Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২২শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৮ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২২শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৮ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    আইন করে দুই সন্তান নীতি চালু করতে চায় সন্ত্রাসী আরএসএস



    রামমন্দির তৈরি কেবল সময়ের অপেক্ষা, ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়ে গিয়েছে, তিন তালাকও আইনত নিষিদ্ধ, এই অবস্থায় আরএসএসের কর্মসূচির এক নম্বরে এখন দুই সন্তানের নীতি চালু করা৷ সরসঙ্ঘচালক সন্ত্রাসী মোহন ভাগবত উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে স্বয়ংসেবকদের বলেছে, আরএসএস চায় আইন করে দুই সন্তানের নীতি চালু হোক৷ ভাগবত জানিয়েছে, রামমন্দির নিয়ে সরকারি ট্রাস্ট হয়ে গেলেই তাঁরা মন্দিরের বিষয় থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবে৷ এ বার তাঁদের কর্মসূচিতে আছে, দুই সন্তানের নীতি চালু করা৷ ২০১৫ সালেও বিজয়া দশমীর ভাষণে সরসঙ্ঘচালক জনসংখ্য়া নীতি চালু করতে বলেছিল৷

    কিন্তু এর আগে সঙ্ঘ পরিবারের প্রধান তিনটি কর্মসূচি ছিল, রামমন্দির, ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং অভিন্ন দেওয়ানী বিধি। প্রথম দুটো হয়েছে৷ কিন্তু অভিন্ন দেওয়ানী বিধি হয়নি৷ তা হলে কি সঙ্ঘ পরিবার এই বিষয়টি ছেড়ে দিল৷ আরএসএসের মিডিয়া সেল বিশ্ব সংবাদ কেন্দের দায়িত্বে থাকা অরুণ আনন্দ ডয়েচে ভেলেকে জানিয়েছে, ”আমরা অভিন্ন দেওয়ানী বিধির দাবি থেকে সরে আসছি না৷ তবে তিন তালাক বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ তাই অভিন্ন দেওয়ানী বিধি পরে করলেও হবে৷ কিন্তু সঙ্ঘের বরাবরের মত হল, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি৷ তাই তিনি এখন দুই সন্তানের নীতি নেওয়ার কথা বলেছেন৷”

    বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের মধ্যে একটা ধারণা আছে, ভারতে প্রধাণত মুসলিমরাই জন্মনিয়ন্ত্রণ করে না৷ তারা বহু সন্তানের নীতিতে বিশ্বাস করে৷ মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য এম কিউ আর ইলিয়াস ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, দেশের সমস্যা থেকে নজর অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য এই সব বিষয় আনা হচ্ছে৷ কার কটা বাচ্চা হবে, সেটা তো সেই ব্যক্তির ওপরে নির্ভর করছে৷ এ নিয়ে আইন তো অসাংবিধানিক হবে৷ অল ইন্ডিয়া মুসলিম মজলিশ মুশাওরত এর সভাপতি নাবেদ হামিদের মত হল, বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার সমানে ঘৃণার রাজনীতি করছে৷ কারণ, পরপর দুটি জনগণনায় দেখা যাচ্ছে, মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে৷


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/18/31531/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে গিয়ে কী বলতে হবে তা-ও মন্ত্রীদের শিখিয়ে দিলো সন্ত্রাসী মোদি



    পাঁচ মাস আগে মুসলিমদের সাথে গাদ্দারি করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরে আজ শনিবার থেকে সাতদিনের সফরে জম্মু-কাশ্মীর যাচ্ছে এনডিএ সরকারের এক প্রতিনিধিদল। তাতে থাকছে ৩৬ জন কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসী মন্ত্রী।

    ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জম্মু-কাশ্মীর সফর নিয়ে গতকাল শুক্রবার মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদি। সে মন্ত্রীদের বলেছে, জম্মু-কাশ্মীরে গিয়ে উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরতে। বিশেষ করে বলতে গ্রামোন্নয়নের কথা। মোদি খুব নির্দিষ্ট করে বলেছে, কাশ্মীরে গিয়ে মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্পের কথা বুঝিয়ে বলার। একইসঙ্গে বলেছে, মন্ত্রীরা অবশ্যই যাবে গ্রামাঞ্চলে। সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। শুধু শহরে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখবে না।

    জম্মু-কাশ্মীরে সফরে যাওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছে স্মৃতি ইরানি, পিযুষ গয়াল, জিতেন্দ্র সিং, রবিশংকর প্রসাদ, কিরেন রিজিজু, হরদিপ পুরি, জি কিষেন রেড্ডি, পুরুষোত্তম সিং রুপালা, মহেন্দ্রনাথ পান্ডে, জেনারেল ভি কে সিং, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং অনুরাগ ঠাকুর।

    সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে এই কথিত কেন্দ্রীয় সরকার। স্থানীয় রাজনীতিকদের আটকে রেখে ও ইন্টারনেট বন্ধ করে সাধারণ অধিকারকে খর্ব করেছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী মোদি সরকার।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/18/31561/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে স্কুলের মধ্যে ছাত্রীকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’ পুলিশ কর্মকর্তার



