Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৯শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৯শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আবার ধড়পাকড় শুরু করল রিয়াদ সরকার!



    সৌদি আরবে বসবাসরত ফিলিস্তিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে নতুন করে ধড়পাকড় শুরু করেছে রিয়াদ সরকার। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেয়ার অভিযোগে এই ধরপাকড় অভিযান চালাচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

    ‘দ্য প্রিজনার অফ কন্সাইন্স’ নামে সৌদি আরবের একটি মানবাধিকার বিষয়ক এনজিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, গত বছরের এপ্রিল মাসে যেসব ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল তাদের আত্মীয়-স্বজন ও সন্তানাদিকে একই অভিযোগে সৌদি সরকার এখন আটক করছে।

    গত বছরের ২১ অক্টোবর হামাস মুখপাত্র সামি আবু জুহরি আরবি ভাষার বার্তা সংস্থা শেহাবকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সৌদি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে নিষ্ঠুর পদ্ধতি অনুসরণ করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

    সে সময় সামি জুহরি জানিয়েছিলেন, সৌদি কারাগারে এ মুহূর্তে প্রায় ৬০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে হামাস নেতা ও সমর্থকদের সন্তানাদিও আছেন। সৌদি কারাগারে আটক ব্যক্তিদের কেউ কেউ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌদি আরবে বসবাস করছেন এবং তারা দেশটির অর্থনীতিতে বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন বলে জানান সামি আবু জুহরি।

    সূত্র : পার্সটুডে


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/14/32944/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার ১৪ বছরের কিশোরকে গ্রেপ্তার করলো ইহুদিবাদী ইসরায়েল সন্ত্রাসীরা



    ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সন্ত্রাসীরা ফিলিস্তিনের ১৪ বছরের এক মুসলিম কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে।

    আল-আলাম নিউজ চ্যানেলের বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলি হানাদার বাহিনী ফিলিস্তিনের ১৪ বছরের কিশোর আমের আভিজাতকে গ্রেপ্তার করেছে। আল-খালিল অঞ্চলের আল-আরুব শিবির বসবাসকারী ১৪ বছরের এই কিশোরের গ্রেপ্তারের ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক নেটওয়ার্কে প্রকাশিত হয়েছে। কিশোরটিকে গ্রেপ্তারের জন্য ইহুদি সরকার একটি ব্যাটালিয়ন পাঠিয়েছে।

    উল্লেখ্য, কয়েদি অধিকার সংস্থা আদামির ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি ৭ হাজার বন্দীদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ৪১৪ বন্দি রয়েছে এবং এসকল বন্দিদের মধ্যে ১৬ বছরের নীচে ১০৪ জন বন্দী রয়েছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/14/32952/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘কাশ্মীর এখন খোলা জেলখানা।’




      ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরকে স্বাভাবিক বলে দাবি করলেও বাস্তব অবস্থা তা বিপরীত। তাই সিপিএম দাবি করেছে, ‘কাশ্মীর এখন খোলা জেলখানা।’

      সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘সরকার এখন দাবি করছে কাশ্মীর স্বাভাবিক। অথচ সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ছয় মাসের অচলাবস্থায় সেখানের অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে।’

      কাশ্মীর উপত্যকার সিপিএম নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামি বলেছেন, ‘বিদেশি প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কি বোঝাতে চেয়েছেন কাশ্মীর স্বাভাবিক? অথচ বিরোধী নেতাদের কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’ তাই তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘কাশ্মীরকে খোলা জেলখানা ঘোষণা করে দিতে পারে সরকার। এটাই কাশ্মীরের বাস্তব অবস্থা।’ তিনি বলেছেন, ‘বসতঘর, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও অতিথিশালা পরিণত হয়েছে জেলখানা।’

      সিপিএমের কেন্দ্রীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ৬ মাস কেটে গেছে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের। আর এই ৬ মাসে কাশ্মীরের পর্যটনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশুপালন ও কৃষিশিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের।

