Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৩০শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৬শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৩০শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৬শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    তুরস্কে ভূমিকম্পের ভয়াবহ আঘাত: হতাহত ১২৩৪



    তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় ইলাজিনপ্রদেশে আঘাত হানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, যার ফলে হতাহত হয় অনেক লোক। তুর্কি কর্তৃপক্ষ আহতদের সর্বশেষ সংখ্যা ১,২৩৪ বলে জানিয়েছেন। সাথে এও বলা হয়েছে যে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে।

    তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) এক বিবৃতিতে আহতদের প্রদেশ ভিত্তিক একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল, যেখানে বলা হয় ইলাজিনে ৮৪৩, মালাতায় ২২৬, দিয়ারবাকিরে ৪৩, আদিয়ামানে ২৫, ব্যাটম্যানে ৬, কাহরামানমারসে ৩৭, সানলিউরফায় ৬৩ জন আহত হন।

    তুরস্কের ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত জন ২৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আশ শিহাব ।

    ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ইলাজিনপ্রদেশের সিভিরিস শহর। ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, তা প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং ইরানেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। তুরস্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিট) এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।

    তুরস্কের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর প্রায় ৬০টি আফটারশক বা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।




    উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেক এলাকা, এর মধ্যে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্থ হয় ৮১টি ভবন, ৩০ টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ এবং ৫৩ টি স্বল্প ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক কাঁচা-পাকা বাড়ি-ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    তুরস্কে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প হয়। ১৯৯৯ সালের দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমিত শহরে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। (খবর আল-জাজিরা, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট)




    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/31977/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    *’আগে মোদি-শাহ প্রমাণ দিক, তারা কোথা থেকে এসেছে’



    ভারতে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএএ) বিরোধী স্লোগান এবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ‘নিখোঁজ’ ছাত্র নজীব আহমেদের মায়ের মুখেও।

    তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তার ছেলের খোঁজ মেলেনি। হাল ছেড়ে দিয়েছে সিবিআই। মুখে কুলুপ প্রশাসনের। ষাটোর্ধ্ব ফাতিমা নাফিজ তার পরেও আরো বড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    তিনি বলেন, আমি তো ভালোই আছি। কিন্তু কাল আমার দেশটার কী হবে? উচ্চবর্ণের হিন্দু ছাড়া বাকি সবাইকে তারা তাড়াতে চাইছে। মুসলিমদের বলছে, পাকিস্তানে যাও। মগের মুলুক নাকি! কেন যাব পাকিস্তানে? যেতে হলে কবরস্থানে যাব, তবে ওই গেরুয়া গুন্ডাগুলোর কয়েকটাকে সঙ্গে নিয়েই যাব।

    ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর রাতারাতি ‘উধাও’ হয়ে যান নজীব। অভিযোগ রয়েছে, তার আগের দিনই এবিভিপির কয়েকজন তাকে বেধড়ক মেরেছিল। ওই বছরেরই ১৭ জানুয়ারি আত্মহত্যা করেন হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিত গবেষক রোহিত ভেমুলা।

    সে ব্যাপারে অভিযোগ, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সাত মাসের স্কলারশিপের টাকা আটকে ক্যাম্পাসে তাকে একঘরে করে রেখেছিল এবিভিপি-ই। সেই রোহিতের মা রাধিকা ভেমুলাও এখন বলছেন, চার বছর অনেক সয়েছি। কিন্তু ব্যক্তিগত শোকের আর সময় কোথায়! ছেলে হারিয়েছি, কিন্তু দেশ হারাতে দেব না। গেরুয়া সন্ত্রাস দেখে আবার আমার রক্ত ফুটছে। সংবিধান তো দেশের মা, সবার অধিকার রক্ষা করে। বিজেপি যখন সেই মাকেই বারবার নিশানা করছে, তখন কি আর চুপ থাকা যায়?

    কিন্তু রাষ্ট্র এখন যদি কাগজ চায়? রাধিকা আম্মার জবাব, কীসের কাগজ? আগে মোদি-শাহ প্রমাণ দিক, তারা নিজেরা কোথা থেকে এসেছে!

