Announcement

Collapse
No announcement yet.

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামহীনতা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামহীনতা

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামহীনতা



    সেক্যুলারিজমের হানা আজ সবখানে। ইসলামহীনতার প্রবণতা আজ চতুর্দিকে। এ থেকে মুক্ত নয় বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও। অশ্লীলতায় ছেয়ে যাচ্ছে শিক্ষালয়। ইসলামহীনতায় ঢেকে যাচ্ছে এর পুরোটা সত্তা। চোখকান খোলা রাখুন একটু। সবই দেখতে পাবেন, বুঝতে পারবেন সবকিছুই।

    বোরকা পড়ে স্কুলে যাওয়ায় স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এক ছাত্রীকে — এমন সংবাদ আজ হামেশাই শোনা যায়। মুসলমানের এ দেশে মুসলমানিত্বের চিহ্নকে সহ্য করা হচ্ছে না। ইদানীং তো ছাত্রীদের ওড়নাকে পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ‘কর্তৃপক্ষ’ নামের এসব কুলাঙ্গারদের উদ্দেশ্য কি তবে ছাত্রীদের দেহ সৌন্দর্যে লোলুপ দৃষ্টি দেয়া?

    স্কুলে কোনো অতিথি আসবেন। তাকে বরণ করে নিতে হবে। ফুলের তোড়া নিয়ে সামনে পাঠানো হবে ছাত্রীদেরকেই। এ যেনো ফুলের সাথে মালিনীকেও নিবেদন করা; কেবল ফুলেল শুভেচ্ছা নয়, বরং আরো অন্যকিছু। যে শিক্ষকগুলো ছাত্রীদের সম্মানের কথা বলে, সে শিক্ষকগুলোই আবার ছাত্রীদেরকে ভোগ্যপণ্য বানিয়ে ছাড়ে।

    জাতীয় দিবস। আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শতশত দর্শক উপস্থিত। স্বেচ্ছায় বা পুরোপুরি অনিচ্ছা সত্ত্বেও উন্মুক্ত মাঠে নামতে হচ্ছে ছাত্রীদেরকে। তারা গাইবে, বিমোহিত করবে দর্শকদের ; দেহ দোলাবে, চোখ ও মনের খোরাক যোগাবে আমন্ত্রিত অতিথিদের। এসব অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত থাকবে না, তাদেরকে করা হবে তিরস্কার, এমনকি হয়তো প্রহারও। এর পরেও কি বলবো না, এ ভোগবাদী সমাজের এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্রীদেরকে ভোগ্যপণ্য বা অন্যের মনোরঞ্জক হিসেবেই ভেবে থাকে?

    বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা — অশ্লীলতার আরেকটি নমুনা। মাঠে খেলতে নামবে ছাত্রীরা। আর দর্শক সারিতে থাকবে শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদের সদস্য, ছাত্র এবং আরো ‘মান্যগণ্য’ ব্যক্তিবর্গ। ছাত্রীরা দৌঁড়াবে, ব্যাডমিন্টন খেলবে, ক্রিকেট-ফুটবল সবই খেলবে, এমনকি সাঁতারেও অংশগ্রহণ করবে। ভেবে দেখুন তো, এ কাজগুলো কতটাই না অশ্লীল! তবুও কি আপনি এ কাজগুলোকে আপনার শালীন সংস্কৃতির অংশ বলবেন? তবুও কি আপনার মনে হবে না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লজ্জা-শালীনতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, দূরে সরিয়ে দিচ্ছে ইসলামি মূল্যবোধ?

