Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১১ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ০৭ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১১ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ০৭ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    মালাউনদের এনআরসি ভীতিতে বাংলাদেশমুখে ‘অবৈধ’ ভারতীয়দের জনস্রোত তৈরী করছে


    গত কয়েক মাসে ভারত থেকে বাংলাদেশে যেসব অনুপ্রবেশের ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ পেয়েছে তা শৈলশিখরে একবিন্দু বরফের মতো। নভেম্বরে এদের সংখ্যা ৪৫০ জনের মতো উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এনআরসি ভীতির কারণে অবৈধ ঘোষিত হাজার হাজার ‘অবৈধ’ ভারতীয়ের এখন বাংলাদেশ অভিমুখে ছুটে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গোয়েন্দা ও অন্যান্য সূত্র এই ইংগিত দিয়েছে। এছাড়া নিয়মিত স্বল্প-আকারে পুশব্যাকের ঘটনা তো ঘটছেই।

    পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শুধু ২৪ পরগরনার সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ২০০’র মতো মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিথিল সীমান্ত পথের পাশাপাশি নদীয়া জেলার সীমান্ত দিয়েও বিপুল সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এরা বেঙ্গালুরু, মুম্বাই ও দিল্লি থেকে আসছে। এদের অনেকের কাছে ভারতীয় রেশন কার্ড ও আধার কার্ড রয়েছে। এমনকি অনেকের কাছে ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ডও রয়েছে।

    পাসপোর্টবিহীন লোকজনকে সীমান্ত পারাপারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত উত্তর ২৪ পরগনাভিত্তিক এক দালাল এই পত্রিকাকে বলেন যে গত দুই মাসে তারা সীমান্তের ওপারে [বাংলাদেশে] প্রায় ৫,০০০ মানুষ পাচার করেছে। বেশ কয়েক বার এমন সংখ্যক মানুষ পাচার করা হয়েছে।

    এই কাজের জন্য ক্লায়েন্টপ্রতি, যাদেরকে ধুর বলা হয়, তাদের ঘাটমালিক (দালাল) ফিও বাড়ানো হয়েছে। কয়েক মাস আগে একজনকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য ৪,০০০ রুপি নেয়া হতো। তিনি বলেন, যখন বাঙ্গালুরু থেকে লোকজন আসা শুরু করে তখন থেকে ৫,০০০ রুপি করে ফি নেয়া শুরু হয়। তবে সীমান্তে নজরদারি বেড়ে গেলে (খারাপ হলে) ফি নেয়া হয় ৬,০০০ রুপি। এখন সীমান্তের অবস্থা আসলেই খারাপ।

    এই পাল্টা অভিবাসনের ব্যাপারে ভারতীয় সীমান্ত সন্ত্রাসী বাহিনী (বিএসএফ)-এর পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে সূত্রগুলো জানায় যে ভারতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশীদের পুশব্যাক করা হচ্ছে। ২৯ ডিসেম্বর বিএসএফ ও বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি)’র যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বিজিবি’র ডিজি সাফিনুল ইসলাম বলেন: আমরা নিয়মিত অনুপ্রবেশকারীদের আটক করছি। এরা বাংলাদেশী, যারা অনিচ্ছাকৃতভাবে বা কাজের জন্য ভারতে গিয়েছিলো। সব মিলিয়ে নভেম্বর থেকে বিজিবি ৪৪৬ ব্যক্তিকে আটক করেছে বলে ইসলাম জানান। এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এরা আমাদের কাছে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করেছে। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কর্মিরা রাতের বেলা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরজা ভেঙ্গে তাদেরকে হুমকি দিয়েছে এবং মারপিট করেছে। প্রশাসন বা পুলিশের কাছ থেকে তারা কোন সহায়তা পায়নি বলে জানিয়েছে।

    সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/07/30952/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ৯ বছরেরও বিচার পায়নি সীমান্তসন্ত্রাসী বিএসএফ’র গুলিতে নিহত ফেলানীর পরিবার


