Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমাদের ইমাম রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার কথা বলেছেন: আমার করনীয় কি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমাদের ইমাম রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার কথা বলেছেন: আমার করনীয় কি?

    ফেসবুকের একটি আইডিতে দেখতে পেলাম। সেখানে বাংলাদেশের পতাকা বহনকেও কুফরের প্রতি সমর্থনের পরিচায়ক বলা হয়েছে। সতর্কতার জন্য এমনটা বলার উপযুক্ততা আমিও স্বীকার করি। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে কি এতোটুকু দ্বারা কারো উপর কাফের হবার হুকুম প্রয়োগ করা যাবে?
    জিজ্ঞেস করছি কারণ আছে। আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব রাষ্ট্রীয় আইন মান্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় তার পেছনে কি আমি ফরজ সালাত আদায় করবো?! এ ধরনের মাসআলা শাইখ আবু মুহাম্মাদ হাসেম হাফিজাহুল্লাহ এর ফতোয়ায়ে পড়েছি। মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুফরি শক্তির পক্ষে দোয়া করাতে তিনি এমন ইমামকে কাফের মনে করে তার পেছনে নামাজ বর্জন করার ফতোয়া দিয়েছিলেন। এখানে ব্যাপারটা তো একটু অন্যরকম। রাষ্ট্রীয় আইনের ভেতর অনেক কিছু আছে যেগুলো ইসলাম বিরোধী নয়। আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব হয়তো সেগুলোই বুঝিয়েছেন। জিজ্ঞেস করলে তো আরো কত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বের হয়ে আসবে। এসব বিষয়ে খুঁটিনাটির তো অভাব নেই। কথা হল, শায়খ আবু মোহাম্মদ আসেম হাফিজাহুল্লাহ এর ফতোয়া পড়ে যদিও দায়সারাভাবে এ বিষয়ে মাসআলা জেনেছি, কিন্তু এখন নিজে বাস্তব ক্ষেত্রে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থমকে দাঁড়িয়েছি।

    কি করতে পারি কেউ কি জানাবেন?!
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 12-15-2019, 07:03 AM.

  • #2
    ভাইয়েরা আপনাকে সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ।
    বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
    কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

    Comment


    • #3
      ভাই- কোনো কাজকে কুফরি বললেই সেই কাজ করনে ওয়ালা সকল ব্যক্তি কাফের হয় না।
      সংবিধানের আনুগত্যের দাওয়াত দেয়া কুফরি কাজ। কিন্তু এই কারণে সবাই কাফের হবে না..
      তাই আপনার জন্য ঐ ইমামের পিছনে নামাজ পড়া বৈধ।
      তবে আপনার যদি সুযোগ হয় তাকে এই কুফরির ব্যাপারটা জানিয়ে দেয়া উচিত।
      Last edited by Munshi Abdur Rahman; 12-15-2019, 07:05 AM.
      (হে আল্লাহ)" মুক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই
      তোমার দেয়া প্রানটা নিয়েই হাজির হলাম তাই"

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তা‘আলা আসান করে দিন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          Originally posted by Galib Ibn Adam View Post
          ভাই- কোনো কাজকে কুফরি বললেই সেই কাজ করনে ওয়ালা সকল ব্যক্তি কাফের হয় না।
          সংবিধানের আনুগত্যের দাওয়াত দেয়া কুফরি কাজ। কিন্তু এই কারণে সবাই কাফের হবে না..

          প্রিয় ভাই! আমাদের এই বক্তব্য থেকে সুযোগসন্ধানী মহল যেন ফেতনা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
          এখানে আসলে মূল কথা এই ছিল; শায়েখদের কিতাব থেকে যেমনটা পাওয়া গেছে—কারো থেকে কোন কুফুরি কাজ (বাহ্যিকভাবে কুফরি কাজ)প্রকাশিত হলেই তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কাফের ফতোয়া দিয়ে দেয়া উচিত নয়। কারণ হতে পারে এখানে এখানে তার পক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য প্রতিবন্ধক রয়েছে অথবা সে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছে।
          কিন্তু এভাবে বললে সুযোগসন্ধানী মহলের ফিতনা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে যে, “কোন কাজকে কুফরি বললেই সেই কাজ করনেওয়ালা সকল ব্যক্তি কাফের হয় না”। মূলকথা হলো কুফরি কাজ করলে মানুষ কাফের হবেই। কুফরি কাজ করলে যে কেউ কাফের হবে। কিন্তু তার কাজটা তার পক্ষে আসলেই কুফরি কিনা এবং তার পক্ষে কোন প্রতিবন্ধক বিষয় আছে কিনা, সেটা যাচাইয়ের জন্য কিছু সময় ক্ষেপন করতে হয়।
          সারকথা এই দাঁড়ালো, “যে কেউ কুফরি কাজ করলেই কাফের হয়ে যায় না” এভাবে না বলে “বাহ্যিকভাবে কোন কুফুরি কাজ কারো থেকে প্রকাশ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কাফের বলা উচিত নয়” বলা উচিত।

          আসলে এগুলো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়। কুফরের সংবিধানের প্রতি আনুগত্যের আহ্বান অবশ্যই কুফরি কাজ এবং এমন কাজ কর্নে ওয়ালা ব্যক্তি আসলেই কাফির। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে যে কেউ কাফের ফতোয়া দিতে পারবে না। আর এ কারণেই বলা হয়, যেমনটা আপনি বলেছেন।

          আসলে আমি কথাগুলো বললাম যেন সুযোগসন্ধানী মহল ফেতনা সৃষ্টি করতে না পারে।

          Comment

          Working...
          X