Announcement

Collapse
No announcement yet.

কিয়ামতের আলামতঃ পর্ব ২

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কিয়ামতের আলামতঃ পর্ব ২

    কিয়ামতের আলামতঃ পর্ব ২

    কিয়ামতের যেসব আলামত বর্তমানে চলমানঃ

    ১. যুদ্ধলব্ধ মালকে ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করা হবে।
    ২. আমানতকে গনিমত সাব্যস্ত করা হবে। (‘হালাল মনে করে খেয়ে ফেলবে।)
    ৩. জাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে। (‘আদায় করতে কুন্ঠিত হবে।)
    ৪. ইলমে দ্বীন পার্থিব স্বার্থের জন্য অর্জন করা হবে।
    ৫. পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে।
    ৬. মায়ের অবাধ্যতা করতে শুরু করবে।
    ৭. বন্ধুকে নিকটে রাখবে ও পিতাকে দূরে সরিয়ে দেবে।
    ৮. মসজিদসমূহে হট্টগোল শুরু হবে।
    ৯. পাপাচারী ব্যক্তি কওমের নেতা হয়ে যাবে।
    ১০. হীনতম ব্যক্তি জাতির প্রতিনিধিত্ব করবে।
    ১১. অত্যচারের ভয়ে দুষ্ট লোকদের সম্মান করা হবে।
    ১২. গায়িকা নারীদের গান-বাদ্য ব্যাপক হবে।
    ১৩. বাদ্যযন্ত্রের প্রসার ঘটবে।
    ১৪. মদ পান করা হবে।
    ১৫. উম্মতের পরবর্তী লোকেরা তাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি অভিসম্পাত করবে।
    যেমন সুনানে তিরমিজির বর্ণনায় এসেছে :
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا اتُّخِذَ الفَيْءُ دُوَلاً، وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا، وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا، وَتُعُلِّمَ لِغَيْرِ الدِّينِ، وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ، وَعَقَّ أُمَّهُ، وَأَدْنَى صَدِيقَهُ، وَأَقْصَى أَبَاهُ، وَظَهَرَتِ الأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ، وَسَادَ القَبِيلَةَ فَاسِقُهُمْ، وَكَانَ زَعِيمُ القَوْمِ أَرْذَلَهُمْ، وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ، وَظَهَرَتِ القَيْنَاتُ وَالمَعَازِفُ، وَشُرِبَتِ الخُمُورُ، وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا، فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ، وَزَلْزَلَةً وَخَسْفًا وَمَسْخًا وَقَذْفًا وَآيَاتٍ تَتَابَعُ كَنِظَامٍ بَالٍ قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ.
    ‘আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন যুদ্ধলদ্ধ সম্পদ নিজের সম্পদে পরিণত হবে, আমানতের মাল লুটের মালে পরিণত হবে, জাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে, ধর্ম বিবর্জিত শিক্ষার প্রচলন হবে, পুরুষ নিজের স্ত্রীর অনুগত হয়ে যাবে, কিন্তু মায়ের অবাধ্য হবে, বন্ধু-বান্ধবকে কাছে টানবে, কিন্তু পিতাকে দূরে ঠেলে দেবে, মসজিদে কলরব ও হট্টগোল হবে, পাপাচারীরা গোত্রের নেতা হবে, নিকৃষ্ট লোক সমাজের কর্ণধার হবে, অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য মানুষকে সম্মান দেখানো হবে, গায়িকা-নর্তকী ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে, মদ পান করা হবে, এ উম্মতের শেষ সময়ের লোকেরা পূর্ববর্তী মনীষীদের অভিসম্পাত করবে, তখন তোমরা অগ্নিবায়ু, ভূমিধস, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি ও পাথর বর্ষণের শাস্তির অপেক্ষা করো, যা একটির পর একটি এমনভাবে প্রকাশ পাবে, যেমন একটি পুঁতির মালা কেটে দিলে তা একটির একটি পড়তে থাকে।’ (সুনানুত তিরমিজি : ৪/৬৫, হা. নং ২২১১, প্র. দারুল গারবিল ইসলামি, বৈরুত)

