাল সন্ত্রাসী পুলিশের নির্যাতনের প্রতিবাদে বরিশালে আইএইচটি শিক্ষার্থীদের শোক র*্যালি


                বরিশালে শোক র*্যালি এবং শোক সভা করেছে ইনস্টিটিউট অব হেলথ এন্ড টেকনোলজির (আইএইচটি) শিক্ষার্থীরা। ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী পুলিশের নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রতি বছর এই দিনে শোক র*্যালি ও আলোচনা সভা করে আসছে আইএইচটি শিক্ষার্থীরা।

                এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের আইএইচটি চত্বর থেকে একটি শোক র*্যালি বের করেন শিক্ষার্থীরা। র*্যালিটি চাঁদমারী, বান্দ রোড এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাস ঘুরে ফের তাদের ইনস্টিটিউট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

                র*্যালি শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী মো. নাসিম, মো. আশরাফুল, মো. সৌরভসহ অন্যান্যরা।

                আইএইচটি শিক্ষার্থী মো. নাসিম জানান, ২০১৪ সালে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় সন্ত্রাসী পুলিশ। সন্ত্রাসী পুলিশের বেপরোয়া লঠিচার্জে আইএইচটি’র ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়।

                এর মধ্যে আখিনূর নামে তৎকালীন এক শিক্ষার্থী সন্ত্রাসী পুলিশের নির্যাতনের কারণে মা হওয়ার যোগ্যতা হারান। এ সব কারণে এই দিনটি শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আইএইচটি শিক্ষার্থীরা।

                সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/05/29308/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ ভাইদের খেদমতে আরো বরকত দিন।

                    Comment


                    • #11
                      ইন্নালিল্লাহহী ওয়া-ইন্নাইলাইহীর রাযিউন!
                      আল্লাহ তায়ালা কাশ্মীরি মুসলিমদের সাহায্য করুন!
                      তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠার তাওফিক দান করুন!
                      প্রিয় মুহতারাম, আল্লাহ তায়ালা আপনার সত্য সংবাদে বারাকাহ দান করুন।
                      মুজাহিদীনকে ভালবাসুন, তাদের সাপোর্ট করুন!
                      কেননা, তারাই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথে অটল রয়েছেন।

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ আপনাদের কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
                        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                        Comment

                        Working...
                        X