Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৩শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৯ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৩শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ১৯ই জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    মুসলিম ছাত্রীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি



    ভারতের কেরালা রাজ্যে মোদী সরকারের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তর্ক করায় এক ছাত্রীকে পাকিস্তানে চলে যেতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছেন তার স্কুল শিক্ষক। কেরালার ত্রিশূর শহরের একটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

    ওই শিক্ষকের নাম কালেশান কে কে বলে জানা গেছে। তিনি ওই স্কুলে হিন্দির শিক্ষক। অষ্টম শ্রেণীর ক্লাস নেয়ার সময় তিনি অবজ্ঞার সুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কথা বলেন। এসময় একজন মুসলিম ছাত্রী এ বিষয়ে তর্ক করলে তাকে ভারত ছেড়ে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেন কালেশান।

    মুসলিম শিক্ষার্থীর অভিভাবক পরে এব্যাপারে অভিযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারপারসন সুনীল দত্ত বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি অভিযযোগের সত্যতা পাওয়ার পর কে কে কালেশানকে বরখাস্ত করা হয়।

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটি জানায় যে, কে কে কালেশানের ব্যাপারে তারা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি হিন্দির শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রীদের বায়োলজি পড়াতে বেশি আগ্রহী। ছাত্রীদের সামনে বায়োলজী পড়ানোর সময় না কি তিনি অনেক ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক বিজ্ঞান পড়ানোচ্ছলে প্রায়ই হিন্দুত্ববাদীতা নিয়ে আলোচনা করতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।

    সুনীল দত্ত জানান, এই শিক্ষক সিএএ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একবার না বারবার পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এমনকি তিনি প্যারেন্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভায় অভিভাবকদের সামনেও একই ধরনের আচরণ করেন। এই স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক।

    সূত্র: অমৃতবাজার


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/19/31569/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নাবালিকাকে ধর্ষণ করে জেলে, জামিনে বেরিয়ে মাকে ধর্ষণ করে হত্যা



    দুবছর আগে নাবালিকার শ্লীলতাহানীর দায়ে জেলে পাঠানো হয়েছিল ধর্ষকদের। কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে তার প্রতিশোধ নেয় তারা। এবার তাদের শিকার ওই নাবালিকার মা। লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। খবর এনডিটিভির।

    গত শুক্রবারের এই ঘটনায় কানপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর চল্লিশের হতভাগ্য ওই নারীর। এই ঘটনার ৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পেয়েছে ইতোমধ্যে।

    ভিডিওতে দেখা যায়, লাল কোর্তা পরা এক মধ্যবয়স্ক নারী পড়ে আছেন মাটিতে। আর পা দিয়ে তার মুখে সমানে লাথি মারছে একজন লোক। কানপুরে এক বাড়ির ছাদ থেকে তোলা হয় ওই ভিডিও।

    জানা গেছে, এর আগে ওই নারীর নাবালিকা মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছিল ছয় দুষ্কৃতী। পুলিশে অভিযোগ জানালে গ্রেফতার করা হয় তাদের। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্তরা হানা দেয় নিগৃহীত কিশোরীর বাড়িতে। মেয়ে ও তার মাকে বেধড়ক মারধর করে তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪০ বছরের ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মৃত্যু হয় তার।

    পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দলবল নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় জামিনে মুক্তিপ্রাপ্তরা। কিশোরীর পরিবারকে শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে তারা। কিন্তু মেয়েটির মা তাতে রাজি না হলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। মারধর করা হয় ওই পরিবারের অন্য এক নারীকেও। ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরীর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মারা যান তিনি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/19/31574/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে বিক্ষোভকারীদের খাবার-কম্বল কেড়ে নিয়ে গেল সন্ত্রাসী পুলিশ!



      ভারতের উত্তর প্রদেশের লখনউতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের খাবার ও কম্বল কেড়ে নিয়ে গেছে পুলিশ। এমনকি রাতে খোলা আকাশের নিচে বসে থাকার জন্য যে প্লাস্টিক শিট আনা হয়েছিল, সে সবও পুলিশ নিয়ে চলে গেছে বলে অভিযোগ। গত শনিবার লখনউ শহরের এই ঘটনায় রীতিমতো হতভম্ব শীতার্ত প্রতিবাদীরা।

      গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে লখনউয়ে ওল্ড কোয়ার্টারের কাছে ঘণ্টাঘর এলাকায় এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। তাতে যোগী সরকারের দমননীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা।

      সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতায় পাঁচ শতাধিক মহিলা গত একমাস ধরে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের অনুপ্রেরণাতেই শুক্রবার থেকে ঘণ্টাঘরের কাছে জমা হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মহিলারা। ছিল কচিকাঁচারাও। প্রচণ্ড ঠান্ডা থেকে বাঁচতে লেপ কম্বল নিয়ে বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধ্যা পেরোতেই সেখানে হাজির হয় পুলিশের একটি দল। লেপ-কম্বল কেড়ে নিতে শুরু করে তারা। খাবার এবং থালা-বাসনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

      পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে ‘কম্বল চোর’ বলে দাগিয়েছেন কেউ কেউ। আবার কটাক্ষও করেছেন কেউ কেউ। প্রশ্ন উঠেছে, ‘‘প্রভুরা ওই কম্বল মুড়ি দিয়ে ঠিকঠাক ঘুমিয়েছেন তো?’’ কোন আইনে বিক্ষোভকারীদের কম্বল কেড়ে নেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

      গত শুক্রবার প্রায় ৫০ জন নারী লখনউ শহরের ঘণ্টাঘরের সিঁড়ির কাছে আন্দোলন শুরু করেন। তারা জানিয়েছিলেন, তাদের প্রতিবাদ অনির্দিষ্ট কালের জন্য চলবে। নাগরিকত্ব আইন বাতিল করার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা উঠবেন না বলে দাবি করেন। শনিবার ওই প্রতিবাদে আরো নারী ও শিশু যোগ দেন। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যায়, প্রতিবাদীদের কাছে এসে কম্বল কেড়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে পুলিশ। নিয়ে নিচ্ছে খাবারও।

      ভাইরাল হওয়া ভিডিওয়ের মধ্যে দেখা গেছে, আন্দোলনকারী নারীর পুলিশকে প্রশ্ন করছেন, কেন তাদের কম্বল তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ? প্রতিবাদী নারী ও শিশুদের জন্য খাবার ও কম্বল নিয়ে আসা এক শিখ ব্যক্তি বলেন, আমরা সাধারণ মানবিকতা থেকে এখানে এসেছি। কিন্তু কিছু পুলিশ এই আন্দোলন থামাবোর জন্য ঘৃণ্য উপায় নিয়েছেন।

      নাগরকত্ব আইনের বিরোধিতায় বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন পাঁচশোরও বেশি নারী। তাদের অনুপ্রেরণাতেই কলকাতার পার্কসার্কাস ময়দানে জড়ো হয়েছেন প্রতিবাদী নারীরা। তেমনই অনুপ্রাণিত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ, লখনউয়ে জড়ো হন নারীরা। তীব্র ঠাণ্ড থেকে বাঁচতে কম্বল নিয়ে আসেন তারা। খাওয়া-দাওয়ার জন্য থালা-বাসনও। পুলিশ সে সবই কেড়ে নিয়ে চলে গেছে বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে, কোন আইনে বিক্ষোভকারীদের কম্বল কেড়ে নেওয়া হল?

      No words. 🤣🤣🤣#कम्बल_चोर_यूपी_पुलिस pic.twitter.com/yaHjvn32e2

      — V (@Varishaaaa) January 18, 2020


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/19/31585/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বুয়েট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ‘এমন কোনো কাজ নেই, যা তারা করত না’



        এমন কোনো কাজ নেই যা করত না সকাল, রাফিদ, অমিতসহ বুয়েট ছাত্রলীগের অন*্য নেতাকর্মীরা। আবরারকে পিটিয়ে মারার পর একের পর এক তাদের কুকীর্তির তথ*্য বেরিয়ে আসে। র*্যাগিংয়ের নামে জুনিয়রদের নির্যাতন, সহপাঠীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার, মেসের বাজারের টাকা আত্মসাৎ এবং ছাত্রদের মেরে হল থেকে বের করে দিতো তারা। এমনকি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মূল্যবান জিনিসপত্রও কেড়ে নিতো সকাল, রাফিদ, অমিতরা।

        আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আব্দুল মুবিন ইবনে হাফিজ প্রত্যয় পুলিশের কাছে এসব কথা বলেছেন। তার জবানবন্দিতে বুয়েট ছাত্রলীগের সদস্যদের নানা অপকর্মের কথা উঠে এসেছে।

        প্রত্যয় ২০১১ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী, যে কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।

