Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৭ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৭ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    ফিলিস্তিন | 9 জন নিরাপরাধ মুসলিম যুবককে কিডন্যাপ করে নিয়েগেছে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা!


    দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাঈলী সন্ত্রাসী বাহিনী সোমবার ভোর বেলায় 9 জন নিরাপরাধ ফিলিস্তিনী যুবককে তাদেন বাসা থেকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়। এসময় তাল্লাশীর নামে মুসলিম মা-বোনদের লাঞ্ছিত-অপমানীত করে এবং মুসলিমদের ঘর-বাড়িতে ভাংচুর করে।

    ফিলিস্তানের পশ্চিম তীর, নাবলুস ও জেরুজালেম থেকে এসকল যুবককে কিডন্যাপ করে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা।

    অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহে মুসলিমদের ২৬টিরও অধিক বসত-বাড়ি অবৈধভাবে গুড়িয়ে দেয় দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা।


    সূত্র; https://alfirdaws.org/2020/01/13/31249/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    CAA: বিক্ষোভকারীদের ‘গুলি করে কুকুরের মতো’ মারার হুমকি সন্ত্রাসী দিলীপের


    বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছে দিলীপ ঘোষ। সমালোচনার ঝড় উঠলেও বদলায়নি কিছুই। বরং তা বেড়েছে। রবিবার নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন নিয়ে নয়া বিতর্কে জড়ালো সন্ত্রাসী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ বার সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই মডেল এখানেও কার্যকর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দিলীপ।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩১ জন। এর মধ্যে অধিকাংশ প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। সেখানে সরকারি মতে সংখ্যাটা অন্তত ২০। এ ছাড়া অসম ও কর্নাটকে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

    ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সন্ধ্যায় নদিয়ার রানাঘাটে এক জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিক্ষোভকারীদের ওপরে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার প্রসংশা করেছে দিলীপ ঘোষ।

    এ দিনের সভায় দিলীপ ঘোষ বলেছে, ‘যাঁরা হিংসা ছড়িয়েছে, সম্পত্তি নষ্ট করেছে অসম, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকে আমাদের সরকার তাদের কুকুরের মতো গুলি করে মেরেছে। তুলে নিয়ে গিয়ে কেস দিয়েছে। এখানে আসবে, খাবে, আর এখানকার সম্পত্তি নষ্ট করবে? জমিদারি পেয়েছ নাকি? গুলিও করব, লাঠি মারব, জেলে ঢুকিয়ে দেব। আর তাই করেছে আমাদের সরকার।’

    পশ্চিমবঙ্গে সিএএ-র বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে বিজেপি-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন অরাজনৈতিক গণ-সংগঠন। জবাবে বিজেপি এখনও সিএএ-র সমর্থনে প্রচারে তেমন ঝড় তুলতে পারেনি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/13/31231/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গরুকে স্পর্শ করলেই মনের সমস্ত নেতিবাচকতা দূর হয়ে যাবে বলে বানোয়াট মন্তব্য


      মনের নেতিবাচক জিনিসগুলো দূরে সরাতে চান?* তাহলে গরুকে ছুঁয়ে দেখতে পারেন। তাহলেই মনের সমস্ত নেতিবাচক জিনিসগুলো দূরে সরে যাবে। না কোনও মনোবিদ নন, এমন নিদান মহারাষ্ট্রে তেয়োসার বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যান দপ্তরের মন্ত্রী যশোমতী ঠাকুরের।
      গত শনিবার অমরাবতীতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই যশোমতী ঠাকুর এমন বানোয়াট মন্তব্য করে। অনুষ্ঠানে সে বলেছে, ‘*আমাদের সংস্কৃতিতে একথা বলা রয়েছে যে, আপনি যদি কোনও গরুকে স্পর্শ করেন, তাহলে আপনার মনের ভিতর থাকা সমস্ত নেতিবাচকতা দূর হয়ে যাবে।’ Share

      সূত্র: আজকাল


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/13/31232/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আসলেই কতটা উন্নত হচ্ছে ভারত?


