Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৯শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৯শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    আল-আকসা ও শারাফাত মসজিদে ইসরায়েলি সন্ত্রাসীদের হামলা, ব্যাপক ধরপাকড়



    জেরুসালেমের সবচেয়ে বিরোধপূর্ণ স্থান আল আকসা মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী পুলিশ।

    গতকাল শুক্রবার সকালের নামাজ শেষে মুসল্লিদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট মনিটর’।

    এ ছাড়াও পূর্ব জেরুসালেমের বেইত সাফাফা এলাকায় শারাফাত মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কট্টরপন্থী সন্ত্রাসী ইহুদিরা। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘হারেতজ’ এর বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ‘মিডল ইস্ট মনিটর’।

    আল–আকসা মসজিদে হামলা নিয়ে ‘মিডেল ইস্ট মনিটর’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য মতে, সকালের নামাজের পর শত শত ফিলিস্তিনি আল আকসা মসজিদ চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় ‘ডোপ অব হোপ’ নামে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করলে হামলা চালায় ইসরায়েলি পুলিশ।

    এ সময় ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে তারা। এতে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হন এবং ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে তারা।

    অন্যদিকে বেইত সাফাফা এলাকায় শারাফাত মসজিদে আগুনের ঘটনায় মসজিদটির অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হলেও এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/25/31947/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মিয়ানমার সন্ত্রাসী বাহিনীর ছোড়া গোলায় ২ রোহিঙ্গা নারী নিহত



    উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গা গ্রামে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া গোলায় দুই নারী নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। নিহতদের একজন গর্ভবতী ছিলেন। স্থানীয় এমপি ও গ্রামের এক বাসিন্দার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

    গণহত্যা থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নির্দেশের দুদিন পরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

    উত্তর রাখাইনের বুথিডং শহরতলী থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য মোং কিউ জান বলেন, নিকটস্থ ব্যাটালিয়ন থেকে ছোড়া ওই গোলা কিন তুয়াং গ্রামে মাঝরাতে আঘাত হেনেছে।

    গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তবে ওই এমপি বলেন, যখন এই কামানোর গোলা ছোড়া হয়, তখন কোনো লড়াই ছিল না। বিনা উসকানিতেই ওই গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর চলতি বছরে এভাবে বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার ঘটনা এটা দ্বিতীয়। জানুয়ারির শুরুতে চার রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল।

    উত্তর রাখাইনে ২০১৭ সালে সামরিক বাহিনীর ধরপাকড়ে সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও নিপীড়ন করা হয়েছে।

    আর জাতিসংঘ বলছে, গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়েই মিয়ানমার বাহিনী সামরিক অভিযান চালায়।

    সম্প্রতি আরাকান আর্মি ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘাতে অঞ্চলটিতে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। ওই সংঘাতে কয়েক হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

    রাখাইনে বর্তমানে কয়েশ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে বলে খবরে জানা গেছে। তাদের ওপর এমনভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে রাখা হয়েছে যে এসব রোহিঙ্গা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/25/31953/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বাবরির মতো বারাণসীর জ্ঞানভাপি মসজিদও হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি!



      বাবরি মসজিদের পর এবার বারাণসীর ঐতিহাসিক জ্ঞানভাপি মসজিদ নিয়ে আদালতে আবেদন জমা পড়েছে। জ্ঞানভাপি মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা আনজুমান ইনতেজামিয়া মসজিদ কমিটি মঙ্গলবার স্থানীয় আদালতে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।

      এই আবেদনপত্রে জ্ঞানভাপি মসজিদের সম্পূর্ণ চত্বরে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ যে সার্ভে করতে চেয়েছিল, তাতে আপত্তি জানানো হয়েছে। বারাণসীর আদালত এই আবেদন গ্রহণ করেছে এবং ৩ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছে।

      এ সম্পর্কে আইনজীবী বিজয়শঙ্কর রাস্তোগি বলেছেন, ১৯৯১ সালে পণ্ডিত সোমনাথ ব্যাস এবং অন্যরা আদালতে প্রথমবারের মতো একটি পিটিশন দাখিল করে। আর এটি দাখিল করা হয় স্বয়ম্ভূ জ্যোর্তিলিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশরের পক্ষ থেকে। এতে দাবি করা হয় যে, জ্ঞানভাপি মসজিদে তাদের পুজো করার অনুমতি দিতে হবে। তাদের দাবি ছিল, মুসলিমরা মন্দির চত্বরেরই একটি অংশ দখল করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেছে।