    দলিত-আদিবাসী দমন, এনআরসি, সিএএ-সহ যাবতীয় ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ রুখতে ছেলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘মাদার্স ফর নেশন’ পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন রোহিতের মা।

    রাধিকা আম্মার ডাকে মহারাষ্ট্রের জলগাঁও থেকে রোহিতের স্মরণসভায় গিয়েছিলেন আবেদা তদভি। পায়েলের মা। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েই গত বছর মে মাসে আত্মহত্যা করেন মুম্বাইয়ের ডাক্তার পায়েল তদভি। শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার, আর মনে জ্বলন্ত কন্যাশোক। তবু নাছোড় আবেদা বলেন, অন্যায় হলে পথে তো নামতেই হবে।

    নজীবের মা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিন তালাক রদের সময় তো খুব ‘বহেন, বহেন’ করতেন! এখন দিল্লির শাহিন বাগ, কলকাতার পার্ক সার্কাসে খোলা আকাশের নীচে শীতের রাতে কুঁকড়ে বসে থাকা মেয়েগুলোর কথা মনে হচ্ছে না? ক্ষমতা থাকলে সরাসরি বেঈমান বলুন। পথে নামলে জেলে পাঠান। হম ভি দেখেঙ্গে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/32043/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ভারতের ১১ জন

      ভারতের চার শহরে ১১ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ শনাক্ত করা গেছে। তাদেরকে হাসপাতালের সম্পূর্ণ আলাদা ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি ওই ব্যক্তিরা চীন থেকে দেশে ফিরেছেন। তবে ওই ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সামান্য লক্ষণ দেখা গেছে বলে জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন কেরালার, দুইজন মুম্বাইয়ের এবং একজন বেঙ্গালুরু ও একজন হায়দরাবাদের বাসিন্দা।

      গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর উহানে প্রথম ফ্লু টাইপের এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। ওই শহরের পর ভাইরাসটি রাজধানী বেইজিংসহ অন্যান্য প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া চীনের প্রতিবেশী জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ম্যাকাও এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াতেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

      এখন ইউরোপ এবং এশিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। অপর দিকে ফ্রান্সে তিনজনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বোরডেক্সে প্রথম একজন এবং প্যারিসে দু’জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। চীনে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪১ জনই মারা গেছেন। কেরালার করোনা ভাইরাস-বিষয়ক যোগাযোগ ইন-চার্জ ড. অমর ফেটল বলেন, চীন থেকে আসা সাতজনের দেহে করোনা ভাইরাসের সামান্য লক্ষণ দেখা গেছে। শুক্রবার তাদের আলাদা ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

      ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চীন এবং হংকং থেকে দেশে ফিরে আসা ২০ হাজারের বেশি যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেরালায় ৮০ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩ জনের দেহে এই ভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
      কিন্তু বাকি সাতজনের জ্বর এবং কাশিসহ এই ভাইরাসের সামান্য লক্ষণ দেখা গেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং চিকিৎসকদের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে রাখা হয়েছে। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সাইন্স (এইমস) ইতোমধ্যে একটি আলাদা ওয়ার্ড প্রস্তুত করে রেখেছে। নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সেখানে আলাদা শয্যা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

      এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো হলো- জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ এই ভাইরাস অনেকটাই সেভার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্সের মতো। ২০০২ এবং ২০০৩ সালে সার্সের কারণে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

      সূত্র : এনডিটিভি।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/31996/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        চবির ওয়েবসাইট হ্যাক করল ভারতীয় হ্যাকাররা




        চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে ‘ইন্ডিয়ান সাইবার রিসার্চ অ্যান্ড ইম্পাওয়ার উইং’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ।

        শনিবার বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটি হ্যাক করা হয়।

        সাইটটি হ্যাক করে হ্যাকাররা হোমপেজে লিখে রাখে, ‘TEAM ICREW. Indian Cyber Research and Empower Wing. If you think you are advanced than us” your cyber space is nothing infront of indian hackers.’

        চবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. হানিফ সিদ্দিকী বলেন, বিকাল ৪টার দিকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, ডুয়েটের ওয়েবসাইটসহ বাংলাদেশের কয়েকটি ওয়েবসাইট একই সঙ্গে হ্যাক করে ভারতীয় হ্যাকাররা।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/31991/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চিড়া খাওয়া দেখেই বুঝেছি বাংলাদেশি-কৈলাস বিজয়বর্গী


          ভারতে থাকা কথিত বাংলাদেশিদের এর আগে ‘উইপোকা’ বলে সম্বোধন করেছে স্বয়ং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহ। আর ‘ঘুষপেটিয়া’ (অনুপ্রবেশকারী) বলে গালাগালি তো নিত্যই লেগে আছে। কিন্তু এবার কথিত বাংলাদেশিদের নিয়ে বিচিত্র এক তথ্য জানাল শীর্ষস্থানীয় আর এক বিজেপি নেতা– ‘শুধু পোহা (চিড়া) খাওয়া দেখেই নাকি বোঝা যায় তারা বাংলাদেশি কিনা!’