        দেশের জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান সংস্থা বা এনসিআরবির তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে ভারতে দিনে ৯১টি ধর্ষণ হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, পরিসংখ্যান বলছে দিনে ৮০টি খুন ও ২৮৯টি গুম হয়েছে৷

        এই তথ্য প্রকাশের পর থেকে নতুন করে আলোচিত হচ্ছে ভারতের উন্নয়নশীলতার বাস্তবিক চিত্র৷

        বর্তমানে, ভারতে বিশালাকারে সংগঠিত হচ্ছে নাগরকিত্ব আইন, নাগরিকপঞ্জীসহ বিভিন্ন বিষয়ে নাগরিক প্রতিবাদ৷ অন্যদিকে, প্রতিবাদী জনতার ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ থেকে পিছিয়ে নেই সমাজের কোনো অংশের মানুষ৷ একদিকে সংবিধানবিরোধী আইন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার সাধারণ মানুষ তেকে বলিউড সেলিব্রিটি সবাই, অন্যদিকে নতুন উদ্যমে প্রতিবাদ ঠেকাতে ‘ট্রল ব্রিগেড’৷ সব মিলিয়ে, কোথাও যেন অদৃশ্য এক ‘টাগ অফ ওয়ারে’ ব্যস্ত বর্তমান ভারত৷ পাল্লার একদিকে যুক্তি, প্রতিবাদের গণতান্ত্রিক অধিকার৷ অন্যদিকে অন্ধ ভক্তি ও চুপ করিয়ে রাখার সংস্কৃতি৷

        এমন পরিস্থিতিতে যখন ২০১৮ সালের অপরাধ পরিসংখ্যান সামনে আসে, তখন বুঝা গেছে ভারত গত দশ বছরে একাধিক ক্ষেত্রে মৌলিক খাতে রয়ে গেছে বিশাল ঘাটতি৷

        এদিকে,একই দেশে একদিকে একটি বিশেষ প্রাণীর মাংস খাওয়ার গুজবের ভিত্তিতে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয় মুসলিম পিতা-পুত্রকে৷ অন্যদিকে, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় হিন্দু অভিনেত্রী সশরীরে সরকারবিরোধী জনসভায় উপস্থিত হয়, নিজের কেরিয়ার বা প্রাণভয়ের তোয়াক্কা না করেই৷

        একই দেশে সম্প্রতি বৈধ হয়েছে সমকামী সম্পর্ক৷ অন্যদিকে এই ভারতেই ধর্ষিতা হয় গড়ে দিনে ৯১জন৷

        জাতপাতভিত্তিক বিভেদ আইনত ভারতে অপরাধ হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে একজন রোহিত ভেমূলাকে আত্মহত্যা করতে হয়৷


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/13/31257/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে প্রতি ১৫ মিনিটেই ঘটে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা


          ২০১২ সালে। রাজধানীর রাজপথে ঘটে গিয়েছিল নির্ভয়া কাণ্ড। আজ আট বছর হতে চলল। এখনও দোষীদের সাজা দেওয়া যায়নি। গত বছর শেষের দিকে ঘটে হায়দরাবাদ কাণ্ড। পশুচিকিৎসক ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। কিন্তু এমন আরও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশ্যেই আসে না। কিন্তু ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। প্রতি ১৫ মিনিটে দেশে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। অবাক হচ্ছেন?* সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ সালের ক্রাইম রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট দেখলে আপনারও চক্ষু চড়কগাছ হবে। সেই রিপোর্ট থেকেই মিলেছে, ভারতে প্রতি ১৫ মিনিটে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
          ২০১৮ সালে দেশজুড়ে প্রায় ৩৪ হাজার ধর্ষণের অভিযোগ শুধুমাত্র থানাতেই দায়ের হয়েছিল। রিপোর্ট জানাচ্ছে, এর মধ্যে মাত্র ২৭ শতাংশ দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মহিলাদের ওপর হওয়া এই অপরাধমূলক ঘটনাগুলিতে পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করে না।
          প্রসঙ্গত, দেশের বহু অংশ এমন রয়েছে যেখানে হাজার হাজার ঘটনা সরকারের খাতায়, প্রশাসনের নজরে আসে না। নির্যাতিতাও অনেক সময় লোকলজ্জার ভয়ে, পারিবারিক কারণে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন না। এর ফলে ধর্ষণকারী যেমন প্রশ্রয় পায়। তেমনই সমাজেরও প্রভূত ক্ষতি হয়।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/13/31250/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সীমান্ত হত্যাকান্ডে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন, হত্যা বন্ধের অঙ্গীকার রক্ষা করেনি ভারত