      রাস্তোগি জানান, ১৯৯৮ সালে অতিরিক্ত জেলাজজ নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছিল, জ্ঞানভাপি চত্বর থেকে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে, যাতে ওই মসজিদ চত্বরের ধর্মীয় অবস্থান এবং চরিত্র নির্ণয় করা যায়। এলাহাবাদ হাইকোর্ট উপরোক্ত নির্দেশের উপর স্থাগিতাদেশ জারি করে। ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আইনজীবী রাস্তোগি আদালতে আর একটি আবেদনপত্র দাখিল করে অনুরোধ জানান, পুরাতত্ত্ব বিভাগ যেন সমগ্র জ্ঞানভাপি মসজিদ চত্বরের একটি সার্ভে করে।

      আইনজীবী রাস্তোগি দাবি করেন, তিনি দেবতা স্বয়ম্ভূ জ্যোর্তিলিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বরের পরম মিত্র। পরম মিত্র হিসেবে তিনি এই পিটিশন দাখিল করছেন। রাস্তোগির মতে, আদালত তার আবেদনপত্র গ্রহণ করে এবং ২১ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে। রাস্তোগি বলেন, মুসলিম আনজুমান কমিটি আপত্তি জানিয়ে পুরাতত্ত্ব বিভাগের সার্ভের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দাখিল করেছে। আনজুমান কমিটির যৌথ সেক্রেটারি ইয়াসিন বলেছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, তা এখনও কার্যকরী রয়েছে। তাই নিম্ন আদালত এ সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত দেওয়ার অধিকারী নয়।

      উল্লেখ্য, মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদটি তৈরি করেছিলেন। এর পাশেই রয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। উগ্র সন্ত্রাসী হিন্দুরা দাবি করে আসছে, বাবরি মসজিদের মতো বারাণসীর জ্ঞানভাপি মসজিদ ও মথুরায় অবস্থিত আর একটি মসজিদও মন্দির নির্মাণের জন্য তাদের হাতে তুলে দিতে হবে।

      সূত্র: পূবের কলম


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/25/31933/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দি ইকোনমিস্ট: হিন্দুরাষ্ট্রের দিকে এগোচ্ছে মোদি



        ইকোনমিস্টের গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ নিচে নেমে যাওয়ার পর ফের বিশ্বে মুখ পুড়ল ভারতের। ইকোনমিস্টে ভারতের বর্তমান দুরবস্থা নিয়ে প্রকাশিত হল বিশ্লেষণী প্রতিবেদন। ২০ কোটি মুসলিম দেশে কীভাবে অসহায় অবস্থায় রয়েছে সে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে নিয়ে লন্ডনের ‘দি ইকোনমিস্ট’ পত্রিকা বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে।

        ‘দি ইকোনমিস্ট’ পত্রিকার সাম্প্রতিক ইস্যুতে বলা হয়েছে, ভারতের ২০ কোটি মুসলিম আতঙ্কিত! তাঁদের আশঙ্কা, নরেন্দ্র মোদি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ গঠনের দিকে এগোচ্ছে। গতমাসে ভারত সরকার যে আইন এনেছে, তাতে মুসলিম বাদে বাকিদের নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ১৩০ কোটি মানুষের নাগরিকত্ব যাচাই করতে উদ্যত হয়েছে বিজেপি সরকার, যাতে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করা যায়। কিন্তু ২০ কোটি মুসলিমদের অধিকাংশেরই নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। দেশ হারানোর পথে তাঁরা। যাঁরা জালে ধরা পড়বেন, তাঁদের জন্য ডিটেশন ক্যাম্প তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছে সরকার।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/25/31934/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বোরকা পরে কলেজে এলে জরিমানা ভারতীয় ২৫০ রুপি!



          ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা জেডি মহিলা কলেজে যদি কোনো শিক্ষার্থী বোরকা পরে যান, তবে তাকে ভারতীয় ২৫০ রুপি জরিমানা দিতে হবে।

          শনিবার (২৫ জানুয়ারি) কলেজের এমন নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

          নোটিশে ‘ড্রেসকোড লঙ্ঘন’ অজুহাতে শিক্ষার্থীদের জন্য বোরকা পরাকে নিষিদ্ধ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

          এতে বলা হয়, ‘সব শিক্ষার্থীকে কলেজে নির্ধারিত ড্রেসকোড অনুসরণ করে আসতে হবে। কলেজে বোরকা পরে আসতে শিক্ষার্থীদের নিষেধ করা হচ্ছে।’

          কলেজটির প্রধান বীণা অমৃত স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামঞ্জস্য নিশ্চিত করার জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

          এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

          গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজধানী হায়দ্রাবাদের সেন্ট ফ্রান্সিস মহিলা কলেজে শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে এমনই এক নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রত্যাহার করে নেয়।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/25/31958/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারত থেকে পাকিস্তানও বাংলাদেশের মুসলিমদের ছুড়ে ফেলতে হবে:শিবসেনা



            গত শনিবার মুখপত্র ‘সামনা’-য় হুশিয়ারি দিয়ে শিবসেনা বলেছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলিমদের এ দেশ থেকে বাইরে ছুড়ে ফেলা উচিত এবং এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

            মুসলিম বিরোধী বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে যখন গোটা ভারত উত্তাল, ঠিক সেই সময়ে এমন মন্তব্যে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে শিবসেনা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

            দুদিন আগেও পুণেতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে একই কথা বলেছিল। ওই দিন সে বলেছে, ‘ভারত ধর্মশালা নয়। মানবতার চুক্তি করেনি দেশ।’

            রাজ ঠাকরে আরও জানিয়েছে, মুম্বাই থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মিছিল বার করবে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/25/31950/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ঢাবি প্রশাসনের সক্রিয় মদদে চলছে ‘গেস্টরুম’ নির্যাতন’



              বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন বা খবরদারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নতুন কোনো ঘটনা নয়। সব সময় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া। এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রশ্রয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ বক্তব্য পাওয়া গেছে।

              শিক্ষার্থীরা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে যে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেটা ধারাবাহিক পরিস্থিতির অংশ। ওই রাতে চার ছাত্রকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে ব্যাপক মারধর করেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা নির্যাতনের পর হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে তাঁদের শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। পরদিন দুপুরে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে বিচারের দাবিতে বিকেল পাঁচটা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান শুরু করেন মারধরের শিকার ছাত্র মুকিমুল হক চৌধুরী। তিনি চিকিৎসার জন্য গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হামলার শিকার অন্য তিন ছাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

              সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্যের অন্যতম নেতা হাসান আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, মারধরে আহত মুকিমুলকে পরিবারের সদস্যরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। সুস্থ হলে আবার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

              নির্যাতনের চক্র
              প্রতিবছর জানুয়ারির শুরুতে রাত ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটু পরপর তরুণদের ছোট-বড় দল চোখে পড়ে। ‘গেস্টরুম’ থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাইরে ঘুরতে পাঠানো এসব তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের দেখামাত্র সালাম দেওয়া, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য থাকা ইত্যাদি শর্ত সাপেক্ষে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর গণরুমে থাকেন।

              ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনসংকটের ফলাফল গণরুমব্যবস্থা। এক কক্ষে গাদাগাদি করে থাকেন অনেক শিক্ষার্থী। হলে থাকতে হলে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নিয়ন্ত্রণে থাকা গণরুমগুলোতে উঠতেই হয়, বিনিময়ে যেতে হয় ওই সংগঠনের নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। এখন গণরুমের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক ছাত্রলীগ। ডাকসু নির্বাচনের সময় সব প্যানেলের ইশতেহারে গণরুমব্যবস্থার সমাধানের আশ্বাস থাকলেও এ ব্যবস্থা এখনো বহাল।

              চার ছাত্রকে মারধর। বিক্ষোভে সরব ক্যাম্পাস। আহত মুকিমুল প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে হাসপাতালে।

              মঙ্গলবার রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কথা হলো প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তাঁরা বললেন, ‘বড় ভাইয়েরা’ গেস্টরুম থেকে তাঁদের ঘুরতে পাঠিয়েছেন। জানালেন ‘গেস্টরুম’-এর দুর্ব্যবহার ও পড়তে এসে হতাশ হওয়ার গল্প।

              প্রথম বর্ষে যাঁরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, দ্বিতীয় বর্ষে তাঁদেরই অনেকে আবার অবতীর্ণ হন ‘বড় ভাই’য়ে। তাঁরা কাউকে শিবির-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পেটান, কাউকে পেটান কর্মসূচিতে না যাওয়ার অভিযোগে, কাউকে আবার পেটান অবাধ্যতার অজুহাতে। তাঁদের কোনো বিচার হয় না। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে নির্যাতনের এই চক্র চলে আসছে। এ ক্ষেত্রে অনেকটা নির্বিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

              বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী অবশ্য বললেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়। তবে শুধু ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপাতে নারাজ তিনি। খারাপ সংস্কৃতির পরিবর্তনে মানসিকতার পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন তিনি।

              পেটানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না
              মঙ্গলবার রাতে শিবির-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে চার ছাত্রকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়। এমন ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটিই প্রথম নয়। মূলত ছাত্রলীগের ভিন্নমতাবলম্বী হলে, এমনকি কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকলেও তাঁকে ‘শিবির কর্মী’ আখ্যা দিয়ে মারধরের ঘটনার নজির রয়েছে।