      স্কুলের মধ্যে এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণার জেলার হাড়োয়াতে। খবর আনন্দবাজার।

      খবরে বলা হয়, অভিযোগ উঠা ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম জাহাঙ্গির হোসেন। তিনি হাড়োয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)।

      এ ঘটনায় পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে বলেও জানা যায়।

      খবরে বলা হয়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

      স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোহনপুরের বাছড়া এম সি এইচ হাইস্কুলে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ছাত্র ও যুব উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ওই উৎসবের শেষ দিন ছিল শুক্রবার। অনুষ্ঠান উপলক্ষে ওই স্কুলেই ডিউটি পড়ে হাড়োয়া থানার এএসআই জাহাঙ্গিরের।

      শুক্রবার সকাল থেকেই তার সঙ্গে ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে বেশ কয়েক বার কথা বলতে দেখা গিয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। কারণ হিসেবে তারা জানান, ওই দুই ছাত্রীর ইচ্ছে ভলান্টিয়ার হওয়ার। সেই বিষয়ে পরামর্শ নিতে তারা কথা বলেছিল ওই এএসআইয়ের সঙ্গে। অভিযোগ, সন্ধ্যার দিকে অনুষ্ঠান শেষ হতেই জাহাঙ্গির ওই দুই ছাত্রীর এক জনকে স্কুলেরই দোতলার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তার পর দরজা বন্ধ করে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

      প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ করেই উপরের ক্লাসরুম থেকে চিৎকার শুনতে পেয়ে স্কুল চত্বরে যারা ছিলেন তারা ছুটে যান। ঘরের দরজা খুলে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে। জাহাঙ্গিরকে ধরা হয়। এ সময় তাকে মারধর করা হয়।

      বসিরহাটের এসপি কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, ‘এলাকা আপাতত শান্ত। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। ওই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/18/31566/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘স্কুল-কলেজ এখন জেনার বাজার’- আল্লামা শফী



        দেশের স্কুল-কলেজকে জেনার (অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক) বাজার বলে মন্তব্য করেছেন শাহ আহমদ শফী বলেছেন, শিক্ষকরা জেনা করছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তো জেনা করেই।

        আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামের রাউজান গহিরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। আল-জামিআতুল দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘শিক্ষকরা জেনা করছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তো জেনা করেই। হাসিনাকে জানাই, হাসিনা তুমি যেভাবে লেখাপড়া করেছো সেভাবে আমাদের মেয়েদেরও, মহিলাদেরও ওইভাবে লেখাপড়া করার জন্য আদেশ দাও। আমি মহিলাদের শিক্ষিত হওয়ার জন্য বাধা দিচ্ছি না। মহিলা আলাদা, পুরুষ আলাদা-এমন করলে ভালো হবে না খারাপ হবে?’

        আল্লামা শফী আরও বলেন, ‘এখন তো রাস্তাঘাটে একজন মহিলা, একজন পুরুষ, একজন মহিলা, একজন পুরুষ-কেমন? এরা চোখের জেনা করে। চলাফেরা করে। এখন স্কুল-কলেজে জেনার বাজার।’তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান মুফাচ্ছির ছিলেন মাওলানা মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী।

        অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা ফরিদ উদ্দীন আল-মোবারক। এতে আরও বক্তব্য দেন মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, মাওলানা মুফতি মেরাজুল হক মাজহারী, মুফতি নুরুল আমিন ফরিদী, মাওলানা ইসমাঈল খান, মাওলানা মোস্তাফা নূরী, গাজী মাওলানা ছানাউল্লাহ, মাওলানা হারুন আজিজী নদভী প্রমুখ।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/18/31538/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          থানায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করল হিন্দু ওসিসহ আরো ৪ পুলিশ



          থানা হেফাজতে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহাসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

          গত বৃহস্পতিবার ঢাকার জজ আদালতে নিহত ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী আলো বেগম হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে এসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

          গত বছরে বিজয় দিবসের রাতে উত্তরা পশ্চিম থানার টহল পুলিশ আলমগীর হোসেনকে ইয়াবাসহ আটক করে। পরদিন তাকে থানা থেকে কারাগারে চালান করে পুলিশ। কারাগারে অসুস্থ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে মারা যান এই ব্যবসায়ী।

          ব্যবসায়ীর স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় চাঁদাবাজ শান্তর মদদে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে আলমগীরকে থানা হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মিজানুর রহমান ও ওসি তপন চন্দ্র সাহাসহ অন্যরা পরস্পর যোগসাজশে থানা হেফাজতে মারধর করেছে।

          উল্লেখ্য, এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছিল যমুনা টেলিভিশনের ‘ক্রাইমসিন’।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/18/31532/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            চিতলমারীতে আবারো জায়েজ বিয়ে বন্ধ করলো তাগুত ইউএনও