    সুনানে তিরমিজিতে আরও বর্ণিত হয়েছে :
    عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فِي هَذِهِ الأُمَّةِ خَسْفٌ وَمَسْخٌ وَقَذْفٌ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: يَا رَسُولَ اللهِ، وَمَتَى ذَاكَ؟ قَالَ: إِذَا ظَهَرَتِ القَيْنَاتُ وَالمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الخُمُورُ.
    ‘ইমরান বিন হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, এ উম্মতের মাঝে ভূমিধস, চেহারা বিকৃতি ও পাথর বর্ষণ হবে। তখন মুসলমানদের মধ্য হতে একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল, এটা কখন হবে? তিনি উত্তরে বললেন, যখন গায়িকা নারীদের গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্রের প্রসার ঘটবে এবং মদপান করা হবে।’ (সুনানুত তিরমিজি : ৪/৬৫, হা. নং ২২১২, প্র. দারুল গারবিল ইসলামি, বৈরুত)

    এটা যে কিয়ামতের আলামতের অন্তর্ভুক্ত, তা অন্য একটি বর্ণনা থেকেও জানা যায়। সুনানে ইবনে মাজাহ’র বর্ণনায় এসেছে :
    عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ مَسْخٌ، وَخَسْفٌ، وَقَذْفٌ
    ‘আব্দুল্লাহ রা. সূত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের পূর্বে ভূমিধস, চেহারা বিকৃতি ও পাথর বর্ষণ হবে।’ (সুনানু ইবনি মাজাহ : ২/১৩৪৯, হা. নং ৪০৫৯, প্র. দারু ইহইয়াইল কুতুবিল আরাবিয়্যা)

    ১৬. সময় খুব দ্রুতবেগে অতিবাহিত হবে।
    যেমন সহিহ ইবনে হিব্বানে বর্ণিত হয়েছে :
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَقَارَبَ الزَّمَانُ، فَتَكُونُ السَّنَةُ كَالشَّهْرِ، وَيَكُونُ الشَّهْرُ كَالْجُمُعَةِ، وَتَكُونُ الْجُمُعَةُ كَالْيَوْمِ، وَيَكُونُ الْيَوْمُ كَالسَّاعَةِ، وَتَكُونُ السَّاعَةُ كَاحْتِرَاقِ السَّعَفَةِ، أَوِ الْخُوصَةِ.
    ‘আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না সময় নিকটতর বলে মনে হতে থাকবে; এমনকি বছর মাসের মতো, মাস সপ্তাহের মতো, সপ্তাহ দিনের মতো, দিন ঘণ্টার মতো এবং ঘণ্টা খেজুর গাছের শুকনো ডাল জ্বলার মতো দ্রুত অতিক্রম করবে।’ (সহিহু ইবনি হিব্বান : ১৫/২৫৭, হা. নং ৬৮৪২, প্র. মুআসসাসাতুর রিসালা, বৈরুত)

    ১৭. আমল কমতে থাকবে।
    ১৮. কৃপণতা বৃদ্ধি পাবে।
    ১৯. ফিতনা-ফাসাদ বেড়ে যাবে।
    ২০. অবৈধ হত্যা-খুন বাড়তে থাকবে।
    যেমন সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে :
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: يَتَقَارَبُ الزَّمَانُ، وَيَنْقُصُ العَمَلُ، وَيُلْقَى الشُّحُّ، وَتَظْهَرُ الفِتَنُ، وَيَكْثُرُ الهَرْجُ. قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّمَ هُوَ؟ قَالَ: القَتْلُ القَتْلُ.
    ‘আবু হুরাইরা রা. সূত্রে নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সময় নিকটতর হতে থাকবে, আমল কমে যেতে থাকবে, কৃপণতা ছড়িয়ে দেওয়া হবে, ফিতনার বিকাশ ঘটবে এবং হারজ ব্যাপকতর হবে। সাহাবায়ে কিরাম রা. জিজ্ঞেস করলেন, হারজ কী? নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হত্যা, হত্যা।’ (সহিহুল বুখারি : ৯/৪৮, হা. নং ৭০৬১, প্র. দারু তাওকিন নাজাত, বৈরুত)