    বহুল আলোচিত ফেলানী খাতুন হত্যার ৯ বছর পূর্তি ৭ জানুয়ারি। দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যদিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে চলছে তার বিচারিক কার্যক্রম। ২০১১ সালের এই দিনে ভারতীয় মালাউন সীমান্তসন্ত্রাসী বিএসএফ’র গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার ফেলানীর মৃতদেহ কাটাতারে ঝুলে ছিল দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘন্টা।

    প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিল গণমাধ্যমসহ বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তীব্র সমালোচনার মুখে পরতে হয় ভারতকে। ফেলানীর পরিবার এখনো বুক বেঁধে আছে ন্যায় বিচারের আশায়।

    জানা যায়, কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে মেয়েকে নিয়ে ভারতে পারি জমিয়েছিল ফেলানী খাতুন ও তার বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। সেখানে কয়েক বছর থাকার পর কিশোরী মেয়েকে নিজ দেশে বিয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলেন।

    সেদিন ছিল ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি শুক্রবার। ভোর ৬টার দিকে ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন বাবা ও মেয়ে। বাবা নুরুল হক কাটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে পার হতে পারলেও মেয়ে ফেলানী কাটাতারে উঠতেই ভারতীয় বিএসএফ সদস্য মালাউন অমিয় ঘোষ গুলি চালালে কাটাতারেই ঢলে পরে ফেলানীর নিথর দেহ।

    সেখানে সাড়ে ৪ ঘন্টা ঝুলে থাকার পর তার লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ। এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে ৩০ ঘন্টা পর বিজিবি’র কাছে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। দীর্ঘ ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও আজো ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার সম্পন্ন হয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শুনানীর দিন ধার্য করা হলেও তা বারবার পিছিয়ে দেয়া হয়।

    দীর্ঘদিন ধরে ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার না হওয়ায় পরিবারসহ হতাশ স্বজনরাও। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর শুনানীর পর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে বারবার তারিখ পিছিয়ে যায়। ফলে থমকে গেছে ফেলানী খাতুন হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপুরণের দাবি।

    ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু ও মা জাহানারা বেগম জানান, “ভারতীয় সর্বোচ্চ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারিক কার্যক্রম ঝুঁলে থাকায় আমরা হতাশ। আমরা ন্যায় বিচারের জন্য দীর্ঘ ৯ বছর ধরে অপেক্ষা করছি।”

    সূত্র: এশিয়ান মেইল ২৪


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/07/30954/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সিএএ-এর পরেই এনআরসি হবে বলে পুস্তিকায় প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি


      কথিত মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যখন উত্তাল হয়েছে দেশ তাঁর কিছুদিনের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যর উল্টোসুরেই প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছে, এনআরসি নিয়ে এখনও কোনও আলোচনাই হয়নি। এদিকে সেই ‘বিতর্কিত এনআরসি’ নিয়েই গত রবিবার রাজ্যে পুস্তিকা প্রকাশ করল বাংলার পদ্ম শিবির। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে দেশব্যাপী বিরোধীরা যা প্রচার করছে সেই “ভুল তথ্য দূরীকরণ” করতে দলের প্রচারের অংশ হিসাবেই প্রকাশিত হল এই সিএএ সমর্থিত পুস্তিকা। পরবর্তীতে যে এনআরসি লাগু হবেই, তাও উল্লেখ করা হয়েছে বইটিতে।