          এই বিজেপি নেতার নাম কৈলাস বিজয়বর্গী, সে দলের জাতীয় স্তরের সাধারণ সম্পাদক এবং রীতিমতো দাপুটে নেতা। আদতে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের লোক হলেও গত বেশ কয়েক বছর ধরে দল তাকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে। তাই সে রাজ্যেই বহু সময় কাটান এবং সেই সুবাদে এখন বাংলা বুঝতেও পারেন। কিন্তু প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও সেখানকার মানুষজন নিয়ে তার ধারণা যে কী রকম, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে কলকাতার এক আলোচনা সভাতেই।

          কিন্তু ঠিক কী বলেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গী, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে সারা ভারতজুড়ে?

          ভারতে ঢুকে বাংলাদেশিরা কীভাবে কাজকর্ম বাগিয়ে নিচ্ছে, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই তো ইন্দোরে আমার বাড়ির সামনে একটা কনস্ট্রাকশনের কাজ হচ্ছিল। আমি কয়েকদিন ধরে লক্ষ করলাম, ওখানে মজুররা সকাল-বিকাল খালি পোহা (চিড়া বা চিড়ার পোলাও) খাচ্ছে।’

          ‘আমি ওদের ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসা করে জানলাম ওরা নাকি রুটি খেতে চায় না, আর হিন্দিও বলতে পারে না। ওরা দুবেলা শুধু পোহা পেলেই খুশি, আর তাই ঠিকাদারও ওদের খালি পোহা-ই দিয়ে যাচ্ছে।’

          ‘এই শুধু পোহা খাওয়ার বিচিত্র খাদ্যাভ্যাস দেখেই আমার সন্দেহ হলো ওরা নির্ঘাত বাংলাদেশি। জানিয়েছেন বিজয়বর্গী।

          তার এই মন্তব্য সামনে আসতেই ভারতজুড়ে হুলস্থুল পড়ে গেছে বলা যেতে পারে।

          পোহা বা চিড়ার পোলাও ভারতের বহু রাজ্যেই সুলভ, সস্তা ও জনপ্রিয় একটি স্ন্যাক্স বলে পরিচিত– সেই পোহা খাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশি হওয়ার কী সম্পর্ক, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। সঙ্গে চলছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ।

          #পোহা এদিন দুপুর থেকেই ভারতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভীষণভাবে ট্রেন্ডিং, যার কারণ বোঝাও শক্ত নয়! পলিটিক্যাল স্যাটায়ারিস্ট আকাশ ব্যানার্জি, যিনি ‘দেশভক্ত’ নামে ইউটিউব ও ডিজিটাল চ্যানেল চালান; তিনি টুইট করেছেন, ‘এই অ্যান্টি-ন্যাশনাল খাবার #পোহা আমার সামনে প্লেটে কে এনে দিলো?’

          মারাঠি সাংবাদিক নিখিল ওয়াগলে লিখেছেন, পুনে-মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় পোহা দারুণ জনপ্রিয় একটি খাবার। ‘আর এই পোহা খাওয়া দিয়ে যদি বাংলাদেশি চেনা যায় তাহলে তো আমি বলবো আমাদের পরিবার সাত পুরুষের বাংলাদেশি!’

          সাবেক ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ, গৌতম গম্ভীরদের ইন্দোরে পোহা ও জিলাপি খাওয়ার পুরনো একটি ছবি রিটুইট করে জনৈক মহম্মদ আবু নাসের আলম লিখেছেন, ‘পোহা আর জিলিপি খেতে গিয়ে ধরা পড়লেন কয়েকজন বাংলাদেশি!’

          মাহক মোহন নামে আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পুরনো একটি সাক্ষাৎকারের লিঙ্ক পোস্ট করেছেন, যেখানে কৈলাস বিজয়বর্গীর ‘বস’ নিজে বলেছিলেন, ‘পোহা আর খিচুড়ি ছাড়া আমার একদিনও চলে না!’

          বেস্ট সেলার লেখক দেবদূত পট্টনায়ক টুইটারে নিরীহ একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘পোহা কি ভারতীয় খাবার নয়?’

          বেশিরভাগ মন্তব্য অবশ্য রসিকতার সীমাতেই আটকে আছে। তবে অনেকে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীকে এই মওকায় একহাত নিতেও ছাড়ছেন না। কিন্তু সার্বিকভাবে বাংলাদেশিদের সম্পর্কে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা কী অদ্ভুত ও বিচিত্র সব ধারণা পোষণ করেন গোটা ঘটনায় সেটা নিঃসন্দেহে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠলো।

          সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/31980/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী!