    ২১. পৃথিবী থেকে ইলম উঠে যাবে, সমাজ অজ্ঞতায় ছেয়ে যাবে।
    যেমন সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে :
    قَالَ أَبُو مُوسَى: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ أَيَّامًا، يُرْفَعُ فِيهَا العِلْمُ، وَيَنْزِلُ فِيهَا الجَهْلُ، وَيَكْثُرُ فِيهَا الهَرْجُ. وَالهَرْجُ: القَتْلُ.
    ‘আবু মুসা আশআরি রা. বলেন, নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের পূর্বে এমন সময় আসবে, যখন ইলম উঠে যাবে, অজ্ঞতার সয়লাব হবে, হারাজ বৃদ্ধি পাবে। আর হারাজ হলো হত্যা।’ (সহিহুল বুখারি : ৯/৪৮, হা. নং ৭০৬৪, প্র. দারু তাওকিন নাজাত, বৈরুত)

    ২২. সন্তান মায়ের সাথে দাসীদের মতো আচরণ করবে।
    ২৩. রাখাল ও নিঃস্ব শ্রেণির লোকেরা সুবিশাল অট্টলিকা নির্মানে প্রতিযোগিতা করবে।
    যেমন সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে :
    حَدَّثَنِي أَبِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ.... قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَتِهَا، قَالَ: أَنْ تَلِدَ الْأَمَةُ رَبَّتَهَا، وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ
    ‘উমর বিন খাত্তাব রা. বর্ণনা করেন, আমরা একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট বসা ছিলাম। …জিবরাইল আ. বললেন, তাহলে আমাকে কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, দাসী নিজের মনিবকে প্রসব করবে। আর তুমি দেখতে পাবে, নগ্নপদ, নগ্নদেহ, নিঃস্ব মেষ রাখালেরা অট্টলিকা নির্মাণে পরস্পরে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে।’ (সহিহু মুসলিম : ১/৩৬, হা. নং ৮, প্র. দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবিয়্যি, বৈরুত)

    নোট : দাসী নিজের মনিবকে প্রসব করার একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে। এক ব্যাখ্যা অনুসারে সন্তান বড় হয়ে মায়ের সাথে দাসীদের মতো খারাপ আচরণ করবে। আরেক ব্যাখ্যা মতে মানুষ ইচ্ছেমতো দাস-দাসী ক্রয় করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাবে যে, একসময় নিজের মাকেও দাসী হিসেবে কিনে আনবে। কারও মতে এখানে মায়ের সাথে ব্যভিচারের কথা বুঝানো হয়েছে। যে ব্যাখ্যাই নেওয়া হোক না কেন, সবগুলোই বাস্তবে ঘটেছে এবং এখনো ঘটেছে। (নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক)

    ২৪. শুধু নিজের পরিচিত বিশেষ লোকদেরকেই সালাম দেওয়া হবে।
    ২৫. ব্যবসা-বানিজ্যের ব্যাপক প্রসার হবে।
    ২৬. স্ত্রী স্বীয় স্বামীকে ব্যবসায় সহযোগিতা করবে।
    ২৭. আত্মীয়তার সম্পর্ক শিথিল ও ছিন্ন হয়ে যাবে।
    ২৮. মিথ্যা সাক্ষ্য ব্যাপকতা লাভ করবে আর সত্যকে লুকানো হবে।
    ২৯. লেখালেখি ও প্রচার মাধ্যমের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
    যেমন মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে :
    فَذَكَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ تَسْلِيمَ الْخَاصَّةِ، وَفُشُوَّ التِّجَارَةِ، حَتَّى تُعِينَ الْمَرْأَةُ زَوْجَهَا عَلَى التِّجَارَةِ، وَقَطْعَ الْأَرْحَامِ، وَشَهَادَةَ الزُّورِ، وَكِتْمَانَ شَهَادَةِ الْحَقِّ، وَظُهُورَ الْقَلَمِ.
    ‘আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, কিয়ামতের পূর্বে শুধু বিশেষ লোকদেরকেই সালাম দেওয়া হবে, ব্যবসা ব্যাপক প্রসার লাভ করবে; এমনকি স্ত্রী স্বীয় স্বামীকে ব্যবসায়িক কাজে সহযোগিতা করবে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হবে, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া হবে, সত্যকে গোপন করা হবে এবং কলমের বিস্তার ঘটবে।’ (মুসনাদু আহমাদ : ৬/৪১৬, হা. নং ৩৮৭০, প্র. মুআসসাসাতুর রিসালা, বৈরুত)

