Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৭শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৩শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৭শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৩শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    উইঘুর মুসলিমদের কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাসী চীন সরকার!



    চীনে উইঘুর মুসলিমদের বছরের পর বছর টিকে থাকা ঐতিহাসিক কবরস্থানগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এমনই ছবি ধরা পরেছে স্যাটেলাইট ইমেজে। পশ্চিম তুর্কিস্থানের জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের মধ্যেই ভূ-উপগ্রহের তোলা এমন সব ছবি সামনে এল।

    জানা যায়, সিএনএন স্যাটেলাইটে তোলা কয়েকশ’ ছবি বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনটির বরাত দিয়ে তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক এ খবর জানায়।

    স্যাটেলাইট চিত্রের বিশ্লেষক আর্থরিজ অ্যালায়েন্স ২০১৪ সাল থেকে ধ্বংস হওয়া ৪৫টি কবরস্থান আবিষ্কার করেছিলেন। সিএনএনের প্রতিবেদনে আগে ও পরে মিলিয়ে কয়েকটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়া কবরস্থানের চিত্র প্রদর্শন করা হয়। তুর্কি মুসলিমদের ওপর ধর্মীয়, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের বিষয়ে দমনমূলক নীতির বিষয়ে চীনকে অভিযুক্ত করা হয়।

    যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ লাখ মানুষ চীনের কারিগরি প্রশিক্ষণের নামে বন্দিশিবিরে আটক রয়েছে। তবে এসব তথ্যের পুরোটাই অস্বীকার করছে চীন সরকার।

    চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে এক কোটি উইঘুর মুসলমানের বসবাস। ওই অঞ্চলের মুসলিম জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ তুর্কি বংশোদ্ভূত। দীর্ঘদিন থেকে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মুসলিমদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক বৈষম্য করা হচ্ছে।

    সূত্র: সিএনএন, ইয়েনি শাফাক


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31807/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সন্ত্রাসী যোগীর হুঁমকি”আজাদি” স্লোগান দিলেই “দেশদ্রোহী”



    “আজাদি” স্লোগানে আপত্তি উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসী যোগী আদিত্যনাথের। তাঁর রাজ্যে লাগাতার সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলছে আর তা দমাতে উঠে-পড়ে লেগেছে যোগী। সম্প্রতি লখনউয়ের বিখ্যাত ক্লক টাওয়ারের নিচে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতায় লক্ষ লক্ষ মানুষ অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। পাশাপাশি এনআরসির (NRC) বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করা হচ্ছে ওই সমাবেশে। ওই জমায়েত থেকে বিক্ষোভকারীদের মুখে উঠে আসছে “আজাদি” স্লোগানও। আর এতেই প্রবল আপত্তি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রীর। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে যোগী বলেছে যাঁরা এই ধরণের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে “আজাদি” স্লোগান দেবেন তাঁদের “দেশদ্রোহী” বলে গণ্য করা হবে। ওই বিক্ষোভকারীদের কড়া হাতে দমন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দি্রেয়ছে (Yogi Adityanath)। কানপুরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের হয়ে প্রচার সমাবেশে যোগ দিয়ে যোগী আদিত্যনাথের বার্তা: “প্রতিবাদের নামে কেউ যদি আজাদি স্লোগান দেন তবে সেই বিষয়টিকে দেশদ্রোহিতার মতো অপরাধ বলে গণ্য করা হবে এবং সরকার এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এই ধরণের ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

    উত্তরপ্রদেশে এর আগেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ হয়েছে। আর প্রতিবারই দেখা গেছে যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে। এবারেও লখনউয়ে ক্লক টাওয়ারের নিচে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় অবস্থানরত লক্ষ লক্ষ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে “সাম্প্রদায়িক হিংসা” ও “বেআইনি সমাবেশ”-করার মতো অভিযোগ আনা হল।

    ইতিমধ্যেই পুলিশ তিনটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে, যে মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন খ্যাতনামা উর্দু কবি মুনাওয়ার রানার দুই মেয়ে সুমাইয়া রানা এবং ফৌজিয়া রানার নামও রয়েছে।

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    সন্ত্রাসী অমিতকে সম্প্রতি লখনউয়ের সভামঞ্চ থেকে রীতিমতো হুঙ্কার ছেড়ে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, যাই-ই হয়ে যাক না কেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশে প্রয়োগ করা হবেই।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে, “এই কথা সকলকে জানিয়ে রাখি, এই আইনটি কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না, যে যতই প্রতিবাদ করুন না কেন…

    সূত্র: এনডিটিভি


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31832/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মাইকে আজানের অনুমতি দিল না ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট



      ভারতের উত্তর প্রদেশে দুটি মসজিদে আজানের সময় মাইক ব্যবহার করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী এলাহাবাদ আদালত। বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল এবং ভিপিন চন্দ্র দীক্ষিতের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, *‘কোনো ধর্মই এটা শেখায় না যে প্রার্থনা করার সময়ে মাইক ব্যবহার করতে হবে বা বাজনা বাজাতে হবে। আর যদি সেরকম কোন ধর্মীয় আচার থেকেই থাকে, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যাতে অন্যদের তাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয়।’

      গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, জৌনপুর জেলার বাদ্দোপুর গ্রামে অবস্থিত দুটি মসজিদে আজানের সময়ে মাইক ব্যবহারের অনুমতি নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন মাইক ব্যবহারের অনুমতিকে নবায়ন করতে চায়নি। তার এর বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।

      কিন্তু শব্দ দূষণরোধ আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নানা রায় তুলে ধরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির নিজের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে ঠিকই কিন্তু সেই ধর্মাচরনের ফলে অন্য কারও অসুবিধা করার অধিকার কারও নেই।’

      ‘এই আদালত মনে করে অখন্ড রামায়ন, কীর্তন প্রভৃতির সময়ে মাইক ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন শব্দ দূষণ হয়, তেমনই বহু মানুষের অসুবিধাও হয়।’

      এলাহাবাদ হাইকোর্টেরই ২০ বছর আগেকার একটি রায়কে উদ্ধৃত করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। পুরোনো সেই রায়ে বলা হয়েছিল, ‘অখন্ড রামায়ন, আজান, কীর্তন, কাওয়ালি বা অন্য যে কোনো অনুষ্ঠান, বিয়ে প্রভৃতির সময়ে মাইক ব্যবহার করার ফলে বহু মানুষের অসুবিধা হয়। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে যাতে মাইক ব্যবহার না করা হয়।’

      আদালতের সর্বশেষ এই রায়টি দেওয়া হয়েছে দুটি মসজিদের মাইক ব্যবহারের অনুমতি নবায়নের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু অন্যান্য কোন মসজিদে আজান বা মন্দিরে রামায়ন পাঠ বা কীর্তন অথবা মঞ্চে কাওয়ালি অনুষ্ঠানে মাইক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না, এটা বলা হয়নি।

      চলতি শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক সমাবেশ বা যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্যই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় এবং মাইকের শব্দমাত্রাও বেঁধে দেওয়া থাকে।

      কোর্ট এটাও বলেছে, ‘যে অঞ্চলে ওই মসজিদ দুটি অবস্থিত, সেটি একটি মিশ্র এলাকা। তাই শুধু শব্দ দূষণ আটকানোর জন্য নয়, ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার কথাও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মাথায় রেখেছিলেন।’

      মাইক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে দাখিল করা পিটিশন খারিজ করে দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চায় না বলেও জানিয়েছেন আদালত।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31787/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘মুসলিম নিধন-যজ্ঞ চালিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মালাউন পুলিশ’



        ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদের কারণে গরিব মুসলিমদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে- ভারতের একদল শিক্ষার্থীর করা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।

        ভারতের ৩০টি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের ১৫টি শহর ও জনপদ ঘুরে এই যৌথ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। খবর বিবিসির।

        নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন।

        গত বুধবার দিল্লিতে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘পুলিশের গুলিচালনার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা করা হয়েছে প্রান্তিক মুসলিম জনগোষ্ঠীকে এবং অনেক ক্ষেত্রে নাবালকদেরও। এখনও সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে, মানুষ ভয়ে আছেন।’

        নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতে যে তীব্র প্রতিবাদ চলছে, তা সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী চেহারা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গত ১৯ ডিসেম্বর বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধ’ নেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছিল।

        তার পরদিন থেকেই তার রাজ্যের পুলিশ বেছে বেছে মুসলিমদের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন।

        মীরাট-মুজফফরপুর-আলিগড়ে যে দলটি গিয়েছিল, তাতে ছিলেন দিল্লি ইউনিভার্সিটির ছাত্রী থৃতি দাস। থৃতি বলেন, ‘আমরা চারটে দলে ভাগ হয়ে মোট পনেরোটা জায়গায় ঘুরেছি, আর সবাই এই হামলাগুলোর মধ্যে একটা কমন প্যাটার্ন লক্ষ্য করেছি। প্রায় প্রতিটা হামলাই হয়েছে ২০শে ডিসেম্বর, অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কারের ঠিক পরদিন – আর সবগুলো হয়েছে বেলা তিনটা থেকে চারটার মধ্যে।’

        তিনি জানান, ‘সেসময় মানুষ সদ্য দুপুরের নামাজ সেরে মসজিদ থেকে বেরিয়েছেন। তারা কেউ কেউ হয়তো সংগঠিত কোনো পদযাত্রায় সামিল হচ্ছিলেন, অথবা শান্তিপূর্ণ মিছিল করে এগোচ্ছিলেন। তখনই পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে চুপচাপ বসতে বলে। এরপরই শুরু হয়ে যায় বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ।’

        থৃতি জানান, ‘যদিও পুলিশ দাবি করেছে তারা ফায়ারিং করেনি, আমাদের হাতে আসা ভিডিওতে তাদের গুলি চালাতেও দেখা গেছে। আমি তো বলব উত্তরপ্রদেশের পুলিশ নির্দিষ্টভাবে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিশানা করে গুলি চালিয়েছে! যেখানে ভিক্টিমরা সবাই গরিব মহল্লার বাসিন্দা, বস্তিবাসী এবং দিন-এনে-দিন-খাওয়া মানুষজন!’

