Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদি কাফেলায় আইম্মায়ে দ্বীন: ২২. মানসূর ইবনুল মু’তামির রহ. (১৩৩ হি.)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদি কাফেলায় আইম্মায়ে দ্বীন: ২২. মানসূর ইবনুল মু’তামির রহ. (১৩৩ হি.)

    বাইশ.
    মানসূর ইবনুল মু’তামির রহ. (১৩৩ হি.)


    হাফিজুল হাদিস। কূফার অধিবাসী। হাদিসের সর্বজনস্বীকৃত ইমাম। ইব্রাহিম নাখায়ী, শা’বি, মুজাহিদ, সাঈদ ইবনু জুবাইরসহ অসংখ্য হাদিসের ইমামের কাছে হাদিস পড়েছেন। আইয়্যূব আসসাখতিয়ানি, আ’মাশ, সুফিয়ান সাওরি, সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা, মা’মার ইবনু রাশিদ, ইব্রাহিম ইবনু আদহাম, ফুজাইল ইবনু ইয়াজ প্রমুখ স্বনামধন্য মুহাদ্দিস তার কাছে হাদিস পড়েছেন।

    আব্দুর রহমান ইবনু মাহদি রহ. বলেন,
    لم يكن بالكوفة أحد أحفظ من منصور. اهـ
    “কূফায় মানসূর রহ. এর চেয়ে বড় কোন হাদিসের হাফেয ছিল না।”- সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৬/১২৯



    তার মৃত্যুর পর তার এক প্রতিবেশি মহিলার ছেলে তার মাকে জিজ্ঞেস করল, আম্মু! মানসূর সাহেবের বাড়ির ছাদে যে কাঠের খণ্ডটা দেখতাম সেটা তো দেখছি না? মা উত্তর দেন, আসলে এটা কাঠ ছিল না। মানসূর সাহেব নিজেই ছিলেন। তিনি মারা গেছেন। আল্লাহ তার উপর রহম করুন।


    অর্থাৎ তিনি এমনই একনিষ্ট চিত্তে দাঁড়িয়ে নামায পড়তেন যে, বাহির থেকে দেখলে কোন পিলার দাড়িয়ে আছে মনে হতো।


    চল্লিশ বছর যাবত তিনি দিনে রোজা রেখেছেন, রাত্রে ইবাদত করেছেন। এত বেশি কাঁদতেন যে, কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে পড়েছিল।


    উমাইয়াদের বিরুদ্ধে যায়দ বিন আলী রহ. যখন বিদ্রোহ করেন, তখন তিনিও বিদ্রোহে শরীক ছিলেন। ১২১ হিজরির আলোচনায় ইবনুল ইমাদ রহ. (১০৮৯ হি.) বলেন,
    وفيها قتل الإمام الشهيد زيد بن عليّ بن الحسين، رضي الله عنهم، بالكوفة، وكان قد بايعه خلق كثير، وحارب متولي العراق يومئذ لهشام بن عبد الملك، يوسف بن عمر الثقفي ... وكان ممن بايعه منصور بن المعتمر، ومحمّد بن عبد الرّحمن بن أبي ليلى، وهلال بن خبّاب بن الأرتّ، قاضي المدائن، وابن شبرمة، ومسعر بن كدام، وغيرهم، وأرسل إليه أبو حنيفة بثلاثين ألف درهم، وحثّ النّاس على نصره، وكان مريضا. اهـ
    “এ বৎসরে শহীদ ইমাম যায়দ বিন আলী বিন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুম *কূফায় শহীদ হন। অসংখ্য লোক তার হাতে বাইয়াত দিয়েছিল। তিনি তখনকার খলিফা হিশাম বিন আব্দুল মালিকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত ইরাকের গভর্নর ইউসুফ বিন উমার আসসাকাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ... তার হাতে যারা বাইয়াত দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন: মানসূর ইবনুল মু’তামির, মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান বিন আবি লাইলা, মাদায়িনের কাযি হিলাল ইবনু খাব্বাব ইবনুল আরাত্ত, ইবনু শুবরুমা, মিসআর বিন কিদাম এবং আরো অনেকে। আবু হানিফা রহ. তার কাছে ত্রিশ হাজার দিরহাম (আর্থিক সাহায্য) পাঠান এবং তাকে নুসরত করার জন্য লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করেন। তখন তিনি অসুস্থ ছিলেন (তাই যুদ্ধে শরীক হতে পারেননি)।”- শাযারাতুয যাহাব ২/২৩০


    এছাড়া তিনি রিবাত তথা সীমান্ত প্রহরার দায়িত্বও পালন করতেনযাহাবি রহ. বর্ণনা করেন,
    قال سفيان بن عيينة: كان منصور في الديوان فكان إذا دارت نوبته لبس ثيابه وذهب فحرس يعني في الرباط. اهـ
    “সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা রহ. বলেন, রিবাত তথা সীমান্ত প্রহরায় মানসূর রহ.ও লিস্টিভুক্ত ছিলেন। তার পালা যখন আসতো, কাপড় পরিধান করে পাহাড়া দিতে চলে যেতেন।”- সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৬/১৩২
    ***


  • #2
    জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা। কত ইবাদতযোগার ছিলেন!!! আবার এই ইবাদতগোযার লোকটিই রিবাতে চলে যেতেন। বিদ্রোহে শরীক হয়েছেন। আল্লাহু আকবার!!! আর বর্তমান সুফিরা হল সম্পর্ণ গায়রতহীন। এদের ঈমান এদেরকে গন্ধীর অহিংসনীতি শিখায়। অথচ কিছুকাল পূর্বের আকাবিররাও কত গায়রতওয়ালা ছিলেন। কাসিম নানুতবী, রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী, ইসমাঈল শহীদ রহ. প্রমুখ। আল্লাহ আমাদের অবস্থা সংশোধন করে দিন!

    Comment


    • #3
      বারাকাল্লাহু ফি ইলমিকা...!
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        আল্লাহু আকবার! তাঁরা যেমন ছিলেন ইলম ও আমল ওয়ালা,তেমন ছিলেন জিহাদের জন্য ফিদা ৷ আর বর্তমানে কিছু পীর মাশায়েখ জিহাদের নামও শুনতে পারে না ৷
        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

        Comment

        Working...
        X