        প্রত্যয় পুলিশকে বলেন, পড়ার জন্য সোহরাওয়ার্দী হলের ৪০০১ নম্বর রুমে বন্ধু কমল দেবনাথের কাছে যেতাম। প্রতিদিনই সকাল ৯টা মধ্যে রুম ছাড়তাম। এরপর শুধু দু’বেলা খাবারের জন্য রুমে যেতাম। পড়া শেষে রুমে ফিরতে রাত ৩-৪টা বেজে যেত। আবরার মারা যাওয়ার আগে ২০১১ নম্বর রুমে একজন ছাত্রকে র*্যাগ দেয়া হয়। ওই সময়ে আমি রুমে ছিলাম না। পরে রুমে ফিরেও ধারণা করতে পারিনি, এরকম কিছু ঘটেছে। কেননা, এর আগে আমার উপস্থিতিতে রুমে এরকম কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি।

        তিনি বলেন, র*্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে এটুকু জেনেছিলাম, অমিত সাহা ১৭তম ব্যাচের সাখাওয়াত অভির হাত ভেঙে দিয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলে যাওয়ার পর এবং রাতে রুমে ফেরার কারণে আমার সাথে ২০১১ নম্বর কক্ষে বাকি যারা থাকত তাদের কার্যকলাপ খুব একটা লক্ষ করা হয়নি বা ওদের সাথে তেমন একটা কথাও হতো না। এর মাঝে ৫ বা ৬ তারিখ শেরেবাংলা হলের এক ব্যাচমেটের কাছ থেকে জানতে পারি, ৪ তারিখ রাতে হলের ১৬তম ব্যাচের একজন ছাত্রকে মেরে হল থেকে বের করে দিয়েছে এবং ওর প্রায় দেড় লাখ টাকার কম্পিউটার কেড়ে নিয়েছে। আবরার মারা যাওয়ার পর জানতে পারি, ওই ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের সকাল (উপ-সমাজসেবা সম্পাদক), রাফিদ (উপ-দপ্তর সম্পাদক), অমিত (আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক) প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

        বুয়েটের ওই শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনার (আবরার হত*্যা) দিন সকালে অন্যান্য দিনের মতো কমলের রুমে যাই। এর মাঝে দুপুরে একবার খেতে আসি। বিকেল ৫টায় ফিরে একটু রেস্ট নিয়ে ৬টার দিকে জিগাতলায় টিউশনিতে যাই। রাত ৯টার দিকে হলে ফিরে ডাইনিংয়ে খেয়ে কমলের রুমে চলে যাই। রাত ৩টার দিকে পড়া শেষ করি। ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বন্ধু তাজওয়াত ফোন দিয়ে জানায়, হলে একটা ঘটনা ঘটেছে এবং আমাকে দ্রুত ওর রুমে যেতে বলে। আমার নিজের রুমে যেন না যাই। ফিরে এসে দেখি, ১৭তম ব্যাচের কিছু ছেলে কান্নাকাটি করছে। সিঁড়ির মুখে স্ট্রেচারে একটি ছেলে। দেখেই বুঝেছিলাম, ছেলেটি মৃত। এ সময় স্ট্রেচারের কাছে ছিল পাঞ্জাবি ও টুপিপরা লোক, মেহেদী হাসান রাসেল এবং অনিক সরকার। আর কাউকে ওভাবে চোখে পড়েনি। এরপর ২০০৭ এ গিয়ে জানতে পারি, ছেলেটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০১১ নম্বর রুমে। প্রথমে ঘটনার গভীরতা বুঝে উঠতে পারিনি। তাজোয়ারকে নিয়ে আমার রুমে যাই। এসময় রুমে ক্রিকেট স্ট্যাম্প আর কিছু সিগারেটের ফিল্টার দেখি। আবরার যে বমি করেছিল তারও কোনো ছাপ আমরা দেখিনি। এরপর আবার সোহরাওয়ার্দী হলে চলে আসি।

        তিনি বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আমরা ১০-১২ জন ক্যাম্পাসে জড়ো হই। সকাল ৭টার দিকে দেখি শেরেবাংলা হলের ১৭তম ব্যাচের ছাত্ররা ফেসবুকে আবরারের মৃত্যুর ঘটনা জানিয়ে সবখানে পোস্ট করছে। এটা দেখার পর শেরেবাংলা হলে যাই, ওদের সাথে দাঁড়ানোর জন্য। এর মাঝে হলে কিছু পুলিশ, কিছু সাংবাদিক চলে এসেছিল। আমরা সবাই হল অফিসে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাই এবং সেটার ব্যাকআপ রাখার জন্য হল অফিসে জানাই। সবাই ভাবছিল, অপরাধীরা ফুটেজ নষ্ট করবে। এর মাঝে আশপাশের হল থেকে এবং যারা হলে থাকে না, এরকম অনেকেই হলে চলে আসে। এ সময় হলের নিচে সকাল, ফুয়াদ, মুন্নাকে ঘোরাফেরা করতে দেখি এবং ক্যান্টিনে চা-সিগারেট খেতে দেখি। অনিকও হলে ছিল। ওর রুমের আশপাশে ওকে দেখা যায়। জিয়ন অনেককে ফোন করে জানতে চাচ্ছিল, তাকে ফুটেজে দেখা গেছে কি না। আমরা জানতে পারি আবরারকে অনিক ও সকাল সবচেয়ে বেশি মেরেছে। আর রবিন আবরারকে হাসপাতালে নিতে বাধা দিয়েছে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে শেরেবাংলা হলে শিক্ষার্থী বাড়তে থাকে। সবাই কমবেশি হল অফিসের সামনে ছিল। মূলত ১৭তম ব্যাচ সিসিটিভি ফুটেজ নেয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল।’