        বিজনৌর-কানপুরে গিয়েছিলেন আর একটি দলের সদস্য আকাশ মিশ্রা, যিনি দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশনের ছাত্র। আকাশ বলেন, ‘পুলিশ যেখানেই গুলি চালিয়েছে কোথাও কোমরের নিচে চালায়নি- সব জায়গায় নিশানা করেছে সোজা পেটে, মাথায় বা বুকে। সব জায়গাতেই তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল স্থানীয় বিজেপি বা আরএসএস পরিবারের সন্ত্রাসীরা।’

        তিনি জানান, ‘আর তারা এমনভাবে মুসলিমদের ভয় দেখিয়েছে যে গুলিতে আহতরাও কেউ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে চাইছেন না- যদি আবার তাদের লাখ-দু’লাখ টাকার জরিমানার নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয়!’

        বহুক্ষেত্রে নিহতের পরিবারকে আজও পুলিশ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়নি। অনেক জায়গাতেই মরদেহ পুলিশের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে দাফন করে দিতে হয়েছে। আর নির্যাতন এখনও অব্যাহত রয়েছে। মুসলিম মহল্লায় পুলিশ যখন তখন হানা দিচ্ছে।

        অনুসন্ধানী দলের সদস্য, দিল্লির ছাত্রী অনন্যা ভরদ্বাজ বলেন, ‘মানুষ এতটাই ভয় পেয়েছে যে আহতদের পরিবার আমাদেরও দরজা খুলে দিতে চাইছিল না। অনেকেই তারা ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। পুলিশ এখনও মুসলিমদের বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ছাদ টপকে, দরজায় বাড়ি মেরে- এমন কী মধ্যরাতের পরেও। মানুষকে তারা ঘুমোতে পর্যন্ত দিচ্ছে না।’

        প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারতের সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট পামেলা ফিলিপোস। তিনি বলেন, ‘দেশের মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো যখন এবিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব, তখন এই ছাত্রছাত্রীরাই জাতির বিবেকের কাজটি করল। তারা দেখিয়ে দিল, উত্তরপ্রদেশ কীভাবে ভারতের কিলিং ফিল্ডস বা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে- যেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা করা হচ্ছে দরিদ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীকে, যাদের প্রতিবাদ করার কোনো শক্তিই নেই!’


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31802/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          দেওবন্দ মাদরাসায় নজরদারি বাড়াতে লাগানো হচ্ছে সরকারী সিসি ক্যামেরা



          এবার সরকারী সিসিটিভি ক্যামরার নজরদারির আওতায় আসছে ভারদের উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দ।

          দেওবন্দের ইসলামিক মিডিয়ার বরাতে জানা যায়, দেওবন্দ হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসাসহ আশপাশের এলাকায় নজরদারি বাড়াতে সিসি ক্যামরা স্থাপন করছে। মাদরাসার চারদিকে ও আশপাশের রাস্তাগুলোতে এ ক্যামরা লাগানো হয়েছে বলে জানা যায়।

          সূত্রমতে জানা যায়, জেলা পুলিশ কর্মকর্তা অলোক পান্ডে, এসএসপি দীনেশ কুমার ও পুলিশ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তারা সিসিটিভি স্থাপনের জায়গা নির্ধারণ করে দেন। অফিসাররা দারুল উলুম দেওবন্দের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামরা স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

          উল্লেখ্য, বিজেপি সরকার দারুল উলুম দেওবন্দ কে সিএএ এনআরসি বিষয়ে ছাত্রদের আন্দেলনে না যাওয়ার আদেশ করতে কয়েকবার মাদরাসার শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ধারণা করা হচ্ছে মাদরাসার উপর নজরদারি বাড়াতেই এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তারা।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31822/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মুসলিম বিরোধী কথিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের স্থগিতাদেশ দিল না হিন্দুত্ববাদী সুপ্রিম কোর্ট



            ভারতের বিতর্কিত কথিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দায়েরকৃত মামলার শুনানি হয়েছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সুপ্রিম কোর্টে। এই আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করেছে এই আদালত।

            গতকাল প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ ১৪৪টি মামলার শুনানি করে। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দায়ের করা পিটিশনগুলির ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ দিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রের বক্তব্য শোনার আগে এই আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আদালত।

            অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল পিটিশনের জবাব দেওয়ার জন্য ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিল। পিটিশনারদের পক্ষে শীর্ষ আইনজীবী কপিল সিবাল আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল, আপাতত সিএএ-র বাস্তবায়ন এবং এনপিআর নিয়ে গতিবিধি স্থগিত রাখা হোক। তবে সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত বলে, কেন্দ্রের জবাব না-শুনে নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না।

            তবে সিবালরা এই বিষয়কে সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর যে আর্জি জানিয়েছিল, তা মেনে নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত। জানানো হয়েছে, চার সপ্তাহে কেন্দ্রের জবাব পাওয়ার পর পঞ্চম সপ্তাহে এই মামলার শিডিউল তৈরির জন্য বৈঠকে বসবে তিন বিচারপতির বেঞ্চ।

            সিএএ ও এনপিআর -এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কি না, তা বিচারের জন্য ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এ ব্যাপারে কোনও হাইকোর্টও যাতে নতুন কোনও মামলা গ্রহণ না-করে, সেই নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