            ভারত সীমান্ত হত্যা বন্ধে অঙ্গীকার রক্ষা করেনি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সীমান্ত হত্যাকান্ডে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। সীমান্তে যাতে একজনও মারা না যায়, সে ব্যাপারে ভারত অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, সীমান্ত হত্যা ঘটছে। তাই আমরা উদ্বিগ্ন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

            ভারত সরকার যে অঙ্গীকারে রাজি হয়েছে, তার পূরণ করছে না। তাই বাস্তবতা হল সীমান্তে ব্যাপকভাবে মানুষ হত্যা হচ্ছে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/13/31237/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস : ভারতীয় কূটনীতিকের সাথে দুই কর্মকর্তার গোপন বৈঠক


              ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে গোপন বেঠক করলেন আইন মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা। গতকাল রোববার রাতে প্যান-প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিব নরেন দাস এবং একই বিভাগের যুগ্ম-সচিব কাজী আরিফুজ্জামান বৈঠকে অংশ নেন। ভারতের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাই-কমিশনার বিশ্বদীপ দে। নৈশভোজের আড়ালে তারা এই বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে দেশের অভ্যন্তরীণ স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় প্রসঙ্গ পায়।

              ইনকিলাব সূত্র জানা গেছে, বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ আনেন। ঢাকাও কোনো রাখঢাক না করেই নিজেদের ক্ষোভের বিষয়টি ভারতকে জানিয়ে আসছে। পর পর কয়েকজন মন্ত্রী এবং প্রতিনিধি পর্যায়ের ভারত সফরের কর্মসূচি বাতিলই এর প্রমাণ।

              ভারত সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের এই অবস্থানের বর্তমান পর্যায়ে ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি শাখার শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত গোপন বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং রহস্যজনক মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

              সূত্রটি জানায়, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে হোটেল সোনারগাঁওয়ের লবিতে আসেন নরেন দাস। তিনি ৮ মিনিট ফোনে কথা বলেন। এর মাঝে দুই পুলিশ সদস্য (একজনের নাম তোফাজ্জল) একটি কালো রঙের ব্রিফকেস নরেন দাসের হাতে তুলে দেন। এর কিছুক্ষণ পরই কাজী আরিফুজ্জামান হাজির হন। ৭টা ৩৫ মিনিটে উপস্থিত হন কাজী আরিফুজ্জামান। সঙ্গে ফুলের তোড়া। ৭টা ৪০ এর দিকে তারা ডিনারের টেবিলে বসেন। আলাপচারিতার একপর্যায়ে নরেন দাস ব্রিফকেসটি ডেপুটি হাই-কমিশনার বিশ্বদীপ দে’র কাছে হস্তান্তর করেন। এ ব্রিফকেসেই সরকারের অনেকগুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে বলে জানা গেছে।

              গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস : সূত্র জানায়, বৈঠকে অংশ নেয়া আইনমন্ত্রণালয়ের এই সংখ্যালঘু কর্মকর্তার মাধ্যমে ভারত বিশেষ কোনো বার্তা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নীতি-নির্ধারণী অনেক স্পর্শকাতর তথ্যও ওই দুই কর্মকর্তা ভারতীয় কূটনীতিকের হাতে তুলে দিয়েছেন। যা স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। তাই মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে না জানিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ের গোপন বৈঠককে কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, গুরুতর অপরাধ, গুপ্তচর বৃত্তি, রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়েরই একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা। তাদের মতে, এ বৈঠক যদি সরকারের পক্ষ থেকে হতো তাহলে সেটির একটি আনুষ্ঠানিক রূপ থাকতো। বৈঠকের ভেন্যু হতো আইনমন্ত্রণালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকারের অন্যকোনো দফতর। বৈঠকটি ভারতে অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু গতকালের সন্ধ্যার বৈঠকটি ছিলো একেবারেই অনানুষ্ঠানিক। বন্ধু প্রতীম দুই দেশের মধ্যে লিগ্যাল এবং ড্রাফটিং বিভাগের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, ভারত-বাংলাদেশের সংসদ সংস্কৃতির বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মতো কোনো এজেন্ডা হলে সেটি আরো বৃহৎ পরিসরে দুই সরকারের উচ্চপর্যায়ে সম্পাদিত হতে পারে। সে ধরণের কিছু হলে মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগের মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা বিশেষকে দিয়ে সরকার রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ের ক‚টনৈতিক আলোচনা চালাতো না। প্রটোকল এমনটি সমর্থন করে না। ড্রাফটিং ও লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব নরেন দাস এবং যুগ্ম-সচিব কাজী আরিফুজ্জামানকে সরকারের কোন দফতরের কোন কর্মকর্তা বৈঠক করার দায়িত্ব দিয়েছেন সেটি তাদের চিঠিতে উল্লেখ নেই। শুধু বলা হয়, এটি ‘সংসদীয় বৈঠক’ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। পরবর্তীতে উচ্চপর্যায়ে আরো বৈঠক হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয়া হয় চিঠিতে।

              যেভাবে আয়োজন গোপন বৈঠকের : সূত্রটি আরো জানায়, গতবছর ৩ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নরেন দাস একই বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। এ পদে যোগদানের পর তিনি ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত গোপন যোগাযোগ স্থাপন করেন। এ প্রক্রিয়ায় তিনি ভারতীয় হাই-কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বৈঠকে বসতে চান। তারপক্ষে হাই-কমিশনারের এপয়েন্টমেন্ট চেয়ে অনুরোধপত্র পাঠান একই বিভাগের যুগ্ম-সচিব কাজী আরিফুজ্জামান। ওই অনুরোধপত্রে দেশের স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে জরুরিভিত্তিতে বৈঠক করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের ‘ভারত-নীতি’র বিপক্ষে ছিলো তাদের এ বৈঠক। রীভা গাঙ্গুলির সঙ্গে সাক্ষাত চেয়ে করা অনুরোধপত্রের পরতে পরতে রয়েছে দেশের স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ভারতকে অবহিতকরণের ইঙ্গিত।

              সূত্রমতে, কাজী আরিফুজ্জামান এবং ভারতীয় কূটনীতিকের মধ্যকার যোগাযোগ চলতে থাকে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে। এ কারণের সরকারের কোনো দপ্তর কিংবা অন্যকোনো কর্মকর্তাকে এ চিঠির অনুলিপি দেয়া হতো না। বেসরকারি এই চিঠিতে অপরপ্রান্ত থেকে সাড়া দেয় ভারত। ভারতীয় হাই-কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি নবনীতা চক্রবর্তী পাল্টা চিঠিতে বিষয়টি নিয়ে মিস্টার লাবন্য কুমারের (ফার্স্ট সেক্রেটারী, পলিটিক্যাল-৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে অবশ্য লাবন্য কুমার নিজেই কাজী আরিফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষে ডেপুটি হাই-কমিশনার বিশ্বদীপ দে ড্রাফটিং বিভাগের সচিব এবং একই বিভাগের যুগ্ম-সচিব কাজী আরিফুজ্জামানকে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান।