      ইয়েচুরি বলেন, সরকার রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে বলে দাবি করলেও সেখানকার নেতাদের এখনো পুরে রাখা হয়েছে জেলে। এখন সুপ্রিম কোর্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত মামলা চলছে। তিনি দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত যেন সরকার সেখানকার জমি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত যেন না নেয়।

      গত ৯ জানুয়ারি কাশ্মীরের অবস্থা দেখতে বিদেশি প্রতিনিধিদল গিয়েছিল। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, মরক্কো, নাইজার, নাইজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, গায়েনা, নরওয়ে, ফিলিপাইন, মালদ্বীপ, টোগো, ফিজি, পেরু, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা।

      গত বছর ৫ আগস্ট ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভাগ করে দুই ভাগে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ রাজ্যে রূপান্তরিত করা হয়। তবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তরভূক্ত করা হয়। আর জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা একটি রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে।
      সূত্র: প্রথম আলো


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/14/32941/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিমদের দোকান সিলগালা করে দিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার



        গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভের সময় উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক সহিংসতা হয়। ভারতের যে রাজ্যে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সবচেয়ে তীব্র আকার নিয়েছিল, সেই উত্তরপ্রদেশে সরকার অভিযুক্ত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে।

        জানা যায়, মুজফফরনগর জেলায় ৫৩ জন বিক্ষোভকারীকে ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ২৩ লক্ষ রুপি জরিমানা দিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন শহরে বহু দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে, যার প্রায় সবই মুসলিমদের।

        মুজফফরনগরের প্রশাসন বলছে, গত ২০ ডিসেম্বর সেখানে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিল, সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিস্যুয়ালস দেখেই তারা প্রতিবাদকারীদের চিহ্নিত করেছেন। তার ভিত্তিতেই মোট ৫৩ জনকে নোটিশ পাঠিয়ে প্রায় সাড়ে ২৩ লক্ষ রুপি ক্ষতিপূরণ জমা করতে বলা হয়েছে।

        অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অমিত সিং জানাচ্ছেন, সিভিল লাইন্স থানার আওতায় ৫৩ জনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, আর কোতোয়ালি থানার আওতায় অভিযুক্ত আরও ১৭ জনের মামলা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। আমরা এদের স্বত:প্রণোদিতভাবে টাকা জমা করতে বলেছি, কিন্তু তারা না-মানলে তহসিল অফিস থেকে আইনি নোটিশ পাঠানো হবে।

        লখনৌ, কানপুর, মীরাট, সম্ভল, রামপুর, বিজনৌর ও বুলন্দশহর জেলাতেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গোটা রাজ্যে এরই মধ্যে এরকম প্রায় শ’তিনেক প্রতিবাদকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাছাড়া বহু জায়গায় সন্দেহভাজন বিক্ষোভকারীদের দোকানপাটেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

        মুজফফরনগরের মীনাক্ষি চকে সিল করা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে এলাকার এক বাসিন্দা বলছিলেন, যে সব দোকান সিলগালা করা হয়েছে তার সবগুলোই কিন্তু মুসলিমদের।

        মদিনা চকের কাছে এক গৃহবধূ যেমন বলছিলেন, ওরা (পুলিশ) বাড়ির ভেতর ঢুকে ভাঙচুরই শুধু করেনি, সাড়ে তিন লাখ টাকার অলঙ্কারও লুঠ করে নিয়ে গেছে। দোতলায় উঠে আসবাব, ওয়াশিং মেশিন সব ভেঙেছে।

        উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এই সব নির্যাতন ও অত্যাচারের কথাই মানুষকে বলতে বলতে দিল্লি অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছিল ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একটি দল, কিন্তু মাঝপথে গাজীপুরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাদের জনাদশেককে ধরে জেলে পুরেছে। ওই পদযাত্রার আয়োজকদের একজন, থৃতি দাস বলছিলেন, গান্ধীর সত্যাগ্রহের পীঠস্থান চৌরিচৌরা থেকে শুরু করে তারা তার সমাধিস্থল রাজঘাট অবধি আসার পরিকল্পনা করেছিলেন উত্তর প্রদেশের বুক চিরে। চৌরিচৌরা থেকে আড়াইশো কিলোমিটার পথ হেঁটে গোরখপুর, কুশীনগর, আজমগড় হয়ে তারা যখন গাজীপুরে পৌঁছান, তখনই ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ তাদের আটক করে জেলে ভরে দেয়। পরে যখন আইনজীবীরা তাদের জামিনের জন্য চেষ্টা করতে যান, তখন পঁচিশ লক্ষ রুপির বন্ড দিতে বলা হয় এবং অন্তত দুজন গেজেটেড অফিসারকে জামিনদার হিসেবে আনতে বলা হয়।

        গ্রেপ্তার হওয়া ওই ছাত্রছাত্রী ও অ্যাক্টিভিস্টরা জেলের ভেতরেই এদিন থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করেছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই ধরনের কঠোর দমন নীতির তীব্র সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও, তবে গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক সাক্ষাত্*কারে বলেছেন তিনি এ সব গায়ে মাখছেন না। অভিযুক্ত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত যে হবেই, সে কথা জানিয়ে দেয় আদিত্যনাথ।

        মুখ্যমন্ত্রী এর আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তার সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বদলা নিয়েই ছাড়বে। এখন দেখা যাচ্ছে তার পুলিশ ও প্রশাসন সেই প্রতিশোধ কর্মসূচিরই বাস্তবায়ন শুরু করেছে পুরোদমে।

        সূত্র: বিবিসি বাংলা।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/14/32940/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পশ্চিমবঙ্গে ‘শত্রু সম্পত্তি’ নামে মুসলিমদের সম্পত্তি নিলামে তুলছে ভারত সরকার


          ভারতে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত বিভিন্ন জমি-বাড়ির প্রথম দফার নিলামের প্রস্তুতি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় মালাউন সরকার।

          দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, যে সব শত্রু সম্পত্তিতে মামলার জটিলতা নেই – প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে সেগুলোর তালিকা তৈরি করে নিলামে তোলা হচ্ছে।

          এই ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ সফল হলে অন্যান্য রাজ্যেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

          দেশভাগের পর কিংবা পঁয়ষট্টি ও একাত্তরের যুদ্ধের সময় যারা ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, সেদেশে তাদের ফেলে যাওয়া জমি-বাড়িকেই ভারত সরকার শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে।

          তিন বছর আগে পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করে শত্রু সম্পত্তির ওপর ওয়ারিশদের দাবি জানানোর অধিকারও অনেকটাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

          দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শত্রু সম্পত্তির ‘হেফাজতকারী’ বা অভিরক্ষক বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে এই ধরনের সম্পত্তির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তরপ্রদেশে – প্রায় হাজার পাঁচেক। এর পরেই সবচেয়ে বেশি শত্রু সম্পত্তি আছে পশ্চিমবঙ্গে, ২৭৩৫টি।

          ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বা ভারত-চীন যুদ্ধের সময় দেশত্যাগীদের ফেলে যাওয়া এসব সম্পত্তি বেচে সরকার অন্তত এক লক্ষ কোটি রুপি তুলতে পারবে বলে ধারণা করা হয় – যার প্রথম পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু হচ্ছে।

          শত্রু সম্পত্তি নিয়ে সংসদীয় বিতর্কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত লোকসভা এমপি সৌগত রায় জানিয়েছিলেন, “সারা দেশে সবচেয়ে বেশি শত্রু সম্পত্তি আগে ছিল মেহমুদাবাদের রাজার।”

          “তার ছেলে যখন পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে ভারতের নাগরিকত্ব নেন এবং সেই সব সম্পত্তির উত্তরাধিকার দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে যান, তখন সরকার বিরাট বিপদে পড়ে।”

          “কারণ হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি তাকে তাহলে ফিরিয়ে দিতে হত, লখনৌ শহরের মূল বাণিজ্যিক এলাকা হজরতগঞ্জের সব দোকানের ভাড়াটে খালি করতে গেলে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেত।”

          এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতেই নরেন্দ্র মোদী সরকার বছরতিনেক আগে শত্রু সম্পত্তি আইন সংশোধন করে।

          নতুন আইনে বলা হয়, সরকার কোনও শত্রু সম্পত্তির দখল নিলে তার দাবিদার বা উত্তরাধিকারীরা আপিল করার জন্য মাত্র দুমাস সময় পাবেন – তাও সেটা হতে হবে সরাসরি কোনও হাইকোর্টে।

          সংবিধান বিশেষজ্ঞ দর্শনা মিত্র বিবিসিকে বলছিলেন, এধরনের সম্পত্তির দখল ফিরে পাওয়া ভারতের আইনে ক্রমশই কঠিন করে তোলা হয়েছে।

          তার কথায়, “প্রথমে কিন্তু এই আইনটার নাম ছিল ইভ্যাকুয়ি প্রোপার্টি ল, অর্থাৎ দেশত্যাগীদের সম্পত্তি আইন – যে নামকরণ থেকে এর উদ্দেশ্যটাও বোঝা সহজ।”

          “সেই আইনটার লক্ষ্যও ছিল পরিষ্কার। দেশভাগের সময় যারা ভারত থেকে ছিটকে গেছেন তাদের সম্পত্তি কোনও একজন কাস্টডিয়ানের জিম্মায় থাকবে, যতক্ষণ না তিনি ফিরে এসে নিজের সম্পত্তি আবার বুঝে নিচ্ছেন।”

          “কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই ইভ্যাকুয়িরাই এখন দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন।”

          “মানে দেশভাগের কারণে এই মুলুক ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন – এই দৃষ্টিতে আগে যাদের দেখা হত, একটার পর একটা ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধের জেরে তাদেরকেই এখন সরাসরি শত্রু বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।”

          “আগে ইভ্যাকুয়ি-রা যত সহজে নিজেদের সম্পত্তি ফিরে পেতে পারতেন, এখন সেটাকে ক্রমশ অনেক অনেক বেশি কঠিন – প্রায় অসম্ভব – করে তোলা হয়েছে”, বলছিলেন দর্শনা মিত্র।

          এবং সামান্য কয়েকজন চীনা বংশোদ্ভূতকে বাদ দিলে এই তথাকথিত ‘শত্রু’রা যেহেতু প্রায় সবাই মুসলিম, তাই ভারতের অনেক মুসলিম সংগঠনই মনে করে শত্রু সম্পত্তি আইন আসলে একটি মুসলিম-বিদ্বেষী পদক্ষেপ।

          মুসলিম সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: সালিম ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, “স্বাধীনতা বা যুদ্ধের সময় যারা দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন তারা কিন্তু অনেকেই নিজেদের জমি-বাড়িতে আত্মীয়স্বজন বা ওয়ারিশদের বসিয়ে গিয়েছিলেন।” “পরে তারা নিয়মমাফিক সেই সম্পত্তির দখলও নিয়েছেন।”

          “কিন্তু আইন পাল্টে দিয়ে সরকার আসলে একটি বিশেষ সম্প্রদায় – মুসলিমদেরই নিশানা করতে চেয়েছে। প্রশাসন তাদের বৈধ সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নিতে চাইছে।”

          তবে এই ধরনের প্রতিরোধ উপেক্ষা করেই ভারত সরকার এখন জোরশোরে শত্রু সম্পত্তি বেচার উদ্যোগ নিয়েছে।

          সারা দেশে এরকম প্রায় হাজার দশেক সম্পত্তি নিলামে তুলতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত মাসেই একটি প্যানেল গড়ে দিয়েছেন – যারা তাদের প্রথম প্রোজেক্ট হিসেবে বেছে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে।
          সূত্র : বিবিসি


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/14/32939/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মালাউন পুলিশের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মিছিলে গোপনাঙ্গে লাথি মারাসহ ভয়ঙ্কর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ



            দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

            গতকাল বৃহস্পতিবার জামিয়া শিক্ষার্থীদের করা এক সংবাদ সম্মেলনের বরাতে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি।

            জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করে সংসদ ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের পথ আটকে অকথ্য নির্যাতন চালায় পুলিশ। মিছিলে সামিল প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের গোপনাঙ্গে লাথি মারে এবং ছাত্রীদের হিজাব ছিড়ে ফেলে। কয়েকজন জামিয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের কর্মীদের বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়।

            শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের প্রতিবাদ মিছিল রুখতেই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে হামলা চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

            একজন আহত ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, যখন আমি দেখলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে ব্যাপক মারধর করছে পুলিশ, তখন আমি ওদের সাহায্য করার জন্যে ছুটে আসি। আমি যখন ব্যারিকেড পার হচ্ছিলাম, তখন কয়েকজন মহিলা পুলিশ আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। একজন পুরুষ পুলিশ কর্মী আমার গোপনাঙ্গে লাথি মারলে আমি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যাই।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/14/32951/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গোটা ভারতবর্ষের মানুষকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিজেপি সরকার: মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ



              ভারতের এনআরসি, সিএএ-র বিরোধিতায় এবার সমস্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার পাশাপাশি হিন্দু, অহিন্দু বাছবিচার না করেই প্রতিবাদে সামিল হবার ডাক দিলেন রাজ্যের জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।

              গতকাল বৃহস্পতিবার বর্ধমানের নবাবহাটে বর্ধমান জেলা জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের অবস্থান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অসমে ৬০০ মাদ্রাসাকে বন্ধ করার চক্রা্ন্ত করছে সেখানকার বিজেপি পরিচালিত সরকার। ক্রমশই গোটা ভারতবর্ষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। তিনি এদিন বলেন, ভারতবর্ষে এখন সব থেকে বড় বিপদ নেমে এসেছে। ১০০ কোটি মানুষের অস্তিত্বই সংকটে। তিনি এদিন বলেন, দিল্লির নির্বাচনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ৫৬ ইঞ্চি ছাতি চুপসে গেছে। ৬টি রাজ্যে হেরে গিয়েও ওদের শিক্ষা হয়নি।

              গোটা ভারতবর্ষের মানুষকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিজেপি সরকার, চাঞ্চল্যকর দাবি তার। আর এরই প্রতিবাদে প্রত্যেককে সমবেতভাবে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন রীতিমত হুঁশিয়ারী দেন কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে।

              তিনি বলেন, বাংলায় এনআরসি তারা চালু করতে দেবেন না। পাশাপাশি উপস্থিত জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের সদস্য ও সমর্থকদের বলেন, আপনারা বাড়িতে না থাকলে বাড়ির মহিলাদের জানিয়ে যান, তাঁরা যেন কোনও প্রলোভনেই পা দিয়ে কোনও কাগজপত্র না দেখান বিজেপি বা আরএসএস সমর্থকদের।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/14/32957/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আহ.......
                “তোমাদের কী হল, তোমরা আল্লাহর পথে *যুদ্ধ করছো না, অথচ দুর্বল বৃদ্ধ-নারী-শিশুরা বলছে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে এই জনপদ থেকে উদ্ধার করুন, যার অধিবাসীরা জালিম। আমাদের জন্য একজন অভিভাক পাঠান, আমাদের জন্য একজন সাহায্যকারী পাঠান।”

                Comment


                • #9
                  ভারতে হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক বৈষম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ৪৩০ দলিতের ইসলাম গ্রহণ



                  ভারতের তামিলনাড়ুতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাম্প্রদায়িক বৈষম্যে অতিষ্ঠ হয়ে দলিত জনগোষ্ঠীর ৪৩০ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আরও বহুজন ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।

                  রাজ্যের কোয়েম্বাতোর জেলার মেত্তুপালায়ম শহরের ওই ৪৩০ জন সম্প্রতি আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলিতদের সংগঠন ‘তামিল পুলিগাল কাতচি’ নামের একটি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ইলাবেনিল। তার বরাত দিয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