            সূত্রঃ কালের কন্ঠ


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31793/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ‘মুসলিম হলেই তাদের বাংলাদেশি বলে চালিয়ে দাও’



              দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালুরু শহরে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী পুলিশ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মিলে ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের বস্তি’ সন্দেহে প্রায় শ দুয়েক বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তবে প্রতিবাদকারীরা বলছেন, পুলিশ এই উচ্ছেদ অভিযানে যাদের বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে তারা সকলেই ভারতের নাগরিক এবং তাদের কাছে এদেশের বৈধ পরিচয়পত্রও আছে।

              তাদের আরো অভিযোগ, শহরের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি-ই সোশ্যাল মিডিয়াতে তথাকথিত অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে লাগাতার উসকানিমূলক পোস্ট করে চলেছেন। আর তার ভিত্তিতেই সন্ত্রাসী পুলিশ বাংলাভাষী মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে এই অভিযান শুরু করেছে।

              ব্যাঙ্গালুরুর বেলান্ডার শহরতলিসহ আরো কয়েকটি জায়গায় তথাকথিত অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু হয় শনিবার রাতে, দফায় দফায় তা চলতে থাকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ধরে।

              শহরের একটি এনজিওকর্মী কলিমুল্লা বিবিসি বাংলাকে বলেন, কুন্দনহাল্লি, মোনেকালাসহ মোট চারটি জায়গায় একসঙ্গে বুলডোজার নিয়ে পুলিশ হানা দেয়।

              কলিমুল্লা বলেন, বাংলাদেশীদের দু’ঘণ্টার মধ্যে ঘর খালি করে দিতে হবে। আমি ও আমাদের টিম তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে কোনো লাভ হয়নি। পুলিশ ঘরে ঢুকে খাবার পানির পাত্রও লাথি মেরে উল্টে দেয়, কেটে দেয় বিদ্যুৎ সংযোগ। সঙ্গে চলতে থাকে বাংলাদেশিদের নামে গালাগালি।

              স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেল সুবর্ণা নিউজেও দাবি করা হতে থাকে তাদের স্টিং অপারেশনেই ফাঁস হয়েছে যে ওই বস্তির বাসিন্দারা বাংলাদেশি। ওই চ্যানেলটি বলে, পুলিশকে ঘুষ দিয়েই তারা ভারতের কাগজপত্র বানিয়েছে, এটা প্রকাশ হওয়াতেই না কি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।

              এদিকে, ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও যদিও দাবি করেছেন নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতেই তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন, আইনজীবী ও সমাজকর্মী দর্শনা মিত্র কিন্তু বিবিসিকে অন্য ছবিই তুলে ধরলেন।

              দর্শনা মিত্র বলেন, আসলে ব্যাঙ্গালোরের অর্থনীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মারাথাল্লিসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর নতুন ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। অনেক অফিস গড়ে উঠেছে। ফলে ইনফর্মাল সেক্টরে গৃহকর্মী, আবাসন খাতের শ্রমিক, স্বুলবাসের চালক- এরকম অসংখ্য কাজের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা থেকে দলে দলে লোকজন সেখানে যাচ্ছেনও। এদের মধ্যে প্রচুর লোকই বাঙালি, আর মাইগ্রেশন প্যাটার্নটা স্টাডি করলেই দেখা যাবে এরা বেশিরভাগই গেছেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদের মতো মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে। এখন বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে কে পশ্চিমবঙ্গের বা কে বাংলাদেশি, কর্নাটকের পুলিশ বা একজন কান্নাডিগা আপাতদৃষ্টিতে সেই ফারাক যেহেতু করতে পারছে না, তাই তাদের অ্যাপ্রোচাটাই হলো, মুসলিম হলেই তাদের বাংলাদেশি বলে চালিয়ে দাও।

              এখানে কোনো বাছবিচারের ব্যাপারই নেই। এবারের ঘটনায় লোকজন তো তাদের পরিচয়পত্র বা আইডি প্রুফ দেখাতেও চেয়েছিল, কিন্তু ব্যাঙ্গালোর পুলিশ তা চেক করারও প্রয়োজন বোধ করেনি, বলেন দর্শনা মিত্র।

              এদিকে শনি ও রবিবারের এই বস্তি ভাঙচুরের পেছনে অনেকেই তুলে ধরছেন গত সপ্তাহে টুইটারে শাসক দল হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বিজেপি’র অত্যন্ত প্রভাবশালী বিধায়ক ও কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা অরবিন্দ লিম্বাভালির একগুচ্ছ পোস্টকে।

              লিম্বাভালির পোস্ট করা একটি ভিডিওতে শহরের একটি বস্তিকে দেখিয়ে দাবি করা হয়, ওটাই না কি ব্যাঙ্গালোরে ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের মূল কেন্দ্র’। পোস্টে বলা হয়, সেখানে তাদের আলাদা রাস্তা আছে। মাসে পাঁচ থেকে আট হাজার রুপিতে বস্তিতে ঘরভাড়া নিয়ে থাকছে তারা। আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ, জলের লাইন, নিজস্ব দোকানপাটও বানিয়ে নিয়েছে।