      তাৎপর্যপূর্ণভাবে, হিন্দি এবং বাংলা এই দুটি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে পুস্তিকা। বাংলা পুস্তিকাটিতে এনআরসির উল্লেখ থাকলেও হিন্দিতে তা নেই। ‘বাংলায় এনআরসি হবে না’ স্পষ্টত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পুস্তিকা প্রকাশ করে কী তারই পাল্টা দিল বিজেপি, ওয়াকিবহাল মহলের এমনটাই মত। ২৩ পাতার পুস্তিকাটির একদম শেষের পৃষ্ঠায় লেখা, “এর পর কি তবে এনআরসি হবে? কতটা প্রয়োজন সেটা? যদি এনআরসি হয় তবে আসামের মতো হিন্দুদেরও কী আটক কেন্দ্রগুলিতে যেতে হবে? উত্তরে লেখা আছে, ” হ্যাঁ, এর পরে এনআরসি কার্যকর করা হবে। অন্তত কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব সেই রকম। তবে হিন্দি ভাষায় কিন্তু উল্লেখ নেই এনআরসি।

      তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখন ব্যাগ থেকে বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। বিজেপির নীতির সত্যতা বেরিয়ে এসেছে সামনে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি যে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এনআরসি নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। দেশ ও রাজ্যের মানুষ তাঁদের উপযুক্ত উত্তর দেবেন।”

      Source: IE Bangla


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/07/30957/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হাড় কাঁপানো শীতে পশুপাখির অবস্থাও কাহিল


        শুরু হয়েছে মৌসুমের তৃতীয় শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল হাওয়া আর হাড় কাঁপানো শীতে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখির অবস্থাও কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জ্বর, খাবার অরুচিসহ নানা রোগে ভুগছে রংপুর অঞ্চলের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণি।

        রংপুর প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্র মতে, প্রতিটি জেলায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ গবাদি প্রাণী রয়েছে।

        সেই হিসেবে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে প্রায় ৬ কোটি। অব্যাহত শীতে এসব প্রাণীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। নানা রোগ বালাইয়ের কারণে হ্রাস পাচ্ছে এদের প্রজনন ক্ষমতাও।

        ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যায় দ্বিতীয় শৈত্য প্রবাহ। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রবিবার রাত থেকে আবার শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে।

        শীতের দাপট থেকে বাঁচতে অনেক খামারি গরম কাপড় বা চটের বস্তা দিয়ে গবাদি পশুর দেহ ঢেকে রাখছে। অবশ্য প্রাণী সম্পদ বিভাগের দাবি, এ পর্যন্ত তারা কোন প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাননি।

        তবে সূত্র মতে, শীতে গামবোরো জাতীয় রোগে প্রচুর পরিমাণে ব্রয়লার, কক, সোনালি ও লেয়ার মুরগি মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

        তাই এ রোগকে মুরগির এইডস বলা হয়। এছাড়া গরু মহিষের গলাফুলা রোগে প্রাণহানি ঘটতে পারে। এই রোগকে স্থান বিশেষে গলাফুলা, ব্যাংগা, ঘটু, গলগটু, গলবেরা রোগ বলা হয়। এছাড়া শীতে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার ক্ষুরা রোগের আশঙ্কা রয়েছে। শীতের কারণে গরুর বাদলা, ফ্যাসিওলিয়াসিস, তড়কাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

        রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকার খামারি রমজান আলী জানান, শীতের কারণে তার কয়েকটি গরুর খাবার রুচি কমে গেছে এবং জ্বর জ্বর ভাব দেখা দেয়ায় তিনি চিকিৎসকের পরামর্শমত ওষুধ খাওয়াচ্ছেন। একই উপজেলার নাজিরদহ গ্রামের আতিয়ার রহমান জানান, তার একটি গরু শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য গরুটিকে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখছেন তিনি। প্রকৃতিতে মাঘ মাসের আগমন হতে আরও কয়েকদিন বাকি আছে। অথচ পৌষের শেষ সপ্তাহে এসে গোটা উত্তরাঞ্চলে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকূলেও দেখা দিয়েছে নানান ভোগান্তি।

        রংপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শাহ জালাল খন্দকার বলেন, ‘শীতে এখন পর্যন্ত কোন প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রচণ্ড শীতের কারণে গরু ছাগলের জ্বর-সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।

        রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত কয়েকদিন থেকে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা নামা করছে। এর মধ্যে তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কয়েকদিনের বিরতির পর রবিবার রাত থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থা আরো কয়েকদিন থাকতে পারে।

        সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/07/30930/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          জায়েজ বিয়ের আয়োজন করে জরিমানা গুণলেন মেয়ের বাবা


          চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ডামোশ গ্রামের আরমান আলীর কন্যা আরমিনা খাতুনকে কয়েক মাস পূর্বে বিয়ে দেওয়া হয়। আজ সোমবার আরমান আলী ওই বিয়ে উঠানো উপলক্ষে নিজ বাড়িতে ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করেন।

          বিয়ের সংবাদ পেয়ে আজ দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সীমা শারমিন অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বাল্যবিয়ের অজুহাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আরমান আলীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সে সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান।

          উল্লেখ্য বাংলাদেশের সংবিধানে ইসলামের জায়েজ বিধানকে রহিত করে। আর কুফরি আইন দিয়ে মুসলিমদের বৈধ কাজকে অবৈধ করে। এমনকি জরিমানাও গুনতে হচ্ছে ইসলামের নিয়ম কানুন মানার জন্য।

          সুত্রঃ কালের কন্ঠ


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/07/30933/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            রাজধানীতে গণধর্ষণ: অনিরাপদ ঢাকা, অনিরাপদ দেশ


            ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেয়েকে বাস থেকে নামার পর উঠিয়ে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়েটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বলেই হয়তো প্রতিবাদটা হয়েছে তাৎক্ষণিক। কিন্তু এমন ঘটনা কি আর নেই? আছে। সারাদেশে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। তারমধ্যে কিছু ঘটনা ‘ক্লিক’ করে অন্যগুলো আড়ালে থেকে যায়।

            আজ যখন লিখছি, তখনও মনিটরে শায়েস্তাগঞ্জের একটি খবর চোখ আঁকড়ে রয়েছে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক স্কুলছাত্রীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এক যুবক। মেয়েটির স্পর্শকাতর অঙ্গে আঘাতের চিহ্নের কথা ফলাও করে বর্ণিত হয়েছে খবরে।

            কেন শায়েস্তাগঞ্জের এই স্কুলছাত্রীটিকে নিয়ে কোনো প্রতিবাদের কথা নেই সেই খবরে। নেই মানববন্ধন, অবরোধ কিংবা অন্য কিছু। শুধু পরিবারের লোকজন বিচার ও শাস্তি চেয়েছেন। আর সেই চাওয়ার ভাষাও অসহায়ত্বের।

            অনিরাপদ ঢাকা এবং সারাদেশে আমরা সবাই অসহায়। আমার সন্তান ধর্ষিতা হবে, খুন হবে এটাই যেন এই জনপদে স্বাভাবিক। মানুষজন গণমাধ্যমে ধর্ষিতা হওয়ার বিবরণ পড়বে। বিবরণ রগরগে হলে পাঠক বেশি, ছবি হলে তো কথাই নেই।

            খুনের ক্ষেত্রেও একই কথা। বিবরণে থ্রিল থাকা চাই। পড়ে-টড়ে দুদিন আলোচনা, তারপর শেষ। আর বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রীটির ঘটনার মতন প্রতিবাদ শুরু হয়, তখন মানুষেরা জেগে ওঠে। যে জেগে ওঠা ‘হুজুগে’ জেগে ওঠা।

            জানি ‘হুজুগ’ শব্দটায় অনেকে আপত্তি করবেন। তাই ছোট করে ব্যাখ্যা করি। নুসরাতের ঘটনার পর সারাদেশে প্রতিবাদ হয়েছে। জেলায় জেলায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। খুব ভালো, কিন্তু তারপর? থেমেছে কি এসব ঘটনা?