              ২০১৫ সালের ২ আগস্ট রাতে বিজয় একাত্তর হলে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় (আইবি) বিভাগের শিক্ষার্থী হোসাইন মিয়াকে ছাত্রশিবিরের কর্মী আখ্যা দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। অথচ হোসাইন ছিলেন ছাত্রলীগেরই কর্মী। ওই ঘটনায় হলের তদন্ত কমিটি হল শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সাড়ে তিন বছর পার হলেও সেই সুপারিশের বাস্তবায়ন হয়নি।

              ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট রাতে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে প্রথম বর্ষের ছাত্র মনিরুল ইসলামকে একই অপবাদে পিটিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রাতেই হলে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে জানা যায়, মনির ছাত্রশিবিরের কেউ নন, ছাত্রলীগের কর্মী। তাঁর পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

              ওই ঘটনার চার দিন পর হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের পাঁচ শিক্ষার্থীকে শিবির কর্মী সন্দেহে মারধর করে পুলিশে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, শিবির-সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

              নির্যাতনের ঘটনা আরও আছে
              ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলের বাইরে থেকে প্রার্থী হওয়ার জের ধরে গত বছরের ১ এপ্রিল রাতে এসএম হলে মাস্টার্সের ছাত্র ফরিদ হাসানকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন হল শাখা ছাত্রলীগ ও হল সংসদের নেতারা। বিচার চেয়ে পরদিন প্রাধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ছাত্রলীগের হাতে লাঞ্ছিত হন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক। লাঞ্ছনা ও মারধরের শিকার হন কয়েকজন নারীনেত্রীও।

              ঘটনা তদন্ত করে হল প্রশাসন ৭ মে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দেয়। এরপর ২৮ মে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য চারজন প্রাধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঘটনার এক বছর হতে চললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যসচিব ও প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, প্রতিবেদনটি শৃঙ্খলা বোর্ডে পাস হয়েছে। পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উঠবে।

              সহপাঠীর কাছ থেকে ক্যালকুলেটর ধার নেওয়া নিয়ে ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে (এসএম হল) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মারধরের শিকার হন এহসান রফিক। তিনি দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁকে হলের একটি কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এতে এহসানের একটি চোখের কর্নিয়া গুরুতর জখম হয়। তাঁর কপাল ও নাক ফেটে যায়।

              প্রতিবাদ–বিক্ষোভ
              মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে চার দফা দাবি এবং ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন ১২ ছাত্রসংগঠনের জোট সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য গতকাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে ভিপি নুরুল হক অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের মুক্তভাবে মতপ্রকাশ ও মুক্ত জ্ঞানচর্চার পথে ছাত্রলীগ প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

              সমাবেশে ভিপি নুরুল চার দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে বৈধ সিট দেওয়া ও অছাত্র-বহিরাগত বিতাড়ন করে হলগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারি বন্ধ করা, ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ছাত্রলীগ-মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলা-ভাঙচুর ও জহুরুল হক হলে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণ।

              বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৩৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত ছাত্র সমাবেশেও চার ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। সেখানে আলোচনায় অংশ নিয়ে ডাকসু ভিপি অভিযোগ করেন, ভিন্নমত দমনের লক্ষ্যে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/25/31939/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                চট্রগ্রামে বস্তির আগুনে পুড়েছে গরিবের শেষ সম্বলটুকুও



                চট্টগ্রামের শুলকবহর এলাকার বস্তিতে আগুনে ঘর তো পুড়েছেই, সেই সঙ্গে ছাই হয়েছে কারও মেয়ের বিয়ের জন্য গচ্ছিত টাকা, আবার কেউ হারিয়েছে নতুন ঘর তৈরির স্বপ্ন।

                ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখে পড়ে ঘর পোড়া মানুষের আহাজারি। ঘরের সাথে আগুন কেড়ে নিয়েছে তাদের শেষ সম্বলটুকুও। ঘর পোড়া মানুষগুলোকে সান্ত্বনা দেওয়ারও কেউ নেই। সব হারিয়ে নিঃস্ব সবাই।

                শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার শুলকবহরের পুরাতন ওয়াপদা সংলগ্ন ডেন্টাল মেডিকেলের পাশে ডেকোরেশন গলির বাবু কলোনিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কলোনিতে ঝুপড়ি ঘর তুলে তা ভাড়া দিয়েছিলেন অনেকেই, যেখানে বসত ছিল নিম্ন আয়ের শতাধিক পরিবারের।