              ভিডিওটিতে আরো বলা হয়, রোজই সেখানে তারা নতুন লোকজনও নিয়ে আসছে, বাংলাদেশিদের রমরমা বেড়েই চলেছে।

              এই পোস্টের পর সাতদিনও যেতে না যেতেই ঠিক সেই বস্তিটিই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ব্যাঙ্গালোর সন্ত্রাসী পুলিশ।

              প্রতিবাদকারী জকি সোমান বিবিসিকে বলছিলেন, সন্ত্রাসী বিজেপির ওই বিধায়ক গত তিন বছর ধরেই এই একই জিনিস করে আসছে, অভিবাসী শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে তাদের তাড়ানোর জিগির তুলছে। ভারতের বৈধ নাগরিকদের এভাবে অপমান করার জন্য তার বিরুদ্ধে আমরা এখন মানহানির মামলাও করতে যাচ্ছি।

              ভারতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি তৈরির নামে মুসলিমরা যে হয়রানি ও ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন, ব্যাঙ্গালোরে তা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলেও এই সমাজকর্মীদের বক্তব্য।

              সূত্র: বিবিসি বাংলা


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31796/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                এবার রাতের অন্ধকারে মহিলাদের পেটাল যোগীর পুলিশ!



                বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন থামাতে যোগীর সন্ত্রাসী পুলিশের বিরুদ্ধে দমননীতি প্রয়োগের অভিযোগ আগেও উঠেছে। রাতের অন্ধকারে লেপ-কম্বল কেড়ে নেওয়ার পর এ বার মহিলা বিক্ষোভকারীদের লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে।

                মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সময়কার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। তাতে মহিলা বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে হঠানোর চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে সন্ত্রাসী পুলিশকে। এমনকি বিক্ষোভস্থল থেকে মারতে মারতে তাদের বার করে দিতেও দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে।

                দিল্লির শাহিনবাগের অনুপ্রেরণায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন উত্তরপ্রদেশের মহিলারাও। গত কয়েক দিন ধরে লখনউ, ঘণ্টাঘর-সহ বেশ কিছু এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকালে এটাওয়ার পচরাহায় প্রায় ১৫০ মহিলা জড়ো হন। সন্ধ্যা গড়াতে সংখ্যাটা বেড়ে প্রায় ৫০০ হয়। তাদের উপর নজর রাখতে এলাকায় বিশাল সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে এটাওয়া প্রশাসন।

                কিন্তু শুধু নজরদারি চালানোর বদলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ভিড়ের মধ্যে ঢুকে টেনে হিঁচড়ে প্রতিবাদীদের সরানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। বাধা দিতে গেলে প্রতিবাদীদের ধাক্কা মেরে ফেলেও দেয়া হয়। আর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সরু গলি দিয়ে প্রতিবাদীদের বার করে নিয়ে যাওয়ার সময় রীতিমতো তাদের তাড়া করছে পুলিশ। লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে তাদের।

                মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ওই ভিডিওটি রিটুইট করা হয়েছে। তাতে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এটাওয়া পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীরাই প্রথম তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে শুধুমাত্র মহিলা পুলিশই নামানো হয়েছিল বলেও দাবি করেছে তারা। যদিও এর সত্যতা প্রমাণ হয়নি। যে ভিডিওগুলো সামনে এসেছে, সবক’টিই রাতের অন্ধকারে তোলা। তাই মহিলাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের পেটাচ্ছে নাকি পুরুষবাহিনী তা বোঝা যায়নি।

                সূত্রঃ ইনকিলাব


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31799/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  তিন বছরে ১৬ হাজারের বেশি বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা কথা বলেছে ট্রাম্প!



                  গত তিন বছরে ১৬ হাজারের বেশি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর কথা বলেছে বিশ্ব সন্ত্রাসীদের গডফাদার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে মারাত্মক অবাস্তব কথাও রয়েছে।

                  ফ্যাক্ট চেকার ডাটাবেজ বিশ্লেষণ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

                  প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের মেয়াদের তিন বছর শেষ হয়েছে। এই সময়ের সব বিবৃতি ও বার্তা নিয়মিত বিশ্লেষণ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

                  ওয়াশিয়ংটন পোস্ট জানায়, ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক হাজার ৯৯৯ ও ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৬৮৯ মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেছেন। অর্থাৎ দুই বছরে মোট সাত হাজার ৬৮৮ মিথ্যা কথা বলেছে।

                  আর ২০১৯ সালেই বিগত দুই বছরের দ্বিগুন মিথ্যা বলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রাম্প মোট ১৫ হজার ৪১৩ বার মিথ্যা কথা বলেছে।

                  অপরদিকে ওয়াশিংটনভিত্তিক আরেক সংবাদ মাধ্যম দ্য হিলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ট্রাম্প তিন বছরে প্রকাশ্যে যেসব কথা বলেছে তার মধ্যে ১৬ হাজার ২৪১টি কথা মিথ্যাচার, অবাস্তবতা ও বিভ্রান্তিতে ভরপুর।

                  গত তিন বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলেছেন ট্রাম্প। কেবল ২০১৯ সালে তার মিথ্যার সংখ্যা ছিল আট হাজার ১৫৫টি। এর আগে দুই বছরে মোট মিথ্যা বলেছিল আট হাজার ৬৮৮ বার।

                  মূলত গত তিনটি বছর ছিল ট্রাম্পের জন্য ছিল মিথ্যা, ভুল বিবৃতি ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বছর। প্রতিদিনই একটার পর একটা টুইট করে মিথ্যার ঝড় তুলে যাচ্ছে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31825/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ আপনি মুসলামদের কে হেফাজত করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment


                    • #11
                      সীমান্তে ২৩দিনে নিহত ১৫, সামরিক আগ্রাসনে রূপ নিবে না তো?