              কে এই নরেন দাস? : নরেন দাসের বিরুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ পুরনো। নাইকো দুর্নীতি মামলায় (নং-২০) বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরো ৫ জনকে আসামি করা হয়। নরেন দাস ছিলেন তাদের একজন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। এজাহারে নরেন দাসের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। বলা হয়, কানাডিয়ান নাইকো কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেদ শরীফ আইন মন্ত্রণালয়ের নরেন দাসকে একটি ল্যাপটপ কিনে দিতে বলেন। তাকে একটি নম্বর দিয়ে নরেন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। ওই নম্বরে মাসুদুর রহমান যোগাযোগ করলে, নরেন দাস তাকে সচিবালয়ের গেটের সামনে এসে ল্যাপটপসহ ফোন করতে বলেন। ওখানে তাকে ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করিয়ে বের হন এবং তার কাছে ল্যাপটপ হস্তান্তর করেন। NEC-VERSA P/N:NN210013A2,CELERON Processor, Windows XP, Home Editionমডেলের ল্যাপটপটি এখনো জব্দ রয়েছে। তবে আলোচিত এ মামলার তদন্তকালে গ্রেফতার হয়ে ৩ মাস কারাভোগ করেন নরেন দাস। একটি গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপে তিনি কারামুক্ত হন। একই প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি পান মামলা থেকেও।

              একই দফতরের অতিরিক্ত সচিব থাকাকালে নরেন দাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তা সত্তে¡ও সেই গোয়েন্দা সংস্থার পছন্দে তাকে ড্রাফটিং উইংয়ের সচিব করা হয় বলে গুঞ্জন রয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়। গত ৩ নভেম্বর তার স্থলাভিষিক্ত হন নরেন দাস।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/13/31238/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                প্রচারণায় মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বন্যা


                মেয়র প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। ঢাকা সিটিকে নতুন করে গড়ে তোলার নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। স¤প্রীতির রাজনীতি, পরিবর্তনের রাজনীতির প্রতিশ্রুতি ছাড়াও ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং সর্বোপরি উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

                পৌষের শেষ সাপ্তাহে হাড় কাঁপানো শীতে সূর্যের দেখা নেই। প্রচন্ড ঠান্ডায় হীম হওয়া আবহাওয়ায় জমে উঠেছে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। ভোর হতেই মাঠে নামছেন মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর নানা প্রতিশ্রুতির বয়ান দিয়ে ভোট চাইছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ইসলামী ধারা ও বাম ধারার দলগুলোর প্রার্থীরাও সীমিত পরিসরে প্রচারণায় নেমেছেন। জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে প্রচারণার অন্যরকম দৃশ্য।

                মেয়র প্রার্থী তাপস বলেন, নির্বাচিত হলে শহরে মাদকসহ অন্যান্য অপরাধমূলক সামাজিক ব্যাধিগুলো দূর করা হবে। এলাকাভিত্তিক সমস্যা সমাধান করা হবে। রাস্তা-ঘাট পুনর্বিন্যাস করে জনগণের ভোগান্তি কমানো হবে।

                নতুন ওয়ার্ডে উন্নয়নের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি আতিকের:
                ঢাকা উত্তর সিটির সাথে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল

                গণসংযোগকালে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নতুন ওয়ার্ডগুলো উন্নয়নের মাধ্যমে ভালোভাবে সাজানোর জন্য। আমরা বলতে চাই, নৌকা উন্নয়ের মার্কা, এ নৌকায় ভোট দেয়ার মাধ্যমে আমাকে যদি নির্বাচিত করেন তাহলে প্রথমেই এসব এলাকায় যেন জলাবদ্ধতা না হয়, রাস্তা উন্নয়ন হয় আর এলইডি বাতিতে যেন আলোকিত হয় সেই কাজ করব। এছাড়া নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নের জন্য অনেক বড় বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

