Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১০ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১০ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    যোগী প্রশাসনের নিপীড়নে ভয় ও আতঙ্কে দিন পার করছেন মুসলিমরা


    উত্তর ভারতের মিরাত শহরের লিসারি গেটের কাছে মানুষেরা রাতের বেলা তাদের বাড়ির বাইরে সংকীর্ণ লেনে বসে পাহারা দিচ্ছে এখন। কোন অপরাধী চক্র বা গ্রুপ বা চোর–ডাকাতের কারণে নয়, বরং পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে এই পাহারা বসিয়েছে তারা।

    এই এলাকাটা উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মধ্যে পড়েছে এবং সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এই এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর এই এলাকার বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়।

    লিসারি গেট এলাকায় পাঁচজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যেটাকে পুলিশের বাড়াবাড়ি হিসেবে উল্লেখ করছে স্থানীয়রা।

    এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। মুসলিম–প্রধান এলাকাগুলোতে পুলিশের প্রতি আস্থা স্মরণকালের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। ফলে সিএএ নিয়ে মুসলিমদের পরিণতি কি হতে পারে, সেটা নিয়ে উদ্বেগ অনেক বেড়ে গেছে।

    ২৫ বছর বয়সী খুচরা কাগজের ডিলার মোহাম্মদ ওয়াসিম বলেন, “আমি রাতে জেগে থাকি আর দিনে ঘুমাই। মহিলারা বাড়ির ভেতরে ঘুমায়। আমি অন্যান্য পুরুষদের সাথে লেনে বসে পাহারা দিই”।

    বাড়ির মাত্র কয়েক মিটার দূরে ওয়াসিমের ভাই মোহাম্মদ মহসিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। ওয়াসিম বললেন, “মহিষের খাবার কিনতে সে বাইরে গিয়েছিল। সে এমনকি বিক্ষোভে অংশও নেয়নি”। ওয়াসিম কোনরকমে আয় করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং এখন তার কাঁধে তার ভাইয়ের পরিবারের দায়িত্বও চেপেছে।

    গত মাসে ভারতের পার্লামেন্টে সিএএ পাস হওয়ার পর থেকে পুরো ভারতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদেরকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

    উত্তর প্রদেশের সরকার পরিচালনা করছে বিতর্কিত হিন্দু পুরোহিত সন্ত্রাসী যোগি আদিত্যনাথ এবং এই আইনকে ঘিরে রাজ্যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিগত চার সপ্তাহে সারা ভারতে যে ২৫ জন নিহত হয়েছে, এর মধ্যে ১৯ জনই নিহত হয়েছে উত্তর প্রদেশে। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল এই রাজ্যের জনসংখ্যা ২০০ মিলিয়নের বেশি। নিহতদের অধিকাংশই মুসলিম, এবং এদের মধ্যে আট বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে।

    পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য সরকার বিক্ষোভকারীদের দমনে বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘বদলা’ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদিত্যনাথ তার অতি–সমালোচিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে যে, বিক্ষোভকালে যে জনসম্পদের ক্ষতি হয়েছে, তার মূল্য সে আদায় করবে।

    মিরাতে স্থানীয় প্রশাসন ৫ মিলিয়ন রুপি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    একই সাথে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে যে, পুলিশ মিরাত এলাকার সিসিটিভিগুলো ভেঙ্গে দিচ্ছে।

    লিসারি গেট এলাকার মানুষেরা এখন আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে। যে সব সড়ক সাধারণত গভীর রাত পর্যন্ত প্রাণচঞ্চল থাকে, সেগুলো রাত ৯টাতেই শুনশান হয়ে পড়ছে।

    বিক্ষোভ এবং এর বিরুদ্ধে ষাঁড়াশি অভিযানের কারণে পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, সিএএ’র বিরুদ্ধে বিরোধিতার বিষয়টিকে এখন নিজেদের মধ্যেই সীমিত রাখতে হচ্ছে বিক্ষোভাকারীদের।

    সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/06/30915/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ২৯শে


    দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলছে। বাংলা, কেরালা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকার ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণের কাজ বন্ধ বলে ঘোষণা করেছে। বিতর্কের মাঝেই গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ডিটেনশন ক্যাম্পের এক বন্দির মৃত্যু হল। দশ দিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এই নিয়ে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি মৃত্য সংখ্যা পৌঁছাল ২৯শে। গোটা রাজ্যে প্রায় হাজার জন আসামের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি।

    বর্তমানে আসামে ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে। এগুলি জেলা সংশোধনাগারের সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যেকটিতেই প্রায় হাজার জন করে থাকতে পারেন। গোয়ালপাড়ায় সপ্তম ডিটেনশন ক্যাম্পটি নির্মিয়মান অবস্থায় রয়েছে। আসাম সরকারের দাবি অনুশারে, ফরেন ট্রাইবুইবুনালে যে ২৪ জনকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গন্য করা হয়েছে গত তিন বছরে তাদেরই মৃত্যু হয়েছে।

    গত জুলাইতে আসামের পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী বিধানসভায় বলেছিলেন রাজ্যের ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্পে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৭জনের। ২০১১ ও ২০১৬ সালে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ছিল ১ এবং ৪। অসুস্থতার কারণেই এই মৃত্যু বলে সরকারি তথ্যে প্রকাশ।