                      বছরের পর বছর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত মুসলিমদেরকে হত্যা করে আসছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতের সীমান্তসন্ত্রাসী বিএসএফ। সীমান্ত হত্যার কথা উঠলে মনে হয়, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা চলছে, ভারতীয়রা সীমান্ত এলাকা দখল করার জন্য বাংলাদেশীদের হত্যা করছে! গত ২৩ দিনেই ভারতীয় মালাউনরা ১৫জন বাংলাদেশীকে সীমান্তে হত্যা করেছে। এ যুদ্ধ নয়তো কি?

                      সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বছরজুড়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৪ জন বাংলাদেশী। সেখানে ২০২০ এর প্রথম মাসেই ২০১৮ এর সারা বছরের সীমান্ত হত্যার সংখ্যার চেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। কেবল গত ২৩ দিনেই ১৫জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে সীমান্তসন্ত্রাসী ভারতীয় মালাউন বাহিনী। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ মুরতাদ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংসদে জানায় গত ১০ বছরে সীমান্তে ৩০০ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। বেসরকারি হিসাবে হয়তো এ সংখ্যা আরো বাড়বে। ২০১৯ সালে ভারতের সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী- বিএসএফ’র হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন বাংলাদেশি। যা ২০১৮ সালের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যার প্রায় তিনগুণ।

                      বাংলাদেশ-ভারত সরকার গত ১০ বছর যাবত পরস্পরকে নিজেদের সবচাইতে ভালো বন্ধু হিসাবে বর্ণনা করে আসছে। সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যাই কি তবে বন্ধুর উপহার? বাংলাদেশ থেকে গরিবদের মুখের অন্ন কেড়ে পূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ মাছ পাঠাচ্ছে দেশের সরকার, আর এরই প্রতিদান হিসেবে ভারত দিয়েছে লাশ, সীমান্তে চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাস।

                      সীমান্তে প্রতিনিয়ত এমন হত্যাকান্ঠের পরেও তীব্র কোন প্রতিবাদ করেনি ভারতপ্রেমী আওয়ামী মুরতাদ সরকার। অথচ, স্বাধীন কোনো দেশের সীমান্তে অন্য দেশের আগ্রাসনে কোনো নাগরিক নিহত হলে, দেশের প্রধান শিরোনাম হয় ঐ ঘটনা। আমরা দেখি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যখন এ ধরণের ঘটনা ঘটে, তখন বিরাট শোরগোল এমনকি গুলাগুলিও শুরু হয়ে যায়। অথচ, বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে মসজিদ নির্মাণে বাধা দেয় ভারতীয় মালাউন সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী, কিন্তু এদেশের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই!

                      ভারত আজ সীমান্তে আঘাত হানছে, কাল যে আপনার ঘরে আঘাত হানবে না — তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? আজ যেমন ভারতীয় মালাউন সীমান্তসন্ত্রাসীরা বাংলাদেশী মুসলিমদের হত্যা করলেও এদেশের সরকার এগিয়ে আসেনি, যেদিন আপনার ঘরে মালাউনরা আঘাত হানবে সেদিনও দালাল সরকার আপনার পাশে দাঁড়াবে না। বরং, আপনাকেই মালাউনদের মোকাবেলা করতে হবে। তাই, প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। নয়তো, মালাউনদের সীমান্তসন্ত্রাস যেদিন এদেশে সামরিক আগ্রাসনের রূপ নিবে, সেদিন হয়তো প্রস্তুতি নেওয়ার আর সুযোগ মিলবে না। আল্লাহ মুসলিম জাতিকে হেফাজত করুন, আমীন।

                      -----------------------------
                      লেখক: ত্বহা আলী আদনান, প্রতিবেদক, আল-ফিরদাউস নিউজ।

                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31845/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        ৪ ছাত্রকে রাতভর ‘গেস্টরুমে’ পিটিয়ে পুলিশে দিল সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ



                        ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘শিবির সন্দেহে’ আবরার মাহমুদের মতো চার শিক্ষার্থীকে রাতভর ‘গেস্টরুমে’ নিয়ে নির্যাতনের পরে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

                        গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জহুরুল হক হলের গেস্টরুমে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার বিকেল ৪টায় শাহবাগে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।

                        খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নিয়মিত গেস্টরুম চলছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুকিম চৌধুরীকে শিবির সন্দেহে গেস্টরুমে ডাকা হয়। সেখানে হল শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা তাদের অনুসারীদের দিয়ে মুকিমকে প্রথমে মানসিক চাপ দেন। এতে স্বীকার না করায় তাকে লাঠি, স্ট্যাম্প ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন তারা।