            থামেনি যে খোদ জনবহুল রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীকে গণধর্ষণ তারই প্রমাণ। তাহলে, আপনাদের প্রতিবাদ কী ছিল, কতটুকু ছিল, একটু ভেবে দেখুন তো। আর সঙ্গে ভেবে দেখুন প্রতিবাদটা ‘কেন’ ছিল।

            প্রতিবাদটা ‘কেন’ ছিল, এটাই মূল বিষয়। প্রতিবাদটা কি শুধু নুসরাতের জন্য ছিল, নাকি ছিল এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে? শুধু নুসরাত হত্যার বিচারই কি শেষ? না ‘এরপর’ আরও কিছু রয়েছে? এই ‘এরপর’ শব্দটির উপর প্রতিবাদীদের কোন চিন্তা ছিল না বলেই আজকে আবার প্রতিবাদে দাঁড়াতে হয়েছে।

            নুসরাত কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রীটি ভেঙে পড়া সমাজের এক একটি ‘সিম্বল’, প্রতীক। আমাদের সমাজ যে ভেঙে পড়েছে, আমাদের সামাজিক কাঠামো যে এমন দুর্বৃত্তপনা রুখতে অক্ষম, তারই জানান দিচ্ছে এমনসব ঘটনা। সুতরাং এসব প্রতিবাদের এবং প্রতিরোধের লক্ষ্য শুধু বিচার নয়, কাঠামো পরিবর্তন করা।

            অচল কাঠামোর পরিবর্তে সচল একটি কাঠামো প্রতিস্থাপন করা। অতএব প্রতিবাদ বা বিচারই শেষ কথা নয়। বিষবৃক্ষের গোঁড়া না কেটে কাণ্ড কাটলে, নতুন কাণ্ড গজাবে। মূল উৎপাটনই মূল লক্ষ্য হতে হবে। মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে হবে মূল কাঠামো পরিবর্তনের দিকে।

            ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ বা খুনের পেছনের কারণগুলো কী, এগুলো ভাবতে হবে, নির্ধারণ করতে হবে। অপরাধ বিজ্ঞানের মতে, যখন শাস্তি থেকে বাঁচার উপায় থাকে, কিংবা বিচার হয় সংশয়িত, তখন মানুষের ভেতর অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। মানুষ ক্রমেই অপরাধ প্রবণ হয়ে ওঠে।

            আরেকটা কারণ হলো, ‘সিলেক্টিভ জাস্টিস’। অমুক করলে শাস্তি হবে, অমুক করলে হবে না- এমন ধারণা থেকেও সমাজে বাড়ে অপরাধ প্রবণতা। শুধুমাত্র নুসরাত বা ঢাকা ভার্সিটির মেয়েটির প্রতি সংঘটিত দুর্বৃত্তপনার বিচারই শেষ কথা নয়।

            তাই যদি হয় তবে যেসব ঘটনা ‘ক্লিক’ করেনি, সেসব ঘটনায় নির্যাতিত বা নিহতরা বিচার পাবে না, কারণ তাদের জন্য কোনো প্রতিবাদ হয়নি। দেশব্যাপী না হোক নিদেনপক্ষে রাজধানীতে বা এলাকাতেও কোনো মানববন্ধন, বিক্ষোভ হয়নি।

            আর এই না হওয়ায় তাদের বিচার হবে না, এমনটাই ধারণা দাঁড়াবে মানুষের মনে। এটাও এক ধরণের সিলেক্টিভ জাস্টিস। প্রতিবাদ হলে বিচার হবে, না হলে হবে না। আমাদের এমন বিচারের ধারণা থেকে বেরুতে হবে।

            এমন সামাজিক কাঠামো ভাঙতে হবে, নতুন করে গড়তে হবে এমন সমাজের নিয়ন্ত্রক রাষ্ট্রকাঠামোকেও। আর আন্দোলনটাও হবে এমন লক্ষ্যকে সামনে রেখেই। তবেই যদি দেশে বিচারের ন্যায়তা তথা সব মানুষের জন্য বিচার এবং সব মানুষকে রক্ষার প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে ওঠে।