            যানজট, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, বায়ুদূষণ, মশার উৎপাত, বেহাল সড়ক, ফুটপাত দখলসহ নানা দুর্ভোগে অতিষ্ট রাজধানীবাসীর জীবন। নগরীর সড়কের বেহাল দশা কাটছেই না, এতে যানজটের ভোগান্তি আরও চরম আকার ধারণ করেছে। এর সাথে ফুটপাত দখল, রাস্তার দুই পাশে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, গলি কিংবা সড়কের উপর ময়লা-আবর্জনার স্তুপ, মশার উপদ্রব সব মিলিয়ে নগরবাসীর জীবন একেবারে দুর্বিষহ। এর বাইরে ভয়াবহ বায়ুদূষণ রাজধানীবাসীর জন্য ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’য়ের মতো অবস্থা। এ ছাড়া ঢাকার প্রাণ হিসাবে খ্যাত বুড়িগঙ্গার মরণ দশায় রাজধানী ঢাকাকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন’ এলাকা ঘোষণা করা উচিৎ-মর্মে ২২ জানুয়ারি মন্তব্য করেছেন হাইককোর্ট। বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধ সংক্রান্ত রিটে আদালত অবমাননা মামলার শুনানিকালে আদালত উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

            বছরজুড়েই রাজধানীতে চলছে ছোট বড় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। যার ফলে শুকনো মওসুম এলে ধূলোর উৎপাত বেড়ে যায় আর বর্ষাকাল শুরু হলেই কাদামাটির ছড়াছড়ি। ধুলা আর কলকারখানার ও গাড়ীর কালো ধোঁয়া এবং ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় রাজধানীর বাতাস ভয়াবহ দূষণের কবলে। গত দুমাসের মধ্যে রাজধানী ঢাকা বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে প্রায়ই বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মধ্যে শীর্ষস্থানে ছিল। দূষণ আর দুর্ভোগের এই নগরীতে রাজধানীবাসী অনেকটা ধুকছে বলা যায়।

            প্রতিবছর বর্ষার আগেই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। কিন্তু বর্ষা শেষ হলেও শেষ হয় না মেরামতের কাজ। বিভিন্ন সড়কের মাঝখানে ছোট ছোট খানাখন্দের জন্য রাজধানীবাসীকে কম ভোগান্তি পোহাতে হয় না। এখন রাজধানীতে চলছে যানজট নিরসনে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও বিআরটি- এই তিনটি মেগা প্রকল্পের কাজ। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প বা বিআরটি প্রকল্পটি গাজীপুর শহরের বাস ডিপো থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। ঢাকা ম্যাস র*্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (এমআরটি) লাইন-৬ প্রকল্প- যেটা জনসাধারণের কাছে মেট্রোরেল প্রকল্প নামে পরিচিত। এটা উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প এলাকা থেকে পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তোপখানা রোড (সচিবালয়) হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত দীর্ঘ হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। বিগ বাজেটের বড় তিনটি প্রকল্প শেষ করার জন্য রাজধানীর সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির মধ্য দিয়ে চলছে। এ দিকে, বর্ষাকাল দরজায় কড়া নাড়ছে। বর্ষার আগেই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শেষ না হলে রাজধানীবাসীর জন্য অন্তহীন ভোগান্তি অপেক্ষা করছে। রাজধানীর সড়কের বেহাল দশা কাটিয়ে উঠতে হলে বড় বড় প্রকল্পগুলো শিগগিরই শেষ হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

            রাজধানীর সড়কের বেহাল দশা প্রসঙ্গে বুয়েটের এআরআই ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ সাইফুন নেওয়াজ বলেন, নিরাপদ সড়কে চলাচল কারা জনগণের অধিকার। এ কারণে সড়ক নিরাপদ রাখা সরকারের দায়িত্ব। যারা সড়ক নির্মাণ করেন তারা নির্মাণ কাজটিই ভালো বোঝেন, কিন্তু কোন সড়কে কোন গাড়ি চলবে এটা বিশেষজ্ঞরা ভালো জানেন। আমাদের দেশে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়ার প্রচলন একেবারেই কম। তিনি বলেন, সমন্বয়হীনতার কারণে কিছুদিন পর পর দেখা যায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। সঠিক নির্দেশনার অভাবে দীর্ঘসূত্রতার বিষয় চলে আসে।

            রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির পাশাপাশি ফুটপাত দখল নগরবাসীর জন্য আরেক দুর্ভোগের কারণ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সর্বত্র এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তত দেড়শ পয়েন্টে ফুটপাত-রাস্তা জবরদখলসহ অসংখ্য পয়েন্টে গড়ে উঠেছে অবৈধ হাটবাজার। রাস্তা-গলি মোড় দখল করে ব্যস্ততম রাজধানীতে অবৈধভাবেই গড়ে উঠেছে অন্তত ১৭টি বাস-ট্রাক টার্মিনাল। এসব ঘিরে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। দখলবাজরা প্রতি বছর লুটে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী, পুলিশ আর স্থানীয় সিন্ডিকেট এসব বখরা ভাগ করে নিচ্ছে। প্রশাসনের নানা উদ্যোগেও ফুটপাথ-রাস্তা জবরদখলমুক্ত হয় না, দূর হয় না নগরবাসীর ভোগান্তি।

            রাজধানীর অলিগলি বা রাজপথে বের হলেই বাসাবাড়ির বর্জ্যসহ হরেক রকম বর্জ্যর কোনো অভাব নেই। বর্জ্যরে কারণে প্রতিদিন নানান রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। যত্রতত্র বর্জ্য ফেলায় ভরাট হচ্ছে নদী, খাল, লেক ও জলাশয়। দুই সিটি কর্পোরেশন থেকে ঢাকায় প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার টন বর্জ্য, যার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ডাম্পিং করা হয়। ২০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে বেসরকারি উদ্যোগে বিশেষ করে টোকাইদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে রিসাইক্লিং হয়। আর বাকিটা পথে-ঘাটে থেকে যায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে।

            বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষা মতে, ঢাকা শহরে প্রতিদিন বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ডাম্পিং হয় ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। অপর এক বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী প্রতিদিন গৃহস্থালি বর্জ্য উৎপাদিত হয় ৫ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। এছাড়া মেডিকেলসহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৫০ এবং রাস্তাঘাট থেকে ৪০০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। প্রতিদিন নগরীতে মাথাপিছু উৎপাদিত হয় ৫৬০ গ্রাম বর্জ্য। উৎপাদিত বর্জ্যরে মধ্যে আছে প্লাস্টিক, কাগজ, কাচ, ধাতু ও জৈব বর্জ্য।

            সরেজমিন দেখা গেছে, যাত্রাবাড়ীর একেবারে মোড়ে, ফকিরেরপুল বাজারে মূল সড়কের পাশে, বিজয়নগর পানির ট্যাংকের নিচে, ধানমন্ডির মূল সড়কের পাশেসহ রাজধানীর ছোট বড় রাস্তার মোড়ে, মূল সড়কের পাশে কিংবা সরুপথে ময়লার বড় বড় ডিপো রয়েছে; যেখান দিয়ে অসহনীয় দুর্গন্ধ ছড়ায়। পথচারীরা কিংবা বাসের যাত্রীরা যানজটে পড়ে ওই ময়লার স্ত‚পের কাছে আটকে পড়লে নাকে রুমাল কিংবা কাপড় দিয়ে টিপে ধরে। রুমাল না থাকলে হাতের দুই আঙ্গুল দিয়ে নাক টিপে ধরে পথচারীরা ওই এলাকা পার হন। এ ছাড়া, অনেক রাস্তার দুই পাশে অনবরত মলমূত্র ত্যাগ করে চলাচলের অনুপযোগী করে তোলা হলেও এগুলো যেন দেখার কেউ নেই। মূল সড়ক দখল করে গাড়ি মেরামত ও ধোঁয়ার কাজ চলছে অহরহ। গাড়ি রীতিমতো ফুটপাথের উপর বসিয়ে ধোয়া ও মেরামতের কাজ করলেও পথচারীদের সমস্যা হচ্ছে কি না তা দেখার কোনো সময় নেই তাদের। মতিঝিল, আরামবাগ, নয়াপল্টন ভিআইপি রোডের একপাশ, নাইটিংগেল মোড় দিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও আশপাশের এলাকা, মগবাজার, মালিবাগসহ রাজধানীর বেশকিছু এলাকা ঘুরে এ রকম চিত্র চোখে পড়ে। এখন রাজধানীবাসীর প্রশ্ন একটাই, কবেশেষ হবে সড়কের এই বেহাল দশা, কবে শেষ হবে ভোগান্তি, কবে ফিরে আসবে স্বস্তি?