                        পরে মুকিমের ফোনের চ্যাটলিস্ট দেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানওয়ার হোসেনকে গেস্টরুমে আনা হয়। সেখানে তাকেও বেধড়ক মারধর করেন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতারা। এর কিছুক্ষণ পরে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দীন ও একই বর্ষের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আফসার উদ্দীনকে ধরে গেস্টরুমে আনা হয়। সেখানে রাত ২টা পর্যন্ত তাদের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকেন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতারা।

                        পরে তাদেরকে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর পুলিশ তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

                        নির্যাতনের বিষয়ে হল শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা বলেন, ‘আমরা তাদের মারধর করিনি। শুধুমাত্র জিজ্ঞাসা করেছি। তাদের কাছ থেকে শিবিরের দুটি বই উদ্ধার করেছি।’

                        তবে সেই বইয়ের ছবি ও নামের বিষয়ে জানতে চাইলে আমির হামজা কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

                        বিষয়টি জানতে জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট দেলোয়ার হোসেনকে ফোন দিলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।

                        এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ‘গতরাতে তাদের আমরা ধরে আনি। তারপর তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাতেই আবার থানায় আনা হয়। বর্তমানে তারা থানায় আছে।’

                        বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখছি। শুনেছি সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ তাদের মেরেছে। ছাত্রলীগ তাদের মারার কে? ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে ভিন্ন মতের শিক্ষার্থীদের শিবির সন্দেহে মারার, ছাত্রলীগকে এই অধিকার কে দিয়েছে?’

                        সূত্রঃ আমাদের সময়


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31784/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ: নেতা বদলায় নীতি বদলায় না



                          একই দিনের (২৩ জানুয়ারি) পত্রিকায় ছাত্রলীগের চারটি খবর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার শিক্ষার্থীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।

                          চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপের মধ্যে মারামারির জের ধরে অবরোধের ডাক দিয়েছে সংগঠনের একাংশ।

                          কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত হয়েছে ছাত্রলীগের নেতাসহ তিনজন। চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি।

                          এই চার ঘটনার স্থান-কাল-পাত্র ভিন্ন হলেও একটি অভিন্ন শব্দ আছে—‘মারামারি’। মারতে মারতে একজনকে মেরেই ফেলেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এভাবে প্রতিদিনই ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন কিছু অপকর্ম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, অপ্রকাশিত থেকে যায় আরো অনেক।

                          ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু তাঁরা নিজেরাও মারামারি করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শাস্তি দিতে হাতুড়ি দিয়ে পেটান, ডিশের তার দিয়ে নির্যাতন করেন। তাও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে! সে দিনে ছাত্রলীগ ভিন্ন ধরনের অনুশীলন করে । এই অনুশীলনের নাম মারামারি। যার সঙ্গেই মতের অমিল হবে, তাকে পিটিয়ে ঠান্ডা করা হবে। এই মারামারিতে যখন আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতার নাম আসে, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে ব্যাধিটি অনিরাময়ের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

                          প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের ‘দখলে’। তারা চাইলে বিরোধী ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে থাকতে পারে, না চাইলে পারে না। ডাকসুর ভিপি নুরুল হক এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ছাত্রলীগের হাতে তিনি বহুবার মার খেয়েছেন। তাঁর প্রথম ‘অপরাধ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে তাঁকে ভিপি নির্বাচিত করেছেন। দ্বিতীয় অপরাধ, তিনি একসময় ছাত্রলীগ করলেও তাদের অবাধ্য হয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন করে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করেছেন। ছাত্রলীগের রাজত্বে এই ‘অবাধ্য’ আচরণ কীভাবে সহ্য করবেন তাঁরা?

                          যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আইন থাকে, ছাত্র-শিক্ষক সবার জন্য একটি আচরণবিধি থাকে। কিন্তু ক্যাম্পাসে এখন সব আইন ও আচরণবিধি অকার্যকর। একমাত্র কার্যকর ছাত্রলীগের আইন। তারা যা বলবে, সেটাই সবাইকে মানতে হবে। তাদের কথার বাইরে গেলেই শাস্তি পেতে হবে। সে হোক নির্বাচিত ভিপি কিংবা তাদের সন্দেহভাজন শিবিরকর্মী।

                          ছাত্রলীগের জহুরুল হকের নেতা-কর্মীরা শিবির সন্দেহে যাঁদের পিটিয়েছেন, তাঁরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী। আমরা জানি, ডাকসু ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের তরফে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিবিরের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ওই চার শিক্ষার্থী সাংগঠনিক কোনো তৎপরতা চালিয়েছেন, এ রকম কোনো প্রমাণ ছাত্রলীগ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও দিতে পারেনি। তারপরও প্রক্টর বলেছেন, শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে থানায় দেওয়া হয়েছে। তিনি একজন শিক্ষক হয়ে কীভাবে অভিযোগের পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়া চার শিক্ষার্থীকে থানায় হস্তান্তর করলেন?