                আবু কলোনির রফিক সাওদাগরের ভাড়াটিয়া সাহেরা বেগম। তিন ছেলে, তিন মেয়ে, ছেলের বৌ আর স্বামীকে নিয়ে নয়জনের সংসার তার। নিজেরা বাঁচতে পারলেও আগুনের লেলিহান শিখা থেকে ঘরের কিছুই রক্ষা করতে পারেননি।

                সাহেরা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে বাসার পেছন দিক থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে তারা কয়েকজন প্রতিবেশী কেউ মারামারি করছিল মনে করে থামাতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে ধোঁয়া দেখে বুঝতে পারেন তাদের কলোনিতে আগুন লেগেছে। কিন্তু বাসায় ফেরার আগেই তার বসত ঘরটিতেও আগুন লেগে যায়।

                চোখের সামনে ঘর পুড়ে ছাই হতে দেখা সাহেরা বলেন, “আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আমার বড় মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করেছিলাম। বিয়ের কেনাকাটার জন্য প্রতি মাসে হাজারে ২০০ টাকা সুদে ৩০ হাজার টাকা এনে বাসায় রেখেছিলাম তিন দিন আগে। পাশাপাশি মেয়ের জন্য দুই জোড়া কানের দুল ও ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি চেইনও তৈরি করে বাসায় রেখেছিলাম।”

                মেয়ের বিয়ের জন্য গচ্ছিত এসব টাকা আর স্বর্ণালঙ্কার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

                সাহেরা বেগম বলেন, মেয়ে যেন স্বাবলম্বী হয় সেজন্য সেলাইয়ের কাজ শিখিয়েছিলেন। বিয়ের পর মেয়েকে দেবেন বলে সেলাই মেশিনও কিনে রেখেছিলেন। আগুনে হারিয়েছেন সেই সেলাই মেশিনটিও।

                রাস্তায় পিঠা বিক্রি করেন ময়না বেগম। আর তার স্বামী মানুষের বাসা থেকে ময়লা সংগ্রহের গাড়ি চালান। দুজনের রোজগারে নিজেদের একটা ঘর বানানোর জন্য কিছু টাকা ব্যাংকে রেখে জমিয়েছিলেন ময়না বেগম। ওর মধ্যে থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলে রেখেছিলেন কলোনির ঘরে।

                ময়না বলেন, “৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছিলাম ফটিকছড়িতে বাবার বাড়ির জায়গায় ঘর বানানোর জন্য। কিন্তু সন্তানদের অসুস্থতার কারণে বাড়ি যেতে না পারায় টাকাগুলো ঘরেই ছিল। আগুনে সে টাকাগুলো সব পুড়ে গেছে।”

                ময়না বেগমের মতো জমানো টাকা ছাই হতে দেখেছেন বেবী আক্তার। ধোঁয়া দেখে ছুটে এসেও রক্ষা করতে পারেননি কিছুই।

                বেবী আক্তারের স্বামীও মানুষের বাসা থেকে ময়লা সংগ্রহের কাজ করেন। আর বেবী আক্তার চারটি বাসায় কাজ করে মাসে পান ১০ হাজার টাকা।

                সকালে তার বাসায় যখন আগুন লেগেছিল তখন তিনি ছিলেন মানুষের বাসায় কাজে। স্বামী ছিলেন নিজের কাজেই।

                বেবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে পাঁচলাইশ থানার পেছনে একটি বাসায় কাজে গিয়েছিলাম। বাসার বারান্দা মোছার সময় দেখি আগুনের ধোঁয়া। কাজ রেখে দ্রুত ছুটে আসি বাসায়। এসে দেখি কিছুই নেই।

                “বাসায় একা থাকা ছোট মেয়েটিকে খুঁজে পাইনি। পরে শুনেছি এক ব্যক্তি আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে গেছে।”

                বাসায় কাজ করে এক সাথে কয়েক মাসের বেতন পেলেও পুরো টাকাই আগুনে পুড়েছে বেবীর।

                অসহায় গলায় বেবী বলেন, “নিজের আয়ের টাকায় কিছু আসবাব, স্বর্ণালঙ্কার করেছিলাম। সেগুলো বাসায় রাখা ছিল।

                “আর একটি বাসার মালিক চার মাস না থাকায় গত (বৃহস্পতিবার) একসাথে ১৫ হাজার টাকা বেতন দিয়েছে। সে টাকাগুলোও পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি।”

                বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

                তার আগুনেই পুড়ে যায় বস্তির প্রায় ১০০টি ঘর।



                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/25/31941/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদের কে হেফাজত করুন,আমিন।
                  ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                  Comment

                  Working...
                  X