                মাজাররোডে গণসংযোগকালে মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নাগরিক সমস্যার ১২টা জায়গা চিহ্নিত করেছি। দায়িত্ব পেলে এই ১২টা জায়গায় আমরা সমন্বয় ও গুরুত্বের ভিত্তিতে একযোগে কাজ শুরু করবো। ডেঙ্গু, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও যানজটের মতো বাসা ভাড়াও ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এই লড়াইয়ে জয়ী হতে পারলে ঢাকার নাগরিক সমস্যার সমাধানে কাজ করা সহজ হবে। তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি স্তর ‘দুর্নীতিতে ভরে গেছে’। মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি সবার আগে এই দুর্নীতি দমনে কাজ করতে চান বলে জানান। তাবিথ বলেন, পুলিশের মামলা হবে, হামলা হবে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের পক্ষ থেকে। আমরা শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও নির্বাচনী মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

                সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মেয়র প্রার্থী বলেন, মিরপুর এলাকার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। পুরো শহরে বায়ু দূষণে ঢেকে গেছে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। ফলে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে, অনেক প্রাণহানীও হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আগামী দিনে জনকল্যাণ ও জনগণের মেয়র হিসেবে কাজ করতে চেষ্টা করবো। আমি নগরবাসীর সব সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবো।

                সূত্র: ইনকিলাব


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/13/31242/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  প্রার্থীরাই যখন অপরাধী


                  মমিনুল হক সাঈদ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (বহিষ্কৃত)। হালে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন হয়ে ওঠা এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ক্যাসিনোকান্ডে শুদ্ধি অভিযানের আগমুহূর্তে তিনি দেশত্যাগ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড এই সন্ত্রাসী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে ফিরেছেন। তিনি একাই নন, তার স্ত্রীও কাউন্সিলর প্রার্থী। তার এলাকায় বহু ক্যাডারের আনাগোনা এখন।

                  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু। এবারও তিনি জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে দখলবাজি, চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ। বাংলাদেশে ক্যাসিনোর জনকদের অন্যতম এই সেন্টু শুদ্ধি অভিযান শুরুর পরই সিঙ্গাপুর পালিয়ে যান। তিনি দেশে ফিরেছেন নির্বাচন সামনে রেখে।

                  নির্বাচনে এসব অপরাধী প্রার্থীকে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য আনাগোনা শুরু হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও গোয়েন্দাসূত্রে জানা গেছে, বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মাদক, চাঁদাবাজি, দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সন্ত্রাসীদের সখ্য রয়েছে। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ রয়েছে। কিলার আব্বাস ভোটের মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছে কারাগার থেকেই। আবার জিসান বিদেশে থেকে কলকাঠি নাড়াচ্ছে এই ভোটে। আর এ অবস্থায় সন্ত্রাসে জড়িত কাউন্সিলর প্রার্থীদের ঘিরে ভোটের মাঠে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

                  বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য ও অনুসন্ধানে এসব প্রার্থীর বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডের চিত্র পাওয়া গেছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় বিতর্কিত এই ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ গাঢাকা দিয়েছিল। অভিযান থমকে যাওয়ার পর এরা ফের স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছে।

                  অনুসন্ধানে দেখা যায়, উত্তর ও দক্ষিণে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া ১৮ জনসহ দুই ডজন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক। আবার আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেলেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, এমন দুজনকে ঘিরেও রয়েছে বিতর্ক। বিএনপির সমর্থন পাওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। জাতীয় পার্টির সমর্থনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন, এমন এক নেতা ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় পালিয়ে ছিলেন সিঙ্গাপুরে।