            ময়লা-দুর্গন্ধের চেয়ে মশার উৎপাতে নাকাল নগরবাসী। গতবছর এডিস মশার উপদ্রবে ডেঙ্গুর মহামারিতে পড়েছিল রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ। ডেঙ্গুজ্বরের আতঙ্কে কেটেছে রাজধানীবাসীর। ডেঙ্গুর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কত মানুষ মারা গেছে, তারও সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই। বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা প্রায় তিন শ। সরকারের রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, গতবছর ১২৭টি মৃত্যু নিশ্চিতভাবে ডেঙ্গুতে হয়েছে। এই সংখ্যাও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।

            সাধারণত গতবছর মে-জুন থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। অক্টোবরের শেষ পর্যন্তও এর ভয়াহতা ছিল। এডিস মশার প্রকোপ এখন কিছুটা কমলেও নতুন করে কিউলেক্স মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। অর্থাৎ মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসী কিছুতেই রেহাই পাচ্ছেনা।

            সূত্র: ইনকিলাব


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/31992/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              এটাও একটা ব্রিজ!



              কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এগারগ্রাম বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের ব্রিজটি আট বছর ধরে ভেঙে ঝুলে আছে। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন দেবিদ্বার ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত।

              যে কোন সময় ব্রিজটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্রিজের ভাঙা অংশে কাঠ দিয়ে দুই বছর আগে মেরামত করে স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।

              কালিকাপুর-পীরগঞ্জ ১৬ কিলোমিটার এই সড়কের পুরোটাই ভাঙা। সাথে ভাঙা ব্রিজের দুর্ভোগ। সুবিল ও ইউছুফপুর ইউনিয়নের সংযোগ এগার গ্রাম বাজার সংলগ্ন ব্রিজের ভাঙা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

              সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, এই ব্রিজ দিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বারের ৩০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। ব্রিজের ভাঙা অংশে বাঁশ দিয়ে রাখা হয়েছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে দেখলে সেটিকে বিজের কংকাল বলে মনে হয়। যে কোন সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে।

              এগারগ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরীফ বলেন,” কালিকাপুর-পীরগঞ্জ এই সড়ক সিলেট মহাসড়কে সংযুক্ত হয়েছে। এই সড়কের এগার গ্রাম বাজারের ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে।”

              এগারগ্রাম সিএনজি অটোরিকশার নেতা জামাল মিয়া জানান “এগারগ্রামের ব্রিজটি আট বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। দুই বছর আগে আমরা নিজেরা ১৬ হাজার টাকা চাঁদা তুলে সংস্কার করেছি। আর সড়কের অবস্থাও খারাপ।”

              সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/32028/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আমদানির সঙ্গে সঙ্গে কমছে রাজস্বও



                স্থলপথে ভারত থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেনাপোলের পর গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদকে। বিশেষ করে সহজে পাথর আমদানি করা যায় বলে এই বন্দরকেই অগ্রাধিকার দিতেন আমদানিকারকেরা। কিন্তু পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কমে গেছে আমদানি। কমছে রাজস্ব আয়ও।

                সোনামসজিদ স্থলবন্দরের শুল্ক বিভাগের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, একসময় এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২৩০টি পাথরবাহী ট্রাক আসত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে পাথরবাহী ট্রাক চলাচলের সংখ্যা ১২০ থেকে ১৫০–এ নেমে এসেছে। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। এখন এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক আসছে মাত্র ১০ থেকে ১৫টি। আমদানি বাড়ছে না কমছে, তা এই ট্রাক চলাচলের সংখ্যা দেখে অনেকটা অনুমান করা যায়।

                কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৫৩২ কোটি টাকা। পরের অর্থবছরে ৫১৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্বের পরিমাণ যথাক্রমে ৩০০ ও ৩০১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ মাত্র ৯১ কোটি টাকা।

                সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিক উদ্দিন ও পাথর ব্যবসায়ীরা জানান, পাকুড় থেকে আসা পাথরবোঝাই ট্রাকগুলোকে ভারতের মহদিপুর বন্দর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের সুশ্তানি মোড় পর্যন্ত আসতে দেওয়া হয়। সেখানে ট্রাকগুলো থেকে পাথর নামিয়ে মজুত করা হয়। এরপর স্থানীয় ফিটনেসবিহীন ট্রাকে আবার পাথর বোঝাই করে পাঠানো হয় সোনামসজিদ বন্দরে। এটা করতে বাধ্য করে এসব ট্রাকের মালিকসহ স্থানীয়দের একটি চক্র। দ্বিতীয়বার বোঝাইয়ের সময় দেওয়া হয় নিম্নমানের পাথর। সঙ্গে থাকে ধুলা। ট্রাকের ভাড়াও অনেক চড়া। ১৫ কিলোমিটারের জন্য আমদানিকারকদের ভাড়া গুনতে হয় টনপ্রতি ৮০০ টাকা করে। এতে এক ট্রাক পাথর আমদানি করতে পরিবহন খরচ হয় প্রায় ৩২ হাজার টাকা। এ ছাড়া আগে পাথর আসতে সময় লাগত দুই থেকে তিন দিন। সুশ্তানি মোড়ে বিরতি দেওয়ায় সময় লাগে ১৫ থেকে ২৫ দিন। বেশি সময় লাগায় প্রতিদিন ট্রাকপ্রতি ডেমারেজ চার্জ দিতে হয় ১৮৫ টাকা। এই অতিরিক্ত টাকাই পরিবহন খরচ আরও বাড়িয়ে দেয়।

                ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের সুশ্তানি মোড় এলাকার ফিটনেসবিহীন ট্রাকগুলো ভারতের অন্য এলাকায় চলতে পারে না। তাই বাংলাদেশি পাথর আমদানিকারকদের তাঁরা বাধ্য করেন তাঁদের ফিটনেসবিহীন ট্রাকে পাথর বহন করতে। চেম্বার অব কমার্সের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের বন্দরে চলাচলে এসব ট্রাক বন্ধ করা না গেলে আমদানিকারকদের খরচ বাড়বে। তখন তাঁরা এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেবেন। তাতে গুটিয়ে যাবে এ বন্দরের কার্যক্রমও।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/32030/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  বাংলাদেশে ধর্ষণের পরিসংখ্যান



                  গত বছর ৫ হাজার ৪০০ নারী এবং ৮১৫টি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৮ সালে শিশু ধর্ষণের মামলা ছিল ৭২৭টি এবং নারী ধর্ষণের মামলা ছিল ৩ হাজার ৯০০টি। হিসাব বলছে, গত বছর ধর্ষণের কারণে ১২ শিশু এবং ২৬ জন নারী মারা যান। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ২১ নারী ও ১৪ শিশু।

                  আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক): আসকের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। গত বছর সারা দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ১ হাজার ৪১৩ নারী ও শিশু। ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ৭৩২।

                  মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন: গত বছর ৯০২ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩৫৬।

                  বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম: ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতি মাসে গড়ে ৮৪টি শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া এক বছরে যৌন নির্যাতন বেড়েছে ৭০ শতাংশ। গত বছর যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ১ হাজার ৩৮৩ শিশু। ২০১৮ সালের চেয়ে গত বছর শিশু ধর্ষণ ৭৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেড়েছে।

                  সূত্রঃ প্রথম আলো


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/32034/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    বাবা-মাকে পেটালো সন্ত্রাসী নেশাগ্রস্ত ছাত্রলীগ নেতা



                    পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গিয়েছে পিতা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে বালিপড়া ইউনিয়ন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ সজীব হাওলাদার অনিক (২০) নেশার টাকা না পেয়ে তার পিতা-মাতাকে মারধর করে।

                    তার স্বজনেরা বলেন, সোমবার বিকালে অনিক তার পিতার কাছে নেশা করার জন্য টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা না দেয়ায় অনিক পিতা-মাতাকে মারধর করে এবং তার পিতার সনদ, জমিজমার দলিল, পর্চাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেয়।

                    সন্ত্রাসী অনিক দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে। পরিবারের লোকজন শত চেষ্টা করেও তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারেনি।

                    মাদকসেবী অনিকের পিতা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, আমার ছেলে মাদক সেবনের জন্য টাকা দাবি করলে আমি টাকা না দেয়ায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে এবং দা নিয়ে আমাদের কোপাতে আসে।

                    সূত্রঃ নয়া দিগন্ত


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/32040/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      হিন্দি ফিল্মে প্রভাবিত হয়ে হামলা চালায় নাজমুল



                      হিন্দি ফিল্মের কুটিল গল্প আর পাশবিক অ্যাকশন মাথায় গেঁথে গিয়েছিল শেখ নাজমুল ইসলামের (৩০)। এর পর ফিল্মি কায়দাতেই অ্যাকশনে নামেন তিনি, ডা. সারোয়ার আলীর বাসায় সদলবলে হামলা চালিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করেন তার সাবেক এই গাড়িচালক। নাজমুলের ভাষ্য, দরিদ্র হওয়ার কারণে সারোয়ার আলীর স্ত্রী তার সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন না। তাই তাদের শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে গত ৫ জানুয়ারি রাতে উত্তরায় ডা. সারোয়ার আলী ও তার মেয়ের বাসায় সদলবলে হামলা চালান তিনি।