                  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত ২ ডিসেম্বর মেত্তুপালায়ম শহরে ভারী বর্ষণে একটি দেয়াল ধসে তিনটি বাড়ির ওপর পড়ে। এতে দলিত সম্প্রদায়ের ১৭ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন ১১ নারী ও তিন শিশু।

                  দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা অভিযোগ করেন, তাদের বর্ণের মানুষ যেন উঁচু বর্ণের লোকেদের এলাকায় যেতে না পারেন, সেজন্য দেয়ালটি বানান প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। দুর্ঘটনার পর সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে আন্দোলনে নামে দলিতদের সংগঠন ‘তামিল পুলিগাল কাতচি’। কিন্তু প্রশাসন গ্রেফতার করে ওই সংগঠনের সভাপতি নাগাই তিরুভল্লুয়ানকে।

                  সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে এভাবে বৈষম্যের শিকার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দলিতরা বৈঠকে বসে ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

                  ধর্মান্তরিত হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে মার্ক্স নামে এক যুবক বলছিলেন ‘সর্বত্র বৈষম্য’র কথা। বর্তমানে মোহাম্মদ আবুবকর নামে পরিচিত ওই যুবক বলেন, ‘বিরাজমান বর্ণবাদী অবিচার ও অস্পৃশ্যতার মতো ধারণা আমাদের শেষ করে দিচ্ছিল। যেমন দলিতরা দুর্গা মন্দিরে যেতে পারবে না। চা দোকানেও ঢুকতে পারবে না। এমনকি আমরা সরকারি বাসেও একসঙ্গে বসতে পারি না। তাই আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি।’

                  শরৎ কুমার থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে আব্দুল্লাহ নাম গ্রহণ করা আরেক যুবক বলেন, ‘যখন আমাদের ১৭ জন মারা গেল, কোনো হিন্দু একটা শব্দ উচ্চারণ করলো না। শুধু মুসলিম ভাই-বোনেরা এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওই দুর্যোগে আমাদের মুসলিম ভাইরাই আশ্রয় দিয়েছে। হিন্দুরা আমাদের চেয়েও দেখেনি। হিন্দুদের যেকোনো মন্দিরে কি আমি ঢুকতে পারবো? কিন্তু আমি সব মসজিদে ঢুকতে পারবো। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর আমি পাঁচটি মসজিদ ঘুরেছি। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে দোয়া করেছি। কিন্তু আমি কি দুর্গা মন্দিরে গিয়ে পূজা করতে পারবো?’

                  ‘তামিল পুলিগাল কাতচি’র রাজ্য সম্পাদক ইলাবেনিল জানিয়েছেন, প্রথমে ৪৩০ জন ইসলাম গ্রহণ করেছেন, পর্যায়ক্রমে ওই জনপদে থাকা ৩ হাজার মানুষ ধর্মান্তরিত হবেন।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/14/32961/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে মুসলমানের জমি দখলের জন্য মূর্তি বসিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি



                    ঠাকুরগাঁওয়ে জমি দখলের জন্য রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মূর্তি বসিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে জগদিশ ওরফে জগ রাম। রাণীশংকৈল উপজেলার ৫নং বাচোর ইউনিয়নে ভাংবাড়ী বিলের আবাদি জমিতে এ ঘটনা ঘটে।

                    জানা যায়, শ্রী পবেন্দ্র ওরফে টুনু রামের ছেলে জগদিশ ওরফে জগ রাম আবাদি জমি নিজ দখলে নিতে সম্প্রতি রাতের আঁধারে মূর্তি বসায়। জমি দখলের এ অভিনব ঘটনায় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

                    সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আবু সুফিয়ান নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রায় বিশ বছর যাবৎ এক নম্বর খাস খতিয়ানের ৪৭৩৫-৩৬ দাগের ৫১ শতাংশ এই জমি শ্রী পবেন্দ্র ওরফে টুনু রামের নিকট থেকে ক্রয় করেছি’।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/14/32970/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                      Comment

                      Working...
                      X