                  পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তরে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হয়েছে ফোরকান হোসেনকে। আগারগাঁওয়ের ফুটপাথে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। দরিদ্রদশায় মাদারীপুর থেকে রাজধানী শহরে আসা ফোরকান এখন শত কোটি টাকার মালিক। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন তোফাজ্জেল হোসেন টেনু। রডভর্তি ট্রাক গায়েব করে দেওয়ার মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একসময়ের বিএনপি ঘরানার টেনুর বিরুদ্ধে ওই ছিনতাই মামলাটির তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুর রউফ নান্নু। সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানার জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নান্নু এলাকার মাদক বিক্রেতাদের আশ্রয় দেন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন পেয়েছেন আরেক বিতর্কিত ব্যক্তি। ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর আবু তাহের গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন তাঁতী লীগ নেতা শাহজাহানকে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় দাপুটে হয়ে ওঠা আবু তাহেরের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক সাধারণ মানুষের জমি দখলের অভিযোগও। ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে তিনি তার সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিণত করেছেন।

                  সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন ফরিদউদ্দিন রতন। রাজনীতি ও আর্থিক খাতে এক বিস্ময়কর উত্থান ঘটেছে রতনের। আদিবাড়ি নোয়াখালী হলেও বড় হয়েছেন ফরিদপুরের একটি উপজেলায়। ঢাকায় এসে গভীর সম্পর্ক হয় জি কে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াদের সঙ্গে। বাণিজ্য-বেসাতিও ছিল তাদের সঙ্গে। খালেদরা ফেঁসে গেলেও ফাঁকতালে বেঁচে গেছেন রতন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে ফের আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন আনিসুর রহমান আনিস। বিগত নির্বাচনে কাউন্সিলর হওয়ার পরই তিনি পূর্ব গোড়ান ঝিলের ছয় বিঘা জমি দখলে নিয়ে প্লট আকারে বিক্রি করে দেন। ওই এলাকায় কেউ নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করলে সেখানে গিয়ে হাজির হয় হয় ‘আনিস বাহিনী’। এ বাহিনী চাঁদা না দিলে বন্ধ করে দেয় নির্মাণকাজ। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সমর্থন পেয়েছেন হাসিবুর রহমান মানিক। আজিমপুরের লেগুনাসহ বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বলা হয়, মানিক বর্তমানে যে বাড়িতে বাস করেন ওই বাড়িটি চুক্তিতে একজনের কাছ থেকে নিয়ে আর ফেরত দেননি। এ ছাড়া সন্ত্রাস ও মাদকের কারণে বিতর্কিত প্রার্থীদের মধ্যে উত্তরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন অর রশিদ এবং দক্ষিণে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান হাবু, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ হোসেন, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে মাহমুদুল হাসান পলিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। উত্তরের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম। একই সিটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে দলটির সমর্থিত প্রার্থী হারুনুর রশিদ খোকা ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে আলী আকবর।

                  মোটকথা, ঢাকা সিটি করপোরেশ্বনের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অনেকেরই চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অপরাধী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বহু সংখ্যক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে অন্তত দুই ডজন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকান্ডসহ টেন্ডারবাজি, ফুটপাথ থেকে শুরু করে নানা ধরনের চাঁদাবাজি, জমি দখল, বাড়ি দখল, প্রতিপক্ষের ওপর আঘাত, সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ, মাদক বিক্রিতে সহায়তা, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশ্বন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সন্ত্রাসে জড়িত অভিযুক্তদের এ তালিকায়। আবার আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বেশ্ব কয়েকজনও রয়েছেন বিতর্কিতদের তালিকায়। স্বাভাবিকভাবেই কাউন্সিলর নির্বাচনে বিতর্কিতরা প্রার্থী হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর ভোটাররা নিজেদের ইচ্ছায় ভোট দিতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে সংশ্বয় সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশ্বয়। আর ভোটের পর মূলত অপরাধী সন্ত্রাসীরাই নেতা হতে যাচ্ছে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/13/31236/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X