        সূত্র: রাইজিংবিডি ডট কম


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/19/31576/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কলেজছাত্রের হাত ভেঙে ফেললো সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা



          শরীয়তপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র দাউদ ইব্রাহীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এক নেতা । হাতুড়ির আঘাতে তার বাঁ হাত ভেঙে গেছে। কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ কমিটির এক নেতার নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।

          আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। দাউদ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

          কলেজ সূত্র জানায়, আজ সকালে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ চত্বরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বেলা একটার দিকে একাদশ শ্রেণির ছাত্র দাউদ ইব্রাহীমকে শহরের দুবাই প্লাজার কাছে একা পেয়ে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এক নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে অংশ নেয় ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির আরও কয়েক ছাত্র। তারা দাউদকে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। এতে তার বাঁ হাত ভেঙে যায়। ডান হাতের কনুইতে আঘাত লাগে। খবর পেয়ে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

          শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মফিজুর রহমান বলেন, দাউদের বাঁ হাতের কনুইয়ের নিচে ভেঙে গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে সেখানে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর কারণে আঘাতটা মারাত্মক।

          দাউদ ইব্রাহীমের বাবা শহীদুল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো মারামারি ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। তারপরও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। তার হাত ভেঙে দিয়েছে। আমরা সন্ত্রাসের কাছে অসহায়, এখন আর কী করব? পড়ে পড়ে মার খাওয়া ছাড়া আমাদের কী করার আছে।’

          ঘটনার পর থেকে অভিযোগ ওঠা সন্ত্রাসীদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

          সূত্রঃ প্রথম আলো

          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/19/31586/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সন্ত্রাসী পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, পরিবারের দাবি ‘পিটিয়ে হত্যা’



            রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পুলিশের হেফাজতে আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু (৪৫) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন।

            নিহতের স্বজনদের থেকে জানা যায় যায়, নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক গতকাল সারা দিন তিনি অফিসেই ছিলেন। সন্ধ্যার পরে তিনি খিলগাঁওয়ে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও বাসায় যাননি। গতকাল রাতেই তাকে এক নারীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিল সন্ত্রাসী পুলিশ। পরে আজ রোববার সকালে পুলিশের মাধ্যেমেই তার মৃত্যুর সংবাদ পায় পরিবারের সদস্যরা।

            জি এম সাইফ নামে নিহতের এক স্বজন দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘আবু বক্কর সিদ্দিককে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে বলছে না পুলিশ। আর থানার ভেতরে পুলিশ পাহারায় কীভাবে একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে! ওর (নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক) শরীরে-মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই এটি আত্মহত্যা হতেই পারে না। আবু বক্কর সিদ্দিককে পিটিয়েই হত্যা করা হয়েছে।’

            এ বিষয়ে একজন বলেন হাজতখানায় সব সময় একজন পুলিশ কনস্টেবল হলেও পাহারায় থাকেন। তাহলে কীভাবে আবু বক্কর সিদ্দিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হোক।

            তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘সাতরাস্তা এলাকার একটি বাসা থেকে এক নারী ও তার স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করে থানায় ফোন করেছিল। এরপর থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু বক্কর সিদ্দিককে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই নারী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।’
            হাজতে আসামির মৃত্যুর ঘটনায় তিনি বলেন, ‘এটি একটি আত্মহত্যা।’


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/19/31592/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              দেশের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি



              রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে, রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে এবং সকালের দিকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

              আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে।

              আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

              আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চাঁদপুরে ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

              ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

              আগামী ৭২ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

              আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

              আগামীকাল ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৩৬ মিনিটে এবং সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে।

              সূত্রঃ কালের কন্ঠ


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/19/31591/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X