Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিতনার সময় সর্বোত্তম ব্যক্তি কে?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিতনার সময় সর্বোত্তম ব্যক্তি কে?

    ফিতনার কথা শুনলেই মারামারি হানাহানি, অন্যায়-অবিচার, ছিনতাই লুটপাট এবং সর্বত্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির একটি রূপ আমাদের সামনে ভেসে উঠে। এবং এধরণের পরিস্থিতিতে নিরবতা অবলম্বন ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাকেই উত্তম এবং একমাত্র করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
    সন্দেহ নাই, এ সব কিছুই ফিতনা এবং এই পরিস্থিতিতে নিরব থাকা ও ফিতনায় না জড়ানোর কথাও হাদিসে এসেছে। কিন্তু আমাদের ভুলে থাকলে চলবে না যে, কুরআন হাদিসে শুধু এসবকেই ফিতনা বলা হয় নি, বরং মৌলিকভাবে কুফর ও শিরককে এবং সাধারণভাবে সব ধরণের হারাম ও অশ্লীলতার বিস্তারকে ফিতনা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এবং ফিতনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত কিতালের নির্দেশ জারি করা হয়েছে–
    “তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাক, যতক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয় এবং দ্বীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।”

    ফিতনার সময় যে ব্যক্তি ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরে শত্রুকে ধাওয়া করবে, তাকে সর্বোত্তম বলা হয়েছে–

    আব্দুল্লাহ ইবনে আবাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, ফিতনার যুগে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে নিজের ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরবে এবং আল্লাহর দুশমনদেরর পিছনে ধাওয়া করবে। আল্লাহর দুশমনদের ভীত-সন্ত্রস্ত করবে এবং ভীতি প্রদর্শন করবে। অথবা সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের বাসগৃহে স্বেচ্ছায় বন্দি হয়ে থাকবে এবং আল্লাহর হকসমূহ আদায় করবে।

    (ইমাম হাকিম রহ. এই হাদিসটিকে বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহিহ বলেছেন। ইমাম যাহাবি রহ.ও এর সাথে একমত পোষণ করেছেন।)

    এই হাদিসের মধ্যে ফিতনার সময় জিহাদকারীকে সর্বোত্তম বলা হয়েছে। সুতরাং ফিতনার দোহাই দিয়ে জিহাদ থেকে বিমুখ থাকার কোন সুযোগ নাই।

    ফিতনার সময় ঐ ব্যক্তিকেও সর্বোত্তম বলা হয়েছে, যে অবৈধ কর্মকাণ্ড, হারাম লেনদেন ও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া নানাবিধ অশ্লীলতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে আপন গৃহে আবদ্ধ করে রাখবে। অথবা ছাগলের পাল নিয়ে পাহাড়ে অথবা বিরানভূমিতে বসবাস করবে। যেমন হাদিসের মধ্যে এসেছে–

    আবু সাইদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, এমন একটি সময় খুবই নিকটবর্তী, যখন মুসলমানদের সর্বোত্তম মাল হবে সেসব বকরি, যেগুলোকে নিয়ে ফিতনা থেকে দ্বীন বাঁচানোর জন্য পাহাড়ের চূড়ায় অথবা বিরানভূমিতে পালায়ন করবে। (বুখারি-১/১৫)

  • #2
    Originally posted by সাইয়াফ View Post
    ফিতনার সময় যে ব্যক্তি ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরে শত্রুকে ধাওয়া করবে, তাকে সর্বোত্তম বলা হয়েছে-
    আল্লাহ আমাদেরকে সংশয়ের বেড়ি থেকে মুক্তি দিয়ে এই হাদিসের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন ৷ আমিন
    "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

