Announcement

Collapse
No announcement yet.

বেদাতপন্থীদের সঙ্গে আচরণ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বেদাতপন্থীদের সঙ্গে আচরণ

    ভাইয়েরা! ফিতনা ও ভুল বোঝাবুঝির সংকটাপন্ন এই ক্রান্তিকালে মুসলমানদের মাঝে ভালো ব্যবহারের নমুনা হোন…



    হে প্রিয় ভাইয়েরা!
    বেদাতপন্থীদের সঙ্গে কঠোরতা করতে বলা হয়েছে। তাদের সঙ্গে উঠবস করতে নিষেধ করা হয়েছে।নিজস্থানে শরীয়তের এসমস্ত নির্দেশনা শতভাগ ঠিক আছে। কিন্তু ইদানিং কেন জানি মনে হচ্ছে, শরীয়তের এ নির্দেশনা আমরা ঠিকভাবে পালন করতে পারছিনা। আমাদের প্রয়োগ যেন যথাস্থানে হচ্ছে না।

    প্রিয় ভাইয়েরা! লক্ষ্য করুন!!
    আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন—
    يا أيها الذين أمنوا من يرتد منكم عن دينه فسوف يأتي الله بقوم يحبهم ويحبونه أذلة على المؤمنين أعزة على الكافرين

    উক্ত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জানাচ্ছেন, যখন আমাদের মাঝে রিদ্দা'র প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে, তখন আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্যকারী দলের আবির্ভাব ঘটবে, যাদের একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে — "মুমিনদের সামনে তারা নমনীয় ও বিনয়ী এবং কাফেরদের সামনে তারা কঠোর"।

    (এ পর্যায়ে আমি একটি বিষয় বলে নেয়া জরুরি মনে করছি, আয়াত বিষয়ে এখানে আমার কথাগুলো إستفساري-মুফাসসির ভাইদের নিকট জিজ্ঞাসা মূলক।)

    এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা المؤمنين শব্দটির মাঝে বিশেষ এক তাৎপর্য নিহিত রেখেছেন বলে মনে হচ্ছে। যেহেতু এখানে রিদ্দার কথা এসেছে, তাই এর বিপরীতে ঈমান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে সমস্ত পাপাচার, বেদাত, কুসংস্কার, ভ্রান্ত চিন্তাধারা ঈমানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, মুমিনদের মাঝে যদি সেগুলোর উপস্থিতি থাকে,এরপরেও তাদের সঙ্গে নম্র আচরণ করার নির্দেশনা হয়তো এসেছে আলোচ্য আয়াতে। তাছাড়া শরীয়তের মূল নীতি রয়েছে, "তুলনামূলক জঘন্য ও বড় অকল্যাণ প্রতিকারের লক্ষ্যে ছোট অকল্যাণ সহনীয়"।

    আসলে এখানে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো, এগুলো নব উদ্ভাবিত কোনো বিষয় নয়। আমরা সকলেই এ বিষয়গুলো জানি।কিন্তু কেন জানি বাস্তব প্রয়োগের বেলায় এ বিষয়গুলো আমাদের চিন্তায় থাকে না।

    তাই আসুন! এখন থেকে পণ করি, একটা মানুষ অথবা একটা শ্রেণি যতক্ষণ পর্যন্ত কুফরের সীমানায় পা না রাখবে, শুধু তাই নয়, স্পষ্ট কুফরে লিপ্ত হবার পরেও (যেমন গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ) প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে অথবা তাকফীরের প্রতিবন্ধক অন্য যেকোনো কারণে কেউ বা কোন শ্রেণী যদি কাফের আখ্যা না পায় এবং আমাদের দিক থেকে কাফেরের ন্যায় আচরণ পাবার যোগ্য না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সাধারণেরা সুনির্দিষ্ট ফায়দা ও অকল্যাণ না থাকলে কোন প্রকার রূঢ় আচরণ ও কঠোর উচ্চারণ তাদের সঙ্গে করবো না। ইসলামের সোনালী যুগে অথবা তৎপরবর্তী ইসলামের বিজয়কালে বেদাতপন্থীদের ব্যাপারে উম্মতের ওলামায়ে কেরাম আচরণে উচ্চারণে যে মাত্রার কঠোরতা প্রয়োগ করেছেন, বর্তমানে রিদ্দা'র এই সংকটাকীর্ণ সময়ে মুমিন মুসলমানদের ক্ষেত্রে (যতই বেদআত ও পাপাচার থাকুক না কেন তাদের মাঝে) কঠোরতার সে মাত্রাটুকুও হয়ত এড়িয়ে চলা উচিত।

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে স্মরণে রাখার তৌফিক দিন—
    # واخفض جناحك للمؤمنين،
    # أشداء على الكفار رحماء بينهم،


    পরিশেষে বলবো—
    ولو كان من عند غير الله لوجدوا فيه اختلافا كثيرا—
    তাই আমার উপরের বক্তব্যের ভুলত্রুটিগুলো অনুগ্রহ করে ধরিয়ে দেবেন।

  • #2
    এ বিষয়টি আরো বিস্তারিত জানার জন্য আমি অধীর আগ্রহে আছি। ইলম ও জিহাদ ভাই/ অন্য ভাই উক্ত বিষয়ে কলম ধরার অনুরোধ। ইদানীং সময়ে ওয়াজের মাঠে জামাতপন্থী হুজুরদের অনেক জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে, আমাদেরকে অনেক ভাইই প্রশ্ন করে তাদের ওয়াজে যাওয়ার উপর। আশা করি এবিষয়টি নিয়েও একটু ভাববেন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      ভাই ঠিক বলেছেন । আমার কাছেও বিষটা এমনই মনেহয়, বর্তমানে যে ভাবে একজন মুসলমান ভায়ের সাথে আচরণ হচ্ছে, একজন সরাসরি মুর্তাদ বা কাফেরের প্রতি এমন হচ্ছে না , তাদেরকে শত্রুই মনে করা হচ্ছে না । কি আজব ব্যাপার এটা কেমন আচরণ আমার বুঝে আসছে না ? আসল কথা হলো আজ আমাদের সামনে “আলওয়ালা ওয়ালবারায়া “ আকিদা আমাদের মাঝে না থাকার কারণে আজ এই অবস্থা, আসল শত্রু কে আর আসল বন্ধু কে সেটাই আজ আমরা জানি না ।
      মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

      Comment


      • #4
        সুপ্রিয় ভাইয়েরা, এবিষয়ে অভিজ্ঞ ভাইয়েরা কলম ধরলে অনেক অনেক উপকার হয়।

        Comment

        Working...
        X