                          এ ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেছেন, ওই চার ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় দিয়েছে হল প্রশাসন। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের অতিথিকক্ষে ‘গেস্টরুম কর্মসূচি’ শেষে রাত দুইটা পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীদের পেটান ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। পরে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে তাঁদের রাজধানীর শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। গতকাল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

                          বুয়েটে আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের ২২ সন্ত্রাসী কারাগারে আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও জমা দেওয়া হয়েছে। আবরারের হত্যার ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। একইভাবে যাঁরা আবরার হত্যার জন্য দায়ী, তাঁদের পরিণতিও কম বেদনার নয়। মা-বাবা তাঁদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন মানুষ হবে, এই অভিপ্রায়ে। কিন্তু তাঁরা খুনি হলেন।

                          এর আগে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে চাঁদা দাবি করেছিলেন। ছাত্রলীগে নতুন নেতৃত্ব এসেছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ভারমুক্ত হয়েছেন।

                          কিন্তু নেতা বদলালেও যে ছাত্রলীগের চরিত্র বদলায়নি, তার প্রমাণ জহুরুল হক হলের ঘটনা।

                          চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নয়, ছাত্রলীগই ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মোট ১১টি গ্রুপ-উপগ্রুপ আছে। এর মধ্যে ৯টি গ্রুপ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। আর দুটি হলো শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী। একটির নাম ‘বিজয়’, অপরটি ‘চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার’ (সিএফসি)। গত পাঁচ বছরে অসংখ্যবার তারা সংঘর্ষ ও মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে। গতকাল ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সিএফসির এক কর্মীকে মারধর করেন বিজয়ের কর্মীরা। এর জের ধরে বিকেল পাঁচটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলে গিয়ে বিজয়ের দুই কর্মীকে মারধর ও এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেন সিএফসির নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হকের পদত্যাগের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয় ‘বিজয়’ পক্ষ। একই সঙ্গে ঝাড়ুমিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে তারা। কার বিরুদ্ধে এই ঝাড়ুমিছিল? ছাত্রলীগের দুই উপদলের এক উপদলের বিরুদ্ধে।

                          ‘এই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ লইয়া আমরা কী করিব?’


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31837/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            লালমনিরহাটে সন্ত্রাসী বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত



                            লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া এলাকায় বনচৌকি সীমান্তে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

                            বুধবার ভোরে সন্ত্রাসী বিএসএফের পাগলীমারী ক্যাম্পের সদস্যদের ছোড়া গুলিতে তারা নিহত হন।

                            নিহতরা হলেন-উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে সুরুজ (৩৫) ও একই গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে সুরুজ (১৮)।

                            বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয়রা জানায়, নিহতরা সকাল ৬টার দিকে গরু আনার জন্য সীমান্তের ৬০৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে যায়। এসময় বিএসএফের পাগলীমারী ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই শাজাহান আলীর ছেলে সুরুজ মারা যান। গুলিবিদ্ধ আরেকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী গ্রামে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

                            গোতামারী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাবু মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সীমান্তে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এতে দুই বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এদের একজন ঘটনাস্থলে, অন্যজন পাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে মারা যান।

                            সূত্রঃ সমকাল


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31781/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              পেয়ারায় থাকে প্রচুর ভিটামিন সি



                              আমাদের দেশে অতিপরিচিত ফল পেয়ারা। দেশের প্রায় সবখানে এ ফলটি পাওয়া যায়। পেয়ারা মূলত বর্ষাকালীন ফল। তবে বাজারে সব ঋতুতেই পাওয়া যায়। এটি একটি উচ্চ পুষ্টিমানের ফল। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি ও সি। একটি কমলার চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন-সি থাকে একটি পেয়ারায়। ভিটামিন-সি এমন একটি প্রধান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেটি কোষকে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে।

                              শুধু তা-ই নয়, ভিটামিন-সি শরীরের ত্বকে বয়ে আনে পুষ্টি। পেয়ারার ভেতরের চেয়ে বাইরের খোসায় থাকে বেশি পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা স্কার্ভি নামক চর্মরোগসহ নানা ধরনের ত্বকের অসুখের বিরুদ্ধে কাজ করে। সর্দি, হাঁচি, কাশি দূর করতেও জুড়ি মেলা ভার পেয়ারার।

                              এ ছাড়া আমাদের ত্বককে ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে পেয়ারার বাইরের সবুজ ত্বক। এতে আছে ক্যারোটিনয়েড নামক পুষ্টি উপাদান, যেটি ভাইরাসজনিত ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করে। ডায়রিয়ার জীবাণুকে করে দুর্বল। পেয়ারার ভিটামিন দৃষ্টিকে করে শক্তিশালী। বিদ্যমান খনিজ উপাদান পটাসিয়াম ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের কোষের দুর্বলতা দূরীকরণে উপকার দেয়।

                              আমাদের ত্বকে টানটান ভাব আনয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে পেয়ারা। এতে তারুণ্য বজায় থাকে দীর্ঘকাল। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব বেশি মিষ্টি পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কচি পেয়ারা খাওয়া ভালো। কারণ তা তাদের রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।

                              সূত্রঃ আমাদের সময়


                              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/23/31790/
                              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X