            সুত্রঃ যুগান্তর


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/07/30936/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কুড়িগ্রামে বাজারে নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে ২২ লাখ টাকা লুট


              কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলায় একটি বাজারের নৈশপ্রহরীকে শ্বাসরোধ হত্যার পর তিন দোকান থেকে ২২ লাখ টাকা নিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম এরশাদুল হক (৫৫)।

              রোববার গভীররাতে জোড়গাছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

              জোড়গাছ বাজার কমিটির সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মুকুল জানান, রোববার জোড়গাছ বাজারে হাট বসেছিল। এদিন প্রচুর লেনদেন হয়েছে। দুর্বৃত্তরা পরিকল্পনা করে রাতে কোনো এক সময়ে নৈশ প্রহরী এরশাদুল হককে দু-হাতপা বেঁধে মুখে গামছা গুজিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

              এরপর দুর্বৃত্তরা বাজারের ব্যবসায়ী নজির হোসেন, ফারুক মিয়া ও লাবু বুক স্টোরের সার্টারের তালা ভেঙে ভিতরের মালামাল ও ক্যাশ লুট করে।

              ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নজির হোসেন জানান, তার গালামালের দোকানের ভল্ট ভেঙে দুর্বৃত্তরা নগদ ১৫ লাখ টাকা ও ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এসময় তারা সিসি ক্যামেরা ভেঙে নিয়ে যায়।

              অপর ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া জানান, তার দোকান থেকে নগদ দেড় লাখ টাকাসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে।

              লাবু বুক স্টোরের মালিক লিটন জানান, তার ভল্ট থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা ও মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

              সুত্রঃ যুগান্তর


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/07/30938/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                এএসপি পরিচয়ে বিয়ে করে ধরা প্রতারক সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা


                সহকারী পুলিশ সুপারের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক নারীকে বিয়ে ও টাকা আত্মসাত করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিবুল ইসলাম।

                বিডিনিউজ২৪ থেকে জানা যায়, “ভুয়া ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে এএসপি পরিচয়ে এক নারীকে বিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

                জানা যায়, আকিবুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি ছাড়াও তাহসান খান প্রিজন নামের আরেকটি ফেইসবুক আইডি চালান। সেই আইডিতে আকিব নিজেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয় দিয়ে দুই সন্তানের জননী ওই নারীর সাথে পরিচিত হন।

                ওই নারীর সাথে তার স্বামীর দাম্পত্য কলহের বিষয়টি আকিব জানতে পারেন। গত ৩ জুলাই ওই নারীর ডিভোর্সের পর আকিব ৭ অগাস্ট আকিব ওই নারীকে বিয়ে করে বিভিন্ন হোটেলে এবং বাকলিয়া রাহাত্তার পুল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অবস্থান করেন।

                ওই নারীর অভিযোগ, আকিব চাকরিতে সমস্যার কথা বলে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধার নিয়েও পরিশোধ করেননি। এছাড়াও ওই নারীর কাছ থেকে এক লাখ ২৮ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন, তিন লাখ টাকায় মোটর সাইকেল কেনা ছাড়াও অন্তত ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আকিব।

                আকিবের সাথে আরও নারীর সাথে সম্পর্ক থাকার বিষয়টি জানতে পেরে ওই নারী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আকিব তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে খোঁজ নিয়ে আকিব পুলিশ কর্মকর্তা নন এবং তার সাথে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

                এদিকে সন্ত্রাসী আকিব গত ২৫ ডিসেম্বর ভাড়া বাসায় গিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই নারী। স্থানীয় বিচারালয়ে এ অভিযোগ করেন এই নারী।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/07/30941/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X