    ছেলেমেয়ের ফ্রী মিক্সিং শেখাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোই; অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো ইট-পাথরে গড়া দালান, এগুলোর শেখানোর যোগ্যতা নেই, শেখায় এর শিক্ষকরা, শেখায় জাফর ইকবালের মতো জানোয়ারেরা, আনিসুল হক, মতিউর রহমানের মতো নরপশুরা, তসলিমা নাসরিনের উত্তরসূরীরা। এসকল ইসলামবিদ্বেষীরাই আপনার সন্তানের যৌবনকে অশ্লীলতায় কাটিয়ে দিতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। ফ্রি মিক্সিং এর মাধ্যমে অবাধ যৌনতার প্রচার এরাই করছে। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে ছেলেমেয়ে একই সাথে বসে। বিশেষ করে পরীক্ষার সময়ে তো একদম পাশাপাশি সিটেই বসতে হয় ওদেরকে। এতে করে সংকোচ-লজ্জার প্রাচীর ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। আর এর ফলাফল হচ্ছে, অবৈধ প্রেম, শারীরিক সম্পর্ক, ধর্ষণ, চরিত্রের পূর্ণ পদস্খলন। এভাবেই নৈতিকতার ধ্বজাধারীরা অনৈতিকতার প্রসার ঘটাচ্ছে দেদারসে। তবুও আমরা এসব প্রতিষ্ঠানকে, এসকল প্রতিষ্ঠানের হর্তাকর্তাকে পূর্ণমাত্রায় বিশ্বাস করছি, ছেলেমেয়েদেরকে পাঠাচ্ছি নৈতিকতা(!) শেখাতে!
    আপনি দেখে থাকবেন, রমজান মাসেও অনেক স্কুল-কলেজে পরীক্ষা থাকে৷ রোজা রেখে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা কষ্টসাধ্য বলে অনেকেই রমজানের ফরজ রোজা ছেড়ে দেয়। একটু এদিক-সেদিক করে কি পরীক্ষার শিডিউল করা যায় না? যায়, কিন্তু করা হবে না। কেনো করা হবে না? কারণ ঐ যে, ইসলামহীনতার থাবা। অনেক কলেজ ভার্সিটিতেই পরীক্ষা শুরু হয় দুপুর ১টায়। ১টা থেকে ৫টা। এতে করে অনেকেরই আদায় করা হয় না যোহরের সালাত, এমনকি আসরের সালাতও।

    কাফের-মুশরিকদের সাথে আমাদের শত্রুতা চিরকালীন। মুমিন-মুসলিমই আমাদের জ্ঞাতি, আমাদের ভাই, আমাদের বন্ধু। ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আক্বিদা – আল ওয়ালা ওয়াল বারাআ – আল্লাহর জন্যেই কারো সাথে বন্ধুত্ব রাখা, আল্লাহর জন্যেই কারো সাথে শত্রুতা স্থাপন করা। অথচ স্কুল-কলেজগুলো আমাদের এ আক্বিদাকে ভুলিয়ে দিচ্ছে, লীন করে দিচ্ছে আমাদের স্বকীয়তা; আমাদের সন্তানদের মন-মস্তিষ্কে গেঁথে দিচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতার মতো কুফুরি মতবাদ। হিন্দু-মুসলিমে বন্ধুত্ব হচ্ছে, হচ্ছে গলায় গলায় ভাব। বন্ধুত্বের আহবানে পূজা অনুষ্ঠানে যাচ্ছে মুসলমান ছাত্ররা। কোনো মুশরিক শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত অন্য যেকোনো মুশরিক মারা গেলে, তার আত্মার শান্তি কামনা করে আয়োজন করা হয় প্রার্থনার। হিন্দু-মুসলমান সব ছাত্রকেই অংশগ্রহণ করতে হয় এতে। সূরা বাকারার ১৬১-১৬২ আয়াত নং লক্ষ্য করুন, যেখান থেকে স্পষ্ট হয়, কাফের-মুশরিক-আল্লাহদ্রোহীদের মৃত্যুতে আল্লাহর লানত, ফেরেশতাদের লানত, সমগ্র মানবজাতির লানত। যেখানে আল্লাহ এদেরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে কোন সাহসে কোনো মুসলমান এদের আত্মার শান্তি কামনা করতে পারে? এ যে আল্লাহদ্রোহীতারই এক স্পষ্ট উদাহরণ।

    মালাউন-মুশরিক শিক্ষকরা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির নামে ইনিয়েবিনিয়ে ইসলামহীনতার বীজ বপন করার চেষ্টা করে মুসলমান শিক্ষার্থীদের অন্তরে। “সব ধর্মই ন্যায়ের কথা বলে, সব ধর্মই সত্যের কথা বলে। সব ধর্মেই রয়েছে নৈতিকতার পাঠ, সব ধর্মেই রয়েছে শালীনতার স্থান। সব ধর্মই মানুষের কথা বলে, সব ধর্মই মানবতার কথা বলে। তাই সব ধর্মই সঠিক। আমাদের উচিত নিজ নিজ ধর্ম সঠিকভাবে পালন করা” – এ জাতীয় মুখরোচক বাণী আওড়িয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেয় যে, ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মও আছে। অথচ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণযোগ্য নয়। মুসলমান ব্যতীত অন্য কেউই জান্নাতে যাবে না।

    স্কুল-কলেজ বা এ জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামহীনতাকেই ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রায় ৯০ ভাগ মুসলমানের এ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলাম আজ নিগৃহীত। সুতরাং আমরা বলতেই পারি, ইসলামহীনতায় ঢেকে যাচ্ছে শিক্ষালয়গুলো, নীল হয়ে যাচ্ছে সেক্যুলারিজমের থাবায়।

    লেখক: আব্দুল্লাহ আবু উসামা, ইসলামী চিন্তাবিদ।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/06/32645/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      আহ!!! আমাদের চোখের সামনেই মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ইসলাম থেকে বের করে কুফরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আহ..........