            চব্বিশ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই আরো একটি জায়েজ বিয়ে বন্ধ করলো বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাগুত মারুফুল আলম। শুক্রবার দিবাগত রাত সাতটা ৪০ মিনিটে চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের একাদশ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের (১৭) বিয়ে সে বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া তাগুতি ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়ের বাবাকে তাৎক্ষণিকভাবে তিন হাজার টাকা জরিমানাও করে।

            প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে ওই ইউনিয়নের চরডাকাতিয়া গ্রামের এই মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

            সূত্রঃ কালের কন্ঠ


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/18/31559/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার প্রবাসীরা



              বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬১ জন প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের আনাচে-কানাচে বসবাস করছেন। প্রবাসীরা দেশে ফেরত আসাকালীন সময় প্রতিনিয়ত বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তার অসদাচরণ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অসংখ্য অভিযোগ, বছরের পর বছর সংবাদ প্রকাশ এরপরও বন্ধ হচ্ছে না হযরত শাহ্*জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি। সমপ্রতি বাংলাদেশে ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়া-আসার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ফ্রান্স প্রবাসী তারেক আহমদ এবং আফসানা আক্তার মীম, ইতালি প্রবাসী আফজাল হোসেন, শেফালী বেগম, স্পেন প্রবাসী রুনা আক্তার, পর্তুগাল প্রবাসী আয়েশা আক্তার এবং সিদ্দিকুর রহমান বলেন বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো ভুক্তভোগীকেই ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, হাত তোলা হয় প্রবাসীদের গায়েও! যার বাস্তব চিত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ কয়েকবার ভাইরাল হয়েছে এমন দৃশ্য। কিন্তু এই কথা বলতে বাধা নেই যে প্রবাসীর ঘামের টাকা সচল রাখছে দেশের চাকা। শাহ্*জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত ও নাজেহালের শিকার হচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে কর্মরত বাংলাদেশিরা। ইমিগ্রেশন বিভাগে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এসব প্রবাসী কর্মজীবীর সঙ্গে খুব দুর্ব্যবহার করেন। তুই-তুকারি করে কথা বলা, পেটে কলমের গুঁতা দেয়া, ইয়ার্কির ছলে দুই হাতে গলা চেপে ধরে পাছায় লাথি মেরে হটিয়ে দেয়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

              এসব অপমানজনক ঘটনায় ক্ষুব্ধ অনেক প্রবাসী রাগে-দুঃখে হাঁউমাউ করে কেঁদে ওঠেন, অপমান-লজ্জায় বিমানবন্দরের মেঝেতে গড়াগড়ি পর্যন্ত দেন। অনেকে জীবনে আর কখনো দেশে না ফেরার শপথ পর্যন্ত করেন।

              কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না এ হয়রানি। নিরাপত্তা তল্লাশির নামে যাত্রীদের এ ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, যাত্রীদের লাগেজ সংগ্রহে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। প্রবাসীদের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিদেশিরা বিমানবন্দরে এসে রক্ষা পাচ্ছেন না এই হেনস্তার শিকার থেকে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, মূলত ইমিগ্রেশন পুলিশের হয়রানির শিকার হয়ে বহির্গামী যাত্রীদের নাভিশ্বাস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশে ফেরা বেশ ক’জন ইউরোপ প্রবাসী জানান, যাচাই-বাছাই করেই দূতাবাস তাঁদের ট্রাভেল পাস দিয়েছে। এটা নিয়ে ফেরার সময় বিদেশের বিমানবন্দরে কোনো অসুবিধা হয়নি। নিজ দেশের বিমানবন্দরে এসে যত ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। বিমানবন্দর অভ্যন্তরের অন্তত ১০টি ধাপে প্রবাসীদের কাছ থেকে চাহিদামাফিক টাকা হাতানো হয় বলে ভুক্তভোগী প্রবাসীরা জানিয়েছেন। গত ২০ বছরে হযরত শাহ্*জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ও বিমান ওঠানামার সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি যাত্রীসেবার মান। আগে লাগেজ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে প্রবাসীদের অপেক্ষা করতে হতো। এখনো সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলেনি প্রবাসীদের। দ্রুত যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের বিমানবন্দর ত্যাগের অনুমতি দেয়ার দাবি করেছেন তারা। নিজের দেশে ফিরে শুনি, আমি নাকি রোহিঙ্গা। ছয়বছর আগে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গেছি। আমরা প্রবাসীরা বিদেশেও দাম পাই না, দেশেও দাম পাই না। প্রবাসীদের খুব বেশি চাওয়া নেই, হাজারো প্রবাসী স্বপ্ন দেখে কিছু অর্থ উপার্জন করে দেশে ফিরে যাবে। ফিরে যাবে প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে, সন্তানের কাছে, বাবা-মায়ের কাছে। প্রবাসে পাখির ডাকে ভোরে ঘুম ভাঙে না, ভাঙে ঘড়ির অ্যালার্মে।

              সূত্রঃ মানবজমিন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/18/31563/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আল্লাহ আপনাদের কাজকে কবুল করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment

                Working...
                X