                      গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিআইবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে পিবিআইপ্রধান পুলিশের ডিআইজি হিন্দু বনজ কুমার মজুমদার। সে বলেছে, নামজুল হিন্দি সিনেমার ভক্ত। তিনি ভাবতেন, গরিব হওয়া তার অপরাধ না। অথচ এ কারণে সারোয়ার আলীর স্ত্রীর কাছ থেকে তিনি সঠিক ব্যবহার পাচ্ছেন না। এ কারণে চাকরি ছেড়ে দেন এবং মনে মনে পরিকল্পনা করেন এর প্রতিবাদ করার। সে ধারণায় প্রভাবিত হয়ে ডা. সারোয়ার আলীর পরিবারকে ভয় দেখানো ও উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য ডাকাতির পরিকল্পনা করেন নাজমুল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে চাচাতো ভাই রনি, ভগ্নিপতি আল আমিন, নুর মোহাম্মদ ও ফয়সালকে সঙ্গে নেন। রাজধানীর আজমপুর লেবার মার্কেট থেকে মনির ও ফরহাদকে দৈনিক ৫শ টাকা ভিত্তিতে ডাকাতির কাজে নিয়োগ দেন।

                      গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে ডিআইজি আরও জানান, কেউ যেন চিনতে না পারে, সে জন্য নাজমুল তিন মাস ধরে দাড়ি-গোঁফ না কেটে বড় করেন। ৫ জানুয়ারি বিকালে আশকোনা এলাকার হোটেল রোজ ভ্যালির ৩০৩ নম্বর কক্ষে ৭ ডাকাতকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন নাজমুল। বাসার পরিবেশ, কক্ষ, পার্কিং প্লেস সম্পর্কে সবাইকে অবগত করেন এবং ডাকাতির সময় কার কী ভুমিকা হবে তা বুঝিয়ে দেন। সারোয়ার আলীর বাড়িতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অংশ হিসেবে ডাকাতির পরিকল্পনা হলেও ক্ষোভের বিষয়টি তখন গোপন রাখেন নাজমুল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হোটেল থেকে প্রথমে বেরিয়ে যান নাজমুল একা।

                      একটি ব্যাগে করে ৭টি চাপাতি ও ৫টি সুইচগিয়ার ছুরি নিয়ে উত্তরায় পৌঁছে রনির হাতে ব্যাগটি দেন নাজমুল। রনি হামলাকারী ৫ আসামিকে ছুরিগুলো বিতরণ করেন। নাজমুল রাত ৯টায় পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ প্যাকেট বিরিয়ানি নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে দারোয়ান হাসানকে দেন এবং কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে চাপাতিসহ ব্যাগটি গ্যারেজের পাশে রেখে দেন।

                      নাজমুল ও ফয়সাল দ্বিতীয় তলায় তাদের স্যান্ডেল খুলে রেখে তৃতীয় তলায় যান। তৃতীয় তলায় সারোয়ার আলীর মেয়ে সায়মা আলীর কক্ষে নক করেন। তার মেয়ে দরজা খুললে নাজমুল ও ফয়সাল ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সায়মা আলী, তার স্বামী হুমায়ুন কবির ও মেয়ে অহনা কবিরকে ছুরি তুলে ধরে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে রাখেন। পরে ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে ফয়সালকে তৃতীয় তলার নিয়ন্ত্রণে রেখে নাজমুল চতুর্থ তলায় সারোয়ার আলীর ফ্ল্যাটে গিয়ে নক করেন। দরজা খুলে দিতেই জোর করে ভেতরে ঢুকে তাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মেঝেতে ফেলে গলায় ছুরি ধরেন। এমন সময় তার স্ত্রী মাখদুমা নার্গিস চিৎকার শুরু করলে নাজমুল বাইরে অপেক্ষারত সহযোগীদের ফোনে ভেতরে আসতে বলেন। তাদের অনবরত চিৎকার শুনে দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া মেজর (অব) সাহাবুদ্দিন চাকলাদার ও তার ছেলে মোবাশ্বের চাকলাদার ওরফে সজীব চতুর্থ তলায় যান। দারোয়ান ঘুমিয়ে না পড়ায় নাজমুলের বাইরে অবস্থানরত সহযোগীরা ফোন পেয়েও ভেতরে ঢুকতে পারেননি। ফলে নাজমুল হতাশ হয়ে ভয় পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে অন্যরাও দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

                      সূত্রঃ আমাদের সময়


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/26/32046/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                        Comment


                        • #13
                          ইয়া আল্লাহ! উম্মাতে মুসলিমার উপর খাস রহমত নাযিল করুন। আমীন
                          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                          Comment

                          Working...
                          X