    ৩০. অশ্লীলতা ও লজ্জাহীনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
    ৩১. প্রতিবেশীর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা হবে না; বরং অসদাচরণ করা হবে।
    ৩২. খিয়ানতকারীকে আমানতদার আর আমানতদারকে খিয়ানতকারী বলা হবে।
    যেমন মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে :
    عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو فَحَدَّثَنِي مِمَّا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ... قَالَ: وَلَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَظْهَرَ الْفُحْشُ وَالتَّفَاحُشُ، وَقَطِيعَةُ الرَّحِمِ، وَسُوءُ الْمُجَاوَرَةِ، وَحَتَّى يُؤْتَمَنَ الْخَائِنُ وَيُخَوَّنَ الْأَمِينُ.
    ‘আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না লজ্জাহীনতা ও অশ্লীলতা ব্যাপকতা লাভ করবে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে, প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচরণ করা হবে, খিয়ানতকারীকে আমানতদার আর আমানতদারকে খিয়ানতকারী মনে করা হবে।’ (মুসনাদু আহমাদ :১১/৬৪, হা. নং ৬৫১৪, প্র. মুআসসাসাতুর রিসালা)

    ৩৩. কালো খিজাব ব্যবহার করা।
    যেমন সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে :
    عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَكُونُ قَوْمٌ يَخْضِبُونَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ بِالسَّوَادِ، كَحَوَاصِلِ الْحَمَامِ، لَا يَرِيحُونَ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ.
    ‘ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, শেষ জমানায় এমন কিছু লোক আসবে, যারা (সাদা চুল কালো দেখানোর জন্য) কবুতরের পাকস্থলীর ন্যায় কালো খিজাব ব্যবহার করবে। এরা জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (সুনানু আবি দাউদ : ৪/৮৭, হা. নং ৪২১২, প্র. আল-মাকতাবাতুল আসরিয়্যা, বৈরুত)

    ৩৪. অযোগ্য লোকদের ক্ষমতায় বসানো।
    যেমন সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে :
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا ضُيِّعَتِ الأَمَانَةُ فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ. قَالَ: كَيْفَ إِضَاعَتُهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: إِذَا أُسْنِدَ الأَمْرُ إِلَى غَيْرِ أَهْلِهِ فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ.
    ‘আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন আমানতের খিয়ানত করা হবে তখন কিয়ামতের অপেক্ষা করো। কেউ বলল, হে আল্লাহর রাসুল, কিভাবে আমানতের খিয়ানত করা হবে? তিনি বললেন, যখন অযোগ্য লোকদের ক্ষমতায় বসানো হবে তখন কিয়ামতের অপেক্ষা করো।’ (সহিহুল বুখারি : ৮/১০৪, হা. নং ৬৪৯৬, প্র. দারু তাওকিন নাজাত, বৈরুত)

    ৩৫. মিথ্যা বৃদ্ধি পাবে।
    ৩৬. ঘনঘন বাজার-ঘাট গড়ে উঠবে।
    যেমন মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে :
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَظْهَرَ الْفِتَنُ، وَيَكْثُرَ الْكَذِبُ، وَتَتَقَارَبَ الْأَسْوَاقُ، وَيَتَقَارَبَ الزَّمَانُ، وَيَكْثُرَ الْهَرْجُ. قِيلَ: وَمَا الْهَرْجُ؟ قَالَ: الْقَتْلُ.
    ‘আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না ফিতনা-ফাসাদ বিস্তার লাভ করবে, মিথ্যার প্রসার ঘটবে, বাজার-ঘাট ঘনঘন হবে, সময় নিকটবর্তী হতে থাকবে এবং হারজ বৃদ্ধি পাবে। প্রশ্ন করা হলো, হারজ কী? তিনি বললেন, হত্যা।’ (মুসনাদু আহমাদ : ১৬/৪২২, হা. নং ১০৭২৪, প্র. মুআসসাসাতুর রিসালা, বৈরুত)

    চলবে ইনশাআল্লাহ
    সংগৃহীত
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

  • #2
    Originally posted by ABDULLAH BIN ADAM BD View Post
    وَتَكُونُ السَّاعَةُ كَاحْتِرَاقِ السَّعَفَةِ، أَوِ الْخُوصَةِ
    ————————————————
    ঘণ্টা খেজুর গাছের শুকনো ডাল জ্বলার মতো দ্রুত অতিক্রম করবে।’
    বিষয়টাকে ব্যখার সাথে লিখলে ভাল হত ৷
    "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

    Comment

    Working...
    X