      Comment


      • #4
        সমস্ত কুফরি ও কুফরি কর্ম বন্ধের আহবান ও সতর্কীকরণঃ উপলক্ষে একটি টার্গেট আক্রমণ সময়ের দাবী। আমাদের কিছু মুসলিম ভাইবোন দুনিয়ার মোহে আচ্ছাদিত। দুনিয়ার লোভে পড়ে তারা নিজেদের ঈমানকে ধংস করে দিচ্ছে, সেই সাথে নিজেদের অমূল্য সম্পদ সন্তানদেরকেও জাহান্নামের টেলে দিচ্ছে। আল্লাহর দিকে আহবান করনার্তে ও দ্বীনের দাওয়াত সরুপ একটি জোরাল আমালিয়্যাত সমিয়ের দাবী।
        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

        Comment


        • #5
          স্কুলের এই চিত্র আর মাদ্রার চিত্র হল কুরআন-হাদিসের অপবেখ্যা, বাঁচার কোন উপায় নেই ৷
          "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

          Comment


          • #6
            আল্লাহ আপনার নেক হায়াত দান করুন।কুফ্ফারদের চক্রান্ত তুলে ধরার জন্য।

            Comment


            • #7
              দুশমনদের চক্রান্তগুলো একের পর এক বাস্তবায়িত হচ্ছে ৷ আর মুসলিমরা… ৷ আল্লাহ তুমি এর থেকে আমাদেরকে রক্ষা করো ৷
              আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
              আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

              Comment


              • #8
                দুনিয়ার চাকচিক্যের দ্বারা ভুলিয়ে বালিয়ে মুসলিম ছেলে মেয়েদের তারা কুফরের দিকে, স্যাকুলারিজমের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনের শুরু থেকেই পর্দা না করার এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হচ্ছে ত্বাগুতের স্কুল কলেজ ভার্সিটিগুলো। বুঝে আসুক আর নাই আসুক এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিহাস ভালো কিছু নয়। আল্লাহর দয়া ছাড়া কেও ওখান থেকে হিদায়ত নিয়ে ফিরে আসা সম্ভব না।
                ان المتقین فی جنت ونعیم
                سورة الطور

                Comment


                • #9
                  অধিক বেতনের লোভে পড়ে/ দুনিয়ার মোহে পড়েই মুসলিমরা আজ দ্বীন থেকে দূরে। আল্লাহ, ইসলামের মতো এতো বড় দৌলত দেওয়ার পরেও মুসলিমরা আজ দ্বীন থেকে বহু দূরে। আল্লাহ সন্তান দিয়েছিলেন দ্বীনের কাজে লাগানোর জন্য, আজকে সন্তানকে শুধু দুনিয়া উপার্জন করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। মক্তবে কিছুদিন হুজুরের কাছে নামেমাত্র কুরআন মাজিদ পড়েছিলো, এই শেষ জীবনের কুরআন তিলাওয়াতের কর্মসূচি। কারো কারো তো ঘটছে জীবনেও আর কুরআন পড়ার তাওফিক হচ্ছে না। কুরআন কি তা পড়া,এবং বুঝা ও অনুধাবন করা তার পক্ষে আর সম্ভবপর হয়ে ওঠছে না। মাঝেমধ্যে ওয়াজে যায় কিন্তু নিজে কুরআন পড়া, কুরআন নিয়ে চিন্তা ফিকির করা এটি আর হয়ে ওঠছে না। কিভাবে হবে সেতো তার জীবন অন্য পথে ব্যয় করে ফেলেছে। স্কুল কলেজের অবস্থা আজকাল এমন হয়েছে যে, কোন মেয়ে বা ছেলের বিপরীত বন্ধু না থাকলে মনে করা হয় তার কোন সমস্যা আছে। শয়তান আজ বড়ই আনন্দিত। যেখানে বলা হচ্ছে, জিনার ধারেকাছেও যেও না, সেখানে জিনা করার জন্য প্রতিযোগিতা করা। হায় মুসলিম তুমি আজ এতো নীচে নেমে পড়লে??????
                  والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                  Comment

                  Working...
                  X