    বিধানসভার রিপোর্ট অনুশারে মৃতদের মধ্যে মাত্র ২ জনের ঠিকানা বাংলাদেশের। বাকিদের বাড়ির ঠিকানা আসামেরই। রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী বলেছিলেন, ‘ক্যাম্পে আটক অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাদের।

    সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সেপ্রেস বাংলা


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/06/30914/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      নাগরিকপঞ্জি নয়, এবার ভারতে বেকারপঞ্জির দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা


      মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইন ও বিতর্কিত নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ নতুন নয়। তবে এ ধরনের বৈষম্যমূলক আইনের ডামাডোলে হারিয়ে গেছে বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মতো গুরুতর বিষয়গুলো। বিরোধীদের দাবি, দেশের অর্থনৈতিক সংকট থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতেই মেরুকরণের রাজনীতি করছে সন্ত্রাসী দল বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে অভিনব এক দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে যাচ্ছে দেশটির বামপন্থীরা। তাদের দাবি, নাগরিকপঞ্জি নয়, এবার ভারতের বেকারপঞ্জি করা হোক। লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে পাশে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো। ৩ জানুয়ারি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ।

      পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের জিডিপি এখন তলানিতে। ৪৫ বছরের মধ্যে বেকারত্ব সর্বোচ্চ। বাজারে আগুন। নাগরিকপঞ্জি-নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ডামাডোলের মাঝে হারিয়ে গেছে দেশের অর্থনীতি। চলমান আন্দোলনের সঙ্গে তাই বেকারত্ব নিয়েও রাজপথে নামতে যাচ্ছে বামপন্থী যুব ও ছাত্ররা।

      তাদের দাবি, এনআরসি নয়, বরং দেশজুড়ে চালু হোক ‘ন*্যাশনাল রেজিস্টার অব বেরোজগারি’ বা এন*আরবি। এক*ইভাবে নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বদলে বিএএ চালুর দাবি তুলছে তারা। এই বিএএ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ‘বেরোজগারি অ্যাবোলিশন অ্যাক্ট’ বা বেকারত্ব বিলোপ আইন।

      আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে এ সংক্রান্ত ফরম বিতরণ করবে বামপন্থীরা। এতে জানতে চাওয়া হবে, আপনি বেকার নাকি চাকরিজীবী? কাজ করলে কি ধরনের প্রতিষ্ঠান?দৈনিক আয় কত?

      বাম ছাত্র-যুবদের দাবি, দেশজুড়ে যেখানে বেকারত্ব সংখ্যা বাড়ছে, দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশছোঁয়া, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে সবার কাজ সুনিশ্চিত করতে নতুন আইন আনতে হবে।

      ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি-মার্ক্সবাদী (সিপিএম)-এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ*্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন সায়নদীপ মিত্র। তিনি বলেন, ‘সবার পেটে ভাত, সবার হাতে কাজ চাই আমরা। এন*আরসি জুজু দেখিয়ে আতঙ্ক ছড়ালে হবে না। দেশে বেকার বাড়ছে, মোদি বাবু সমাধান করুন।’

      অনেকেই ভাবছিলেন, কাশ্মির থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার, তারপর নাগরিকপঞ্জি, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ডামাডোলের মাঝে ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেছে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের মতো গুরুতর বিষয়। আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ছয় বছর পর পাকিস্তান আর হিন্দু-মুসলিম বৈষম্যের বাইরে এই ‘আচ্ছে দিন’ মুখেই আনছে না ।

      উল্লেখ্য, ছয় বছর আগে এই ‘আচ্ছে দিন’ বা সুদিন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। যদিও দলটির নেতারা এখন আর এটি সামনে নিয়ে আসতে আগ্রহী নয়।

      বিজেপি-র অভিধান থেকে দৃশ্যত ‘আচ্ছে দিন’ হারিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে আছে পাকিস্তান জুজুর ভয় দেখানোর পুরনো কৌশল।

      সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/06/30922/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সিএএ উত্তরপ্রদেশেই প্রথমে চালু করার নির্দেশ দিল সন্ত্রাসী যোগী সরকার


        কথিত মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বলবৎ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত। এই পরিস্থিতিতে সিএএ চালু করতে প্রথম কাজ শুরু করতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ।

        ‘সিএএ’ চালু করতে যোগী সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্থান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম ব্যতিত অন্যান্য শরণার্থী অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসিক এবং খ্রিষ্টানদের একটি তালিকা তৈরি করা হবে, যাদের প্রথম ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

        সিএএ-এর দেশে দেশজুড়ে চলা প্রতিবাদ ও হিংসায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে যোগী রাজ্যে। এখন পর্যন্ত এর প্রতিবাদে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। যার জেরে যোগী আদিত্যনাথের অঙ্গুলিহেলনে উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিশিষ্ট নাগরিক ও ধর্মগুরুরা। এখন দেখার উত্তরপ্রদেশে সিএএ-এর তালিকার কাজ শুরু হলে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হয়।

        সূত্র : টিওআই।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/06/30921/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের খেদমতকে কবুল করুন ও তাতে বারাকাহ দান করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদের কে হেফাজত করুন,আমিন।
            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

            Comment


            • #7
              প্রিয় ভাইয়েরা, সাধ্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ সেরে নিন। মানসিকভাবে যুদ্ধের প্রতি প্রস্তুত থাকু। যুদ্ধের জন্য নিজেদের হাতে অর্থ রাখুন।

              Comment

              Working...
              X