    Comment


    • #3
      কুরআনে আল্লাহ ফিৎনা নির্মূল করতে আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের তার পথের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় দাওয়াত দেওয়া শুরু করেন তখন ফিৎনা মুক্ত ছিলো? আমি ফিৎনা থেকে দূরে থাকার হাদিসের বিরুদ্ধে বলছি না। আসলে ফিৎনা তো দুনিতে থাকবেই ফিৎনার মুকাবিলা করা হচ্ছে মুজাহিদীনদের কাজ। আজকে আমরা যারা নিজেদের মুজাহিদ দাবী করি আমরাও দ্বীন প্রতিষ্ঠা তথা ফিৎনা নির্মূলের জন্য কতটুকু কাজ করি। নিজের চাকরি, নিজের ব্যবসা এগুলোকে আগে ঠিক রাখি তারপর সময় পেলে কাজ করি! আফসোস ভাই আমাদের জন্য। আমি আমার নিজেকেই বলছি। আমি নিজেও তো কাজের কাজ কিছুই করি না।প্রিয় ভাইয়েরা আহবান থাকবে আমরা যেনো আমাদের মিশনকে ভুলে না যায়। আমরা যেনো আমাদের সংগঠনকে নীচের দিকে ধাবিত না করি। একটি সংগঠন তখনই সফলতার মুখ দেখে যখন সামনের দিকে এগুতে থাকে। সংগঠন যদি স্থবির হয়ে যায় তখনো তার গতি ধীরেধীরে নিম্নমুখী হয়ে যায়। সংগঠন যদি নিজেদের লোককে একসাথে না রাখতে পারে তখনও সংগঠন ভেঙ্গে যায়। আমি আল কায়দা করি, কথাটি শুধু কথার ভেতরেই সীমাবদ্ধ না থাকে। এই জন্য খুব দ্রুত সবগুলো মারহালা শেষ করে সামনে এগুতে থাকা, এবং দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন আমীন।
        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের প্রকৃত মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুক ৷ আমীন ৷
          আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
          আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

          Comment


          • #6
            জি ভাই, খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা। আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন, আমীন।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

              Comment


              • #8
                আসলে এই যে একটা অপশন আছে- অথবা যে ফেতনা থেকে বাচার জন্য নিজ গৃহে সেচ্ছায় নিজেকে বন্দি করে রাখে কিংবা বকরির পাল নিয়ে পাহাড়ে চলে যায়- এটার স্বরূপ নিয়ে কথা আছে।
                এখানে নিজ গৃহে বন্দি হয়ে থাকা বা পাহাড়ে চলে যাওয়ার দ্বারা কি উদ্দেশ্য জিহাদ ও জিহাদ সংশ্লিষ্ট কাজ বাদ দিয়ে, সব ছেড়ে দিয়ে গৃহে বা পাহাড়ে চলে যাওয়া, নাকি ফেতনার অনিষ্ট থেকে বাচার জন্য সবকিছু থেকে দূরে থাকলেও সেখানেই জিহাদের কাজ করবে বা পরিকল্পনা করবে? এটা কিন্তু অস্পষ্ট।
                এছাড়া এরূপ ফেতনার সময় কোনটাকে ধরা হবে, বা কোন সময়কে ধরা হবে, সেটাও কিন্তু সীমাহীন অস্পষ্ট। যে কেউ যেকোন সময়কে ফেতনার সময় বলে দিতে পারে। কারণ প্রত্যেকটা সময়েই কম/বেশি ফেতনা থাকে। কোনটা বেশি ও মূল, তা নির্ণয় করা কিন্তু দু:সাধ্য। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানা থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন যুগে কত যে ফেতনার সয়লাব গিযেছে......তা আল্লাহই জানেন। এখন কোন সময়ের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য?? নাকি সব সমযের জন্যই প্রয়োজ্য? যদি সব সময়ের জন্যই হয়, তাহলে তো মাশাআল্লাহ!!! সব সময়ই জিহাদ মাফ। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফেতনার সময়ই তো জিহাদ ফরজে আইন হয়ে থাকে।

                অথচ জিহাদের আয়াত ও হাদিসগুলো হল মুহকাম, সুস্পষ্ট বিধান সংবলিত, জানাশোনা ও স্ববিস্তারে আলোচিত। সমস্ত ফিকহের কিতাবে শরীয়তের সাধারণ ও স্থায়ী বিধান হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এখন অস্পষ্ট ও অজানা একটা বিষয়ের ভিত্তিতে শরীয়তের স্থায়ী ও মুহকাম বিধানকে কখন কিভাবে বাদ দিবে? সেটা আসলে মুশকিল।

                Comment


                • #9
                  এ বিষয়ে ইলম ও জিহাদ ভাই যদি কলম ধরতেন ভালো হতো
                  ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                  Comment


                  • #10
                    ফিতনা

                    Originally posted by Bara ibn Malik View Post
                    এ বিষয়ে ইলম ও জিহাদ ভাই যদি কলম ধরতেন ভালো হতো
                    নিজের পরিচয় আমি মুসলিম না তালিবান না জাপান? আমার লক্ষ উদ্দেশ্য পৃথিবীতে ইসলাম কে বিজয় করার। এতে নিজে মারে ও মরে।

                    Comment

                    Working...
                    X